অবশেষে মানবতা বিরুধী ট্রাইবুনালের ন্যায়নীতি, আদর্শের নিকট দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীরা মাথা নোয়াতে বাধ্য হল------------- _______________________ বাংলাদেশের মানবতা বিরুধী ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার প্রক্রিয়া শুরুর সিদ্ধান্তের পর থেকেই দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রকারিরা নড়েচড়ে বসে।সরকার ও একাধিক ফ্রন্ট হাতে নিয়ে কাজ শুরু করে।প্রথম দিকে জনমনে বিচার অনুষ্ঠান করা নিয়ে সন্দেহ দেখা গেলেও ধীরে ধীরে তা কেটে যায়।বলা যায় সরকার তাঁর দৃডতায় মানুষের মধ্যে আস্থা সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন। ষড়যন্ত্র কারিরা স্বাভাবিক আন্দোলন সংগ্রামে বিচার প্রক্রিয়া বাঞ্চাল করতে না পেরে নাশকতা অরাজগতা, আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে সেনা বাহিনীকে ক্ষমতা দখল করার পরিবেশ সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। তাও ভেস্তে যাওয়ার পর আপাত: রনে ভঙ্গ দিয়ে নিয়মাতান্ত্রিক কর্মসুচি দিয়ে রাজনীতি করবেন এইরুপ ঘোষনা দিয়ে বিষয়টিকে আরও জটিল করে তুলেছে। সাধারন মানুষ-যাদের সন্দেহ ছিল বিএনপি যুদ্ধপরাধিদের বাঁচানোর জন্য নাশকতা করেনি তারাও শত ভাগ বিশ্বাসে নিতে পেরেছেন খালেদা জিয়ার কর্মসুচি ছিল নিছক সহিংসতা সৃষ্টি করে অরাজক পরিবেশ সৃষ্টি।দলটির একান্ত ইচ্ছা সত্বেই এই পথে পা বাড়িয়ে শত শত মানুষকে আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে দেশের সম্পদ বিনষ্ট করেছে। তাঁদের বিদেশী লবিং অত্যান্ত শৃংখলা বদ্ধ এবং শক্তিশালী, সুদুর প্রসারি ছিল।প্রথমাবস্থায় বিভিন্ন দেশ থেকে আন্তজাতিক সংস্থার ভাড়াটে কিছু কর্মকর্তা এসে বিচার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেছিল।সরকারের অনড় অবস্থার কারনে শেষাবদি তাও সফল হয়নি।প্রসিকিউশনের দুর্বলতা নিয়ে নানা সময়ে নানা কথাবার্তা উঠছে।অনেকে অনেকভাবে ব্যাখ্যা করে বলতে চেয়েছে। প্রসিকিউশনের সীমাবদ্ধতা যে একেবারে নেই তা নয়। প্রসিকিউসনের জন্য ভালো কোনো রিসার্চ সেন্টার নেই, সমৃদ্ধ লাইব্রেরি নেই, দরকারি অনেক বইও নেই। তা সত্ত্বেও প্রসিকিউসন বসে থাকেনি এগিয়ে গেছে। এই ক্ষেত্রে প্রসিকিউসন বিভিন্ন আন্তজাতিক আদালতের মামলা পরিচালনার ধরন, রায়ের দৃষ্টান্ত, সাক্ষিদের বিশ্বাসযোগ্যতা মাপার ধরন ইত্যাদি অনুসরন করে অনেকটা ধারনা লাভ করেছে। ন্যুরেমবার্গ ট্রাইব্যুনাল যখন কাজ শুরু করে, তাদেরও অনেক সীমাবদ্ধতা ছিল।বাংলাদেশের এত সমস্যা, নানা প্রতিকূলতা এবং রাজনৈতিক, আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করতে পেরেছে, এটা দেশবাসির বিবেচনায় গোটা পৃথিবীর জন্য একটা বিরাট ইতিবাচক দৃষ্টান্ত। যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়ার আন্তর্জাতিক মান নিয়ে প্রথমদিকে যতটা সমালোচনা হয়েছে, এখন কিন্তু তা নেই। সেই সমালোচকদের মুখ বন্ধ হয়ে গেছে। বিচার প্রক্রিয়া চলাকালিন বিভিন্ন দেশের সিনেট সদস্য, নীতিনির্ধারক, বিশেষ দুত বাংলাদেশ সফর করেছেন।তাঁরা তাঁদের অভিমত খোলাখোলিভাবে সংবাদ মাধ্যমকে দিয়েছেন।সব মহলের সার্বিক অভিমত পয্যালোচনায় দেখা যায় বিচার অত্যান্ত সুষ্ঠ, আইন নীতি রীতি অনুসরন করেই হচ্ছে। "যুদ্ধাপরাধ-বিষয়ক বিশেষ মার্কিন দূত স্টিফেন যে য্যাবও ঢাকায় এসে বলেছেন, "আমাদের বিচার আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন। " বিচারকরা অনেক ভালো কাজ করছেন।"সবচেয়ে বড় কথা, সত্য আমাদের পক্ষে। বিদেশীরা যে বিষয় গুলীর প্রতি বেশী আগ্রহশীল এবং আস্থাম্বিত হয়েছেন তাঁর মধ্যে অন্যতম বিষয় হচ্ছে,"ন্যুরেমবার্গ ট্রায়াল থেকে শুরু করে হেগের জাতিসংঘের ট্রাইব্যুনাল ইত্যাদির চেয়ে বাংলাদেশের গঠিত ট্রাইব্যুনালের আলাদা বিশেষত্ব রয়েছে। ওই সব আদালতের সঙ্গে বাংলাদেশের ট্রাইব্যুনালের কাঠামোগত পার্থক্য হল, বাংলাদেশ নীজের আইনে অর্থাৎ ডমেস্টিক, দেশীয় আইনে বিচার হচ্ছে। বাংলাদেশের বিচারিক প্রক্রিয়া অন্য যে কোনো যুদ্ধাপরাধ আদালতের বিচারের চেয়ে অনেক মানসম্পন্ন। প্রথমত, বিচার শুরু হয়েছে অপরাধ সংঘটনের চল্লিশ বছর পর। সুতরাং এ সংক্রান্ত অনেক তথ্য-উপাত্ত হারিয়ে গেছে। প্রত্যক্ষদর্শী পাওয়া অনেক দুষ্কর। সে সব কারণে এই বিচার অসম্ভব সম্ভব করে তোলার মতো ব্যাপার। নানা সীমাবদ্ধতা থাকা সত্বেও বাংলাদেশের মানবতা বিরুধী বিচার ট্রাইবুনাল বিচার কায্য চালিয়ে নিচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্ন দেশের অনেক আদালতই কিন্তু সেভাবে বিচারকাজ এগিয়ে নিতে পারছে না। কম্বোডিয়া, সিয়েরালিয়ন ইত্যাদি দেশের বিচার শুরু হতেই বছরের পর বছর সময় লেগেছে। যেখানে কম্বোডিয়ার প্রথম মামলার কাজ শুরু করতে ১০ বছর লেগেছে, বাংলাদেশ ছয় বছরে ২০টি মামলার রায় দিয়েছে। সে দিক থেকেও বাংলাদেশের অর্জন অনেক বড়। অবশ্য বিশ্বের অন্য কোন দেশের বিচারিক কায্যক্রম নিয়ে ষড়যন্ত্র নেই,অপরাধ সংঘনের বিষয় সবাই একমত এবং বিচারিক বিষয় নিয়েও একমত।বাংলাদেশের এই প্রেক্ষাপটে ভিন্নতা আছে।এক শ্রেনী চায়না মুক্তিযুদ্ধের সংঘটিত মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হোক। বিভিন্ন উপায়ে মহলটি শুরু থেকেই বাধা দিয়ে আসছিল।যুদ্ধপরাধীদের বাঁচাতে মহলটি আন্তজাতিক ভাবেও বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে প্রথম থেকেই।'৭৫এর পট পরিবর্তনের পর ট্রাইবুনাল ভেঙ্গে দিয়ে মানবতা বিরুদীদের জেল মুক্ত করে দিয়েছিল মহলটি। বিশ্বের কোথাও যুদ্ধাপরাধের বিচারে জামিন দেওয়া হয় না কিন্তু বাংলাদেশে বয়সের বিবেচনায় জামিন দিচ্ছে। ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালে কিন্তু আপিলের সুযোগ ছিল না। আমাদের এখানে আছে। আছে শুধু নয়, দেশের সর্বোচ্চ আদালতে আপিলের সুযোগ আছে; এমনকি আপিল বিভাগের রায় রিভিউয়েরও সুযোগ রাখা হয়েছে।গোলাম আযমের মৃত্যুদণ্ড তুল্য অপরাধ ছিল। আদালত তার বয়স এবং স্বাস্থ্য বিবেচনায় যাবজ্জীবন দিয়েছেন।এক্ষেত্রে মানবিক দিকটিও বাংলাদেশের আদালতে গ্রহন যোগ্যতা পাচ্ছে,যাহা কোন দেশের যুদ্ধাপরাধ বিচারে বিচার্য্য বিষয়ের মধ্যে আনার প্রয়োজনীয়তা আছে বলেও মনে করেনা। যেসব চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী পলাতক রয়েছে, দেশের বাইরে রয়েছে, তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর বিষয়টি সরকার সময়ে সময়ে বলছে কিন্তু কায্যকর হচ্ছে বলে মনে হয়না। কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কূটনৈতিক দৌড়ঝাঁপ শুরু করলে এর একটা সুরাহা সহজে হতে পারে। যে সমস্ত দেশ মৃত্যুদন্ডের বিরুধী সেই সমস্ত দেশে পালিয়ে থাকা অপরাধীদের ফিরিয়ে আনা বড় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে। অনেক বাধাবিপত্তি পেরিয়ে এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি মামলার রায় হয়েছে। কয়েকটির রায় কার্যকর হয়েছে। অনেকগুলোর বিচারকাজ চলছে। এতে অনেকের জীবন বিপন্ন হয়েছে সত্য বিচার কাজ বন্ধ হয়নি। সরকার এই বিচারকাজ চালিয়ে প্রমান করতে পেরেছেন-মুক্তিযোদ্ধারা মারা যেতে পারে কিন্তু তাঁদের যে চেতনায় যুদ্ধে অংশ গ্রহন করে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন সেই চেতনার মৃত্যু হতে পারেনা।চল্লিশ বছর পরে হলেও সেই সত্যই প্রতিষ্ঠিত হল। মৃত্যু মানে কি চেতনারও মৃত্যু? আদর্শের ও মৃত্যু? অবশ্যই নয়। সময়ের ব্যবধানে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে, অন্যায়ের পক্ষে যত শক্তিধরের অবস্থানই থাকুকনা কেন--- রনে ভঙ্গ দিয়ে গর্তে লুকাতেই হয়।বর্তমানে আর মানবতা বিরুধী বিচার নিয়ে বিদেশীরাও মুখ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে, দেশের অভ্যন্তরেও মেরুকরন ঘটেছে। হম্বিতম্ভি ছেড়ে অনেকেই বিতর্কীত বক্তব্য দিয়ে পানি ঘোলা করতেও চেয়েছেন। জনগনের বিচারের পক্ষে অনড়তায়- মুখে কুলুপ এটে স্বাভাবিক রাজনীতির অংশ, স্থানীয় পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে খেই হারিয়ে, বিভ্রান্তকর অবস্থায় কোন রকম অস্তিত্বের জানান দিয়ে টিকে আছে। বর্তমানে ছয়ধাপের ইউপি নির্বাচনের দুই ধাপের ফলাফলে স্বতন্ত্রের চেয়ে চার গুন পিছনে অবস্থান নিয়ে -- শক্তিশালী বিরুদী দলের খেতাব থেকেও বঞ্চিত হওয়ার আশংকার জম্ম দিয়েছে। ষড়যন্ত্রের রাজনীতির এই দশাই হয়। মুসলিম লীগের পতনের থেকে শিক্ষা না নিয়ে দলটি অস্তিত্ব সংকটের ভীতিতে গর্তেই লুকিয়ে গেছে। ____________________________ জয়বাঙ্গলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা বঙ্গরত্ম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা