ধার্মিকের ছদ্মাবরনে বকধার্মিকদের রক্তাক্ত আস্ফালন,বিশ্ব নীরবে তাকিয়ে রয়---!!
ধার্মিকের ছদ্ধাবরনে বকধার্মিকদের রক্তাক্ত আস্পালন,বিশ্ববাসি অবাক বিস্ময়ে চেয়ে আছে।
========================================================================
আবহমান বাঙ্গালির চিরন্তন বৈশিষ্ট সকল ধর্মের, বর্নের,গোত্রের মানুষ একসঙ্গে মিলেমিশে থাকা।বাঙ্গালিরা এইগুন প্রকৃতিগত ভাবেই অর্জন করেছে।ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের মানুষ শান্তিপ্রিয়, অতিথিপরায়ণ, ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ থাকতে দেখা যায়। এখানে বাঙ্গালি হিন্দুদের ১২ মাসে ১৩ পার্বণ অনুষ্ঠিত হয়,মোসলমানদের সব ছোট অনুষ্টান বাদ দিলেও বছরে দুই ঈদ একত্রে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে দেখা যায়। হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান এমন কি ইহুদি সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের সম্মিলিত প্রয়াসেই তৈরি হয়েছে বাঙালি জাতির জাতীয় সংস্কৃতির ধারা,চিরায়ত কৃষ্টির বিকাশ। বিশ্ববাসি বাংলাদেশকে সুখী,সমৃদ্ধ-অনাবিল শান্তির দেশ বলেই আবহমান কাল থেকে জানে ও চিনে। বাংলাদেশ বিশ্ববাসীর এই বিশ্বাসকে বদ্ধমূল করার জন্য যখন নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তখন একদল সামপ্রদায়িক, ধর্মান্ধ, প্রতিক্রিয়াশীল মানুষ বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করার জন্য, বাংলাদেশকে অকায্যকর রাষ্ট্রে পরিনত করার জন্য, একের পর এক নীলনকশা প্রস্তুত করে যাচ্ছে। সেই নীল নকশা অত্যান্ত সংগোপনে সংগঠিত কতিপয় লোকের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।অতীত থেকে দেখা যায় তাদের এই নীলনকশা প্রনয়ন ও বাস্তবায়নের পেছনে বন্ধুত্বের চরম পরাকাষ্টা দেখিয়ে এগিয়ে আসে ইহুদি রাষ্ট্র আমেরীকা,বিজাতীয় পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে উদার অর্থনৈতিক পৃষ্টপোষকতা।
বর্তমানের আই,এস এর উত্থান কাহিনী শুনলে প্রত্যেকটি বিবেকবান মানুষের বিবেকে একবার হলেও প্রশ্নের উদ্রেক হতে বাধ্য, এটাও কি সম্ভব? ইজরাইল ও আমেরিকার চক্রান্তে গঠিত এবারের জঙ্গি গোষ্টি আগের চেয়ে আরও বেশি সংগঠিত হয়ে,আস্ত্রবলে বলিয়ান হয়ে হামলে পড়েছে বিশ্বের শান্তিকামি দেশ এবং জনগনের উপর। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন, সাবেক বিশ্ববরেন্য নেতা ফিদেল কেস্ট্রো, সাড়া জাগানো ওয়েব সাইট উইকিলিকস ইতিমধ্যে বিশ্ববাসিকে জানিয়ে দিতে সক্ষম হন যে, বর্তমানের আই, এস, জঙ্গি গোষ্টি ইসরাইলের মোসাদ এবং আমেরিকার সি,আই,এর যৌথ উদ্যোগে গড়া একটি শক্তিশালী সন্ত্রাসি সংগঠন।সচিত্র প্রতিবেদনের মাধ্যমে আর ও প্রকাশ করেন যে,স্ব-ঘোশিত খলিফা আবদেল মুলত: ইসলাম ধর্মের অনুসারী নন,ব্যাক্তি জীবনে সে ইহুদি ধর্মের অনুসারী।
তাইতো বটে; ভুখন্ডহীন, নির্দিষ্ট জনবল হীন,সার্বভৌমত্বহীন একটা গোষ্টি এবং সিংহাসন হীন খলিফা কি করে প্রচলিত অগ্নেয়াস্ত্রের চেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র ও প্রশিক্ষন, জঙ্গীবিমান,নৌবহরের অধিকারী হয়? সন্ত্রাসের সাথে কথিত যুদ্ধরত: আমেরিকা যুদ্ধ করছেনই বা কোথায় বা কার সাথে?এই ছায়া যুদ্ধ শেষ হওয়ার যুদ্ধ নয়।ভূ-রাজনীতিতে আমেরিকার স্বার্থের বাহিরের প্রত্যেক দেশেই জঙ্গির উপস্থিতি টের পাওয়ার যুদ্ধ কখনই শেষ হয়না।
বাংলাদেশের ভূখন্ডে স্বাধীনতার পূর্ব থেকেই দুই শ্রেণীর লোকের আবাস। একশ্রেণী এদেশের সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে, এদেশের মানুষের পারস্পরিক ভালোবাসা ও সম্প্রীতিতে আস্থা রাখে।অন্যশ্রেণী মৌলবাদি বকধার্মিক, ষড়যন্ত্রকারী। তথাকথিত কমিউনিষ্ট, অতিডান, অতিবাম এই দেশের অখন্ডতায় মোটেই বিশ্বাসী ছিলেননা এখনও নেই। এই সম্মিলীত গোষ্টিদ্বয় সর্বত্র ধর্মকে হাতিয়ার হিসেবে সামনে রেখে ধর্মের নামে অধর্মের উপর ভর করে শোষণ শাষন লুটপাট করতে চায়।পিছন থেকে গুপ্তভাবে মানুষকে হত্যা করে নিজেদের হীনস্বার্থ কায়েম করতে চায়।
আগে যদিও এই শ্রেনীর মানুষরুপি দানবদের চিনতে বাংলাদেশের মানুষের কষ্ট হত,১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ধর্মান্ধ, সাম্প্রদায়িক,অতিডান,অতিবাম তথাকথিত সমাজতন্ত্রী দানবদের আসল চরিত্র বাংলাদেশের মানুষের নিকট পরিষ্কার হয়ে ওঠে। ১৯৭১ সালে যারা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের মুক্তিকামী জনতার কাছে চরম ভাবে পরাজিত হয়েছিল, সেই পরাজিত শক্তিরা তাদের পরাজয়কে মেনে না নিয়ে বরং উল্টো বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে অঘোষিত যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। এই রক্তখেকো দানব যুদ্ধবাজ দেশদ্রোহীরা কখনও শাষক শ্রেনীর রাজনীতিক আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে শক্তিশালী হয়ে ওঠে।আবার কখনও বা রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নে ঢুকে যায় শৃগালের গর্তে। এদের নির্মূল করা কিছুতেই সম্ভব হচ্ছে না। আমরা হিন্দুদের পুরাণে রক্ত বীজের নাম শুনেছিলাম। এই প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী যেন অনেকটা সেই রক্ত বীজের মতোই ভয়ঙ্কর।সময় সময় দানবে রুপান্তরীত হয়ে হামলে পড়ে, সাধারন মানুষের জানমালের উপর। এদের বিনাশ করলেও সামান্য কায়ায় আবার বেড়ে উঠে।এদের সমুলে মায়াজাল সহ উৎপাটন করতে না পারলে এদের হাত থেকে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মুক্তিকামী, অসামপ্রদায়িক জনগোষ্ঠীকে নিরাপদ রাখা কোনভাবেই সম্ভব হবেনা।
আমরা এক সময় দেখেছি, জাসদ, কমিউনিষ্ট পার্টি, সর্বহারা পার্টির নামে গ্রাম-গঞ্জে, শহরে-বন্দরে উড়োচিঠি দিয়ে শ্রেনী শত্রু খতমের নামে ডাকাতি রাহাজানি,খুন ঘুম করতে। জানা নেই, শোনা নেই হঠাৎ এক চিঠি এসে হাজির,আপনার বাড়িতে অমুক তারিখের এতটা বাজে আমরা উপস্থিত থাকবো,এত হাজার টাকা রাখবেন,নচেৎ আপনার স্বামীকে হত্যা করা হবে,ইহা আমাদের কমরেডের আদেশ। প্রথমত বিপ্লবের কথা লিখা থাকলেও, বেশিরভাগেরই মূল কথা থাকতো টাকা প্রস্তুত রাখো, নয়তো গৃহস্বামীর প্রাণদন্ডের নির্দেশ কায্যকর হবে। বাংলাদেশে কিছুদিন আগেও উড়োচিঠির প্রচলন ছিল। সামপ্রতিক সময়ে মোবাইল ফোন সহজলভ্য হওয়ায় এবং তাৎক্ষণিকভাবে সংবাদ আদানপ্রদানে সক্ষম হওয়ায় এখন আর কোন বিপদগামী সন্ত্রাসি বা কোন জঙ্গি গোষ্ঠী চিঠি চালাচালির জন্য সময় ব্যয় করেনা। তারা এখন ডিজিটাল প্রযুক্তির নিত্যনতুন সফটওয়ার ব্যবহার করে মুহূর্তের মধ্যে কার্য উদ্ধার করে হাওয়ায় মিলিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে ফোনে হুমকির ঘটনা মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এই হুমকিতে উড়িয়ে দেবারও কোন কারণ রয়েছে বলে আমি মনে করি না। আমার জানা মতে, ইতিপূর্বে যাদেরকেই হুমকি দেয়া হয়েছে তারাই হত্যা বা জখমের মুখোমুখি হয়েছেন।
আমরা পত্রিকার মাধ্যমে জেনেছি প্রগতিশীল লেখক অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদকে টেলিফোনে নিয়মিত কে বা কারা হুমকি দিতো। হুমায়ুন আজাদ স্বভাবগত কারণেই সেই হুমকিকে খুব একটা পাত্তা দিতেন না। কিন্তু আমরা দেখলাম, সেই হুমকি দাতারাই তাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে নির্মমভাবে জখম করে। এ সময়ে যত বস্নগারকে হত্যা করা হয়েছে প্রত্যেকের কাছেই মৃত্যুর পরোয়ানা পাঠিয়েছিল ঘাতকের দল। ঘাতকদের এই পরোয়ানা বা হুমকিকে এখন অবিশ্বাস করা যাবে কীভাবে? কিছুদিন আগে প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনের বাবা অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হককে হত্যার উদ্দেশ্যে কে বা কারা হুমকি দিয়ে আসছে বলে পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। দু'দিন/তিনদিন আগে দেখলাম দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ ও এমেরিটাস প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামানকেও কে বা কারা হুমকি দিয়েছে। তিনি জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গুলশান থানায় জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করতে বাধ্য হয়েছেন। এ রকম হুমকি-ধামকির ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে। এই যদি হয় বাংলাদেশের বর্তমান চিত্র তাহলে এখানে জননিরাপত্তা কতটা হুমকির মুখে আছে সেটা সহজেই অনুমান করা যায়।
একটা বিষয় সবাইকে ভেবে দেখার জন্য অনুরোধ করব। বাংলাদেশে এই পর্যন্ত প্রতিক্রিয়াশীলদের দ্বারা যত হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে তার বেশিরভাগই হয়েছে কুপিয়ে বা জবাই করে। সম্প্রতি চেকপোস্টে দুই পুলিশ নিহতের ঘটনা কিংবা সেনানিবাসের মধ্যে মিলিটারি পুলিশ আহত হওয়ার ঘটনাও একই স্টাইলের। যেহেতু সেনানিবাসের দুর্বৃত্তকে পুলিশ হাতে নাতে আটক করেছে এবং অন্যান্য জায়গায়ও এ রকম আটকের ঘটনা ঘটেছে। তাহলে এদের ঠিক মতো জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য বের করে এই প্রতিক্রিয়াশীলদের সমূলে নাশ করার জন্য এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ব্যাপারে দেরি করলে বা অবহেলা প্রদর্শন করলে জননিরাপত্তা আরও বেশি ভয়ঙ্কর রূপ নিবে। একজন মানুষ যত শক্তিশালীই হোক না কেন, কখনোই সে রাষ্ট্রের চেয়ে বেশি শক্তিশালী নয়। রাষ্ট্র ইচ্ছে করলে যে কোন সময়ে যে কোন বিষয়েই পদক্ষেপ নিতে পারে, আমরা আশা করি, বর্তমান জনবান্ধব সরকার এ বিষয়ে ত্বরিত ভূমিকা নিবেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলাম কখনোই কাউকে আঘাত করে না।আঘাত করে ইসলাম প্রচার করলে খলিফাদের যুগে কোন বিধর্মির অস্তিত্ব বর্তমান বিশ্বে থাকতো বলে আমি মনে করিনা। কিন্তু আজ যারা ইসলাম ধর্মের নামে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করছে, মানুষের মাঝে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে এবং পেছন থেকে এসে আক্রমণ করছে এরা কাপুুরুষ, ভীরু, ইসলামধর্মের শত্রুশক্তি। বীর পুরুষ কখনো পেছন থেকে কাউকে আঘাত করে না, একজন প্রকৃত ধার্মিকও কখনো কাউকে পেছন থেকে আঘাত করতে পারে না। আজ যারা বাংলাদেশে ফোনে হুমকি দিচ্ছে বা গুপ্তহত্যা চালাচ্ছে এরা দেশ ও জাতির ভাবমূর্তি নষ্ট করে বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে, জঙ্গি রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করতে চায়। কিন্তু বাংলাদেশের অসামপ্রদায়িক জনগণ তাদের বুকে রক্ত থাকতে কখনোই তা হতে দিবে না। তিরিশ লাখ শহিদের বুকের রক্তকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনে আরও তিরিশ লাখ মানুষ জীবন দিবে, তবু বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের ধারায় ও অসামপ্রদায়িক চেতনায় এগিয়ে যাবে, কোন মৌলবাদী অপশক্তিই বাংলাদেশের উন্নয়নের ও সুনামের ধারাকে বিনষ্ট করতে পারবে না।
আমাদের নবী করিম (স;)এর ওফাৎ এর পর উগ্রধর্মীয় জঙ্গী গোষ্টির উত্থান দেখা যায়।নবীর পর খলিফাদের যুগ শুরু হলে একমাত্র খলিফা হজরত আবু বকর (রা.) ছাড়া সবাই ধর্মীয় উগ্রগোষ্টির হাতে প্রান দিতে হয়।হজরত উমর (রা.), হজরত ওসমান (রা.) এবং হজরত আলী (রা.)_ এই তিন খলিফাই ধর্মান্ধ প্রতিক্রিয়াশীলদের দ্বারা নিহত হন। হযরতের আদরের দৌহিত্রদ্বয়ের হত্যাকান্ডে উগ্রধর্মীয় গোষ্টির গভীর ষড়যন্ত্র ছিল বলে ইতিহাস সাক্ষ দেয়।আপাত দৃষ্টে যদিও মনে হতে পারে ক্ষমতার লড়াই কিন্তু তাঁর পেছনেও ছিল এই অন্ধকারের কীটদের গোপন ষড়যন্ত্র। আমরা জানি অন্ধকারের দানবদের নাম ইতিহাস স্মরন করেনা,প্রকৃত ইমানদারগনও কোনদিন তাঁদের নামে দোয়া দরুদ পড়তে দেখা যায়না।যাঁরা ইসলামের সত্যিকারের রুপ, শান্তির বানীর জন্য জীবন দিয়ে গেছেন তাঁদেরকে ইতিহাসের পাশাপাশি প্রকৃত মসুলমানগনও স্মরন করে। ইতিহাস আত্মত্যাগী খলিফাদের নামই বুকে ধারণ করে আছে। ফ্রান্সের মতো শান্তিপ্রিয় দেশেও আজ শত শত লোক মরছে প্রতিক্রিয়াশীলদের হাতে।ভারতে উগ্রপন্থিদের উৎকট আচরণ বর্তমানে সেখানে কী পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে সচেতন মানুষ মাত্রই খবর রাখেন। বিহারে বিজেপির ভরাডুবির পিছনে উগ্রহিন্দু জঙ্গিবাদের অতিরিক্ত বাড়াবাড়িই মূল কারন ইহা স্পষ্ট।
মধ্যপ্রাচ্যের প্রত্যেকটি দেশে ধর্মের নামে উগ্রপন্থিদের হানাহানি প্রত্যহ খবরের পাতা ভারী করে দিচ্ছে।ফিলিস্তিনকে কতবছর ইজরাইল দখল করে রেখেছে,যাযাবর ইহুদি এত শক্তি পেল কোথায়?ইহা আমাদের ইসলাম ধর্মধারিদের মাথায় আসেনা।প্রত্যহ মধ্যপ্রাচ্যের অযৌক্তিক রক্তারক্তি মানব-ইতিহাসে যুগযুগান্তরের জন্য কালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।অথছ সামান্য বিষয়টিকেই আমাদের ধর্মাদ্ধরা বিবেচনায় নেয় না যে, আজকের আই,এস ভু-খন্ডহীন হওয়া সত্বেও এত জোর পায় কোথায়? ফিলিস্তিনিদের ভুখন্ড থাকার পরও ইজরাইল কিভাবে যুগের পর যুগ দখল করে রাখে।ইমানি শক্তি ফিলিস্তিনে কোন কাজ দেয়না কেন?
আই,এস আসলে কি চায়?আই এস চায় মসুলমান জাতিকে জঙ্গী জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে,ইসলাম ধর্মকে জঙ্গীর ধর্ম, বিশ্ব অশান্তির মুল কারন হিসেবে চিহ্নিত করতে।উপকারিতা :-মুসলিম দেশ সমুহে জঙ্গী দমনের নামে দখল করত: সম্পদ লুন্ঠন,শাষন শোষন অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয়তা সহজতর করা।
ইউরোপীয় রেনেসাস পৃথিবীর মানুষকে অসভ্য স্তর থেকে সভ্যতার আলোতে নিয়ে এসেছিল। সেই রেনেসার অবদান আজকের গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা,যা নিয়ে বিশ্ব গর্বে মাতোয়ারা।সেখানেও আজ গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা সংকটের মুখে।সকল ধর্মের মানুষের শান্তিতে বসবাসের ঐতিয্য ধরে রাখা সম্ভব হবে কিনা জানিনা। গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে বাঁচিয়ে রাখার স্বার্থে সেই দেশের জনগন আজও জঙ্গীদের নামের আগে ইসলামি শব্দটি প্রয়োগে আনছেনা।যখনই আনবে তখন কি ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের জন্য ইউরুপ নিরাপদ থাকবে?আমেররিকা অনুভব করছে ইউরুপে ধীরে ধীরে ইসলাম ধর্মালম্বিদের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। মসুলমান অনুপ্রবেশ কারিদের বা শরনার্থিদের প্রবেশ ঠেকাতে প্যারিস হামলার সুত্রপাত করেছেন,এতে কোন সন্দেহ আছে বলে আমি মনে করিনা।অল্প কিছুদিন পরেই হয়তো বলতে শুনা যাবে,শরনার্থীরাই জঙ্গি আমদানি করে নিয়ে আসছে সুতারাং শরনার্থী প্রবেশ ঠেকাও।
সর্বশেষ বলতে চাই ধর্মীয় দানবদের দমনের জন্য সকল শান্তিপ্রিয় দেশ আবার বিশ্বে নয়া রেনেসাসের উদ্ভব ঘটাতে হবে,আবার একটা সাংস্কৃতিক বিপ্লবের প্রয়োজন হতে পারে । মানুষকে জাগাতে হবে, মানবিক গুনাবলি সম্পর্ন্ন মানুষ না জাগলে অমানবিক জঙ্গিগোষ্টি মানুষরুপি দানব অমানুষের দল আধিপত্য বিস্তার করবে।তখন পৃথিবী আর বাসযোগ্য থাকবেনা।
========================================================================
আবহমান বাঙ্গালির চিরন্তন বৈশিষ্ট সকল ধর্মের, বর্নের,গোত্রের মানুষ একসঙ্গে মিলেমিশে থাকা।বাঙ্গালিরা এইগুন প্রকৃতিগত ভাবেই অর্জন করেছে।ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের মানুষ শান্তিপ্রিয়, অতিথিপরায়ণ, ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ থাকতে দেখা যায়। এখানে বাঙ্গালি হিন্দুদের ১২ মাসে ১৩ পার্বণ অনুষ্ঠিত হয়,মোসলমানদের সব ছোট অনুষ্টান বাদ দিলেও বছরে দুই ঈদ একত্রে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে দেখা যায়। হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান এমন কি ইহুদি সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের সম্মিলিত প্রয়াসেই তৈরি হয়েছে বাঙালি জাতির জাতীয় সংস্কৃতির ধারা,চিরায়ত কৃষ্টির বিকাশ। বিশ্ববাসি বাংলাদেশকে সুখী,সমৃদ্ধ-অনাবিল শান্তির দেশ বলেই আবহমান কাল থেকে জানে ও চিনে। বাংলাদেশ বিশ্ববাসীর এই বিশ্বাসকে বদ্ধমূল করার জন্য যখন নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তখন একদল সামপ্রদায়িক, ধর্মান্ধ, প্রতিক্রিয়াশীল মানুষ বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করার জন্য, বাংলাদেশকে অকায্যকর রাষ্ট্রে পরিনত করার জন্য, একের পর এক নীলনকশা প্রস্তুত করে যাচ্ছে। সেই নীল নকশা অত্যান্ত সংগোপনে সংগঠিত কতিপয় লোকের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।অতীত থেকে দেখা যায় তাদের এই নীলনকশা প্রনয়ন ও বাস্তবায়নের পেছনে বন্ধুত্বের চরম পরাকাষ্টা দেখিয়ে এগিয়ে আসে ইহুদি রাষ্ট্র আমেরীকা,বিজাতীয় পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে উদার অর্থনৈতিক পৃষ্টপোষকতা।
বর্তমানের আই,এস এর উত্থান কাহিনী শুনলে প্রত্যেকটি বিবেকবান মানুষের বিবেকে একবার হলেও প্রশ্নের উদ্রেক হতে বাধ্য, এটাও কি সম্ভব? ইজরাইল ও আমেরিকার চক্রান্তে গঠিত এবারের জঙ্গি গোষ্টি আগের চেয়ে আরও বেশি সংগঠিত হয়ে,আস্ত্রবলে বলিয়ান হয়ে হামলে পড়েছে বিশ্বের শান্তিকামি দেশ এবং জনগনের উপর। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন, সাবেক বিশ্ববরেন্য নেতা ফিদেল কেস্ট্রো, সাড়া জাগানো ওয়েব সাইট উইকিলিকস ইতিমধ্যে বিশ্ববাসিকে জানিয়ে দিতে সক্ষম হন যে, বর্তমানের আই, এস, জঙ্গি গোষ্টি ইসরাইলের মোসাদ এবং আমেরিকার সি,আই,এর যৌথ উদ্যোগে গড়া একটি শক্তিশালী সন্ত্রাসি সংগঠন।সচিত্র প্রতিবেদনের মাধ্যমে আর ও প্রকাশ করেন যে,স্ব-ঘোশিত খলিফা আবদেল মুলত: ইসলাম ধর্মের অনুসারী নন,ব্যাক্তি জীবনে সে ইহুদি ধর্মের অনুসারী।
তাইতো বটে; ভুখন্ডহীন, নির্দিষ্ট জনবল হীন,সার্বভৌমত্বহীন একটা গোষ্টি এবং সিংহাসন হীন খলিফা কি করে প্রচলিত অগ্নেয়াস্ত্রের চেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র ও প্রশিক্ষন, জঙ্গীবিমান,নৌবহরের অধিকারী হয়? সন্ত্রাসের সাথে কথিত যুদ্ধরত: আমেরিকা যুদ্ধ করছেনই বা কোথায় বা কার সাথে?এই ছায়া যুদ্ধ শেষ হওয়ার যুদ্ধ নয়।ভূ-রাজনীতিতে আমেরিকার স্বার্থের বাহিরের প্রত্যেক দেশেই জঙ্গির উপস্থিতি টের পাওয়ার যুদ্ধ কখনই শেষ হয়না।
বাংলাদেশের ভূখন্ডে স্বাধীনতার পূর্ব থেকেই দুই শ্রেণীর লোকের আবাস। একশ্রেণী এদেশের সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে, এদেশের মানুষের পারস্পরিক ভালোবাসা ও সম্প্রীতিতে আস্থা রাখে।অন্যশ্রেণী মৌলবাদি বকধার্মিক, ষড়যন্ত্রকারী। তথাকথিত কমিউনিষ্ট, অতিডান, অতিবাম এই দেশের অখন্ডতায় মোটেই বিশ্বাসী ছিলেননা এখনও নেই। এই সম্মিলীত গোষ্টিদ্বয় সর্বত্র ধর্মকে হাতিয়ার হিসেবে সামনে রেখে ধর্মের নামে অধর্মের উপর ভর করে শোষণ শাষন লুটপাট করতে চায়।পিছন থেকে গুপ্তভাবে মানুষকে হত্যা করে নিজেদের হীনস্বার্থ কায়েম করতে চায়।
আগে যদিও এই শ্রেনীর মানুষরুপি দানবদের চিনতে বাংলাদেশের মানুষের কষ্ট হত,১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ধর্মান্ধ, সাম্প্রদায়িক,অতিডান,অতিবাম তথাকথিত সমাজতন্ত্রী দানবদের আসল চরিত্র বাংলাদেশের মানুষের নিকট পরিষ্কার হয়ে ওঠে। ১৯৭১ সালে যারা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের মুক্তিকামী জনতার কাছে চরম ভাবে পরাজিত হয়েছিল, সেই পরাজিত শক্তিরা তাদের পরাজয়কে মেনে না নিয়ে বরং উল্টো বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে অঘোষিত যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। এই রক্তখেকো দানব যুদ্ধবাজ দেশদ্রোহীরা কখনও শাষক শ্রেনীর রাজনীতিক আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে শক্তিশালী হয়ে ওঠে।আবার কখনও বা রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নে ঢুকে যায় শৃগালের গর্তে। এদের নির্মূল করা কিছুতেই সম্ভব হচ্ছে না। আমরা হিন্দুদের পুরাণে রক্ত বীজের নাম শুনেছিলাম। এই প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী যেন অনেকটা সেই রক্ত বীজের মতোই ভয়ঙ্কর।সময় সময় দানবে রুপান্তরীত হয়ে হামলে পড়ে, সাধারন মানুষের জানমালের উপর। এদের বিনাশ করলেও সামান্য কায়ায় আবার বেড়ে উঠে।এদের সমুলে মায়াজাল সহ উৎপাটন করতে না পারলে এদের হাত থেকে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মুক্তিকামী, অসামপ্রদায়িক জনগোষ্ঠীকে নিরাপদ রাখা কোনভাবেই সম্ভব হবেনা।
আমরা এক সময় দেখেছি, জাসদ, কমিউনিষ্ট পার্টি, সর্বহারা পার্টির নামে গ্রাম-গঞ্জে, শহরে-বন্দরে উড়োচিঠি দিয়ে শ্রেনী শত্রু খতমের নামে ডাকাতি রাহাজানি,খুন ঘুম করতে। জানা নেই, শোনা নেই হঠাৎ এক চিঠি এসে হাজির,আপনার বাড়িতে অমুক তারিখের এতটা বাজে আমরা উপস্থিত থাকবো,এত হাজার টাকা রাখবেন,নচেৎ আপনার স্বামীকে হত্যা করা হবে,ইহা আমাদের কমরেডের আদেশ। প্রথমত বিপ্লবের কথা লিখা থাকলেও, বেশিরভাগেরই মূল কথা থাকতো টাকা প্রস্তুত রাখো, নয়তো গৃহস্বামীর প্রাণদন্ডের নির্দেশ কায্যকর হবে। বাংলাদেশে কিছুদিন আগেও উড়োচিঠির প্রচলন ছিল। সামপ্রতিক সময়ে মোবাইল ফোন সহজলভ্য হওয়ায় এবং তাৎক্ষণিকভাবে সংবাদ আদানপ্রদানে সক্ষম হওয়ায় এখন আর কোন বিপদগামী সন্ত্রাসি বা কোন জঙ্গি গোষ্ঠী চিঠি চালাচালির জন্য সময় ব্যয় করেনা। তারা এখন ডিজিটাল প্রযুক্তির নিত্যনতুন সফটওয়ার ব্যবহার করে মুহূর্তের মধ্যে কার্য উদ্ধার করে হাওয়ায় মিলিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে ফোনে হুমকির ঘটনা মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এই হুমকিতে উড়িয়ে দেবারও কোন কারণ রয়েছে বলে আমি মনে করি না। আমার জানা মতে, ইতিপূর্বে যাদেরকেই হুমকি দেয়া হয়েছে তারাই হত্যা বা জখমের মুখোমুখি হয়েছেন।
আমরা পত্রিকার মাধ্যমে জেনেছি প্রগতিশীল লেখক অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদকে টেলিফোনে নিয়মিত কে বা কারা হুমকি দিতো। হুমায়ুন আজাদ স্বভাবগত কারণেই সেই হুমকিকে খুব একটা পাত্তা দিতেন না। কিন্তু আমরা দেখলাম, সেই হুমকি দাতারাই তাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে নির্মমভাবে জখম করে। এ সময়ে যত বস্নগারকে হত্যা করা হয়েছে প্রত্যেকের কাছেই মৃত্যুর পরোয়ানা পাঠিয়েছিল ঘাতকের দল। ঘাতকদের এই পরোয়ানা বা হুমকিকে এখন অবিশ্বাস করা যাবে কীভাবে? কিছুদিন আগে প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনের বাবা অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হককে হত্যার উদ্দেশ্যে কে বা কারা হুমকি দিয়ে আসছে বলে পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। দু'দিন/তিনদিন আগে দেখলাম দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ ও এমেরিটাস প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামানকেও কে বা কারা হুমকি দিয়েছে। তিনি জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গুলশান থানায় জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করতে বাধ্য হয়েছেন। এ রকম হুমকি-ধামকির ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে। এই যদি হয় বাংলাদেশের বর্তমান চিত্র তাহলে এখানে জননিরাপত্তা কতটা হুমকির মুখে আছে সেটা সহজেই অনুমান করা যায়।
একটা বিষয় সবাইকে ভেবে দেখার জন্য অনুরোধ করব। বাংলাদেশে এই পর্যন্ত প্রতিক্রিয়াশীলদের দ্বারা যত হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে তার বেশিরভাগই হয়েছে কুপিয়ে বা জবাই করে। সম্প্রতি চেকপোস্টে দুই পুলিশ নিহতের ঘটনা কিংবা সেনানিবাসের মধ্যে মিলিটারি পুলিশ আহত হওয়ার ঘটনাও একই স্টাইলের। যেহেতু সেনানিবাসের দুর্বৃত্তকে পুলিশ হাতে নাতে আটক করেছে এবং অন্যান্য জায়গায়ও এ রকম আটকের ঘটনা ঘটেছে। তাহলে এদের ঠিক মতো জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য বের করে এই প্রতিক্রিয়াশীলদের সমূলে নাশ করার জন্য এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ব্যাপারে দেরি করলে বা অবহেলা প্রদর্শন করলে জননিরাপত্তা আরও বেশি ভয়ঙ্কর রূপ নিবে। একজন মানুষ যত শক্তিশালীই হোক না কেন, কখনোই সে রাষ্ট্রের চেয়ে বেশি শক্তিশালী নয়। রাষ্ট্র ইচ্ছে করলে যে কোন সময়ে যে কোন বিষয়েই পদক্ষেপ নিতে পারে, আমরা আশা করি, বর্তমান জনবান্ধব সরকার এ বিষয়ে ত্বরিত ভূমিকা নিবেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলাম কখনোই কাউকে আঘাত করে না।আঘাত করে ইসলাম প্রচার করলে খলিফাদের যুগে কোন বিধর্মির অস্তিত্ব বর্তমান বিশ্বে থাকতো বলে আমি মনে করিনা। কিন্তু আজ যারা ইসলাম ধর্মের নামে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করছে, মানুষের মাঝে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে এবং পেছন থেকে এসে আক্রমণ করছে এরা কাপুুরুষ, ভীরু, ইসলামধর্মের শত্রুশক্তি। বীর পুরুষ কখনো পেছন থেকে কাউকে আঘাত করে না, একজন প্রকৃত ধার্মিকও কখনো কাউকে পেছন থেকে আঘাত করতে পারে না। আজ যারা বাংলাদেশে ফোনে হুমকি দিচ্ছে বা গুপ্তহত্যা চালাচ্ছে এরা দেশ ও জাতির ভাবমূর্তি নষ্ট করে বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে, জঙ্গি রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করতে চায়। কিন্তু বাংলাদেশের অসামপ্রদায়িক জনগণ তাদের বুকে রক্ত থাকতে কখনোই তা হতে দিবে না। তিরিশ লাখ শহিদের বুকের রক্তকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনে আরও তিরিশ লাখ মানুষ জীবন দিবে, তবু বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের ধারায় ও অসামপ্রদায়িক চেতনায় এগিয়ে যাবে, কোন মৌলবাদী অপশক্তিই বাংলাদেশের উন্নয়নের ও সুনামের ধারাকে বিনষ্ট করতে পারবে না।
আমাদের নবী করিম (স;)এর ওফাৎ এর পর উগ্রধর্মীয় জঙ্গী গোষ্টির উত্থান দেখা যায়।নবীর পর খলিফাদের যুগ শুরু হলে একমাত্র খলিফা হজরত আবু বকর (রা.) ছাড়া সবাই ধর্মীয় উগ্রগোষ্টির হাতে প্রান দিতে হয়।হজরত উমর (রা.), হজরত ওসমান (রা.) এবং হজরত আলী (রা.)_ এই তিন খলিফাই ধর্মান্ধ প্রতিক্রিয়াশীলদের দ্বারা নিহত হন। হযরতের আদরের দৌহিত্রদ্বয়ের হত্যাকান্ডে উগ্রধর্মীয় গোষ্টির গভীর ষড়যন্ত্র ছিল বলে ইতিহাস সাক্ষ দেয়।আপাত দৃষ্টে যদিও মনে হতে পারে ক্ষমতার লড়াই কিন্তু তাঁর পেছনেও ছিল এই অন্ধকারের কীটদের গোপন ষড়যন্ত্র। আমরা জানি অন্ধকারের দানবদের নাম ইতিহাস স্মরন করেনা,প্রকৃত ইমানদারগনও কোনদিন তাঁদের নামে দোয়া দরুদ পড়তে দেখা যায়না।যাঁরা ইসলামের সত্যিকারের রুপ, শান্তির বানীর জন্য জীবন দিয়ে গেছেন তাঁদেরকে ইতিহাসের পাশাপাশি প্রকৃত মসুলমানগনও স্মরন করে। ইতিহাস আত্মত্যাগী খলিফাদের নামই বুকে ধারণ করে আছে। ফ্রান্সের মতো শান্তিপ্রিয় দেশেও আজ শত শত লোক মরছে প্রতিক্রিয়াশীলদের হাতে।ভারতে উগ্রপন্থিদের উৎকট আচরণ বর্তমানে সেখানে কী পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে সচেতন মানুষ মাত্রই খবর রাখেন। বিহারে বিজেপির ভরাডুবির পিছনে উগ্রহিন্দু জঙ্গিবাদের অতিরিক্ত বাড়াবাড়িই মূল কারন ইহা স্পষ্ট।
মধ্যপ্রাচ্যের প্রত্যেকটি দেশে ধর্মের নামে উগ্রপন্থিদের হানাহানি প্রত্যহ খবরের পাতা ভারী করে দিচ্ছে।ফিলিস্তিনকে কতবছর ইজরাইল দখল করে রেখেছে,যাযাবর ইহুদি এত শক্তি পেল কোথায়?ইহা আমাদের ইসলাম ধর্মধারিদের মাথায় আসেনা।প্রত্যহ মধ্যপ্রাচ্যের অযৌক্তিক রক্তারক্তি মানব-ইতিহাসে যুগযুগান্তরের জন্য কালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।অথছ সামান্য বিষয়টিকেই আমাদের ধর্মাদ্ধরা বিবেচনায় নেয় না যে, আজকের আই,এস ভু-খন্ডহীন হওয়া সত্বেও এত জোর পায় কোথায়? ফিলিস্তিনিদের ভুখন্ড থাকার পরও ইজরাইল কিভাবে যুগের পর যুগ দখল করে রাখে।ইমানি শক্তি ফিলিস্তিনে কোন কাজ দেয়না কেন?
আই,এস আসলে কি চায়?আই এস চায় মসুলমান জাতিকে জঙ্গী জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে,ইসলাম ধর্মকে জঙ্গীর ধর্ম, বিশ্ব অশান্তির মুল কারন হিসেবে চিহ্নিত করতে।উপকারিতা :-মুসলিম দেশ সমুহে জঙ্গী দমনের নামে দখল করত: সম্পদ লুন্ঠন,শাষন শোষন অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয়তা সহজতর করা।
ইউরোপীয় রেনেসাস পৃথিবীর মানুষকে অসভ্য স্তর থেকে সভ্যতার আলোতে নিয়ে এসেছিল। সেই রেনেসার অবদান আজকের গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা,যা নিয়ে বিশ্ব গর্বে মাতোয়ারা।সেখানেও আজ গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা সংকটের মুখে।সকল ধর্মের মানুষের শান্তিতে বসবাসের ঐতিয্য ধরে রাখা সম্ভব হবে কিনা জানিনা। গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে বাঁচিয়ে রাখার স্বার্থে সেই দেশের জনগন আজও জঙ্গীদের নামের আগে ইসলামি শব্দটি প্রয়োগে আনছেনা।যখনই আনবে তখন কি ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের জন্য ইউরুপ নিরাপদ থাকবে?আমেররিকা অনুভব করছে ইউরুপে ধীরে ধীরে ইসলাম ধর্মালম্বিদের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। মসুলমান অনুপ্রবেশ কারিদের বা শরনার্থিদের প্রবেশ ঠেকাতে প্যারিস হামলার সুত্রপাত করেছেন,এতে কোন সন্দেহ আছে বলে আমি মনে করিনা।অল্প কিছুদিন পরেই হয়তো বলতে শুনা যাবে,শরনার্থীরাই জঙ্গি আমদানি করে নিয়ে আসছে সুতারাং শরনার্থী প্রবেশ ঠেকাও।
সর্বশেষ বলতে চাই ধর্মীয় দানবদের দমনের জন্য সকল শান্তিপ্রিয় দেশ আবার বিশ্বে নয়া রেনেসাসের উদ্ভব ঘটাতে হবে,আবার একটা সাংস্কৃতিক বিপ্লবের প্রয়োজন হতে পারে । মানুষকে জাগাতে হবে, মানবিক গুনাবলি সম্পর্ন্ন মানুষ না জাগলে অমানবিক জঙ্গিগোষ্টি মানুষরুপি দানব অমানুষের দল আধিপত্য বিস্তার করবে।তখন পৃথিবী আর বাসযোগ্য থাকবেনা।

মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন