জঙ্গীবাদ বাংলাদেশের সমস্যা নয়,সন্ত্রাসি নাশকতা, ঘুমখুন ইত্যাদি আতংকবাদই মুল সমস্যা---। ===========================≠======== সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিশ্বজনীন সমস্যা হলেও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বিষয়টিকে একক বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন জঙ্গীবাদ উত্থানের সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা গভীর থেকে করে চলেছে বিশ্বমোড়ল আমেরিকা।দুই বিদেশী হত্যা কান্ডে তাঁদের আচরন ও প্রতিক্রিয়া লক্ষ করলে ব্যাপারটি পরিস্কার ভাবে অনুধাবন করতে কারো কষ্ট হওয়ার কথা নয়।একই সময়ে খোদ আমেরিকায় এবং তাঁর মিত্র আরো কতক দেশে প্রকাশ্য নিষ্টুর ও জগন্যতম হত্যা কান্ড ঘটার পরও তাঁদের দৃষ্টি সেখানে পড়েনি,পড়েছে বাংলাদেশের উপর। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারও বিষয়টি কিছুটা অনুমান ইতিমধ্যে করেছেন। যার কারনে দুই বিদেশি হত্যাকাণ্ড, চেকপোস্টে পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা এবং তাজিয়া মিছিলে গ্রেনেড হামলার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বচ্ছ সতর্কতা মুলক অবস্থানে রাখা হয়েছে।দেশব্যাপি চলছে পুলিশের বিশেষ অভিযান।এরই মধ্যে প্রকাশক দিপনকে হত্যা করে বন্ধুরাষ্ট্রের হাতে আর একটি অস্ত্র তুলে দিতে সক্ষম হল তাঁদের এদেশীয় দোষরেরা। ষড়যন্ত্রকারিরা আরও হত্যা নাশকতা চালাতে পারে।সমাজের সর্বস্তরে অতংকের সৃষ্টি অজুহাত দেখানো যেতে পারে সহজে সেই প্রচেষ্টাই করেছে সাম্রাজ্যবাদের দোষরেরা।আতংক সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই হামলা করে মানুষ হত্যার পথ বেঁচে নিয়েছে,যাতে তাঁদের মুরুব্বী সহজে সরকারের উপর প্রভাব রাখতে পারে,সরকারকে বশ্যতা স্বীকারে বাধ্য করতে পারে,সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছে তাঁরা। জাতির জনকের কন্যা সব ষড়যন্ত্র সম্যক অনুধাবন করে দৃশ্যমান কিছু পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন।ইতিমধ্যে দেখা যাচ্ছে,সর্বক্ষেত্রে আনুষ্ঠানিকভাবে সতর্কাবস্থা জারি না করা হলেও এ ধরনের সন্ত্রাসী ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে বাড়তি নজর দেয়া হচ্ছে--দেশের সব বিমানবন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। স্পর্শকাতর স্থানগুলোতে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। শাহজালাল বিমানবন্দরের ভিতর ও বাইরে যাত্রীদের কঠোর তল্লাশিসহ দর্শনার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বহির্গমন যাত্রীদেরও তল্লাশি চালানো হচ্ছে। বিমানবন্দর কেন্দ্রিক নাশকতার পরিকল্পনা করছে একটি গোষ্ঠী-এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নিরাপত্তা জোরদারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নাশকতার ঘটনা ঘটতে পারে এবং দুর্বৃত্তরা বিস্ফোরক কোনো কিছু নিয়ে বিমানবন্দরে আসতে পারে, যা মেটাল ডিটেক্টরে ধরা পড়বে না, এমন আশঙ্কা মাথায় রেখে বিশেষ সতর্কতা জারি করা আছে। দর্শনার্থীদের বিমানবন্দরে প্রবেশের সবকয়টি কাউন্টার বন্ধ রেখে ভিতর-বাইরে তল্লাশি করা হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ‘স্থাপনা সমুহ’ এবং "কেপিআই জোন" আশপাশের এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে চলাচলকারীদের প্রযুক্তির সাহায্যে ব্যাগেজ ও দেহ তল্লাশি করে দেখা হচ্ছে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত রেডিও-টেলিভিশন কেন্দ্র, আণবিক শক্তি কমিশন, বিমানবন্দর, বিদ্যুৎ, ওয়াসা, গ্যাস সরবরাহের স্টেশনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে পুলিশি পাহারার পাশাপাশি গোয়েন্দা তৎপরতাও বাড়ানো হয়েছে।কুটনীতিক জোনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দ্বিগুন করা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ শুধুমাত্র বাংলাদেশের একক সমস্যা নয়।অনেক আগে থেকেই সমস্যাটি একটি বিশ্বজনীন সমস্যায় রুপ নিয়েছে।তুলনামুলক সমস্যাটির প্রভাব মুসলিম অধ্যুষিত দেশ বাংলাদেশ হওয়া সত্বেও কম বলা যায়। নাইন-ইলেভেনে টুইনটাওয়ার উপর হামলার পর থেকে এ বিপদ সারা বিশ্বের দেশে দেশে বিশেষ করে মুসলিম অধ্যুষিত দেশ সমুহে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।ভারত, ফ্রান্স,আমেরিকা,বৃটেন সব দেশই কমবেশী এর মুল্য দিতে হচ্ছে।পাকিস্তানে প্রায় প্রতি শুক্রুবারে সেখানে গোষ্টিগত দ্বন্ধে এবং জঙ্গি হামলায় শত শত লোক মারা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞগন মনে করেন বিশ্ব পুঁজির কায়েমি স্বার্থের প্রতিভূরা নীজেদের স্বার্থে সৃষ্টি করা সাপটি এখন তাদেরকেই থেমে থেমে দংশন করছে। বিশ্বকে শাষন করার জন্য তাঁরা যে দ্বৈতনীতি অনুসরন করে আসছিলেন তারই প্রতিফলন হচ্ছে আজকের বিশ্বের আতংক জঙ্গীবাদ।শীতল যুদ্ধ চলাকালিন সময়ে আফগানিস্তান থেকে রাশিয়া কে হঠানোর জন্য যে সাপকে লালন পালন করে পোষ মানিয়ে ছিল,অর্থ অস্ত্র প্রযুক্তি দিয়ে সহযোগিতা করেছিল, সেই সাপ তাঁদের প্রয়োজন ফুরিয়ে যাওয়ার পর ধ্বংশের প্রয়োজন দেখা দিলে ফুঁসে উঠে। এর আগেই দুনিয়াব্যাপি সাপের বংশ বিস্তার করে সংখ্যায় আধিক্য হয়ে সকল দেশের জন্য হুমকি হওয়ার মত শক্তি সামর্থ্য সঞ্চয় করতে সক্ষম হয়ে যায়। বর্তমানে হুমকি হয়ে অশান্তির দাবানল চড়িয়ে দিচ্ছে বিশ্বব্যাপি। বাংলা দেশের অবস্থান এক্ষেত্রে যদিও প্রাথমিক অবস্থায় তাঁদের অনুকরনে জঙ্গি মতবাদি দানব সৃষ্টি হয়েছিল ভৌগলিক কারনে বা বাংলাদেশের মানুষ উদারচেতা ধর্ম পালনকারি বিদায় সেই দানবের শিকড়ে তেমন শক্তি সঞ্চয় করতে পারেনি।মাত্র কয়েক ন্যুনন্নতম অভিযানেই শিকড়ে টান পড়ায় মুলদানবীয় গাছের ডালপালা শুকিয়ে ঝড়ে পড়া শুরু হয়েছে।তখনকার অভিযানে যে কয়জন জঙ্গি ধরপাকড় করা সম্ভব হয়েছিল, তাঁরা প্রায় সকলেই জামায়াত শিবিরের রাজনীতির সাথে সম্পর্কিত ছিল। সাম্রাজ্যবাদ তাঁদের স্বার্থে ভিন্ন প্রক্রিয়ায় দক্ষিন-পুর্ব এশিয়ায় মৌলবাদকে জিইয়ে রাখার জন্য চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে আগে থেকেই। মুক্তি যুদ্ধের আগে থেকেই মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি বিরুদিতা করে তার প্রমানও রেখেছেন।যুদ্ধে পরাজয়ের গ্লানি ভুলতে না পারার কারনে জাতির জনককে হত্যা করে পথ পরিস্কার করতে চেয়েছিল।আংশিক সফল যে হয়নি তা বলবোনা।এখনও সেই একই প্রক্রিয়ায় দ্বৈতনীতির আশ্রয় গ্রহন করে একদিকে সন্ত্রাসিদের সাহায্য করছে, অন্যদিকে রেড এলার্ট জারি করে বিশ্ব দৃষ্টি বাংলাদেশের উপর রাখার কৌশল নিয়েছে।ভারত - চীনের রাজনীতিতে মোড়লগিরি দেখাতে হলে হাতের মোঠায় বাংলাদেশের প্রয়োজন।বাংলাদেশের এই ভৌগলিক অবস্থানের কারনে দ্বৈত ভূমিকা পালনের মাধ্যমে তাঁদের কব্জায় নিয়ে যেতে চায়। বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থায় নিজেদের মোড়লগিরি টিকিয়ে রাখার আশা দিন দিন ক্ষীন হয়ে আসছে,তা অনুধাবন করা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নতি, স্বাধীন পথে চলার অভিলাষ, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনার বিশ্ব নেতৃত্ব গ্রহনের আশংকা বা তাঁর দৃডচেতা মনোভাব সেই বিশ্ব মোড়ল ভালো চোখে দেখছে না।মোড়লের ফর্মুলায় ইউ,ইউ, ইউনিয়ন ও যোগ দিবে এতেও কোন সন্দেহ নেই।ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাংক মধ্যম আয়ের দেশ গন্য করে বাংলাদেশের ঋনের সুদের হার বাড়িয়ে দিয়েছেন।এতেই উক্ত আশংকা পোষন কোনক্রমেই ভুল নহে আমি মনে করি।তার আগে পদ্মাসেতু নিয়ে তেলেসমাতি বিশ্ব দরবারে নিন্দার ঝড় উঠবে এই আশংকাও করছেন।যারফলে বার বার আদালত পরিবর্তন করেও মামলা থেকে রেহাই পাওয়ার কোন ফর্মুলা বিশ্বব্যাংক বের করতে পারছেন না।ঋন সুবিধা প্রত্যাহারের পর এবং দুর্নীতির অভিযোগের জবাবে প্রধান মন্ত্রী বাংলাদেশের নিজস্ব তহবীলে পদ্মাসেতু নির্মানের ঘোষনা যারপরনাই মোড়ল গীরির আত্মসম্মানে বড় রকমের ছেদ পড়েছে। ক্ষীপ্ততাই সুদহার বাড়ানোর কারন বলে আমি মনে করি।বহির্গতভাবে যদিও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ব্যাপক প্রসংশা করে ভিতরের আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছেই।সে কারণেই পশ্চিমা দুনিয়ার চেয়েও বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ পুর্নাঙ্গ সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ সম্পর্কে অযথা সংশয় সৃষ্টির চেষ্টা চালানো হচ্ছে। সরকারের সতর্কবস্থার পাশাপাশি হামলাকারি চিহ্নিত করার আন্তরীক চেষ্টা আশা করা যায় অদৃশ্য ষড়যন্ত্র রোখার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালনে সামর্থ হবে বাংলাদেশ। সন্ত্রাস ও জঙ্গি তৎপরতা বেশ কিছু দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব এবং উন্নয়নকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে। বৈশ্বিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্যও তা বাধার সৃষ্টি করে চলেছে। বাংলাদেশ প্রথম থেকেই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে বিশ্ববাসি ভালভাবেই অবগত আছেন। এই আপদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াইয়ের প্রাসঙ্গিকতাকে স্বীকার করে বিশ্ব সপ্রদায়ের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়েছে বাংলাদেশ।জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণেও এ বিষয়ে বাংলাদেশের দ্ব্যর্থহীন অবস্থানের কথা তুলে ধরা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদকে বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সব রাষ্ট্রকে এক যোগে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রীর বক্তব্যে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কতক সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনাও তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশের এ অবস্থান জাতিসংঘের বিশ্বশান্তি এবং সব জাতিগোষ্টির সহ-অবস্থানের পরিবেশ নিশ্চিত করার যৌক্তিক প্রত্যাশার সঙ্গে সম্পুর্ন সঙ্গতিপূর্ণ।যদিও ধর্মের নামে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের অপচর্চা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে তা বিশ্বের বর্তমানের প্রচলিত প্রতিটি ধর্মীয় মতবাদের মূল চেতনার পরিপন্থী। পৃথিবীর প্রতিটি ধর্ম শান্তি ও মানবতার পক্ষে। প্রতিটি ধর্ম সন্ত্রাস ও অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে তার অনুসারীদের বার বার সতর্ক করে দিয়েছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িতরা নিজেদের মতলব হাসিলের জন্য ধর্মকে বর্ম হিসেবে ব্যবহার করলেও তাদের সঙ্গে ধর্মীয় মূল্যবোধের দূরত্ব সম্পর্কেও সকল ধর্মের মানুষের বোধগম্যতা ইতিমধ্যে জোরালো হওয়া আরাম্ভ হয়ে গেছে। আমাদের এই গ্রহকে শান্তির গ্রহে পরিণত করতে চাইলে,বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের জীবনযাত্রার মানকে উন্নত পর্যায়ে নিতে চাইলে এ প্রয়াসের প্রতি বিঘ্ন সৃষ্টিকারী সন্ত্রাসবাদ এবং জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতেই হবে। এটি শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের সব দেশের সব মানুষের কর্তব্য বলে বিবেচিত হচ্ছে ইতিমধ্যে।জঙ্গী শুধুমাত্র ইসলাম ধর্ম অনুসারিদের মধ্যে সৃষ্টি হচ্ছে এ কথাটি সম্পুর্ন ভুল।সব ধর্মেই জঙ্গিপনা উত্থানের অপপ্রয়াশ লক্ষ করা যাচ্ছে।ভারতের শিবসেনা,বাংলাদেশের জামায়াত,বার্মার উলপা,পাকিস্তানে প্রদেশভিত্তিক নামের ভিন্নতা লক্ষ করা গেলেও জামায়াত মরুব্বির ভুমিকা পালন করছে। বাংলাদেশে নিষিদ্ধ সংগঠনগুলো অস্তিত্ব সংকটে আছে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই। তাদের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়েছে সরকারি ভাবে। অন্যদিকে প্রতিবেশী দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলোও অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। এ অবস্থায় রাজনৈতিক মতের বিস্তর ব্যাবধান সত্বেও তাঁরা সবাই এককাতারে আসার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।এক্ষেত্রে অপ লাইনের রেফারির ভুমিকায় অবতির্ন্ন হওয়ার সুযোগ বি,এন,পি নিবে এতে কোন সন্দেহ নেই।এই ব্যাপারটি যারা বি,এন,পি ভালবাসেন তারা গ্রহন করতে পারছেন না।তাই একে একে পদত্যাগ করে আগেভাগে নীজেকে ক্লিন রাখার জন্য প্রতিযোগিতা করে পদত্যাগ করা শুরু করেছেন। অতিবাম,অতিডান,জামায়াত,নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গীসংগঠন, চীনপন্থী সাম্যবাদি দল,সিরাজ শিকদার,কমরেড তোহা,আবদুল হকের অনুসারীরা আন্ডারগ্রাউন্ডে শলা পরামর্শ চালিয়ে যাচ্ছে।এদের সাথে যোগ দিতে পারে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সন্ত্রাস ও জঙ্গী বিরুদী জিরুটলারেন্সের কারনে জোট সরকারের আমলে আশ্রয় পাওয়া ভারতের সেভেন সিষ্টার খ্যাত আন্দোলনকারি জঙ্গীগোষ্টি এবং বার্মার জঙ্গীগোষ্টিরাও।গতকিছুদিন আগে বার্মার জঙ্গীনেতার আস্তানা কক্সবাজার এলাকা থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে।অনুপশেঠির সন্ত্রাসি গোষ্টি এবং ভারতের বিচ্ছিন্নতা বাদিদের বদ্ধমুল ধারনা যতদিন আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকবে ততদিন তাদের পক্ষে ভারতের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসি কর্মকান্ড পরিচালনা করা সম্ভব হবে না। সরকারের অমনোযোগিতা,অহংকারী মনোভাবের সুযোগে- সংগঠিত হয়ে যেকোন মহুর্তে তারা সরকারের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। এ অবস্থায় সরকারকেই দায়িত্বশীল ও কঠোর ভূমিকা পালন করতে হবে। কাজে লাগাতে হবে গোয়েন্দা বিভাগকে। সন্ত্রাসী ও জঙ্গি সংগঠনগুলোকে সংগঠিত হওয়ার আগেই নিষ্ক্রিয় করতে হবে। তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিতে হবে।জামায়াতের অর্থের উৎসমুখ বন্ধ করে দেয়া এই মহুর্তে অতিব প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।টাকার উৎসস্থল জামায়াতের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান গুলী অন্যতম।মধ্যপ্রাচ্য থেকে হুন্ডির মাধ্যমেও তাঁদের টাকা আসা বন্ধ করা প্রয়োজন। টাকার শক্তি যত কমবে জঙ্গীপনা ততবেশী নিস্তেজ হবে।টাকার উৎসসমুহ বন্ধ করে দিতে পারলে তাদের মনোবলও ভেঙে যাবে। অন্যদিকে রাজনৈতিক দিক থেকেও নানা কার্যক্রম নিয়ে তাদের উত্থানের আশঙ্কা নস্যাৎ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি সামাজিক শক্তি, রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে।মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তিকে মাঠে নামাতে হবে।সাহিত্যিক,সাংবাদিক,বুদ্ধিজীবি,অসাম্প্রদায়িক চেতনা সম্পন্ন সকল জনগোষ্টিকে সংগঠিত করে সর্বদা মাঠে রাখার ব্যাবস্থা গ্রহন করতে হবে।বাড়ীর মালিকদেরকে কঠোর নির্দেশনা দিতে হবে,তারা যেন অপরিচিত কাউকে বাসা ভাড়া না দেন।উপযুক্ত ব্যাক্তির সুপারিশ ব্যাতিরেকে বাসায় স্থান দেয়া দন্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গন্য করে আইন পাশ করা প্রয়োজন। ব্যবহার করতে হবে সর্বস্তরের মিডিয়াকে। গড়ে তুলতে হবে জনসচেতনতা। জনগণের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে পারলে সন্ত্রাসবাদ-জঙ্গিবাদ যেবাদই হোকনা কেন, কোনোভাবেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। "জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা"

জঙ্গিরা সরকারের সাঁড়াষি অভিযানে নিস্তেজ,মাথা তুলে দাঁড়াবার কোন শক্তি তাঁদের অবশিষ্ট নেই।এমতবস্থায় তাঁদের নাম ভাঙ্গিয়ে মানুষ হত্যা করে আইন শৃংখলা বাহিনীর দৃষ্টিকে ফাঁকি দেয়ার কৌশলের অংশ হিসেবে আই,এসের নামে মেইল পাঠিয়ে দায় স্বিকারের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিজ্ঞরা মনে করছেন।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা