জাতীয় ও আন্তজাতিক ষড়যন্ত্র ব্যর্থ;যথারীতি দুই মানবতা বিরুধি অপরাধির দন্ড কায্যকর-- ================================== যুদ্ধাপরাধের বিচার ঠেকাতে বিএনপি ও জামায়াত বহু মূখি চেষ্টা অব্যাহত রেখেছিল। দেশে ও বিদেশে এসব ষড়যন্ত্রের নীলনকশা বাস্তবায়নে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছে দল দুটি। এসবের সঙ্গে দলের পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধের দায়ে দণ্ডিত ২১শে আগষ্ট,জেল হত্যায় জড়িত বিদেশে পালিয়ে বেড়ানো আসামী এবং তাদের পরিবারের সদস্যরাও জড়িত ছিল বলে দেশি বিদেশী গনমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হচ্ছে। মানবতা বিরুধি বিচার ঠেকাতে বিএনপি -জামায়াত সাকা-সাঈদীকেই প্রধান অস্ত্র হিসেবে ব্যাবহার করার কৌশল অবলম্বন করেছিল বলে প্রকাশিত সংবাদ পয্যালোচনা করে দেখা যায়।দুই জনকে মূর্খ হিসেবে সামনে নিয়ে এসে ষড়যন্ত্র করার বহুবিদ কারন আছে। কারন সমুহ পয্যালোচনা করলে দেখা যায় উহার যথার্থতা, যথেষ্ট যুক্তি,সংগত আইনি ভীত্তি, বহুবিদ সহায়ক উপকরন বিদ্যমান রয়েছে,আমি মনে করি। তবে বিষয়গুলি পয্যালোচনা করে দেখা যেতে পারে গনমানুষের মনে শেষ পয্যায় সংশয় সৃষ্টি হওয়ার পিছনে কোন ব্যাপার গুলি সংগত ভাবে কাজ করেছে? তাঁদের ধারনা ছিল সাকা পরিবার পাকিস্থানিদের সাথে বিশেষ সম্পর্ক এবং ফকা চৌধুরীর পাকিস্তান আমলের অর্জিত ইমেজ কে কাজে লাগিয়ে মানবতা বিরুধি অপরাধের বিচার প্রক্রিয়াই বাঞ্চাল করে দিতে পারবে।সে লক্ষ নিয়ে বিদেশে লবিষ্ট নিয়োগ থেকে আরাম্ভ করে বিশ্বের ক্ষমতাধর ব্যাক্তি বিশেষকেও কাজে লাগানো হয়েছিল। দেশ বিদেশের পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত জামায়াত--বিএনপির বহুবিদ ষড়যন্ত্রের মধ্যে নিম্নের বিষয়গুলি অধিকতর গুরুত্ব বহন করে বলে আমি মনে করি। ""প্রথম বিচার কায্য আরাম্ভ হলে ট্রাইবুনালকে বিতর্কিত করার জন্য বিচারপতির স্কাইপি কেলেংকারি, একদিন আগেই সাকার রায়ের কপি ফাঁস, বিদেশে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ, বিভিন্ন রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির ফোন, চিঠি, বিচার নিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার বিবৃতি, আন্তর্জাতিক প্রোপাগান্ডা, সামাজিক মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার, বিচারপতি এবং সংশ্লিষ্টদের হুমকি দেশের অভ্যন্তরে নানাভাবে অস্থিরতা সৃষ্টি করার জন্য খুন ও গুপ্ত হামলা, আমেরিকার সিনেট সদস্যদের জাল সই সম্বলিত বিবৃতি,মক্কা মদিনা শরিফের ইমামের নামে মিথ্যা বিবৃতিদানের কাহিনী প্রচার,সর্বচ্চো বিচারালয়ে জাল সার্টিফিকেট সরবরাহ,প্রেসিডেন্ট ওবামা কতৃক বাংলাদেশের সরকার প্রধান বরাবর টেলিফোন করে মৃত্যুদন্ড মওকুফ করে যাবজ্জীবন সাজার সুপারিশ, মানবাধিকারের প্রশ্ন উত্থাপন করে সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্বদানকারি ইউরুপীয় ইউনিয়নের দুতাবাস সমুহকে মৃত্যুদন্ডের বিপক্ষে বিবৃতি দানে বাধ্য করা পয্যন্ত তাঁরা সক্ষম হয়।"" এক্ষেত্রে সাকার পরিবারের ইমেজ এর পাশাপাশি দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ওয়াজীন হিসেবে আন্তজাতিক খ্যাতি,মোজাহিদের দলের শীর্ষ নেতার অবস্থানকে মুল পুঁজি হিসেবে ব্যাবহার করা হয়। যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচাল এবং কারাবন্দি নেতাদের মুক্ত করতে জাতীয় ও আন্তজাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই গত ৪/৫ বছরের রাজনীতি, সন্ত্রাস, আগুন সন্ত্রাস,ধর্মীয় মৌলবাদিদের লোভলালসার মাধ্যমে ধর্মীয় উম্মাদনা সৃষ্টি করে সাধারন মানুষের ধর্ম বিশ্বাসকে বিভ্রান্ত করা সহ চতূর্মুখী কর্মকান্ড পরিচালিত হয়েছে। এছাড়া পথে ঘাটে নাশকতা সৃষ্টি করে জঙ্গীদের নামে স্বীকারোক্তি,বাহিরে দলীয় বুদ্ধিজীবিদের বেসরকারি টিভি চ্যানেলে টাকার বিনিময়ে টকশোতে দাওয়াত গ্রহন পুর্বক গভীর রাত পয্যন্ত ইনিয়ে বিনিয়ে বিচারের বিরুদ্ধে জনমত সংগ্রহের চেষ্টা, ব্লগার,প্রকাশক হত্যা করে আন্তজাতিক জঙ্গী সংগঠনের উপস্থিতির প্রমানে প্রানান্তকর চেষ্টা সহ নানা ধরনের অপরাধ এবং ষড়যন্ত্র করে চলেছে দল দুটির বাছাই করা নেতাকর্মি ও সুশিল সমাজ।এই সমস্ত অপকর্মে জড়িত নেতাকর্মি ও সুশিলদের মোটা অংকের টাকা এবং ভবিষ্যতের নিশ্চিত জীবন জীবিকার গ্যারান্টিও দেয়া হয়েছে,তাঁদের দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নকারি নির্দিষ্ট কমিটির পক্ষ থেকে। যুদ্ধাপরাধের বিচার নস্যাতে সব ধরনের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে সরকার দৃডতার সংজ্ঞে অগ্রসর হয়েছেন এবং হচ্ছেন। বিচারে প্রভাব ফেলতে দেশে নাশকতার পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধের বিচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিচারপতি, প্রসিকিউটরসহ সরকার পক্ষের লোকজনের অনেকের তালিকা করে হত্যার হুমকি দিয়ে মানষিকভাবে দুর্বল করে দেয়ার কৌশল অবলম্বন করে।এতে উল্লেখিত ব্যাক্তিবর্গ তাঁদের পরিবার ভয়ে অনেকে নিরাপত্তা ঝুঁকির বিবেচনায় সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করে।সরকারের কর্মকর্তা,আইন প্রয়োগকারি সংস্থাকে ভীতির মধ্যে রেখে সরকারকে বিভ্রান্ত করার কৌশল অবলম্বন করে। সরকারের মধ্যে থাকা তাঁদের লোকেরা অগ্রবর্তি হয়ে হাউকাউ শুরু করে নিরাপত্তায় পুলিশি ব্যাবস্থার দাবি উত্থাপনও করে।এই বিভ্রান্তি প্রচেষ্টায় তাঁরা আংশিক সফল হয়েছে বলে আমি মনে করি।মুলত;সমগ্র প্রশাসন ব্যাবস্থায় বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টার অংশ পুলিশ হত্যা। কেউ কেউ ঘর থেকে পরিবার নিয়ে বের হতে পারছেন না বলেও প্রচার করতে দেখা গেছে। মুলত:মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সাহিত্যিক,সাংবাদিক,লেখক,প্রকাশক,বুদ্ধিজীবিদের টার্গেট করেছে জামায়াত-শিবিরের দুর্বৃত্তরা--,সরকারি কর্মকর্তাদের নয়। দালাল কর্মকর্তাদের জন্য উপযুক্ত পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়ার পরও তাদের ভীতি কাটছে না বলে প্রচার প্রপাগান্ড অব্যাহত রাখে। তাঁদের কর্মকর্তাদের পাতানো ফাঁদে পড়ে বিচারের পক্ষের সরকারি কর্মকর্তারাও কেউ কেউ হাউকাউ করে পানি বেশি গোলা করে ফেলেছেন বলে আমি মনে করি। লক্ষ করলে দেখা যায়,প্রত্যেকটি ষড়যন্ত্রের মুলে সাকা,সাঈদী কে তাঁরা সামনে রাখার চেষ্টা করেছে।জাতীয় ও আন্তজাতিক পরিচিতি কাজে লাগিয়ে স্বার্থ উদ্ধার করাই তাঁদের উদ্দেশ্য,এখানেও প্রতারনার বহুবিদ কর্মে দল দু'টি নির্লজ্জভাবে জড়িত হয়েছেন। আন্তজাতিক পয্যায় ট্রাইবুনালকে বিতর্কিত করার চেষ্টায় অগ্রিম সালা উদ্দিনের রায় ফাঁস করার প্রচার চালায়।এই প্রচারনার জন্যেও তাঁদের প্রচুর টাকা খরছ করে ট্রাইবুনালের কর্মচারিদের বসে আনতে হয়েছিল। সরকার ষড়যন্ত্র ফাঁস হওয়ার সাথে সাথে তড়িৎ পদক্ষেপ গ্রহন করে প্রথমেই মুদ্রাক্ষরিক ফারুক হোসনকে গ্রেফতার করে।নয়ন আলী নামে একজনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির সুত্রধরে সম্পুর্ন গঠনা উৎঘাটন করতে সক্ষম হয়। এতে রায় ফাঁসের সঙ্গে সাকার আইনজীবীর সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেন অভিযুক্ত এবং গ্রেফতার হওয়া ব্যাক্তিরামোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে রায় ঘোষণার আগেই রায়ের কপি ফাঁস করে সালাউদ্দিনের আইজীবির হাতে তুলে দেয় তাঁরা।সরকারের বিভিন্ন সংস্থার তদন্তে মুল ঘটনার পরিকল্পনাকারি সহ উদ্দেশ্য বের হয়ে আসে। বিচারকে জাতীয় ও আন্তজাতিক ভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই কোটি কোটি টাকা শুধু এখাতেই ব্যয় করেছে দল দু'টি।অভিযুক্ত আইনজীবি বিদেশ সফরে গিয়ে আদ্যাবদি দেশে আসেননি। বর্তমান বিশ্বমোড়ল যুক্তরাষ্ট্রকে পক্ষে রাখার জন্য তাঁরা প্রথম থেকেই চেষ্টা অব্যাহত রাখে। এই জন্য কূটনৈতিক ভাবে সকল নিয়ম কানুন ভঙ্গকরে এমন কোন প্রক্রিয়া নেই যা তাঁরা আশ্রয় নেয়নি।প্রথম থেকেই যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়া ও আওয়ামী লীগ সরকারের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মনোভাবকে প্রভাবিত করতে অর্গানাইজেশন ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিজ ইনক-. নামে একটি প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের লবিস্ট ফার্ম কেসেডি অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস ইন কর্পোরেশনের সঙ্গে চুক্তি সই করে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারক ছাড়াও নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে কাজ করেন এমন গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মাঠে নামার কথা বলা হয়েছে। জামায়াতের এক প্রভাবশালী নেতা ও তার ভাই ২০১১ সালে তিন লাখ ১০ হাজার ডলারের বিনিময়ে প্রাথমিকভাবে তিন মাসের জন্য কেসেডি অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসকে নিয়োগ করেন। প্রতিষ্ঠানগুলো বিচারের মুখোমুখি হওয়া জামায়াত নেতাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছে বলে আন্তজাতিক মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হয়েছে।মোটা টাকা খরছ করার যথাযথ ফল ও পেয়েছে দল দুইটি।প্রথমেই জামায়াতের সাবেক আমীর ও যুদ্ধাপরাধী (মৃত) গোলাম আযমসহ অন্যদের ফাঁসি না দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে বিচার শেষ হওয়ার আগেই ২০১২ সালে চিঠি পাঠিয়েছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রভাবশালী ব্যাক্তি বর্গরা। এই চিঠির বিষয়বস্তু আবার আন্তজাতিক মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচারের ব্যাবস্থাও করেছিলেন।নিয়মিত বিশ্বের বিভিন্ন সংগঠন মৃত্যুদন্ড না দেয়ার জন্য সরকারকে অনুরুধ করে চিঠি,বিবৃতি টেলিফোন ইত্যাদি নানাভাবে অনুরুধ উপরুধ আসতেই থাকেসরকারের সংশ্লিষ্ট মহলে।সরকারি সুত্র বিষয়টি মিডিয়াকে নিশ্চিত করে জানায়, এ বিচারকে প্রভাবিত করতে বিদেশী বিভিন্ন ধরনের সংগঠন বিবৃতি দিচ্ছে সত্য।সুত্র নিশ্চিত হতে পেরেছে এজন্য অধিকাংশ সংগঠন মোটা অংকের অর্থ নিয়ে এ ধরনের বিবৃতি দিচ্ছে। সর্বশেষ এই কয়দিনে তাঁদের তৎপরতা দেশী বিদেশী কারো চোখ এড়াতে পারেনি,একরকম মরিয়া হয়ে প্রকাশ্য- অপ্রকাশ্য ভাবে সমস্ত প্রপাগান্ড করা হয়েছে। বিএনপি নেতা যুদ্ধাপরাধী সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং জামায়াতে ইসলামীর নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড অবিলম্বে স্থগিত চেয়ে বিবৃতি দেয় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। গত শুক্রবার সংস্থাটির ওয়েবসাইটে দু’জনের ফাঁসি স্থগিত চেয়ে বিবৃতি দেয়া হয়েছে। দু’জনের মামলায় ‘স্বাধীন ও নিরপেক্ষ পর্যালোচনারও’ দাবি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটি। আগেও একই ধরনের আহ্বান জানিয়েছিল সংস্থাটি, যার কড়া সমালোচনা করেছিল বাংলাদেশ সরকার।নির্লজ্জ সংস্থাটি তাঁরপর ও বিবৃতি দিয়ে আবারও আগের কথাটাই নতুন করে বলতে চেয়েছে। বাংলাদেশ সরকার যেভাবে দেশীবিদেশী ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে বাংলাদেশকে যুদ্ধঅপরাধের দীর্ঘ লালিত কলংক মুক্ত করার প্রয়াস অব্যাহত রেখেছেন, ইহা ইতিহাসের এক নজিরবিহীন ঘটনা।বিশেষ করে আমাদের মত তৃতীয় বিশ্বের একটা দেশের সরকার ধনী দেশগুলীর বিরুধিতা ক্ষেত্র বিশেষ চক্রান্ত উপেক্ষা করে বিচার এগিয়ে নেয়া নি:সন্দেহে কঠিন পরিস্থিতির মোকাবেলা করা ছাড়া আর কিছুই নয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের কন্যা যদি সরকার প্রধান নাহতেন আরো শতবছর পরও জাতি কলংক মুক্ত হতে পারতো বলে আমি মনে করিনা।দেশরত্ম শেখ হাসিনা কোনভাবেই তাড়াহুড়ো না করে সম্পুর্ন আইনী প্রক্রিয়া শেষ হওয়া ব্যাতিরেকে কোন অপরাধির শাস্তি বাস্তবায়নে কখনই চঞ্চলতা প্রদর্শন করেছেন,কোন শত্রু ও বলতে পারবেননা। স্বাধীন বাংলাদেশে অতীতে বিভিন্ন সরকারের সময়ে বিশেষ করে" মেজর জিয়ার সরকারের" ক্ষমতা গ্রহনের পরপর বিভিন্ন কারনে দেশের মুক্তিযোদ্ধা সেনাকর্মকর্তা এবং দেশের বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গের বিচার অত্যান্ত গোপনীয় ভাবে, নির্দিষ্ট বিচারকক্ষে অনুষ্ঠিত হতে দেখা গেছে। এমন নজীরও স্থাপন করেছিল বিচারালয়ে সাংবাদিকতো দুরের কথা কোন আইনজীবির মাধ্যমে আইনি পরামর্শ নেয়ার সুযোগ পয্যন্ত দেয়া হয়নি। উচ্চ আদালতের আপিলের মাধ্যমে সুবিচার পাওয়ার সুযোগ--যাহা "অভিযুক্তের মৌলিক সাংবিধানিক নাগরিক অধিকার" তাহাও কোন অভিযুক্তকে দেয়া হয়নি।আইন বিশেষজ্ঞদের অভিমত প্রত্যেকটি ফাঁসি " রাষ্ট্রীয় হত্যা "ছাড়া অন্য কিছুই ছিলনা।সংগোপনে বিচারের নামে প্রহসন করে ফাঁসির দড়িতে ঝুলানো হয়েছিল।কোন প্রকার আইনী প্রক্রিয়া সমাপ্ত করা ছাড়াই মাত্র ২/৩ মাসের মধ্যে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দন্ড কায্যকর করতে দেখা গেছে।যাহা সভ্য দুনিয়ায় চিন্তাও করা যায়না। তেমনটি বর্তমান সরকারের সময়ে দেখা যাচ্ছেনা। কোন প্রকার তাড়াহুড়ো না করে বিচারের সর্বশেষ পয্যায় সুচারুরুপে সমাপ্তির পর মহামান্য রাষ্ট্রপতির। "সাংবিধানিক অধিকার "প্রয়োগ করে ক্ষমা প্রদর্শনের ধাপ অতিক্রম করা ছাড়া কোন অপরাধির দন্ড অদ্যাবদি কায্যকর হয়েছে বলে চরম শত্রুও অভিযোগ উত্থাপন করতে পারেনি। সরকারের বিচার অনুষ্ঠানের প্রক্রিয়াগত দিক নিয়ে সম্ভবত উল্লেখিত কারনে কোন আন্তজাতিকভাবে স্বীকৃৃত সংস্থা বা জাতিসংঘের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ অদ্যাবদি উত্থাপিত হয়নি।বিচার অনুষ্ঠানের স্বচ্ছতা,অভিযুক্তের আইনী সহায়তা পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করন,সাফাই সাক্ষী দেয়ার বিধান যথাযথ অনুসরন,সাক্ষীদের জেরার পয্যাপ্ত সুযোগনিশ্চিত করন, অভিযোগ প্রমানে প্রত্যক্ষদর্শির সাক্ষকে গুরুত্ব দেয়া,যথাযথ লিখিত প্রমান সংরক্ষন,নথিপয্যালোচনায় বিচক্ষনতা,সরকারী কৌশলিদের ধৈয্য ইত্যাদি আইনি প্রক্রিয়া অনুসরনের কারনে বিচার সুষ্ঠ, ন্যায়, যথাযথ হচ্ছে বলে আইন বিশেষজ্ঞ গন অভিমত ব্যাক্ত করেন। জাতীয় ও আন্তজাতিক ষড়যন্ত্রকে সরকার দৃডতার সাথে মোকাবেলা করে বিচার অনুষ্ঠানকে দেশবাসি আকুন্ঠ সমর্থন দেয়ার কারনে সরকার নৈতিক ভাবে অনেকটা বলিয়ান হতে পেরেছে।জনগনের সমর্থন,সরকারের ধৈয্য ও সহনশীলতা,স্বচ্ছতা,যথাযথ তথ্যপ্রমান যথাসময়ে হাজির করে মামলা প্রমানের সদিচ্ছাই কোনপ্রকার ষড়যন্ত্র মানবতা বিরুধিঅপরাধের বিচারের বেলায় কায্যকর হচ্ছেনা বলে বিশেষজ্ঞগন অভিমত ব্যাক্ত করেছেন।আমি মনে করি প্রধান মন্ত্রীর জনগনকে দেয়া অঙ্গিকার "মানবতা বিরুধি অপরাধের বিচার করার"তাঁকে সাহষি করে তুলেছে।জনগনের স্বত:স্ফুর্ত সমর্থনও এক্ষেত্রে প্রনিধান যোগ্য বলে আমি মনে করি। সকল সংশয়, জল্পনা কল্পনা,সন্দেহজনক পয্যবেক্ষনের সমাপ্তি ঘটিয়ে প্রধান দুই ব্যাক্তির দন্ড কায্যকর হওয়ায় সারা দেশে স্বস্তির আবহ সৃষ্টি হয়েছে।চক্রান্ত চতুর্দিকে ঘুরপাক খাওয়ার কারনে অনেকেই বেশ অস্বস্তিতে বিগত কয়দিন দিনাতিপাত করেছেন।বিশেষকরে তাঁদের দ্বারা অত্যাচারিত,হত্যার শিকার পরিবার,মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি,স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জিবিত নতুন প্রজর্ম্মের অগনীত মানুষ উৎকন্টিত,সংশয়ের দোলাচলে আবর্তিত ছিলেন এই কয়দিন,আইন তাঁর নির্দিষ্ট গতিতে চলবে,নাকি ষড়যন্ত্র জয়ী হবে।শেষাবদি আইনই জিতেছে।দেশব্যাপি ঈদের আমেজ পরিলক্ষিত হচ্ছে,স্থানে স্থানে উৎফুল্ল জনতা মিষ্টি বিতরন করে, মিছিল করে কোলাকোলি করে তাঁদের আনন্দ উৎযাপন করছে।মহান সৃষ্টি কর্তার নিকট শোকরিয়া আদায় করছে জনগন, দেরীতে হলেও তাঁরা জগন্য, নিকৃষ্ট দুই জানোয়ারের বিচারের দন্ড কায্যকর হতে দেখে যেতে পেরেছে। ধন্যবাদ মাননীয় প্রধান মন্ত্রী,ধন্যবাদ সদাশয় সরকার বাহাদুরকে,ধন্যবাদ মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে-- জনগনের আঁতের খবর বুঝতে পেরে" দুইজনের কৃত অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন" শেষ পয্যন্ত বাতিল করে সত্বর দন্ড কায্যকরের আদেশ প্রদান করে বিচক্ষনতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা

জাতির জনকের কন্যা বর্তমান প্রধান্মন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনার দৃড  মনোবলের কারনে দেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে,অতীতের কলংক মোছনের প্রক্রিয়ায়ও কোন কার্পন্নতা দেখা যাচ্ছে না।ধন্যবাদ মাননীয় প্রধান মন্ত্রী আপনাকে ও আপনার সরকারকে।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা