অরাজকতা, নাশকতা,হত্যা ইত্যাদিতে সরাসরি জড়িত জামায়াত,খালেদা জিয়ার গোপন চক বাস্তবায়নের নব্য বাংলাদেশি আই,এস

আই,এসের নামে সক্রিয় জামায়াত শিবির,নাটের গুরু খালেদা জিয়া।
==============================
=====
আন্দোলনে ব্যার্থতার নিদর্শন ঘোঁচাতে, পেট্রোল বোমার আগুনে জ্যান্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করার স্মৃতি জনমন থেকে মূছে দিতে- বি,এন,পি নেত্রী বিদেশে অবস্থান করে দেশের অভ্যন্তরে গোলযোগ সৃষ্টি করে নতুন ধ্যানের জগতে প্রবেশ করাতে চান জনগনকে।তাই দলের ভিতরে বাইরে প্রচন্ড চাপ থাকা শর্তেও খালেদা জিয়া জামায়াতের সঙ্গত্যাগের দাবীকে পাশ কাটিয়ে সরকার পতনের নিজস্ব চক অনুযায়ী একের পর এক ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করে চলেছেন।তিনি ভাল করেই জানেন তাঁর আঁকা চক জামায়াত শিবিরের প্রশিক্ষিত কর্মি বাহিনী ছাড়া বাস্তবায়ন করা সম্ভব নহে।গনতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামের কঠিন পথ পাড়ি দেয়ার অভিজ্ঞতা দলটির নেই। যৌক্তিক ভাবনা থেকেই খালেদা জিয়া অত্যান্ত ঝুকিপুর্ন পথ বেচে নিয়েছেন।ইতি মধ্যে গোয়েন্দা সংস্থার নিকট অনেক তথ্য জমা হতে শুরু করেছে।সম্পুর্ন প্রকাশ না হলেও আংশিক প্রকাশে এমনি চিন্তার উদ্রেক করছে জনমনে।গোয়েন্দা সংস্থা জানতে পেরেছেন দেশে খুন বা হামলার পর টুইট ও ব্লগিংয়ের সঙ্গে জড়িত জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীরা। বড় অংকের অর্থব্যয়ে বিদেশে সাইট ভাড়া নিয়ে এরা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কাল্পনিক নাম প্রচার করছে। দলটির সদস্যরা নিজেদের দায় কথিত আইএসের কাঁধে চাপিয়ে ক্ষমতাসীনদের বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশে আইএসের উপস্থিতি পশ্চিমা বিশ্বের কাছে নিশ্চিতের কূটকৌশল বাস্তবায়ন করে চলছে। কিন্তু আইনশৃংখলা বাহিনী এদের গ্রেফতার না করায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর অনুসন্ধানে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
গত বছর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শফিউল ইসলাম হত্যার পর থেকে দায় স্বীকারের সংস্কৃতি চালু হয়েছে। ২৮ সেপ্টেম্বর গুলশানে ইতালির নাগরিক খুনের পর দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয়া হয়। আশুলিয়ায় চেকপোস্টে পুলিশ খুন পর্যন্ত প্রায় প্রতিটি ঘটনায় আইএস বা আনসার আল ইসলামের নামে ঘটনার দায় স্বীকার করা হয়েছে। বিদেশে একাধিক ওয়েবসাইটে এগুলো প্রচারও করা হচ্ছে। প্রতিটি ঘটনার পর বাংলাদেশ থেকে ব্লগ বা টুইটের মাধ্যমে বার্তাগুলো পাঠানো হয়েছে। এর সঙ্গে বাংলাদেশের কে বা কারা জড়িত, কোথায় বসে বার্তাগুলো পাঠানো হয়েছে এ সংক্রান্ত প্রায় সব তথ্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর হাতে পৌঁছেছে। খুব শিগগিরই এদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।
এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি বলেন, দেশে আইএসের কোনো অস্তিত্ব নেই। খুন বা হামলার পর আইএসের দায় স্বীকারের পেছনে জামায়াত-শিবির ও তাদের অপ্রকাশ্য শক্তি কাজ করছে। আইএসের নামে দায় স্বীকারের বার্তা যারা সামাজিক মাধ্যমে আপলোড করছে তাদের আইনের আওতায় আনতে একাধিক টিম কাজ করছে। দ্রুত তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সাইবার নিরাপত্তা প্রকল্পের ফোকাল পয়েন্ট ও সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা বলেন, সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীরা নিজেদের আইএস বা নিষিদ্ধ সংগঠনের পরিচয় দিয়ে এ ধরনের বার্তা সামাজিক মাধ্যমে আপলোড করে। এসব টুইট বার্তা আপলোড নিয়ে আমরা কাজ করছি। সময় হলেই এ বিষয়ে অগ্রগতি জানা যাবে।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, আপলোড করা টুইটবার্তাগুলো তাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো তদন্তের সহায়ক হিসেবে কাজ করছে। আগামীতে এ ধরনের তথ্য তারা প্রয়োজনে অপরাধের প্রমাণ হিসেবে দাঁড় করাবে। প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে তারা নিশ্চিত হয়েছে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বসে খবরগুলো প্রচার করে। বিদেশের ভাড়াটে ওয়েবসাইটে প্রচারের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য আদান-প্রদান করা হয়েছে। কথিত আইএসের নাম ব্যবহারকে তারা কৌশল হিসেবে নিয়েছে।
ঢাকায় ইতালি নাগরিক সিজারি তাভেল্লা হত্যার দশ মিনিট পরই গুলশান, টঙ্গী ও উত্তরা এলাকায় তিন ব্যক্তি ব্লগিং ও টুইট করে। এ এলাকায় অবস্থান করে টুইট করা তিনজনের মধ্যে দুজনের প্রকৃত নাম জানা গেছে। এরা হলেন আলাউদ্দিন ও নাঈম। তাদের আরেক সহযোগী জিহাদী জন নামে নিজেকে পরিচয় দিয়েছেন।
একই চক্রের সদস্যরা রংপুরে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি হত্যার পরই টুইট বার্তা আপলোড করে। এরা বেশ কয়েকটি ফেসবুক আইডি খুলে কথিত আইএস দুই বিদেশী নাগরিককে হত্যা করে বলে দায় স্বীকার করে। আর একে প্রকৃত খুনিদের আড়াল করার কৌশল গ্রহণ করে এ চক্রের সদস্যরা। জানা গেছে, টুইটবার্তার পর প্রযুক্তিগত অনুসন্ধান চালাচ্ছে আইনশৃংখলা বাহিনী। এর মাধ্যমে তারা অনেকদূর এগিয়েছে। যে কোনো সময় অপরাধীদের জালে বন্দি করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে।
আইনশৃংখলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, দুই বিদেশী নাগরিক হত্যার দশ মিনিট পর টুইট করা হলেও ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যাকাণ্ডের প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর টুইট করা হয়েছে। খুনি চক্রের সদস্যরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টুইট, ফেসবুক ও ব্লগিং করে। গোয়েন্দারা টুইটবার্তার একাধিক স্থান শনাক্ত করেছেন। এর মধ্যে চট্টগ্রামের হাটহাজারী, ঢাকার ওয়ারী ও যাত্রাবাড়ী। এসব স্থান থেকে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে খুনি চক্রের সদস্যরা আনসার আল ইসলামের নামে টুইটবার্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করে। এ ঘটনাও আপলোডের কিছুক্ষণ পরই ব্যবহার করা আইডিগুলো নিষ্ক্রিয় করে দেয় চক্রের সদস্যরা।
এমনকি আশুলিয়ায় পুলিশ হত্যার দায় স্বীকার করেছে আইএস। এমন দাবি করেছে জঙ্গি সংগঠনগুলোর ওপর অনলাইনে নজরদারি করা মার্কিন সংগঠন সাইট (এসআইটিই) ইন্টেলিজেন্স গ্র“প। এর নিজস্ব ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে শুধু একটি লাইন লেখা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘আইএস ক্লেইমস অ্যাটাক অন পুলিশ চেকপয়েন্ট ইন বাংলাদেশী ক্যাপিটাল’।
হোসনি দালানে বোমা হামলার পরপরই ছয়টি সাইটে টুইটবার্তা আপলোড হয়। সাইটগুলো হচ্ছে- কোরআনের আলো সংসদে জ্বালো, সত্যের পথের সৈনিক, জেরুজালেম, আনসার আল ইসলাম, আইএস ও মুজাহিদিন। এসব সাইটে টুইটবার্তাগুলো আপলোড করার কিছুক্ষণ পরই সবগুলো সাইট নিষ্ক্রিয় করে দেয় চক্রের সদস্যরা। এর সঙ্গে জড়িত দু’জনকে শনাক্ত করেছে গোয়েন্দা সংস্থা। তারা হলেন মুসা ইবনে উমায়ের ও আবদুল্লাহ আল নোমান। টুইটবার্তা আপলোডের সময় তারা চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে অবস্থান করছিলেন। প্রযুক্তিগত তদন্ত ও অনুসন্ধানে গোয়েন্দারা এসব তথ্য পেয়েছেন। কিন্তু শনাক্ত করা গেলেও তাদের এখনও আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি।
এর আগে সিলেটে ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে। একাধিক টুইটবার্তায় আনসার বাংলা-৮ নামের এক আইডি থেকে এ হামলার দায় স্বীকার করে উল্লাস প্রকাশ করা হয়। তাদের অপারেশন সফল হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
গোয়েন্দারা বলছেন, কথিত আইএস বা আনসার আল ইসলামের নামে টুইটকারীরা একই গোষ্ঠীর সদস্য। তারা ভাগ হয়ে কাজ করছে। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার শেখ নাজমুল আলম একাদিক পত্রিকাকে বলেন, সবাইকেই আইনের আওতায় আনা হবে। অপরাধ করে কেউ পার পাবে না। সামাজিক মাধ্যমে টুইট করে যারা ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা করেছে তাদের অনেককেই শনাক্ত করা গেছে।(সুত্র:-যু
গান্তর,ভোরের কাগজ,বাংলাদেশ প্রতিদিন)
আমরা জানি হিটলারের দলের নাম ছিল ন্যাশানালিষ্ট পার্টি।তাঁর বিশ্বস্ত সহচর এবং সরকারের প্রভাবশালি মন্ত্রী ছিলেন গোয়েবেলস।হিটলারের ধ্যান জ্ঞান ছিল বিশ্বজয় করে শাষন করা।তাঁর সকল কর্মকে নির্বিত্তে সহায়তা দিয়ে যেতেন গোয়েবেলস।যতক্ষন তাঁর মিথ্যা প্রচারনা মানুষের মনে সত্যে রুপান্তর করে বিশ্বাস জমাতে পারতেন না ততক্ষন ঐ মিথ্যাকে চর্বিত চর্বন করে প্রচার করতেই থাকতেন।বাংলাদেশের ন্যাশানালিষ্ট পার্টি তদ্রুপ ফ্যাসিবাদি মনোভাবাপন্ন দল।আদর্শ উদ্দের্শহীন হীন জিয়ার রেখে যাওয়া ১৯দফাই সম্বল।বিভিন্ন উগ্র জঙ্গিবাদি সংগঠনের সহযোগিতায় ৭ই নভেম্বর তথাকথিত জাসদের গনবাহিনী,সিরাজ শিকদার,আবদুল হক,তোয়াহাদের নিষিদ্ধ ঘোষিত নাস্তিক কমিউনিষ্ট পার্টির সসস্ত্র ক্যাডারদের প্রতি বিপ্লবের মিথ্যা প্রচারনায় মুক্তিযুদ্ধা নিধনের ব্লুপ্রিন্ট কায্যকরের মাধ্যমে দলটির প্রতিষ্ঠাতা মেজর জিয়া রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে বাংলাদেশের রাজনীতিতে অভিষেক ঘটান।
আজ মেজর জিয়ার অংকিত পথে খালেদা জিয়া হাঁটছেন।একটি মাত্র ব্যতিক্রম পরিলক্ষিত হয় ৭২--৭৫ এ অপ-লাইনের রাজনৈতিক দল ছিল সামাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) বর্তমানে বাংলাদেশ ন্যাশানালিষ্ট পার্টি।তখন কমিনিষ্টেরা ছিল শক্তিশালী বর্তমানের নিষিদ্ধ ঘোষিত শক্তিহীন ঐ দলগুলির অবশিষ্টাংশ।তখন ছিল সসস্ত্র রাজাকার, আলবদর,বর্তমানে তাঁরাই ২১ বছরে শক্তি সঞ্চিতকরে জামায়াত শিবির।নতুন করে যুক্ত হয়েছে ভারতের নিষিদ্ধ ঘোষিত স্বাধীনতাকামি বিচ্ছিন্নতাবাদি দল অনুপ চেটিয়ার জঙ্গী বাহিনী এবং বার্মার এল,টি, টি আই এর জঙ্গীরা।যাদেরকে ২১ বছর বাংলাদেশের ভুখন্ড ব্যাবহারের সুযোগ দিয়ে ভারত ও বার্মায় অস্থির পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রেখেছিল সামরিক সরকার সমুহ।বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পর একের পর এক জঙ্গী ঘাঁটি উচ্ছেদ করে জঙ্গী দমনের আন্তজাতিক সনদের প্রতি সরকারের বাস্তব সমর্থনের নজির স্থাপন করে।সংগত কারনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি জঙ্গী সংগঠন সমুহের ক্রোধ দ্বিগুন হয়ে প্রতিশোধ স্পৃহার অন্তজ্বালায় জ্বলতে থাকে।
মানবতা বিরুধী অপরাধের কারনে জামায়াতের শীর্ষ নেতারা অনেকেই ফাঁসির দড়িতে ঝুলে পরপারে চলে গেছেন, বাদবাকিরাও ঝুলার অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন।এমতবস্তায় দলটি সরকারের আনুষ্ঠানিক ঘোষনা ছাড়াই হাইকোর্টের একটি রুলের কারনে রাজনীতি থেকে বিদায়ের ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছেন।
৭২-৭৫এ যে সমস্ত কারনে অতিবাম-অতিডানের মিত্রতার সংমিশ্রনে জাতির জনককে প্রান দিতে হয়েছিল অবস্থার বিবেচনায় বর্তমানে ঠিক একই কারনে সকল জঙ্গীদের সংমিশ্রন ঘটেছে বলে আমি মনে করি।তবে আশার কথা হচ্ছে ৭২--৭৫ এ মিডিয়ার অভাবে অনেক গুজবকে যেমনি সত্যে পরিনত করতে পেরেছিল বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির যুগে তা সম্ভব নহে।যদিও ডিজিটালের সর্বোচ্ছ প্রযুক্তি ব্যাবহার করে একের পর এক নাশকতা করে চলেছে,সময়ে সকল নাশকতার উৎস প্রকাশিত হবে, জড়িত সে যেই হোক আইনের আওতায় তাঁকে আসতেই হবে।
৭২-৭৫ ২০১৫-১৬ অনেক ব্যবধান,জিয়ার ১৯ দফায় যেমনি আধুনিক দেশ চালানো সম্ভব নয়,তেমনি মান্ধাতার আমলের বিপ্লবের পরিকল্পনার চক দিয়ে আর ডিজিটাল যুগে বিপ্লব ঘটানো যাবে না।কায্যালয়ে বসে পরিকল্পিত ভাবে পেট্রোল বোমার আগুনে মানুষ পুড়িয়ে যেমন সফলতা আসেনি তেমনি বিদেশে অবস্থান করে মানুষ হত্যা করেও সফল হওয়া যাবে না।হত্যার রাজনীতি দিয়ে কোন দিন গনসংগঠন ক্ষমতায় যেতে পারেনা।গনতান্ত্রিক দলের রাজনীতি গনতান্ত্রিক পথেই মানায়,অশুভ শক্তির তাঁতাতের ফল বুমেরাং হতে বাধ্য।
জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু
জয়তু দেশরত্ম শেখহাসিনা

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন