বিএনপির চ্ছত্রছায়ায় জামায়াত-শিবিরের প্রেতাত্মার অপর নাম বাংলাদেশী আইএস আই। ------------------------------------------ বাংলাদেশে বিভিন্ন নামে জামায়ত-শিবির বিএনপির প্ররোচনায় জঙ্গীপনার তৎপরতায় সব মহলেরই উদ্ভেগ-উৎকন্টা দেখা দিয়েছে। এদের কার্যকলাপ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং মানুষে মানুষে সৌহার্দ-সম্প্রীতির জন্যও চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিচ্ছে। পর পর কয়েকটি অনাক্ষাংখিত সন্ত্রাসী ঘটনায় দেশ-বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিদের মধ্যে উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়েছে। দেশকে অস্থিতিশীল করতে ৭২-৭৫ এর মতই সক্রিয় হয়ে উঠেছে বিভিন্ন কুচক্রী মহল। নানা ধর্ম আর নানা মতের সহাবস্থান সুদুর অতীতকাল থেকে আমাদের এই দেশের ইতিহাস ঐতিহ্যে বয়ে চলে আসছিল।সুফিবাদের প্রচার প্রসারের মাধ্যমে ইসলাম ধর্মের প্রচলন হলেও অন্য মতালম্বিরাও পরবর্তিতে ইসলামের শান্তির বানী প্রচারে বাধাগ্রস্থ হয়নি। ধর্মীয় উগ্রতা নিয়ে এ অঞ্চলের মানুষ কখনও মাথা ঘামিয়েছে তেমন উদাহরন কখনই সৃষ্টি হয়নি। সাম্প্রতিক কালে আইএস পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশে একটি মহল বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড- সংঘটিত করে চলেছে।এই চক্রটি আই এস আই এর সাথে সম্পর্ক বুঝানোর জন্য এবং তাঁদের অনুকুলে হামলা হচ্ছে, জনগন ও সরকারকে ধোঁকা দেয়ার প্রতারিত করার জন্য তাজিয়া মিছিলে বোমা হামলা এবং বগুড়ায় শিয়া মসজিদে মুয়াজ্জিনকে হত্যা করেছে নির্দ্বিদায় বলা যায়।ফেস বুক বন্ধ করে ফ্রক্সি সারবার এর উপর নজরদারি চালিয়ে গোয়েন্দারা আমার উল্লেখিত বিষয়টির সত্যতা শতভাগ মিলাতে পেরেছেন। সরকার ও নিশ্চিত ছিলেন বর্তমানের হামলা সমুহ জামায়াত শিবিরেরই কর্ম।শেষ পয্যন্ত তাহাই প্রমানীত হল। বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে অতীতেও বিভিন্ন সময় চেষ্টা হয়নি তা কিন্তু বলছি না। কোন সময়েই তাঁরা শতভাগ সফল হতে পারেনি।এ জাতিয় দুর্যোগ মহুর্তে তাৎক্ষনিক ভাবে আমাদের অসাম্প্রদায়িক নেতারা মাঠে নেমে জনগনকে সাথে নিয়ে নিয়ন্ত্রন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এইরুপ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা নিয়ন্ত্রনে অহিংস আন্দোলনের মহান নেতা মহাত্মা গান্ধীজি দাঙ্গাকবলিত অঞ্চল নোয়াখালী এসে তাঁর পালিত ছাগলটিও হারিয়েছিলেন।ধর্মাগ্ধমহল কখনও বিষয়টিকে অনেক দূর টেনে নিতে সফল হয়নি। কারণ এ অঞ্চলে সহনশীল সুফিবাদের মাধ্যমে ধর্মের প্রচার হওয়ায় স্বভাবগত ভাবেই মানুষ শান্তিপ্রিয়, কোন হিংস্রতা, উগ্রতা ও ধর্মান্ধতা, সাম্প্রদায়িকতার প্রশ্রয় দেয়নি।বিদেশি বন্ধু দেশ সমুহের নিকট দেশের আইন শৃংখলা অবনতির উদাহরন তুলে ধরার জন্য এবং মানবতা বিরুধি অপরাধের বিচার দীর্ঘায়িত বা বাঞ্চাল করার জন্য রাজনৈতিক জোটের আন্দোলনের উপর ভরকরে ২০১৩ সাল থেকেই বিভিন্ন লেবাসে ভিন্ন ভিন্ন নামে দেশে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের এই সময়ে স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত-শিবির হত্যাসহ বিভিন্নভাবে তাণ্ডব চালিয়ে জনমনে আতংক সৃষ্টির পায়তারা চালিয়ে আসছে। তারা সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে লেখক, প্রকাশক,ব্লগার, পুলিশ সর্বশেষ শিয়া ধর্মালম্বিদের হত্যাসহ নৃশংস সন্ত্রাস, জঙ্গিপনা করে চলেছে। ২০১৪ সালের শুরুর দিকে এবং ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাস থেকে পেট্রোলবোমায় মানুষ হত্যাসহ টানা ৯২ দিন ২০ দলীয় জোটের ব্যানারে যে তান্ডব চলেছে, বিএনপি নেত্রীর সরাসরি তত্বাবধানে- জামায়াত শিবিরের জঙ্গি কর্মিরাই তা করেছে, যাহা দিবালোকের মতই মানুষের মনে সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।সেই আলামত এখনও স্পষ্ট,আগামি কয়েক দশকেও তাঁর ক্ষত জনমন থেকে মুছবেনা।এখন জঙ্গিপনা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হচ্ছে তা আইএস ও অন্যান্য জঙ্গী সংগঠনের নামে জনগনকে এবং সরকারের দৃষ্টি বিভ্রান্ত করার একমাত্র নতুন অপকৌশল- সাক্ষাৎ প্রতারনা ছাড়া আর কিছই নয়। বগুড়ার এই হামলা এবং তাজিয়া মিছিলে হামলা আইএসের সাথে যোগসুত্রের উদাহরন তুলে ধরার জন্য সাজানো নাটক।যেহেতু ফেসবুক বন্ধ করে সরকার নিশ্চিত হতে পেরেছেন সাম্প্রতিক হত্যা ও সন্ত্রাসের ঘটনাগুলোর উৎপত্তি, সংগত কারনে ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলির সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে আইনের মাধ্যমে বিচারের আওতায় নিয়ে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি নিশ্চিত করা একান্ত প্রয়োজন। এই প্রজর্ম্মের জন্য নয়,আগামি প্রজর্ম্মের জন্য। অপরাধগুলো সত্যিকার ভাবেই নব্য জামায়াত শিবিরের সৃষ্ট আইএস করছে তাহা দিবালোকের মতই জনগনের নিকট তুলে ধরা সরকারের নৈতিক দায়িত্ব বলে আমি মনে করি। আইএসআই এর মাধ্যমে রাজনৈতিক স্বার্থ- প্রতারনা করে জনগনকে বিভ্রান্তের ঘোরে ঠেলে দেয়ার অপপ্রয়াসের এবং তাঁদের দলিয় ও জোটের স্বার্থ হাসিল করার অপপ্রয়াসের মুখোষ উম্মোচনের প্রয়োজনেই জনগন চায় সঠিকও নিরপেক্ষ তদন্ত। প্রয়োজনে বিরুদিদলের গত কিছুদিন আগের আগুন সন্ত্রাসের তদন্ত বিদেশিদের মাধ্যমে হওয়ার দাবিকে মেনে নিয়ে আন্তজাতিক তদন্ত দল গঠন করে তদন্ত করে হলেও চিরতরে বাংলার মাটি থেকে এই অপরাজনীতির ধারক বাহক,তাঁদের পৃষ্টপোষকদের চিহ্নিত করে কবর দেয়ার ব্যাবস্থা করার আকুল আবেদন জানাচ্ছি।অবশ্য বেগম খালেদা জিয়া ইতিমধ্যে আন্তজাতিক তদন্ত দলের তদন্তের দাবি থেকে সরে গেছেন বলেই মনে হচ্ছে।এই দাবি থেকে কেন খালেদা জিয়া সরে গেল তাও তদন্ত করে দেখা দরকার বলেই আমি মনে করি। সঠিক তদন্ত হলেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে। একের পর এক ব্লগার হত্যা, বিদেশী নাগরিক হত্যা, হত্যার চেষ্টা, তাজিয়া মিছিলে হামলাসহ সর্বশেষ বগুড়ার শিয়া সম্প্রদায়ের মসজিদে হত্যাকান্ডের মাধ্যমে দেশকে একটি অনিরাপদ, জঙ্গী ও সাম্প্রদায়িক বিরোধসঙ্কুল স্থান হিসেবে বহির্বিশ্বে তুলে ধরার অপচেষ্টা চালিয়ে তারা রক্ষা পেয়ে যাবে তা হতে দেয়া যায়না।স্বাধিনতার পর থেকেই লক্ষ করছি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপরিবার সহ হাজার হাজার নেতাকর্মি,মুক্তমনা ব্লগার,লেখকপ্রকাশক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক,এমপি,মন্ত্রী তাদের হত্যার শিকার হয়েছে।একেক সময়ে একেক নামে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে প্রগতিশিল চিন্তাধারার মানুষকে পরপারে পাঠিয়ে দিচ্ছেন।কখনও শুনা যায়না কোথাও একজন মৌলবাদি বা উগ্রতায় বিশ্বাসি লেখক ব্লগার,সাহিত্যিক সাংবাদিক রাজনৈতিক নেতা হত্যার শিকার হতে।কেন হয়না তাঁরা হত্যার শিকার? আল্লাহ কি তাঁদেরকেই মানুষ হত্যা করার লাইসেন্স দিয়েছেন? অন্য কেহ হত্যা করলে মহাপাপ হয়, তাঁরা হত্যা করলে কি পুর্ন হয়? মানুষ হত্যায় পুর্ন হয় এমন শরিয়তের দলিল যদি কোন ধর্মীয় আলেম দিয়ে প্রমান দিতে পারেন, তবে আমি নিজেই শত শত মানুষকে হত্যা করে বেহেস্থে যাওয়ার পথ পরিষ্কার করতে রাজি আছি। বেহেস্তে যাওয়ার লোভ নেই সারা পৃথবী খুঁজে একজন মানুষকেও পাওয়া যাবেনা।তাঁরা হত্যা করে সবাই বেহেস্তে চলে যাবে আমরা কেন বসে থাকবো? মুলত; তাঁদের লক্ষ্য, দেশের অগ্রযাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করে প্রমান করা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে হত্যা ঘুম,খুন বেড়ে যায়,দেশে প্রচার যদিও তাই হয় বিদেশিদের নিকট তুলে ধরতে চায় এখানকার জনগন ধর্ম ছাড়া কিছুই বুঝেনা,ধর্মীয় সম্পৃতি আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে রক্ষা করতে পারেনা।যেমন এখন ও তাঁরা প্রচার করে বেড়ায় ৭৪-৭৫ সালে বহু লোকের হত্যা ঘুম খুনের কাহিনী। মুলত;তখনও আজকের অপশক্তিরাই সারা দেশব্যাপি হত্যা,ঘুম,খুন,রাহাজানি,পাটের গুদামে আগুন, আমেরীকা কতৃক খাদ্যের জাহাজ মাঝ দরিয়ায় রেখে খাদ্যসংকট তৈরী,ইত্যাদি হেন কাজ নেই যাহা তাঁরা করেনি।তখন সম্মুখ সমরে ছিল আওয়ামী লীগ থেকে সদ্য বেরিয়ে যাওয়া অতি বিপ্লবি জাসদ।আজকে সম্মুখ সমরে বিএনপি- পেছনে যত অপশক্তি সকলেই একজোট হয়ে ষড়যন্ত্রের জাল বিচিয়ে একের পর এক প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার মানুষকে হত্যা করে চলেছে।আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে তাঁদের বাপ-দাদাকে ক্ষমতায় নিয়ে আসতে তৎপর রয়েছে। এ থেকে উত্তরণের একমাত্র পথই হচ্ছে এসব অপকর্মের হোতাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা। জনগনের সামনে মুখোষ খুলে দিয়ে চিরতরে রাজনীতি থেকে উচ্ছেদের পথ রচনা করা। আমরা আশা করব দ্রুত এই সমস্ত হামলার ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। এমন ঘটনা আর যেন না হয় , সেটা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে জামায়াত শিবির সহ সকল অপশক্তির রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষকে রুখে দাঁড়ানোর জন্য আওয়ামী লীগ সহ সমমনা প্রতিটি দলকে তাঁদের কর্মি বাহিনী নিয়ে মাঠে নামতে হবে। ঢাকায় বসে বিবৃতি দিয়ে খালেদাকে মাঠে নামতে দেবনা হুংকার দিলেই খালেদা পালিয়ে যাবেনা। তাঁর জন্য চাই প্রতিরোধ গড়া। প্রশিক্ষিত কর্মিবাহিনী নিয়ে আসুন সবাই মিলে অপশক্তি রুখার স্বার্থে একযোগে মাঠে নেমে পড়ি। বর্তমান প্রশাসনেও তাঁদের ২১ বছর নিয়োগ দেয়া অপশক্তি আপনাদের চাইতে আরো বেশি। তাঁদের দিয়ে সন্ত্রাস নির্মুলের স্বপ্ন দেখা ছেঁড়া কাথায় শুয়ে কোটি টাকার স্বপ্ন দেখার সমতুল্য।এই অপশক্তি কোনভাবেই যেন মাথাচাড়া দিতে না পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিতদের সাথে" সর্বদলীয় বিগ্রেড" গঠন করে তাঁদেরকেও দায়িত্ব দিয়ে কাজে লাগাতে হবে।সব মহলকেই সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। একই সঙ্গে এ দায়িত্ব দেশের সব রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তি এবং শুভবুদ্ধিসম্পন্ন প্রতিটি মানুষকে সম্পৃত্ত করে তাঁদের উপরও দায়িত্ব তুলে দিতে হবে। আইন শৃংখলা বাহিনী দিয়ে নিয়ন্ত্রন করা যাবে স্বল্প সময়ের জন্য-নির্মুল করা যাবেনা শেকড় কোনকালেই। জনগনই পারে একমাত্র শেকড় উপড়ে পেলে দিতে। জনগনের বিকল্প কোন শক্তি নেই, হবেও না কোন সময়। সব মহলকে সর্বাজ্ঞে জনগনের শক্তির উপর নির্ভর করার অভ্যেস গড়ে তুলতে হবে, তবেই অপশক্তির কবর রচিত হতে পারে-নচেৎ কস্মীন কালেও এই অপশক্তির ষড়যন্ত্র রুখতে পারবেনা সরকার।যেমনটি মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে চরম ভাবে পরাজিত করার ২/৩বছরের মধ্যেই আবার তাঁরা মাথা চাড়া দিয়ে উঠে জাতির জনকের প্রান সংহার করেছিল।দেশী বিদেশী অপশক্তি সমুহকে একত্রিত করে অশুভ শক্তি অর্জন করে পেলেছিল।তাঁরা মুলত:সুক্ষ ষড়যন্ত্রকারি,বিপদে কচ্ছপের মত মাথা লুকিয়ে রাখে- কিন্তু শেয়ালের চেয়ে ধুর্ত। যে কোন বিপদে বড় গাছের ছায়ায় তাঁরা আশ্রয় নিতে জানে।সময় হলেই তাঁরা আবার শেয়ালের পালে ভীড়ে যায়।আবারও মানুষের ঘুম হারাম করা সেই চিরচেনা ডাক দিয়ে আক্রমনের প্রস্তুতি শানায়।

নব্য সৃষ্ঠ জামায়াত শিবিরের প্রেতাত্মা আইএসাইকে রুখে দিতে সামাজিক বিপ্লব সংগঠিত করা সময়ের দাবি।সকল রাজনৈতিক দল,সামাজিক সংগঠনকে একযোগে মাঠে নামতে হবে,ঢাকায় বসে বিবৃতি দিলেই জঙ্গিপনা কমে যাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন