জিয়া পরিবারের রোষানলের আগুনে দগ্ধ বেগম জিয়ার রাজনীতির যবনিকাপাত-- ================================= এই প্রথম বাংলাদেশের রাজনীতিতে কোন বড় দল থেকে উপদল বা মুল দলকে বিভক্ত করে নতুন দল সৃষ্টি হতে যাচ্ছে।গনতান্ত্রিক রাজনীতিতে দল পরিবর্তন করে অন্য দলে যোগ দেয়া বা নতুন দলের আত্মপ্রকাশ ঘটানো অপরাধের পয্যায়ে পড়েনা, যদিনা আদর্শিক বিভেদ, দর্শন গত অমিল, কর্মসুচির দ্বিমত ইত্যাদির কারনে হয়ে থাকে।অতীতে স্বৈরাচারী সরকার সমুহ রাষ্ট্রের শক্তি ডি,জি,এফ,আই কে ব্যাবহার করে লোভী নেতাদের লোভের মুলা ঝুলিয়ে,আদর্শিক নেতাদের বল্প্রয়োগ করে নতুন দলের জম্ম দিতে দেখা গেছে।কোন কোন সময়ে হার না মানা নেতাদের হত্যা করে প্রতিশোধ নিতেও দেখা গেছে।যেমনটি ৭৫এর ৩রা নভেম্বর জেল খানার অভ্যন্তরে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে মোস্তাক সরকার ভবিষ্যতের সম্ভাব্য কাঁটা পরিষ্কার করে খমতা পাকাপোক্ত করতে গিয়ে মাত্র তিন দিনের মাথায় খমতা ত্যাগ করে ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হতে হয়েছে।যাক সেই কথা,আজকে আমার বিষয় তাই নয়,আলোচনা করতে চেয়েছিলাম দল ভাঙ্গা নিয়ে সেখানেই সীমাবদ্ধ থাকি। দৃশ্যমান না হলেও পর্দার আড়ালে দল ভাঙার রাজনীতি অনেকটা জোরেশোরেই সক্রিয় হচ্ছে। বলা যায়, সাজঘরের প্রস্তুতি শেষের দিকে। লক্ষ্য নতুন বছরের জানুয়ারি মাস। প্রস্তুতি সফল হলে সময়টা রাজপথের প্রধান বিরোদী দল বিএনপির জন্য আরও কঠিন হবে নিশ্চিত ভাবে বলা যায়। এই যখন অবস্থা, তখন এক সময়ে যারা কথিত কিংস পার্টির স্বপ্নে বিভোর ছিলেন, সহসা খমতা পাওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন তাদের মধ্যে অনেকে নতুন ভাবে স্বপ্নে বিভোর হতে শুরু করেছেন। তবে রাজনীতি নিয়ে এমন ঘাত-প্রতিঘাতের অংকের পরিণতি অতীতে ভাল হয়নি এমনটি যারা বলে আসতেন তাঁরাও এবং অভিজ্ঞ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকে, এবারের বিষয়টিকে একটু গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন। তারা বলছেন, যদিও দল ভাঙার অপরাজনীতি করে অতীতে কেউই সফল হয়নি, তারপরও এবারের দল ভাঙ্গার প্রেক্ষাপট ভিন্ন রকম। এবার যারা দল ভেঙ্গে নতুন দল গড়বেন তাঁরা বৃহৎ রাজনৈতিক দলের সন্ত্রাস,বোমা বাজি,জঙ্গী পৃষ্টপোষকতা,প্রধান নেত্রীর রাজনৈতিক অনভিজ্ঞতা,প্রধান মন্ত্রীর পদে থাকাকালীন পারিবারিক লুটপাট,তারেকের অতিরীক্ত বাড়াবাড়ি,যোগউপযোগি কর্মসুচি প্রনয়নে ব্যর্থতা,দলীয় কর্মকান্ডে পারিবারিকিকরন,খালেদা জিয়ার পরিবারকে দুর্নীতির দায় থেকে রক্ষা করার জন্য বি,এন,পি,দলকে ন্যাক্কারজনক ভাবে ব্যাবহার,জামায়াতের উপর নির্ভরশীলতা,গনতান্ত্রিক আন্দোলনে হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশে বিদেশে উপহাসের পাত্রে পরিনত করা দলকে ইত্যাদি নানাহ অভিযোগের পাহাড়ের উপর ভর করে দল দ্বিখন্ডিত করার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ফেলেছেন বলে অভিজ্ঞমহল দ্বিধাহীন ভাবে উপলব্দি করছেন। অতীতে দল ভাঙ্গা যদিও নিন্দার কারন হয়ে জনগন থেকে নেতারা বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতেন,এবারের ব্যাপারটা তাঁর ঠিক উলটো হবে মনে করছে অভিজ্ঞরা। কেননা, মাইনাস ফর্মুলা থেকে শুরু করে অতীতে যারা যখন দল ভাঙার খবরের জন্ম দিয়েছেন তারা কেউ জনগন কতৃক ধিক্কার ছাড়া প্রসংশা পাননি,যাহা আশা করে বের হয়েছিলেন নতুন দলের জম্ম দিয়েছিলেন লাভ কিছুই হয়নি।জনগনের কাতারে কেউই দাঁড়াতে পারেননি। এবার সে রকম কিছু মনে করার কোন কারন নেই। যেহেতু জাতীয় স্বার্থে দল ভেঙ্গে নতুন দল গড়ার প্রত্যয়ে এবারের উদ্যোগ।ভাঙ্গার প্রক্রিয়া যদি ঘটে যায় তখন তা শক্ত ভীত পেয়ে গেলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না। এক টানা দ্বিতীয় মেয়াদে অনেকটা শক্তিশালী অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগের মতো একটি বৃহৎ দল সরকারে রয়েছে।বাংলাদেশের ইতিহাসে গনতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে এইবারেই বিপুল জনপ্রিয়তা নিয়ে কোন দল বাংলাদেশের ক্ষমতার মসনদে অনেকটা নিশ্চিত ভাবেই রয়েছেন।এমনটি দ্বিতীয় বার ক্ষমতা উপভোগ করতে অতীতে কখনও কোন দলকে দেখা যায়নি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন, দল এবং জোট শেষ অংকে কি হবে তা নিয়ে হয়তো এখনই কিছু বলা না গেলেও অচিরেই ধারনা পাওয়া যাবে । জানুয়ারী মাসের মাঝামাঝি সময়ে বিএনপির বিপরীতে আর একটি বিএনপি অবস্থান নিলে রাজনৈতিক অঙ্গন খানিকটা ঘোলাটে হওয়ার আশংকা রয়েছে। ভোটের হিসেবের মধ্যে বড় একটা উত্থান পতন ঘটবে। পরিস্থিতির কারণে অনেকে নতুন পতাকাতলে সমবেত হবেন,শুনা যায় আওয়ামী লীগের সংষ্কার পন্থি হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার কারনে দলে এবং সরকারে কোনঠাসা নেতারাও নতুন প্রক্রিয়ায় সামিল হচ্ছেন।উল্লেখ্যযে জাতীয়তা বাদী দল ও তাঁর জোট শরিক থেকে যারা বেরিয়ে আসছেন তাঁরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হিসেবে বি,এন,পিতে পরিচিত ছিলেন বলে জানা যায়।সে কারনে নাকি আওয়ামী লীগের বঞ্চিত নেতারা শামিল হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ ব্যাপারে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমরা ইতিহাস থেকে কোনো শিক্ষা গ্রহণ করি না। কিন্তু অনৈতিকতার পরিণতি ভয়াবহ। আমি আশা করি, সবারই শুভ বুদ্ধির উদয় হবে।’ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. মাহবুবুর রহমান বলেন, বিএনপিকে কেউ কোনোদিন ভাঙতে পারবে না। এমন চেষ্টা অতীতেও সফল হয়নি। তবে তিনি মনে করেন, এখন আবার নতুন করে যারা চেষ্টা করছেন তাদের পেছনে প্রভাবশালী কোনো না কোনো পক্ষের হাত থাকতে পারে। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘আমরা ভাঙা-গড়ার রাজনীতি করি না। যদি কেউ বিএনপি থেকে বেরিয়ে যায় তার জন্য তো সরকার দায়ী নয়।’ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বর্তমান প্রধান মন্ত্রী আগেভাগে সাংবাদিক সম্মেলনে বলে দিয়েছেন কোন রাজনৈতিক দলের নেতাদের আওয়ামী লীগে ঠাঁই হবেনা।তাঁর এই কথাটি সর্বমহলে প্রসংশিত হয়েছে।অভিজ্ঞরা মনে করেন বি,এন,পি জামায়াতের বেশ কিছু নেতা আওয়ামী লীগে যোগ দেয়ার জন্য বিভিন্ন মহলে জোর তদ্বির চালানোর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এই ঘোষনাটি দেন।এতে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর শক্তিশালী বিরুদী দল থাকা গনতন্ত্রের অপরিহায্য শর্তের প্রতি তাঁর অঙ্গিকারের বাস্তব পদক্ষেপ বলে অনেকে মন্তব্য করছেন। সাম্প্রতিক সময়ে হঠাৎ করে গুপ্তহত্যা বেড়ে যাওয়ায় দল ভাঙার গোপন প্রক্রিয়ার পালে জোরেশোরে হাওয়া লেগেছে। একদিকে এসব ষড়যন্ত্রমূলক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সরকার যেমন উদ্বিগ্ন, তেমনি এ উদ্বেগ থেকেই রাজনীতির অন্দর মহলে শুরু হয়েছে নানা তৎপরতা। দুই বিদেশী হত্যাকাণ্ডের পর থেকে রাজনীতির পটভূমি তৃতীয় কোনো পক্ষ ঘোলাটে করতে অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে,ধারনাটি স্পষ্টতা পায়। একইসঙ্গে এ ধরনের স্পর্শকাতর হত্যাকাণ্ডে বিএনপির যোগসূত্রতার খবর প্রকাশিত হওয়ায় দলের নেতারা যারপরনাই নার্ভাসনেস অনুভব করা শুরু করেছেন। এমনিতে অবরোধে মানুষ পুড়িয়ে মেরে কঠিন বিপর্যয়ের মধ্যে আছে দলটি।গুপ্ত হত্যায় শামিল হয়ে আরও বেকায়দায় পড়বে, তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। সরকার বাধ্য হয়ে অনিচ্ছা সত্বেও কাঁটা ঘায়ে নুনের ছিটা দেয়ার মতো বিএনপিকে গুপ্ত হত্যার ঘটনায় কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, বাস্তবিক অর্থে এমন দুঃসময়ে দল ভেঙে যাওয়ার খবরে বিএনপির জন্য ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে বিপাকের শেষ সীমায় পৌছাবে দলটির নেত্রীর পরিবার এবং দলটিকে। এ মুহূর্তে সরকারের রাজনীতির কৌশলগত দিক হচ্ছে বিএনপিকে শক্তিহীন করে রাখা,কোন অবস্থায় নীজের ঘাড়ে দোষ নিয়ে নহে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সেই দিকেই হাঁটছেন মনে হচ্ছে।নয়তো দলে নতুন কোন লোক যোগদানে কঠোর নিষেদাজ্ঞা দেয়ার কারনই বা কি?জামায়াতের মত কট্রর আওয়ামী বিরুদীদের দলে নিতে পেরেছেন- বি,এন পির মুক্তিযোদ্ধা অংশকে নিতে আপত্তি কোথায়? সরকার এই মহুর্তে ইচ্ছে করলে দলের ভাঙ্গনকে ত্ব্ররান্বিত করে দিতে পারতেন।তাঁদের অজস্র নেতার বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে দায়েরকৃত পুরনো মামলাগুলো কাজে লাগানোর পাশাপাশি তাদের সব ধরনের সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক যোগাযোগের ওপর বিধি নিশেদ আরোপ করতে পারতেন,যেহেতু গুপ্ত হত্যায় জড়িত থাকার বহু প্রমান ইতিমধ্যে সরকারের হাতে এসে পৌছে গেছে। ২০ দলীয় জোটে বিভক্তি বা দলটির মধ্যকার দ্বন্দ্বকে কাজে লাগিয়ে, তাদের মধ্যে ভাঙন সৃষ্টিতে সক্রিয় উদ্যোগও নিতে পারতেন। সরকার আপাত সেই দিকে নজর না দিয়ে স্বাভাবিক ভাঙ্গনকে উৎসাহিত করার চিন্তায় মগ্ন।প্রধান মন্ত্রী কাউকে দলে নিবেননা, ঘোষনাটি বি,এন,পি ভাঙ্গনের ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত হয়েই দিয়েছেন বলে অভিজ্ঞমহল মনে করেন।দল ভাঙ্গনের কালচারে সামিল না হওয়ায় এবং নাম সর্বস্ব নেতাদের দলে না ভিড়ানোর ঘোষনায় প্রধান মন্ত্রী সর্বমহলের প্রসংশায় প্রসংশিত হচ্ছেন। এদিকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের দণ্ড কায্যকরের দিনক্ষন এগিয়ে আসছে। ঘাতকদের অনুসারীরা বেপরোয়া হয়ে দেশে অস্থিরতা তৈরিতে গুপ্তহত্যা এবং বোমা বিস্ফোরণ, নাশকতার পথ বেছে নিয়েছে। বিএনপি-জামায়াত সরাসরি এসব ঘটনার পেছনে রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারণে সরকারের নীতিনির্ধারকরা নিজেদের মধ্যে দফায় দফায় আলোচনা করছেন। এ আলোচনায় বিএনপি ও জামায়াতের অতীতের নাশকতার মামলার আসামীদের গ্রেপ্তার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সরকার মনে করে পুরাতন মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারের কৌশলে গুপ্ত হত্যার পরিস্থিতির উন্নতি করা সম্ভব হবে। সরকার মনে করে বাস্তবতার আলোকে ২০ দলীয় জোটের পরিধি রাজনৈতিক কারনেই সংকুচিত হতে বাধ্য।তাছাড়া বিএনপি ও জামায়াতের ভেতরের নেতৃত্ব পয্যায়ে মানবতা বিরুধি অপরাধের বিচারের রায়ের পর হরতাল দেয়া বা সমর্থন করা নিয়ে যে দ্বন্দ্ব আছে সেই দ্বন্ধেই জোট সংকোচিত হবে,শুধু সময়ের ব্যাপার।সুতারাং দলে জায়গা দিয়ে বা প্রেসার সৃষ্টি করে জোট ভেঙ্গে স্বৈরাচারী সরকার সমুহের পথ অনুসরন করার কোন প্রয়োজন আছে বলে আওয়ামী লীগ বা দলের নেত্রী শেখ হাসিনা মনে করেন না। অবশ্য এর আগেই ২০ দলীয় জোট থেকে বেরিয়ে এসেছেন বিএনপির পুরনো মিত্র শেখ শওকত হোসেন নিলু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছেন বিএনপির সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা,বিভিন্ন সভা সমাবেশে প্রধান মন্ত্রীর প্রসংশা করে বক্তৃতা বিবৃতিও দিচ্ছেন প্রায়ই। কিন্তু প্রধান মন্ত্রী তেমন কোন উৎসাহ এ পয্যন্ত দেখিয়েছেন তেমন প্রমান পাওয়া যায় না তাঁর ব্যাপারে। অপরদিকে সাবেক এমপি শহিদুল হক জামাল ও আবু হেনা নতুন বিএনপি গড়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন অনেক আগে থেকেই। বিএনপির সাবেক এ দুই নেতা দলটির সংস্কারপন্থী নেতাদের সংগঠিত করার পাশাপাশি বর্তমানের মুক্তিযোদ্ধা অংশকেও সংগঠিত করে বড় আকারে রাজনৈতিক দল গঠনে জোর তৎপরতা অব্যাহত রেখেছেন। জানা গেছে, বিএনপির সাবেক এই দুই নেতা সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে যোগ দেয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন,প্রধান মন্ত্রী সরাসরি তাঁদের না করে দিয়েছেন।ঘটনাটি প্রায় ৭/৮ মাস আগেই ঘটেছিল।সেই দুই নেতাই আরো শক্তি সঞ্চয় করে দলে এবং জোটে ভাঙ্গন প্রক্রিয়ায় সম্মুখে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। আবুহেনা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমকে এবং কি জনসভায় ও বলেন,দলের বহু নেতাকর্মী নেত্রীর হঠকারী কর্মসুচি এবং পরিবার রক্ষার আন্দোলনে নাশকতার অভিযোগে জেলে রয়েছেন। তাঁরা প্রথম দিকে না বুঝেই খালেদা জিয়ার হঠকারি কর্মসুচিতে শামিল হয়েছিল।তাদের মুক্ত করতে আমাদের সংগ্রাম করতে হবে,নিয়মতান্ত্রিক ভাবে,গনতন্ত্রের সজ্ঞা অনুযায়ী আন্দোলন করতে হবে। তিনি জানান, সবাইকে নিয়ে জানুয়ারির মধ্যে বড় আকারের কনভেনশন করে সেখানে নতুন নেতা নির্বাচন করা হবে।অভিজ্ঞমহলের ধারনা বিকল্প ধারার বর্তমান নীরবতায় প্রমান করে তাঁরাও নতুন দলেই শামিল হবেন। বিকল্প ধারার মাহী বি. চৌধুরী সরকারের ঘনিষ্ঠ মহলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে সফল না হওয়ায়,এবং কর্নেল অলির লন্ডনে খালেদার সাথে বৈঠক করার কারনে বি,এন,পিতে শামিল না হয়ে নতুন বি,এন,পিতে শামিল হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে অনেকেই মনে করেন। যদিও বি. চৌধুরীর বি,এন,পি বা খালেদার প্রতি দুর্বলতা এখন ও রয়ে গেছে এবং বি,এন, পিতে ফিরে যাওয়ার পক্ষে। ছেলে মাহী ভবিষ্যত বি,এন,পি রাজনীতির অসারতার কথা চিন্তা করে নতুন বি,এন,পিতে যোগদান অথবা জোট গঠনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন বলে জানা গেছে। এর বাইরে ২০ দলীয় জোটের ছোট ছোট রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নতুন বি,এন,পির যোগাযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে। দেশের বুদ্ধিজীবি ও সুশীল সমাজের একটা অংশের পক্ষ থেকে তাদের ভুল রাজনীতি থেকে সরে আসার জন্য অনুপ্রানিত করা হচ্ছে। লন্ডনে অবস্থানরত জামায়াত নেতা ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকের অস্বাভাবিক নীরবতার পেছনেও ঠিক একই রাজনৈতিক কারণ রয়েছে বলে খোদ দলটির নেতাকর্মীরা মনে করেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিয়াউর রহমানের ভাই আহমেদ কামাল নতুন বি,এন,পির সাথে থাকবেন এবং গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা পালন করবেন বলে জানা গেছে।খালেদা জিয়া দলের নেত্রী হওয়া অবদি জিয়া পরিবারের সাথে তেমন একটা ভাল সম্পর্ক রাখেননি তা আগেই পত্রপত্রিকায় জানাজানি ছিল। জিয়ার মৃত্যুর পর ইসলামী নিয়ম অনুযায়ী না চলাকে তাঁর শশুরবাড়ীর মানুষ ভাল চোখে দেখেননি কখনও। স্বামীর মৃত্যুর পরে একদিনের জন্যও শশুর বাড়ী যাননি বলেও অভিযোগ করেন জিয়ার পরিবার।স্বাধীনতা যুদ্ধের পর শশুর বাড়ী বেড়াতে গেলে বাড়ীর লোকেরা এবং প্রতিবেশীরা বিরুপ মন্তব্য করায় খালেদা শশুর বাড়ীর পথ মাড়াননি বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন। আজকে ইহাই কাঁটা হয়ে জিয়ার আদর্শের উপর বড় ভাগ বসাতে উদ্যোগি হয়েছেন বলে বিশ্লেষকদের ধারনা। জিয়ার ভাই নতুন বি,এন,পি দল আত্মপ্রকাশের প্রাথমিক সব কাজ ইতিমধ্যে সমাপ্ত করে রেখেছেন। তারেক লন্ডন থেকে কাকাকে নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন বলেও জানা গেছে।খালেদা পন্থি বি,এন,পি নেতাদের মাথাব্যাথার বড় কারনই হচ্ছেন জিয়ার ভাই,সে যদি মাঠে নেমে আদিবৃত্তান্ত প্রকাশ শুরু করে, তবে খালেদার বাকী ইমেজ ও নষ্ট হতে সময় লাগবেনা বলে তাঁদের বদ্ধমুল ধারনা।বিষয়টি খোদ খালেদাকেও ভাবিয়ে তুলছে বলে জানা গেছে।এ ছাড়া আহমেদ কামালের মিলাদ মাহফিলকে তিনি ধর্মীয় অনুষ্ঠান বলে মন্তব্য করলেও রাজনীতিতে অভিজ্ঞমহল মনে করেন, ফুল ফোটার আগে ছিড়ে ফেলার আশংকা থেকেই তিনি কথাটা বলতে পারেন। রাজনীতিতে তিনি কেবল অনভিজ্ঞ নন।জিয়ার মতই আহমেদ কামাল সূযোগ সন্ধানী আগে থেকেই।বেগম জিয়ার এমন সংকটময় অবস্থার জন্য তিনি এতদিন অপেক্ষায় ছিলেন।অবশ্য জিয়ার হঠাৎ মৃত্যুর পরও ভিতরে ভিতরে চেষ্টা করেছিলেন, ভাইয়ের ইমেজকে কাজে লাগিয়ে রাজনীতিতে উত্থিত হওয়ার।সেই চেষ্টা কয়েক সিনিয়র নেতার কারনে প্রাথমিক পয্যায় বাধাগ্রস্থ হওয়ায় শেষাবদি চুপসে যান।শমসের মবিন চৌধুরীর সরে যাওয়ার বিষয়ে মাহবুবুর রহমান বলেন, তিনি অসুস্থতাজনিত কারণ দেখিয়েছেন।অভিজ্ঞ গন এই কথাটিতে আস্থা না রেখে বলেন, বর্তমানের গুপ্ত হত্যায় জড়িয়ে পড়ায় বি,এন,পি দেশে বিদেশে সমালোচনার ঢেউ উঠার আগেই তিনি সরে গেছেন। আন্তজাতিক কানেকশান সম্পর্কে শমসের মবিন অনেক কিছুই জানেন।তিনি বেগম জিয়ার ঘনিষ্টজনদের মধ্যে অন্যতম একজন।স্বাভাবিক ভাবেই তিনি জানেন খালেদার বর্তমান কানেকশান কোথায় কোথায় আছে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় থেকে দুর্নীতি, সন্ত্রাস এবং জঙ্গি লালন করেছে। ক্ষমতার বাইরে গিয়েও তারা একই কাজ করছে। জঙ্গিদের লালন-পালন এবং আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে, রাজনীতির নামে পেট্রলবোমা দিয়ে মানুষ হত্যা করছে। এতে তারা যেমন জনগণের কাছে অজনপ্রিয় হয়েছে, তেমনি নিজ দলের নেতাকর্মীদের আস্থাও হারিয়েছে। এরকম অবস্থায় দলটিতে ফাটল ধরার যথেষ্ট কারণ তৈরি হয়েছে। পরিশেষে বলা যায়,জিয়া পরিবারের রোষানলের আগুনে দগ্ধ বেগম জিয়া রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে বিতাড়িত হয়ে স্বেচ্ছায় স্ব-পরিবারে নির্বাসনের পথ বেচে নিতে পারেন।এবারের লন্ডন যাত্রা বেগম জিয়ার রাজনীতির সমাপনি বিদেশ সফর হলে আশ্চায্য হওয়ার কিছুই থাকবেনা।

বাঙ্গালী সমাজে একটা কথা খুব প্রচলন,"ঘরের শত্রু বিভীষন".।অবহেলা,অযত্মে,অবমুল্যায়নের খেসারতে বেগম জিয়া দিশেহারা।পারিবারিক ভাবেই স্বেচ্ছায় নির্বাসনের পথ বেচে নিলে আশ্চায্য হওয়ার কিছুই থাকবে না।সময় তাই নির্দেশ করছে বল অভিজ্ঞরা মনে করেন।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা