জাতির জনকের আদর্শ, বর্তমান সরকার-----আওয়মীগের তৃনমুলে আদর্শচ্যুতি----- _________________________ *"রাজনীতি ও সাংবাদিকতায় হাইব্রিডের আধিক্যে যোগ্যরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন সেতু ও সড়ক যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। একই সঙ্গে সাংবাদিকতা ও রাজনীতিতে মান কমে যাচ্ছে বলেও মনে করছেন তিনি।" দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পর সামন্তপ্রথা উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়েছে।কিন্তু তাঁর অবশিষ্টাংশ এখনও সমাজ দেহের রন্ধে রন্ধে রয়ে গেছে।সামন্ত প্রথা উচ্ছেদের পর গনতন্ত্র আসি আসি বলে আজও পথিমধ্যেই আটকে আছে।আটকে আছে বললে ভুল হবে আটকিয়ে রেখেছে সামন্ততন্ত্রের বীজে লালিত অতিবিপ্লবী মানষিকতা সম্পন্ন রাজনীতিবীদেরা। দেশীয় আবহাওয়ায় গনতন্ত্রের সংজ্ঞা নির্ধারন না করে তাঁরা আমদানী করেছেন পশ্চিমের আবহাওয়ায় পুষ্ট গনতন্ত্রকে।যার ফলে পশ্চিমা গনতন্ত্র বাংলাদেশ তথা ভারতীয় উপমহাদেশের আবহাওয়ার হৃষ্টতা না পেয়ে দৈন্যতায় রুপান্তরীত হয়ে পেশীশক্তিকে উৎসাহীত করছে। দেশীয় উর্বর গনতন্ত্রের চর্চা না করে পাশ্চাত্য গনতন্ত্র চর্চা করতে গিয়ে সামন্তবাদের গরিমায় অন্ধ মানুষদের রোষানলে পড়ে গনতন্ত্র সঠিক ভাবে বিকশিত না হয়ে প্রত্যহ মৃত্যুর মিছিলকে বড় করে তুলছে। "একনেতা একদেশ" শ্লোগানের প্রবক্তা ছিল তথাকথিত হাইব্রিড আওয়ামী লীগারেরা।যে শ্লোগানের ভীতি জাতির জনককে বাঙ্গালী অকালে হারিয়েছিল। বাকশাল একদলীয় শাষন ছিল বটে একব্যাক্তির শাষন ছিলনা।একদলীয় শাষনটিও ছিল জাতীয় দলের আদলে। হাইব্রিড আওয়ামী লীগারেরাই সেদিন "একনেতা একদেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ " শ্লোগানে জাতীয় দলের শাষন ব্যবস্থা কে একদলীয় শাষনের বৃত্তে বেঁধে জনগনের মাঝে বঙ্গবন্ধুর উদার রাজনৈতিক ধ্যানধারনাকে সংকির্নতার গন্ডিতে আবদ্ধ করেছিল। এই প্রসঙ্গে আমি দেশের রাজনীতি বিশ্লেষকদের নিকট জানতে চাই," সমবায় সমিতির নির্বাচন কি একনেতার আজীবন ক্ষমতায় থাকার জন্য অনুষ্ঠিত হয় নাকি সমিতিভুক্ত যে কোন সদস্যই নেতা পদের জন্য নির্বচনে অংশ গ্রহন করতে পারে?"আরো সহজে যদি বলি,"খোলাফায়ে রাশেদীনের"সময় মসজিদে বসে "মজলিশে সুরা" কমিটির মাধ্যমে যে পদ্ধতি অনুসরন করে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা হয়েছে,"উহাতে কি গনতন্ত্রের অভাব ছিল?" নাকি একজনই বার বার নির্বাচিত হয়েছেন"? জাতির জনকের নির্বাচন পদ্ধতি এই দুইয়ের বাইরে অন্য কোন পন্থায় ছিল--?যদি না থাকে তাহলে "একনেতা একদেশ,বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ"শ্লোগান কেন দেয়া হয়েছিল?জাতির জনককে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত করতে? আজকেও দেখি আওয়ামী লীগের মধ্যে তৎদ্রুপ শ্রেনীর জম্ম হয়েছে। রাষ্ট্র ধর্ম "ইসলাম"এর বিরুদ্ধে আনীত রীট আদালত বাদিদের এই রুপ রিট করার কোন অধিকার নাই মর্মে খারিজ করেছেন।অনেক আওয়ামী লীগ শুকর গুজার করে "আলহামদুলিল্লাহ" উচ্ছারন করে নীজের দিলকে শীতল করেছেন- সাথে বন্ধুদেরকেও শীতলতার পরশ দিতে ভুল করেননি। এই পরশ তিনি কি মুজিব আদর্শের সৈনীক হয়ে বুঝে শুনে দিলেন নাকি আওয়ামী লীগ করি ভাল লাগে তাই, দর্শন জানার প্রয়োজন কি- এই বোধ থেকে দিলেন? আমি আপনাদেরকে আজ একটি বিতর্কিত কথা জেনে শুনেই বলতে চাই, পারলে কোন বন্ধু আমাকে সহজ ভাবে বলে বুঝিয়ে দিবেন,"পবিত্র কোরানে বহু জায়গায় আল্লাহপাক বলেছেন,"জ্বীন এবং এনসান"এর বিচার হবে কিয়ামতের ময়দানে"।কোরানের কোন জায়গায় বলেছেন জ্বীন এবং মসুলমান ধর্মের অনুসারীদের বিচার হবে?"এনসান বলতে মানব জাতি কে বুঝায় নাকি শুধু ইসলাম ধর্মালম্বিদের বুঝায়? ইহজগতে বিচারের পর আদালত শাস্তি নিশ্চিত করেন কার কি শাস্তি আইনানুযায়ী প্রাপ্য।কিয়ামতের ময়দানে আল্লাহ মানব জাতি এবং জ্বিনের বিচার করবেন বলেছেন,"সেই বিচার অনুষ্ঠিত হবে দুনিয়ায় কৃত অপরাধের,নিশ্চয়ই ধর্মের বিচার হবেনা। ইসলাম যেহেতু আল্লাহ প্রেরীত মানুষকে সৎ পথে থাকার নির্দেশনামুলক ধর্ম সেহেতু ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা শাস্তি ভোগের পরে হলেও বেহেস্তে যাবেন, এই বাড়তি সুবিধা তাঁদের রয়েছে। অন্য কোন ধর্মের মানুষ এই সুবিধা পাবেনা। আমি আমার প্রত্যেক লিখার একটি পয্যায়ে হলেও চ্যালেঞ্জ করে বলতে চেয়েছি,"জাতির জনকের সাড়ে তিনবছরের ধর্মনিরপেক্ষতার শাষনে ইসলামের প্রচার প্রসারে সে সমস্ত মৌলিক কাজ গুলী হয়েছিল তাঁর মৃত্যুর পর আমাদের যে কয়জন শাষক- শাষন করেছেন, সবাই ইসলামের জন্য জীবনবাজি রাখা শাষক,। গত ৪০বছরে তুলনামুলক তাঁর সিকিভাগ কাজ সবাই মিলে কি করেছে? যদি না করে থাকে, আপনার মনে হয়-তাহলে ধর্মের শাষন কেন চাইতেছেন? তাহলে এই ধর্মের শাষন আমাদের কি প্রয়োজন,"যে ধর্মের শাষন আমার "লালিত বিশ্বাস ইসলাম ধর্মের" কোন কাজ করেনা?তার চাইতে কি নিরপেক্ষতার নীতি অধিক শ্রেয় নয়?" *"ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা পুরো জাতির ‘অস্তিত্বের’ বিষয় মন্তব্য করে তাদের রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।" “এটি শুধু ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অস্তিত্বের বিষয় না, এটা সমগ্র জাতির এবং আমাদের অস্তিত্বের বিষয়। আসুন ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অস্তিত্ব রক্ষায় রুখে দাঁড়াই। কারণ তাদের অস্তিত্ব বিপন্ন করে আমি নিরাপদ থাকব- এটা হতে পারে না।”* ষ্টার চিহৃত উপরের অংশটুকু বিশেষভাবে হৃদয়নগ্গম করুন বন্ধুরা,তারপর আওয়ামী লীগ করেন।এত বেশী ধর্মানুরাগী যদি হয়ে থাকেন তবে দেশরত্মের খোলাফায়ে রাশেদীনের শাষনের প্রতি আপনার সমর্থন পাওয়া যায়নি কেন।বর্তমানের আলেম সমাজ কি তাঁদের চেয়েও বড় কিছু? বিশদভাবে কিছু বলতে চাইনা, "দেশ একটা বড় রকমের পরিবর্তনের দিকে দাবিত।আজকের জরিফেও এসেছে,"এই সরকার দেশকে সঠিক ভাবে এগিয়ে নিচ্ছে শতকরা তিয়াত্তরজন মানুষ মনে করে।তার পরেও আওয়ামী লীগ তাঁর লালিত আদর্শ থেকে বিচ্যুত হবে? '৯১-'৯৬-২০০১--২০০৮ইং সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রতি এত সংখ্যক মানুষের "মৌন সমর্থন" ছিল? তখন যদি আদর্শ বিচ্যুত হওয়ার প্রয়োজন অনুভব করে না থাকে দল, এখন করার প্রয়োজন হয়েছে কিভাবে মনে করতে পারলেন প্রিয় মুজিব আদর্শের বন্ধুরা?? শীর্ষের ষ্টার চিহ্নিত প্যারা এবং মাঝে আশরাফুল ইসলাম সাহেবের মন্তব্য হৃদয় দিয়ে অনুভব করুন,"দলকে যদি ভালবাসেন কোড করে রাখুন,নীজের অন্তরের সাথে মিলিয়ে দেখুন বর্তমানে আওয়ামী লীগ কি সমস্যায় আছে। বিরুদীরা আওয়ামী লীগের কোন ক্ষতি করতে পারবেনা। ক্ষতি করতে পারবে ঘরের শত্রুরা। যারা না বুঝেই অতিরঞ্জিত করে-দলের বক্তব্যকে বিকৃত করে প্রচার করে।তাঁরা দলে জায়গা করে নিয়েছে শুধু আখের গোছানোর জন্য, আদর্শকে অনুভব করার, ধারন করার প্রয়োজন তাঁদের নেই। ______________________ জয়বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা