অশুভ শক্তির অঘোষিত যুদ্ধ--মন্ত্রী নেতাদের অপরিপক্ষ বচন,বুদ্ধিজীবিদের সীমাহীন দুর্গতি।


  অশুভ শক্তির অঘোষিত যুদ্ধ, মন্ত্রী-নেতাদের সীমাহীন বালখিল্যতা ---

_____________________________________________


  মাননীয় যোগাযোগ মন্ত্রী জনাব ওবায়দুল কাদের সাহেব এবার সরকারে যোগদান করার পর কট্রর কিছু সত্য কথা প্রায় বলতে শুনা যায়।শুধু কট্ররতা কথায় নয় কাজেও তাঁর সাক্ষর প্রতিনিয়ত রেখে যাচ্ছেন।সরকারের নীতি নির্ধারকদের মধ্যে আড়ালে আবড়ালে নেতিবাচক সমালোচনাও করে থাকেন অনেকে যোগাযোগ মন্ত্রীর।জনগনের মাঝে কলকাতার বাংলা ছবির প্রধান চরিত্রের  নামকরনে পাটাকেষ্ট হিসেবেও ডাকা শুরু করে দিয়েছেন।সরকারের উচ্চ মহল থেকে যদিও নিন্দার নিম্নমুখি সমালোচনা শুনা যায়, জনগনের উচ্চারিত শব্দটি একান্তই অন্তরের অন্তস্থল থেকে উৎসারিত ভালবাসা মিশ্রিত  আবেগের বহি:প্রকাশ এতে কোন সন্দেহ নেই।
 লক্ষ করলে দেখা যায়,ওবায়দুল কাদের ভাই নীজে কিন্তু কম কথা বলেন না,তাঁর কথার যৌক্তিকতা ও মাধুয্যতা,কথা বলার ঢংয়ের বৈশিষ্ঠতার কারনে মানুষের শুনতে ভাল লাগে বিধায় চরম শত্রুরাও সমালোচনা করা থেকে বিরত থাকে,বরঞ্চ আগ্রহভরে  তাঁর বক্তৃতা, বিবৃতি,সাক্ষাৎকার শুনার জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়।মাত্র কয়েক দিন আগে কোন একটা অন-লাইন পত্রিকার ভার্সনে এক কলাম লিখকের কলাম পড়তে গিয়ে(স্মরনে আনতে পারছিনা) আমি হতবাক হয়ে গেলাম।তিনি তাঁর লিখায় মাননীয় প্রধান মন্ত্রীকে ইনিয়ে বিনিয়ে বলতে চেয়েছেন,প্রধান মন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে বড় পদটা দখল করার সম্ভাবনা নাকি যোগাযোগ মন্ত্রীর রয়েছে!!

   বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বর্তমানে বাংলাদেশের সব চাইতে বড় এবং গনতান্ত্রিক সংগঠন।গনতন্ত্র চর্চা করার অভ্যেশ বলি আর মানষিকতাই বলি কমবেশী যা হয় তা আওয়ামী লীগেই হয়।যোগ্যতার মাপকাঠিতে যদি বড় পদ দখল করার মত ক্যারিয়ার হয়েই থাকে তবে এতেতো সবার খুশি হওয়ার কথা,তেলবাজি করার কথা নয়।তোমার পত্রিকা দেখার সুযোগ কি মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর হবে? শত শত জাতীয় পত্রিকা থাকতে, তোমার অখ্যাত অন-লাইন পত্রিকা পড়তে যাবেন কেন প্রধানমন্ত্রী? না লিখার মসল্লার অভাবে লিখা,পত্রিকার পাতা পূর্ন করার জন্য চাপানো?যতসব অথর্বের দল---

বিদেশি হত্যা, ব্লগার হত্যা, প্রকাশক হত্যা বা পুলিশ হত্যা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়,ইতিমধ্যে প্রমানীত সত্য হিসেবে জনগনের মধ্যে ঐক্যমত্যতা এসেছে,এই সমস্ত সব কিছুই একই চক্রের কাজ,একজায়গা থেকে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে।সাম্প্রতিককালের এসব হত্যাকান্ডকে যদি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে অভিহিত করা হয়, তহালে হত্যা ষড়যন্ত্রের এসব ঘটনার গভীরতা ও গুরুত্বকে খাটো করা হয়না?প্রকারান্তরে অস্বীকারের সামিল নয় কি?আড়াল করার চেষ্টা করা হলে পরিকল্পিত হন্তারকদের খোঁজে বের করে আইনের আওতায় আনায়ন  করার চেষ্টা কমে যায়না প্রশাসনের ?প্রকারান্তরে হত্যাকারিরা আড়ালে চলে যাওয়ার সুযোগ নিবেনা?আমাদের সরকারের   দায়িত্বশীল মন্ত্রী-নেতা বিশেষ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেও একাধিকবার ওই সব হত্যাকান্ডকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন। এতে জনমনে আতংক কি তিনি কমাতে পেরেছেন? বরঞ্চ জনগন বিরুপ মন্তব্য করতেও পিছপা হয়নি।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়ের ভাবমুর্তি কমেছে না বেড়েছে?নিশ্চয়ই কমেছে।সরকারের মন্ত্রীর ভাবমুর্তি কমার অর্থই হল সরকারের ভাবমুর্তি কমা,সরকারের ভাবমুর্তি কমার শেষ পরিনতি কি দেশরত্মের ভাবমুর্তি কমে যাওয়া নয় ?কোন মন্ত্রী নেতা এক চিমটি সুনাম কি সঞ্চয় করে দিয়েছেন সরকারের ঝুড়িতে?সঞ্চয় করে খোয়ালে আপত্তির কোন ব্যাপার ছিলনা,প্রধানমন্ত্রীর সঞ্চিত গৌরব আপনার কথায় ও কাজে ভূলুন্ঠিত করবেন কেন?কোন অধিকারে? অধিকার শুধু একটা,আপনি মনে প্রানে আওয়ামী লীগকে ভালবাসেন,বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ভালবাসেন,তবে বাক্যব্যায়ে মিতব্যায়ি হয়ে সরকারের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন থাকায় সহযোগিতা করুন?আপনার কথায় আর কাজে জনগনের বিরক্তির ভাব আসে তাও কি আপনি বুঝেন না? যদি নাই বোঝেন তবে আপনি নেতা হলেন কি করে? তেলবাজি করে?আমি মনে করি ওবায়দুল কাদের ভাই এই কথাটিই আকারে ইঙ্গিতে বোঝাতে চান সরকারের ঘনিষ্ট নেতা মন্ত্রীদের। জনগনের মনের একান্ত নিবিড় পয্যবেক্ষনের ফলাফল  তুলে ধরার চেষ্টাই করেন কাদের ভাই।
  বস্তুত ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর পরই বিডিআর হত্যাকান্ডের নৃশংস ও ভয়াবহতার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারকে জানিয়ে দেয়া হয়েছিল যুদ্ধ আমরা শুরু করলাম,শান্তি তোমাদের দেবনা। ২০১৩-১৪ইং এ এসে সেই যুদ্ধ তুঙ্গে ওঠে এবং রক্তাক্ত গোলাবারুদ,সাথে নতুন সং্যোজন পেট্রোল বোমা দিয়ে জ্যান্ত মানুষকে পোঁড়ে কয়লায় রুপান্তরীত করন। যা আগে কখনও বাংলার মানুষের অভিজ্ঞতায় ছিলনা উপলব্দিতেও ছিলনা। এখন পর্যন্ত থেমে থেমে সেই যুদ্ধই চলছে অঘোষিত ভাবে।
বাঙ্গালী জাতির সবচেয়ে বড় চাওয়া রাজাকারের বিচার করে,দেশকে, জাতিকে পংকিল মুক্ত করা।সেই লক্ষপুরনে সরকার বিচার অনুষ্ঠানের ব্যাবস্থা করে
৭১-এর খুনিদের গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। সে সময়ই সরকার ষড়যন্ত্রকারি মহলের যুদ্ধকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছিল।এখনও প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অঘোষিত যুদ্ধের সময়োচিত জবাব দিয়ে চলেছেন অত্যান্ত ধীরস্থির চিত্তে। এই অঘোষিত যুদ্ধের মুল কারন আমাদের সাথে বিচরন করেও একটি মহল সম্যক ভাবে বুঝার চেষ্টা ৭২--৭৫ এও করেননি এখনও করেননা।'৭৫ এর পর  জিয়া, এরশাদ, খালেদা এবং বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতির ফসল একচেটিয়া মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি নিধন অন্য পক্ষে রাজাকারের সন্তানদের প্রসাশনের সর্বস্তরে নিয়োগ দিয়ে এমন অবস্থার সৃষ্টি করে রেখেছেন,যাতে কোন ভাল কাজ  সহজে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তি ক্ষমতায় এলেও  করতে না পারে। তাঁর পাকাপোক্ত ব্যাবস্থা করে রেখে গেছেন,বিশেষ করে পুলিশ বাহিনীতে, সচিবালয়ে।   তাদের গড়া ২১ বছরের প্রশাসন দিয়ে  বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে কাজ করতে হচ্ছে।স্বাধীনতার  মূল চেতনাকে পাল্টে দেওয়ার পটভূমিতে বাংলাদেশে কখনও  '৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে, ফাঁসি দেওয়া হবে-এটা কেউকি কল্পনা করতে পেরেছিলেন? অথচ আজকের বাস্তবতা হলো- যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে,ফাঁসিও কায্যকর হচ্ছে,নতুন মামলাও প্রতিনিয়ত যোগ হচ্ছে, অভিযোগ গঠিত হচ্ছে নিয়মিত। সরকারের পক্ষে ইচ্ছা করলেও পিছিয়ে আসার কোন সুযোগ নেই।সামান্য বিলম্বে অতি চেতনাধারিদের তর সয়না,নানাহ ব্যাঙ্গ বিদ্রুপে পরিস্থিতি ঘোলাটে করে দেয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়ে যান।কেউ বলেন সমঝোতা হয়ে গেছে,তাই জামায়াত আন্দোলন থেকে পিছু হঠে গেছে,কেউ বলেন সরকারের সদিচ্ছা নেই, তড়িৎ বিচার কাজ শেষ করার।একটা ব্যাপার বোঝেন না জামায়াতের চোরাগুপ্তা হামলা করা ছাড়া নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের শক্তি নি:শেষ হয়ে গেছে, বি,এন,পির সংগঠিত শক্তি নির্বাচনে অংশগ্রহন না করার   কারনে ছত্রভঙ্গ হয়ে গেছে।'৭৫ ইংরেজীতেও  পাকিস্থানের গড়া প্রসাশন নিয়ে জাতির জনককে এই বিড়ম্বনার জ্বালা সহ্য করে দেশ গড়ার কাজ করতে হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের অতি বিপ্লবি চেতনাধারিদের সম্মুখ ষড়যন্ত্রের ফসল ১৫ই আগষ্ট।আজ সেই ভুমিকায় সরাসরি তাঁরা নিজেরাই,পেছনে ৭৫ এ জড়ো হওয়া সমুদয় শক্তি।
  বক্তব্য যারা অহরহ দিচ্ছেন, একেবারে সহজ সরল পানিরমত বিশ্লেষণ করছেন তারা সবাই কিন্তু দেশপ্রেমিক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মনে প্রাণে ধারণ করেন,সন্দেহের কোন অবকাশ আছে বলে আমি মনে করিনা।।দেশের  সংকটকালে ও অতিশয় সংবেদনশীল গুরুত্বপূর্ণ  মুহূর্তে,  প্রকাশ্য লিখিত বক্তব্যকে স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক জঙ্গি অপশক্তির হাতকেই বেশি শক্তিশালী করছে প্রকারান্তরে। এই সহজ বিশ্লেষণটা তাদের মাথায় আছে কিনা বুঝিনা।সময়জ্ঞান খরছ না করে সুযোগ সন্ধানিদের মত ''জোঁক বুঝে যেনতেন ভাবে কলম চালিয়ে'' হাত্তালি নেয়ার সস্তা মানসিকতারই  বহি:প্রকাশ বলে আমি মনে করি।
২১বছরের রেখে যাওয়া আর্থ-সামাজিক ও প্রশাসনিক কাঠামোর ওপর দাঁড়িয়ে  সরকার পরিচালনায় দেশনেত্রী যে বিচক্ষনতার পরিচয় ইতিমধ্যে দেশবাসি সহ বিশ্ব বাসির নিকট তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন, তাঁর প্রেক্ষিত তুলে না ধরে অযাচিৎ, অপ্রাসঙ্গিক বিষয়াদির অবতারনা করে সরকারকে বিভ্রান্ত করার মানষিকতা পোষন করা উচিৎ হচ্ছে বলে আমি মনে করিনা।'৭৫ইং সালেও ঠিক এই পরিস্থিতির অবতারনা করে বিরুদ্ধবাদিদের হাতকে শক্তিশালী করার পর, ষড়যন্ত্রকারিরা তাঁদের কায্যসিদ্ধ করে অতিবিপ্লবী চেতনাধারীদের পিছনের দিকে লাথি দিয়ে পেলে দিতে চোখের দিকেও তাকায়নি।
  সরকার মৌলিক কোন নীতির প্রশ্নে আপস করেছে কিনা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি কোন নীতি আদর্শ বাস্তবায়ন করার পদক্ষেপ নিচ্ছে কিনা, সেই দিকেই নজর রাখা কর্তব্য সবার। তাছাড়া দেশের এহেন সংবেদনশীল সময়ে সমাজের যারা বুদ্ধিদীপ্ত সচেতন মানুষ তাদেরই বেশি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হয়। আমার কেন জানি ধারণা দিন দিন বদ্ধমূল হচ্ছে, এই দায়িত্বশীলতার পরিচয় আমাদের মধ্যে অনেকেই দেখাতে ব্যর্থ হচ্ছেন।আন্তরিকতার অভাবের কারনে মুখে বেফাঁস কথাবার্তা বের হয়ে যাচ্ছে।অযাচিৎ মন্তব্য করতে দ্বিধা করছেন না।

সরকার ও ক্ষমতাসীন দলে অনেক ভুল ভ্রান্তি ত্রুটি বিচ্যুতি রয়েছে, থাকাটাই স্বাভাবিক,ভুল হয়না শয়তানের,মানবিক গুনসম্পন্ন প্রত্যেক মানুষের দোষ ত্রুটি থাকে।তাই বলে তিলকে তাল বানাতে যাব কেন,আমি যদি আদর্শের অনুসারী হই তালকে তিল করাই হবে আমার মুল কাজ।আমরাতো সবাই জানি,নেত্রী নীজেরও সম্মক ধারনায় আছে, দলের মধ্যে আদর্শ বিচ্যুত সুযোগ সন্ধানি রয়েছে,  সরকারের প্রশাসন সহ সর্বক্ষেত্রেই আছে তাঁদের অনুসারী।কতটুকু সত্য জানিনা,প্রধান বিচারপতি এস,কে সিনহা সাহেব নাকি তাঁদেরই আদর্শের ধারক বাহক।তাঁরপরেও তাঁদের দিয়েই সরকার তাঁর মৌলিক রীতিনীতি বাস্তবায়ন করতে হচ্ছে,যেখানে শতভাগ হওয়ার আশা পোষন করা হচ্ছে, সেখানে ধীরতার কারনে হয়তো কিছু কম বা বেশী হয়ে যাচ্ছে, তবে হচ্ছে বাদতো যাচ্ছেনা কিছুই।
 শেখ হাসিনার সরকার ও দলের মৌলিক নীতির উল্লেখযোগ্য কোন পরিবর্তন এই পয্যন্ত হয়নি নির্ধিদ্বায় বলা যায়।অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে, বর্তমান বিশ্ব রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের বিবেচনায় হয়তোবা আদালতের সুস্পষ্ট নির্দেশনায় ধর্ম নিরপেক্ষতা বহাল করেও ইসলামকে রাষ্ট্র ধর্ম করতে সরকার বাধ্য হয়েছে।অন্যভাবে চিন্তা করলে এমনিতেই বর্তমানে শতকরা নব্বই ভাগ ইসলামধর্মের অনুসারির দেশে ধর্ম নিয়ে নাড়াচাড়া করাও কঠিন একটা ব্যাপার।তাছাড়া প্রচারতো আছেই ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা।অথছ খোলাফায়ে রাশেদীনের যুগেও ধর্মকে রাষ্ট্র ধর্ম করে বিতর্কিত করা থেকে বিরত ছিলেন।তখনকার সময়ে তাঁরা বুঝতে পেরেছিলেন ধর্ম ধারন করার বিষয়,ব্যাবহার করার বিষয় নহে।দু:খ জনক হলেও সত্যযে বর্তমানের শিক্ষিত জ্ঞানপাপিরাই ধর্মকে যত্রতত্র ব্যাবহার করে শান্তি ও সাম্যের ধর্ম ইসলামকে জঙ্গিপনার উৎস ধর্ম হিসেবে চিত্রায়িত করার জন্য  উঠে পড়ে লেগেছ।বিশ্বব্যাপি সকল ধর্মেই কিছু লোকের মধ্যে উগ্রতা রয়েছে বদনাম যা হচ্ছে তা শান্তির ধর্ম ইসলামের।
সাম্প্রতিককালে দেশে বেশ কয়েকজন ব্লগার, প্রকাশক,পুলিশ নির্মমভাবে আহত-নিহত হয়েছেন। তাদের চাপাতির আঘাতে ও গুলি করে নৃশংসভাবে দিনদুপুরে হত্যা ও আহত করা হয়েছে। সামান্যতম বিবেকবান মানুষও এই হত্যাকান্ড মেনে নিতে পারে না। সার্বিক পরিস্থিতি লক্ষ্য করলেই বোঝা যায় সরকার হাত গুটিয়ে বসে নেই। '৭২--৭৫ এর  অভিজ্ঞতা থেকেই জানি কোন মহলের পরিকল্পিত গুপ্তহত্যা প্রতিরোধ করা খুব সহজ নয়।
 '৭১-এর বাঙালি মুক্তিযোদ্ধারা বুঝে নিয়েছিল সম্মুখযুদ্ধে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীকে পরাস্ত করা যাবে না। তাই তাদের কাবু করতে হলে একমাত্র পথ গেরিলা যুদ্ধ। এ ব্যাপারে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের উদাহরণ রয়েছে যারা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বর্তমানের অশুভ শক্তির গুপ্ত আক্রমণ বা গুপ্ত হত্যা- মহান মুক্তি যুদ্ধের অনুস্মরনে গেরিলাযুদ্ধের আদর্শের বিকৃত রুপ ছাড়া আর কিছুই নয়। গেরিলাযুদ্ধ ছিল একটি দেশের স্বাধীনতাপ্রিয় অধিকাংশ মানুষের রনকৌশল। এখন দেশের অশুভ সাম্প্রদায়িক জঙ্গি শক্তি সেই যুদ্ধ কৌশলকেই গণবিরোধী কাজে ব্যবহার করে,মানুষের জান মালের ব্যাপক ক্ষতি করার চেষ্টা করছে অবিরত।
 জনগণকে যদি গুপ্ত অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে জাগিয়ে তোলা যায় তাহলেই ঐ শক্তি হাত গুটিয়ে নিতে বাধ্য হবে। মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর দেশে দেশে উগ্র জঙ্গি সাম্প্রদায়িক শক্তির যে ভয়াবহ উত্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে অবিলম্বে  বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে সংগঠিত করে প্রতিরুধের দুর্ঘ গড়ে তোলার পদক্ষেপ নেয়া জরুরী প্রয়োজন।জনগনকে সচেতন করে তুলে, তাদের জাগিয়ে তুলে প্রতিরোধ গড়ে তোলা না যায় তাহলে নিয়মিত বাহিনীর পক্ষে সম্ভব হবে না জঙ্গি তৎপরতা ও তার প্রসার বন্ধ করা। '৭১-এ বাঙালির ঐতিহাসিক জাগরণ হয়েছিল বলেই সহজ হয়েছিল গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে পাকি-হানাদার বাহিনীকে পর্যুদস্ত করে পরাজিত করা।আজকে যে শক্তি গুপ্তহত্যার পথ বেছে নিয়েছে তারা জনসমর্থনের অভাবে একদিন পরাজিত হবেই। কারণ দেশের মানুষ শান্তিপ্রিয়। তারা অসাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাসী এবং গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার প্রতি আস্থাশীল। সাম্প্রদায়িক, মৌলবাদী, জঙ্গি,জামাত শিবির,বিএনপির সম্মিলিত শক্তি--জনগনের  শক্তির কাছে কিছুই না। অশুভ শক্তিকে পরাস্ত করতে নিয়মিত বাহিনীর ওপর নির্ভর না করে জনগণকে উজ্জীবিত ও প্রতিরোধের জন্যে সংগঠিত করতে হবে।
 সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, সাম্প্রতিককালের গুপ্তহত্যাগুলো সবই বিচ্ছিন্ন ঘটনা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এসব ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা না বলে সেদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন- এসব পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
 মন্ত্রী নেতারা যে সমস্ত কথা বলে মানুষের উপহাসের পাত্র হলেন,প্রধান মন্ত্রীর সোজা চাপ্টা ব্যাখ্যা মানুষের প্রশংসাই কুড়িয়েছে।এই সমস্ত বিভ্রান্তি মুলক কথা নেতাদের বলা থেকে বিরত থাকা উচিৎ,নেত্রী চান একরকম আমাদের সম্মানিত নেতারা নেত্রী বলার আগেই  সাংবাদিক ডেকে বাহাদুরি করতে গিয়ে সরকারের ভাবমুর্তি নষ্ট করার প্রয়াস চালান নৈমত্তিক।
 বিদেশি একটি মহল এবং দেশীয় কিছু মানুষ প্রমাণ করতে চাইছে  আইএস বা আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের অস্তিত্ব রয়েছে আমাদের সোনার বাংলায়।তাদের উদ্দেশ্য সোনার বাংলাকে শ্মসানে রুপান্তরীত করে জনগনকে দাসে পরিনত করা।এই কারনেই বিশ্বমোড়ল দেশ আমাদের স্বাধীনতার শত্রু আমেরীকা চায় সরকারের মুখ থেকেও এ কথাটা স্বীকার করাতে ,আই,এস জঙ্গিগোষ্টি --সংগঠিত হত্যা কান্ড গুলী ঘটিয়েছে,তাহলে সহজেই আফগানিস্থান বানানো যাবে  এই দেশকে। বাংলাদেশে আইএস, আল-কায়েদা বা আন্তর্জাতিক কোন জঙ্গি সংগঠনের অস্তিত্ব নেই,নির্দিধায় বলা যায়। কারণ- জামায়াত-শিবির, জেএমবি ও দেশীয় উগ্র মৌলবাদী শক্তির অবস্থান থাকতে বিদেশি জঙ্গি শক্তির শাখা প্রসারের প্রয়োজন নেই। তারাই ঐ সব বিদেশি জঙ্গি শক্তির     হিংসাত্মক তৎপরতা চালানোর বিশ্বস্ততার সংগেই করতে সক্ষম।এছাড়া বিদেশি মদত ও অর্থায়নের সুযোগতো রয়েছেই,তাঁদের রয়েছে নানাবিদ ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান। সরকার ও ক্ষমতাসীন দল ও জোটকে দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে  ধর্ম, গণতন্ত্র, প্রগতি ও উন্নয়নবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নামতে হবে। বিলম্ব বা গাফিলতি করা হবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তির নীজেই বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করার সামিল।
 গুপ্তহত্যা, নাশকতা ও অশুভ তৎপরতা নির্মুলে সরকারের পাশাপাশি,সকল সামাজিক প্রতিষ্ঠান,বুদ্ধিজীবি,লেখক সাংবাদিক,সাহিত্যিক সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।কোন অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তির মধ্যে বিবেদ করা চলবেনা,লৌহ কঠিন মনোবলের কাছে ধরাশায়ী হতে বাধ্য হবে সকল অশুভ শক্তি,তাঁদের প্রেতাত্মরা।



        " জয়বাংলা      জয়বঙ্গবন্ধু"
        " জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা"  

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা