জয় হত্যা পরিকল্পনা বিএনপির বর্তমান অবস্থান--গনতন্ত্র,আইনের শাষনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মির্জা ফখরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে দাবী করে বলেছেন, সজিব ওয়াজেদের একাউন্টে ৩০০মিলিয়ন ডলার অবৈধ লেনদেন হয়েছে।সফিক রেহমান জিজ্ঞাসাবাদে তথ্য দিয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন। এদিকে পুলিশ বলছেন সফিক রেহমান এইধরনের কোন তথ্য জিজ্ঞাসাবাদে দেননি।পুলিশ নিশ্চিত করেই বলছেন মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের সাথে শফিক রেহমানের দেওয়া তথ্যের কোনো মিল নেই। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রে সজীব ওয়াজেদ জয়কে ‘অপহরণ চক্রান্তে’ এফবি আই কর্মকর্তাকে ঘুষ দেওয়ার মামলার বিচারে জয়ের একাউন্টে ৩০০ মিলিয়ন ডলারের সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য উঠে এসেছে।ওই বিচারের সূত্র ধরে শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করা হলেও ওই লেনদেন নিয়ে কেন কথা হচ্ছে না? তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিএনপির মহাসচিব।“যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে পেশকৃত মার্কিন সরকারের ডকুমেন্টে ‘ইনডিভিজুয়াল ওয়ান’ অর্থাৎ সজীব ওয়াজেদ জয় ও ৩০০ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের বিষয়টি নিয়ে সরকার টু শব্দ করছেন না কেন?ফখরুল সাহেবের জিজ্ঞাসা সরকারের প্রতি। ঢাকার অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম রোববার সাংবাদিকদের বলেন, “শফিক রেহমান জিজ্ঞাসাবাদে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বহু তথ্যই দিচ্ছেন। সংবাদ সম্মেলনে ফখরুলের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে তার কোন মিল নেই। "আমরা জানি না ফখরুল সাহেব যে বক্তব্য দিয়েছেন-তার সঙ্গে শফিক রেহমানের আগে পরে কখনও তিনি নিজে কথা বলেছিলেন কিনা।" বিষয়টি যে, বর্তমান সফিক রেহমানের গ্রেপ্তার এবং জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসা বিভিন্ন তথ্যকে অসার প্রমান, বিতর্ক উত্থাপনের মাধ্যমে ধুম্রজাল সৃষ্ট্রি, এবং জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপকৌশল- এতে কোন সন্দেহ নেই। আমাদের পরিষ্কার কথা হচ্ছে,সত্য হোক মিথ্যা হোক বিষয়টি অতিব গুরুত্বপুর্ণ। মির্জা ফখরুল যে বিষোয়টির অবতারনা করেছেন, বিষয়টি কোন সুত্র থেকে তিনি অবহিত হলেন, তাঁর পক্ষে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র প্রদানের জন্য পুলিশ কতৃক তাঁকে নির্দেশ প্রদান করা যেতে পারে।সফিক রেহমান যে গুরুত্বপুর্ণ তথ্য দিয়েছেন তিনিই বা জানেন কি ভাবে সজিবের একাউন্টে ৩০০ কোটি ডলার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে?বিষয়টি যেহেতু ফখরুল সাহেব উত্থাপন করেছেন তাঁকেই প্রমান করতে হবে সত্যাসত্য। জনমনের সন্দেহকে প্রশমিত করার জন্যই সরকার- ফখরুলকে আইনের আওতায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। নতুবা বাস্তবতায় সিনিয়র নেতাদের একাধিক বৈঠকে জয় হত্যার সিদ্ধান্তের যে কথাটি সফিক রেহমান জিজ্ঞাসা বাদে বলেছেন," ইহা কি তাঁরই অংশ হিসেবে ধরে নিতে বাধ্য হবে জনগন"?যদি অংশই হয়ে থাকে তবে মির্জা ফখরুলকে পুলিশ জিজ্ঞাসা বাদের জন্য এখনও তাঁদের হেফাজতে নিচ্ছেনা কেন?“তদন্ত সংস্থার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দেশবাসী জানতে পেরেছে সফিক রেহমানকে আইনের মধ্যে থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সেখানে তার ওপর কোন চাপ প্রয়োগ বা নিপীড়ন করা হয়নি।সফিক রেহমানের সহধর্মিনীর ভাষ্য থেকেও তেমনটি উঠে এসেছে। উনি স্বতঃস্ফূর্তভাবে যে তথ্যগুলো দিয়েছেন সেই তথ্যর ভেতরে তিনি সব কিছুই উল্লেখ করেছেন। পাশাপাশি জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের এবং অন্যান্য এফবি আইয়ের তদন্তের কিছু ডকুমেন্টস এবং মার্কিন সরকার কতৃক প্রেরীত বাংলাদেশ সরকারকে দেয়া ডকুমেন্টসের মধ্যে পরিষ্কার উল্লেখ আছে, সাজাপ্রাপ্ত ব্যাক্তিগন কি কারনে মার্কিন আদালতে সাজাপ্রাপ্ত হলেন, উনারা এখনও মার্কিনীদের জেলেই আছেন।যথাযথ প্রমানাদি সাপেক্ষে সফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ,সফিক রেহমান সাহেব ও কোন প্রকার চাপ প্রয়োগ ছাড়াই আদোপান্ত সকল ষড়যন্ত্রের বিষয় সমুহ অকপটে স্বীকার করে যাচ্ছে।এমন সব বিষয়ের অবতারনা সফিক রেহমান করে যাচ্ছেন," যে সমস্ত বিষয় সমুহ পুলিশের আদৌ জিজ্ঞাসার মধ্যেই নেই।"তাঁরপরেও নাজুক বিষয়টি নিয়ে কোন পক্ষ পানি ঘোলা করার চেষ্টা জাতির জন্য দু:খ্যজনক হবে বলে আমি মনে করি।বিএনপির উচ্চপয্যায়ের নেতৃবৃন্দের বোধদয় হওয়ার প্রয়োজন আছে যে, "জাতির জনকের দৌহিত্র একক কোন ব্যাক্তি নন, নতুন প্রজম্মের উন্নত,সমৃদ্ধ, তথ্য ও প্রযুক্তি নির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মানের আশা আখাংকার প্রতিভু। আগামীর বাংলাদেশের স্বপ্ন সাধনার প্রতিভু হিসেবে নীজেকে উপস্থাপন করতে পেরেছেন তিনি ইতিমধ্যে।" তাঁর বিরুদ্ধে হাওয়াই কোন অভিযোগ উত্থাপন করার অর্থই হচ্ছে নতুন প্রজম্মের আশা-আখাংখাকে বিভ্রান্ত করার চক্রান্ত যা জনগনের আস্থা ও বিশ্বাসের মুলে কুঠারাঘাত করার শামিল।বাংলাদেশে অতীতের ন্যায় হাওয়াই অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত করার দিন-মনে হয় শেষ হয়ে গেছে। নতুন প্রজম্মের হাতে হাতে এন্ড্রয়েড ফোন তুলে দিয়েছেন জয়, ইচ্ছে করলেই গুগুল চার্জ দিয়ে তৎক্ষনাত উত্থাপিত-যে কোন বিষয় সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান পেতে পারেন, যে কোন উৎসুক্য ব্যাক্তি।তাছাড়াও স্মরন রাখা প্রয়োজন জাতির জনকের পরিবার বাংলাদেশ,বাঙ্গালী জাতির জন্য বুকের রক্ত ঢেলে প্রমান করেছেন, তাঁদের পরিবারের চেয়ে অতীত বর্তমান, ভবিষ্যতেও কোন বাঙ্গালী পরিবার বা নেতা নেত্রী এত ত্যাগ স্বীকার করেনাই, করছে না,করবেও না। জাতির জনকের পরিবার বাঙলাদেশে রাজনীতি না করলেও বৃটেনের রাজপরিবারের ন্যায় সর্বচ্ছো রাষ্ট্রীয় সম্মানের অধিকারী হয়ে স্বচ্ছন্দে পারিবারিক জীবন অতিবাহিত করতে পারবে- বাংলাদেশ যতদিন পৃথিবীর মানচিত্রে "বাংলাদেশ" হিসেবে স্বীকৃত থাকবে। এই সত্যটুকু সবার মাঝে বিদ্যমান থাকা উচিৎ।নচেৎ বাঙ্গালী সর্বযুগের সেরা বেঈমান জাতি হিসেবে বিশ্ব দরবারে পরিচিত হতে থাকবে।বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগনের আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে উঠে আসা রাজনৈতিক দল। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এই দলের ষড়যন্ত্র করে বা সেনা বাহিনীকে উস্কানী দিয়ে ক্ষমতা দখল করার কোন ইতিহাস নেই। অন্য রাজনৈতিক দলের নেতা বা নেত্রীকে হত্যা করে রাজনীতির ভবিষ্যত নিষ্কটক করার উদাহরন- এই দলের মধ্যে কখনও ছিলনা, এখনওনেই। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিয়মাতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে অখন্ড পাকিস্তানের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে সর্বশেষ "মঈন ফখরুলের সেনা সমর্থিত" সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অবস্থান পয্যন্ত-কোথাও ষড়যন্ত্রের কোন ইঙ্গিত ছিল,তেমন ইতিহাস খুঁজে পাওয়া যায়না।বরঞ্চ ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে জাতির জনকের কন্যা ১১ মাস জেলে কাটিয়ে প্রমান করেছেন জনগনের ইচ্ছাই শেষ কথা, জনগনের ইচ্ছার বাহিরে আওয়ামী লীগ এবং তাঁর নেত্রী কোন ষড়যন্ত্রের জালে নীজেকে সম্পৃত্ত করে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করার চিন্তা আদৌ করেন নাই।দলটি ২০০১ ইং সালে খমতা ত্যাগের পর যে নির্যাতনের স্বীকার হয়েছিল-সেই নির্যাতনের বদলাও ২০০৮ ইং সালে বিপুল জনসমর্থনে খমতায় এসে নেয়ার চেষ্টা করেনি, নেয়নি।এক বিরল উদাহরনের সৃষ্ট্রি করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।বিএনপি নেত্রী তাঁর বিগত সম্মেলনে প্রকাশ্য বলেছেন ক্ষমতায় থাকলে "বেহেস্তের স্বাধ নেয়া আর ক্ষমতার বাহিরে গেলে নরকের আগুনে জ্বলা"। বাংলাদেশের রাজনীতির সংস্কৃতিতে রুপান্তরীত হয়েছিল,"যার কারনে তিনি নিজেই ২০০৬ইং সালে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার আপ্রান চেষ্টা করে "মঈন ফকরুলের" ক্ষমতা দখলের পথ সৃষ্ট্রি করেছিলেন।এতটুকু বোধদয়ের পরেও দলটি অতীতের হত্যা, ষড়যন্ত্রের রাজনীতির ইতিহাসের সহিত সামঞ্জস্য রেখে বর্তমানেও একই ধারাবাহিকতা রক্ষা করে চলেছে। মার্কিন আদালতে প্রমানীত হত্যা চক্রান্ত, বর্তমান বিএনপি দলের অবস্থান --চলমান গনতান্ত্রিক ধারাবাহিকতাকে ক্ষতিগ্রস্থ্য করবে।চলমান ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত -নি:সন্দেহে দলটির পতনকেই ত্বরান্বিত করবে। হত্যার রাজনীতিতে সম্পৃত্ত হওয়া বিএনপির মত বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের, বাংলাদেশের ভবিষ্যত রাজনীতির জন্য নিশ্চিত একটি অশনিসংকেত।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মত দেশের আদালতে প্রমানীত সত্যকে বিভিন্ন বিতর্ক উত্থাপনের মাধ্যমে পাস কাটানো চেষ্টা আদৌ সংগত হতে পারেনা।বিএনপির উচিৎ ছিল সরকারকে সহযোগিতা করা- -যাতে এই হীন চক্রান্তে জড়িত ব্যাক্তিদের চিহ্নিত করা যায়। ষড়যন্ত্রকারীদের আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করা যায়।ইহা আগামীর বাংলাদেশের গনতন্ত্র, সুশাষন, উন্নয়ন, অগ্রগতির ধারাকে নিরবচ্ছিন্ন করার স্বার্থেই প্রয়োজন ছিল। জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা বঙ্গরত্ম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা