আস্তিক-নাস্তিক,অতিডান-অতিবাম অবস্থান ভিন্ন---উদ্দেশ্য অভিন্ন------ কাফনের কাপড়, আতর,গোলাপজল পাঠিয়ে টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। বুধবার বিকেলে প্রতিমন্ত্রীর গুলশানের বাসভবনে র্যাপিং পেপার দিয়ে মোড়ানো একটি বক্সের মধ্যে এসব পাঠানো হয়। ওই বক্সে হাতে লেখা একটি কাগজও ছিল। সেখানে লেখা রয়েছে, ‘এবার তোমার পালা, মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাক’। ওই বক্সের ওপর প্রেরকের জায়গায় লেখা রয়েছে, মেয়র, নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন। আশ্চায্য হওয়ার কিছুই নেই।এর আগে অনুমান করা গিয়েছিল যখন সীম নিবন্ধনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি নীতি সরকার গ্রহন করে- তখন তীব্র প্রতিবাদ করা হয় একশ্রেনীর সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে।সরকার তাঁর নীতিতে যখন অটল রইল- তখন বিতর্ক উত্থাপন করা হল হাতের চাপ অন্য কোন কাজে ব্যবহার হতে পারে। সরকারের পক্ষ থেকে যখন বলা হল তেমন কোন সম্ভাবনা নেই --তখনি আদালতে এই পদ্ধতি বাতিলের জন্য রীট পিটিশন করা হল। আদালতের রায়ে যখন বলা হল-পদ্ধতি ঠিক আছে- তখনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীকে হত্যা করার হুমকি দেয়া হল। উল্লেখীত ধারাবাহিকতায় যারাই জড়িত হয়েছেন তাঁদেরকেই বলা হয় অশুভ শক্তি। কেন মাননীয় মন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেয়ার প্রয়োজন হল--? এই হুমকির পেছনে বহুবিধ কারন বিদ্যমান।তম্মধ্যে অন্যতম কারন হতে পারে অশুভ শক্তির যোগাযোগে কিছুটা বিঘ্নতা।একাধিক মোবাইল সীম দখলে রেখে দেশব্যাপি অরাজগতা, নাশকতা, বোমাবাজি, জঙ্গী কর্মকান্ড পরিচালনা করে সীম ধ্বংশ করে গাঢাকা দেয়া, সীম ট্রেকিং ফাঁকি দেয়ার কৌশলে বিঘ্নতা সৃষ্টি হওয়া। প্রতিনিয়ত ব্লগিং সাইট পরিবর্তন করে অপপ্রচারে বিঘ্নতা।নাম, ঠিকানা গোপন রেখে বিভিন্ন সাইট খুলে আন্ডার গ্রাউন্ডে জঙ্গি সংগঠন গড়ে তোলার কাজে কিছুটা বাধার সৃষ্টি হতে পারে। বিজ্ঞান মানব সৃষ্ট একটা উন্নত, সভ্য, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ার উপায়।প্রযুক্তি বিজ্ঞানেরই ধারাবাহিক আবিস্কার। 'সৃষ্টি কর্তা প্রেরীত কোন বানী নয়'। যেহেতু মানব সৃষ্ট সেহেতু এই আবিষ্কৃত প্রযুক্তির মধ্যে প্রত্যহ নতুন নতুন সমস্যার উদ্ভব হবে। সমস্যা সমাধানে নতুন প্রযুক্তিও আবিস্কৃত হতে থাকবে। নতুন আবিস্কৃত প্রযুক্তিকে ফাঁকি দিয়ে- যে কয়দিন অপরাধ চালিয়ে যাওয়া যায়--সেই কয়দিনই তাঁদের লাভ। এই প্রক্রিয়াকে বিলম্ভিত করার লক্ষে উল্লেখীত কর্মকান্ড গুলী চালানো হয়েছে।উল্লেখীত কর্মের ব্যাক্তিবর্গ একই সুত্রে গাঁথা। অতীতের বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহ লক্ষ করলে দেখা যায়-- আপাত:দৃষ্টে যদিও দেখা যায় অতিডান-অতিবামের মধ্যে সাঁপে নেউলে সম্পর্ক বিদ্যমান -কায্যক্ষেত্রে তাঁদের কর্মকান্ড এক ও অভিন্ন। মুক্তিযুদ্ধকে অতিবামেরা "দুই কুকুরের লড়াই"বলে অভিহিত করেছিল -পক্ষান্তরে অতিডানেরা মুক্তিযুদ্ধাদের শুধু বিরুধীতাই করেনি, অস্ত্রহাতে মুক্তিযুদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াইতে নেমেছিল। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তিতে দেশব্যাপি নাশকতা, হত্যা, লুটপাট, ডাকাতি, শ্রেনীশত্রু খতমের নামে আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রী হত্যা, ঘুম ইত্যাদি সমভাবে ভাগ বাটোয়ারা করেই করেছিল।জাতির জনকের হত্যাকান্ডে উভয় শ্রেনী এক ও অভিন্ন ভাবেই অংশ নিয়েছিল।তাঁদের বিদেশী প্রভুও ইহুদী রাষ্ট্র মাকিন যুক্তরাষ্ট্র।পরবর্তিতে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বিচ্যুত করতে দেশকে একজোটে সরকার গঠন, রাষ্ট্র শক্তি ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠিত হতে একে অপরের পরিপুরক হয়ে অংশ নিয়েছিল। বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিলেও একই চিত্র লক্ষনীয়ভাবে সাধারন চোখেও অনুমান করতে অসুবিধা হয়না। একদিকে নাস্তিকদের ধর্ম,নবী করিম(স:), কোরান সম্পর্কে কটুক্তি--অন্যদিকে নাস্তিকের নামে সাহিত্যিক, সাংবাদিক, লেখক, রাজনীতিবীদ, বুদ্ধিজীবি হত্যা। সাম্রাজ্যবাদ কতৃক ধর্মাশ্রয়ী, জঙ্গি, অতিডানমনা দলকে অর্থ, প্রশ্রয়, আশ্রয়দান, মুক্তিযুদ্ধে মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচারের বিরুধীতা---অন্যদিকে নাস্তিকদের অভিবাসন দেয়ার প্রকাশ্য ঘোষনা। এই যেন "বড় বটবৃক্ষের" দুই দিকের প্রকান্ড 'দুইডাল'-- গোড়া কিন্তু একই স্থানে মাটির গভীরে শক্তভাবে প্রোথিত। আরও একটি বিষয় লক্ষনীয়ভাবে দেখা যায়, হত্যাকান্ড ঘটিয়ে আই,এসের নামে বিবৃতি প্রদান করা হচ্ছে বাংলাদেশেরই মিরপুর,গাজিপুর, বাড্ডা, খিলখেত ইত্যাদি আস্তানা হতে।একদিকে তাঁদের রক্ষক সামনের সারিতে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে বিএনপি-জামায়াত--লোকচক্ষুর অন্তরালে জামাত শিবিরের দুর্দশ্য ক্যাডার আই,এস নামে আত্মঘাতি বাহিনী। প্রকাশ্য শক্তি খালেদা জিয়া বিভিন্ন কৌশলে আন্দোলনের নামে বিশৃংখলা তৈরি করে বিচার কাজে বিঘ্নতার আপ্রান চেষ্টা, পারত পক্ষে মাঝে মধ্যে প্রকাশ্য বিবৃতিও দিচ্ছেন।এমনি এক বিবৃতির কথা মনে পড়ে -'মিরপুরে জঙ্গি আস্তানা আবিস্কারের পর-- ধরা পড়া জঙ্গিকে 'ভাল লোক ধরে ধরে 'সরকার জঙ্গি বানিয়ে' জেলে প্রেরন করার অভিযোগ এনে দেয়া বিবৃতিটি। তাঁদের এই জোটবদ্ধতা প্রকাশ্যরুপ ধারন করে যখন আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় খমতা পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয় অথবা সরকারে থেকে দেশের উন্নয়নে পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয় তখন।মুক্তিযুদ্ধে তাঁদের প্রকাশ্য মিত্র মুসলিম লীগ,যুদ্ধ পরবর্তি বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের প্রবক্তা "জাসদ" বর্তমানে বিএনপি।গোপনের শত্রুও ঠিক একই ধারাবাহিকতায় আগের তাঁরাই। আরো একটি বিষয় সকলের দৃষ্টি আকর্ষন করতে চাই।বিএনপি প্রতি বছর পহেলা বৈশাখ উৎযাপন করে প্রকাশ্য পল্টন অফিসের সামনে।কোন পুলিশি পাহারা না থাকলেও অনুষ্ঠান পন্ড করার কোন হুমকি কখনই দেখা দেয়নি।পক্ষান্তরে প্রগতিশীল ধারার শিল্পি,সাহিত্যিকদের পহেলা বৈশাখের মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে অতীত থেকে রমনার বটমূলে।রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জাল বিস্তার রেখেও কোন সময় নিরাপদ, নির্বিগ্নে, ভয়হীন অনুষ্ঠান পালন করা সম্ভব হয়নি। নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যেও বোমামেরে অজস্ত্র মানুষ হত্যা করার রেকর্ড় রয়েছে।নারী নির্য্যাতনের উদাহরন রয়েছে। পক্ষান্তরে একই অনুষ্ঠান বিএনপির অনুষ্ঠান স্থলে কোন দিন বোমাবাজী হয়েছে তাঁর প্রমান নেই।বিএনপি সরকারে থাকলে দেশব্যাপি অসামাজিক কর্মকান্ড বেড়ে গেলেও তথাকথিত ধর্মাশ্রয়ী দল এবং তাঁদের মিত্রদের তেমন আস্ফালন চোখে পড়েনা।নাস্তিকেরাও ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করেনা।পক্ষান্তরে আওয়ামী লীগ সরকারে এলে নাস্তিকেরা প্রকাশ্য ধর্মনিয়ে চেলেঞ্জ চুড়ে দেয়। এমনি এক অথর্ব নাস্তিকের মাননীয় প্রধান মন্ত্রীকে ধর্ম নিয়ে বিতর্কে অংশ নেয়ার প্রকাশ্য আহব্বান- আজই অন-লাইনে দেখা গেছে।বিএনপি নেত্রী ধর্মতো মানেনই না বরঞ্চ ধর্মবিদ্বেশী মহাসচিব দিলেও ধর্মাশ্রয়ী দল এবং তাঁদের মিত্রদের পক্ষ হতে কোন প্রতিবাদের লক্ষন দেখা যায়না।এতে কি প্রমানীত হয়না কে এই অশুভ শক্তির প্রশ্রয়দাতা,রক্ষক, পালনকর্তা? পরিশেষে বলতে চাই, ৭১-৭৫ যাহা করা সম্ভব হয়েছিল ২০১৫-১৬ তে তাহা করার চিন্তা একান্তই বোকার চিন্তাচেতনা। জাতির জনকের উদারমনের সুযোগে অরাজকতা সৃষ্টির সুযোগ গ্রহন করে --স্বপরিবারে হত্যা করা সম্ভব হয়েছিল। তাঁর কন্যাকেও সেই ভাবে চিন্তা করতে গেলে দলীয় অস্তিত্ব হারিয়ে জনরোষের কবলে পড়ে বাসা থেকে বের হওয়ার সুযোগও থাকবেনা। কিছুদিন আগে তাঁর উদাহরন বাংলাদেশের জনগন যথাযথ ভাবে দিয়ে সতর্ক করার পরেও খালেদা জিয়া-- সেই বৃত্ত পরিত্যাগ না করে এখনও সমভাবেই ষড়যন্ত্রের জাল পেতে যাচ্ছেন। ইহা সময়ে হীতে বিপরীত হবে তা অনুমান করার জন্য বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করিনা। সুস্থ্য ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসার একাধিক ঘোষনা দিয়েও খালেদা প্রতারনার আশ্রয় গ্রহন করে এখনও হত্যার রাজনীতিতে সম্পৃত্ত রয়েছেন -- তাঁর প্রমান তিনি তাঁর দলের সম্মেলনে সমাপনী বক্তব্যে "শেখ হাসিনা"বিহীন নির্বাচনের ঘোষনা থেকেই স্পষ্ট হওয়া যায়। শুধু তারানা হালিম নয়,জাতির জনক থেকে আরাম্ভ করে সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরীয়া পয্যন্ত হাজার হাজার নেতাকে হত্যা করেও বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি সর্বপরি প্রগতির চাকাকে থামানো যায়নি--তারানা হালিমকেও হত্যা করে জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় থেকে বঙ্গরত্ম শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে বিরত রাখা যাবেনা।আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রয়োজনে অতীতের মতই মানব ঢাল তৈয়ার করে বুকের তাজারক্ত ঢেলে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যা এবং তারানা হালিম সহ প্রগতির ধারার নেতৃবৃন্দকে রক্ষা করবে ইনশাল্লাহ।কোন ষড়যন্ত্রকেই বাংলার মাটিতে আর কোন দিন স্থান দিতে রাজী নয় বাংলার জনগন। বাংলার আবহাওয়ায় বেড়ে উঠে, বাংলায় মা ডেকে, বাংলার মাছ ভাত হজম করে বাংলার সংস্কৃতি কৃষ্টির বিরুধীতা যারা করে তাঁদের আবাস বাংলার মাটিতে হবেনা।জয় হবেই বাংলার জনগনের,নিপাত যাবে বিদেশী অপসংস্কৃতির ধারক বাহকদের। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধুজয়তু জাতির জনকের কন্যাবঙ্গরত্ম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন