আমাদের বর্তমান তথ্য ও প্রযুক্তি শিক্ষা--গ্রামগঞ্জে প্রতিষ্ঠিত হাজারো মাদ্রাসার কর্মবিমুখ ধর্মীয়শিক্ষা --- ____________________________ পাকিস্তানের জামাতে ইসলামী এবং বাংলাদেশের জামাতে ইসলামী এবং অন্য ইসলামী দলগুলীর মধ্যে শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে স্ব-স্ব দলীয় নীতির ব্যাপক পার্থক্য বিদ্যমান।অন্যান্ন মুসলিম দেশ সমুহের মধ্যে শিক্ষা ব্যবস্থায় আরবী শিক্ষার জন্য বা আলেম হওয়ার জন্য আলাদা কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। সব প্রতিষ্ঠান গুলির নাম মাদ্রাসা হলেও বিজ্ঞানের প্রতিটি শাখা প্রশাখায় বিচরন আছে। সেখানে প্রচলিত সব বিষয় গুলী পাঠদান করা হয়। মাধ্যমিকের পর উচ্চশিক্ষায় ছাত্রদের পছন্দ অনুযায়ী বিষয় বাছাই করে উচ্চতর জ্ঞানার্জনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।পাকিস্তানের জামাতে ইসলামী ও তদ্রুপ শিক্ষা ব্যবস্থার পক্ষে। তাঁরা মনে করে আরবী এবং সাধারন শিক্ষার জন্য আলাদা আলাদা প্রতিষ্ঠান বাঞ্চনীয় নয়। পাকিস্তানের জামায়াতের আমীর কাজী হুসেইন আহমেদ শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে যা বলেন, সেটি আবার আমাদের দেশের জামায়াত বা ইসলামী দলগুলি বলে না। হুসেইন আহমেদের মতে, মাদ্রাসা এবং স্কুল বলতে আলাদা কিছু থাকা উচিত নয়। সব শিক্ষাই এক হওয়া উচিত। তিনি মনে করেন, স্কুল পর্যন্ত সবারই ভাষা, অঙ্ক, বিজ্ঞান, ভূগোল, ইতিহাস ইত্যাদি সব বিষয়ই পড়বে এবং স্কুলের পরে কেউ ইচ্ছে করলে ধর্মীয় বিষয় নিয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করবে। কাজী হুসেইন আহম্মদ সাহেব যদি স্কুলকে মাদ্রাসায় পরিণত না করে স্কুলের শিক্ষাকে সাধারণ শিক্ষা হিসেবে গ্রহণ করেন এবং মাদ্রাসাগুলোকে স্কুলে রুপান্তরের প্রস্তাব দিতেন তবে তার প্রস্তাব পাকিস্তানের জনসাধারন এবং সরকার সমর্থন করতেন আমার বিশ্বাস।তবে প্রস্তাবটি যেহেতু নাড়াচাড়া শুরু হয়েছে -এক সময় এদিক সেদিক একটা ভাল সিদ্ধান্ত আসবে আশা করা যায়। আমাদের দেশের ইসলামী দলগুলী যদি এইরুপ শিক্ষাব্যবস্থা প্রনয়নের দাবি জানাতেন তাহলে বিপুল সংখ্যক ছাত্র ছাত্রী দেশের বোঝা না হয়ে দেশের সম্পদে রপান্তরীত হতে পারত।এই ক্ষেত্রে বাংলা ইংরেজী যত নম্বরে পরিক্ষার ব্যবস্থা আছে তত নম্বরের আরবী পরিক্ষা প্রনয়ন করার দাবিও করতে পারেন। আবার আলাদা ভাবে বর্তমানের মক্তবের পরিধি আরও বিস্তৃত করে মক্তব শিক্ষাকে প্রত্যেক মুসলিম ছেলে মেয়ের জন্য বাধ্যতামুলক করার দাবিও গ্রহন যোগ্য হতে পারে। প্রত্যেক সমাজ কেন্দ্রিক মসজিদ প্রতিষ্ঠা করত: সেই মসজিদের আওতায় মক্তব চালু করার দায়িত্ব সরকারি ভাবে করার সিদ্ধান্ত থাকতে পারে।উক্ত মসজিদের দুই জন ইমাম একজন মোয়াজ্জেম সরকারি প্রাইমারী স্কুলের মতই সরকারি বেতন ভাতায় নিয়োগ দিয়ে মক্তব এবং মসজিদকে সরকারি করন করার দাবিও অযোক্তিক হবেনা। প্রত্যহ সকালে ছেলে মেয়েরা বর্তমানের নিয়ম অনুযায়ী মক্তবে আরবী শিক্ষার প্রাথমিক পাঠ গ্রহন করবে। নামাজ পড়ার নিয়ম কানুন মক্তবেই শিক্ষা গ্রহন করবে। প্রত্যহ এক অথবা দেড় ঘন্টা সকালে মক্তবে তালিম নিয়ে ৯/১০টায় বিদ্যালয়ে সাধারন শিক্ষা গ্রহন করবে। মাধ্যমিক পয্যন্ত সাধারন শিক্ষার পর উচ্চ শিক্ষা পছন্দ অনুযায়ী আরবী, বাংলা, ইংরেজী যাহাই পড়ুক না কেন ছাত্র/ছাত্রীদের স্বাধীন ভাবে বাছাই করার ব্যবস্থা রাখার দাবি ও আলেম সমাজের পক্ষ থেকে আসতে পারে। আমাদের দেশে দুই শ্রেনীর মাদ্রাসা শিক্ষা চালু আছে,একটি সরকার নিয়ন্ত্রীত আ'লীয়া মাদ্রাসা অন্যটি সচরাচর আলেম সমাজ ও জনগনের অর্থে পরিচালনা কমিটি কতৃক নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত। প্রথমোক্তটির ছাত্রছাত্রীরা সববিষয়ের উপর জ্ঞান অর্জন করার কারনে সরকারি বেসরকারি চাকুরিতে অংশ গ্রহন করার সুযোগ পেয়েছে।তাই তাঁদের পক্ষ থেকে সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা অনেকটা লাঘব হয়েছে বলে আমি মনে করি। শেষোক্ত শ্রেনীর মাদ্রাসার বেশির ভাগ আবার ব্যাক্তি বিশেষ পরিচালিত। এখানে সরকার, জনগন কারো কোন নিয়ন্ত্রন নেই।উভয় শ্রেনীর মাদ্রাসা সমুহে বাংলা, ইংরেজী, অংক, বিজ্ঞানের সামান্য ছোঁয়াও নেই।এই শ্রেনীর মাদ্রাসাগুলির বিস্তৃতি আরব রাষ্ট্র সমুহে নেই- ভারতীয় উপমহাদেশেও তেমন ছিলনা।গত ২৫/৩০ বছরের মধ্যে ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে শুধু বাংলাদেশে। এই সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে যে শিক্ষার্থীরা আরবী জ্ঞান অর্জন করে বের হয় পরবর্তিতে সে জ্ঞান ইহজগতে কাজে লাগানোর তেমন কোন ক্ষেত্র নেই। তাঁরা শুধুমাত্র ইমাম, মোয়াজ্জেম, তদ্রুপ মাদ্রাসায় শিক্ষকতা ছাড়া অন্য উপায় না থাকায় ব্যাক্তিগতভাবে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত করে-সেখানে নীজেরা নিয়ন্ত্রন করে।সেখানকার আয় দিয়ে --পরিবার পরিজন পরিচালনার ব্যবস্থা করেন। উদ্দেশ্য যতটানা ধর্মীয় শিক্ষার বিস্তৃতি--তাঁরচেয়ে ঢেরবেশী আর্থিক দুরাবস্থা নিরাময়। আরবের কোন দেশে এই শ্রেনীর প্রধান প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি হয়নি--হয়েছে ভারতের দেওবন্দে। দেওবন্দ মাদ্রাসার পাঠ্যসুচি অনুকরনে এই সমস্ত মাদ্রাসার শিক্ষাকায্যক্রম পরিচালিত হয়। স্থানীয়ভাবে গরিবের জন্য বরাদ্ধকৃত চাল গমের সাহায্য নিলেও শিক্ষার উন্নতি অগ্রগতির কোন সাহায্য মাদ্রাসা গুলি গ্রহন করেনা। তবে একাডেমিক ভবন নির্মানে অনেক ক্ষেত্রে সরকারি সাহায্য গ্রহন করতে দেখা যায়। বর্তমানের অবস্থা চলতে থাকলে আগামী দশ বছরের মধ্যে প্রত্যেক পরিবার পিছু একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হলেও আচার্য্য হওয়ার কিছুই থাকবেনা।এত বিপুল সংখ্যক আলেমের যেহেতু কোন কর্ম সংস্থান নেই তাঁরাতো আর বেকার থাকতে পারেনা। বর্তমানে তাঁদের মারমুখি অবস্থানের কারনটি কিন্তু সেখানেই নিহীত। প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসার মালিক বা ব্যবস্থাপক গন যতনা ধর্মীয় কারনে সরকারের উদ্যোগের বিরুধীতা করেন তার চেয়েবেশী তাঁদের সাময়িক আর্থিক ও পারিবারিক বিপয্যয়ের সম্মুখ্যিন হওয়ার সমুহ সম্ভাবনার চিন্তা। তাঁদের সাময়িক আর্থিক অনটনের চিন্তার কারনে ব্যাপক সংখ্যক তাঁদেরই ছাত্র-বেকারত্বের জীবন অতিবাহিত করে বিভিন্ন অসামাজিকতায় সম্পৃত্ত হতে পারে বা হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে-- তাও তাঁদের মরুব্বিদের চিন্তা চেতনায় আসছেনা। যেহারে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে সেহারে মাদ্রাসা গুলীর ছাত্র সংখ্যা বাড়বেনা। বাংলাদেশের সব শিশুরাও যদি মাদ্রাসা গুলিতে লেখাপড়া করে তারপরও একসময়ে ছাত্র সংকট দেখা দিতে বাধ্য। এই বিপুল সংখ্যক মানব সমাজকে একেবারে অকর্মন্য রেখে দেশ ও জনগনের বিপয্যয় ডেকে আনা ছাড়া আর কোন গত্যান্তর আছে বলে আমি মনে করিনা। এমনিতে বর্তমানে বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামে তিনের অধিক মাদ্রাসা স্থাপিত হয়ে আছে। যেখানে শতবছরের সরকারি ও বেসরকারি চেষ্টা, অক্লান্ত পরিশ্রমেও প্রতি গ্রামে একটি প্রাইমারি স্কুলের জনচাহিদা পুরন করা সম্ভব হয়নি-সেখানে ব্যাক্তি উদ্যোগে ২০/২৫ বছরের মধ্যে প্রতি গ্রামে তিনের অধিক মাদ্রাসা ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কারন চিন্তা করলেই ব্যপারটি সব মহলের নিকট আশা করি স্পষ্ট হবে। আমি জানি অনেকের ধারনা হবে বা হতে পারে আমি আরবী শিক্ষার বিরুধীতা করছি বা আমি নাস্তিক, অধার্মিক ইত্যাদি। পারলে জবাই করে দেয়ারও কেহ কেহ সিদ্ধান্ত নিয়ে নিতে পারেন। তারপরেও বলব বিষয়টি গভীর ভাবে চিন্তা করে দেখার জন্য-সব মহলকে। সরকার হয়ত এই সমস্ত ধর্মীয় ব্যপারে সিদ্ধান্ত নিতে গেলে গদি হারানোর সমুহ সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। সরকার আলোচনা করতে চাইলেও প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসার কর্নধারদের তোপের মুখে পড়বে এবং ধর্ম বিরুধী সরকারের তকমা নিয়ে ক্ষমতাও ছাড়তে হবে।ঐ সমস্ত মাদ্রাসার ছাত্রদের বিষয়টি নিয়ে গভীর ভাবে চিন্তা করার দরকার আছে বলে আমি মনে করি। এখন হয়তোবা সংখ্যার আধিক্য ঘটে নাই বিধায় পরিবার পরিজন প্রতিপালন করা সহজ হচ্ছে, জনগনও সম্মান শ্রদ্ধা করছে। অদুর ভবিষ্যতে ঘরে ঘরে মাদ্রাসা এবং আলেম সৃষ্টি হয়ে গেলে কে কাকে পড়াবে আর সম্মান বা শ্রদ্ধাও করবে। লক্ষনীয় বিষয়টি হচ্ছে আমাদের দেশের খান্দানী খোন্দকার পরিবার গুলী ইতিমধ্যে উল্লেখিত শ্রেনীর আলেম উলামাদের আধিক্যে পেশার লাভ হারিয়ে ছেড়ে অন্য পেশায় নিযুক্ত হয়ে গেছেন।একটি পরিবার ও অবশিষ্ট নেই বাপ-দাদার খোন্দকারি পেশায় জড়িত আছেন। সরকার আমাদের সমুহ বিপদগ্রস্ত আলেম সমাজের প্রতি দৃষ্টি দিবেনা বা দিলেও ফললাভ করতে পারবেনা।এই বিপুল সংখ্যক আলেম উলামা সমাজকে জনসম্পৃত্ত করে দেশের সম্পদে রুপান্তরের জন্য প্রয়োজন সামাজিক উদ্যোগ বা সামাজিক সচেতনতা। দেশের প্রত্যেক সচেতন নাগরিক এখনি বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা না করলে বেশী দিন সময় লাগবেনা --সামাজিক বিরাট অস্থিরতা সৃষ্টি হবে,এতে কোন সন্দেহ নেই। তাঁদের হাতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা তুলে দিলেও কোন লাভ হবেনা। সকল শিক্ষাব্যবস্থা অনুরুপ করে দিলেও কোন ফললাভ হবেনা। কারন যেখানে জ্ঞান বিজ্ঞানের আলো নেই সেখানে দেশ পরিচালনা হবে কিভাবে? অর্থনীতির চাকাও ঘুরবে কিভাবে? ইসলাম জ্ঞান-বিজ্ঞানের আলো ঘরে ঘরে জ্বালাতে বারন করেনি। রাষ্ট্র পরিচালনায় আধুনিকতার সংস্পর্ষে যেতেও বারন করেনি। এইরুপ সামাজিক সমস্যা দেখা দিলে শীর্ষস্থানীয় আলেম সমাজের পরামর্শ গ্রহন করার কথা কোরানেই বলা আছে। সুতারাং দেশের বিশাল জন সমষ্টির বিষয়টি নিয়ে গভীর ভাবে চিন্তাভাবনা করা প্রত্যেক সুনাগরিকের দায়িত্ব এবং কর্তব্য। কিভাবে বা কোন পদ্ধতিতে বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে সম্পৃত্ত করে ধর্ম এবং জীবন দুটাই পরিচালনা করা যায় তাঁর উদ্যোগে প্রয়োজনে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা একান্ত জরুরী। সামাজিক আন্দোলন গড়ে উঠা ছাড়া কোন প্রতিষ্ঠিত সরকার ও চাইবেনা ঝুঁকিপুর্ণ কোন সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে। সবমহলের শুভবুদ্ধির উদয় হোক অশুভ শক্তির উত্থান রোধে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকুক। ধর্মকর্মে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে সব মহল সচেতন হোক। আল্লাহ সকল বাংলাদেশীর মঙ্গলময় জীবন দান করুক। ______________________________ জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা