স্বাধিনতার অর্থ উলঙ্গপনা নয়,অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন,সম্মান প্রদর্শন।
স্বাধীনতার অর্থ উলঙ্গপনা নয়,স্বাধীনতা মানে অন্যের বিশ্বাসকে সম্মান দেয়া,শ্রদ্ধা করা---।
===========================
ডিজিলাইজেসনের যুগের আগমন আমাদের দেশে খুব বেশি দেরী হয়নি।এরই মাঝে তাঁর কিছু অভিশাপে জাতি যারপরনাই ক্ষতবিক্ষত।যদিও বর্তমান যুগ ইন্টারনেটের যুগ তথাপি বলতে বাধা নেই জগৎটি আমাদের যতটুকু উন্নতি আর সমৃদ্ধি দিচ্ছে নিচ্ছেও কিছু কিছু। গোঁড়া কিছু মানুষ সকল সময়ে আগপিছ চিন্তা না করেই ইসলাম সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারনার বসবর্তি হয়ে ষড়যন্ত্রকারিদের জালে আটকা পড়ে যাচ্ছেন।মানব হত্যা মহাপাপ তা জেনেও হত্যার পক্ষে মানষিক ও বৈষয়িক সমর্থন যুগিয়ে যাচ্ছেন।আমরা জানি ধর্ম যুদ্ধ,বা রাষ্ট্রীয় কোন যুদ্ধবিগ্রহ ছাড়া ইসলাম ধর্মে মানুষ হত্যা করা মহাপাপ।ইসলাম শান্তির ধর্ম,সহানুভুতির ধর্ম।নাস্তিক নয় কাপেরদের হত্যা করার জন্য ইসলামে কোন নির্দেশনা নেই।তারপর ও বিশ্বজুড়ে ইসলামি জঙ্গির নামধারন করে একশ্রেনীর মুসলিম কাপের নয়, মুসলামানদের হত্যার যজ্ঞে নেমেছেন।এতে ইহুদি নাসারা,কাপেরদের হাতে মারানাস্ত্র তুলে দেয়া হচ্ছে জঙ্গি দমনের নামে ইহুদিরা মুসলিম দেশ গুলিকে জোরপুর্বক দখল করে শাষন শোষন করার।ধর্মীয় মনীষিদের জঙ্গি আখ্যা দিয়ে অপমান অপদস্ত করার জন্য উ্দ্ভোদ্ধ হতে।
আমরা যদি দেশের ডিজিটাল অপরাধের জগতে এর আগের একটি বড় ঘটনার কথা স্মরণ করতে চাই সেটি হবে বাংলাদেশের হ্যাকারদের হাতে ভারতীয়-মিয়ানমারের ওয়েবসাইট হ্যাক হওয়া। সীমান্ত হত্যার অজুহাতে ভারতের বিরুদ্ধে ও রোহিঙ্গা হত্যার প্রতিবাদে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে এসব ডিজিটাল অপরাধ সংঘটিত করা হয়েছিল। সেই সময়ে বাংলাদেশের কিছু ওয়েবসাইটে প্রকাশ্যে শেখানো হতো কেমন করে ওয়েবসাইট হ্যাক করতে হয়। তখন হ্যাকিং ভালো কাজ নয় এ কথা যারা বলেছেন তাদেরও চরিত্র হনন করা হয়েছে ভারত ও বার্মার দালাল আখ্যা দিয়েছে। এরপর নিয়মিত দেশি, সরকারি-বেসরকারি ওয়েবসাইট হ্যাক হচ্ছে। সাইবার নিরাপত্তা একটি বিশাল চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে। এমনকি সেদিনও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট হ্যাক করা হয়েছে। এ সবকে মহিমান্বিত করার চেষ্টাও কোন কোন মহল থেকে করা হচ্ছে।
যে ব্যাপারটি নিয়ে প্রথমে ব্লগার হত্যা শুরু করা হল অনেকে মনে করেন, শাহবাগের মুক্তমনা লিখক,সাহিত্যিক,সাংবাদিকদের অবস্থানকে কেন্দ্র করে। একশ্রেনীর মানুষ প্রথমে তাঁদের নাস্তিক আখ্যা দিয়ে সাধারন মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন।তারপরই অভিযোগের পালা।
প্রথমেই অভিযোগ করা হল ব্লগার
রাজীবের ব্লুগ সম্পর্কে। বলা হল যে,রাজিব দুই বছর যাবৎ ধর্ম বিদ্বেষি লেখালেখি করে আসছে তাঁর ব্লগে।বিভিন্ন ওয়েব সাইটে পবিত্র ইসলাম ধর্মকে কটুক্তি করে লেখালেখি করেছে।বিশেষ করে নুরানী চাপা ওয়েবে ধর্ম সম্পর্কে লেখা হয়েছে-ঐ নুরানি চাপা(ওয়েব সাইট) সাইটে সে সমস্ত প্রাকশিত হয়েছে। যদি(নুরানি চাপা সমগ্র) সত্যি সত্যি রাজীবেরও হয় তবে দুই বছর ধরে প্রিন্ট মিডিয়া, ধর্মান্ধ ব্যাক্তিবর্গ ও সরকার কোথায় ছিলেন,তাঁরা কি জেগে জেগে ঘুমিয়েছিলেন?তখন কেন সেগুলো সম্পর্কে কোন ব্যাক্তির ফেইজ বুকে বা কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়নি বা সেসবের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি?অকস্যাৎ অভিযোগ আনা হল আমার দেশ,দিগন্ত পত্রিকা সহ আরো কয়েক পত্রিকায়।পত্রিকাগুলিতে যাহা চাপা হল,যেভাবে চাপা হল কেউ তা রাজিব যে সমস্ত সাইটে লিখতেন, সেই লিখা গুলির সাথে মিলিয়েও দেখলেন না।কেন মিলিয়ে দেখার প্রয়োজন মনে করেননি,?তার কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। যে সব সাইটে রাজীবের ব্লুগ প্রকাশিত হয়েছিল তাঁরা কেন ধর্ম বিদ্বেসি লিখা প্রকাশ করলেন,তাঁদের বিরুদ্ধেও কোন ব্যাবস্থা নিলেন না।অপলাইনের যে সমস্ত পত্রিকায় অভিযোগ উত্থাপন করে রাজিবের লিখা গুলি চাপিয়েছিল তাঁরা সেগুলী কোত্থেকে সংগ্রহ করেছিল সরকার তার কৈপিয়তও চাইলোনা। পত্রিকাগুলী কোন কোন সুত্র থেকে লিখাগুলি পেয়েছিলেন,কার কার নিকট থেকে পেয়েছিল তারও কোনো বিবরণ পত্রিকায় উল্লেখ ছিলনা। মোডিফাই বা ছবি বিকৃত করার কোন প্রযুক্তির সাহায্যে লিখা পরিবর্তন করেছিল কিনা তাও পরিক্ষা করে দেখা হয়নি।নাকি রাজিবের হুবহু লিখা ছিল তাও আজ পয্যন্ত সঠিক ভাবে জানানো হয়নি। যে তদন্ত কমিটি মন্ত্রনালয় থেকে করা হয়েছিল এখন পয্যন্ত বিষয়টি তাঁরা পরিষ্কার করে দেশবাসিকে জানানোর প্রয়োজন মনে করেননি।তাহলে ডাকডোল পিটিয়ে, আনুষ্ঠানিক ঘোষনা দিয়ে কেন কমিটি করা হয়েছিল?
এখন প্রশ্ন হলো,যারা সাইট গুলী চালায় তাদের কি কোনো দায়িত্ব নেই? ক্ষতিকর কোনো উপাদান প্রকাশ করার আগে সেটি যাচাই-বাছাই করতে হবে। পরিচয় গোপন করে কেউ যা খুশি তাই লিখে পাঠাবে আর তা কোনো ধরনের সম্পাদনা না করেই প্রকাশ করা হবে এমন উলঙ্গ স্বাধীনতা কোনো সভ্য সমাজে আছে? এমনভাবে যারা ব্লুগ প্রকাশ করছে সরকার তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নিচ্ছে? এর চাইতেও ভয়ঙ্কর অবস্থা হচ্ছে যে, সরকার অনলাইনের অপকর্মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা যেমন নিতে পারেনি তেমনি প্রচলিত মিডিয়ার(অপ লাইন) অপকর্মের বিরুদ্ধেও কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। অনলাইনের বিষয়বস্তুর বরাত দিয়ে ইসলামের নামে অপ লাইনের পত্রিকা এবং ইলেক্ট্রোনিক মিডিয়া (আমার দেশ,দিগন্ত টি,ভি চ্যানেল)যখন ইসলাম বিদ্বেষী খবরগুলো প্রকাশ করে সরকার তার প্রচারনা বন্ধ করেনি।, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেনি বা আইনের আশ্রয়ও নিতে পারেনি। বেশ কটি পত্রিকা দিনের পর দিন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করার মতো মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করেছে কিন্তু সরকার নীরব থেকেছে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে, আইন না থাকার কারণে এসব পত্রিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যায়নি।অর্থাৎ সরকার ধর্মীয় গোষ্টি এবং নাস্তিক কাউকেই খেপাতে চায়নি।এতে কি সরকার স্বস্থিতে থাকতে পেরেছিল,না আজ অবদি পারছে?
নাস্তিক প্রচার করা কেন হল তদন্ত করে দেখা দরকার ছিল আমি মনে করি।আসলেই তাঁরা নাস্তিক কিনা। কোন নাস্তিকের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত দিয়ে কিছু লিখার অধিকার যেমন নেই,স্বঘোষিত আস্তিকদের ও যখন তখন যাকে ইচ্ছা তাঁকে নাস্তিক খেতাব দেয়ার অধিকারও নেই।
মত প্রকাশের স্বাধীনতার অর্থ এই নয়,কোন সম্প্রদায় সম্পর্কে যা ইচ্ছা তা বলা বা লিখা।আইন নেই বলা হয়েছিল তখন,জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কোন আইনে দাউদকে দেশ ত্যাগে বাধ্য করেছিলেন,ধর্মের অবমানার কারনে নয় কি?
আমি কিছু আইনের প্রতি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই,যে আইন গুলি আগেও ছিল বর্তমানেও আছে-বিভিন্নভাবে সময় সময় কায্যকারিতাও দেখা যায়,যেমন-- বিশেষ ক্ষমতা আইন, প্রেস এন্ড পাবলিকেশন আইন, সিআরপিসি ও সংবিধানের অন্যান্ন উল্লেখিত ধারা অনুসারে এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারতেন সরকার। কিন্তু সরকার আইনি ব্যবস্থা তেমন কার্যকর করা দরকার বলে মনে করেননি। সরকার আইসিটি এক্ট-২০০৬ (২০০৯ সালে সংশোধিত) নামক একটি আইন তৈরি করেছে। সেই আইনে এসব অপরাধের বিরুদ্ধে আইনি সহায়তা নেয়া যেত ইচ্ছা থাকলে।অবশ্য পরবর্তিতে সরকার একটা ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছেন এবং ১ জন বিচারকও নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্স নির্বাহী পরিষদে সভায় বিষয়টি উত্থাপিত হলেও তখন সরকারের আমলারা বিষয়টিতে নজর দেয়ার প্রয়োজন মনে করেননি।এমন অবস্থা বিরাজমান দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল যেন বিচ্ছিন্ন ঘটনা, কয়েক দিন পরই ঠিক হয়ে যাবে।কয়েক সচিব এমন ভাবই প্রকাশ্য দেখিয়েছেন বলে অনেকে মন্তব্য করেন।আমি যতটুকু জানি ২০১৩ ইং সালেই আইসিটি অ্যাক্টের সংশোধন করা হয়েছে এবং আইনে আমলযোগ্য ও জামিন অযোগ্য ধারা বা বিধান ও ন্যূনতম সাজার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আইনটির অপপ্রয়োগের অভিযোগ এনে ইতিমধ্যে বেশ লেখালেখি হয়েছে।প্রগতিশীল ধারার সাংবাদিকেরা আন্দোলন হুমকিও দিয়েছেন ৫৭ ধারা বাতিল করার জন্য।
আমি একটি বিষয় সবিনয় জানতে চাই সবার কাছে, এমন কোন আইন কি আছে যে আইনের অপব্যাবহার হয়না বা হচ্ছে না?প্রবির শিকদারের বেলায় ৫৭ ধারা অপপ্রয়োগের কারনে আইনটি বা ৫৭ ধারাটি বাতিল হবে কেন,মন্ত্রী মোশারফের কারনে?হাজার হাজার রাজনৈতিক নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন অপ- প্রয়োগ করা হচ্ছে এতটি বছর তাতো বাতিল করার জন্য সোচ্ছার নন কেহই।
পত্রিকায় দেখেছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং সেখানে ডিজিটাল আই,সি,টি আইনের ৫৭ ধারা নিয়ে বিতর্ক তৈরির চেষ্টাও করা হয়েছিল কোন কোন মহল থেকে। সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের গ্রেপ্তার-রিমান্ড ও জামিন কে উপলক্ষ করে বিতর্ক উত্থাপনের অপচেচেষ্টাও কম হয়নি।অন লাইন -অপ লাইন উভয় সাইটে এ নিয়ে রীতিমতো তুলকালাম কান্ড হয়েছে।অন্যসব বিষয়ের মত প্রবীর শিকদারের বিষয়টিও ব্যতিক্রমি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া কিছুই নয়।তদ্রুপ নিয়মিত ভাবে বিশেষ ক্ষমতা আইনের অপপ্রয়োগ হচ্ছে, সে বিষয়টি নিয়ে এত বেশি মাতামাতি হতে দেখা যায়নি।বিতর্কটি উত্থাপন কোন পয্যায় থেকে বা কারা উত্থাপন করেছে প্রথম থেকে তাও প্রগতিশিল লিখক বুদ্ধিজীগন অনুমান করতে পারেননি।
আর একটি উদাহরন দিলে ব্যাপারটি আরো পরিষ্কার হবে আশা করি।আরো আগে কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধ মন্দিরের হামলার পেছনে ফেসবুকের একটি ছবিকে দায়ী করা হয়ে থাকে। সেই ছবিতেও ইসলামকে অবমাননা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। পরে দেখা যায় যে, ছবিটি কোনো একটি কুচক্রীমহল পরিকল্পিতভাবে একজন বৌদ্ধের নামে প্রচার করে এই হামলার ভিত্তি প্রস্তুত করেছিল। পুলিশ পরে তাকে গ্রেপ্তারও করে।সে ছবিটি মাঝে মাঝে এখনও কোন কোন পেইজে দেখা যায়।সরকার কি ব্যাবস্থা নিচ্ছে?
শাহবাগে অবস্থান থেকে শুরু করে আজ পয্যন্ত, ব্লুগ, ব্লুগার ও অনলাইন কাজকর্ম নিয়ে ঘোলা পানিতে ষড়যন্ত্রকারিদের মাছ শিকার করা শুরু করেছেন।এক্ষেত্রে আমাদের সম্মানীত মৌলবি- মাওলানাদের ব্যাবহার করতে তাঁরা সক্ষম হয়েছেন।বর্তমানে যে সমস্ত অপকর্ম হচ্ছে সেই সমস্ত অপকর্ম ষড়যন্ত্র কারিদের কর্ম,এতে আমাদের ধর্মীয় নেতাদের কোন সম্পৃত্ততা আছে বলে আমি মনে করিনা।
উল্লেখিত প্রক্রিয়াটি যদি তখন সুচারু রুপে মীমাংশা করা হত,নাস্তিক, আস্তিক সবার বিরুদ্ধে অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহন করা হত,তাহলে আজকে আস্তিকের দোহাই দিয়ে বা জঙ্গীর দোহাই দিয়ে জামাতের নব্য জঙ্গী দানবেরা দীপনের মত প্রকাশকের জীবন হানি করতে পারতেন না।মজার ব্যাপারটি হল স্বার্থ উদ্ধারের নিমিত্তে কাক কাকের মাংশ ভক্ষন করতেও স্বার্থান্বেষি মহল দ্বিধাবোধ করেনি।যতটুকু জানতে পেরেছি দীপনেরা পারিবারিক ভাবেই হত্যাকারীদের অনুসারি।যার অনুসারী হবে হোক্ না কেন আমি মনে করি হত্যা হত্যাই।হত্যাকারি চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা রাষ্ট্রের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
আমাদের সকলের মনে রাখা দরকার,আইনের বেষনীতে রাষ্ট্র ও সমাজকে পরিবৃত রাখা ছাড়া স্বাধীনতা উপভোগ্য হয়না।যে দেশ যত বেশি আইনি বেষ্টনিতে আবদ্ধ সেই দেশের নাগরিক ততবেশি স্বাধীন।শুধু কাগজে কলমে আইন সৃষ্টি করে রেখে দিলে কোন লাভ হবেনা।যথাযথ ভাবে আইনের প্রয়োগ্ ও করতে হবে।আইনের শাষন কায়েম করা যতক্ষন সম্ভব হবেনা ততক্ষন নাগরিক সমাজ আতংকিত থাকবেনই।
মুক্তমনা লেখক বলতে ধর্মের কটুক্তি করা কোন ক্রমেই নয়।সামাজিক বৈশম্য,রাষ্ট্রীয় অনাচার,ইত্যাদি সম্পর্কে লেখালেখি করা,যাতে সমাজ উপকৃত হয় দেশ উপকৃত হয়।তাকেই আমি মুক্তমনা বলি যে লিখকের লিখায় আধুনিকতার চোঁয়া থাকবে,সমাজ এগিয়ে যাওয়ার পথ খুজে পাবে,বিজ্ঞানের নতুন নতুন ধ্যান ধারনা জনগনকে জানাতে পারে,তাঁরাই মুক্তমনা।নিস্বার্থভাবে তাঁর জ্ঞানের ভান্ডার দেশ ও জাতির জন্য ঢেলে দিতে কুন্টাবোধ করেন না।
কোন ক্রমেই কোন ধর্ম সম্পর্কে লিখালিখি করা মুক্তমনা হতে পারেন না।সেতো ধর্মই মানা নামানা আপনার ব্যাক্তিগত ব্যাপার হতে পারে,ধর্মকে কটুক্তি করবেন কেন,?
আমাদের এই গ্রহে ৭০০ কোটি মানুষ বাস করে,তমধ্যে ১০০ কোটি ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করে,বাদবাকি ৬০০কোটি মধ্যে সাড়ে ৫০০কোটি অন্যান্ন ধর্ম অনুসরন করে।সর্বোচ্ছ ৫/৬ লক্ষ লোক নাস্তিক হতে পারে সব ধর্ম মিলে।৪৫/৪৬ লুক্ষেরও বেশী মানুষের নিকট কোন ধর্মের মর্মবানীই এ পয্যন্ত পৌছেনি।সুতারাং স্বল্প সংখ্যক নাস্তিকের প্রচারে মহান ধর্মের চুল পরিমানের ক্ষতি হওয়ার কোন সম্ভাবনা আছে বলে আমি মনে করি না।মসুলমান কখনই হিংস্র জাতি নয়,যারা ধর্মে হিংস্রতার সংমিশ্রন ঘটাতে চায় তাঁরা ভিন্নধর্মের দালাল,ইসলামের চরম ক্ষতি করাই তাঁদের উদ্দেশ্য। অন্য ধর্মালম্বিদের নিকট পবিত্র ধর্ম ইসলামকে চরমপন্থি ধর্ম হিসেবে তুলে ধরাই তাঁদের উদ্দেশ্য।
জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু
জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা
===========================
ডিজিলাইজেসনের যুগের আগমন আমাদের দেশে খুব বেশি দেরী হয়নি।এরই মাঝে তাঁর কিছু অভিশাপে জাতি যারপরনাই ক্ষতবিক্ষত।যদিও বর্তমান যুগ ইন্টারনেটের যুগ তথাপি বলতে বাধা নেই জগৎটি আমাদের যতটুকু উন্নতি আর সমৃদ্ধি দিচ্ছে নিচ্ছেও কিছু কিছু। গোঁড়া কিছু মানুষ সকল সময়ে আগপিছ চিন্তা না করেই ইসলাম সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারনার বসবর্তি হয়ে ষড়যন্ত্রকারিদের জালে আটকা পড়ে যাচ্ছেন।মানব হত্যা মহাপাপ তা জেনেও হত্যার পক্ষে মানষিক ও বৈষয়িক সমর্থন যুগিয়ে যাচ্ছেন।আমরা জানি ধর্ম যুদ্ধ,বা রাষ্ট্রীয় কোন যুদ্ধবিগ্রহ ছাড়া ইসলাম ধর্মে মানুষ হত্যা করা মহাপাপ।ইসলাম শান্তির ধর্ম,সহানুভুতির ধর্ম।নাস্তিক নয় কাপেরদের হত্যা করার জন্য ইসলামে কোন নির্দেশনা নেই।তারপর ও বিশ্বজুড়ে ইসলামি জঙ্গির নামধারন করে একশ্রেনীর মুসলিম কাপের নয়, মুসলামানদের হত্যার যজ্ঞে নেমেছেন।এতে ইহুদি নাসারা,কাপেরদের হাতে মারানাস্ত্র তুলে দেয়া হচ্ছে জঙ্গি দমনের নামে ইহুদিরা মুসলিম দেশ গুলিকে জোরপুর্বক দখল করে শাষন শোষন করার।ধর্মীয় মনীষিদের জঙ্গি আখ্যা দিয়ে অপমান অপদস্ত করার জন্য উ্দ্ভোদ্ধ হতে।
আমরা যদি দেশের ডিজিটাল অপরাধের জগতে এর আগের একটি বড় ঘটনার কথা স্মরণ করতে চাই সেটি হবে বাংলাদেশের হ্যাকারদের হাতে ভারতীয়-মিয়ানমারের ওয়েবসাইট হ্যাক হওয়া। সীমান্ত হত্যার অজুহাতে ভারতের বিরুদ্ধে ও রোহিঙ্গা হত্যার প্রতিবাদে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে এসব ডিজিটাল অপরাধ সংঘটিত করা হয়েছিল। সেই সময়ে বাংলাদেশের কিছু ওয়েবসাইটে প্রকাশ্যে শেখানো হতো কেমন করে ওয়েবসাইট হ্যাক করতে হয়। তখন হ্যাকিং ভালো কাজ নয় এ কথা যারা বলেছেন তাদেরও চরিত্র হনন করা হয়েছে ভারত ও বার্মার দালাল আখ্যা দিয়েছে। এরপর নিয়মিত দেশি, সরকারি-বেসরকারি ওয়েবসাইট হ্যাক হচ্ছে। সাইবার নিরাপত্তা একটি বিশাল চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে। এমনকি সেদিনও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট হ্যাক করা হয়েছে। এ সবকে মহিমান্বিত করার চেষ্টাও কোন কোন মহল থেকে করা হচ্ছে।
যে ব্যাপারটি নিয়ে প্রথমে ব্লগার হত্যা শুরু করা হল অনেকে মনে করেন, শাহবাগের মুক্তমনা লিখক,সাহিত্যিক,সাংবাদিকদের অবস্থানকে কেন্দ্র করে। একশ্রেনীর মানুষ প্রথমে তাঁদের নাস্তিক আখ্যা দিয়ে সাধারন মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন।তারপরই অভিযোগের পালা।
প্রথমেই অভিযোগ করা হল ব্লগার
রাজীবের ব্লুগ সম্পর্কে। বলা হল যে,রাজিব দুই বছর যাবৎ ধর্ম বিদ্বেষি লেখালেখি করে আসছে তাঁর ব্লগে।বিভিন্ন ওয়েব সাইটে পবিত্র ইসলাম ধর্মকে কটুক্তি করে লেখালেখি করেছে।বিশেষ করে নুরানী চাপা ওয়েবে ধর্ম সম্পর্কে লেখা হয়েছে-ঐ নুরানি চাপা(ওয়েব সাইট) সাইটে সে সমস্ত প্রাকশিত হয়েছে। যদি(নুরানি চাপা সমগ্র) সত্যি সত্যি রাজীবেরও হয় তবে দুই বছর ধরে প্রিন্ট মিডিয়া, ধর্মান্ধ ব্যাক্তিবর্গ ও সরকার কোথায় ছিলেন,তাঁরা কি জেগে জেগে ঘুমিয়েছিলেন?তখন কেন সেগুলো সম্পর্কে কোন ব্যাক্তির ফেইজ বুকে বা কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়নি বা সেসবের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি?অকস্যাৎ অভিযোগ আনা হল আমার দেশ,দিগন্ত পত্রিকা সহ আরো কয়েক পত্রিকায়।পত্রিকাগুলিতে যাহা চাপা হল,যেভাবে চাপা হল কেউ তা রাজিব যে সমস্ত সাইটে লিখতেন, সেই লিখা গুলির সাথে মিলিয়েও দেখলেন না।কেন মিলিয়ে দেখার প্রয়োজন মনে করেননি,?তার কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। যে সব সাইটে রাজীবের ব্লুগ প্রকাশিত হয়েছিল তাঁরা কেন ধর্ম বিদ্বেসি লিখা প্রকাশ করলেন,তাঁদের বিরুদ্ধেও কোন ব্যাবস্থা নিলেন না।অপলাইনের যে সমস্ত পত্রিকায় অভিযোগ উত্থাপন করে রাজিবের লিখা গুলি চাপিয়েছিল তাঁরা সেগুলী কোত্থেকে সংগ্রহ করেছিল সরকার তার কৈপিয়তও চাইলোনা। পত্রিকাগুলী কোন কোন সুত্র থেকে লিখাগুলি পেয়েছিলেন,কার কার নিকট থেকে পেয়েছিল তারও কোনো বিবরণ পত্রিকায় উল্লেখ ছিলনা। মোডিফাই বা ছবি বিকৃত করার কোন প্রযুক্তির সাহায্যে লিখা পরিবর্তন করেছিল কিনা তাও পরিক্ষা করে দেখা হয়নি।নাকি রাজিবের হুবহু লিখা ছিল তাও আজ পয্যন্ত সঠিক ভাবে জানানো হয়নি। যে তদন্ত কমিটি মন্ত্রনালয় থেকে করা হয়েছিল এখন পয্যন্ত বিষয়টি তাঁরা পরিষ্কার করে দেশবাসিকে জানানোর প্রয়োজন মনে করেননি।তাহলে ডাকডোল পিটিয়ে, আনুষ্ঠানিক ঘোষনা দিয়ে কেন কমিটি করা হয়েছিল?
এখন প্রশ্ন হলো,যারা সাইট গুলী চালায় তাদের কি কোনো দায়িত্ব নেই? ক্ষতিকর কোনো উপাদান প্রকাশ করার আগে সেটি যাচাই-বাছাই করতে হবে। পরিচয় গোপন করে কেউ যা খুশি তাই লিখে পাঠাবে আর তা কোনো ধরনের সম্পাদনা না করেই প্রকাশ করা হবে এমন উলঙ্গ স্বাধীনতা কোনো সভ্য সমাজে আছে? এমনভাবে যারা ব্লুগ প্রকাশ করছে সরকার তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নিচ্ছে? এর চাইতেও ভয়ঙ্কর অবস্থা হচ্ছে যে, সরকার অনলাইনের অপকর্মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা যেমন নিতে পারেনি তেমনি প্রচলিত মিডিয়ার(অপ লাইন) অপকর্মের বিরুদ্ধেও কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। অনলাইনের বিষয়বস্তুর বরাত দিয়ে ইসলামের নামে অপ লাইনের পত্রিকা এবং ইলেক্ট্রোনিক মিডিয়া (আমার দেশ,দিগন্ত টি,ভি চ্যানেল)যখন ইসলাম বিদ্বেষী খবরগুলো প্রকাশ করে সরকার তার প্রচারনা বন্ধ করেনি।, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেনি বা আইনের আশ্রয়ও নিতে পারেনি। বেশ কটি পত্রিকা দিনের পর দিন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করার মতো মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করেছে কিন্তু সরকার নীরব থেকেছে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে, আইন না থাকার কারণে এসব পত্রিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যায়নি।অর্থাৎ সরকার ধর্মীয় গোষ্টি এবং নাস্তিক কাউকেই খেপাতে চায়নি।এতে কি সরকার স্বস্থিতে থাকতে পেরেছিল,না আজ অবদি পারছে?
নাস্তিক প্রচার করা কেন হল তদন্ত করে দেখা দরকার ছিল আমি মনে করি।আসলেই তাঁরা নাস্তিক কিনা। কোন নাস্তিকের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত দিয়ে কিছু লিখার অধিকার যেমন নেই,স্বঘোষিত আস্তিকদের ও যখন তখন যাকে ইচ্ছা তাঁকে নাস্তিক খেতাব দেয়ার অধিকারও নেই।
মত প্রকাশের স্বাধীনতার অর্থ এই নয়,কোন সম্প্রদায় সম্পর্কে যা ইচ্ছা তা বলা বা লিখা।আইন নেই বলা হয়েছিল তখন,জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কোন আইনে দাউদকে দেশ ত্যাগে বাধ্য করেছিলেন,ধর্মের অবমানার কারনে নয় কি?
আমি কিছু আইনের প্রতি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই,যে আইন গুলি আগেও ছিল বর্তমানেও আছে-বিভিন্নভাবে সময় সময় কায্যকারিতাও দেখা যায়,যেমন-- বিশেষ ক্ষমতা আইন, প্রেস এন্ড পাবলিকেশন আইন, সিআরপিসি ও সংবিধানের অন্যান্ন উল্লেখিত ধারা অনুসারে এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারতেন সরকার। কিন্তু সরকার আইনি ব্যবস্থা তেমন কার্যকর করা দরকার বলে মনে করেননি। সরকার আইসিটি এক্ট-২০০৬ (২০০৯ সালে সংশোধিত) নামক একটি আইন তৈরি করেছে। সেই আইনে এসব অপরাধের বিরুদ্ধে আইনি সহায়তা নেয়া যেত ইচ্ছা থাকলে।অবশ্য পরবর্তিতে সরকার একটা ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছেন এবং ১ জন বিচারকও নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্স নির্বাহী পরিষদে সভায় বিষয়টি উত্থাপিত হলেও তখন সরকারের আমলারা বিষয়টিতে নজর দেয়ার প্রয়োজন মনে করেননি।এমন অবস্থা বিরাজমান দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল যেন বিচ্ছিন্ন ঘটনা, কয়েক দিন পরই ঠিক হয়ে যাবে।কয়েক সচিব এমন ভাবই প্রকাশ্য দেখিয়েছেন বলে অনেকে মন্তব্য করেন।আমি যতটুকু জানি ২০১৩ ইং সালেই আইসিটি অ্যাক্টের সংশোধন করা হয়েছে এবং আইনে আমলযোগ্য ও জামিন অযোগ্য ধারা বা বিধান ও ন্যূনতম সাজার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আইনটির অপপ্রয়োগের অভিযোগ এনে ইতিমধ্যে বেশ লেখালেখি হয়েছে।প্রগতিশীল ধারার সাংবাদিকেরা আন্দোলন হুমকিও দিয়েছেন ৫৭ ধারা বাতিল করার জন্য।
আমি একটি বিষয় সবিনয় জানতে চাই সবার কাছে, এমন কোন আইন কি আছে যে আইনের অপব্যাবহার হয়না বা হচ্ছে না?প্রবির শিকদারের বেলায় ৫৭ ধারা অপপ্রয়োগের কারনে আইনটি বা ৫৭ ধারাটি বাতিল হবে কেন,মন্ত্রী মোশারফের কারনে?হাজার হাজার রাজনৈতিক নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন অপ- প্রয়োগ করা হচ্ছে এতটি বছর তাতো বাতিল করার জন্য সোচ্ছার নন কেহই।
পত্রিকায় দেখেছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং সেখানে ডিজিটাল আই,সি,টি আইনের ৫৭ ধারা নিয়ে বিতর্ক তৈরির চেষ্টাও করা হয়েছিল কোন কোন মহল থেকে। সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের গ্রেপ্তার-রিমান্ড ও জামিন কে উপলক্ষ করে বিতর্ক উত্থাপনের অপচেচেষ্টাও কম হয়নি।অন লাইন -অপ লাইন উভয় সাইটে এ নিয়ে রীতিমতো তুলকালাম কান্ড হয়েছে।অন্যসব বিষয়ের মত প্রবীর শিকদারের বিষয়টিও ব্যতিক্রমি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া কিছুই নয়।তদ্রুপ নিয়মিত ভাবে বিশেষ ক্ষমতা আইনের অপপ্রয়োগ হচ্ছে, সে বিষয়টি নিয়ে এত বেশি মাতামাতি হতে দেখা যায়নি।বিতর্কটি উত্থাপন কোন পয্যায় থেকে বা কারা উত্থাপন করেছে প্রথম থেকে তাও প্রগতিশিল লিখক বুদ্ধিজীগন অনুমান করতে পারেননি।
আর একটি উদাহরন দিলে ব্যাপারটি আরো পরিষ্কার হবে আশা করি।আরো আগে কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধ মন্দিরের হামলার পেছনে ফেসবুকের একটি ছবিকে দায়ী করা হয়ে থাকে। সেই ছবিতেও ইসলামকে অবমাননা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। পরে দেখা যায় যে, ছবিটি কোনো একটি কুচক্রীমহল পরিকল্পিতভাবে একজন বৌদ্ধের নামে প্রচার করে এই হামলার ভিত্তি প্রস্তুত করেছিল। পুলিশ পরে তাকে গ্রেপ্তারও করে।সে ছবিটি মাঝে মাঝে এখনও কোন কোন পেইজে দেখা যায়।সরকার কি ব্যাবস্থা নিচ্ছে?
শাহবাগে অবস্থান থেকে শুরু করে আজ পয্যন্ত, ব্লুগ, ব্লুগার ও অনলাইন কাজকর্ম নিয়ে ঘোলা পানিতে ষড়যন্ত্রকারিদের মাছ শিকার করা শুরু করেছেন।এক্ষেত্রে আমাদের সম্মানীত মৌলবি- মাওলানাদের ব্যাবহার করতে তাঁরা সক্ষম হয়েছেন।বর্তমানে যে সমস্ত অপকর্ম হচ্ছে সেই সমস্ত অপকর্ম ষড়যন্ত্র কারিদের কর্ম,এতে আমাদের ধর্মীয় নেতাদের কোন সম্পৃত্ততা আছে বলে আমি মনে করিনা।
উল্লেখিত প্রক্রিয়াটি যদি তখন সুচারু রুপে মীমাংশা করা হত,নাস্তিক, আস্তিক সবার বিরুদ্ধে অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহন করা হত,তাহলে আজকে আস্তিকের দোহাই দিয়ে বা জঙ্গীর দোহাই দিয়ে জামাতের নব্য জঙ্গী দানবেরা দীপনের মত প্রকাশকের জীবন হানি করতে পারতেন না।মজার ব্যাপারটি হল স্বার্থ উদ্ধারের নিমিত্তে কাক কাকের মাংশ ভক্ষন করতেও স্বার্থান্বেষি মহল দ্বিধাবোধ করেনি।যতটুকু জানতে পেরেছি দীপনেরা পারিবারিক ভাবেই হত্যাকারীদের অনুসারি।যার অনুসারী হবে হোক্ না কেন আমি মনে করি হত্যা হত্যাই।হত্যাকারি চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা রাষ্ট্রের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
আমাদের সকলের মনে রাখা দরকার,আইনের বেষনীতে রাষ্ট্র ও সমাজকে পরিবৃত রাখা ছাড়া স্বাধীনতা উপভোগ্য হয়না।যে দেশ যত বেশি আইনি বেষ্টনিতে আবদ্ধ সেই দেশের নাগরিক ততবেশি স্বাধীন।শুধু কাগজে কলমে আইন সৃষ্টি করে রেখে দিলে কোন লাভ হবেনা।যথাযথ ভাবে আইনের প্রয়োগ্ ও করতে হবে।আইনের শাষন কায়েম করা যতক্ষন সম্ভব হবেনা ততক্ষন নাগরিক সমাজ আতংকিত থাকবেনই।
মুক্তমনা লেখক বলতে ধর্মের কটুক্তি করা কোন ক্রমেই নয়।সামাজিক বৈশম্য,রাষ্ট্রীয় অনাচার,ইত্যাদি সম্পর্কে লেখালেখি করা,যাতে সমাজ উপকৃত হয় দেশ উপকৃত হয়।তাকেই আমি মুক্তমনা বলি যে লিখকের লিখায় আধুনিকতার চোঁয়া থাকবে,সমাজ এগিয়ে যাওয়ার পথ খুজে পাবে,বিজ্ঞানের নতুন নতুন ধ্যান ধারনা জনগনকে জানাতে পারে,তাঁরাই মুক্তমনা।নিস্বার্থভাবে তাঁর জ্ঞানের ভান্ডার দেশ ও জাতির জন্য ঢেলে দিতে কুন্টাবোধ করেন না।
কোন ক্রমেই কোন ধর্ম সম্পর্কে লিখালিখি করা মুক্তমনা হতে পারেন না।সেতো ধর্মই মানা নামানা আপনার ব্যাক্তিগত ব্যাপার হতে পারে,ধর্মকে কটুক্তি করবেন কেন,?
আমাদের এই গ্রহে ৭০০ কোটি মানুষ বাস করে,তমধ্যে ১০০ কোটি ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করে,বাদবাকি ৬০০কোটি মধ্যে সাড়ে ৫০০কোটি অন্যান্ন ধর্ম অনুসরন করে।সর্বোচ্ছ ৫/৬ লক্ষ লোক নাস্তিক হতে পারে সব ধর্ম মিলে।৪৫/৪৬ লুক্ষেরও বেশী মানুষের নিকট কোন ধর্মের মর্মবানীই এ পয্যন্ত পৌছেনি।সুতারাং স্বল্প সংখ্যক নাস্তিকের প্রচারে মহান ধর্মের চুল পরিমানের ক্ষতি হওয়ার কোন সম্ভাবনা আছে বলে আমি মনে করি না।মসুলমান কখনই হিংস্র জাতি নয়,যারা ধর্মে হিংস্রতার সংমিশ্রন ঘটাতে চায় তাঁরা ভিন্নধর্মের দালাল,ইসলামের চরম ক্ষতি করাই তাঁদের উদ্দেশ্য। অন্য ধর্মালম্বিদের নিকট পবিত্র ধর্ম ইসলামকে চরমপন্থি ধর্ম হিসেবে তুলে ধরাই তাঁদের উদ্দেশ্য।
জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু
জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন