নব্য জঙ্গীদের আই,এসের নামে নতুন ৩৪জনের নামের তালিকা প্রেরন,মৃত্যু পরওয়ানা জারী,প্রসাশন নির্বিকার

আই, এস জঙ্গীদের নাম ব্যাবহার করে নতুন ৩৪ জনের তালিকা প্রেরন, মৃত্যু পরওয়ানা জারী,প্রশাসন নির্বিকার --।
==============================
===
মাননীয় প্রধান মন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনা,আপনার সরকারের প্রসাশন যন্ত্র দিয়ে নব্য জামাত শিবিরের আই এস, নির্মুল করা সম্ভব হবে না।১৯৭২ ইং থেকে শুরু হওয়া হত্যা ঘুম খুন আজ অবদি সমানে চালিয়ে যাচ্ছে প্রগতি শীল লেখক,সাংবাদিক,স
াহিত্যিক,প্রগিতিশীল রাজনৈতিক ব্যাক্তি,সংসদ সদস্য সহ সমাজের বুদ্ধিদিপ্ত মানুষ জনের উপর।কখনও শ্রেনী শত্রু খতমের নামে,কখনও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ গন্য করে,কখনও নাস্তিক উপাধি দিয়ে, কখনও কমিউনিষ্ট বলে।কখন ও তাঁদের নিকট আদাত কখনও বেদা'দ।তাঁরা কখনও পাকিস্থান রক্ষা করার অজুহাতে কখনও ধর্ম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকারের ওয়াদায় ।তাঁরা কখনও বাংলা ভাই,কখনও মোজাহেদীন আবার কখনও বা আনসারুল।কখনও ইসলামী জঙ্গী কখনও সাম্যবাদী বিপ্লবী।কখনও আই, এস জঙ্গী কখনও হেজবুতে তাহরীরের জঙ্গী।মৃত্যুর কবলে সব সময় প্রগতির ধারার বুদ্ধিজীবি,লেখক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক,সমাজের মুক্তচিন্তার মেধাবিমুখ।আপনার নিশ্চয়ই জানা আছে মুক্তি যুদ্ধের শেষ পয্যায়,যখন তাঁরা বুঝতে পেরেছিল পরাজয় নিশ্চিত,তখন তাঁরা হত্যা যজ্ঞে মেতে উঠে এই দেশের বুদ্ধিজীবি, সাংবাদিক,সাহিত্যিকদের।আমরা প্রতি বছর ১৪ই ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবি হত্যা দিবস পালন করি।১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস পালন করি।মাত্র দুই দিনের ব্যাবধানে তাঁরা সেদিন হত্যা করেছিল দেশের প্রায় সকল বুদ্ধিজীদের,মেধ
াশুন্য করে দিয়েছিল মাত্র ৪/৫ দিনের মধ্যে।তাঁর পরের ঘটনা আপনার নখদর্পনে আছে। -৭২ থেকে ৭৫ শ্রেনী শত্রু খতম করার নামে তথাকথিত বিপ্লবীরা হত্যা করেছিল আওয়ামী লীগের অনেক এম,পি, মন্ত্রী সহ নেতাদের।'৭৫এর ১৫ ই আগষ্ট তাঁরা সামরিক অভ্যুত্থানের নাম দিয়ে জাতির জনক সহ আপনার অনেক আত্মীয়স্বজনকে হত্যা করেছে।আপনি এবং আপনার বোন শেখ রেহেনা যদি সেদিন বাংলাদেশের যেকোন স্থানে থাকতেন নিশ্চিত মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে হত।,ওরা জেল খানায় বন্দি অবস্থায়ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে।ওরা বার বার আপনার উপর হত্যা প্রচেষ্টা চালিয়েছে,আল্লাহর অসিম কৃপায় আপনি বেঁচে আছেন,বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।ওরা আহসান উল্ল্যা মাষ্টার,কিবরীয়া সহ অসংখ্য নেতাকে হত্যা করেছে।চট্রগ্রাম লালদীঘি ময়দানে ব্রাশ ফায়ার করে আপনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল,আল্লাহর রহমতে আপনি বেঁচে গেছেন কিন্তু মৃত্যু হয়েছে অসংখ্য নেতা কর্মীর।বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কথা মনে হলে স্থীর রাখতে পারিনা নীজেকে।কিভাবে আপনি রক্ষা পেয়েছিলেন জানিনা,কোত্থেকে এই হত্যার পরিকল্পনা হয়েছিল তা কি আপনার জানার বাহিরে আছে?সে দিন আই,ভি রহমান সহ ২৯ জন নেতা সেখানেই অথবা হাসপাতালে মারা গেল।উদিচির বর্ষবরনে হামলা হল, নিরীহ অনেক মানুষ মারা গেল।এই ভাবে কি চলতে দিবেন?এই ভাবেই কি চলবে? হত্যার শিকার হবে নিরিহ লিখক, সাংবাদিক সাহিত্যিক আমরা রাজপথে মিছিল করে বিচার চাইব সারা বছর? আপনার উপর দেশীয়, আন্তজাতিক ষড়যন্ত্র হবে আমরা রাজপথ কাঁপানো শ্লোগানে শ্লোগানে আকাশ বাতাস বিদীর্ন করবো?কেন সব সময় প্রগতির ধারক বাহকেরা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করবে? প্রগতির পক্ষের এমন কি কোন নরপিশাচ নেই মৌলবাদিদের হত্যা করার মত? কারো কি সাহষের অভাব আছে?নিশ্চই ভীরু কাপুরুষ সবাই,সব সময় গর্দান রেখে দেয় তলোয়ারের নীছে।হত্যার বদলে হত্যা ইসলামে স্বীকৃত। মানুষ হত্যা ইসলামে মহাপাঁপ ।হত্যা কারী কোন সময়ে বেহেস্তে যেতে পারবে না।রক্তের বদলা নিলে পাপ হবে না।কেন এখনও বসে আছে প্রগতির ধারক বাহকেরা।কিসের আশায় বসে আছে সবাই হাত গুটিয়ে।কখনতো শুনা যায়না কোন মৌলবাদী লেখক সাংবাদিক হত্যার শিকার হয়েছে। একবার শুরু করে দেখুন সব খাঁচায় ঢুকে যাবে জঙ্গীর দল।নীজের দলের আনুগত্য প্রকাশে বিলম্ব হলে হত্যা করে পথ পরিষ্কার করতে পারেন, জঙ্গী হত্যা করে আজীবন রাজার হালে থাকার ব্যাবস্থা পাকাপোক্ত করুন না।দেখবেন আর বাংলাদেশে জঙ্গী বলতে কিছুই থাকবেনা।যতজন আওয়ামী লীগ এম,পি, মন্ত্রী, নেতা মারা গেছে তার অর্ধেক যদি তাঁরা মারা যেত চিরজীবনেও আর জঙ্গীপনা করার ইচ্ছা জাগতোনা। আকাশ থেকে জঙ্গী নেমে হত্যাকান্ড ঘটিয়ে আকাশে মিলিয়ে যায়নি, তাঁরা আছে আমার আপনার আশে পাশে। তাঁদের হত্যা করে কেহ দোযগে যাবে না, কারন তাঁরা মানুষ হত্যা করে দোযগের টিকেট কিনে নিয়েছে,হত্যার বদলা হত্যায় পাপ নেই। সুতারাং বিচারের আশায় বসে থেকে কোন লাভ হবেনা।মাননীয় নেত্রী বিষ দলের নেত্রী জঙ্গীদের সরাসরি মদদ দিচ্ছে,আপনাকে তাও দিতে হবেনা।শুধুমাত্র একটু নমনীয় হলেই চলবে।এতে দোষের কিছুই হবেনা,বাংলাদেশের মানুষের ভুলোমন,নির্বাচনের চার বছর বাকী আছে,তখন লম্বা লম্বা কথা বললেই মানুষ ঠিক হয়ে যাবে।জঙ্গী মদদের সুস্পষ্ট প্রমানের পরও যদি খালেদা বন্দনা হতে পারে আপনিতো মদদ দিবেন না, সামান্য করুনা দেখাবেন।ইনশাল্লাহ আর সমস্যা আগামী শতবছরেও হবেনা।আগামী প্রজর্ম্ম নিশ্চিন্তে জঙ্গীভাবনাহীন জীবন যাপন করতে পারবে।শব্দটি যাদুঘরে আশ্রয় নিবে,দর্শকদের সামনেও আর কখনই শব্দটি আসবেনা কুৎসীৎ চেহারা দেখাতে।
মুক্তমনাদের উদ্দেশ্যে আমার অন্তরের গভীর থেকে একটা সাজেসন উৎগীরন করতে চাই,যদিও এখানে '৫৭ ধারার খড়ক আমার উপর তেড়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।তারপর ও বলতে চাই নতুন ৩৪ জনের তালিকা দেখে আমার মাথা ঠিক নেই,৫৭০০ধারাকেও আমি ভয় পাচ্ছিনা,কারন ১নম্বরে আমার প্রীয় লেখক বুদ্ধিজীবি ২১শে গানের রচয়িতা জনাব আবদুল গাফফার সাহেবের নাম আমি দেখেছি।
আজকে থেকে মৌলবাদিদের তালিকা প্রনয়ন করে ঠিকানাহীন একাউন্ট থেকে পত্রিকা অফিসে পাঠিয়ে দিন।ওরা দিয়েছে নতুন করে ৩৪ জনের তালিকা। আপনারা দেন ৩৪০ জনের তালিকা।তাহলেই কেল্লাপাত।দেখবেন আর জঙ্গীর হুমকিতে থেকে আপনাকে রাজপথে বা অফিসে কাঁপতে হবেনা।একবার চিন্তা করে দেখুন শেখ হাসিনার উপর যতবার হত্যা চেষ্টা হয়েছে খালেদার উপর কি একবার হয়েছে।দুই একবারও যদি হত তাহলে আজকের আই,এস বাংলাদেশে উৎপত্তি হতনা।পরিশেষে বলতে চাই আসুন আমরা মৌলবাদি শক্তিকে সামাজিক ভাবে নয়,রাষ্ট্রীয় প্রসাশন দিয়ে হবেনা ঐ খানেও জঙ্গীবাদের ভূত আছে।একের বদলা দশের হিসেবে প্রতিরোধ গড়ে তুলি।বাংলাদেশ থেকে মৌলবাদ, জঙ্গীবাদের চির অবসান ঘটিয়ে দেই।
এবার দেখে নেয়া যাক নতুন ৩৪ জনের মধ্যে ভাগ্যবান ব্যাক্তি কে কে আছেন---আনসার আল ইসলাম, আলকায়দা ভারতীয় উপমহাদেশের হিটলিস্টে ঝুলছে ৩৪ জনের নাম। যারা লেখক, কবি, সাহিত্যিক, নাট্যকার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, আইনজীবী, সাংবাদিক, রাজনীতিক কর্মী, চিকিৎসক, ব্লগার ও গণজাগরণ মঞ্চের সক্রিয় কর্মী। তাদের মধ্যে অনেকেই আবার প্রবাসীও।‘কে হবে আমাদের পরবর্তী টার্গেট’ শিরোনামের হিটলিস্টটি পাওয়া গেছে। এর লেখা অনুযায়ী আনসার আল-ইসলাম হিটলিস্টটি প্রকাশ করে গত ৮ নভেম্বর। কোন দেশের বাসিন্দা তা-ও লিখা রয়েছে হিটলিস্টে।
হিটলিস্টে নাম থাকা কয়েকজন এ প্রতিবেদকের কাছে দাবি করেছেন পূর্বের হিটলিস্টে তাদের নাম ছিল না। তারা বলছেন, অতিসম্প্রতি তাদের কাছে ফেসবুকের মাধ্যমে নিজেদের প্যাডে কম্পিউটার কম্পোজ করা হিটলিস্টটি পাঠিয়ে দিয়েছে আনসার আল ইসলাম।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একজন কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, হিটলিস্ট পাঠানোর মাধ্যম তারা বিশ্লেষণ করছেন। এর বেশি তিনি আর কিছু বলতে চাননি।
ধারাবাহিকভাবে নামগুলো হচ্ছে আবদুল গাফফার চৌধুরী- লন্ডন, জাফর ইকবাল- বাংলাদেশ, দাঊদ হায়দার জার্মানি, নির্মলেন্দু গুণ-বাংলাদেশ, মহাদেব সাহা- বাংলাদেশ, তসলিমা নাসরিন- আমেরিকা, শাহরিয়ার কবির- বাংলাদেশ, আবেদ খান- বাংলাদেশ, মুনতাসির মামুন- বাংলাদেশ, মফিদুল হক- বাংলাদেশ, মোহাম্মদ এ আরাফাত- বাংলাদেশ, মাহবুবুর রহমান জালাল- টেক্সাস, আমেরিকা, রামেন্দু মজুমদার- বাংলাদেশ, সৈয়দ আনোয়ার হোসেন- বাংলাদেশ, রায়হান রশিদ- লন্ডন, সৈয়দ হাসান ইমাম- বাংলাদেশ, তুরিন আফরোজ- বাংলাদেশ, অমি রহমান পিয়াল- বাংলাদেশ, খালেদুর রহমান শাকিল- বাংলাদেশ, আরিফ রহমান- লন্ডন, ইমরান এইচ সরকার- বাংলাদেশ, আরিফ জেবতিক- বাংলাদেশ, বাপ্পাদিত্য বসু- বাংলাদেশ, আসিফ মহিউদ্দিন- জার্মানি, অনন্য আজাদ- জার্মানি, কামাল পাশা চৌধুরী- বাংলাদেশ, লাকি আকতার- বাংলাদেশ, জনার্ধন দত্ত নান্টু- বাংলাদেশ, ইব্রাহিম খলিল সবাক- বাংলাদেশ, ডা. নাজমুল হাসান- বাংলাদেশ, আরিফুজ্জামান পৃথিল- বাংলাদেশ, কানিজ আকলিমা সুলতানা- বাংলাদেশ, এফএম শাহিন- বাংলাদেশ ও সাম্মি হক- বাংলাদেশ।
এরপরও কি বলবেন আমি এতক্ষন পাগলের প্রলাপ বকেছি?এরপরও কি বলবেন আমি অন্যায় কথা বলেছি?এরপরও কি আমি আপনি বসে থাকতে পারি?তালিকা দিয়ে তাঁরা জ্যান্ত মানুষকে কবরের অন্ধকারে ঠেলে দিবেন, মুক্তমনারা কেন তাঁদের কবরে পাঠাতে পারবেন না?
সফি হুজুরের পাপের কারনে এখন রাস্তায় বের হননা।এরাও নামাজরত, প্রার্থনারত অবস্থায় মানুষ হত্যা করে পাপের সাগরে ডুবে আছে,এদেরকে হেদায়েত করে লাভ হবেনা।হত্যাকরে রক্তের বদলা নিলে পাপ মোচন হবে।আল্লাহ পবিত্র কোরানের কোথাও বলেন নাই, মানুষ হত্যা করে বেহেস্তে যাওয়া যাবে।সেই রকম যদি বলতেন তাহলে বর্তমান বিশ্বে একজন বিধর্মীও পাওয়া যেতনা জানার জন্য তাঁর আচরন কেমন,ধর্ম কেমন,খায় কি,চলে কেমন জানার জন্য।মুসলমান নৃপতিদের মধ্যে বহু শক্তিধর খলিফা,বাদশা,সেনাপতি, জম্ম নিয়েছেন, তেমন হলে তাঁরা তাদের আল্লাহ প্রদত্ত শক্তিকে কাজে লাগিয়ে একাই কিনে পেলতেন সাত বেহেস্ত।
জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু
জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন