স্বাধিনতার অর্থ উলঙ্গপনা নয়,অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন,সম্মান প্রদর্শন।

স্বাধীনতার অর্থ উলঙ্গপনা নয়,স্বাধীনতা মানে অন্যের বিশ্বাসকে সম্মান দেয়া,শ্রদ্ধা করা---।
===========================


ডিজিলাইজেসনের যুগের আগমন আমাদের দেশে খুব বেশি দেরী হয়নি।এরই মাঝে তাঁর কিছু অভিশাপে জাতি যারপরনাই ক্ষতবিক্ষত।যদিও বর্তমান যুগ ইন্টারনেটের যুগ তথাপি বলতে বাধা নেই জগৎটি আমাদের যতটুকু উন্নতি আর সমৃদ্ধি দিচ্ছে নিচ্ছেও কিছু কিছু। গোঁড়া কিছু মানুষ সকল সময়ে আগপিছ চিন্তা না করেই ইসলাম সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারনার বসবর্তি হয়ে ষড়যন্ত্রকারিদের জালে আটকা পড়ে যাচ্ছেন।মানব হত্যা মহাপাপ তা জেনেও হত্যার পক্ষে মানষিক ও বৈষয়িক সমর্থন যুগিয়ে যাচ্ছেন।আমরা জানি ধর্ম যুদ্ধ,বা রাষ্ট্রীয় কোন যুদ্ধবিগ্রহ ছাড়া ইসলাম ধর্মে মানুষ হত্যা করা মহাপাপ।ইসলাম শান্তির ধর্ম,সহানুভুতির ধর্ম।নাস্তিক নয় কাপেরদের হত্যা করার জন্য ইসলামে কোন নির্দেশনা নেই।তারপর ও বিশ্বজুড়ে ইসলামি জঙ্গির নামধারন করে একশ্রেনীর মুসলিম কাপের নয়, মুসলামানদের হত্যার যজ্ঞে নেমেছেন।এতে ইহুদি নাসারা,কাপেরদের হাতে মারানাস্ত্র তুলে দেয়া হচ্ছে জঙ্গি দমনের নামে ইহুদিরা মুসলিম দেশ গুলিকে জোরপুর্বক দখল করে শাষন শোষন করার।ধর্মীয় মনীষিদের জঙ্গি আখ্যা দিয়ে অপমান অপদস্ত করার জন্য উ্দ্ভোদ্ধ হতে।

আমরা যদি দেশের ডিজিটাল অপরাধের জগতে এর আগের একটি বড় ঘটনার কথা স্মরণ করতে চাই সেটি হবে বাংলাদেশের হ্যাকারদের হাতে ভারতীয়-মিয়ানমারের ওয়েবসাইট হ্যাক হওয়া। সীমান্ত হত্যার অজুহাতে ভারতের বিরুদ্ধে ও রোহিঙ্গা হত্যার প্রতিবাদে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে এসব ডিজিটাল অপরাধ সংঘটিত করা হয়েছিল। সেই সময়ে বাংলাদেশের কিছু ওয়েবসাইটে প্রকাশ্যে শেখানো হতো কেমন করে ওয়েবসাইট হ্যাক করতে হয়। তখন হ্যাকিং ভালো কাজ নয় এ কথা যারা বলেছেন তাদেরও চরিত্র হনন করা হয়েছে ভারত ও বার্মার দালাল আখ্যা দিয়েছে। এরপর নিয়মিত দেশি, সরকারি-বেসরকারি ওয়েবসাইট হ্যাক হচ্ছে। সাইবার নিরাপত্তা একটি বিশাল চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে। এমনকি সেদিনও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট হ্যাক করা হয়েছে। এ সবকে মহিমান্বিত করার চেষ্টাও কোন কোন মহল থেকে করা হচ্ছে।
যে ব্যাপারটি নিয়ে প্রথমে ব্লগার হত্যা শুরু করা হল অনেকে মনে করেন, শাহবাগের মুক্তমনা লিখক,সাহিত্যিক,সাংবাদিকদের অবস্থানকে কেন্দ্র করে। একশ্রেনীর মানুষ প্রথমে তাঁদের নাস্তিক আখ্যা দিয়ে সাধারন মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন।তারপরই অভিযোগের পালা।
প্রথমেই অভিযোগ করা হল  ব্লগার
রাজীবের ব্লুগ সম্পর্কে। বলা হল যে,রাজিব দুই বছর যাবৎ ধর্ম বিদ্বেষি লেখালেখি করে আসছে তাঁর ব্লগে।বিভিন্ন ওয়েব সাইটে পবিত্র ইসলাম ধর্মকে কটুক্তি করে লেখালেখি করেছে।বিশেষ করে নুরানী চাপা  ওয়েবে ধর্ম সম্পর্কে লেখা হয়েছে-ঐ নুরানি চাপা(ওয়েব সাইট) সাইটে সে সমস্ত প্রাকশিত হয়েছে। যদি(নুরানি চাপা সমগ্র) সত্যি সত্যি রাজীবেরও হয় তবে দুই বছর ধরে প্রিন্ট মিডিয়া, ধর্মান্ধ ব্যাক্তিবর্গ ও সরকার কোথায় ছিলেন,তাঁরা  কি জেগে জেগে ঘুমিয়েছিলেন?তখন কেন সেগুলো সম্পর্কে কোন ব্যাক্তির ফেইজ বুকে বা কোন পত্রিকায়  প্রকাশিত হয়নি বা সেসবের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি?অকস্যাৎ অভিযোগ আনা হল আমার দেশ,দিগন্ত পত্রিকা সহ আরো কয়েক পত্রিকায়।পত্রিকাগুলিতে যাহা চাপা হল,যেভাবে চাপা হল কেউ তা রাজিব যে সমস্ত সাইটে লিখতেন, সেই লিখা গুলির সাথে মিলিয়েও দেখলেন না।কেন মিলিয়ে দেখার প্র‍য়োজন মনে করেননি,?তার কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। যে সব সাইটে রাজীবের ব্লুগ প্রকাশিত হয়েছিল তাঁরা কেন ধর্ম বিদ্বেসি লিখা প্রকাশ করলেন,তাঁদের বিরুদ্ধেও কোন ব্যাবস্থা নিলেন না।অপলাইনের যে সমস্ত পত্রিকায় অভিযোগ উত্থাপন করে রাজিবের লিখা গুলি চাপিয়েছিল তাঁরা সেগুলী কোত্থেকে সংগ্রহ করেছিল সরকার তার কৈপিয়তও চাইলোনা। পত্রিকাগুলী কোন কোন সুত্র থেকে লিখাগুলি পেয়েছিলেন,কার কার নিকট থেকে পেয়েছিল তারও কোনো বিবরণ পত্রিকায় উল্লেখ ছিলনা। মোডিফাই বা ছবি বিকৃত করার কোন প্রযুক্তির সাহায্যে লিখা পরিবর্তন করেছিল কিনা তাও পরিক্ষা করে দেখা হয়নি।নাকি রাজিবের হুবহু লিখা ছিল তাও আজ পয্যন্ত সঠিক ভাবে জানানো হয়নি। যে তদন্ত কমিটি  মন্ত্রনালয় থেকে করা হয়েছিল এখন পয্যন্ত বিষয়টি তাঁরা পরিষ্কার করে দেশবাসিকে জানানোর প্রয়োজন মনে করেননি।তাহলে ডাকডোল পিটিয়ে, আনুষ্ঠানিক ঘোষনা দিয়ে কেন কমিটি করা হয়েছিল?
এখন প্রশ্ন হলো,যারা সাইট গুলী চালায় তাদের কি কোনো দায়িত্ব নেই? ক্ষতিকর কোনো উপাদান প্রকাশ করার আগে সেটি যাচাই-বাছাই করতে হবে। পরিচয় গোপন করে কেউ যা খুশি তাই লিখে পাঠাবে আর তা কোনো ধরনের সম্পাদনা না করেই প্রকাশ করা হবে এমন উলঙ্গ স্বাধীনতা কোনো সভ্য সমাজে আছে? এমনভাবে যারা ব্লুগ প্রকাশ করছে সরকার তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নিচ্ছে? এর চাইতেও ভয়ঙ্কর অবস্থা হচ্ছে যে, সরকার অনলাইনের অপকর্মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা যেমন নিতে পারেনি তেমনি প্রচলিত মিডিয়ার(অপ লাইন) অপকর্মের বিরুদ্ধেও কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। অনলাইনের বিষয়বস্তুর বরাত দিয়ে ইসলামের নামে অপ লাইনের পত্রিকা এবং ইলেক্ট্রোনিক মিডিয়া (আমার দেশ,দিগন্ত টি,ভি চ্যানেল)যখন ইসলাম বিদ্বেষী খবরগুলো প্রকাশ করে সরকার তার প্রচারনা বন্ধ করেনি।, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেনি বা আইনের আশ্রয়ও নিতে পারেনি। বেশ কটি পত্রিকা দিনের পর দিন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করার মতো মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করেছে কিন্তু সরকার নীরব থেকেছে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে, আইন না থাকার কারণে এসব পত্রিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যায়নি।অর্থাৎ সরকার ধর্মীয় গোষ্টি এবং নাস্তিক কাউকেই খেপাতে চায়নি।এতে কি সরকার স্বস্থিতে থাকতে পেরেছিল,না আজ অবদি পারছে?
নাস্তিক প্রচার করা কেন হল তদন্ত করে দেখা দরকার ছিল আমি মনে করি।আসলেই তাঁরা নাস্তিক কিনা। কোন নাস্তিকের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত দিয়ে কিছু লিখার অধিকার যেমন নেই,স্বঘোষিত আস্তিকদের ও  যখন তখন যাকে ইচ্ছা তাঁকে নাস্তিক  খেতাব দেয়ার অধিকারও নেই।
মত প্রকাশের স্বাধীনতার অর্থ এই নয়,কোন সম্প্রদায় সম্পর্কে যা ইচ্ছা তা বলা বা লিখা।আইন নেই বলা হয়েছিল তখন,জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কোন আইনে দাউদকে দেশ ত্যাগে বাধ্য করেছিলেন,ধর্মের অবমানার কারনে নয় কি?
আমি কিছু আইনের প্রতি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই,যে আইন গুলি আগেও ছিল বর্তমানেও আছে-বিভিন্নভাবে সময় সময় কায্যকারিতাও দেখা যায়,যেমন-- বিশেষ ক্ষমতা আইন, প্রেস এন্ড পাবলিকেশন আইন, সিআরপিসি ও সংবিধানের অন্যান্ন উল্লেখিত ধারা অনুসারে এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারতেন সরকার। কিন্তু সরকার আইনি ব্যবস্থা তেমন কার্যকর করা দরকার বলে মনে করেননি। সরকার আইসিটি এক্ট-২০০৬ (২০০৯ সালে সংশোধিত) নামক একটি আইন তৈরি করেছে। সেই আইনে এসব অপরাধের বিরুদ্ধে আইনি সহায়তা নেয়া যেত ইচ্ছা থাকলে।অবশ্য পরবর্তিতে সরকার একটা ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছেন এবং ১ জন বিচারকও নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্স নির্বাহী পরিষদে সভায় বিষয়টি উত্থাপিত হলেও তখন সরকারের আমলারা বিষয়টিতে নজর দেয়ার প্রয়োজন মনে করেননি।এমন অবস্থা বিরাজমান দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল যেন বিচ্ছিন্ন ঘটনা, কয়েক দিন পরই ঠিক হয়ে যাবে।কয়েক সচিব এমন ভাবই প্রকাশ্য দেখিয়েছেন  বলে অনেকে  মন্তব্য  করেন।আমি যতটুকু জানি ২০১৩ ইং  সালেই আইসিটি অ্যাক্টের সংশোধন করা হয়েছে এবং আইনে আমলযোগ্য ও জামিন অযোগ্য ধারা বা বিধান ও ন্যূনতম সাজার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আইনটির অপপ্রয়োগের অভিযোগ এনে ইতিমধ্যে বেশ লেখালেখি হয়েছে।প্রগতিশীল ধারার সাংবাদিকেরা আন্দোলন হুমকিও দিয়েছেন ৫৭ ধারা বাতিল করার জন্য।
আমি একটি বিষয় সবিনয় জানতে চাই সবার কাছে, এমন কোন আইন কি আছে যে আইনের অপব্যাবহার হয়না বা হচ্ছে না?প্রবির শিকদারের বেলায় ৫৭ ধারা অপপ্রয়োগের কারনে আইনটি বা ৫৭ ধারাটি বাতিল হবে কেন,মন্ত্রী মোশারফের কারনে?হাজার হাজার রাজনৈতিক নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন অপ- প্রয়োগ করা হচ্ছে  এতটি বছর তাতো বাতিল করার জন্য সোচ্ছার নন কেহই।
পত্রিকায় দেখেছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং সেখানে ডিজিটাল আই,সি,টি  আইনের ৫৭ ধারা নিয়ে বিতর্ক তৈরির চেষ্টাও করা হয়েছিল কোন কোন মহল থেকে। সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের গ্রেপ্তার-রিমান্ড ও জামিন কে উপলক্ষ করে বিতর্ক উত্থাপনের অপচেচেষ্টাও কম হয়নি।অন লাইন -অপ লাইন উভয়  সাইটে এ নিয়ে রীতিমতো তুলকালাম কান্ড হয়েছে।অন্যসব বিষয়ের মত প্রবীর শিকদারের বিষয়টিও ব্যতিক্রমি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া কিছুই নয়।তদ্রুপ নিয়মিত ভাবে বিশেষ ক্ষমতা আইনের অপপ্রয়োগ হচ্ছে, সে বিষয়টি নিয়ে এত বেশি মাতামাতি হতে দেখা যায়নি।বিতর্কটি উত্থাপন কোন পয্যায় থেকে বা কারা উত্থাপন করেছে প্রথম থেকে তাও প্রগতিশিল লিখক বুদ্ধিজীগন অনুমান করতে পারেননি।
আর একটি উদাহরন দিলে ব্যাপারটি আরো পরিষ্কার হবে আশা করি।আরো আগে কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধ মন্দিরের হামলার পেছনে ফেসবুকের একটি ছবিকে দায়ী করা হয়ে থাকে। সেই ছবিতেও ইসলামকে অবমাননা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। পরে দেখা যায় যে, ছবিটি কোনো একটি কুচক্রীমহল পরিকল্পিতভাবে একজন বৌদ্ধের নামে প্রচার করে এই হামলার ভিত্তি প্রস্তুত করেছিল। পুলিশ পরে তাকে গ্রেপ্তারও করে।সে ছবিটি মাঝে মাঝে এখনও কোন কোন পেইজে দেখা যায়।সরকার কি ব্যাবস্থা নিচ্ছে?
শাহবাগে অবস্থান থেকে শুরু করে আজ পয্যন্ত,  ব্লুগ, ব্লুগার ও অনলাইন কাজকর্ম নিয়ে ঘোলা পানিতে ষড়যন্ত্রকারিদের মাছ শিকার করা শুরু করেছেন।এক্ষেত্রে আমাদের সম্মানীত মৌলবি- মাওলানাদের ব্যাবহার করতে তাঁরা সক্ষম হয়েছেন।বর্তমানে যে সমস্ত অপকর্ম হচ্ছে সেই সমস্ত অপকর্ম ষড়যন্ত্র কারিদের কর্ম,এতে আমাদের ধর্মীয় নেতাদের কোন সম্পৃত্ততা আছে বলে আমি মনে করিনা।
উল্লেখিত প্রক্রিয়াটি যদি তখন সুচারু রুপে মীমাংশা করা হত,নাস্তিক, আস্তিক সবার বিরুদ্ধে অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহন করা হত,তাহলে আজকে আস্তিকের দোহাই দিয়ে বা জঙ্গীর দোহাই দিয়ে জামাতের নব্য জঙ্গী দানবেরা দীপনের মত  প্রকাশকের জীবন হানি করতে পারতেন না।মজার ব্যাপারটি হল স্বার্থ উদ্ধারের নিমিত্তে কাক কাকের মাংশ ভক্ষন করতেও স্বার্থান্বেষি মহল দ্বিধাবোধ করেনি।যতটুকু জানতে পেরেছি দীপনেরা পারিবারিক ভাবেই হত্যাকারীদের অনুসারি।যার অনুসারী হবে হোক্ না কেন আমি মনে করি হত্যা হত্যাই।হত্যাকারি চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা রাষ্ট্রের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
আমাদের সকলের মনে রাখা দরকার,আইনের বেষনীতে রাষ্ট্র ও সমাজকে পরিবৃত রাখা ছাড়া স্বাধীনতা উপভোগ্য হয়না।যে দেশ যত বেশি আইনি বেষ্টনিতে আবদ্ধ সেই দেশের নাগরিক ততবেশি স্বাধীন।শুধু কাগজে কলমে আইন সৃষ্টি করে রেখে দিলে কোন লাভ হবেনা।যথাযথ ভাবে আইনের প্রয়োগ্ ও করতে হবে।আইনের শাষন কায়েম করা যতক্ষন সম্ভব হবেনা ততক্ষন নাগরিক সমাজ আতংকিত থাকবেনই।
মুক্তমনা লেখক বলতে ধর্মের কটুক্তি করা কোন ক্রমেই নয়।সামাজিক বৈশম্য,রাষ্ট্রীয় অনাচার,ইত্যাদি সম্পর্কে লেখালেখি করা,যাতে সমাজ উপকৃত হয় দেশ উপকৃত হয়।তাকেই আমি মুক্তমনা বলি যে লিখকের লিখায় আধুনিকতার চোঁয়া থাকবে,সমাজ এগিয়ে যাওয়ার পথ খুজে পাবে,বিজ্ঞানের নতুন নতুন ধ্যান ধারনা জনগনকে জানাতে পারে,তাঁরাই মুক্তমনা।নিস্বার্থভাবে তাঁর জ্ঞানের ভান্ডার দেশ ও জাতির  জন্য ঢেলে দিতে কুন্টাবোধ করেন না।
কোন ক্রমেই কোন ধর্ম সম্পর্কে লিখালিখি করা মুক্তমনা হতে পারেন না।সেতো ধর্মই মানা নামানা আপনার ব্যাক্তিগত ব্যাপার হতে পারে,ধর্মকে কটুক্তি করবেন কেন,?
আমাদের এই গ্রহে ৭০০ কোটি মানুষ বাস করে,তমধ্যে ১০০ কোটি ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করে,বাদবাকি ৬০০কোটি মধ্যে সাড়ে ৫০০কোটি অন্যান্ন ধর্ম অনুসরন করে।সর্বোচ্ছ ৫/৬ লক্ষ লোক নাস্তিক হতে পারে সব ধর্ম মিলে।৪৫/৪৬ লুক্ষেরও বেশী মানুষের নিকট কোন ধর্মের মর্মবানীই এ পয্যন্ত পৌছেনি।সুতারাং স্বল্প সংখ্যক নাস্তিকের প্রচারে মহান ধর্মের চুল পরিমানের ক্ষতি হওয়ার কোন সম্ভাবনা আছে বলে আমি মনে করি না।মসুলমান কখনই হিংস্র জাতি নয়,যারা ধর্মে হিংস্রতার সংমিশ্রন ঘটাতে চায় তাঁরা ভিন্নধর্মের দালাল,ইসলামের চরম ক্ষতি করাই তাঁদের উদ্দেশ্য। অন্য ধর্মালম্বিদের নিকট পবিত্র ধর্ম ইসলামকে চরমপন্থি ধর্ম হিসেবে তুলে ধরাই তাঁদের উদ্দেশ্য।

   
    জয়বাংলা   জয়বঙ্গবন্ধু
জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা