নব্য জঙ্গীদের আই,এসের নামে নতুন ৩৪জনের নামের তালিকা প্রেরন,মৃত্যু পরওয়ানা জারী,প্রসাশন নির্বিকার
আই, এস জঙ্গীদের নাম ব্যাবহার করে নতুন ৩৪ জনের তালিকা প্রেরন, মৃত্যু পরওয়ানা জারী,প্রশাসন নির্বিকার --।
==============================
===
মাননীয় প্রধান মন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনা,আপনার সরকারের প্রসাশন যন্ত্র দিয়ে নব্য জামাত শিবিরের আই এস, নির্মুল করা সম্ভব হবে না।১৯৭২ ইং থেকে শুরু হওয়া হত্যা ঘুম খুন আজ অবদি সমানে চালিয়ে যাচ্ছে প্রগতি শীল লেখক,সাংবাদিক,স
াহিত্যিক,প্রগিতিশীল রাজনৈতিক ব্যাক্তি,সংসদ সদস্য সহ সমাজের বুদ্ধিদিপ্ত মানুষ জনের উপর।কখনও শ্রেনী শত্রু খতমের নামে,কখনও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ গন্য করে,কখনও নাস্তিক উপাধি দিয়ে, কখনও কমিউনিষ্ট বলে।কখন ও তাঁদের নিকট আদাত কখনও বেদা'দ।তাঁরা কখনও পাকিস্থান রক্ষা করার অজুহাতে কখনও ধর্ম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকারের ওয়াদায় ।তাঁরা কখনও বাংলা ভাই,কখনও মোজাহেদীন আবার কখনও বা আনসারুল।কখনও ইসলামী জঙ্গী কখনও সাম্যবাদী বিপ্লবী।কখনও আই, এস জঙ্গী কখনও হেজবুতে তাহরীরের জঙ্গী।মৃত্যুর কবলে সব সময় প্রগতির ধারার বুদ্ধিজীবি,লেখক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক,সমাজের মুক্তচিন্তার মেধাবিমুখ।আপনার নিশ্চয়ই জানা আছে মুক্তি যুদ্ধের শেষ পয্যায়,যখন তাঁরা বুঝতে পেরেছিল পরাজয় নিশ্চিত,তখন তাঁরা হত্যা যজ্ঞে মেতে উঠে এই দেশের বুদ্ধিজীবি, সাংবাদিক,সাহিত্যিকদের।আমরা প্রতি বছর ১৪ই ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবি হত্যা দিবস পালন করি।১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস পালন করি।মাত্র দুই দিনের ব্যাবধানে তাঁরা সেদিন হত্যা করেছিল দেশের প্রায় সকল বুদ্ধিজীদের,মেধ
াশুন্য করে দিয়েছিল মাত্র ৪/৫ দিনের মধ্যে।তাঁর পরের ঘটনা আপনার নখদর্পনে আছে। -৭২ থেকে ৭৫ শ্রেনী শত্রু খতম করার নামে তথাকথিত বিপ্লবীরা হত্যা করেছিল আওয়ামী লীগের অনেক এম,পি, মন্ত্রী সহ নেতাদের।'৭৫এর ১৫ ই আগষ্ট তাঁরা সামরিক অভ্যুত্থানের নাম দিয়ে জাতির জনক সহ আপনার অনেক আত্মীয়স্বজনকে হত্যা করেছে।আপনি এবং আপনার বোন শেখ রেহেনা যদি সেদিন বাংলাদেশের যেকোন স্থানে থাকতেন নিশ্চিত মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে হত।,ওরা জেল খানায় বন্দি অবস্থায়ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে।ওরা বার বার আপনার উপর হত্যা প্রচেষ্টা চালিয়েছে,আল্লাহর অসিম কৃপায় আপনি বেঁচে আছেন,বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।ওরা আহসান উল্ল্যা মাষ্টার,কিবরীয়া সহ অসংখ্য নেতাকে হত্যা করেছে।চট্রগ্রাম লালদীঘি ময়দানে ব্রাশ ফায়ার করে আপনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল,আল্লাহর রহমতে আপনি বেঁচে গেছেন কিন্তু মৃত্যু হয়েছে অসংখ্য নেতা কর্মীর।বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কথা মনে হলে স্থীর রাখতে পারিনা নীজেকে।কিভাবে আপনি রক্ষা পেয়েছিলেন জানিনা,কোত্থেকে এই হত্যার পরিকল্পনা হয়েছিল তা কি আপনার জানার বাহিরে আছে?সে দিন আই,ভি রহমান সহ ২৯ জন নেতা সেখানেই অথবা হাসপাতালে মারা গেল।উদিচির বর্ষবরনে হামলা হল, নিরীহ অনেক মানুষ মারা গেল।এই ভাবে কি চলতে দিবেন?এই ভাবেই কি চলবে? হত্যার শিকার হবে নিরিহ লিখক, সাংবাদিক সাহিত্যিক আমরা রাজপথে মিছিল করে বিচার চাইব সারা বছর? আপনার উপর দেশীয়, আন্তজাতিক ষড়যন্ত্র হবে আমরা রাজপথ কাঁপানো শ্লোগানে শ্লোগানে আকাশ বাতাস বিদীর্ন করবো?কেন সব সময় প্রগতির ধারক বাহকেরা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করবে? প্রগতির পক্ষের এমন কি কোন নরপিশাচ নেই মৌলবাদিদের হত্যা করার মত? কারো কি সাহষের অভাব আছে?নিশ্চই ভীরু কাপুরুষ সবাই,সব সময় গর্দান রেখে দেয় তলোয়ারের নীছে।হত্যার বদলে হত্যা ইসলামে স্বীকৃত। মানুষ হত্যা ইসলামে মহাপাঁপ ।হত্যা কারী কোন সময়ে বেহেস্তে যেতে পারবে না।রক্তের বদলা নিলে পাপ হবে না।কেন এখনও বসে আছে প্রগতির ধারক বাহকেরা।কিসের আশায় বসে আছে সবাই হাত গুটিয়ে।কখনতো শুনা যায়না কোন মৌলবাদী লেখক সাংবাদিক হত্যার শিকার হয়েছে। একবার শুরু করে দেখুন সব খাঁচায় ঢুকে যাবে জঙ্গীর দল।নীজের দলের আনুগত্য প্রকাশে বিলম্ব হলে হত্যা করে পথ পরিষ্কার করতে পারেন, জঙ্গী হত্যা করে আজীবন রাজার হালে থাকার ব্যাবস্থা পাকাপোক্ত করুন না।দেখবেন আর বাংলাদেশে জঙ্গী বলতে কিছুই থাকবেনা।যতজন আওয়ামী লীগ এম,পি, মন্ত্রী, নেতা মারা গেছে তার অর্ধেক যদি তাঁরা মারা যেত চিরজীবনেও আর জঙ্গীপনা করার ইচ্ছা জাগতোনা। আকাশ থেকে জঙ্গী নেমে হত্যাকান্ড ঘটিয়ে আকাশে মিলিয়ে যায়নি, তাঁরা আছে আমার আপনার আশে পাশে। তাঁদের হত্যা করে কেহ দোযগে যাবে না, কারন তাঁরা মানুষ হত্যা করে দোযগের টিকেট কিনে নিয়েছে,হত্যার বদলা হত্যায় পাপ নেই। সুতারাং বিচারের আশায় বসে থেকে কোন লাভ হবেনা।মাননীয় নেত্রী বিষ দলের নেত্রী জঙ্গীদের সরাসরি মদদ দিচ্ছে,আপনাকে তাও দিতে হবেনা।শুধুমাত্র একটু নমনীয় হলেই চলবে।এতে দোষের কিছুই হবেনা,বাংলাদেশের মানুষের ভুলোমন,নির্বাচনের চার বছর বাকী আছে,তখন লম্বা লম্বা কথা বললেই মানুষ ঠিক হয়ে যাবে।জঙ্গী মদদের সুস্পষ্ট প্রমানের পরও যদি খালেদা বন্দনা হতে পারে আপনিতো মদদ দিবেন না, সামান্য করুনা দেখাবেন।ইনশাল্লাহ আর সমস্যা আগামী শতবছরেও হবেনা।আগামী প্রজর্ম্ম নিশ্চিন্তে জঙ্গীভাবনাহীন জীবন যাপন করতে পারবে।শব্দটি যাদুঘরে আশ্রয় নিবে,দর্শকদের সামনেও আর কখনই শব্দটি আসবেনা কুৎসীৎ চেহারা দেখাতে।
মুক্তমনাদের উদ্দেশ্যে আমার অন্তরের গভীর থেকে একটা সাজেসন উৎগীরন করতে চাই,যদিও এখানে '৫৭ ধারার খড়ক আমার উপর তেড়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।তারপর ও বলতে চাই নতুন ৩৪ জনের তালিকা দেখে আমার মাথা ঠিক নেই,৫৭০০ধারাকেও আমি ভয় পাচ্ছিনা,কারন ১নম্বরে আমার প্রীয় লেখক বুদ্ধিজীবি ২১শে গানের রচয়িতা জনাব আবদুল গাফফার সাহেবের নাম আমি দেখেছি।
আজকে থেকে মৌলবাদিদের তালিকা প্রনয়ন করে ঠিকানাহীন একাউন্ট থেকে পত্রিকা অফিসে পাঠিয়ে দিন।ওরা দিয়েছে নতুন করে ৩৪ জনের তালিকা। আপনারা দেন ৩৪০ জনের তালিকা।তাহলেই কেল্লাপাত।দেখবেন আর জঙ্গীর হুমকিতে থেকে আপনাকে রাজপথে বা অফিসে কাঁপতে হবেনা।একবার চিন্তা করে দেখুন শেখ হাসিনার উপর যতবার হত্যা চেষ্টা হয়েছে খালেদার উপর কি একবার হয়েছে।দুই একবারও যদি হত তাহলে আজকের আই,এস বাংলাদেশে উৎপত্তি হতনা।পরিশেষে বলতে চাই আসুন আমরা মৌলবাদি শক্তিকে সামাজিক ভাবে নয়,রাষ্ট্রীয় প্রসাশন দিয়ে হবেনা ঐ খানেও জঙ্গীবাদের ভূত আছে।একের বদলা দশের হিসেবে প্রতিরোধ গড়ে তুলি।বাংলাদেশ থেকে মৌলবাদ, জঙ্গীবাদের চির অবসান ঘটিয়ে দেই।
এবার দেখে নেয়া যাক নতুন ৩৪ জনের মধ্যে ভাগ্যবান ব্যাক্তি কে কে আছেন---আনসার আল ইসলাম, আলকায়দা ভারতীয় উপমহাদেশের হিটলিস্টে ঝুলছে ৩৪ জনের নাম। যারা লেখক, কবি, সাহিত্যিক, নাট্যকার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, আইনজীবী, সাংবাদিক, রাজনীতিক কর্মী, চিকিৎসক, ব্লগার ও গণজাগরণ মঞ্চের সক্রিয় কর্মী। তাদের মধ্যে অনেকেই আবার প্রবাসীও।‘কে হবে আমাদের পরবর্তী টার্গেট’ শিরোনামের হিটলিস্টটি পাওয়া গেছে। এর লেখা অনুযায়ী আনসার আল-ইসলাম হিটলিস্টটি প্রকাশ করে গত ৮ নভেম্বর। কোন দেশের বাসিন্দা তা-ও লিখা রয়েছে হিটলিস্টে।
হিটলিস্টে নাম থাকা কয়েকজন এ প্রতিবেদকের কাছে দাবি করেছেন পূর্বের হিটলিস্টে তাদের নাম ছিল না। তারা বলছেন, অতিসম্প্রতি তাদের কাছে ফেসবুকের মাধ্যমে নিজেদের প্যাডে কম্পিউটার কম্পোজ করা হিটলিস্টটি পাঠিয়ে দিয়েছে আনসার আল ইসলাম।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একজন কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, হিটলিস্ট পাঠানোর মাধ্যম তারা বিশ্লেষণ করছেন। এর বেশি তিনি আর কিছু বলতে চাননি।
ধারাবাহিকভাবে নামগুলো হচ্ছে আবদুল গাফফার চৌধুরী- লন্ডন, জাফর ইকবাল- বাংলাদেশ, দাঊদ হায়দার জার্মানি, নির্মলেন্দু গুণ-বাংলাদেশ, মহাদেব সাহা- বাংলাদেশ, তসলিমা নাসরিন- আমেরিকা, শাহরিয়ার কবির- বাংলাদেশ, আবেদ খান- বাংলাদেশ, মুনতাসির মামুন- বাংলাদেশ, মফিদুল হক- বাংলাদেশ, মোহাম্মদ এ আরাফাত- বাংলাদেশ, মাহবুবুর রহমান জালাল- টেক্সাস, আমেরিকা, রামেন্দু মজুমদার- বাংলাদেশ, সৈয়দ আনোয়ার হোসেন- বাংলাদেশ, রায়হান রশিদ- লন্ডন, সৈয়দ হাসান ইমাম- বাংলাদেশ, তুরিন আফরোজ- বাংলাদেশ, অমি রহমান পিয়াল- বাংলাদেশ, খালেদুর রহমান শাকিল- বাংলাদেশ, আরিফ রহমান- লন্ডন, ইমরান এইচ সরকার- বাংলাদেশ, আরিফ জেবতিক- বাংলাদেশ, বাপ্পাদিত্য বসু- বাংলাদেশ, আসিফ মহিউদ্দিন- জার্মানি, অনন্য আজাদ- জার্মানি, কামাল পাশা চৌধুরী- বাংলাদেশ, লাকি আকতার- বাংলাদেশ, জনার্ধন দত্ত নান্টু- বাংলাদেশ, ইব্রাহিম খলিল সবাক- বাংলাদেশ, ডা. নাজমুল হাসান- বাংলাদেশ, আরিফুজ্জামান পৃথিল- বাংলাদেশ, কানিজ আকলিমা সুলতানা- বাংলাদেশ, এফএম শাহিন- বাংলাদেশ ও সাম্মি হক- বাংলাদেশ।
এরপরও কি বলবেন আমি এতক্ষন পাগলের প্রলাপ বকেছি?এরপরও কি বলবেন আমি অন্যায় কথা বলেছি?এরপরও কি আমি আপনি বসে থাকতে পারি?তালিকা দিয়ে তাঁরা জ্যান্ত মানুষকে কবরের অন্ধকারে ঠেলে দিবেন, মুক্তমনারা কেন তাঁদের কবরে পাঠাতে পারবেন না?
সফি হুজুরের পাপের কারনে এখন রাস্তায় বের হননা।এরাও নামাজরত, প্রার্থনারত অবস্থায় মানুষ হত্যা করে পাপের সাগরে ডুবে আছে,এদেরকে হেদায়েত করে লাভ হবেনা।হত্যাকরে রক্তের বদলা নিলে পাপ মোচন হবে।আল্লাহ পবিত্র কোরানের কোথাও বলেন নাই, মানুষ হত্যা করে বেহেস্তে যাওয়া যাবে।সেই রকম যদি বলতেন তাহলে বর্তমান বিশ্বে একজন বিধর্মীও পাওয়া যেতনা জানার জন্য তাঁর আচরন কেমন,ধর্ম কেমন,খায় কি,চলে কেমন জানার জন্য।মুসলমান নৃপতিদের মধ্যে বহু শক্তিধর খলিফা,বাদশা,সেনাপতি, জম্ম নিয়েছেন, তেমন হলে তাঁরা তাদের আল্লাহ প্রদত্ত শক্তিকে কাজে লাগিয়ে একাই কিনে পেলতেন সাত বেহেস্ত।
জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু
জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা
==============================
===
মাননীয় প্রধান মন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনা,আপনার সরকারের প্রসাশন যন্ত্র দিয়ে নব্য জামাত শিবিরের আই এস, নির্মুল করা সম্ভব হবে না।১৯৭২ ইং থেকে শুরু হওয়া হত্যা ঘুম খুন আজ অবদি সমানে চালিয়ে যাচ্ছে প্রগতি শীল লেখক,সাংবাদিক,স
াহিত্যিক,প্রগিতিশীল রাজনৈতিক ব্যাক্তি,সংসদ সদস্য সহ সমাজের বুদ্ধিদিপ্ত মানুষ জনের উপর।কখনও শ্রেনী শত্রু খতমের নামে,কখনও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ গন্য করে,কখনও নাস্তিক উপাধি দিয়ে, কখনও কমিউনিষ্ট বলে।কখন ও তাঁদের নিকট আদাত কখনও বেদা'দ।তাঁরা কখনও পাকিস্থান রক্ষা করার অজুহাতে কখনও ধর্ম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকারের ওয়াদায় ।তাঁরা কখনও বাংলা ভাই,কখনও মোজাহেদীন আবার কখনও বা আনসারুল।কখনও ইসলামী জঙ্গী কখনও সাম্যবাদী বিপ্লবী।কখনও আই, এস জঙ্গী কখনও হেজবুতে তাহরীরের জঙ্গী।মৃত্যুর কবলে সব সময় প্রগতির ধারার বুদ্ধিজীবি,লেখক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক,সমাজের মুক্তচিন্তার মেধাবিমুখ।আপনার নিশ্চয়ই জানা আছে মুক্তি যুদ্ধের শেষ পয্যায়,যখন তাঁরা বুঝতে পেরেছিল পরাজয় নিশ্চিত,তখন তাঁরা হত্যা যজ্ঞে মেতে উঠে এই দেশের বুদ্ধিজীবি, সাংবাদিক,সাহিত্যিকদের।আমরা প্রতি বছর ১৪ই ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবি হত্যা দিবস পালন করি।১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস পালন করি।মাত্র দুই দিনের ব্যাবধানে তাঁরা সেদিন হত্যা করেছিল দেশের প্রায় সকল বুদ্ধিজীদের,মেধ
াশুন্য করে দিয়েছিল মাত্র ৪/৫ দিনের মধ্যে।তাঁর পরের ঘটনা আপনার নখদর্পনে আছে। -৭২ থেকে ৭৫ শ্রেনী শত্রু খতম করার নামে তথাকথিত বিপ্লবীরা হত্যা করেছিল আওয়ামী লীগের অনেক এম,পি, মন্ত্রী সহ নেতাদের।'৭৫এর ১৫ ই আগষ্ট তাঁরা সামরিক অভ্যুত্থানের নাম দিয়ে জাতির জনক সহ আপনার অনেক আত্মীয়স্বজনকে হত্যা করেছে।আপনি এবং আপনার বোন শেখ রেহেনা যদি সেদিন বাংলাদেশের যেকোন স্থানে থাকতেন নিশ্চিত মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে হত।,ওরা জেল খানায় বন্দি অবস্থায়ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে।ওরা বার বার আপনার উপর হত্যা প্রচেষ্টা চালিয়েছে,আল্লাহর অসিম কৃপায় আপনি বেঁচে আছেন,বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।ওরা আহসান উল্ল্যা মাষ্টার,কিবরীয়া সহ অসংখ্য নেতাকে হত্যা করেছে।চট্রগ্রাম লালদীঘি ময়দানে ব্রাশ ফায়ার করে আপনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল,আল্লাহর রহমতে আপনি বেঁচে গেছেন কিন্তু মৃত্যু হয়েছে অসংখ্য নেতা কর্মীর।বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কথা মনে হলে স্থীর রাখতে পারিনা নীজেকে।কিভাবে আপনি রক্ষা পেয়েছিলেন জানিনা,কোত্থেকে এই হত্যার পরিকল্পনা হয়েছিল তা কি আপনার জানার বাহিরে আছে?সে দিন আই,ভি রহমান সহ ২৯ জন নেতা সেখানেই অথবা হাসপাতালে মারা গেল।উদিচির বর্ষবরনে হামলা হল, নিরীহ অনেক মানুষ মারা গেল।এই ভাবে কি চলতে দিবেন?এই ভাবেই কি চলবে? হত্যার শিকার হবে নিরিহ লিখক, সাংবাদিক সাহিত্যিক আমরা রাজপথে মিছিল করে বিচার চাইব সারা বছর? আপনার উপর দেশীয়, আন্তজাতিক ষড়যন্ত্র হবে আমরা রাজপথ কাঁপানো শ্লোগানে শ্লোগানে আকাশ বাতাস বিদীর্ন করবো?কেন সব সময় প্রগতির ধারক বাহকেরা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করবে? প্রগতির পক্ষের এমন কি কোন নরপিশাচ নেই মৌলবাদিদের হত্যা করার মত? কারো কি সাহষের অভাব আছে?নিশ্চই ভীরু কাপুরুষ সবাই,সব সময় গর্দান রেখে দেয় তলোয়ারের নীছে।হত্যার বদলে হত্যা ইসলামে স্বীকৃত। মানুষ হত্যা ইসলামে মহাপাঁপ ।হত্যা কারী কোন সময়ে বেহেস্তে যেতে পারবে না।রক্তের বদলা নিলে পাপ হবে না।কেন এখনও বসে আছে প্রগতির ধারক বাহকেরা।কিসের আশায় বসে আছে সবাই হাত গুটিয়ে।কখনতো শুনা যায়না কোন মৌলবাদী লেখক সাংবাদিক হত্যার শিকার হয়েছে। একবার শুরু করে দেখুন সব খাঁচায় ঢুকে যাবে জঙ্গীর দল।নীজের দলের আনুগত্য প্রকাশে বিলম্ব হলে হত্যা করে পথ পরিষ্কার করতে পারেন, জঙ্গী হত্যা করে আজীবন রাজার হালে থাকার ব্যাবস্থা পাকাপোক্ত করুন না।দেখবেন আর বাংলাদেশে জঙ্গী বলতে কিছুই থাকবেনা।যতজন আওয়ামী লীগ এম,পি, মন্ত্রী, নেতা মারা গেছে তার অর্ধেক যদি তাঁরা মারা যেত চিরজীবনেও আর জঙ্গীপনা করার ইচ্ছা জাগতোনা। আকাশ থেকে জঙ্গী নেমে হত্যাকান্ড ঘটিয়ে আকাশে মিলিয়ে যায়নি, তাঁরা আছে আমার আপনার আশে পাশে। তাঁদের হত্যা করে কেহ দোযগে যাবে না, কারন তাঁরা মানুষ হত্যা করে দোযগের টিকেট কিনে নিয়েছে,হত্যার বদলা হত্যায় পাপ নেই। সুতারাং বিচারের আশায় বসে থেকে কোন লাভ হবেনা।মাননীয় নেত্রী বিষ দলের নেত্রী জঙ্গীদের সরাসরি মদদ দিচ্ছে,আপনাকে তাও দিতে হবেনা।শুধুমাত্র একটু নমনীয় হলেই চলবে।এতে দোষের কিছুই হবেনা,বাংলাদেশের মানুষের ভুলোমন,নির্বাচনের চার বছর বাকী আছে,তখন লম্বা লম্বা কথা বললেই মানুষ ঠিক হয়ে যাবে।জঙ্গী মদদের সুস্পষ্ট প্রমানের পরও যদি খালেদা বন্দনা হতে পারে আপনিতো মদদ দিবেন না, সামান্য করুনা দেখাবেন।ইনশাল্লাহ আর সমস্যা আগামী শতবছরেও হবেনা।আগামী প্রজর্ম্ম নিশ্চিন্তে জঙ্গীভাবনাহীন জীবন যাপন করতে পারবে।শব্দটি যাদুঘরে আশ্রয় নিবে,দর্শকদের সামনেও আর কখনই শব্দটি আসবেনা কুৎসীৎ চেহারা দেখাতে।
মুক্তমনাদের উদ্দেশ্যে আমার অন্তরের গভীর থেকে একটা সাজেসন উৎগীরন করতে চাই,যদিও এখানে '৫৭ ধারার খড়ক আমার উপর তেড়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।তারপর ও বলতে চাই নতুন ৩৪ জনের তালিকা দেখে আমার মাথা ঠিক নেই,৫৭০০ধারাকেও আমি ভয় পাচ্ছিনা,কারন ১নম্বরে আমার প্রীয় লেখক বুদ্ধিজীবি ২১শে গানের রচয়িতা জনাব আবদুল গাফফার সাহেবের নাম আমি দেখেছি।
আজকে থেকে মৌলবাদিদের তালিকা প্রনয়ন করে ঠিকানাহীন একাউন্ট থেকে পত্রিকা অফিসে পাঠিয়ে দিন।ওরা দিয়েছে নতুন করে ৩৪ জনের তালিকা। আপনারা দেন ৩৪০ জনের তালিকা।তাহলেই কেল্লাপাত।দেখবেন আর জঙ্গীর হুমকিতে থেকে আপনাকে রাজপথে বা অফিসে কাঁপতে হবেনা।একবার চিন্তা করে দেখুন শেখ হাসিনার উপর যতবার হত্যা চেষ্টা হয়েছে খালেদার উপর কি একবার হয়েছে।দুই একবারও যদি হত তাহলে আজকের আই,এস বাংলাদেশে উৎপত্তি হতনা।পরিশেষে বলতে চাই আসুন আমরা মৌলবাদি শক্তিকে সামাজিক ভাবে নয়,রাষ্ট্রীয় প্রসাশন দিয়ে হবেনা ঐ খানেও জঙ্গীবাদের ভূত আছে।একের বদলা দশের হিসেবে প্রতিরোধ গড়ে তুলি।বাংলাদেশ থেকে মৌলবাদ, জঙ্গীবাদের চির অবসান ঘটিয়ে দেই।
এবার দেখে নেয়া যাক নতুন ৩৪ জনের মধ্যে ভাগ্যবান ব্যাক্তি কে কে আছেন---আনসার আল ইসলাম, আলকায়দা ভারতীয় উপমহাদেশের হিটলিস্টে ঝুলছে ৩৪ জনের নাম। যারা লেখক, কবি, সাহিত্যিক, নাট্যকার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, আইনজীবী, সাংবাদিক, রাজনীতিক কর্মী, চিকিৎসক, ব্লগার ও গণজাগরণ মঞ্চের সক্রিয় কর্মী। তাদের মধ্যে অনেকেই আবার প্রবাসীও।‘কে হবে আমাদের পরবর্তী টার্গেট’ শিরোনামের হিটলিস্টটি পাওয়া গেছে। এর লেখা অনুযায়ী আনসার আল-ইসলাম হিটলিস্টটি প্রকাশ করে গত ৮ নভেম্বর। কোন দেশের বাসিন্দা তা-ও লিখা রয়েছে হিটলিস্টে।
হিটলিস্টে নাম থাকা কয়েকজন এ প্রতিবেদকের কাছে দাবি করেছেন পূর্বের হিটলিস্টে তাদের নাম ছিল না। তারা বলছেন, অতিসম্প্রতি তাদের কাছে ফেসবুকের মাধ্যমে নিজেদের প্যাডে কম্পিউটার কম্পোজ করা হিটলিস্টটি পাঠিয়ে দিয়েছে আনসার আল ইসলাম।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একজন কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, হিটলিস্ট পাঠানোর মাধ্যম তারা বিশ্লেষণ করছেন। এর বেশি তিনি আর কিছু বলতে চাননি।
ধারাবাহিকভাবে নামগুলো হচ্ছে আবদুল গাফফার চৌধুরী- লন্ডন, জাফর ইকবাল- বাংলাদেশ, দাঊদ হায়দার জার্মানি, নির্মলেন্দু গুণ-বাংলাদেশ, মহাদেব সাহা- বাংলাদেশ, তসলিমা নাসরিন- আমেরিকা, শাহরিয়ার কবির- বাংলাদেশ, আবেদ খান- বাংলাদেশ, মুনতাসির মামুন- বাংলাদেশ, মফিদুল হক- বাংলাদেশ, মোহাম্মদ এ আরাফাত- বাংলাদেশ, মাহবুবুর রহমান জালাল- টেক্সাস, আমেরিকা, রামেন্দু মজুমদার- বাংলাদেশ, সৈয়দ আনোয়ার হোসেন- বাংলাদেশ, রায়হান রশিদ- লন্ডন, সৈয়দ হাসান ইমাম- বাংলাদেশ, তুরিন আফরোজ- বাংলাদেশ, অমি রহমান পিয়াল- বাংলাদেশ, খালেদুর রহমান শাকিল- বাংলাদেশ, আরিফ রহমান- লন্ডন, ইমরান এইচ সরকার- বাংলাদেশ, আরিফ জেবতিক- বাংলাদেশ, বাপ্পাদিত্য বসু- বাংলাদেশ, আসিফ মহিউদ্দিন- জার্মানি, অনন্য আজাদ- জার্মানি, কামাল পাশা চৌধুরী- বাংলাদেশ, লাকি আকতার- বাংলাদেশ, জনার্ধন দত্ত নান্টু- বাংলাদেশ, ইব্রাহিম খলিল সবাক- বাংলাদেশ, ডা. নাজমুল হাসান- বাংলাদেশ, আরিফুজ্জামান পৃথিল- বাংলাদেশ, কানিজ আকলিমা সুলতানা- বাংলাদেশ, এফএম শাহিন- বাংলাদেশ ও সাম্মি হক- বাংলাদেশ।
এরপরও কি বলবেন আমি এতক্ষন পাগলের প্রলাপ বকেছি?এরপরও কি বলবেন আমি অন্যায় কথা বলেছি?এরপরও কি আমি আপনি বসে থাকতে পারি?তালিকা দিয়ে তাঁরা জ্যান্ত মানুষকে কবরের অন্ধকারে ঠেলে দিবেন, মুক্তমনারা কেন তাঁদের কবরে পাঠাতে পারবেন না?
সফি হুজুরের পাপের কারনে এখন রাস্তায় বের হননা।এরাও নামাজরত, প্রার্থনারত অবস্থায় মানুষ হত্যা করে পাপের সাগরে ডুবে আছে,এদেরকে হেদায়েত করে লাভ হবেনা।হত্যাকরে রক্তের বদলা নিলে পাপ মোচন হবে।আল্লাহ পবিত্র কোরানের কোথাও বলেন নাই, মানুষ হত্যা করে বেহেস্তে যাওয়া যাবে।সেই রকম যদি বলতেন তাহলে বর্তমান বিশ্বে একজন বিধর্মীও পাওয়া যেতনা জানার জন্য তাঁর আচরন কেমন,ধর্ম কেমন,খায় কি,চলে কেমন জানার জন্য।মুসলমান নৃপতিদের মধ্যে বহু শক্তিধর খলিফা,বাদশা,সেনাপতি, জম্ম নিয়েছেন, তেমন হলে তাঁরা তাদের আল্লাহ প্রদত্ত শক্তিকে কাজে লাগিয়ে একাই কিনে পেলতেন সাত বেহেস্ত।
জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু
জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন