সর্বচ্ছো ছাড় দিয়ে সংলাপ ভিক্ষা বি,এন,পির--রাজনীতিতে পুর্নবাসন হওয়ার নতুন চাল খালেদার ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~ বি,এন,পি কে নিয়ে আর লিখবোনা এক রকম সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।কারন পতন বা ক্ষয়ে যাওয়া কোন কিছু সম্পর্কে ঘাটাঘাটি করতে গেলে শুধু দুর্গন্ধই বের হয়,সুগন্ধ বের হবেনা।তাই সিদ্ধান্তটি নিয়ে আবার গতকালের দৈনিক সংবাদ পত্র গুলীতে একটা খবর দেখে অন্তরের কান্না থামাতে পারিনি।বার বার কেন জানি মনে হচ্ছিল,জাতির জনককে নির্মম নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করে হাজারো অপপ্রচারের মাধ্যমে দুর্দন্ড প্রতাপে সারা বাংলা চষে বেড়িয়েছিল যে মানুষ আকৃতির দোযগের কীট গুলি তাঁদের করুন আকুতির ভিক্ষার ধরন দেখে।একদা রাজনীতিকে যারা মিথ্যার ফুলঝুড়ি, ল্যাং মেরে উপরে উঠে আসা,অরাজনৈতিক ব্যাক্তিদের রাজনীতিতে টেনে এনে পেশী শক্তির প্রদর্শনের ব্যাবস্থা পোক্তকরন,রাজনীতিতে দুবৃত্তায়নের আমদানী,বোমা অস্ত্রের অবাধ ব্যাবহার,সরকারি প্রসাশন যন্ত্রকে বন্দুক ধরে পক্ষে কাজ করতে বাধ্য করন থেকে এমন কোন হেন কাজ নেই যাহা করেনি।জনগনের নিকট রাজনীতিকে" ব্যাবসা আর টাউটের আড্ডা "হিসেবে পরিচিত করে যেতে সক্ষম হয়েছেন।অবশ্য দলটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মেজর জিয়ার গগন বিদারী রাজনীতিবীদদের হৃদয় বিদীর্ন করা কালজয়ী উক্তিই ছিল""আমি রাজনীতিবীদদের জন্য রাজনীতি কঠিন করে দেব"" অন্যসব ওয়াদা পুরন করতে না পারলেও অক্ষরে অক্ষরে এই উক্তির যথাযথ প্রতিফলন রাষ্ট্রীয় সর্বক্ষেত্রে রেখে যেতে পেরেছেন,রাজনীতিতেতো বটেই। সেই দলের নীতি নির্ধারকদের একটা গুরুত্বপুর্ণ সম্মিলিত সিদ্ধান্ত গতকাল সব পত্রিকায় চাপা হয়েছে, ""বি,এন,পিকে সরকার যদি ডাকে তাহলে সর্বচ্ছো ছাড় দিতে প্রস্তুত"".।(১১/১১/০০১৫ ইংবৃহস্পতিবার) অথছ এই দলকে দেয়ার জন্য জাতির পিতার কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনা প্রধান মন্ত্রীত্বের বড়াই না করে, রাষ্ট্রীয় প্রটোকলের তোয়াক্কা না করে খালেদা জিয়ার বাড়ী পয্যন্ত গিয়ে গেট থেকে ফিরে এসেছেন।সামান্য সহানুভুতির বাঙ্গালী ঐতিয্য মেহমানদারি করার, অন্তত ভিতরে বসতে দিয়ে এককাপ চা দেয়ার সৌজন্যতা টুকুও দেখাননি।কি অহমিকা,অহংকার তাঁদের গ্রাস করেছিল,কেন এমন রাজনীতি শিষ্টাচার বর্হিভুত আচরন করেছিল বাংলার মানুষ আগে না জানলেও ইদানিং সব কিছু জানে।উত্তর পাঁড়ায় ক্ষমতায় বসিয়ে দিবেন,তাইতো সাজগোজ করে তিন মাসব্যাপি" আগুন সন্ত্রাস "করে দেশব্যাপি অস্থিরতা সৃষ্টি করে,আইনশৃংখলার অবনতির অজুহাত তুলে ধরার কৌশল অবলম্বন করেছিলেন।শেষাবদি বোমেরাং হয়ে নীজের ঘাড়ে এসে ভর করেছে,সেই বোমার আগুনে পুড়া অর্ধমৃত,মৃত, বিকলাঙ্গ বিভৎস নরকংকাল গুলো। তাইতো রাজনীতি থেকে বিতাড়িত,স্বেচ্ছায় নির্বাসনে যাওয়ার আগে শেষ আকুতি,সংলাপ ভীক্ষা চেয়ে রাজনীতিতে পুর্নবাসিত হওয়া যায় কিনা। পুর্নবাসনের সার্টিফিকেট পেতে ভীক্ষার ঝুলি নিয়ে সেই জাতির জনকের কন্যার দরবারে বার বার কড়া নাড়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আপনাকে করুনা দেখিয়ে বঙ্গবন্ধু সংসার ফেরৎ দিয়েছিলেন,তার বদলে বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে প্রতিদান দিয়েছেন স্ব-পরিবারে হত্যা করে,তাঁর কন্যাকে বাড়ীর দরজা থেকে ফিরিয়ে দিয়ে।এবার করুনা ভিক্ষা করে কি দিবেন জাতির পিতার কন্যাকে?২১শে আগষ্টের মত অন্যকিছু? সুপ্রিয় বন্ধুগন আপনাদের নিশ্চয়ই স্মরনে আছে ২০০৬ইং সালের ১৪ দলীয় জোটের আন্দোলনের কথা।অহমিকা শুধু মানুষ নয় রাজনৈতিক দলের ও যে পতন ডেকে আনে তাঁর প্রকৃষ্ট প্রমান আজকের বি,এন,পি।আন্দোলন যখন তুঙ্গে কোন অবস্থায় তত্বাবধায়কের প্রধান নিয়োগের ব্যাপারে তৎকালীন বিরুদীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার সাথে আলোচনা করার জন্য সরকারকে রাজী করানো যাচ্ছিল না,যদিও সংবিধানের নীতি অনুযায়ী সংসদের সংখ্যাগরিষ্ট বিরুদীদলীয় সদস্যদের মনোনীত প্রধান নেতার সাথে সমঝোতা সাপেক্ষে তত্বাবধায়ক প্রধান সহ অন্যান্ন সদস্যদের নিয়োগ দেয়ার বিধান রক্ষিত ছিল,তাঁর তোয়াক্কা না করে দলীয় প্রেসিডেন্টকে তত্বাবধায়কের প্রধান করা হয়েছিল।সেদিনের রাজনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে বৃহত্তর জোট গঠিত হয়েছিল জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।সেই জোটের নামকরন করা হয়েছিল "মহাজোট"।আকার এবংপ্রকারের দিক থেকে অতীতে তো হয়নি ভবিষ্যতেও আর কখনও গঠিত হবে কিনা জানি না।সেই দলের ঢাকা অবরোধের কর্মসূচিতে যখন সারা দেশ অচল,তখন খালেদা পুত্র তারেক জনগনের স্বতস্ফুর্ত আন্দোলনের সাথে চরম তামাশার এক ঐতিয্য সৃষ্টি করে।তাঁর কথিত হাওয়া ভবনের মাঠে তিনি ক্রিকেটের উৎসবে মেতে উঠেন।এই যেন রোম পুঁড়ছে,নিরু মনের আনন্দে বাঁশি বাজানোর প্রবাদকেও হার মানিয়ে দেয়ার মত জনগনের প্রতি চরম ঔদায্যতাপুর্ন আচরন। সরকার গঠনের আগে পরে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য চৌদ্দ দলীয় জোট,নবগঠিত মহাজোটসহ অন্য বিরোধী দল যে প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল, আপোসহীন নেত্রী খালেদা জিয়া ও তার অনুগামীরা এর প্রত্যেকটির বিরোধিতা সহ চরম ব্যাঙ্গাত্মক মন্তব্য করেছিলেন।আন্দোলনের মুখে জনরোষ থেকে বাঁচার জন্য,সব কয়টি দাবী মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। এভাবে বার বার আপোসহীন নেত্রী বাংলার জনগনের নিকট পরিচিত হতে থাকেন রাজনীতির ভাড়, বিদেশী বন্ধু রাষ্ট্র সমুহের নিকট হাস্যরসের খেলনার পতুল হিসেবে পরিনত হতে থাকেন।মেজর জিয়ার পারিবারিক জোরপুর্বক দখল করা সম্মান আর ইমেজে জনগণের সামনে তাসের ঘরের মত ব্যাবহারের পর ছোড়ে ফেলে দেয়ার মত অবস্থায় পৌঁছে দেয় মা,ছেলে মিলে।তাদের এতবড় জনসমর্থিত দলকে খেলো দলে রুপান্তরীত করে দিচ্ছিল তা একবারও বিবেচনায় আনতে পারেননি,দলের বুদ্ধিদীপ্ত তুখোড় নেতারাও। ২০০৭-এ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে সবচেয়ে বেশি দুর্দশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল বিএনপি। অল্প কয়েক দিনেই বাংলাদেশের ইতিহাসে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা দলটির ইমেজ নামতে নামতে তলানিতে এসে ঠেকেছিল। নেতা-নেত্রীদের ইতিপূর্বের মাঠ কাঁপানো বক্তৃতা তখন চরম মিথ্যাচার ছিল বলে মানুষের কাছে প্রতীয়মান হতে থাকে। দেশটি বার বার দুর্নীতি গ্রস্ততার বিচারে বিশ্বসেরা শীর্ষস্থান হওয়ার কলঙ্ক গায়ে মেখেছিল মা -ছেলের মিলিত লুটপাটের জন্য তা আর কাউকে বলে বোঝাতে হয়নি। বাঘা বাঘা বিএনপি নেতারা সব দুর্নীতির দায়ে একে একে অন্তরীণ হতে থাকেন জেলে। দু’দিন আগেও ধরাকে সরাজ্ঞান করতে অভ্যস্ত বেগম খালেদা জিয়াকে একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রায় ‘অনুচর সহচরশূন্য’ বাগাড়ম্বরখ্যাত মন্ত্রী এম,পি বিহীন অবস্থায় পুষ্পার্ঘ অর্পণ করতে দেখে বড় মায়া,করুনা,হৃদয়ের কান্না,ব্যাথায় মথিত হতে হয়েছিল লক্ষকোটি আমজনতার। অথচ এর ক’দিন আগেও নেত্রীর সান্নিধ্যের কাছাকাছি আসার জন্য উন্মত্ত প্রতিযোগিতা ছিল বিএনপির বড়-মাঝারি নেতা-নেত্রী, আমলা আর ব্যবসায়ী,নেতা পাতিনেতাদের। সাম্প্রতিককালে অমন অবস্থার পুনরাবৃত্তি আমাদের জীবদশায়দেখতে হবে কল্পনাও করিনি কোনদিন। ইতিহাসের পরিণতি এতই স্বয়ংক্রিয় যে ঝড়ো হাওয়া নিয়ে উপস্থিত হয়েছিল ফখরুদ্দীন আহমদের তত্বাবধায়ক সরকার,নিমিষেই বিলীন করে দিয়ে গেল প্রতাপশালী পরিবারের সবকিছু।বেরিয়ে আসতে থাকে জিয়ার ভাঙ্গা স্যুটকেস থেকে কোটি কোটি টাকার সম্পদ,ব্যাংক ব্যালেন্স,কো-কো জাহাজ আর ডান্ডি ডাইং এর মত হালফ্যাসানের ব্যাবিসায়ীক প্রতিষ্ঠান।পরিবারটি এতই নিলর্জ বেহায়া হয়ে যায় সম্পদের লোভে বাংলাদেশের একাধিকবারের ক্ষমতার শীর্ষে অবস্থান করেও ইতিহাসের চরমতম নিকৃষ্ট উদাহরন স্থাপন করতেও দ্বিধা করেনি।তত্বাবধায়ক সরকারের কালো টাকা সাদা করার সুযোগ গ্রহন করে বিপুল পরিমান টাকা রাজস্ব পরিশোধ করে সাদা করে।ইহাও কি সম্ভব?কোথায় পেলেন এত কাল টাকা,জনগনকে আর কেউ প্রচার করে বুঝাতে হয়নি,জনগনের হাতে বিচারের ভার যখন দিলেন তত্বাবধায়ক সরকার ২০০৮ ইং নির্বাচনের মাধ্যমে,মাত্র ২৯ টি আসনে বিজয় অর্জন করে ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হওয়ার পথে ধাবমান হওয়া শুরু করে। শেষ খবর পাওয়া পয্যন্ত বাড়ী ভাড়া নেয়ার জন্য লন্ডনে খোঁজ খবর শুরু করেছেন। এমতবস্থায় মা,ছেলে যখন বুঝতে পেরেছে ভোটের মাধ্যমে খমতা আর ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই,বড় জোর সৎ ত্যাগী নেতাদের মনোনয়ন দিয়ে দ্বিগুন যদিও করা যায় তাহলেও ষাট হতে দুই বাকী থাকবে।এরই মধ্যে এতিমের হকের টাকা সাপ হয়ে সারা জীবনের জন্য বিষক্রিয়া চড়িয়ে খমতার বৃত্ত থেকে ১৪ শীকের ভেড়াজালে সারাজীবন পঁচেগলে নি:শেষ হওয়ার ব্যাবস্থা পাকাপাকি হয়ে যাবে,কারন তিনিতো জানেন এতিমের টাকা কিভাবে আত্মসাৎ করে ভোগবিলাসে খরছ করেছেন এবং লুটের টাকায় লন্ডনে আরাম আয়েশে জীবন কাটাচ্ছে ছেলে,পরিকল্পনা তাঁর নীজেরও। সুতারাং অতীত ঐতিয্যের পথে বাঁচার চেষ্টা করা ছাড়া উপায় নেই। তাই জড়ো করলেন আবার বাবা -স্বামী জিয়ার ক্ষমতা গ্রহনের সুত্র মত সব শ্রনীর জঙ্গী,বোমাবাজ,ডানবাম,নাস্তিক, মাওলানা,মৌলভী।সব চেষ্টা বাংলার জনগন রুখে দেয়ার পর আবার ভিক্ষার ঝুড়ি নিয়ে জাতির জনকের কন্যার নিকট উপস্থিত হতে দেখে কলম হাতে বসতে বাধ্য হলাম। জাতির জনকের পরিবার সকল সম্পদ,স্ব-পরিবারের রক্ত ঢেলে দিয়ে মাথা গোজার ঠাঁইয়ের জন্য রাষ্ট্র থেকে একটা বাড়ী চেয়ে নিয়েছিলেন।অহংকারী অথর্ব,বাংলার মীরজাফরের পরিবার খমতায় এসে সেই বাড়ী থেকেও বের কিরে দিয়েছিল।অথছ জাতির জনকের মৃত্যুরপর এক রিকাশাওয়ালা দুই বোনের থাকার জন্য নীজের সঞ্চিত টাকায় একখন্ড জায়গা কিনে রেখেছিলেন অনেক আগেই।কেউ জানতোনা। পারিবারিক ঝগড়ার একপয্যায় সাংবাদিক সেই ঘটনা আবিস্কার করে।নেত্রী ঐ বাড়ী ভালবাসার নিদর্শনের প্রতিদানে সেই পরিবারকেই ঘর তোলে মাথা গোঁজার ব্যাবস্থা করে দিয়েছেন। রাজনীতির ভাগ্যের অমোঘবিধানে আজকে জাতির জনকের কন্যাদ্বয়ের মাথাগোজার ঠাঁই সারা বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধু পাগল কোটি জনতার ঘরে,আর যারা বের করেছিল রাষ্ট্রীয় বাড়ী গাড়ী দখল করেছিল,সম্পদ লুট করে রাতারাতি চেড়াগেঞ্জী,ভাঙ্গাস্যুটকেস ভরে তুলেছিলেন ভোগের আশায়,। তাঁরাই একে একে দেশান্তরী হয়ে নতুন নতুন ষড়যন্ত্রে মেতে উঠছেন। @না!!! @ ভাবার কোন কারন নেই, রাষ্ট্র তাঁদের যেতে বাধ্য করেনি,আত্মহমিকাই তাঁদের নিয়ে যাচ্ছে একের পর এক বিদেশ বিভুঁইয়ে।মৃত্যুর কোলে সঁপে দিচ্ছেন অজানা অচেনা জনপথে।ইহাই মনে হয় বিধাতার শাস্তি,ইহাই মনে হয় পবিত্র কোরানে আল্লাহ ঘোষিত পৃথিবীর দোজগ,উদাহরন হয়ে থাকার জন্য আল্লাহপাক মাঝে মাঝে দেখান।

স্বেচ্ছায় নির্বাসীত নেত্রীকে দেশে ফিরিয়ে এনে রাজনীতিতে পুর্নবাসনকল্পে জানু নেতাদের কৌশল নতুন করে সংলাপ ভীক্ষা চাওয়া।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা