স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিল পত্র



বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধঃ দলিলপত্র থেকে বলছি (১৫তম খণ্ড) : অধ্যাপক আজিজুর রহমান।
কম্পাইল করেছেন – এইচএম ইব্রাহিম রাজু
১৯৭১ সালের মার্চ মাসে সমগ্র দেশবাসীর মতো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কর্মচারীরা অসহযোগ আন্দোলনে যোগ হয়। ৭ ই মার্চে প্রদত্ত বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ বেতার মারফত আমাদের শোনার  সুযোগ হয় ৮ই মার্চ সকালে। ঐদিনই আমার পরামর্শ অনুসারে শিক্ষকেরা একটি সভায়  মিলিত হয়ে স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করবেন বলে অঙ্গীকার করেন। এই সভায় অন্যান্যদের মধ্যে অধ্যাপক সৈয়দ আলী আহসান,সৈয়দ আব্দুল করিম, অধ্যাপক মুহাম্মদ রশিদুল হক, ডঃ আনিসুজ্জামান ও জনাব ফজলী হোসেন প্রমুখ বক্তৃতা করেন।


তখন থেকে ২২শে মার্চ পর্যন্ত স্বাধীনতা -সংগ্রামের জন্য আমরা এক ধরনের প্রস্তুতি নিই।  চট্টগ্রাম সেনানিবাসের সন্নিহিত স্থানে অবস্থিত Council of Scientific & Industrial;  Research -এর ডক্টর আব্দুল হাইয়ের সংগে অধ্যাপক রশিদুল হক ও অধ্যাপক শামসুল হককে যোগাযোগ করতে নির্দেশ দেই। কারণ তিনিও আমাদের মতই প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলে আমার জানা ছিল। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরিতে হাতবোমা, গ্রেনেড ইত্যাদি তৈরি করা যায় কিনা সে বিষয়ে Experimentকরতে অধ্যাপক শামসুল হককে গোপনীয় মৌখিক নির্দেশ দেই।  কিছু কিছু ছাত্রকে সামরিক ট্রেনিং দেবার চেষ্টা করা হয় ডঃ হাইয়ের উদ্যোগে। ইউ,ও,টি,সি-র ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক ডক্টর এস,এম,আতাহারকে আমি নির্দেশ দেই UOTC -র রাইফেলগুলো সক্রিয় করার চেষ্টা করতে। চট্টগ্রাম শহরে আয়োজিত সংস্কৃতিকর্মীদের প্রতিবাদ-সভা ও বিক্ষোভ -মিছিলে অন্যান্য অনেকের মধ্যে অধ্যাপক সৈয়দ আলী আহসান ও  ডঃ আনিসুজ্জামান সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করেন। আরও আগে চট্টগ্রাম শহরে অবস্থিত বাঙ্গালী-অবাঙ্গালী সংঘর্ষে আহতদের জন্য আমার সঙ্গে শিক্ষক-ছাত্ররা  রক্ত দান করেন।

২৩ শে মার্চ সকালে চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হয় যে, ঐদিন বিকেলে চট্টগ্রাম শহরে সকল পর্যায়ের শিক্ষক ছাত্র ও জনসাধারণের প্রতিবাদ মিছিল বের হবে এবং তারপরে প্যারেড গ্রাউন্ডে আমার সভাপতিত্বে শিক্ষক - জনতার সভা হবে। যদিও এ সম্পর্কে আমি আগে কিছু জানতাম না, তবু এই মিছিল ও সভায় আমি শিক্ষক ছাত্রসহ যোগ দেই। মিছিল বেশ বড় হয়,সভায় জনসমাবেশও হয় প্রচুর। পলো গ্রাউন্ডের এই জনসভায় তিল ধারণের স্থান ছিল না তাছাড়া মাঠের চারিদিকে বাড়ীর ছাদেও অনেক নারী পুরুষ  জড়ো হয়। এই সভায় আমি জনতার সংগ্রামের সঙ্গে আমরা একাত্মতা ঘোষণা করি। বাঙ্গালীর ন্যায্য অধিকার অর্জন করা পর্যন্ত সংগ্রামের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত থাকবো সে অঙ্গীকার ও করি। এ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আব্দুল করিম,অধ্যাপক আর আই চৌধুরী  ও স্থানীয় নেতা মরহুম জহুর আহমদ চৌধুরী। উল্লেখ্য যে এই সভা অনুষ্ঠানের ব্যাপারে  যারা উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন আমার প্রাক্তন ছাত্র  এবং তৎকালে চট্টগ্রাম সরকারী কলেজের অধ্যাপক মমতাজউদ্দীন আহমদ।  সভা চলাকালে সংবাদ আসে যে অস্ত্র বোঝাই 'সোয়াত'জাহাজ থেকে অস্ত্র নামাতে বাধা দেবার জন্য প্রায় ১০/১৫ হাজার মানুষ  বন্দর এলাকায় বেষ্টনী সৃষ্টি করেছে এবং শহরের বিভিন্ন স্থানে ব্যারিকেড স্থাপন করা হচ্ছে। সভায় উত্তেজনা বাড়ে।  এমতাবস্থায় সভা মুলতবী করে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রত্যাবর্তনের চেষ্টা করি কিন্তু ক্যান্টনমেন্টের কাছে ব্যারিকেড দেখে আবার ফিরে আসি এবং রাঙ্গুনিয়া হয়ে গ্রাম্য পথ ধরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ফিরি অনেক রাতে। অচিরেই যে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর সঙ্গে নিরস্ত্র জনসাধারণের  মুখোমুখি সংঘর্ষ হতে যাচ্ছে, সে সম্পর্কে তখন আর আমার  ও আমার সহকর্মীদের মনে কোন সংশয় থাকে না।


এই পরিস্থিতিতে প্রতিরোধের একটা পরিকল্পনা গ্রহণ করা আশু প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে। ২৪ শে মার্চ সকালে UBL ** - এর আঞ্চলিক ম্যানেজার জনাব কাদের এবং চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার জনাব শামসুল হকের*** সঙ্গে টেলিফোনে আমার কথাবার্তা হয়। সেই আলাপের ভিত্তিতে হাটহাজারী ও রাউজান থানার সঙ্গে আমিটেলিযোগাযোগ স্থাপনের ব্যবস্থা করি এবং শত্রুসৈন্য পথে বেরিয়ে পড়লে স্থানীয় জনসাধারণের সাহায্যে যাতে তাদের প্রতিরোধ করতে পারি তার জন্যও পরিকল্পনা প্রস্তুত করার পদক্ষেপ গ্রহণ* করি।


২৫ শে মার্চ সারাদিন খুব  উদ্বেগের মধ্যে কাটে। শহরের বিভিন্ন স্থানে সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা হচ্ছে,এসব খবর টেলিফোনে পাই। যেমন,আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ জনাব ইউ, এন, সিদ্দীকির বাড়ীতে এসে কিছু লোক তাঁর আগ্নেয়াস্ত্র চাইলে তিনি আমাকে ফোন করেন পরামর্শের জন্য।   আমি তাকে অস্ত্র দিয়ে দিতে বলি। বিরাজমান অস্থিরতা ও উত্তেজনার ঢেউ বিশ্ববিদ্যালয়েও এসে লাগে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ও শিক্ষকদের নিয়ে আমার অফিসঘরে বসে আমরা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করি।


২৫ শে মার্চ রাত ১০ টার পরে আমার বাসায় টেলিফোন করে ঢাকা থেকে খবর দেন যে,পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর ট্যাংক ঢাকার পথে বেরিয়ে গেছে,সম্ভবত: সান্ধ্য আইন জারি হয়েছে এবং শেখ মুজিবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই খবর পেয়েই আমি শিক্ষকদের কয়েকজনকে আমার অফিসে আসতে বলি। এদের মধ্যে অধ্যাপক সৈয়দ আলী আহসান,ডঃ আর, আই,চৌধুরী,অধ্যাপক করিম,অধ্যাপক মুহম্মদ আলী,ডঃ আনিসুজ্জামান,জনাব মাহবুব তালুকদার,ওসমান জামাল ও রেজিস্টার খলিলুর রহমান ছিলেন। আমরা প্রথমে চট্টগ্রাম সাংবাদিকদের কাছে পরিস্থিতি সম্পর্কে খুঁজ নিই। তাঁরা কিছুই বলতে পারলেন না। এই সময় আমার আত্মীয়  কুমিল্লার ডি,সি. শামসুল হক খান-এর সঙ্গে ফোনে কথা হয়। তিনি জানান,যে কোন মুহূর্তে তাঁর জীবন বিপন্ন হতে পারে। কারণ তিনি বঙ্গবন্ধুর ডাকে ক্যান্টনমেন্টে গাড়ীর জ্বালানী সরবরাহ আগেই বন্ধ করে দিয়েছিলেন। আমি তাঁকে অবিলম্বে কুমিল্লা সার্কিট হাউস থেকে সরে গিয়ে গ্রামের দিকে আশ্রয় নিতে বলি। আর পর তাঁর  সঙ্গে আমার আর কোন যোগাযোগ হয়নি। তাকে সামরিক বাহিনী ধরে নিয়ে হত্যা করেছিল সে খবর অনেক দিন পরে পাই।
কুমিল্লার যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর অনেক চেষ্টায় ঢাকার 'পূর্বদেশ 'ও 'ইত্তেফাক;অফিসে এবং আমার আত্মীয় ঢাকাস্থ নরউইচ ইউনিয়ন ইনসিওরেন্স - এর তৎকালীন প্রধান কর্মকর্তা জনাব আব্দুল মান্নান খানের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করতে সক্ষম হই।  কেউ কেউ সেখান থেকে বললেন যে,একটা কিছু ঘটেছে,কেউ কেউ বলেন কোন মারাত্মক ঘটনার খবর তাঁদের জানা নেই। তবে শহরে কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে এবং ট্যাঙ্ক ও সিপাহীরা রাস্তায় টহল দিচ্ছে।  এ সময় চট্টগ্রামের একজন সাংবাদিক জানান যে,শেখ মুজিব আত্মগোপন করেছেন বলে শোনা যাচ্ছে। আমরা যখন ঢাকায় কথা বলছি,তখন ঢাকার সঙ্গে টেলিফোন সংযোগ হঠাৎ  ছিন্ন হয়ে যায় অনুমান রাত ১১ টার দিকে। আমরা আরো দু-তিন ঘণ্টা বসে থেকে আলাপ-আলোচনা করি এবং সংবাদ সংগ্রহের চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। ঢাকাতে সাংঘাতিক কিছু ঘটতে পারে  এই যুক্তির ওপর  আমি বার বার জোর দিই। এর প্রেক্ষিতে আমাদের প্রস্তুতি জোরদার করার সিদ্ধান্ত  নেই এবং সেই রাত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস চ্যান্সেলর এর অফিস আমাদের স্থানীয় সংগ্রাম প্রচেষ্টার সদর দপ্তরে পরিণত হয়। নেতৃত্বের দায়িত্ব স্বাভাবিক ভাবেই আমার ওপরে বর্তায়। সারা রাত অফিসে কাটিয়ে ভোর সাড়ে চারটায় বাসায় ফিরে এসে সবেমাত্র গোসল করতে বাথরুমে গিয়েছি তখন চট্টগ্রাম শহর থেকে কোষাধ্যক্ষ সিদ্দিকী সাহেবের ফোন পাই। তিনি জানেন যে তাঁর বাড়ীতে কয়েকজন তদানীন্তন ই বি আর -যুবক অস্ত্রসহ উপস্থিত হয়েছে।  তারা এই বাড়ীতে  ঘাঁটি স্থাপন করবে শত্রু পক্ষের মোকাবেলার জন্য। আমি  ফোনে সেই উত্তেজিত যুবকদের সাথে কথা বলে জানতে পারি যে তারা জীবন নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট থেকে অস্ত্রসহ বেরিয়ে এসেছে এবং আরও দল বের হয়ে গেছে। তাদের সঙ্গে অস্ত্র ও গুলিগোলা আছে। তারা সিদ্দিকী সাহেবের বাড়ী থেকে ক্যান্টনমেন্ট -এর সঙ্গে যুক্ত শহরের রাস্তার ওপর নজর রাখবে এবং পাকিস্তানী সৈন্য রাস্তায় বের হলেই তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করবে। এ বাড়ী তাই তাদের দরকার।  আমি সিদ্দিকী সাহেবকে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বাড়ী ছেড়ে কাছাকাছি অন্য বাড়ীতে যেতে বলি এবং এদের খাবার দাবারের ব্যবস্থা করতে বলি।  তখন শহরে স্থানে স্থানে খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। টেলিফোনে গোলাগুলির আওয়াজ পাচ্ছিলাম এবং ছেলেরাও জানাল তাদের দক্ষিণ দিকের একটা বাড়ী থেকে এ বাড়ী লক্ষ্য করে গোলা ছোড়া হচ্ছে এবং বিদ্যুতের তারের খুঁটিতে আঘাত লেগে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। পরে আমরা জানতে পারি দক্ষিণের ঐ অবাঙ্গালী বাড়িতে আগেই প্রস্তুতি হিসেবে শত্রু সৈন্য মোতায়েন ছিল।
বইটি অনেক বড় আজ/আগামী কাল/পরশু তিন দিনে পোষ্ট করবো।ছাত্র লীগ ভাইয়েরা কপি করে সংগ্রহে রাখার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরুধ রইলো।অথবা ব্লগ লিং সেভ করে রাখার অনুরুধ রইলো।


মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg