পরিকল্পনায় বিএনপির তরুন নেতারা জড়িত--হালকা করতে ইলিয়াস,তনু কে সামনে নিয়ে আসতে চায়। ------+------------++----------------+-+------ আসুন বন্ধুরা গত দুই দিনে তিব্র আন্দোলন গড়ে বর্তমান সরকারের পতন ঘটিয়ে রেহমান শফিকের মুক্তি ও গনতন্ত্র পুনরদ্ধারকারীদের অবস্থান কার কোথায় গিয়ে থমকে আছে, একটু দেখে আসি। বাংলাদেশের রাজনীতিতে দুইটা নাম অবশ্যই আমাদের সবার জানা আছে।মশিউর রহমান (যাদু) মিয়া।সাথে আরও একটা নাম যোগ হয়েছিল শাহ আজিজুর রহমান। দুই জনের প্রথম জন ছিলেন অখন্ড পাকিস্তানের পোঁড় খাওয়া বিপ্লবের কর্ণধার,অন্যজন ইসলাম মুখী রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন, অর্থাৎ মুসলিম লীগ।মেজর জিয়া ক্ষমতার দৃশ্যপটে এলে প্রথম ব্যাক্তি বিপ্লবের তকমা ছেড়ে জিয়া মন্ত্রী সভার 'সিনিয়র মন্ত্রীর' শফথ নেয় খুনী অবৈধ সরকারে,দ্বিতীয়জন সাক্ষাৎ রাজাকারের পোষাক ছেড়ে মুক্তিযুদ্ধা জিয়া সরকারের প্রধান মন্ত্রীর শফথ নেন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে সেই ধারা বাহিকতার ব্যত্যায় ঘটেনি।গতকাল ১৮/৪০০১৬ ইং দুই অতি বিপ্লবী কমিনিষ্ট নাস্তিক যোগদান করেছেন ইসলামের ধারক বাহক- জামায়াতে ইসলামের সঙ্গীয় জোট বিএনপি এবং তাঁর নেত্রী খালেদার হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে। সেই অনুষ্ঠানেই খালেদা জিয়া প্রকাশ্য আহব্বান জানালেন 'ডান-বাম' ভুলে একই ছাতার নিছে আসার জন্য সবাইকে। আশা করা যায় তাঁর এই আহব্বানে তথাকথিত ইসলামের ধারক বাহকদের চোখে-সদ্য কমিউনিষ্ট বিপ্লবের মহানায়ক, নাস্তিকদের শীরোমনি, সমকামীদের প্রানপুরুষ জনাব ইমরান এইছ সরকার সাড়া দিবেন। নাস্তিক অপবাদ নিয়ে চলাফেরা করা মহা সংকট থেকে রক্ষা পেতে বিএনপি নেত্রীর আব্বানে সাড়া দিবেন-এমনটি আশা করে দেশবাসিও। ডানপন্থি-বামপন্থি ভুলে সবাইকে ‘গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার’ আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সদ্য আটক মহামানব সম্পর্কে একটি শব্দও উচ্চারন করেননি। দেশের আলোড়িত ঘটনা, যে ঘটনার জন্য তার আগের দিন অর্থাৎ ১৭/০৪ তারিখে তিব্র আন্দোলন গড়ে তোলার শফথ নিয়েছিলেন। যোগদানের এতবড় মহতি অনুষ্ঠানে সেই কথাটি একবারের জন্যও বলেননি বেগম খালেদা জিয়া। বলা যায়বেমালুম ভুলেই গেছেন তিনি বলতে। বহুগুনে গুনাম্বীত- সর্বদা হাস্যোজ্জল রংবেরং এর চশমা পরিহিত , ৮২ বছর বয়সেও বাবরি চুলের বাহারি ফ্যাশন, রঙিন-ক্ষেত্র বিশেষ বহু রঙের হাফ সার্ট ব্যবহাররে অভ্যস্ত, বেলব্যাট/জোকার টাইপ প্যান্ট পরিধানে তরুন যুবক যুবতিদের উৎসাহ দাতা, অনুকরন যোগ্য মহামানব--যার চোখে মুখে সর্বদাই প্রস্ফুটিত লেডিকিলারের অবয়ব, মুক্তিযুদ্ধের পর নতুন বাংলাদেশের পর্ণো-পত্রিকা প্রকাশের পুরোধা---জনাব রেহমান শফিক সাহেবের মুক্তির আন্দোলনের কথাই বলছি।মাত্র ১২ ঘন্টা ব্যবধানে ভুলে গেলেন আগুনের নেত্রী খালেদা তাঁর প্রীয় মানুষটি পুলিশ রিমান্ডে ডিম থেরাপিতে কি অবর্ননীয় দু:খ্য কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। বিএনপির নিখোঁজ সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী সরকারের হাতেই আছেন বলে দাবি করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।গতকাল সোমবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন। ইলিয়াস আলী নিখোঁজের এত বছর পরেও তিনি সরকারের কাছে আছে দাবী করতে ভুলেননি, কিন্তু তাঁর দুই দিন আগে রেহমান শফিক আটক হয়েছেন তা বেমালুম ভুলে গেছেন।যদিও তীব্র আন্দোলন করে কারামুক্তি ঘটাবেন বিএনপির মুখপাত্র হিসেবে তাঁর আগের দিনই কড়া বিবৃতি দিয়েছিলেন। বিএনপির এ নেতা অারও বলেন, 'ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হওয়ার পর সারাদেশে আন্দোলন শুরু হয়। কিন্তু সেসময় আমাকে গ্রেফতার করা হলে কিছুদিন পর আন্দোলন থেমে যায়। আমাকে গ্রেফতার করার কিছুদিন পর কেন আন্দোলন থেমে যায়? আরও কিছুদিন আন্দোলন অব্যাহত থাকলে আমরা ইলিয়াস আলীকে ফিরে পেতে পারতাম।' একই সুরে কথা বলেন বিএনপির আরেক নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ও। লক্ষনীয় বিষয়টি হচ্ছে, সদ্য আটক রেহমান শফিকের মুক্তির কথা একবারও উচ্চারন না করে ইলিয়াস আলীকে আবার সামনে নিয়ে এলেন কেন? ইলিয়াস আলীর সহধর্মীনির অবয়বে এত সতেজতা কেন?ইলিয়াস আলী যদি ঘুমই হয়ে থাকেন কেন্দ্রীয় বিএনপিতে তাঁকে পুনরায় অন্তভুক্তি কেন?তবে কি তাঁকেও সরকার ভারতের কোন জঙ্গলে সহসাই ফেলে দিয়ে আসার কোন সম্ভাবনার ইঙ্গিত পেয়েছেন বিএনপির নেতারা।নাকি শফিক রেহমান সাহেবের কু-কীর্তি জনগনের দৃষ্টির আড়ালে নিতে ইলিয়াসকে সামনে আনা হল? এদিকে প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ চক্রান্তের মামলায় শফিক রেহমানকে শনিবার গ্রেপ্তারের সময় ঠাকুরগাঁওয়ে ছিলেন ফখরুল। সেখানেই তিনি নিন্দা জানিয়েছিলেন এবং কঠোর আন্দোলনের কর্মসুচি দিবেন ঢাকায় ফিরে বলেছিলেন। ঢাকায় ফিরে রোববার দলের নেতাদের নিয়ে ইস্কাটন গার্ডেন রোডে শফিক রেহমানের বাড়িতে যান বিএনপির মহাসচিব। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা সবসময় যেটা চাইব, ন্যায়বিচার ও ইনসাফ। জনাব শফিক রেহমান এদেশের একজন প্রতিথযশা, প্রবীণতম সাংবাদিক। তিনি শুধু বাংলাদেশ নয়, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একজন বড় মাপের সাংবাদিক। তিনি বিবিসিতে দীর্ঘকাল কাজ করেছেন। তিনি একজন লেখক, তার লেখা মানুষকে অনুপ্রাণিত করে।” জনাব ফখরুল ঠাঁকুর গাঁও থেকে আন্দোলনের হুমকি দিলেও ঢাকায় এসে ইনসাফ চাইলেন কেন? বড় সাংবাদিক, বড় রাজনীতিক হলে কি রাষ্ট্র ইনসাফ করতে হবে-সাধারন নাগরিক হলে কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে? সর্বশেষ খবর হচ্ছে বিএনপির তরুন প্রজর্ম্মের ১২থেকে ১৬ জন নেতা জয় হত্যায় জড়িত হয়ে যাচ্ছে।বিএনপির অন্দর মহলে পাসপোর্ট ভিসা নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়েছে।ভারতের বর্ডার নিয়ে খোঁজ খবর শুরু হয়েছে।সরকারের এই মহুর্তে বর্ডার সীল করা উচিৎ। তাঁরা পরিকল্পিত ভাবে ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে যে, সাগর-রুনি এবং তনু হত্যার বিচারে সরকার অনিহা দেখাচ্ছে কিন্তু জয়কে পরিকপ্লনা করেছে হত্যার এতেই এত তোড়জোড়ের প্রয়োজন কি?আহম্মকের দল নিশ্চিত ষড়যন্ত্রের সাথে অন্য হত্যার তুলনা করে জয়ের হত্যা পরিকল্পনাকে খাটো করতে চায়।এই সামান্য রাজনৈতিক বিষয়টি বুঝতে তাঁদের সমস্যা হচ্ছে জয়ের মৃত্যুর সাথে আগামীর বাংলাদেশের স্বার্থ্য জড়িত।জাতির জনকের কন্যাকে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করতে দুইবারের মানব ঢালে কমপক্ষে ৭০/৭৫ জন নেতাকর্মী বুকের তাজারক্ত ঢেলে দিয়েছিল।নীজের জীবন বিপন্ন করে জাতির জনকের কন্যার প্রান রক্ষা করার কারনে আজকে জাতি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ পাচ্ছে।দেশে বিদেশে মাথা উঁচু করে বলতে পারছে আমি বাংলাদেশের গর্বিত নাগরীক বাঙ্গালী। জাতির জনকের গর্বিত পুত্র সজিবের জীবন রক্ষা করে জাতি পাবে আত্ম নির্ভরশীল তথ্য ও প্রযুক্তি সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ। বাঙ্গালী নীজেদের স্বার্থের কারনেই জয়কে হত্যা পরিকল্পনায় জড়িত ব্যাক্তিদের ছাড় দিতে রাজী নয়।১৬কোটি মানুষের মধ্যে কাউকে হত্যা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে খুনীরা রক্তের নেশা নিবারন না করে জয়কে হত্যা করার পরিকল্পনা যে কারনেই করেছে--তাঁর বিপরীত কর্মের জন্য বাঙ্গালী জয়কে বাঁচিয়ে রাখতে চায়। আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে চেষ্টা করে যাবে জাতির জনকের প্রতিটি সদস্যের জীবন রক্ষা করতে। জাতির জনকের পরিবার এই দেশকে ভালবেসে,বাঙ্গালী জাতিকে ভাল বেসে স্বপরিবারে আত্মাহুতি দিয়ে প্রমান রেখে গেছেন- তাঁদের চেয়ে বাঙ্গালী জাতিকে আর কোন নেতা ভালবাসতেন না। -আগামী যুগ-যুগান্তরেও এমন ভালবাসার নেতা জাতির ভাগ্যে উদয় হবেনা, এত ভালবাসা উজাড় করে দিয়ে ভালবাসবেন না। তাই বাঙ্গালী জাতি-জাতির জনকের পরিবারের সাথে কাউকে তুলনা করে বক্তব্য দেয়াকে কোন অবস্থায় মেনে নিতে রাজি নয়,মেনে নিবেনা। যারাই তুলনা করার চেষ্টা করবে তাঁদেরকেই ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত করবে বাঙ্গালী জাতি। জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা বঙ্গরত্ম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা