আমাদের নতুন উপদ্রব তথাকথিত!!" নাগরীক সমাজ ----------------------------- সুশীল কুশিলবদের উদ্ভিগ্মতা কোথায়,উন্নয়নে না বিশ্বদরবারে জাতির পিতার কন্যার নেতৃত্ব গ্রহনের হিংসায়?ইলেক্ট্রোনিং মিডিয়া সেমিনার বৈঠকি সভায় তাঁদের বক্তব্যে জনগন এখন হাসে।নতুন শব্দ চয়ন করে কথা বলা শিখেছেন আমাদের নাগরীক সমাজ, তথা সুশীল ভদ্র সমাজের তথাকথিত ভদ্রজনেরা।আগে আগে বলতে শুনতাম লালঝান্ডাধারী আমাদের সমাজতন্ত্রীরা,তাঁদের ভাষায় যাদের নাস্তিক অখ্যা দিতে কখনই কার্পন্য করতেন না।এখন অবশ্য তাঁরা শব্দ সমুহ ভুলে গেছেন,তাঁদের থেকে ধার করা শব্দ ব্যাবহার শুরু করেছেন বর্তমানের ধর্মধারী আস্তিক সাহেবেরা।যেমন:-- ক্ষমতার ভারসাম্য’, ‘ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ’এককেন্দ্রিকতা,সমবন্টন প্রভৃতি কথাগুলো বর্তমান দিনগুলোতে গোলটেবিলের মাধ্যমে সামনে আনতে চাইছে ‘উদ্বিগ্ন নাগরিক সমাজ’ নামে নিরপেক্ষ দাবিদার সুশীল সমাজের একটি সংগঠন। সংগঠনের নামটাই বলে দেয়, উল্লিখিত বিষয়গুলোতে কোন ধরনের মতামত গোলটেবিলে ব্যক্ত করা হবে। আর আলোচ্য দুই বিষয়ের সঙ্গেই ক্ষমতা শব্দ যুক্ত আছে বিধায় এটাও বলতে হবে যে, ক্ষমতা নিয়েই এই সংগঠনটির চিন্তাভাবনা আবর্তিত হচ্ছে। ক্ষমতার ভারসাম্য বিষয়ে ইতোপূর্বে একটি গোলটেবিলের পর আরও কয়েকবার কয়েক স্থানে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ নিয়ে গোলটেবিল অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং ভাব দৃষ্টে মনে হচ্ছে আরও হবে। এই গোলটেবিলের বক্তৃতা যতটুকু পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে, তা বিবেচনায় নিলেই বোঝা যাবে যে, এই নাগরিক সমাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা কতটা ক্ষমতা নিয়ে উদ্বিগ্ন। ওই গোলটেবিল থেকে বলা হয়েছে যে, খারাপ অবস্থা এবং তা ‘আরো খারাপ’ হবে। ‘অতিকেন্দ্রিক অতিরিক্ত ক্ষমতা, এককেন্দ্রিক ক্ষমতা শুধু রাষ্ট্র নয়, পারিবারিক ক্ষেত্রেও ক্ষতিকর। অতিরিক্ত ক্ষমতা মানুষকে হিতাহীত জ্ঞানশূন্য করে দেয়। ক্ষমতার প্রতি অতিরিক্ত অনুরাগ, মাদকতা ও উন্মাদনায় কিছু কিছু মানুষ পাগল হয়ে যায়।’ সত্বর ক্ষমতা পাওয়ার মানষে তাঁরা যে উম্মাদপ্রায় ,নিবিড়ভাবে সর্বসময়ে এড়িয়ে যেতে সুক্ষ কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছেন, জনগন যেন বুঝতেই পারছেন না।এই সুশিলেরা গৃহযুদ্ধ বাঁধানোর পরিকল্পনায় কয়দিন আগে ব্যর্থ হয়েছেন,তাও বিস্মৃত হয়ে প্রলাপ বকা শুরু করেছেন। উল্লিখিত কথাগুলো বিবেচনায় নিলে এটা বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, এই সংগঠনে জড়ো হওয়া ব্যক্তিরা পর্যবেক্ষণে দেখতে পাচ্ছেন যে, বর্তমানে সরকারের কারো কারো হাতে অতিরিক্ত ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হচ্ছে। ক্ষমতা নিয়ে তারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হচ্ছে এবং কিছু কিছু মানুষ পাগল হয়ে যাচ্ছে। পাগল হওয়ার কারণ হচ্ছে, অনুরাগ, মাদকতা ও উন্মাদনা। অর্থাৎ তারা ধরেই নিচ্ছেন, পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে এবং এ জন্যই তারা উদ্বিগ্ন। প্রথমেই বলে নিতে হয়, ক্ষমতাকে এই মহল বিশেষ দেশের অর্থাৎ পাকিদের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের রাজনীতি থেকে পৃথক করে নিয়ে বিচার করছেন। যেন মনে হচ্ছে, বর্তমান সময়ে ক্ষমতার আগে-পিছে কিচ্ছু নেই, কোনো সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের ইতিহাস নেই, কোনো উন্নয়ন ও অগ্রগতির বাস্তব কাজ নেই, কোনো আশু ও সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য নেই; কেবল আছে অনুরাগ, মাদকতা ও উন্মাদনা। এইভাবে দেখলে তো ষোল আনা মিছেই মনে হবে। একে কি বলা যাবে, একদেশদর্শী নাকি অন্ধ?অবশ্য তাঁদের নেত্রী ইতিমধ্যে বলে রেখেছেন তিনি চক্ষু চিকিৎসার পর দেশে ফিরে আসবেন।আল্লাহই মালুম কবে চিকিৎসা শেষ হয়।ফিরে আসার ব্যপারটা আল্লাহ কবুল করুক। তাঁরা আদৌ দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী দল, যার তৃনমুল পয্যায়ে রয়েছে সুদৃড অবস্থান, সে সংগঠনের নির্ভেজাল, ঐক্যবদ্ধ,সংগঠনগত, রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক জনগনকে সংগে রেখে অকুন্ট সমর্থন। যে সমর্থনের জোরে বলিয়ান হয়ে জাতির পিতার কন্যা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন আগামী প্রজর্ম্মের বাসযোগ্য বাংলা দেশ গড়ার তথা জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার অভিষ্ট লক্ষে। এখানে বলতেই হয় যে, কেবল খারাপ-খারাপ ভাবলে উদ্বিগ্ন হতেই হবে। আর উদ্বিগ্ন মনোভাব হওয়াটা তাঁদের জন্যই স্বাভাবিক যারা দেখেও না দেখার ভান করে।জেগে জেগে ঘুমায়। সারা পৃথিবী দেখে,উনারা দেখেন না।বিশ্ব নেতারা প্রসংশা করলেও তাঁদের ভাবনায় আসে উদ্ভিগ্মনতা।যতবেশী মিডিয়া সুবিধা দেয়া হচ্ছে, তত বেশী নামধারী সুশিল সৃষ্টি হচ্ছে।মিডিয়া মালিকদের আত্মীয় স্বজনেরাও অনেক সময় সুশিল হয়ে বক্তৃতা দিতে দেখা যায়।বলা হয় মিডিয়ার কন্ঠরোধ করেছে সরকার,এই বক্তব্যের চেয়ে আর খারাপ বা মিথ্যা কি বক্তব্য দেয়ার জন্য দিচ্ছেনা বা আর কোন বাক্য ব্যাবহার করলে বা আর কি বক্তব্য সম্প্রচার করার আছে।যাহা বললে কন্ঠের স্বভাবিকতা পেতেন বুঝতে পারিনা।তাঁদের মধ্যে আন্তজাতিক খ্যাতি সম্পন্ন কোন কোন বিশিষ্ঠজন ইদানিং বলা শুরু করে দিয়েছেন,প্রেসিডেন্টের হাতে আর একটুখানি খমতা দেয়া যায় কিনা ভেবে দেখার জন্য।প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করে হলেও।সরকারে বিভক্তির আর কোন উপায় বুদ্ধিজীবিরা খুঁজে পাচ্ছেন না আমাদের খ্যাতির শীর্ষরা!!! অবশ্য তাঁদের বিষের দল থেকে যারাই বেরিয়ে আসতে পেরেছেন তাঁরা দিব্যি সব খোলা চোখে দেখেন। সুন্দরভাবে দেশ পরিচালনা ও বৈশ্বিক উষ্ণতা মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় সম্প্রতি জাতিসংঘের 'চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ' পুরষ্কার অর্জন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করলেন বিএনপির বহিষ্কৃত ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। গত শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে মহাত্মা গান্ধীর ১৪৬তম জন্মবার্ষিকী ও বিশ্ব অহিংস দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছিলেন তিনি। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধো আইনজীবী পরিষদ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। সভায় নাজমুল হুদা বলেন, 'আমি আজকে শেখ হাসিনার বন্দনার জন্য দাঁড়াইনি, যা সত্যি তাই বলছি। বাংলাদেশ শেখ হাসিনার পক্ষে। শেখ হাসিনা সহিংস আন্দোলনের হাত থেকে এ দেশের মানুষকে মুক্ত করেছেন। বি,এন,পি মুলত বিভ্রান্ত হয়ে নানাহ বিবৃতি বিভিন্ন ভাবেই দিচ্ছেন।মুখপাত্র লিটন বলেন, ধরিত্রীর সম্মামনা পাওয়ায় প্রধান মন্ত্রী ,তাঁর দল খুশী,আবার ব্যারিষ্টার মাহবুব বলেন এই পুরস্কার টাকায় কেনা,খালেদা বলেন আওয়ামী লীগকে সংজ্ঞে রেখে সরকার গঠন করবেন।আর সুশিল বলেন আমরা উদ্ভিগ্ম। সুশিল সমাজ উদ্ভিগ্ম হতে পারেন সরকার দ্রুত যেভাবে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন এবং বিশ্ব নেতারা দেশরত্মকে যেভাবে গ্রহন করেছেন এবার জাতি সংঘের অধিবেশনে,বা জরিপের ফলাফল যেভাবে উচ্চবাচ্য না করে মেনে নিয়েছেন বিশ দল সহ সুশিলেরা,নাগরীকেরা বুঝতে পেরেছেন আওয়ামী লীগ থেকে ক্ষমতা নিতে দশক লেগে যেতে পারে হয়তোবা।এত দিন কি আর ফালু আলুরা বেঁচে থাকবেন? লুটপাটের পেশী শক্তির ব্যাবহারের একটা সময় সীমা তো নিশ্চয়ই আছে।সব সময় কি আর মানুষের সমান যায়?উত্থান পতন তো বিধির বিধান বলতে একটা ব্যাপার অবশ্যই আছে----। জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা

আমাদের নাগরীক সমাজ, নতুন জম্ম নেয়া উপদ্রব।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg