জামায়াত -শিবিরের( নব্য আইএস আই)দমনে সংজ্ঞায়িত বিশেষ আইন ও পুলিশ বিগ্রেড প্রয়োজন-- >>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>> দু:খ্যজনক হলেও সত্য,আইন শৃংখলার অবনতি হলে ডাক ঢোল পিটিয়ে ধরপাকড় শুরু হয়।দাগি অপরাধি থেকে চিঁছকেচোর পয্যন্ত কেহই রেহাই পান না, পুলিশের হাত থেকে। ফলাও করে পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয় কোন জেলায় কতজন ধরা হল।এতে অনেক পুরাতন মামলার আসামিও অনেক সময় ধরা পড়ে।যাছাই বাছাই করে অনেককে থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়।অনেকের বিরুদ্ধে মামলা হয়।ধরপাকড়কে কেন্দ্র করে পুলিশের চলে রমরমা বানিজ্য।একশ্রনীর দালাল সর্বক্ষন থানার আশেপাশে ঘুরঘুর করে আসামীদের আত্মীয়স্বজনের সাথে থানার বড় সাহেবের যোগাযোগ ঘটিয়ে দেয়ার নাম করে শুরু হয় প্রাথমিক বানিজ্য।এরপরের অবস্থা নাইবা বললাম।২০১৩-১৪ সালের আগুনসন্ত্রাস,সরকারী প্রাইমারী স্কুলে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া ইত্যাদি নানাহ সন্ত্রাসি বোমা বাজির মামলার একজন আসামীও বর্তমানে জেল খানায় নেই। এই নাথাকার প্রধান কারন, মামলার এজাহারের দুর্বলতা।ঐ সমস্ত মামলা দ্রুত বিচারের উদ্যোগ নিলে আজকের আইএসআই এর সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকতোনা।পুলিশ বাহিনীতে বেশিরভাগ জামাত-বিএনপির ছাত্র ক্যাডারেরা বর্তমানে ও, সি, সেকেন্ড অফিসারের দায়িত্বে চলে এসেছেন। বর্তমান সরকারের গত কয়মাস আগের নিয়োগে বেশিরভাগ জামাত-বিএনপির ক্যডার যে কোন ভাবেই নিয়োগ পেয়ে গেছেন। আমার এলাকা থেকে দুই জন নিয়োগ পাওয়া-উভয়েই শিবির --ছাত্রদলের ক্যাডার ছিলেন। উপরে উপরে যতই তেলবাজি করে আওয়ামীনেতা, মন্ত্রী, এমপিদের ম্যানেজ করুক না কেন অন্তরে তাদের দর্শন ঠিকই কাজে লাগিয়ে যাচ্ছে। দারগা সাহেব ধারা হালকা করে দিবেন বলে মোটা টাকাও পেলেন, নীজের দলের লোকটাকে জামিন যোগ্য ধারায় চালানও করলেন।দুই দিক থেকে আমাদের অফিসার সাহেবেরা লাভবান হচ্ছেন।তাঁরপরও আমাদের নেতাদের হুঁশ হয়না।নেতারাই শিবির ক্যাডারের জন্য সুপারিশ করেন,চাড়িয়ে আনার চেষ্টা করেন।দারগা সাহেব ঠিক নেতার সুপারীশের অপেখ্যায় থাকেন,বলা মাত্রই মোটা টাকা আদায় করে ছেড়ে দেন বা হালকা ধারায় কোর্টে চালান দেন।এতে নেতাকেও খুশি রাখলেন,টাকা রুজি হল,দলের অস্তিত্বও রক্ষা করতে পারলেন,যাহা তাঁর মুখ্য বিষয়। যাহাই হোকনা কেন, পুলিশ তাঁর উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন যদি সঠিক ভাবে করে কোন বোমাবাজ,সন্ত্রাসী, জামিন পাওয়ার কথা নয়।কারন বোমা,অস্ত্র,লুটপাট ইত্যাদি মামলা প্রাথমিক ধারায়ও জামিন অযোগ্য।তাহলে জামিন পায় কিভাবে? যারা জামিন পেয়ে বেরিয়ে এসেছে তাঁদের মধ্যে অনেকেই আবার হাতে নাতে বোমা বাজি করার সময়ে ধরাও পড়েছে।,ব্লগার হত্যা, প্রকাশক হত্যা, বিদেশী হত্যা ইত্যাদি মামলায় এযাবৎ যে কয়জনকে পুলিশ শনাক্ত করতে পেরেছেন তাঁরা সবাই আগের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, বোমাবাজি,আগুন সন্ত্রাসের সাথে জড়িত ছিল দেখা যায়। তাঁরাই আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে আবারও ধরা পড়ছে,অনেককে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে খোঁজাখুজি শুরু হয়েছে। এই সমস্ত নানা কারণে প্রচলিত আইন- ধর্মীয়জঙ্গি দমনে কার্যকর প্রমাণিত হয়নি। নতুন আইনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। ধর্মীয় জঙ্গিপনা আগে কখনও ছিলনা। আইন প্রনয়নের প্রাক্কালে ধর্মীয়জঙ্গি সংজ্ঞা নির্ধারন করে যেহেতু আইনের কোন ধারা স্পষ্ট নাই,সেহেতু এই ফাঁককে কাজে লাগিয়ে তাঁরা জামিন নিয়ে বেরিয়ে আসে।প্রচলিত আইনের পাশাপাশি ধর্মীয় জঙ্গিপনার মাধ্যমে মানুষ হত্যা,বোমাবাজি,সন্ত্রাস সৃষ্টি ইত্যাদি ম্যানসন করে যতক্ষন পয্যন্ত আইন প্রনয়ন করা হবেনা, ততক্ষন তাঁদের জেলের অভ্যন্তরে রাখা যাবেনা। বিচারক--কে চোর, কে ডাকাত,কে আওয়ামী লীগ, কে বিএনপি দেখবেনা--দেখবে শুধু সে যে অপরাধ করেছে -সেই অপরাধের সাথে সংযুক্ত ধারা সঠিক কিনা। যদি সঠিক না থাকে তবে জামিন দিতেই হবে। এই কারনেই এই ধরনের অপরাধ দমনে সংজ্ঞায়িত আইনের প্রয়োজনীয়তাকে অস্বীকার করার উপায় নেই। বিশ্বের বহু দেশেই, প্রত্যেক অপরাধের জন্য ভিন্ন ভিন্ন আইন আছে। ধর্মীয়জঙ্গি-- সন্ত্রাস দমন আইনে দমন করার পরিকল্পনা ফল ভয়ে আনবেনা।বরঞ্চ সন্ত্রাস দমন আইন সহ প্রচলিত অন্য সমস্ত আইনকে যুগ-উপযোগি করে ধর্মীয়জঙ্গির আলাদা সংজ্ঞা নির্ধারন করেও করা যেতে পারে। আমাদের মধ্যে ইদানিং দেখা যায় অনেকে বর্তমানের ব্লগার হত্যা,প্রকাশক হত্যা ইত্যাদি ঘটনা সমুহকে "বাদ" সংযুক্ত করে বিশেষায়িত করে তাঁদের শক্তি সামর্থ্যের বিশালত্ব দেখাতে চান। ভাল বা মন্দ যাহাই হোক জঙ্গিবাদ একটা দর্শন,একটা আদর্শ হতে পারে। জঙ্গিবাদের বিশালত্বও আছে মেনে নেয়া যায়। কিন্তু বর্তমানের বাংলাদেশের সংঘঠিত ঘটনা সমুহ সেই আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য নহে। এই পয্যন্ত যারাই গোয়েন্দাদের নিয়ন্ত্রনে এসেছে তাঁরা সবাই জামায়াত শিবিরের ক্যডার।এদের সাথে আন্তজাতিক ইসলামি কোন জঙ্গি সংগঠনের সাথে সম্পৃত্ততার প্রমান এই পয্যন্ত পাওয়া যায়নি। তাঁরাই নীজ থেকে প্রপাকান্ডা করে প্রচার করছে তাঁরা আই এস আই। তবে ভারতের বিখ্যাত সন্ত্রাসী দাউদ ইব্রাহীমের সাথে তারেক জিয়া সহ কয়েকবার বৈঠক হয়েছে বলে বন্দি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাবর তথ্য দিয়েছেন বলে গোয়েন্দারা জানিয়েছেন। দাউদ ইব্রাহীমের মত আরও অনেক অন্ধকারের কীটের সাথে সম্পর্ক থাকতে পারে, তবে ইসলামী কোন সাচ্ছা দলের সাথে নেই, তা নির্দ্বিদ্ধায় বলা যায়। বর্তমানের ঘটনা শুধু মাত্র আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে পরিস্থিতির সৃষ্টি করে বিদেশী বন্ধু রাষ্ট্র সমুহকে বিনিয়োগের আগ্রহে বাধা দিয়ে উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ করা।সরকারকে অস্থির করে,আইনশৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে মানবতা বিরুধি বিচারকে বাধাগ্রস্ত করাই তাঁদের লৈক্ষ। লক্ষ করলে দেখা যায়,প্রত্যেকটি ঘটনার পর একশ্রনীর বুদ্ধিজীবি গনতন্ত্রে সকলের অবাধ বিচরনের কথা বলে মাতম করতে থাকেন। জ্যান্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারার সাথে -গনতন্ত্রের সমস্যা কোথায় দেখেন আমি তা বুঝিনা। যে বিবৃতিটা দিচ্ছেন সেটা কিভাবে দিচ্ছেন? বাক স্বাধিনতা সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা না থাকলে তিনি যে কথাটা বললেন এবং যে পত্রিকা কথাটা চাপালো কারো বিরুদ্ধে সরকার তো কোন ব্যবস্থা নিলনা--। তবে বাক স্বাধীনতা, ,গনতন্ত্র নাই কথাগুলি আসে কিভাবে? শান্তিপুর্ন কোন মিছিল মিটিং এ পুলিশ বাধা দিয়েছে এমন উদাহরন কি একটা আছে? কোন দেশের সর্বচ্ছো আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হরতাল, অবরোধ, বিবৃতি, মিছিল, শ্লোগান ইত্যাদি সেই দেশের রাজনৈতিক কোন দল দিয়েছে?কেউ কি কোনদিন শুনেছেন? তারপরেও গনতন্ত্র নেই? আপনারা সব মানুষ মেরে দেশটাকে খালি করে শুধু আপনারা থাকবেন তবেই গনতন্ত্র থাকবে। যুদ্ধ-অপরাধের বিচার না হলে গনতন্ত্র থাকবে। আপনাদের লুটপাটের বিচার না হলে গনতন্ত্র থাকবে। আপনারা নির্বাচন না করে যদি ক্ষমতায় বসতে পারেন তবেই সুষ্ঠ গনতন্ত্র থাকবে। আপনার ছেলে,আপনার নীজের লুটের টাকার তত্বাবধায়ক সরকারের দেয়া মামলা গুলি সরকার প্রত্যাহার করে নিলে গনতন্ত্র থাকবে। ক্যান্টনমেন্টের সেনাবাহিনীর বিশাল বাড়ী যদি এখন আপনার কাছে থাকতো তবেই গনতন্ত্র আপনার সেই বাড়ীতে নিরাপদে থাকার বিশাল জায়গা পেত। আপনাদের লুটপাটের গনতন্ত্র বাংলাদেশের মানুষ চায়না।আপনাদের আগুন সন্ত্রাসের গনতন্ত্র জনগন চায়না। জনগন অনেক পরে হলেও বুঝতে পেরেছে,যে মা সন্তান প্রসব করে,সে মায়ের চেয়ে দরদ সন্তানের প্রতি অন্য কারো হতে পারেনা। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে,আওয়ামী লীগের নেতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান, সেই স্বাধীনতার নেতৃত্ব দিয়েছেন একটানা ২৪টি বছর। জেল,জুলুম,হুলিয়া,ফাঁসির মঞ্চে গিয়েও আপোষ করেননি বঙ্গবন্ধু। তাঁর হাতে সৃজিত স্বাধীনতার অপূর্নতা--তাঁরই জৈষ্ঠ কন্যার হাতে পরিপূর্নতা পাচ্ছে। এটাইতো বিধির বিধান। নচেৎ কি যাদুর বলে,একনাগাড়ে ৭বার দুর্নীতির সুচকে বিশ্বের সবকয়টি দেশের শীর্ষে থাকা একটা দেশকে রাতারাতি দুর্নীতির সুচকে দক্ষিন পুর্ব এশিয়ার সব কয়টি দেশের নিম্নে নিয়ে যেতে পারে। দারিদ্রসীমার নীছে অবস্থানকারি একটা দেশকে কি করে মাত্র ৫বছরের মধ্যে এত অবরোধ, হরতাল, নাশকতা, জ্বালাও পোড়াও উপেক্ষা করে মধ্যম আয়ের দেশে রুপান্তর করতে পারে। তৃতীয় বিশ্বের একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী কি করে উন্নত শক্তিধর দেশ সমুহের জন্য বরাদ্ধ শ্রেষ্ঠত্বের আসন অনায়াসে নিজের করে নিতে পারে। কি করে তৃতীয় বিশ্বের ঘনবসতি পুর্ন একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী ধরিত্রীর শ্রেষ্ঠ মানষ কন্যা হতে পারে। বিদেশি সাহায্যনির্ভর একটাদেশ কিকরে রাতারাতি সাহায্যদাতা দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে।এই সেই দিনও যে দেশটি গ্রামের একটা ব্রীজের টাকা বিদেশ থেকে ঋন নিয়ে করার অভ্যেস ছিল, সেই দেশটি কি করে পদ্মা সেতুর মত এত বিশাল একটা সেতু দেশের নিজস্ব তহবিলে করতে পারে। তার চেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে, পদ্মা সেতুর তিনগুন বেশী অর্থব্যায়ে গভীর সমুদ্র বন্দর কি করে করার সাহষ পায়? আপনাদের ভাষায় গনতন্ত্র যদি না থাকে,তবে না থাকুক,লুটেরার গনতন্ত্রের আমাদের প্রয়োজন নেই। উন্নয়নের গনতন্ত্র আছে,সমৃদ্ধির গনতন্ত্র আছে,সর্বশেষ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে বলার গনতন্ত্র আছে--আমি বাঙ্গালী, আমার জাতির জনক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি, বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান।তিনি আমার দেশের নাম রেখে গেছেন "বাংলাদেশ"। আমার দেশের বর্তমানের অবিসংবদিত নেতা তাঁরই জৈষ্ঠ কন্যা, তোমরা যাকে ধরিত্রির মানষ কন্যারুপে চিনো, তিনিই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী,দেশরত্ম শেখ হাসিনা ওয়াজেদ। পরিশেষে বলতে চাই, নব্য জামায়াত শিবির তাঁদের রক্ষক বিএনপিকে আইএসআই এর ভুমিকায় অভিনয় থেকে যে কোন মুল্যে বিরত রাখতে হবে। প্রয়োজনে কিছুক্ষনের জন্য মঞ্চের আলো নিবিয়ে দিয়ে হলেও শেষ দৃশ্যের যবনিকা টানা সভ্য বাংলাদেশ গড়ার জন্য একান্ত প্রয়োজন। জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা

বিশেষ প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত পুলিশ এবং ধর্মীয় জঙ্গি দমনে আইনকে সঙ্গায়িত করে আলাদা বিশেষনে বিশেষায়িত করে চেষ্টা করা যেতে পারে দানবদের দমন করা যায় কিনা।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা