অরাজকতা, নাশকতা,হত্যা ইত্যাদিতে সরাসরি জড়িত জামায়াত,খালেদা জিয়ার গোপন চক বাস্তবায়নের নব্য বাংলাদেশি আই,এস
আই,এসের নামে সক্রিয় জামায়াত শিবির,নাটের গুরু খালেদা জিয়া।
==============================
=====
আন্দোলনে ব্যার্থতার নিদর্শন ঘোঁচাতে, পেট্রোল বোমার আগুনে জ্যান্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করার স্মৃতি জনমন থেকে মূছে দিতে- বি,এন,পি নেত্রী বিদেশে অবস্থান করে দেশের অভ্যন্তরে গোলযোগ সৃষ্টি করে নতুন ধ্যানের জগতে প্রবেশ করাতে চান জনগনকে।তাই দলের ভিতরে বাইরে প্রচন্ড চাপ থাকা শর্তেও খালেদা জিয়া জামায়াতের সঙ্গত্যাগের দাবীকে পাশ কাটিয়ে সরকার পতনের নিজস্ব চক অনুযায়ী একের পর এক ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করে চলেছেন।তিনি ভাল করেই জানেন তাঁর আঁকা চক জামায়াত শিবিরের প্রশিক্ষিত কর্মি বাহিনী ছাড়া বাস্তবায়ন করা সম্ভব নহে।গনতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামের কঠিন পথ পাড়ি দেয়ার অভিজ্ঞতা দলটির নেই। যৌক্তিক ভাবনা থেকেই খালেদা জিয়া অত্যান্ত ঝুকিপুর্ন পথ বেচে নিয়েছেন।ইতি মধ্যে গোয়েন্দা সংস্থার নিকট অনেক তথ্য জমা হতে শুরু করেছে।সম্পুর্ন প্রকাশ না হলেও আংশিক প্রকাশে এমনি চিন্তার উদ্রেক করছে জনমনে।গোয়েন্দা সংস্থা জানতে পেরেছেন দেশে খুন বা হামলার পর টুইট ও ব্লগিংয়ের সঙ্গে জড়িত জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীরা। বড় অংকের অর্থব্যয়ে বিদেশে সাইট ভাড়া নিয়ে এরা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কাল্পনিক নাম প্রচার করছে। দলটির সদস্যরা নিজেদের দায় কথিত আইএসের কাঁধে চাপিয়ে ক্ষমতাসীনদের বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশে আইএসের উপস্থিতি পশ্চিমা বিশ্বের কাছে নিশ্চিতের কূটকৌশল বাস্তবায়ন করে চলছে। কিন্তু আইনশৃংখলা বাহিনী এদের গ্রেফতার না করায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর অনুসন্ধানে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
গত বছর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শফিউল ইসলাম হত্যার পর থেকে দায় স্বীকারের সংস্কৃতি চালু হয়েছে। ২৮ সেপ্টেম্বর গুলশানে ইতালির নাগরিক খুনের পর দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয়া হয়। আশুলিয়ায় চেকপোস্টে পুলিশ খুন পর্যন্ত প্রায় প্রতিটি ঘটনায় আইএস বা আনসার আল ইসলামের নামে ঘটনার দায় স্বীকার করা হয়েছে। বিদেশে একাধিক ওয়েবসাইটে এগুলো প্রচারও করা হচ্ছে। প্রতিটি ঘটনার পর বাংলাদেশ থেকে ব্লগ বা টুইটের মাধ্যমে বার্তাগুলো পাঠানো হয়েছে। এর সঙ্গে বাংলাদেশের কে বা কারা জড়িত, কোথায় বসে বার্তাগুলো পাঠানো হয়েছে এ সংক্রান্ত প্রায় সব তথ্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর হাতে পৌঁছেছে। খুব শিগগিরই এদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।
এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি বলেন, দেশে আইএসের কোনো অস্তিত্ব নেই। খুন বা হামলার পর আইএসের দায় স্বীকারের পেছনে জামায়াত-শিবির ও তাদের অপ্রকাশ্য শক্তি কাজ করছে। আইএসের নামে দায় স্বীকারের বার্তা যারা সামাজিক মাধ্যমে আপলোড করছে তাদের আইনের আওতায় আনতে একাধিক টিম কাজ করছে। দ্রুত তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সাইবার নিরাপত্তা প্রকল্পের ফোকাল পয়েন্ট ও সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা বলেন, সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীরা নিজেদের আইএস বা নিষিদ্ধ সংগঠনের পরিচয় দিয়ে এ ধরনের বার্তা সামাজিক মাধ্যমে আপলোড করে। এসব টুইট বার্তা আপলোড নিয়ে আমরা কাজ করছি। সময় হলেই এ বিষয়ে অগ্রগতি জানা যাবে।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, আপলোড করা টুইটবার্তাগুলো তাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো তদন্তের সহায়ক হিসেবে কাজ করছে। আগামীতে এ ধরনের তথ্য তারা প্রয়োজনে অপরাধের প্রমাণ হিসেবে দাঁড় করাবে। প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে তারা নিশ্চিত হয়েছে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বসে খবরগুলো প্রচার করে। বিদেশের ভাড়াটে ওয়েবসাইটে প্রচারের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য আদান-প্রদান করা হয়েছে। কথিত আইএসের নাম ব্যবহারকে তারা কৌশল হিসেবে নিয়েছে।
ঢাকায় ইতালি নাগরিক সিজারি তাভেল্লা হত্যার দশ মিনিট পরই গুলশান, টঙ্গী ও উত্তরা এলাকায় তিন ব্যক্তি ব্লগিং ও টুইট করে। এ এলাকায় অবস্থান করে টুইট করা তিনজনের মধ্যে দুজনের প্রকৃত নাম জানা গেছে। এরা হলেন আলাউদ্দিন ও নাঈম। তাদের আরেক সহযোগী জিহাদী জন নামে নিজেকে পরিচয় দিয়েছেন।
একই চক্রের সদস্যরা রংপুরে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি হত্যার পরই টুইট বার্তা আপলোড করে। এরা বেশ কয়েকটি ফেসবুক আইডি খুলে কথিত আইএস দুই বিদেশী নাগরিককে হত্যা করে বলে দায় স্বীকার করে। আর একে প্রকৃত খুনিদের আড়াল করার কৌশল গ্রহণ করে এ চক্রের সদস্যরা। জানা গেছে, টুইটবার্তার পর প্রযুক্তিগত অনুসন্ধান চালাচ্ছে আইনশৃংখলা বাহিনী। এর মাধ্যমে তারা অনেকদূর এগিয়েছে। যে কোনো সময় অপরাধীদের জালে বন্দি করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে।
আইনশৃংখলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, দুই বিদেশী নাগরিক হত্যার দশ মিনিট পর টুইট করা হলেও ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যাকাণ্ডের প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর টুইট করা হয়েছে। খুনি চক্রের সদস্যরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টুইট, ফেসবুক ও ব্লগিং করে। গোয়েন্দারা টুইটবার্তার একাধিক স্থান শনাক্ত করেছেন। এর মধ্যে চট্টগ্রামের হাটহাজারী, ঢাকার ওয়ারী ও যাত্রাবাড়ী। এসব স্থান থেকে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে খুনি চক্রের সদস্যরা আনসার আল ইসলামের নামে টুইটবার্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করে। এ ঘটনাও আপলোডের কিছুক্ষণ পরই ব্যবহার করা আইডিগুলো নিষ্ক্রিয় করে দেয় চক্রের সদস্যরা।
এমনকি আশুলিয়ায় পুলিশ হত্যার দায় স্বীকার করেছে আইএস। এমন দাবি করেছে জঙ্গি সংগঠনগুলোর ওপর অনলাইনে নজরদারি করা মার্কিন সংগঠন সাইট (এসআইটিই) ইন্টেলিজেন্স গ্র“প। এর নিজস্ব ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে শুধু একটি লাইন লেখা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘আইএস ক্লেইমস অ্যাটাক অন পুলিশ চেকপয়েন্ট ইন বাংলাদেশী ক্যাপিটাল’।
হোসনি দালানে বোমা হামলার পরপরই ছয়টি সাইটে টুইটবার্তা আপলোড হয়। সাইটগুলো হচ্ছে- কোরআনের আলো সংসদে জ্বালো, সত্যের পথের সৈনিক, জেরুজালেম, আনসার আল ইসলাম, আইএস ও মুজাহিদিন। এসব সাইটে টুইটবার্তাগুলো আপলোড করার কিছুক্ষণ পরই সবগুলো সাইট নিষ্ক্রিয় করে দেয় চক্রের সদস্যরা। এর সঙ্গে জড়িত দু’জনকে শনাক্ত করেছে গোয়েন্দা সংস্থা। তারা হলেন মুসা ইবনে উমায়ের ও আবদুল্লাহ আল নোমান। টুইটবার্তা আপলোডের সময় তারা চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে অবস্থান করছিলেন। প্রযুক্তিগত তদন্ত ও অনুসন্ধানে গোয়েন্দারা এসব তথ্য পেয়েছেন। কিন্তু শনাক্ত করা গেলেও তাদের এখনও আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি।
এর আগে সিলেটে ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে। একাধিক টুইটবার্তায় আনসার বাংলা-৮ নামের এক আইডি থেকে এ হামলার দায় স্বীকার করে উল্লাস প্রকাশ করা হয়। তাদের অপারেশন সফল হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
গোয়েন্দারা বলছেন, কথিত আইএস বা আনসার আল ইসলামের নামে টুইটকারীরা একই গোষ্ঠীর সদস্য। তারা ভাগ হয়ে কাজ করছে। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার শেখ নাজমুল আলম একাদিক পত্রিকাকে বলেন, সবাইকেই আইনের আওতায় আনা হবে। অপরাধ করে কেউ পার পাবে না। সামাজিক মাধ্যমে টুইট করে যারা ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা করেছে তাদের অনেককেই শনাক্ত করা গেছে।(সুত্র:-যু
গান্তর,ভোরের কাগজ,বাংলাদেশ প্রতিদিন)
আমরা জানি হিটলারের দলের নাম ছিল ন্যাশানালিষ্ট পার্টি।তাঁর বিশ্বস্ত সহচর এবং সরকারের প্রভাবশালি মন্ত্রী ছিলেন গোয়েবেলস।হিটলারের ধ্যান জ্ঞান ছিল বিশ্বজয় করে শাষন করা।তাঁর সকল কর্মকে নির্বিত্তে সহায়তা দিয়ে যেতেন গোয়েবেলস।যতক্ষন তাঁর মিথ্যা প্রচারনা মানুষের মনে সত্যে রুপান্তর করে বিশ্বাস জমাতে পারতেন না ততক্ষন ঐ মিথ্যাকে চর্বিত চর্বন করে প্রচার করতেই থাকতেন।বাংলাদেশের ন্যাশানালিষ্ট পার্টি তদ্রুপ ফ্যাসিবাদি মনোভাবাপন্ন দল।আদর্শ উদ্দের্শহীন হীন জিয়ার রেখে যাওয়া ১৯দফাই সম্বল।বিভিন্ন উগ্র জঙ্গিবাদি সংগঠনের সহযোগিতায় ৭ই নভেম্বর তথাকথিত জাসদের গনবাহিনী,সিরাজ শিকদার,আবদুল হক,তোয়াহাদের নিষিদ্ধ ঘোষিত নাস্তিক কমিউনিষ্ট পার্টির সসস্ত্র ক্যাডারদের প্রতি বিপ্লবের মিথ্যা প্রচারনায় মুক্তিযুদ্ধা নিধনের ব্লুপ্রিন্ট কায্যকরের মাধ্যমে দলটির প্রতিষ্ঠাতা মেজর জিয়া রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে বাংলাদেশের রাজনীতিতে অভিষেক ঘটান।
আজ মেজর জিয়ার অংকিত পথে খালেদা জিয়া হাঁটছেন।একটি মাত্র ব্যতিক্রম পরিলক্ষিত হয় ৭২--৭৫ এ অপ-লাইনের রাজনৈতিক দল ছিল সামাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) বর্তমানে বাংলাদেশ ন্যাশানালিষ্ট পার্টি।তখন কমিনিষ্টেরা ছিল শক্তিশালী বর্তমানের নিষিদ্ধ ঘোষিত শক্তিহীন ঐ দলগুলির অবশিষ্টাংশ।তখন ছিল সসস্ত্র রাজাকার, আলবদর,বর্তমানে তাঁরাই ২১ বছরে শক্তি সঞ্চিতকরে জামায়াত শিবির।নতুন করে যুক্ত হয়েছে ভারতের নিষিদ্ধ ঘোষিত স্বাধীনতাকামি বিচ্ছিন্নতাবাদি দল অনুপ চেটিয়ার জঙ্গী বাহিনী এবং বার্মার এল,টি, টি আই এর জঙ্গীরা।যাদেরকে ২১ বছর বাংলাদেশের ভুখন্ড ব্যাবহারের সুযোগ দিয়ে ভারত ও বার্মায় অস্থির পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রেখেছিল সামরিক সরকার সমুহ।বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পর একের পর এক জঙ্গী ঘাঁটি উচ্ছেদ করে জঙ্গী দমনের আন্তজাতিক সনদের প্রতি সরকারের বাস্তব সমর্থনের নজির স্থাপন করে।সংগত কারনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি জঙ্গী সংগঠন সমুহের ক্রোধ দ্বিগুন হয়ে প্রতিশোধ স্পৃহার অন্তজ্বালায় জ্বলতে থাকে।
মানবতা বিরুধী অপরাধের কারনে জামায়াতের শীর্ষ নেতারা অনেকেই ফাঁসির দড়িতে ঝুলে পরপারে চলে গেছেন, বাদবাকিরাও ঝুলার অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন।এমতবস্তায় দলটি সরকারের আনুষ্ঠানিক ঘোষনা ছাড়াই হাইকোর্টের একটি রুলের কারনে রাজনীতি থেকে বিদায়ের ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছেন।
৭২-৭৫এ যে সমস্ত কারনে অতিবাম-অতিডানের মিত্রতার সংমিশ্রনে জাতির জনককে প্রান দিতে হয়েছিল অবস্থার বিবেচনায় বর্তমানে ঠিক একই কারনে সকল জঙ্গীদের সংমিশ্রন ঘটেছে বলে আমি মনে করি।তবে আশার কথা হচ্ছে ৭২--৭৫ এ মিডিয়ার অভাবে অনেক গুজবকে যেমনি সত্যে পরিনত করতে পেরেছিল বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির যুগে তা সম্ভব নহে।যদিও ডিজিটালের সর্বোচ্ছ প্রযুক্তি ব্যাবহার করে একের পর এক নাশকতা করে চলেছে,সময়ে সকল নাশকতার উৎস প্রকাশিত হবে, জড়িত সে যেই হোক আইনের আওতায় তাঁকে আসতেই হবে।
৭২-৭৫ ২০১৫-১৬ অনেক ব্যবধান,জিয়ার ১৯ দফায় যেমনি আধুনিক দেশ চালানো সম্ভব নয়,তেমনি মান্ধাতার আমলের বিপ্লবের পরিকল্পনার চক দিয়ে আর ডিজিটাল যুগে বিপ্লব ঘটানো যাবে না।কায্যালয়ে বসে পরিকল্পিত ভাবে পেট্রোল বোমার আগুনে মানুষ পুড়িয়ে যেমন সফলতা আসেনি তেমনি বিদেশে অবস্থান করে মানুষ হত্যা করেও সফল হওয়া যাবে না।হত্যার রাজনীতি দিয়ে কোন দিন গনসংগঠন ক্ষমতায় যেতে পারেনা।গনতান্ত্রিক দলের রাজনীতি গনতান্ত্রিক পথেই মানায়,অশুভ শক্তির তাঁতাতের ফল বুমেরাং হতে বাধ্য।
জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু
জয়তু দেশরত্ম শেখহাসিনা
==============================
=====
আন্দোলনে ব্যার্থতার নিদর্শন ঘোঁচাতে, পেট্রোল বোমার আগুনে জ্যান্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করার স্মৃতি জনমন থেকে মূছে দিতে- বি,এন,পি নেত্রী বিদেশে অবস্থান করে দেশের অভ্যন্তরে গোলযোগ সৃষ্টি করে নতুন ধ্যানের জগতে প্রবেশ করাতে চান জনগনকে।তাই দলের ভিতরে বাইরে প্রচন্ড চাপ থাকা শর্তেও খালেদা জিয়া জামায়াতের সঙ্গত্যাগের দাবীকে পাশ কাটিয়ে সরকার পতনের নিজস্ব চক অনুযায়ী একের পর এক ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করে চলেছেন।তিনি ভাল করেই জানেন তাঁর আঁকা চক জামায়াত শিবিরের প্রশিক্ষিত কর্মি বাহিনী ছাড়া বাস্তবায়ন করা সম্ভব নহে।গনতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামের কঠিন পথ পাড়ি দেয়ার অভিজ্ঞতা দলটির নেই। যৌক্তিক ভাবনা থেকেই খালেদা জিয়া অত্যান্ত ঝুকিপুর্ন পথ বেচে নিয়েছেন।ইতি মধ্যে গোয়েন্দা সংস্থার নিকট অনেক তথ্য জমা হতে শুরু করেছে।সম্পুর্ন প্রকাশ না হলেও আংশিক প্রকাশে এমনি চিন্তার উদ্রেক করছে জনমনে।গোয়েন্দা সংস্থা জানতে পেরেছেন দেশে খুন বা হামলার পর টুইট ও ব্লগিংয়ের সঙ্গে জড়িত জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীরা। বড় অংকের অর্থব্যয়ে বিদেশে সাইট ভাড়া নিয়ে এরা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কাল্পনিক নাম প্রচার করছে। দলটির সদস্যরা নিজেদের দায় কথিত আইএসের কাঁধে চাপিয়ে ক্ষমতাসীনদের বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশে আইএসের উপস্থিতি পশ্চিমা বিশ্বের কাছে নিশ্চিতের কূটকৌশল বাস্তবায়ন করে চলছে। কিন্তু আইনশৃংখলা বাহিনী এদের গ্রেফতার না করায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর অনুসন্ধানে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
গত বছর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শফিউল ইসলাম হত্যার পর থেকে দায় স্বীকারের সংস্কৃতি চালু হয়েছে। ২৮ সেপ্টেম্বর গুলশানে ইতালির নাগরিক খুনের পর দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয়া হয়। আশুলিয়ায় চেকপোস্টে পুলিশ খুন পর্যন্ত প্রায় প্রতিটি ঘটনায় আইএস বা আনসার আল ইসলামের নামে ঘটনার দায় স্বীকার করা হয়েছে। বিদেশে একাধিক ওয়েবসাইটে এগুলো প্রচারও করা হচ্ছে। প্রতিটি ঘটনার পর বাংলাদেশ থেকে ব্লগ বা টুইটের মাধ্যমে বার্তাগুলো পাঠানো হয়েছে। এর সঙ্গে বাংলাদেশের কে বা কারা জড়িত, কোথায় বসে বার্তাগুলো পাঠানো হয়েছে এ সংক্রান্ত প্রায় সব তথ্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর হাতে পৌঁছেছে। খুব শিগগিরই এদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।
এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি বলেন, দেশে আইএসের কোনো অস্তিত্ব নেই। খুন বা হামলার পর আইএসের দায় স্বীকারের পেছনে জামায়াত-শিবির ও তাদের অপ্রকাশ্য শক্তি কাজ করছে। আইএসের নামে দায় স্বীকারের বার্তা যারা সামাজিক মাধ্যমে আপলোড করছে তাদের আইনের আওতায় আনতে একাধিক টিম কাজ করছে। দ্রুত তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সাইবার নিরাপত্তা প্রকল্পের ফোকাল পয়েন্ট ও সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা বলেন, সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীরা নিজেদের আইএস বা নিষিদ্ধ সংগঠনের পরিচয় দিয়ে এ ধরনের বার্তা সামাজিক মাধ্যমে আপলোড করে। এসব টুইট বার্তা আপলোড নিয়ে আমরা কাজ করছি। সময় হলেই এ বিষয়ে অগ্রগতি জানা যাবে।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, আপলোড করা টুইটবার্তাগুলো তাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো তদন্তের সহায়ক হিসেবে কাজ করছে। আগামীতে এ ধরনের তথ্য তারা প্রয়োজনে অপরাধের প্রমাণ হিসেবে দাঁড় করাবে। প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে তারা নিশ্চিত হয়েছে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বসে খবরগুলো প্রচার করে। বিদেশের ভাড়াটে ওয়েবসাইটে প্রচারের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য আদান-প্রদান করা হয়েছে। কথিত আইএসের নাম ব্যবহারকে তারা কৌশল হিসেবে নিয়েছে।
ঢাকায় ইতালি নাগরিক সিজারি তাভেল্লা হত্যার দশ মিনিট পরই গুলশান, টঙ্গী ও উত্তরা এলাকায় তিন ব্যক্তি ব্লগিং ও টুইট করে। এ এলাকায় অবস্থান করে টুইট করা তিনজনের মধ্যে দুজনের প্রকৃত নাম জানা গেছে। এরা হলেন আলাউদ্দিন ও নাঈম। তাদের আরেক সহযোগী জিহাদী জন নামে নিজেকে পরিচয় দিয়েছেন।
একই চক্রের সদস্যরা রংপুরে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি হত্যার পরই টুইট বার্তা আপলোড করে। এরা বেশ কয়েকটি ফেসবুক আইডি খুলে কথিত আইএস দুই বিদেশী নাগরিককে হত্যা করে বলে দায় স্বীকার করে। আর একে প্রকৃত খুনিদের আড়াল করার কৌশল গ্রহণ করে এ চক্রের সদস্যরা। জানা গেছে, টুইটবার্তার পর প্রযুক্তিগত অনুসন্ধান চালাচ্ছে আইনশৃংখলা বাহিনী। এর মাধ্যমে তারা অনেকদূর এগিয়েছে। যে কোনো সময় অপরাধীদের জালে বন্দি করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে।
আইনশৃংখলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, দুই বিদেশী নাগরিক হত্যার দশ মিনিট পর টুইট করা হলেও ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যাকাণ্ডের প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর টুইট করা হয়েছে। খুনি চক্রের সদস্যরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টুইট, ফেসবুক ও ব্লগিং করে। গোয়েন্দারা টুইটবার্তার একাধিক স্থান শনাক্ত করেছেন। এর মধ্যে চট্টগ্রামের হাটহাজারী, ঢাকার ওয়ারী ও যাত্রাবাড়ী। এসব স্থান থেকে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে খুনি চক্রের সদস্যরা আনসার আল ইসলামের নামে টুইটবার্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করে। এ ঘটনাও আপলোডের কিছুক্ষণ পরই ব্যবহার করা আইডিগুলো নিষ্ক্রিয় করে দেয় চক্রের সদস্যরা।
এমনকি আশুলিয়ায় পুলিশ হত্যার দায় স্বীকার করেছে আইএস। এমন দাবি করেছে জঙ্গি সংগঠনগুলোর ওপর অনলাইনে নজরদারি করা মার্কিন সংগঠন সাইট (এসআইটিই) ইন্টেলিজেন্স গ্র“প। এর নিজস্ব ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে শুধু একটি লাইন লেখা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘আইএস ক্লেইমস অ্যাটাক অন পুলিশ চেকপয়েন্ট ইন বাংলাদেশী ক্যাপিটাল’।
হোসনি দালানে বোমা হামলার পরপরই ছয়টি সাইটে টুইটবার্তা আপলোড হয়। সাইটগুলো হচ্ছে- কোরআনের আলো সংসদে জ্বালো, সত্যের পথের সৈনিক, জেরুজালেম, আনসার আল ইসলাম, আইএস ও মুজাহিদিন। এসব সাইটে টুইটবার্তাগুলো আপলোড করার কিছুক্ষণ পরই সবগুলো সাইট নিষ্ক্রিয় করে দেয় চক্রের সদস্যরা। এর সঙ্গে জড়িত দু’জনকে শনাক্ত করেছে গোয়েন্দা সংস্থা। তারা হলেন মুসা ইবনে উমায়ের ও আবদুল্লাহ আল নোমান। টুইটবার্তা আপলোডের সময় তারা চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে অবস্থান করছিলেন। প্রযুক্তিগত তদন্ত ও অনুসন্ধানে গোয়েন্দারা এসব তথ্য পেয়েছেন। কিন্তু শনাক্ত করা গেলেও তাদের এখনও আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি।
এর আগে সিলেটে ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে। একাধিক টুইটবার্তায় আনসার বাংলা-৮ নামের এক আইডি থেকে এ হামলার দায় স্বীকার করে উল্লাস প্রকাশ করা হয়। তাদের অপারেশন সফল হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
গোয়েন্দারা বলছেন, কথিত আইএস বা আনসার আল ইসলামের নামে টুইটকারীরা একই গোষ্ঠীর সদস্য। তারা ভাগ হয়ে কাজ করছে। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার শেখ নাজমুল আলম একাদিক পত্রিকাকে বলেন, সবাইকেই আইনের আওতায় আনা হবে। অপরাধ করে কেউ পার পাবে না। সামাজিক মাধ্যমে টুইট করে যারা ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা করেছে তাদের অনেককেই শনাক্ত করা গেছে।(সুত্র:-যু
গান্তর,ভোরের কাগজ,বাংলাদেশ প্রতিদিন)
আমরা জানি হিটলারের দলের নাম ছিল ন্যাশানালিষ্ট পার্টি।তাঁর বিশ্বস্ত সহচর এবং সরকারের প্রভাবশালি মন্ত্রী ছিলেন গোয়েবেলস।হিটলারের ধ্যান জ্ঞান ছিল বিশ্বজয় করে শাষন করা।তাঁর সকল কর্মকে নির্বিত্তে সহায়তা দিয়ে যেতেন গোয়েবেলস।যতক্ষন তাঁর মিথ্যা প্রচারনা মানুষের মনে সত্যে রুপান্তর করে বিশ্বাস জমাতে পারতেন না ততক্ষন ঐ মিথ্যাকে চর্বিত চর্বন করে প্রচার করতেই থাকতেন।বাংলাদেশের ন্যাশানালিষ্ট পার্টি তদ্রুপ ফ্যাসিবাদি মনোভাবাপন্ন দল।আদর্শ উদ্দের্শহীন হীন জিয়ার রেখে যাওয়া ১৯দফাই সম্বল।বিভিন্ন উগ্র জঙ্গিবাদি সংগঠনের সহযোগিতায় ৭ই নভেম্বর তথাকথিত জাসদের গনবাহিনী,সিরাজ শিকদার,আবদুল হক,তোয়াহাদের নিষিদ্ধ ঘোষিত নাস্তিক কমিউনিষ্ট পার্টির সসস্ত্র ক্যাডারদের প্রতি বিপ্লবের মিথ্যা প্রচারনায় মুক্তিযুদ্ধা নিধনের ব্লুপ্রিন্ট কায্যকরের মাধ্যমে দলটির প্রতিষ্ঠাতা মেজর জিয়া রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে বাংলাদেশের রাজনীতিতে অভিষেক ঘটান।
আজ মেজর জিয়ার অংকিত পথে খালেদা জিয়া হাঁটছেন।একটি মাত্র ব্যতিক্রম পরিলক্ষিত হয় ৭২--৭৫ এ অপ-লাইনের রাজনৈতিক দল ছিল সামাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) বর্তমানে বাংলাদেশ ন্যাশানালিষ্ট পার্টি।তখন কমিনিষ্টেরা ছিল শক্তিশালী বর্তমানের নিষিদ্ধ ঘোষিত শক্তিহীন ঐ দলগুলির অবশিষ্টাংশ।তখন ছিল সসস্ত্র রাজাকার, আলবদর,বর্তমানে তাঁরাই ২১ বছরে শক্তি সঞ্চিতকরে জামায়াত শিবির।নতুন করে যুক্ত হয়েছে ভারতের নিষিদ্ধ ঘোষিত স্বাধীনতাকামি বিচ্ছিন্নতাবাদি দল অনুপ চেটিয়ার জঙ্গী বাহিনী এবং বার্মার এল,টি, টি আই এর জঙ্গীরা।যাদেরকে ২১ বছর বাংলাদেশের ভুখন্ড ব্যাবহারের সুযোগ দিয়ে ভারত ও বার্মায় অস্থির পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রেখেছিল সামরিক সরকার সমুহ।বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পর একের পর এক জঙ্গী ঘাঁটি উচ্ছেদ করে জঙ্গী দমনের আন্তজাতিক সনদের প্রতি সরকারের বাস্তব সমর্থনের নজির স্থাপন করে।সংগত কারনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি জঙ্গী সংগঠন সমুহের ক্রোধ দ্বিগুন হয়ে প্রতিশোধ স্পৃহার অন্তজ্বালায় জ্বলতে থাকে।
মানবতা বিরুধী অপরাধের কারনে জামায়াতের শীর্ষ নেতারা অনেকেই ফাঁসির দড়িতে ঝুলে পরপারে চলে গেছেন, বাদবাকিরাও ঝুলার অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন।এমতবস্তায় দলটি সরকারের আনুষ্ঠানিক ঘোষনা ছাড়াই হাইকোর্টের একটি রুলের কারনে রাজনীতি থেকে বিদায়ের ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছেন।
৭২-৭৫এ যে সমস্ত কারনে অতিবাম-অতিডানের মিত্রতার সংমিশ্রনে জাতির জনককে প্রান দিতে হয়েছিল অবস্থার বিবেচনায় বর্তমানে ঠিক একই কারনে সকল জঙ্গীদের সংমিশ্রন ঘটেছে বলে আমি মনে করি।তবে আশার কথা হচ্ছে ৭২--৭৫ এ মিডিয়ার অভাবে অনেক গুজবকে যেমনি সত্যে পরিনত করতে পেরেছিল বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির যুগে তা সম্ভব নহে।যদিও ডিজিটালের সর্বোচ্ছ প্রযুক্তি ব্যাবহার করে একের পর এক নাশকতা করে চলেছে,সময়ে সকল নাশকতার উৎস প্রকাশিত হবে, জড়িত সে যেই হোক আইনের আওতায় তাঁকে আসতেই হবে।
৭২-৭৫ ২০১৫-১৬ অনেক ব্যবধান,জিয়ার ১৯ দফায় যেমনি আধুনিক দেশ চালানো সম্ভব নয়,তেমনি মান্ধাতার আমলের বিপ্লবের পরিকল্পনার চক দিয়ে আর ডিজিটাল যুগে বিপ্লব ঘটানো যাবে না।কায্যালয়ে বসে পরিকল্পিত ভাবে পেট্রোল বোমার আগুনে মানুষ পুড়িয়ে যেমন সফলতা আসেনি তেমনি বিদেশে অবস্থান করে মানুষ হত্যা করেও সফল হওয়া যাবে না।হত্যার রাজনীতি দিয়ে কোন দিন গনসংগঠন ক্ষমতায় যেতে পারেনা।গনতান্ত্রিক দলের রাজনীতি গনতান্ত্রিক পথেই মানায়,অশুভ শক্তির তাঁতাতের ফল বুমেরাং হতে বাধ্য।
জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু
জয়তু দেশরত্ম শেখহাসিনা
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন