আইএস আই নয়,আমার প্রতিবেশি একসময়ের সহজ সরল মেধাবী ছেলেটি--। ================================= আপনার আমার খুবই পরিচিত পাড়ার সভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের একটা ছেলে হঠাৎ কেন জানি বদলে যেতে থাকে।কারো সাথে কথা বলা তেমন প্রয়োজন মনে করেনা,সামাজিকতার প্রয়োজন আছে বলে মনে করে করেনা।মা, বাবা কারো জিজ্ঞাসার জবাব দেয়ার প্রয়োজন মনে করে না।সে আছে তার মত করে।সারা দিন ডুবে আছে চিন্তার রাজ্যে,কি চিন্তা করে, ভাবনা গুলো কি কোন সহপাটি বন্ধু বা আত্মীয় এর সাথে শেয়ার করার প্রয়োজন আছে তাও মনে করেনা। এমনিতর পরিস্থিতিতে বালকটির যে মগজ ধোলাইয়ের কাজ চলছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।গুনি -গুনি চেনেন, স্বর্ন চেনে বনিক্য।তদ্রুপ সেই ছেলেটিকেও চিনে নিতে তাঁদের কষ্ট হয়নি।এরা সাধারনত:সহজ সরল,আত্মকেন্দ্রিক, সমাজ বিচ্ছিন্ন,একাকি থাকা পছন্দ করেন।ঠিক সে মোতাবেক তাঁদের চিহ্নিত করে আয়ত্তে নেয়া তাদের জন্য তেমন কঠিন কাজ নয়।তাঁদেরকে নিয়ন্ত্রন করে প্রাথমিক পাঠদানের পর কতটুকু কাজ হবে বা ছেলেটির দ্বারা কি করা সম্ভব তাঁর গবেষনা চলে।গবেষনার ফলাফল নির্নয় করে প্রাথমিক প্রস্তুতি সম্পন্নের পর কেবল মাত্র উচ্চতর প্রশিক্ষনের জন্য নির্বাচিত করা হয়।এরা আমার আপনার অত্যান্ত কাছের প্রতিবেশি।হঠাৎ দেখা যায় ঐ ছেলেটির আর কোন খোঁজ নেই,চিহ্নিত জীবন যাপনে অভ্যস্থ ছিলনা বলে পাড়ার কেউ তেমন নজর ও হয়তো রাখেনি।সে ছেলেটির মগজ ধোলাই করে এমন অস্বাভাবিক করে দেয়া হল স্বল্প সময়ের মধ্যে, মানুষ হত্যা তাঁর হাতের মোড়াই শুধু নয়, প্রয়োজনে নীজের জীবন উৎসর্গ করে দেয়ার মত মানষিকতা তাঁর মধ্যে সৃষ্টি হয়ে যায়। কেন এমনতর হয় তাও কি কেউ চিন্তা করে দেখেছিল কোন দিন--? এদের পেছনে আছে অর্থ, মোহ, পরকাল, ধর্মের উন্মাদনা ও অস্ত্রের জোগান,সদা প্রস্তুত বেহেস্তের টিকেট।শুধু ইসলাম ধর্মেই যে তা নয় প্রত্যেক ধর্মেই বহু আলাদা আলাদা মতবাদে বিস্বাসি প্রত্যেক গোত্রের মধ্যেই এই সর্বনাশা আছর ভর করেছে। বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিও অনেক যুবক-যুবতির মাথা ঘুরিয়ে দিতে সাহায্য করছে। চতুর শ্বেতাঙ্গ ক্রিষ্টান,ইহুদিও পশ্চিমাদের ধর্মীয় ক্রুসেডের দায়িত্ব নিয়েছে সংগঠিত, সুসজ্জিত জঙ্গী বাহিনী,মুলত:তাঁদেরই সৃষ্ট এই দানব। চাপাতি, তলোয়ার, আত্মঘাতী বোমায় উড়ে যাচ্ছে জেহাদের নামে উদম্য মাতাল বিভ্রান্ত যুবক যুবতি। ঐ যুবকটির হঠাৎ পরিবর্তনে তার বিশ্বাস বা ভক্তি যতটা না কাজ করেছে, তারচেয়ে অধিক কাজ করেছে সর্বক্ষন পিছনে লেগে থেকে প্ররোচিত করার কারন। এদের প্ররোচিত করার স্থান দেশের চাইতে বিদেশেই তুলনামূলক বেশি। সংবাদপত্র, টিভি বা যে কোনো মিডিয়ায় অত্যাদিক প্রচারনাও কম ক্ষতিকারক মনে হচ্ছেনা।তরুনদের ধর্মইতো নতুন একটা কিছু করার প্রতি অদম্য আগ্রহ বিদ্যমান থাকা।যতটানা ঘটনা তাঁর অধিক প্রচার পাওয়ার জন্য ও তাঁরা কিছু কিছু ঘটনা করে থাকে।ঘটনার ধরন পয্যালোচনা করলেই বোঝা যাবে, কতটা আগ্রাসী আর কতটা প্রচারসর্বস্ব। মাথা চিবিয়ে খেয়ে, মগজে উগ্রতার ঘন্টা জুড়ে দিয়ে ধর্ম কায়েম হয় না,কোন ধর্মই তা চায় না। ধর্মের অপব্যাখ্য করে তার কুপ্রভাব গুলি মগজে ডুকিয়ে দিয়ে বিশ্বব্যাপি ত্রাসের আতংক সৃষ্টি করে রেখেছে,একশ্রেনীর স্বার্থান্বেষি মহল।পৃথিবীর বড় বড় শহরগুলো এখন আতঙ্কে, ভয়ে জড়সড়,কোন দেশ, কোন জাত কোন গোত্র শান্তিতে নেই। তবে এটুকু নি:সন্দেহে বলা যায়, এই সমস্ত সহজ সরল তরুন তরুনিদের ভুল পথ থেকে সরিয়ে আনার কোন সরকারি বেসরকারি,এনজিও বা সামাজিক প্রতিষ্ঠান কারো উদ্যোগ নেই। আমাদের বিচক্ষন বুদ্ধিজীবীরা বলতেই আছেন জঙ্গির ভয়ে আছি,কখন প্রান পাখি উড়ে যায় বলা যায়না,পুলিশি প্রহরার জন্য সরকারের নিকট ঘন ঘন দাবি উত্থাপন করে যাচ্ছেন। তাঁরা কি আদৌ জানতেন না বাংলা ভাইদের যখন উত্থান হল তখন অনেকেইতো বলতে শুনেছি এটা স্রেফ মিডিয়ার সৃষ্টি।তাঁরা কি জানতেননা আজকে যে শিশুটি জম্ম নিল সেই একদিন যুবক হবে,বিয়ে করবে, তাঁর সংসারে বাচ্ছা হবে? অনেকে এখন বলেন, তাঁরা ভাবতে পারেননি মৌলবাদ এভাবে বড় হয়ে উঠবে, এতেই তো বোঝা যায় বুদ্ধিবৃত্তির মেধায় কতবড় তালা, চোখে কাল চশমার আবরনে ঠুলি লাগানো। এখন থেকে বিশ বছর আগে তারা সামনে স্পষ্ট দেখতে পেয়েছিলেন ওরা জঙ্গী নয়, এখন শত শত কিলোমিটার দূরেও দেখতে পান আইএসের জঙ্গি খলিফার দিকবিদিক বোমা হামলা,জামায়াত শিবিরের" মানুষ কতলকে"ও ওনাদের মনে হচ্ছে আই এস আইএর কর্মকান্ড। এখন সময় এসে গেছে, কোন বিতর্কে না জড়িয়ে আমাদের তরুন প্রজর্ম্মকে রক্ষা করার কৌশল নির্ণয় করার।তাঁদের মা বাবা অনেক আশা ভারসা করে তাঁদের স্কুল কলেজে পাঠিয়েছে,ছেলে লেখা পড়া শেষ করে পরিবারের হাল ধরবে।পথিমধ্যে ছেলের মগজ ধোলাই করে বিপথে নিয়ে যাবে সংঘবদ্ধ চক্র তা কোন মা বাবা চিন্তা করেনি। ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়া" সামাজিক ক্যান্সার প্ররোচনা ও ষড়যন্ত্র "বন্ধ না হলে তরুন সমাজের এক অংশ যে বিপথে যাবে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। শুশিল সমাজের বৃহদাংশের রাতের ঘুম হারাম হয়ে যাবে তাও একান্ত হলফ করে বলা যায়।কে কখন কোথায় কার দ্বারা উড়ে যাবে কেউ জানে না। নষ্ট মগজ, বিকল চিন্তা আর বদলে যাওয়া যুবকের চেহারা গুলি আমাদের আশেপাশের।এখন বুদ্ধিভিত্তিক সমাজকে নির্ঘুম রাখছে, অতঃপর দেশের আপামর জনগনকে নির্ঘুম রাখবে। যখনি ধর্মাগ্ধ গোষ্টিটির সাথে যোগাযোগের ঠিকানা পাবে তখন সারা বিশ্বকে নির্ঘুম রাখবে। বিজ্ঞানের চরম শিখরে দাঁড়িয়ে সভ্যতা কি আত্মসমর্পন করবে ধর্মাগ্ধ গুটিকতক উম্মাদের নিকট। দুনিয়াতে যাহা কিছু উত্তম তাঁর পাশেই অবস্থান অধমের।তবে কি ধরে নেয়া যায় বর্তমানের অস্থিরতা সভ্যতারই কাল দিক? জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা
সকল সামাজিক সাংস্কৃতিক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান একযোগে কাজে নেমে পড়ার সময় হয়ে গেছে।যে ছেলেটি ধর্মীয় উম্মাদনায় আসক্ত হয়ে ইতিমধ্যে সমাজ রাষ্ট পরিবারের বোঝা হয়ে সমাজকে রাষ্ট্রকে কলুসিত করছে তাঁকে সেখান থেকে ফিরিয়ে এনে স্বাভাবিক জীবনের গ্যারান্টি দিতে হবে।সমাজের প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব আছে সমাজকে স্বস্তির বাতাবরনে আবদ্ধ করে রাখার।সরকারের একার পক্ষে এই গুরুতর বিষ বাস্প থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করা কোন মতেই সম্ভব নয়।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন