অরাজকতা, নাশকতা,হত্যা ইত্যাদিতে সরাসরি জড়িত জামায়াত,খালেদা জিয়ার গোপন চক বাস্তবায়নের নব্য বাংলাদেশি আই,এস

আই,এসের নামে সক্রিয় জামায়াত শিবির,নাটের গুরু খালেদা জিয়া।
==============================
=====
আন্দোলনে ব্যার্থতার নিদর্শন ঘোঁচাতে, পেট্রোল বোমার আগুনে জ্যান্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করার স্মৃতি জনমন থেকে মূছে দিতে- বি,এন,পি নেত্রী বিদেশে অবস্থান করে দেশের অভ্যন্তরে গোলযোগ সৃষ্টি করে নতুন ধ্যানের জগতে প্রবেশ করাতে চান জনগনকে।তাই দলের ভিতরে বাইরে প্রচন্ড চাপ থাকা শর্তেও খালেদা জিয়া জামায়াতের সঙ্গত্যাগের দাবীকে পাশ কাটিয়ে সরকার পতনের নিজস্ব চক অনুযায়ী একের পর এক ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করে চলেছেন।তিনি ভাল করেই জানেন তাঁর আঁকা চক জামায়াত শিবিরের প্রশিক্ষিত কর্মি বাহিনী ছাড়া বাস্তবায়ন করা সম্ভব নহে।গনতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামের কঠিন পথ পাড়ি দেয়ার অভিজ্ঞতা দলটির নেই। যৌক্তিক ভাবনা থেকেই খালেদা জিয়া অত্যান্ত ঝুকিপুর্ন পথ বেচে নিয়েছেন।ইতি মধ্যে গোয়েন্দা সংস্থার নিকট অনেক তথ্য জমা হতে শুরু করেছে।সম্পুর্ন প্রকাশ না হলেও আংশিক প্রকাশে এমনি চিন্তার উদ্রেক করছে জনমনে।গোয়েন্দা সংস্থা জানতে পেরেছেন দেশে খুন বা হামলার পর টুইট ও ব্লগিংয়ের সঙ্গে জড়িত জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীরা। বড় অংকের অর্থব্যয়ে বিদেশে সাইট ভাড়া নিয়ে এরা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কাল্পনিক নাম প্রচার করছে। দলটির সদস্যরা নিজেদের দায় কথিত আইএসের কাঁধে চাপিয়ে ক্ষমতাসীনদের বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশে আইএসের উপস্থিতি পশ্চিমা বিশ্বের কাছে নিশ্চিতের কূটকৌশল বাস্তবায়ন করে চলছে। কিন্তু আইনশৃংখলা বাহিনী এদের গ্রেফতার না করায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর অনুসন্ধানে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
গত বছর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শফিউল ইসলাম হত্যার পর থেকে দায় স্বীকারের সংস্কৃতি চালু হয়েছে। ২৮ সেপ্টেম্বর গুলশানে ইতালির নাগরিক খুনের পর দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয়া হয়। আশুলিয়ায় চেকপোস্টে পুলিশ খুন পর্যন্ত প্রায় প্রতিটি ঘটনায় আইএস বা আনসার আল ইসলামের নামে ঘটনার দায় স্বীকার করা হয়েছে। বিদেশে একাধিক ওয়েবসাইটে এগুলো প্রচারও করা হচ্ছে। প্রতিটি ঘটনার পর বাংলাদেশ থেকে ব্লগ বা টুইটের মাধ্যমে বার্তাগুলো পাঠানো হয়েছে। এর সঙ্গে বাংলাদেশের কে বা কারা জড়িত, কোথায় বসে বার্তাগুলো পাঠানো হয়েছে এ সংক্রান্ত প্রায় সব তথ্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর হাতে পৌঁছেছে। খুব শিগগিরই এদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।
এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি বলেন, দেশে আইএসের কোনো অস্তিত্ব নেই। খুন বা হামলার পর আইএসের দায় স্বীকারের পেছনে জামায়াত-শিবির ও তাদের অপ্রকাশ্য শক্তি কাজ করছে। আইএসের নামে দায় স্বীকারের বার্তা যারা সামাজিক মাধ্যমে আপলোড করছে তাদের আইনের আওতায় আনতে একাধিক টিম কাজ করছে। দ্রুত তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সাইবার নিরাপত্তা প্রকল্পের ফোকাল পয়েন্ট ও সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা বলেন, সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীরা নিজেদের আইএস বা নিষিদ্ধ সংগঠনের পরিচয় দিয়ে এ ধরনের বার্তা সামাজিক মাধ্যমে আপলোড করে। এসব টুইট বার্তা আপলোড নিয়ে আমরা কাজ করছি। সময় হলেই এ বিষয়ে অগ্রগতি জানা যাবে।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, আপলোড করা টুইটবার্তাগুলো তাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো তদন্তের সহায়ক হিসেবে কাজ করছে। আগামীতে এ ধরনের তথ্য তারা প্রয়োজনে অপরাধের প্রমাণ হিসেবে দাঁড় করাবে। প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে তারা নিশ্চিত হয়েছে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বসে খবরগুলো প্রচার করে। বিদেশের ভাড়াটে ওয়েবসাইটে প্রচারের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য আদান-প্রদান করা হয়েছে। কথিত আইএসের নাম ব্যবহারকে তারা কৌশল হিসেবে নিয়েছে।
ঢাকায় ইতালি নাগরিক সিজারি তাভেল্লা হত্যার দশ মিনিট পরই গুলশান, টঙ্গী ও উত্তরা এলাকায় তিন ব্যক্তি ব্লগিং ও টুইট করে। এ এলাকায় অবস্থান করে টুইট করা তিনজনের মধ্যে দুজনের প্রকৃত নাম জানা গেছে। এরা হলেন আলাউদ্দিন ও নাঈম। তাদের আরেক সহযোগী জিহাদী জন নামে নিজেকে পরিচয় দিয়েছেন।
একই চক্রের সদস্যরা রংপুরে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি হত্যার পরই টুইট বার্তা আপলোড করে। এরা বেশ কয়েকটি ফেসবুক আইডি খুলে কথিত আইএস দুই বিদেশী নাগরিককে হত্যা করে বলে দায় স্বীকার করে। আর একে প্রকৃত খুনিদের আড়াল করার কৌশল গ্রহণ করে এ চক্রের সদস্যরা। জানা গেছে, টুইটবার্তার পর প্রযুক্তিগত অনুসন্ধান চালাচ্ছে আইনশৃংখলা বাহিনী। এর মাধ্যমে তারা অনেকদূর এগিয়েছে। যে কোনো সময় অপরাধীদের জালে বন্দি করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে।
আইনশৃংখলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, দুই বিদেশী নাগরিক হত্যার দশ মিনিট পর টুইট করা হলেও ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যাকাণ্ডের প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর টুইট করা হয়েছে। খুনি চক্রের সদস্যরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টুইট, ফেসবুক ও ব্লগিং করে। গোয়েন্দারা টুইটবার্তার একাধিক স্থান শনাক্ত করেছেন। এর মধ্যে চট্টগ্রামের হাটহাজারী, ঢাকার ওয়ারী ও যাত্রাবাড়ী। এসব স্থান থেকে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে খুনি চক্রের সদস্যরা আনসার আল ইসলামের নামে টুইটবার্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করে। এ ঘটনাও আপলোডের কিছুক্ষণ পরই ব্যবহার করা আইডিগুলো নিষ্ক্রিয় করে দেয় চক্রের সদস্যরা।
এমনকি আশুলিয়ায় পুলিশ হত্যার দায় স্বীকার করেছে আইএস। এমন দাবি করেছে জঙ্গি সংগঠনগুলোর ওপর অনলাইনে নজরদারি করা মার্কিন সংগঠন সাইট (এসআইটিই) ইন্টেলিজেন্স গ্র“প। এর নিজস্ব ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে শুধু একটি লাইন লেখা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘আইএস ক্লেইমস অ্যাটাক অন পুলিশ চেকপয়েন্ট ইন বাংলাদেশী ক্যাপিটাল’।
হোসনি দালানে বোমা হামলার পরপরই ছয়টি সাইটে টুইটবার্তা আপলোড হয়। সাইটগুলো হচ্ছে- কোরআনের আলো সংসদে জ্বালো, সত্যের পথের সৈনিক, জেরুজালেম, আনসার আল ইসলাম, আইএস ও মুজাহিদিন। এসব সাইটে টুইটবার্তাগুলো আপলোড করার কিছুক্ষণ পরই সবগুলো সাইট নিষ্ক্রিয় করে দেয় চক্রের সদস্যরা। এর সঙ্গে জড়িত দু’জনকে শনাক্ত করেছে গোয়েন্দা সংস্থা। তারা হলেন মুসা ইবনে উমায়ের ও আবদুল্লাহ আল নোমান। টুইটবার্তা আপলোডের সময় তারা চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে অবস্থান করছিলেন। প্রযুক্তিগত তদন্ত ও অনুসন্ধানে গোয়েন্দারা এসব তথ্য পেয়েছেন। কিন্তু শনাক্ত করা গেলেও তাদের এখনও আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি।
এর আগে সিলেটে ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে। একাধিক টুইটবার্তায় আনসার বাংলা-৮ নামের এক আইডি থেকে এ হামলার দায় স্বীকার করে উল্লাস প্রকাশ করা হয়। তাদের অপারেশন সফল হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
গোয়েন্দারা বলছেন, কথিত আইএস বা আনসার আল ইসলামের নামে টুইটকারীরা একই গোষ্ঠীর সদস্য। তারা ভাগ হয়ে কাজ করছে। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার শেখ নাজমুল আলম একাদিক পত্রিকাকে বলেন, সবাইকেই আইনের আওতায় আনা হবে। অপরাধ করে কেউ পার পাবে না। সামাজিক মাধ্যমে টুইট করে যারা ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা করেছে তাদের অনেককেই শনাক্ত করা গেছে।(সুত্র:-যু
গান্তর,ভোরের কাগজ,বাংলাদেশ প্রতিদিন)
আমরা জানি হিটলারের দলের নাম ছিল ন্যাশানালিষ্ট পার্টি।তাঁর বিশ্বস্ত সহচর এবং সরকারের প্রভাবশালি মন্ত্রী ছিলেন গোয়েবেলস।হিটলারের ধ্যান জ্ঞান ছিল বিশ্বজয় করে শাষন করা।তাঁর সকল কর্মকে নির্বিত্তে সহায়তা দিয়ে যেতেন গোয়েবেলস।যতক্ষন তাঁর মিথ্যা প্রচারনা মানুষের মনে সত্যে রুপান্তর করে বিশ্বাস জমাতে পারতেন না ততক্ষন ঐ মিথ্যাকে চর্বিত চর্বন করে প্রচার করতেই থাকতেন।বাংলাদেশের ন্যাশানালিষ্ট পার্টি তদ্রুপ ফ্যাসিবাদি মনোভাবাপন্ন দল।আদর্শ উদ্দের্শহীন হীন জিয়ার রেখে যাওয়া ১৯দফাই সম্বল।বিভিন্ন উগ্র জঙ্গিবাদি সংগঠনের সহযোগিতায় ৭ই নভেম্বর তথাকথিত জাসদের গনবাহিনী,সিরাজ শিকদার,আবদুল হক,তোয়াহাদের নিষিদ্ধ ঘোষিত নাস্তিক কমিউনিষ্ট পার্টির সসস্ত্র ক্যাডারদের প্রতি বিপ্লবের মিথ্যা প্রচারনায় মুক্তিযুদ্ধা নিধনের ব্লুপ্রিন্ট কায্যকরের মাধ্যমে দলটির প্রতিষ্ঠাতা মেজর জিয়া রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে বাংলাদেশের রাজনীতিতে অভিষেক ঘটান।
আজ মেজর জিয়ার অংকিত পথে খালেদা জিয়া হাঁটছেন।একটি মাত্র ব্যতিক্রম পরিলক্ষিত হয় ৭২--৭৫ এ অপ-লাইনের রাজনৈতিক দল ছিল সামাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) বর্তমানে বাংলাদেশ ন্যাশানালিষ্ট পার্টি।তখন কমিনিষ্টেরা ছিল শক্তিশালী বর্তমানের নিষিদ্ধ ঘোষিত শক্তিহীন ঐ দলগুলির অবশিষ্টাংশ।তখন ছিল সসস্ত্র রাজাকার, আলবদর,বর্তমানে তাঁরাই ২১ বছরে শক্তি সঞ্চিতকরে জামায়াত শিবির।নতুন করে যুক্ত হয়েছে ভারতের নিষিদ্ধ ঘোষিত স্বাধীনতাকামি বিচ্ছিন্নতাবাদি দল অনুপ চেটিয়ার জঙ্গী বাহিনী এবং বার্মার এল,টি, টি আই এর জঙ্গীরা।যাদেরকে ২১ বছর বাংলাদেশের ভুখন্ড ব্যাবহারের সুযোগ দিয়ে ভারত ও বার্মায় অস্থির পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রেখেছিল সামরিক সরকার সমুহ।বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পর একের পর এক জঙ্গী ঘাঁটি উচ্ছেদ করে জঙ্গী দমনের আন্তজাতিক সনদের প্রতি সরকারের বাস্তব সমর্থনের নজির স্থাপন করে।সংগত কারনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি জঙ্গী সংগঠন সমুহের ক্রোধ দ্বিগুন হয়ে প্রতিশোধ স্পৃহার অন্তজ্বালায় জ্বলতে থাকে।
মানবতা বিরুধী অপরাধের কারনে জামায়াতের শীর্ষ নেতারা অনেকেই ফাঁসির দড়িতে ঝুলে পরপারে চলে গেছেন, বাদবাকিরাও ঝুলার অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন।এমতবস্তায় দলটি সরকারের আনুষ্ঠানিক ঘোষনা ছাড়াই হাইকোর্টের একটি রুলের কারনে রাজনীতি থেকে বিদায়ের ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছেন।
৭২-৭৫এ যে সমস্ত কারনে অতিবাম-অতিডানের মিত্রতার সংমিশ্রনে জাতির জনককে প্রান দিতে হয়েছিল অবস্থার বিবেচনায় বর্তমানে ঠিক একই কারনে সকল জঙ্গীদের সংমিশ্রন ঘটেছে বলে আমি মনে করি।তবে আশার কথা হচ্ছে ৭২--৭৫ এ মিডিয়ার অভাবে অনেক গুজবকে যেমনি সত্যে পরিনত করতে পেরেছিল বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির যুগে তা সম্ভব নহে।যদিও ডিজিটালের সর্বোচ্ছ প্রযুক্তি ব্যাবহার করে একের পর এক নাশকতা করে চলেছে,সময়ে সকল নাশকতার উৎস প্রকাশিত হবে, জড়িত সে যেই হোক আইনের আওতায় তাঁকে আসতেই হবে।
৭২-৭৫ ২০১৫-১৬ অনেক ব্যবধান,জিয়ার ১৯ দফায় যেমনি আধুনিক দেশ চালানো সম্ভব নয়,তেমনি মান্ধাতার আমলের বিপ্লবের পরিকল্পনার চক দিয়ে আর ডিজিটাল যুগে বিপ্লব ঘটানো যাবে না।কায্যালয়ে বসে পরিকল্পিত ভাবে পেট্রোল বোমার আগুনে মানুষ পুড়িয়ে যেমন সফলতা আসেনি তেমনি বিদেশে অবস্থান করে মানুষ হত্যা করেও সফল হওয়া যাবে না।হত্যার রাজনীতি দিয়ে কোন দিন গনসংগঠন ক্ষমতায় যেতে পারেনা।গনতান্ত্রিক দলের রাজনীতি গনতান্ত্রিক পথেই মানায়,অশুভ শক্তির তাঁতাতের ফল বুমেরাং হতে বাধ্য।
জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু
জয়তু দেশরত্ম শেখহাসিনা

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা