বিশ্বমোড়লের স্বার্থের বাহিরে গেলে প্রিয় বন্ধুরাষ্ট্রেও জঙ্গীর উপস্থিতি আছে:অনুকুলে থাকলে দেশের সব মানুষ মারা গেলেও আপত্তির কোন কারন থাকে না। প্রীয় পাঠক বন্ধুরা,নিম্নে বহুল প্রচলিত বিশ্ব নেতাদের নীতি কৌশলের আতংক ওয়েব সাইট উইকিলিকস,অভিজ্ঞ সাবেক বিশ্বনেতা ফিদেল কেস্ট্রো,বর্তমান বিশ্বের ২য় শক্তিধর নেতা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত তিনটি বিশেষ খবর কপি পেষ্ট করে তুলে দিলাম।বর্তমান বাংলাদেশের কথিত আই এস হামলার সাথে এখানে কোন যোগসুত্র পাওয়া যায় কিনা তাঁর একটা বিশ্লেষন ধর্মী আলোচনা বাংলাদেশের রাজনীতি বিশ্লেষকদের কাছ থেকে জানার আগ্রহে আমার ক্ষুদ্র এই প্রয়াস। দেখি তাঁরা কি বলেন------ (এক) ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন বিষয়ে গোপন তথ্য ফাঁস করে আলোচিত ওয়েবসাইট ‘উইকিলিকস’ প্যারিস হামলার জন্য আমেরিকা ও তার মিত্রদের অভিযুক্ত করেছে। হামলার পর এক টুইট বার্তায় উইকিলিকস বলে, বছরের পর বছর ধরে সিরিয়া ও লিবিয়ায় চরমপন্থীদের অস্ত্রশস্ত্র এবং প্রশিক্ষণ দেয়ার ফল। পরের দিন আরেক টুইট বার্তা ওয়েসসাইটটি বলে, প্যারিস সন্ত্রাসী হামলায় বহু মানুষ নিহত হয়েছে। ইরাক ও সিরিয়াও ২ লাখ ৫০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। এই দুই মৃত্যুর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য যে উগ্রপন্থীদের প্রতিপালন করেছে তার সরাসরি যোগসূত্র রয়েছে। আরেক টুইট বার্তায় উইকিলিকস বলে, প্যারিসে ইসলামি সন্ত্রাসীদের হামলায় ১২০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। ইরাক, সিরিয়া ও লিবিয়ায় আড়াই লাখ মানুষ নিহত হয়েছে। এই ব্যাপারটা তখনো মজার ছিলো না, এখন মজার না। অস্ত্র এবং আর্থিক সহায়তার প্রশ্ন তুলে আরেক টুইট বার্তায় উইকিলিকস বলে, এরা (হামলাকারী) কারা? সুন্নী উগ্রপন্ত্রী, তাদের অর্থ এবং অস্ত্র দেয় কে? ওয়েবসাইটটি আরো বলে, সিরিয়া ও ইরাক রাষ্ট্রকে ধ্বংস করতে উগ্রপন্ত্রীদের যারা অস্ত্র, অর্থ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে সহায়তা করেছে তাদের প্রত্যেকে বিচারের আওতায় আনা উচিত। শনিবার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে একটি আর্টসেন্টার, রেস্টুরেন্টসহ কয়েকটি জায়গায় বন্দুকধারীর গুলি এবং ফ্রান্স স্টেডিয়ামের কাছে বিস্ফোরণের ঘটনায় দেড়শতাধিক মানুষ নিহত হয়। ক্যাস্ত্রো বলেছেন, উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএল সৃষ্টির পেছনে রয়েছে আমেরিকা ও ইহুদিবাদী ইসরাইল। কিউবার স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক বহু মিডিয়া এ খবর দিয়েছে। (দুই) ক্যাস্ত্রো বলেছেন, সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএল সৃষ্টির জন্য ইসরাইলের কুখ্যাত গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ ও আমেরিকার যুদ্ধবাজ সিনেটর জন ম্যাককেইন ষড়যন্ত্র পাকিয়েছেন। ক্যাস্ত্রো তার নিবন্ধে পরিষ্কার করে বলেছেন, জন ম্যাককেইন হচ্ছেন ইসরাইলের নিঃশর্ত মিত্র এবং মোসাদের সঙ্গে গোপন পরিকল্পনায় আইএসআইএল সৃষ্টি করা হয়। সেই অনিষ্ট শক্তি এখন ইরাকের বিরাট অংশ এবং সিরিয়ার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। ক্যাস্ত্রো তার বক্তব্যে ন্যাটো সামরিক জোটকেও এক হাত নিয়েছেন। তিনি এ জোটকে জার্মানির নাজি বাহিনীর এসএস কোরের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ন্যাটোর কিছু নেতার বক্তব্য শুনলে মনে হবে যেন তারা অ্যাডলফ হিটলারের নাজি বাহিনীর কাছ থেকে প্রেরণা পেয়েছেন। (তিন) বাংলাদেশ প্রেস ডেস্ক || রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, জি-২০’র কোনো কোনো সদস্যসহ প্রায় ৪০টি দেশ তাকফিরি সন্ত্রাসীগোষ্ঠী আইএসআইএল বা দায়েশকে অর্থের যোগান দিচ্ছে। জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন শেষে ভূমধ্যসাগর তীরবর্তী তুরস্কের আনাতালিয়া শহরে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, রুশ গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে আইএসআইএল’র অবৈধ তেল ব্যবসা জরুরিভিত্তিতে বন্ধের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও কথা বলেন তিনি। রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, মহাকাশ এবং বিমান থেকে তোলা ছবি জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানকারী রাষ্ট্র প্রধানদের দেখানো হয়েছে। এসব ছবিতে দায়েশের অবৈধ তেল বাণিজ্যের ব্যাপকতা ফুটে উঠেছে। । এ সব ছবিতে কিলোমিটারের পর কিলোমিটার জুড়ে তেল ট্যাংকারের লাইন ধরা পড়েছে বলে জানান তিনি। পুতিন বলেন, চার থেকে পাঁচ হাজার মিটার ওপর থেকে তোলা ছবিতে দেখা গেছে- তেল ট্যাংকারের লাইন দিগন্ত রেখা পেরিয়ে গেছে। গত বছর অধিকৃত তেলক্ষেত্রগুলো থেকে উত্তোলিত তেল বিক্রির অর্থ দায়েশ গোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস ছিল। ইরাকের উত্তরাঞ্চল এবং সিরিয়ার রাকা প্রদেশের তেলক্ষেত্রগুলো থেকে এসব তেল উত্তোলন করা হচ্ছে। আমার অভিমতের সাথে পাঠকের মনের মিল খোঁজে পান কিনা একটু দেখুন:------ পাঠকগন লক্ষ করুন--তিনটি পত্রিকার তিন দিগন্ত থেকে দুই বিশ্ববরেন্য ব্যাক্তি এবং এক মিডিয়া ওয়েব বিশ্ববাসিকে একই খবর একই সময়ের মধ্যে জানানো হল। আগেই বিশ্বনেতৃবৃন্দ স্থীর সিদ্ধান্তে উপনিত হয়েছেন আইএস জঙ্গী সমস্যা কোন একক দেশের একক কোন সমস্যা নয়।শান্তিকামি দেশ সমুহের উপর বিশ্ব মোড়ল বিভিন্ন নামে, বিভিন্ন কৌশলে একতরফা ভাবে কথিত জঙ্গীর ছদ্মাবরনে তাঁদের মাতব্বরির পথ মসৃন রাখার স্বার্থে চালিয়ে যাচ্ছে শান্তিকামি দেশ সমুহের শান্তিকামি জনগনের উপর। একের পর একবোমা হামলা,আগুন সন্ত্রাস,আর্জেস গ্রেনেড,গুলি,চাপাতির হামলা।দেশ সমুহের সম্পদহানি, প্রকাশ্য লুটতরাজ,গুপ্তহামলা ইত্যাদি করতেও দেখা যায়।মুলত;সামাজতান্ত্রিক বিশ্বের পতনের পর সাম্রাজ্যবাদি দেশ আমেরীকা এবং তার মিত্রদেশ সমুহের মিলিত প্রপাগান্ডার অংশই হচ্ছে আজকের বিশ্বের অস্থিরতার মুল কারন।এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে শীতল যুদ্ধের অবসানের পর থেকেই।জঙ্গির আনাগোনার আত্মপ্রকাশ একেক দেশে একেক নামে প্রকাশ করছে অনেক আগে থেকেই।তাঁদের শোষন এবং ভু-রাজনীতির হিসেব নিকেশ রাখার দোষর যতদিন দেশটির সরকারে আসতে পারবেনা ততদিন তাঁরা সেই দেশটির উপর এই অঘোষিত যুদ্ধ চালিয়ে যাবেন।এটাই তাঁদের নীতি আদর্শে পরিনত হয়েছে।বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তাঁদের এই উলঙ্গ হামলা জ্ঞানপাপিরা দেখেও না দেখার ভান করেন। এটাতো স্পষ্ট, বি,এন,পির ডাকা অবরোধ প্রত্যাহার করা না করার উপর যেহেতু তাঁদের আরোপিত রেড এলার্ট নির্ভরশীল সেহেতু বি,এনপি কেন তাদের অবরোধ আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রত্যাহার না করে শঠতার আশ্রয় নিয়ে একটা জাতিকে ধ্বংশের নেশায় মেতে উঠেছেন? আগুন সন্ত্রাসের রশি কি বেগম জিয়ার হাতে ছিলনা? অবরোধ প্রত্যাহারের ক্ষমতা কি খালেদা জিয়ার নেই? কোন অশুভ শক্তির ইশারায় খালেদা অবরোধ ডেকে নিরাপদ কক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন? কারা দেশের মধ্যে আগুন সন্ত্রাস করেছিল? এই আগুন সন্ত্রাসের নেতৃত্বে কি খালেদা ছিলেননা? খালেদা কি সাম্রাজ্যবাদি চক্রের হাতে এই দেশটা সঁপে দেননি? ঘুপ্ত হত্যা কি অবরোধ প্রত্যাহার করা না করার সাথে সম্পৃত্ত? অবরোধকে উপলক্ষ করে এখনও কেন বাংলাদেশের উপর রেড এলার্ট থাকবে?খালেদা কেন প্রাকাশ্য এখনও বলছেননা তিনি অবরোধ প্রত্যাহার করেছেন? গুপ্ত হত্যার পর আন্তজাতিক ভাবে আই এসের হামলায় লিখক প্রকাশক হত্যার প্রচার এবং বিএনপি দলের সংলাপ ভিক্ষার মধ্যে একান্ত মিল থাকার পরও আমাদের দেশের তথাকথিত টকশোবাজেরা আইএস খোঁজতে সারা পৃথিবি সব তোলপাড় করে ফেলছেন। অনেক প্রাজ্ঞ রাজনীতিক,বিশ্লেষক,দল, জোট বুঝাতে চান গনতন্ত্রের অভাবে চরম পন্থার উদ্ভব হচ্ছে।গনতন্ত্র বলতে শুধুই কি একটা জাতীয় নির্বাচন? এখনতো পরিষ্কার হয়ে গেল,বিশ দলীয় জোট কেন নির্বাচনে অংশ নেয়নি?ভোটে অংশ না নিয়ে নির্বাচন সম্পর্কে প্রশ্ন উত্থাপন করা আহম্মকি,বেহায়াপনা ছাড়া আর কি হতে পারে? ফ্রান্সে কি গনতন্ত্রের অভাব আছে.না ভোটের কোন হেরফের আছে? সেখানে কেন হামলা হল? ফ্রান্সে হামলা হয়েছে নতুন শক্তির আগমনের আগেই সতর্ক করে দেয়ার কৌশল আমেরীকার।,যে যেদিকে যাবে যাক আগামী বিশ্ব রাজনীতিতে তুমি আমার আশে পাশে থেকো,নয়তো তোমার দেশেও জঙ্গীর উপস্থিতি বিশ্ব টের পেয়েছে,তাই নয় কি? টুইন টাওয়ার ধংশ হল গনতন্ত্রের অভাবে? এত বড় টুইন্টাওয়ার সেখানে নাকি সেদিন কোন মনুষ্য জীবের অবস্থান ছিল না। কি হাস্যকর ব্যাপার। গনতন্ত্রের অভাব কি ভারতেও আছে? খাগড়াগড় হামলা কেন হল? মুলত গনতন্ত্র সমাজতন্ত্র,রাজতন্ত্র কোন বিষয় নয়।তাঁদের স্বার্থের রক্ষক বড় বিষয়।সৌদি আরব সহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সমুহ রাজতন্ত্র নয় কি?ইসলামে কি রাজতন্ত্রের অনুমোদন আছে? ইহুদি রাষ্ট্র সমুহ কি ভাবে মুসলিম প্রধান দেশের বন্ধু হয়। কিভাবে গনতন্ত্রের সোল এজেন্ট আমেরীকার মিত্র হয়? জাতির জনকের কন্যা নতুন নতুন নামে নব্য আবিস্কৃত সকল বাংলাদেশি আই,এস,মোজাহেদিন,তাহরিকে ইসলাম ইত্যাদি যে নামেই ডাকা হোকনা কেন,সব জঙ্গীর আস্তানা ঠিকই চিনেন। উদ্ভাবীত আই এস,আগুন সন্ত্রাস,ধর্মীয় মৌলবাদের উত্থান,ইত্যাদি সব কিছুর চেলেঞ্জ মাথায় নিয়েই ধীর স্থীর ভাবে চিরদিনের জন্য নির্মুলের প্রজেক্ট হাতে নিয়ে বাস্তবায়নের পদক্ষেপ হাতে নিয়েছেন। ইতিমধ্যে বাংলার জনগনের সম্মুখে উক্ত প্রজেক্ট গুলির নির্মুলের উপকারিতা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কারনে জনগন স্বতস্ফুর্ত সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন।আন্তজাতিক জরিপের ফলাফল সমুহের প্রতি লক্ষ রাখলে আমার উক্তির সত্যতা বোধগম্য হতে বিশ্লেষনের প্রয়োজন হবেনা। বিশ্বের কোন দেশের চলমান সরকারের জনপ্রিয়তায় ধ্বস ছাড়া উন্নতি হতে দেখা যায়না,বাংলাদেশের সরকার তথা জাতির জনকের কন্যাই একমাত্র ব্যাতিক্রম শত ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে উন্নয়নের গতির সাথে তাল মিলিয়ে সকল অশুভ শক্তির আস্তানায় উপোয্যপুরি ক্ষেপনাস্ত্রের হামলা চালিয়ে যাচ্ছেন।যতক্ষন পয্যন্ত বাংলাদেশের জনগনের অর্থনৈতিক মুক্তির গ্যারান্টির নিশ্চয়তা হবেনা, ততক্ষন পয্যন্ত সংগ্রাম অব্যাহত রাখবেন ইনশাল্লাহ। সাথে সকল অশুভ শক্তির পাটাতন বাংলার মাটির গভীর থেকে উপড়ে সাম্রাজ্যবাদিদের দেশে ফেরৎ পাঠানোর দৃড মনোবল নিয়ে স্থীর হয়ে একাগ্রচিত্তে এগিয়ে যাচ্ছেন। প্রজেক্ট সমাপ্তির পর যাদুঘরেও আর আই এসের সন্ধান করে পাওয়া যাবেনা ইনশাল্লা।সেই মতেই সরকার দেশের জনগনকে সাথে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। "জয় ইনশাল্লাহ হবেই হবে।" "জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখহাসিনা"

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা