জামায়াত -শিবিরের( নব্য আইএস আই)দমনে সংজ্ঞায়িত বিশেষ আইন ও পুলিশ বিগ্রেড প্রয়োজন-- >>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>> দু:খ্যজনক হলেও সত্য,আইন শৃংখলার অবনতি হলে ডাক ঢোল পিটিয়ে ধরপাকড় শুরু হয়।দাগি অপরাধি থেকে চিঁছকেচোর পয্যন্ত কেহই রেহাই পান না, পুলিশের হাত থেকে। ফলাও করে পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয় কোন জেলায় কতজন ধরা হল।এতে অনেক পুরাতন মামলার আসামিও অনেক সময় ধরা পড়ে।যাছাই বাছাই করে অনেককে থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়।অনেকের বিরুদ্ধে মামলা হয়।ধরপাকড়কে কেন্দ্র করে পুলিশের চলে রমরমা বানিজ্য।একশ্রনীর দালাল সর্বক্ষন থানার আশেপাশে ঘুরঘুর করে আসামীদের আত্মীয়স্বজনের সাথে থানার বড় সাহেবের যোগাযোগ ঘটিয়ে দেয়ার নাম করে শুরু হয় প্রাথমিক বানিজ্য।এরপরের অবস্থা নাইবা বললাম।২০১৩-১৪ সালের আগুনসন্ত্রাস,সরকারী প্রাইমারী স্কুলে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া ইত্যাদি নানাহ সন্ত্রাসি বোমা বাজির মামলার একজন আসামীও বর্তমানে জেল খানায় নেই। এই নাথাকার প্রধান কারন, মামলার এজাহারের দুর্বলতা।ঐ সমস্ত মামলা দ্রুত বিচারের উদ্যোগ নিলে আজকের আইএসআই এর সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকতোনা।পুলিশ বাহিনীতে বেশিরভাগ জামাত-বিএনপির ছাত্র ক্যাডারেরা বর্তমানে ও, সি, সেকেন্ড অফিসারের দায়িত্বে চলে এসেছেন। বর্তমান সরকারের গত কয়মাস আগের নিয়োগে বেশিরভাগ জামাত-বিএনপির ক্যডার যে কোন ভাবেই নিয়োগ পেয়ে গেছেন। আমার এলাকা থেকে দুই জন নিয়োগ পাওয়া-উভয়েই শিবির --ছাত্রদলের ক্যাডার ছিলেন। উপরে উপরে যতই তেলবাজি করে আওয়ামীনেতা, মন্ত্রী, এমপিদের ম্যানেজ করুক না কেন অন্তরে তাদের দর্শন ঠিকই কাজে লাগিয়ে যাচ্ছে। দারগা সাহেব ধারা হালকা করে দিবেন বলে মোটা টাকাও পেলেন, নীজের দলের লোকটাকে জামিন যোগ্য ধারায় চালানও করলেন।দুই দিক থেকে আমাদের অফিসার সাহেবেরা লাভবান হচ্ছেন।তাঁরপরও আমাদের নেতাদের হুঁশ হয়না।নেতারাই শিবির ক্যাডারের জন্য সুপারিশ করেন,চাড়িয়ে আনার চেষ্টা করেন।দারগা সাহেব ঠিক নেতার সুপারীশের অপেখ্যায় থাকেন,বলা মাত্রই মোটা টাকা আদায় করে ছেড়ে দেন বা হালকা ধারায় কোর্টে চালান দেন।এতে নেতাকেও খুশি রাখলেন,টাকা রুজি হল,দলের অস্তিত্বও রক্ষা করতে পারলেন,যাহা তাঁর মুখ্য বিষয়। যাহাই হোকনা কেন, পুলিশ তাঁর উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন যদি সঠিক ভাবে করে কোন বোমাবাজ,সন্ত্রাসী, জামিন পাওয়ার কথা নয়।কারন বোমা,অস্ত্র,লুটপাট ইত্যাদি মামলা প্রাথমিক ধারায়ও জামিন অযোগ্য।তাহলে জামিন পায় কিভাবে? যারা জামিন পেয়ে বেরিয়ে এসেছে তাঁদের মধ্যে অনেকেই আবার হাতে নাতে বোমা বাজি করার সময়ে ধরাও পড়েছে।,ব্লগার হত্যা, প্রকাশক হত্যা, বিদেশী হত্যা ইত্যাদি মামলায় এযাবৎ যে কয়জনকে পুলিশ শনাক্ত করতে পেরেছেন তাঁরা সবাই আগের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, বোমাবাজি,আগুন সন্ত্রাসের সাথে জড়িত ছিল দেখা যায়। তাঁরাই আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে আবারও ধরা পড়ছে,অনেককে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে খোঁজাখুজি শুরু হয়েছে। এই সমস্ত নানা কারণে প্রচলিত আইন- ধর্মীয়জঙ্গি দমনে কার্যকর প্রমাণিত হয়নি। নতুন আইনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। ধর্মীয় জঙ্গিপনা আগে কখনও ছিলনা। আইন প্রনয়নের প্রাক্কালে ধর্মীয়জঙ্গি সংজ্ঞা নির্ধারন করে যেহেতু আইনের কোন ধারা স্পষ্ট নাই,সেহেতু এই ফাঁককে কাজে লাগিয়ে তাঁরা জামিন নিয়ে বেরিয়ে আসে।প্রচলিত আইনের পাশাপাশি ধর্মীয় জঙ্গিপনার মাধ্যমে মানুষ হত্যা,বোমাবাজি,সন্ত্রাস সৃষ্টি ইত্যাদি ম্যানসন করে যতক্ষন পয্যন্ত আইন প্রনয়ন করা হবেনা, ততক্ষন তাঁদের জেলের অভ্যন্তরে রাখা যাবেনা। বিচারক--কে চোর, কে ডাকাত,কে আওয়ামী লীগ, কে বিএনপি দেখবেনা--দেখবে শুধু সে যে অপরাধ করেছে -সেই অপরাধের সাথে সংযুক্ত ধারা সঠিক কিনা। যদি সঠিক না থাকে তবে জামিন দিতেই হবে। এই কারনেই এই ধরনের অপরাধ দমনে সংজ্ঞায়িত আইনের প্রয়োজনীয়তাকে অস্বীকার করার উপায় নেই। বিশ্বের বহু দেশেই, প্রত্যেক অপরাধের জন্য ভিন্ন ভিন্ন আইন আছে। ধর্মীয়জঙ্গি-- সন্ত্রাস দমন আইনে দমন করার পরিকল্পনা ফল ভয়ে আনবেনা।বরঞ্চ সন্ত্রাস দমন আইন সহ প্রচলিত অন্য সমস্ত আইনকে যুগ-উপযোগি করে ধর্মীয়জঙ্গির আলাদা সংজ্ঞা নির্ধারন করেও করা যেতে পারে। আমাদের মধ্যে ইদানিং দেখা যায় অনেকে বর্তমানের ব্লগার হত্যা,প্রকাশক হত্যা ইত্যাদি ঘটনা সমুহকে "বাদ" সংযুক্ত করে বিশেষায়িত করে তাঁদের শক্তি সামর্থ্যের বিশালত্ব দেখাতে চান। ভাল বা মন্দ যাহাই হোক জঙ্গিবাদ একটা দর্শন,একটা আদর্শ হতে পারে। জঙ্গিবাদের বিশালত্বও আছে মেনে নেয়া যায়। কিন্তু বর্তমানের বাংলাদেশের সংঘঠিত ঘটনা সমুহ সেই আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য নহে। এই পয্যন্ত যারাই গোয়েন্দাদের নিয়ন্ত্রনে এসেছে তাঁরা সবাই জামায়াত শিবিরের ক্যডার।এদের সাথে আন্তজাতিক ইসলামি কোন জঙ্গি সংগঠনের সাথে সম্পৃত্ততার প্রমান এই পয্যন্ত পাওয়া যায়নি। তাঁরাই নীজ থেকে প্রপাকান্ডা করে প্রচার করছে তাঁরা আই এস আই। তবে ভারতের বিখ্যাত সন্ত্রাসী দাউদ ইব্রাহীমের সাথে তারেক জিয়া সহ কয়েকবার বৈঠক হয়েছে বলে বন্দি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাবর তথ্য দিয়েছেন বলে গোয়েন্দারা জানিয়েছেন। দাউদ ইব্রাহীমের মত আরও অনেক অন্ধকারের কীটের সাথে সম্পর্ক থাকতে পারে, তবে ইসলামী কোন সাচ্ছা দলের সাথে নেই, তা নির্দ্বিদ্ধায় বলা যায়। বর্তমানের ঘটনা শুধু মাত্র আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে পরিস্থিতির সৃষ্টি করে বিদেশী বন্ধু রাষ্ট্র সমুহকে বিনিয়োগের আগ্রহে বাধা দিয়ে উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ করা।সরকারকে অস্থির করে,আইনশৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে মানবতা বিরুধি বিচারকে বাধাগ্রস্ত করাই তাঁদের লৈক্ষ। লক্ষ করলে দেখা যায়,প্রত্যেকটি ঘটনার পর একশ্রনীর বুদ্ধিজীবি গনতন্ত্রে সকলের অবাধ বিচরনের কথা বলে মাতম করতে থাকেন। জ্যান্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারার সাথে -গনতন্ত্রের সমস্যা কোথায় দেখেন আমি তা বুঝিনা। যে বিবৃতিটা দিচ্ছেন সেটা কিভাবে দিচ্ছেন? বাক স্বাধিনতা সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা না থাকলে তিনি যে কথাটা বললেন এবং যে পত্রিকা কথাটা চাপালো কারো বিরুদ্ধে সরকার তো কোন ব্যবস্থা নিলনা--। তবে বাক স্বাধীনতা, ,গনতন্ত্র নাই কথাগুলি আসে কিভাবে? শান্তিপুর্ন কোন মিছিল মিটিং এ পুলিশ বাধা দিয়েছে এমন উদাহরন কি একটা আছে? কোন দেশের সর্বচ্ছো আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হরতাল, অবরোধ, বিবৃতি, মিছিল, শ্লোগান ইত্যাদি সেই দেশের রাজনৈতিক কোন দল দিয়েছে?কেউ কি কোনদিন শুনেছেন? তারপরেও গনতন্ত্র নেই? আপনারা সব মানুষ মেরে দেশটাকে খালি করে শুধু আপনারা থাকবেন তবেই গনতন্ত্র থাকবে। যুদ্ধ-অপরাধের বিচার না হলে গনতন্ত্র থাকবে। আপনাদের লুটপাটের বিচার না হলে গনতন্ত্র থাকবে। আপনারা নির্বাচন না করে যদি ক্ষমতায় বসতে পারেন তবেই সুষ্ঠ গনতন্ত্র থাকবে। আপনার ছেলে,আপনার নীজের লুটের টাকার তত্বাবধায়ক সরকারের দেয়া মামলা গুলি সরকার প্রত্যাহার করে নিলে গনতন্ত্র থাকবে। ক্যান্টনমেন্টের সেনাবাহিনীর বিশাল বাড়ী যদি এখন আপনার কাছে থাকতো তবেই গনতন্ত্র আপনার সেই বাড়ীতে নিরাপদে থাকার বিশাল জায়গা পেত। আপনাদের লুটপাটের গনতন্ত্র বাংলাদেশের মানুষ চায়না।আপনাদের আগুন সন্ত্রাসের গনতন্ত্র জনগন চায়না। জনগন অনেক পরে হলেও বুঝতে পেরেছে,যে মা সন্তান প্রসব করে,সে মায়ের চেয়ে দরদ সন্তানের প্রতি অন্য কারো হতে পারেনা। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে,আওয়ামী লীগের নেতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান, সেই স্বাধীনতার নেতৃত্ব দিয়েছেন একটানা ২৪টি বছর। জেল,জুলুম,হুলিয়া,ফাঁসির মঞ্চে গিয়েও আপোষ করেননি বঙ্গবন্ধু। তাঁর হাতে সৃজিত স্বাধীনতার অপূর্নতা--তাঁরই জৈষ্ঠ কন্যার হাতে পরিপূর্নতা পাচ্ছে। এটাইতো বিধির বিধান। নচেৎ কি যাদুর বলে,একনাগাড়ে ৭বার দুর্নীতির সুচকে বিশ্বের সবকয়টি দেশের শীর্ষে থাকা একটা দেশকে রাতারাতি দুর্নীতির সুচকে দক্ষিন পুর্ব এশিয়ার সব কয়টি দেশের নিম্নে নিয়ে যেতে পারে। দারিদ্রসীমার নীছে অবস্থানকারি একটা দেশকে কি করে মাত্র ৫বছরের মধ্যে এত অবরোধ, হরতাল, নাশকতা, জ্বালাও পোড়াও উপেক্ষা করে মধ্যম আয়ের দেশে রুপান্তর করতে পারে। তৃতীয় বিশ্বের একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী কি করে উন্নত শক্তিধর দেশ সমুহের জন্য বরাদ্ধ শ্রেষ্ঠত্বের আসন অনায়াসে নিজের করে নিতে পারে। কি করে তৃতীয় বিশ্বের ঘনবসতি পুর্ন একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী ধরিত্রীর শ্রেষ্ঠ মানষ কন্যা হতে পারে। বিদেশি সাহায্যনির্ভর একটাদেশ কিকরে রাতারাতি সাহায্যদাতা দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে।এই সেই দিনও যে দেশটি গ্রামের একটা ব্রীজের টাকা বিদেশ থেকে ঋন নিয়ে করার অভ্যেস ছিল, সেই দেশটি কি করে পদ্মা সেতুর মত এত বিশাল একটা সেতু দেশের নিজস্ব তহবিলে করতে পারে। তার চেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে, পদ্মা সেতুর তিনগুন বেশী অর্থব্যায়ে গভীর সমুদ্র বন্দর কি করে করার সাহষ পায়? আপনাদের ভাষায় গনতন্ত্র যদি না থাকে,তবে না থাকুক,লুটেরার গনতন্ত্রের আমাদের প্রয়োজন নেই। উন্নয়নের গনতন্ত্র আছে,সমৃদ্ধির গনতন্ত্র আছে,সর্বশেষ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে বলার গনতন্ত্র আছে--আমি বাঙ্গালী, আমার জাতির জনক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি, বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান।তিনি আমার দেশের নাম রেখে গেছেন "বাংলাদেশ"। আমার দেশের বর্তমানের অবিসংবদিত নেতা তাঁরই জৈষ্ঠ কন্যা, তোমরা যাকে ধরিত্রির মানষ কন্যারুপে চিনো, তিনিই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী,দেশরত্ম শেখ হাসিনা ওয়াজেদ। পরিশেষে বলতে চাই, নব্য জামায়াত শিবির তাঁদের রক্ষক বিএনপিকে আইএসআই এর ভুমিকায় অভিনয় থেকে যে কোন মুল্যে বিরত রাখতে হবে। প্রয়োজনে কিছুক্ষনের জন্য মঞ্চের আলো নিবিয়ে দিয়ে হলেও শেষ দৃশ্যের যবনিকা টানা সভ্য বাংলাদেশ গড়ার জন্য একান্ত প্রয়োজন। জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা

বিশেষ প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত পুলিশ এবং ধর্মীয় জঙ্গি দমনে আইনকে সঙ্গায়িত করে আলাদা বিশেষনে বিশেষায়িত করে চেষ্টা করা যেতে পারে দানবদের দমন করা যায় কিনা।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন