জাতীয় চারনেতার আত্মত্যাগের প্রতিদান হতে পারে ৭২ এর সংবিধানের পুর্নাঙ্গ অনুসরন। ================================== '৭৫ এর ১৫ই আগষ্ট জাতির জনককে স্বপরিবারে হত্যার পর ৭৫ এর ৩রা নভেম্বর আর একটি নির্মম নিষ্ঠুর ইতিহাসের বর্বতম হত্যাকান্ড ঘটিয়েছিল ঘাতকেরা।মায়ের কোলে শিশু নিরাপদ,পার্থিব জগতে সব শ্রেনীর মানুষের জন্য জেল খানা নিরাপদ।এই তপ্তবাক্য সে দিন মুখ থুবড়ে পড়েছিল বাংলাদেশের ইতিহাসের নরপিশাচদের বুটের নিছে। ১৯৭৫ এর আগষ্ট থেকে নভেম্বর মাসের ঘটনা পুঞ্জিতে যাহা ঘটেছিল রাষ্ট্র ব্যাবস্থার সৃষ্টির আদিকাল থেকে যদি সব ইতিহাস তন্ন তন্ন করে খুঁজে বেড়াই তাহলেও দেখা মিলবেনা কোন রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানের স্বপরিবারে হত্যার ঘটনা। সভ্যতার আদিযুগেও হয়তো বা নয়।আবার কোন দেশের জেল খানায় হত্যাকান্ড ঘটেছে, সেই দেশেরই জাতীয় নেতা কস্মিনকালেও খুঁজে পাওয়া যাবেনা। বিশ্বের যত রাষ্ট্রনায়ক হত্যাকান্ড ঘটেছে একক অথবা তাঁর অনুসারীদেরকে সহ হত্যা করা হয়েছে।পরিবারের শিশু সন্তান ও অবলা নারী হত্যা হয়েছে তেমন ইতিহাস রচিত হয়নি। হত্যাকান্ডটি কোন আঞ্চলিক জেল খানায় নয়,খোদ রাজধানীর কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে,পাগলা ঘন্টি বাজিয়ে,সতীর্থদের কাছ থেকে সরিয়ে, সেনাবাহিনীর সাজোয়া যান ব্যাবহার করে ঘটানো হয়েছিল।জেল হত্যার শিকার জাতিয় নেতার এক কন্যার দু:খের সাগরের এক বিন্দু শিশিরসম আকুতির উদৃতি দিয়ে আজকে আমার লিখা শুরু করতে চাই।সিমিন হোসেন রিমি,মহান জাতীয় সংসদের সম্মানীত সাংসদ।তিনি আজকে যে কলামটি লিখেছেন তাঁর কিয়দংশ দিয়েই শুরু করতে চাই আমার লিখার প্রারম্বিকতা---।তিনি লিখেছেন--- "মৃত্যুর সহজ সংজ্ঞা হয়তো বা না-ফেরার অনন্ত অজানায় চলে যাওয়া। শারীরিক উপস্থিতির বিচ্ছেদ। সরাসরি কোনো দিন আর না দেখা হওয়া। অথবা যে আমার সরব উপস্থিতি ছিল, তা এক নিমেষে নীরব হয়ে যাওয়া, চিরতরে। ৪০ বছর আগে সাদা কাফনে জড়ানো মুক্তিযুদ্ধের অনন্য বীর, দেশপ্রেমী বাবার (তাজউদ্দীন আহমদ) রক্তাক্ত নীরব নিথর মৃতদেহ। একপাশে দাঁড়ানো আমি। মানুষের বলা কত রকম শব্দ ভেসে আসে কানে। শুনতে পাই, জেলহত্যার নির্মমতার শিকার বাবার তিনজন মৃত্যুসঙ্গীর একজনের মৃতদেহ রাখা হয়েছে আমাদের বাড়ির পাশেই। বাবাকে রেখে অদ্ভুত মমতায় হেঁটে যাই সেই পথে। সাদা কাপড়ের অনেকটা জুড়ে রক্তে ভেজা। রক্তবর্ণ একটি চোখ খোলা। তাকিয়েই থাকি। প্রশ্নের পর প্রশ্ন আছড়ে পড়তে থাকে আমার ভেতরে। সেই খোলা স্পন্দনহীন রক্তাক্ত চোখকে মনে হয় বাংলাদেশের মানচিত্রে রক্ত দিয়ে লেখা বড় প্রশ্নবোধক চিহ্ন! সেই প্রশ্নবোধক চিহ্নের বিপরীতে ন্যায়ের পতাকা সগর্বে ওড়ে না ৪০ বছরেও। জোড়াতালিতে অথবা বিরুদ্ধ স্রোতে ন্যায়ের পতাকা নুয়ে পড়ে বারবার। যে মানুষ নিজেকে প্রকাশ করবে বলে হাজার বছর ধরে পাহাড়, অরণ্য, সাগর, মহাসাগর পাড়ি দিয়েছে। কঠিন রুক্ষ মাটিকে করেছে উর্বরা, ছুঁয়েছে আকাশ, ভেদ করেছে অজানা রহস্য__________!!!!। মীর জাফর নবাবী পাওয়ার আশায় বৃটিশ বেনিয়াদের চক্রান্তে পলাশির আম্রকাননে প্রধান সিপাহশালার হয়ে ভয়াবহ যুদ্ধের ময়দানে যুদ্ধ যুদ্ধ ভাবের অভিনয়ের মাধ্যমে নবাব সিরাজদৌল্লার চরম পরাজয় ঢেকে আনেন।পালায়নপর নবাবকে পথিমধ্যে হত্যা করে ভারতীয় ইতিহাসে রচনা করেছিলেন নিমোঘ কাল অধ্যায়ের। বাংলার নবাবকে হত্যার মাধ্যমে গোটা ভারতবর্ষকে তিনি তুলে দিয়েছিলেন ইংরেজদের হাতে।মাত্র ছয় বছর তল্পিবাহক ফরমায়েসি নবাবি চালাতে পেরেছিলেন।শেষবদি অত্যান্ত অপমান অপদস্ত হয়ে সিংহাসন ত্যাগের অল্প কিছুদিনের মধ্যে মৃত্যু বরন করেন কথিত আছে ন্যাক্কারজনক ভাবে তাঁর মৃত্যু হয়। মরেও বেঁচে আছেন ভারতবাসির কাছে প্রচণ্ড ঘৃণা, ধিক্কার,আর পরম বন্ধুর গালির প্রথম শব্দের উৎস হয়ে। থাকবেন পৃথিবীর চন্দ্র সুর্য্য যতদিন উদয় আর অস্ত যায় ততদিন পয্যন্ত।অভিশপ্ত হতে থাকবেন অনাগত কাল ধরে। মীরজাফরের চায়ার কায়া দেখা যায় স্পষ্ট খোন্দকার মোশতাকের চরিত্রের মধ্যেও।জাতির জনকের অপার ভালবাসা,বিশ্বাসের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫ সালে স্ব-পরিবারে হত্যায় প্রধান ভুমিকা পালন করেন মোস্তাক।শুধু তাই নয় স্বঘোশিত রাষ্টপতি হয়ে ক্ষমতাকে নির্ভেজাল,কন্টকমুক্ত করার মানষে সরাসরি টেলিফোন আদেশে মোস্তাক হত্যা করানন বাঙালি জাতির চার মহান নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এ এইচ এম কামরুজ্জামান এবং মুহাম্মদ মনসুর আলীকে। তারই নির্দেশে কতিপয় সেনা কর্মকর্তা ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে তাঁরই দীর্ঘদিনের সহচর পরম বন্ধু জাতিয় চার নেতাকে হত্যার জন্য সকল রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা দিয়ে ঘাতকদের জেল খানায় প্রেরন করে-- চালায় ইতিহাসের নারকীয় বর্বরতম হত্যাযজ্ঞ।মোস্তক জানতেন চারনেতার দৃড চারিত্রিক বৈশিষ্টের এবং জাতির জনকের প্রতি তাঁদের আনুগত্যের অনুকুল্লতা, অপিরিসিম ভালবাসার নিচ্ছিদ্র বন্ধনে আবদ্ধতা কত গভীরে প্রোথিত ছিল।চার নেতাকে হত্যার মুল কারন বশ্যতা স্বীকার না করা,ভবিষ্যতের ক্ষমতারকাঁটা হয়ে দাঁড়াবার সমুহ সম্ভাবনা,আওয়ামী লীগ সংগটিত হলে বীরের মায্যদায় জেলমুক্তি পেয়ে নেতৃত্ব গ্রহনের আশংকা ইত্যাদি নানাহ রাজনৈতিক ও বৈশ্বিক হিসেবের খাতা মেলানোর জন্যই তড়িঘড়ি জাতিয় চারনেতাকে জেলখানায় হত্যার প্রয়োজনীয়তা তাঁর নিকট অবশ্যম্ভাবি হয়ে উঠে। তাছাড়া সকল বিভ্রান্তির বেড়াজাল ছিন্নকরে ততদিনে প্রতিরোধের আগুন মিটি মিটি জ্বলা শুরু হয়ে গেছে সারা বাংলাদেশে।অকাতরে ছাত্রজনতা রক্ত ঢেলে খুনীচক্র প্রতিহতের ইংগিত পাওয়া যাচ্ছে চতুর্দিক থেকে।এতেই প্রমাদ গুনতে শুরু করেছেন মোস্তাক। তিনি সামরিক বাহিনীর বন্দুকের নল পেছনে ঠেকিয়ে যাদের মন্ত্রিপরিষদে শপথ নিতে বাধ্য করেছিলেন, তাদের মধ্যেও ভীতি কেটে যাওয়া শুরু হয়ে গেছে।সংসদ সদস্যদের মধ্যে অনেকে ইতিমধ্যে মোস্তাকের নেতৃত্ব চেলেঞ্জ করার মত সাহস সঞ্চয় করে নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা শুরু করে দিয়েছেন। প্রথমেই সংসদ সদস্য এড. সিরাজুল হক প্রকাশ্য চেলেঞ্জ করে মোস্তাককে মহামান্য রাষ্ট্রপতি বলতে অস্বিকার করে মোস্তাক ভাই বলে সম্ভোধন করে রাষ্ট্রপতি পদের শিরায় 'প্রশ্নবোধক চিহ্ন ’ বসিয়ে দিতে সক্ষমতা প্রদর্শন করে বসেন।সুচুতুর মোস্তাক অন্তদৃষ্টিতে বুঝতে সামান্যতম বেগ পেতে হয়নি।রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আওয়ামী লীগ ধীরে ধীরে সংগঠিত হচ্ছে।সংসদের বিদ্যমান সদস্যরাও সকল ভীতি পায়েদলে সংঘটিত হতে থাকে।সরকার এবং সংসদের ভেতরের প্রভাব বাইরেও কিছু কিছু পড়তে থাকে। যদিও জাতীয় ৪ নেতাসহ অনেকেই তখন জেলখানায় বন্দি, পলাতক,সেনাবাহিনীর একাংশের অকথ্য নির্যাতনের শিকার।বাহিরের জগতের যেকোন নেতাকর্মীর জীবন বিপন্ন হওয়ার সময় তখনও বিদ্যমান। জীবন বিপন্নের তোয়াক্কা না করার মত সাহষি মুজিব প্রেমিরা মাঠে ঘাটে অবস্থান নিচ্ছিদ্র করতে ব্যস্ত ।কোন কোন এলাকায় প্রতিবাদের দুর্গ গড়ে উঠেছে,প্রয়োজন শুধু শক্ত নেতৃত্বের।রাজধানী ঢাকায় ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন, মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগের নিবেদিত প্রাণ নেতাকর্মীদের প্রতিবাদ মিছিল বের করার খবর পাওয়া যাচ্ছিল।জনগন ভীতিকর চোখে উৎসুক নয়নে আগ্রহ ভরে মিছিল গুলি প্রত্যক্ষ করছিল,হাতনেড়ে কেউবা চোখের ভাসায় সমর্থনও দিচ্ছিল। সামগ্রিক অবস্থা দ্রুতই খন্দকার মুশতাক সরকার এবং তার নেপথ্যের শক্তির নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে থাকে---এটি অনেকটা নিশ্চিত হয়েই খন্দকার মুশতাক আহমদ এবং ১৫ আগস্টের ঘাতকচক্র জেলখানায় বন্দি জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। তাদের আশঙ্কা একটাই তা হচ্ছে তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে সব কিছু চলে গেলে জাতীয় ৪ নেতা জাতীয় বীরের মর্যাদা নিয়ে জেল থেকে মুক্ত হবে, বঙ্গবন্ধুর শূন্যস্থান পূরণ করতে হাল ধরবেন। সেই ভয় থেকেই ২ নভেম্বর দিবাগত রাতে, ৩ নভেম্বর প্রত্যুষে খুনিচক্র বঙ্গভবন থেকে খন্দকার মুশতাকের টেলিফোনে আদেশ পেয়ে রাষ্ট্রীয় সাজোয়াযান ব্যাবহার করে,পাগলা ঘন্টি বাজিয়ে,বিউগলে সুর তোলে জেলখানার অভ্যন্তরে প্রবেশ করে, চারনেতার সহ যোদ্ধাদের আলাদাকক্ষে সরিয়ে নির্মম,নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারি জাতিয় চার নেতাকে। বাংলাদেশের মানুষ জানতে পারেনি ২/৩রা নভেম্বর মধ্যরাতে ও প্রত্যুষ্যে কি ঘটেছিল রাজধানী ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে। ঘাতকচক্র খন্দকার মুশতাককে আর ক্ষমতায় ধরে রাখতে পারেনি। সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে ক্ষমতার লড়াইয়ে পাল্টাপাল্টি অভ্যুত্থান পালটা অভ্যুত্থান ঘটতে থাকে।একপয্যায়, খন্দকার মুশতাক রাষ্ট্রপতি পদ ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। নানা কলাকৌশলের আশ্রয় নিয়ে শেষাবদি ক্ষমতার শীর্ষে আসেন আসল নাটের গুরু সাম্রাজ্যবাদের এজেন্ট,পাকি দালাল মুক্তিযোদ্ধা জিয়া। জাসদ এবং বিপ্লবী নানা প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির পাশাপাশি সামরিক বাহিনীর অনেকেই ৭৫ এর ঘটনা চক্রে যুক্ত হলেও শেষ পরিণতি এদের কারোই সুখকর হয়নি। সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকেই হয় অভ্যুত্থানে মারা গেছেন নয়তো ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে জেলে গেছেন।মোহভঙ্গ হতে শুরু করেছে তত দিনে জাসদের বিপ্লবি চেতনার। কেননা ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট এর অপ লাইনের রাজনৈতিক শক্তি ছিল তখনকার জাসদ। সূচিত হত্যাকাণ্ড, ক্ষমতার পরিবর্তন সবই ছিল একটি বিশেষ নেপথ্যের শক্তির পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। যার সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে হত্যা করা, এর আদর্শকে ধ্বংস করা।বাংলাদেশ বিরোধি আমেরীকা সাম্রাজ্যবাদের তল্পিবাহক পাকিস্তানের প্রতাত্মার দ্বারা দেশ শাষন।রাষ্ট্রদ্রোহি, মুক্তিযুদ্ধবিরুদি শক্তিকে ক্ষমতা, রাষ্ট্র, রাজনীতি, শিক্ষা, সংস্কৃতি, অর্থনীতিসহ সর্বত্র প্রতিষ্ঠা করা। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস জেলে চার নেতা হত্যার মাত্র তিন দিনের মাথায় ৮২ দিনের খল রাষ্ট্রনায়ক মোশতাকের পতন ঘটে।ইতিহাসের অমোঘ নিয়মে জায়গা হয় কারান্তরালে। কিন্তু তার অপকর্মের সুবিধাভোগী জিয়াউর রহমান অবৈধ ভাবে নির্বাচিত সরকারকে উচ্ছেদ করে মোশতাকের ক্ষমতা দখলের বিচার না করে ১৯৭৮ সালে তাকে মুক্ত করে দেন। বিচারের পথ বন্ধে জারী করেন কুখ্যাত ইমডেমনিটি অধ্যাদেশ।বিচারমুক্ত জেল মুক্ত করলেও জনগণের ঘৃণা আর ধিক্কার থেকে তাকে রক্ষা করতে পারেননি জিয়াউর রহমান। ফলে তাকে আমরণ স্বেচ্ছায়বন্দি জীবনযাপন করতে হয়েছে নিজ গৃহের কারান্তরালে। প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির তল্পিবাহক মোশতাক চেয়েছিলেন বাংলাদেশকে আবারো পাকিস্তানে রূপান্তরিত করতে।তৎক্ষনাৎ যদিও তাঁর পরিনতি সেই পয্যন্ত তাঁকে যেতে দেয়নি,ধারবাহিকতা বিচ্যুত হয়নি ষড়যন্ত্রকারিদের।এখন ও সেই ধারাবাহিকতার বহিপ্রকাশ ঘটছে প্রতিনিয়ত।জাতির জনকের কন্যাকে হত্যা প্রচেষ্টা কয়েকবারই সংঘটিত হয়েছে।নেতৃত্ব শুন্য করতে প্রগতির চাকা পিছনে নিতে ধারাবাহিক ভাবে নেতাদের হত্যা করা হচ্ছে।স্বাধীনচেতা, প্রগতিমনা, মুক্তমনা-- লেখক, সাংবাদিক সাহিত্যিকদের উপর প্রতিনিয়ত চলছে হামলা।অকাতরে বলি হচ্ছেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি।ধর্মের নামে কখন ও গনতন্ত্রের নামে চলছে বোমা হামলা, পেট্রোল বোমার আঘাতে পুড়িয়ে জ্যান্ত মানুষকে কয়লায় রুপান্তরের অহর্নিশ প্রচেষ্টা। এমতর পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে অনুসরন করার দরকার ছিল ৭২ইং সালের বিশ্বের সেরা লিখিত সংবিধান।যে সংবিধান জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রত্যক্ষ তত্বাবধানে রচিত হয়েছিল বাঙ্গালি জাতির অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে সমুন্নত রাখার অঙ্গিকারের নিমিত্তে।জাতীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাস্তব প্রতিফলনের মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠিত হতে পারে জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলার বাস্তবায়ন,জাতিয় চার নেতার আত্মদানের ঋনের ভার কমানোর উপায়। "জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা"

জাতির জনকের বিশ্বস্থ সহচর, মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক জাতিয় চার নেতার ঋন বাঙ্গালী এখনও শোধ করতে পারেনি।জাতির জনকের স্বপ্নের ফসল ১৯৭২ ইং সালে প্রনীত বিশ্বের অন্যতম সুলিখিত সংবিধান পুর্নাঙ্গ অনুসরন ও বাস্তবায়ন হতে পারে আংশিক ঋনের বোঝা কমানোর প্রকৃত চেষ্টা।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা