নব্য জঙ্গীদের আই,এসের নামে নতুন ৩৪জনের নামের তালিকা প্রেরন,মৃত্যু পরওয়ানা জারী,প্রসাশন নির্বিকার

আই, এস জঙ্গীদের নাম ব্যাবহার করে নতুন ৩৪ জনের তালিকা প্রেরন, মৃত্যু পরওয়ানা জারী,প্রশাসন নির্বিকার --।
==============================
===
মাননীয় প্রধান মন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনা,আপনার সরকারের প্রসাশন যন্ত্র দিয়ে নব্য জামাত শিবিরের আই এস, নির্মুল করা সম্ভব হবে না।১৯৭২ ইং থেকে শুরু হওয়া হত্যা ঘুম খুন আজ অবদি সমানে চালিয়ে যাচ্ছে প্রগতি শীল লেখক,সাংবাদিক,স
াহিত্যিক,প্রগিতিশীল রাজনৈতিক ব্যাক্তি,সংসদ সদস্য সহ সমাজের বুদ্ধিদিপ্ত মানুষ জনের উপর।কখনও শ্রেনী শত্রু খতমের নামে,কখনও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ গন্য করে,কখনও নাস্তিক উপাধি দিয়ে, কখনও কমিউনিষ্ট বলে।কখন ও তাঁদের নিকট আদাত কখনও বেদা'দ।তাঁরা কখনও পাকিস্থান রক্ষা করার অজুহাতে কখনও ধর্ম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকারের ওয়াদায় ।তাঁরা কখনও বাংলা ভাই,কখনও মোজাহেদীন আবার কখনও বা আনসারুল।কখনও ইসলামী জঙ্গী কখনও সাম্যবাদী বিপ্লবী।কখনও আই, এস জঙ্গী কখনও হেজবুতে তাহরীরের জঙ্গী।মৃত্যুর কবলে সব সময় প্রগতির ধারার বুদ্ধিজীবি,লেখক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক,সমাজের মুক্তচিন্তার মেধাবিমুখ।আপনার নিশ্চয়ই জানা আছে মুক্তি যুদ্ধের শেষ পয্যায়,যখন তাঁরা বুঝতে পেরেছিল পরাজয় নিশ্চিত,তখন তাঁরা হত্যা যজ্ঞে মেতে উঠে এই দেশের বুদ্ধিজীবি, সাংবাদিক,সাহিত্যিকদের।আমরা প্রতি বছর ১৪ই ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবি হত্যা দিবস পালন করি।১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস পালন করি।মাত্র দুই দিনের ব্যাবধানে তাঁরা সেদিন হত্যা করেছিল দেশের প্রায় সকল বুদ্ধিজীদের,মেধ
াশুন্য করে দিয়েছিল মাত্র ৪/৫ দিনের মধ্যে।তাঁর পরের ঘটনা আপনার নখদর্পনে আছে। -৭২ থেকে ৭৫ শ্রেনী শত্রু খতম করার নামে তথাকথিত বিপ্লবীরা হত্যা করেছিল আওয়ামী লীগের অনেক এম,পি, মন্ত্রী সহ নেতাদের।'৭৫এর ১৫ ই আগষ্ট তাঁরা সামরিক অভ্যুত্থানের নাম দিয়ে জাতির জনক সহ আপনার অনেক আত্মীয়স্বজনকে হত্যা করেছে।আপনি এবং আপনার বোন শেখ রেহেনা যদি সেদিন বাংলাদেশের যেকোন স্থানে থাকতেন নিশ্চিত মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে হত।,ওরা জেল খানায় বন্দি অবস্থায়ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে।ওরা বার বার আপনার উপর হত্যা প্রচেষ্টা চালিয়েছে,আল্লাহর অসিম কৃপায় আপনি বেঁচে আছেন,বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।ওরা আহসান উল্ল্যা মাষ্টার,কিবরীয়া সহ অসংখ্য নেতাকে হত্যা করেছে।চট্রগ্রাম লালদীঘি ময়দানে ব্রাশ ফায়ার করে আপনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল,আল্লাহর রহমতে আপনি বেঁচে গেছেন কিন্তু মৃত্যু হয়েছে অসংখ্য নেতা কর্মীর।বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কথা মনে হলে স্থীর রাখতে পারিনা নীজেকে।কিভাবে আপনি রক্ষা পেয়েছিলেন জানিনা,কোত্থেকে এই হত্যার পরিকল্পনা হয়েছিল তা কি আপনার জানার বাহিরে আছে?সে দিন আই,ভি রহমান সহ ২৯ জন নেতা সেখানেই অথবা হাসপাতালে মারা গেল।উদিচির বর্ষবরনে হামলা হল, নিরীহ অনেক মানুষ মারা গেল।এই ভাবে কি চলতে দিবেন?এই ভাবেই কি চলবে? হত্যার শিকার হবে নিরিহ লিখক, সাংবাদিক সাহিত্যিক আমরা রাজপথে মিছিল করে বিচার চাইব সারা বছর? আপনার উপর দেশীয়, আন্তজাতিক ষড়যন্ত্র হবে আমরা রাজপথ কাঁপানো শ্লোগানে শ্লোগানে আকাশ বাতাস বিদীর্ন করবো?কেন সব সময় প্রগতির ধারক বাহকেরা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করবে? প্রগতির পক্ষের এমন কি কোন নরপিশাচ নেই মৌলবাদিদের হত্যা করার মত? কারো কি সাহষের অভাব আছে?নিশ্চই ভীরু কাপুরুষ সবাই,সব সময় গর্দান রেখে দেয় তলোয়ারের নীছে।হত্যার বদলে হত্যা ইসলামে স্বীকৃত। মানুষ হত্যা ইসলামে মহাপাঁপ ।হত্যা কারী কোন সময়ে বেহেস্তে যেতে পারবে না।রক্তের বদলা নিলে পাপ হবে না।কেন এখনও বসে আছে প্রগতির ধারক বাহকেরা।কিসের আশায় বসে আছে সবাই হাত গুটিয়ে।কখনতো শুনা যায়না কোন মৌলবাদী লেখক সাংবাদিক হত্যার শিকার হয়েছে। একবার শুরু করে দেখুন সব খাঁচায় ঢুকে যাবে জঙ্গীর দল।নীজের দলের আনুগত্য প্রকাশে বিলম্ব হলে হত্যা করে পথ পরিষ্কার করতে পারেন, জঙ্গী হত্যা করে আজীবন রাজার হালে থাকার ব্যাবস্থা পাকাপোক্ত করুন না।দেখবেন আর বাংলাদেশে জঙ্গী বলতে কিছুই থাকবেনা।যতজন আওয়ামী লীগ এম,পি, মন্ত্রী, নেতা মারা গেছে তার অর্ধেক যদি তাঁরা মারা যেত চিরজীবনেও আর জঙ্গীপনা করার ইচ্ছা জাগতোনা। আকাশ থেকে জঙ্গী নেমে হত্যাকান্ড ঘটিয়ে আকাশে মিলিয়ে যায়নি, তাঁরা আছে আমার আপনার আশে পাশে। তাঁদের হত্যা করে কেহ দোযগে যাবে না, কারন তাঁরা মানুষ হত্যা করে দোযগের টিকেট কিনে নিয়েছে,হত্যার বদলা হত্যায় পাপ নেই। সুতারাং বিচারের আশায় বসে থেকে কোন লাভ হবেনা।মাননীয় নেত্রী বিষ দলের নেত্রী জঙ্গীদের সরাসরি মদদ দিচ্ছে,আপনাকে তাও দিতে হবেনা।শুধুমাত্র একটু নমনীয় হলেই চলবে।এতে দোষের কিছুই হবেনা,বাংলাদেশের মানুষের ভুলোমন,নির্বাচনের চার বছর বাকী আছে,তখন লম্বা লম্বা কথা বললেই মানুষ ঠিক হয়ে যাবে।জঙ্গী মদদের সুস্পষ্ট প্রমানের পরও যদি খালেদা বন্দনা হতে পারে আপনিতো মদদ দিবেন না, সামান্য করুনা দেখাবেন।ইনশাল্লাহ আর সমস্যা আগামী শতবছরেও হবেনা।আগামী প্রজর্ম্ম নিশ্চিন্তে জঙ্গীভাবনাহীন জীবন যাপন করতে পারবে।শব্দটি যাদুঘরে আশ্রয় নিবে,দর্শকদের সামনেও আর কখনই শব্দটি আসবেনা কুৎসীৎ চেহারা দেখাতে।
মুক্তমনাদের উদ্দেশ্যে আমার অন্তরের গভীর থেকে একটা সাজেসন উৎগীরন করতে চাই,যদিও এখানে '৫৭ ধারার খড়ক আমার উপর তেড়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।তারপর ও বলতে চাই নতুন ৩৪ জনের তালিকা দেখে আমার মাথা ঠিক নেই,৫৭০০ধারাকেও আমি ভয় পাচ্ছিনা,কারন ১নম্বরে আমার প্রীয় লেখক বুদ্ধিজীবি ২১শে গানের রচয়িতা জনাব আবদুল গাফফার সাহেবের নাম আমি দেখেছি।
আজকে থেকে মৌলবাদিদের তালিকা প্রনয়ন করে ঠিকানাহীন একাউন্ট থেকে পত্রিকা অফিসে পাঠিয়ে দিন।ওরা দিয়েছে নতুন করে ৩৪ জনের তালিকা। আপনারা দেন ৩৪০ জনের তালিকা।তাহলেই কেল্লাপাত।দেখবেন আর জঙ্গীর হুমকিতে থেকে আপনাকে রাজপথে বা অফিসে কাঁপতে হবেনা।একবার চিন্তা করে দেখুন শেখ হাসিনার উপর যতবার হত্যা চেষ্টা হয়েছে খালেদার উপর কি একবার হয়েছে।দুই একবারও যদি হত তাহলে আজকের আই,এস বাংলাদেশে উৎপত্তি হতনা।পরিশেষে বলতে চাই আসুন আমরা মৌলবাদি শক্তিকে সামাজিক ভাবে নয়,রাষ্ট্রীয় প্রসাশন দিয়ে হবেনা ঐ খানেও জঙ্গীবাদের ভূত আছে।একের বদলা দশের হিসেবে প্রতিরোধ গড়ে তুলি।বাংলাদেশ থেকে মৌলবাদ, জঙ্গীবাদের চির অবসান ঘটিয়ে দেই।
এবার দেখে নেয়া যাক নতুন ৩৪ জনের মধ্যে ভাগ্যবান ব্যাক্তি কে কে আছেন---আনসার আল ইসলাম, আলকায়দা ভারতীয় উপমহাদেশের হিটলিস্টে ঝুলছে ৩৪ জনের নাম। যারা লেখক, কবি, সাহিত্যিক, নাট্যকার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, আইনজীবী, সাংবাদিক, রাজনীতিক কর্মী, চিকিৎসক, ব্লগার ও গণজাগরণ মঞ্চের সক্রিয় কর্মী। তাদের মধ্যে অনেকেই আবার প্রবাসীও।‘কে হবে আমাদের পরবর্তী টার্গেট’ শিরোনামের হিটলিস্টটি পাওয়া গেছে। এর লেখা অনুযায়ী আনসার আল-ইসলাম হিটলিস্টটি প্রকাশ করে গত ৮ নভেম্বর। কোন দেশের বাসিন্দা তা-ও লিখা রয়েছে হিটলিস্টে।
হিটলিস্টে নাম থাকা কয়েকজন এ প্রতিবেদকের কাছে দাবি করেছেন পূর্বের হিটলিস্টে তাদের নাম ছিল না। তারা বলছেন, অতিসম্প্রতি তাদের কাছে ফেসবুকের মাধ্যমে নিজেদের প্যাডে কম্পিউটার কম্পোজ করা হিটলিস্টটি পাঠিয়ে দিয়েছে আনসার আল ইসলাম।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একজন কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, হিটলিস্ট পাঠানোর মাধ্যম তারা বিশ্লেষণ করছেন। এর বেশি তিনি আর কিছু বলতে চাননি।
ধারাবাহিকভাবে নামগুলো হচ্ছে আবদুল গাফফার চৌধুরী- লন্ডন, জাফর ইকবাল- বাংলাদেশ, দাঊদ হায়দার জার্মানি, নির্মলেন্দু গুণ-বাংলাদেশ, মহাদেব সাহা- বাংলাদেশ, তসলিমা নাসরিন- আমেরিকা, শাহরিয়ার কবির- বাংলাদেশ, আবেদ খান- বাংলাদেশ, মুনতাসির মামুন- বাংলাদেশ, মফিদুল হক- বাংলাদেশ, মোহাম্মদ এ আরাফাত- বাংলাদেশ, মাহবুবুর রহমান জালাল- টেক্সাস, আমেরিকা, রামেন্দু মজুমদার- বাংলাদেশ, সৈয়দ আনোয়ার হোসেন- বাংলাদেশ, রায়হান রশিদ- লন্ডন, সৈয়দ হাসান ইমাম- বাংলাদেশ, তুরিন আফরোজ- বাংলাদেশ, অমি রহমান পিয়াল- বাংলাদেশ, খালেদুর রহমান শাকিল- বাংলাদেশ, আরিফ রহমান- লন্ডন, ইমরান এইচ সরকার- বাংলাদেশ, আরিফ জেবতিক- বাংলাদেশ, বাপ্পাদিত্য বসু- বাংলাদেশ, আসিফ মহিউদ্দিন- জার্মানি, অনন্য আজাদ- জার্মানি, কামাল পাশা চৌধুরী- বাংলাদেশ, লাকি আকতার- বাংলাদেশ, জনার্ধন দত্ত নান্টু- বাংলাদেশ, ইব্রাহিম খলিল সবাক- বাংলাদেশ, ডা. নাজমুল হাসান- বাংলাদেশ, আরিফুজ্জামান পৃথিল- বাংলাদেশ, কানিজ আকলিমা সুলতানা- বাংলাদেশ, এফএম শাহিন- বাংলাদেশ ও সাম্মি হক- বাংলাদেশ।
এরপরও কি বলবেন আমি এতক্ষন পাগলের প্রলাপ বকেছি?এরপরও কি বলবেন আমি অন্যায় কথা বলেছি?এরপরও কি আমি আপনি বসে থাকতে পারি?তালিকা দিয়ে তাঁরা জ্যান্ত মানুষকে কবরের অন্ধকারে ঠেলে দিবেন, মুক্তমনারা কেন তাঁদের কবরে পাঠাতে পারবেন না?
সফি হুজুরের পাপের কারনে এখন রাস্তায় বের হননা।এরাও নামাজরত, প্রার্থনারত অবস্থায় মানুষ হত্যা করে পাপের সাগরে ডুবে আছে,এদেরকে হেদায়েত করে লাভ হবেনা।হত্যাকরে রক্তের বদলা নিলে পাপ মোচন হবে।আল্লাহ পবিত্র কোরানের কোথাও বলেন নাই, মানুষ হত্যা করে বেহেস্তে যাওয়া যাবে।সেই রকম যদি বলতেন তাহলে বর্তমান বিশ্বে একজন বিধর্মীও পাওয়া যেতনা জানার জন্য তাঁর আচরন কেমন,ধর্ম কেমন,খায় কি,চলে কেমন জানার জন্য।মুসলমান নৃপতিদের মধ্যে বহু শক্তিধর খলিফা,বাদশা,সেনাপতি, জম্ম নিয়েছেন, তেমন হলে তাঁরা তাদের আল্লাহ প্রদত্ত শক্তিকে কাজে লাগিয়ে একাই কিনে পেলতেন সাত বেহেস্ত।
জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু
জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা