আস্তিক-নাস্তিক,অতিডান-অতিবাম অবস্থান ভিন্ন---উদ্দেশ্য অভিন্ন------ কাফনের কাপড়, আতর,গোলাপজল পাঠিয়ে টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। বুধবার বিকেলে প্রতিমন্ত্রীর গুলশানের বাসভবনে র্যাপিং পেপার দিয়ে মোড়ানো একটি বক্সের মধ্যে এসব পাঠানো হয়। ওই বক্সে হাতে লেখা একটি কাগজও ছিল। সেখানে লেখা রয়েছে, ‘এবার তোমার পালা, মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাক’। ওই বক্সের ওপর প্রেরকের জায়গায় লেখা রয়েছে, মেয়র, নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন। আশ্চায্য হওয়ার কিছুই নেই।এর আগে অনুমান করা গিয়েছিল যখন সীম নিবন্ধনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি নীতি সরকার গ্রহন করে- তখন তীব্র প্রতিবাদ করা হয় একশ্রেনীর সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে।সরকার তাঁর নীতিতে যখন অটল রইল- তখন বিতর্ক উত্থাপন করা হল হাতের চাপ অন্য কোন কাজে ব্যবহার হতে পারে। সরকারের পক্ষ থেকে যখন বলা হল তেমন কোন সম্ভাবনা নেই --তখনি আদালতে এই পদ্ধতি বাতিলের জন্য রীট পিটিশন করা হল। আদালতের রায়ে যখন বলা হল-পদ্ধতি ঠিক আছে- তখনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীকে হত্যা করার হুমকি দেয়া হল। উল্লেখীত ধারাবাহিকতায় যারাই জড়িত হয়েছেন তাঁদেরকেই বলা হয় অশুভ শক্তি। কেন মাননীয় মন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেয়ার প্রয়োজন হল--? এই হুমকির পেছনে বহুবিধ কারন বিদ্যমান।তম্মধ্যে অন্যতম কারন হতে পারে অশুভ শক্তির যোগাযোগে কিছুটা বিঘ্নতা।একাধিক মোবাইল সীম দখলে রেখে দেশব্যাপি অরাজগতা, নাশকতা, বোমাবাজি, জঙ্গী কর্মকান্ড পরিচালনা করে সীম ধ্বংশ করে গাঢাকা দেয়া, সীম ট্রেকিং ফাঁকি দেয়ার কৌশলে বিঘ্নতা সৃষ্টি হওয়া। প্রতিনিয়ত ব্লগিং সাইট পরিবর্তন করে অপপ্রচারে বিঘ্নতা।নাম, ঠিকানা গোপন রেখে বিভিন্ন সাইট খুলে আন্ডার গ্রাউন্ডে জঙ্গি সংগঠন গড়ে তোলার কাজে কিছুটা বাধার সৃষ্টি হতে পারে। বিজ্ঞান মানব সৃষ্ট একটা উন্নত, সভ্য, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ার উপায়।প্রযুক্তি বিজ্ঞানেরই ধারাবাহিক আবিস্কার। 'সৃষ্টি কর্তা প্রেরীত কোন বানী নয়'। যেহেতু মানব সৃষ্ট সেহেতু এই আবিষ্কৃত প্রযুক্তির মধ্যে প্রত্যহ নতুন নতুন সমস্যার উদ্ভব হবে। সমস্যা সমাধানে নতুন প্রযুক্তিও আবিস্কৃত হতে থাকবে। নতুন আবিস্কৃত প্রযুক্তিকে ফাঁকি দিয়ে- যে কয়দিন অপরাধ চালিয়ে যাওয়া যায়--সেই কয়দিনই তাঁদের লাভ। এই প্রক্রিয়াকে বিলম্ভিত করার লক্ষে উল্লেখীত কর্মকান্ড গুলী চালানো হয়েছে।উল্লেখীত কর্মের ব্যাক্তিবর্গ একই সুত্রে গাঁথা। অতীতের বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহ লক্ষ করলে দেখা যায়-- আপাত:দৃষ্টে যদিও দেখা যায় অতিডান-অতিবামের মধ্যে সাঁপে নেউলে সম্পর্ক বিদ্যমান -কায্যক্ষেত্রে তাঁদের কর্মকান্ড এক ও অভিন্ন। মুক্তিযুদ্ধকে অতিবামেরা "দুই কুকুরের লড়াই"বলে অভিহিত করেছিল -পক্ষান্তরে অতিডানেরা মুক্তিযুদ্ধাদের শুধু বিরুধীতাই করেনি, অস্ত্রহাতে মুক্তিযুদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াইতে নেমেছিল। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তিতে দেশব্যাপি নাশকতা, হত্যা, লুটপাট, ডাকাতি, শ্রেনীশত্রু খতমের নামে আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রী হত্যা, ঘুম ইত্যাদি সমভাবে ভাগ বাটোয়ারা করেই করেছিল।জাতির জনকের হত্যাকান্ডে উভয় শ্রেনী এক ও অভিন্ন ভাবেই অংশ নিয়েছিল।তাঁদের বিদেশী প্রভুও ইহুদী রাষ্ট্র মাকিন যুক্তরাষ্ট্র।পরবর্তিতে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বিচ্যুত করতে দেশকে একজোটে সরকার গঠন, রাষ্ট্র শক্তি ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠিত হতে একে অপরের পরিপুরক হয়ে অংশ নিয়েছিল। বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিলেও একই চিত্র লক্ষনীয়ভাবে সাধারন চোখেও অনুমান করতে অসুবিধা হয়না। একদিকে নাস্তিকদের ধর্ম,নবী করিম(স:), কোরান সম্পর্কে কটুক্তি--অন্যদিকে নাস্তিকের নামে সাহিত্যিক, সাংবাদিক, লেখক, রাজনীতিবীদ, বুদ্ধিজীবি হত্যা। সাম্রাজ্যবাদ কতৃক ধর্মাশ্রয়ী, জঙ্গি, অতিডানমনা দলকে অর্থ, প্রশ্রয়, আশ্রয়দান, মুক্তিযুদ্ধে মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচারের বিরুধীতা---অন্যদিকে নাস্তিকদের অভিবাসন দেয়ার প্রকাশ্য ঘোষনা। এই যেন "বড় বটবৃক্ষের" দুই দিকের প্রকান্ড 'দুইডাল'-- গোড়া কিন্তু একই স্থানে মাটির গভীরে শক্তভাবে প্রোথিত। আরও একটি বিষয় লক্ষনীয়ভাবে দেখা যায়, হত্যাকান্ড ঘটিয়ে আই,এসের নামে বিবৃতি প্রদান করা হচ্ছে বাংলাদেশেরই মিরপুর,গাজিপুর, বাড্ডা, খিলখেত ইত্যাদি আস্তানা হতে।একদিকে তাঁদের রক্ষক সামনের সারিতে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে বিএনপি-জামায়াত--লোকচক্ষুর অন্তরালে জামাত শিবিরের দুর্দশ্য ক্যাডার আই,এস নামে আত্মঘাতি বাহিনী। প্রকাশ্য শক্তি খালেদা জিয়া বিভিন্ন কৌশলে আন্দোলনের নামে বিশৃংখলা তৈরি করে বিচার কাজে বিঘ্নতার আপ্রান চেষ্টা, পারত পক্ষে মাঝে মধ্যে প্রকাশ্য বিবৃতিও দিচ্ছেন।এমনি এক বিবৃতির কথা মনে পড়ে -'মিরপুরে জঙ্গি আস্তানা আবিস্কারের পর-- ধরা পড়া জঙ্গিকে 'ভাল লোক ধরে ধরে 'সরকার জঙ্গি বানিয়ে' জেলে প্রেরন করার অভিযোগ এনে দেয়া বিবৃতিটি। তাঁদের এই জোটবদ্ধতা প্রকাশ্যরুপ ধারন করে যখন আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় খমতা পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয় অথবা সরকারে থেকে দেশের উন্নয়নে পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয় তখন।মুক্তিযুদ্ধে তাঁদের প্রকাশ্য মিত্র মুসলিম লীগ,যুদ্ধ পরবর্তি বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের প্রবক্তা "জাসদ" বর্তমানে বিএনপি।গোপনের শত্রুও ঠিক একই ধারাবাহিকতায় আগের তাঁরাই। আরো একটি বিষয় সকলের দৃষ্টি আকর্ষন করতে চাই।বিএনপি প্রতি বছর পহেলা বৈশাখ উৎযাপন করে প্রকাশ্য পল্টন অফিসের সামনে।কোন পুলিশি পাহারা না থাকলেও অনুষ্ঠান পন্ড করার কোন হুমকি কখনই দেখা দেয়নি।পক্ষান্তরে প্রগতিশীল ধারার শিল্পি,সাহিত্যিকদের পহেলা বৈশাখের মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে অতীত থেকে রমনার বটমূলে।রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জাল বিস্তার রেখেও কোন সময় নিরাপদ, নির্বিগ্নে, ভয়হীন অনুষ্ঠান পালন করা সম্ভব হয়নি। নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যেও বোমামেরে অজস্ত্র মানুষ হত্যা করার রেকর্ড় রয়েছে।নারী নির্য্যাতনের উদাহরন রয়েছে। পক্ষান্তরে একই অনুষ্ঠান বিএনপির অনুষ্ঠান স্থলে কোন দিন বোমাবাজী হয়েছে তাঁর প্রমান নেই।বিএনপি সরকারে থাকলে দেশব্যাপি অসামাজিক কর্মকান্ড বেড়ে গেলেও তথাকথিত ধর্মাশ্রয়ী দল এবং তাঁদের মিত্রদের তেমন আস্ফালন চোখে পড়েনা।নাস্তিকেরাও ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করেনা।পক্ষান্তরে আওয়ামী লীগ সরকারে এলে নাস্তিকেরা প্রকাশ্য ধর্মনিয়ে চেলেঞ্জ চুড়ে দেয়। এমনি এক অথর্ব নাস্তিকের মাননীয় প্রধান মন্ত্রীকে ধর্ম নিয়ে বিতর্কে অংশ নেয়ার প্রকাশ্য আহব্বান- আজই অন-লাইনে দেখা গেছে।বিএনপি নেত্রী ধর্মতো মানেনই না বরঞ্চ ধর্মবিদ্বেশী মহাসচিব দিলেও ধর্মাশ্রয়ী দল এবং তাঁদের মিত্রদের পক্ষ হতে কোন প্রতিবাদের লক্ষন দেখা যায়না।এতে কি প্রমানীত হয়না কে এই অশুভ শক্তির প্রশ্রয়দাতা,রক্ষক, পালনকর্তা? পরিশেষে বলতে চাই, ৭১-৭৫ যাহা করা সম্ভব হয়েছিল ২০১৫-১৬ তে তাহা করার চিন্তা একান্তই বোকার চিন্তাচেতনা। জাতির জনকের উদারমনের সুযোগে অরাজকতা সৃষ্টির সুযোগ গ্রহন করে --স্বপরিবারে হত্যা করা সম্ভব হয়েছিল। তাঁর কন্যাকেও সেই ভাবে চিন্তা করতে গেলে দলীয় অস্তিত্ব হারিয়ে জনরোষের কবলে পড়ে বাসা থেকে বের হওয়ার সুযোগও থাকবেনা। কিছুদিন আগে তাঁর উদাহরন বাংলাদেশের জনগন যথাযথ ভাবে দিয়ে সতর্ক করার পরেও খালেদা জিয়া-- সেই বৃত্ত পরিত্যাগ না করে এখনও সমভাবেই ষড়যন্ত্রের জাল পেতে যাচ্ছেন। ইহা সময়ে হীতে বিপরীত হবে তা অনুমান করার জন্য বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করিনা। সুস্থ্য ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসার একাধিক ঘোষনা দিয়েও খালেদা প্রতারনার আশ্রয় গ্রহন করে এখনও হত্যার রাজনীতিতে সম্পৃত্ত রয়েছেন -- তাঁর প্রমান তিনি তাঁর দলের সম্মেলনে সমাপনী বক্তব্যে "শেখ হাসিনা"বিহীন নির্বাচনের ঘোষনা থেকেই স্পষ্ট হওয়া যায়। শুধু তারানা হালিম নয়,জাতির জনক থেকে আরাম্ভ করে সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরীয়া পয্যন্ত হাজার হাজার নেতাকে হত্যা করেও বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি সর্বপরি প্রগতির চাকাকে থামানো যায়নি--তারানা হালিমকেও হত্যা করে জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় থেকে বঙ্গরত্ম শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে বিরত রাখা যাবেনা।আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রয়োজনে অতীতের মতই মানব ঢাল তৈয়ার করে বুকের তাজারক্ত ঢেলে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যা এবং তারানা হালিম সহ প্রগতির ধারার নেতৃবৃন্দকে রক্ষা করবে ইনশাল্লাহ।কোন ষড়যন্ত্রকেই বাংলার মাটিতে আর কোন দিন স্থান দিতে রাজী নয় বাংলার জনগন। বাংলার আবহাওয়ায় বেড়ে উঠে, বাংলায় মা ডেকে, বাংলার মাছ ভাত হজম করে বাংলার সংস্কৃতি কৃষ্টির বিরুধীতা যারা করে তাঁদের আবাস বাংলার মাটিতে হবেনা।জয় হবেই বাংলার জনগনের,নিপাত যাবে বিদেশী অপসংস্কৃতির ধারক বাহকদের। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধুজয়তু জাতির জনকের কন্যাবঙ্গরত্ম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা