স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিল পত্র



বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধঃ দলিলপত্র থেকে বলছি (১৫তম খণ্ড) : অধ্যাপক আজিজুর রহমান।
কম্পাইল করেছেন – এইচএম ইব্রাহিম রাজু
১৯৭১ সালের মার্চ মাসে সমগ্র দেশবাসীর মতো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কর্মচারীরা অসহযোগ আন্দোলনে যোগ হয়। ৭ ই মার্চে প্রদত্ত বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ বেতার মারফত আমাদের শোনার  সুযোগ হয় ৮ই মার্চ সকালে। ঐদিনই আমার পরামর্শ অনুসারে শিক্ষকেরা একটি সভায়  মিলিত হয়ে স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করবেন বলে অঙ্গীকার করেন। এই সভায় অন্যান্যদের মধ্যে অধ্যাপক সৈয়দ আলী আহসান,সৈয়দ আব্দুল করিম, অধ্যাপক মুহাম্মদ রশিদুল হক, ডঃ আনিসুজ্জামান ও জনাব ফজলী হোসেন প্রমুখ বক্তৃতা করেন।


তখন থেকে ২২শে মার্চ পর্যন্ত স্বাধীনতা -সংগ্রামের জন্য আমরা এক ধরনের প্রস্তুতি নিই।  চট্টগ্রাম সেনানিবাসের সন্নিহিত স্থানে অবস্থিত Council of Scientific & Industrial;  Research -এর ডক্টর আব্দুল হাইয়ের সংগে অধ্যাপক রশিদুল হক ও অধ্যাপক শামসুল হককে যোগাযোগ করতে নির্দেশ দেই। কারণ তিনিও আমাদের মতই প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলে আমার জানা ছিল। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরিতে হাতবোমা, গ্রেনেড ইত্যাদি তৈরি করা যায় কিনা সে বিষয়ে Experimentকরতে অধ্যাপক শামসুল হককে গোপনীয় মৌখিক নির্দেশ দেই।  কিছু কিছু ছাত্রকে সামরিক ট্রেনিং দেবার চেষ্টা করা হয় ডঃ হাইয়ের উদ্যোগে। ইউ,ও,টি,সি-র ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক ডক্টর এস,এম,আতাহারকে আমি নির্দেশ দেই UOTC -র রাইফেলগুলো সক্রিয় করার চেষ্টা করতে। চট্টগ্রাম শহরে আয়োজিত সংস্কৃতিকর্মীদের প্রতিবাদ-সভা ও বিক্ষোভ -মিছিলে অন্যান্য অনেকের মধ্যে অধ্যাপক সৈয়দ আলী আহসান ও  ডঃ আনিসুজ্জামান সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করেন। আরও আগে চট্টগ্রাম শহরে অবস্থিত বাঙ্গালী-অবাঙ্গালী সংঘর্ষে আহতদের জন্য আমার সঙ্গে শিক্ষক-ছাত্ররা  রক্ত দান করেন।

২৩ শে মার্চ সকালে চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হয় যে, ঐদিন বিকেলে চট্টগ্রাম শহরে সকল পর্যায়ের শিক্ষক ছাত্র ও জনসাধারণের প্রতিবাদ মিছিল বের হবে এবং তারপরে প্যারেড গ্রাউন্ডে আমার সভাপতিত্বে শিক্ষক - জনতার সভা হবে। যদিও এ সম্পর্কে আমি আগে কিছু জানতাম না, তবু এই মিছিল ও সভায় আমি শিক্ষক ছাত্রসহ যোগ দেই। মিছিল বেশ বড় হয়,সভায় জনসমাবেশও হয় প্রচুর। পলো গ্রাউন্ডের এই জনসভায় তিল ধারণের স্থান ছিল না তাছাড়া মাঠের চারিদিকে বাড়ীর ছাদেও অনেক নারী পুরুষ  জড়ো হয়। এই সভায় আমি জনতার সংগ্রামের সঙ্গে আমরা একাত্মতা ঘোষণা করি। বাঙ্গালীর ন্যায্য অধিকার অর্জন করা পর্যন্ত সংগ্রামের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত থাকবো সে অঙ্গীকার ও করি। এ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আব্দুল করিম,অধ্যাপক আর আই চৌধুরী  ও স্থানীয় নেতা মরহুম জহুর আহমদ চৌধুরী। উল্লেখ্য যে এই সভা অনুষ্ঠানের ব্যাপারে  যারা উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন আমার প্রাক্তন ছাত্র  এবং তৎকালে চট্টগ্রাম সরকারী কলেজের অধ্যাপক মমতাজউদ্দীন আহমদ।  সভা চলাকালে সংবাদ আসে যে অস্ত্র বোঝাই 'সোয়াত'জাহাজ থেকে অস্ত্র নামাতে বাধা দেবার জন্য প্রায় ১০/১৫ হাজার মানুষ  বন্দর এলাকায় বেষ্টনী সৃষ্টি করেছে এবং শহরের বিভিন্ন স্থানে ব্যারিকেড স্থাপন করা হচ্ছে। সভায় উত্তেজনা বাড়ে।  এমতাবস্থায় সভা মুলতবী করে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রত্যাবর্তনের চেষ্টা করি কিন্তু ক্যান্টনমেন্টের কাছে ব্যারিকেড দেখে আবার ফিরে আসি এবং রাঙ্গুনিয়া হয়ে গ্রাম্য পথ ধরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ফিরি অনেক রাতে। অচিরেই যে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর সঙ্গে নিরস্ত্র জনসাধারণের  মুখোমুখি সংঘর্ষ হতে যাচ্ছে, সে সম্পর্কে তখন আর আমার  ও আমার সহকর্মীদের মনে কোন সংশয় থাকে না।


এই পরিস্থিতিতে প্রতিরোধের একটা পরিকল্পনা গ্রহণ করা আশু প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে। ২৪ শে মার্চ সকালে UBL ** - এর আঞ্চলিক ম্যানেজার জনাব কাদের এবং চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার জনাব শামসুল হকের*** সঙ্গে টেলিফোনে আমার কথাবার্তা হয়। সেই আলাপের ভিত্তিতে হাটহাজারী ও রাউজান থানার সঙ্গে আমিটেলিযোগাযোগ স্থাপনের ব্যবস্থা করি এবং শত্রুসৈন্য পথে বেরিয়ে পড়লে স্থানীয় জনসাধারণের সাহায্যে যাতে তাদের প্রতিরোধ করতে পারি তার জন্যও পরিকল্পনা প্রস্তুত করার পদক্ষেপ গ্রহণ* করি।


২৫ শে মার্চ সারাদিন খুব  উদ্বেগের মধ্যে কাটে। শহরের বিভিন্ন স্থানে সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা হচ্ছে,এসব খবর টেলিফোনে পাই। যেমন,আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ জনাব ইউ, এন, সিদ্দীকির বাড়ীতে এসে কিছু লোক তাঁর আগ্নেয়াস্ত্র চাইলে তিনি আমাকে ফোন করেন পরামর্শের জন্য।   আমি তাকে অস্ত্র দিয়ে দিতে বলি। বিরাজমান অস্থিরতা ও উত্তেজনার ঢেউ বিশ্ববিদ্যালয়েও এসে লাগে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ও শিক্ষকদের নিয়ে আমার অফিসঘরে বসে আমরা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করি।


২৫ শে মার্চ রাত ১০ টার পরে আমার বাসায় টেলিফোন করে ঢাকা থেকে খবর দেন যে,পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর ট্যাংক ঢাকার পথে বেরিয়ে গেছে,সম্ভবত: সান্ধ্য আইন জারি হয়েছে এবং শেখ মুজিবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই খবর পেয়েই আমি শিক্ষকদের কয়েকজনকে আমার অফিসে আসতে বলি। এদের মধ্যে অধ্যাপক সৈয়দ আলী আহসান,ডঃ আর, আই,চৌধুরী,অধ্যাপক করিম,অধ্যাপক মুহম্মদ আলী,ডঃ আনিসুজ্জামান,জনাব মাহবুব তালুকদার,ওসমান জামাল ও রেজিস্টার খলিলুর রহমান ছিলেন। আমরা প্রথমে চট্টগ্রাম সাংবাদিকদের কাছে পরিস্থিতি সম্পর্কে খুঁজ নিই। তাঁরা কিছুই বলতে পারলেন না। এই সময় আমার আত্মীয়  কুমিল্লার ডি,সি. শামসুল হক খান-এর সঙ্গে ফোনে কথা হয়। তিনি জানান,যে কোন মুহূর্তে তাঁর জীবন বিপন্ন হতে পারে। কারণ তিনি বঙ্গবন্ধুর ডাকে ক্যান্টনমেন্টে গাড়ীর জ্বালানী সরবরাহ আগেই বন্ধ করে দিয়েছিলেন। আমি তাঁকে অবিলম্বে কুমিল্লা সার্কিট হাউস থেকে সরে গিয়ে গ্রামের দিকে আশ্রয় নিতে বলি। আর পর তাঁর  সঙ্গে আমার আর কোন যোগাযোগ হয়নি। তাকে সামরিক বাহিনী ধরে নিয়ে হত্যা করেছিল সে খবর অনেক দিন পরে পাই।
কুমিল্লার যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর অনেক চেষ্টায় ঢাকার 'পূর্বদেশ 'ও 'ইত্তেফাক;অফিসে এবং আমার আত্মীয় ঢাকাস্থ নরউইচ ইউনিয়ন ইনসিওরেন্স - এর তৎকালীন প্রধান কর্মকর্তা জনাব আব্দুল মান্নান খানের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করতে সক্ষম হই।  কেউ কেউ সেখান থেকে বললেন যে,একটা কিছু ঘটেছে,কেউ কেউ বলেন কোন মারাত্মক ঘটনার খবর তাঁদের জানা নেই। তবে শহরে কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে এবং ট্যাঙ্ক ও সিপাহীরা রাস্তায় টহল দিচ্ছে।  এ সময় চট্টগ্রামের একজন সাংবাদিক জানান যে,শেখ মুজিব আত্মগোপন করেছেন বলে শোনা যাচ্ছে। আমরা যখন ঢাকায় কথা বলছি,তখন ঢাকার সঙ্গে টেলিফোন সংযোগ হঠাৎ  ছিন্ন হয়ে যায় অনুমান রাত ১১ টার দিকে। আমরা আরো দু-তিন ঘণ্টা বসে থেকে আলাপ-আলোচনা করি এবং সংবাদ সংগ্রহের চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। ঢাকাতে সাংঘাতিক কিছু ঘটতে পারে  এই যুক্তির ওপর  আমি বার বার জোর দিই। এর প্রেক্ষিতে আমাদের প্রস্তুতি জোরদার করার সিদ্ধান্ত  নেই এবং সেই রাত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস চ্যান্সেলর এর অফিস আমাদের স্থানীয় সংগ্রাম প্রচেষ্টার সদর দপ্তরে পরিণত হয়। নেতৃত্বের দায়িত্ব স্বাভাবিক ভাবেই আমার ওপরে বর্তায়। সারা রাত অফিসে কাটিয়ে ভোর সাড়ে চারটায় বাসায় ফিরে এসে সবেমাত্র গোসল করতে বাথরুমে গিয়েছি তখন চট্টগ্রাম শহর থেকে কোষাধ্যক্ষ সিদ্দিকী সাহেবের ফোন পাই। তিনি জানেন যে তাঁর বাড়ীতে কয়েকজন তদানীন্তন ই বি আর -যুবক অস্ত্রসহ উপস্থিত হয়েছে।  তারা এই বাড়ীতে  ঘাঁটি স্থাপন করবে শত্রু পক্ষের মোকাবেলার জন্য। আমি  ফোনে সেই উত্তেজিত যুবকদের সাথে কথা বলে জানতে পারি যে তারা জীবন নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট থেকে অস্ত্রসহ বেরিয়ে এসেছে এবং আরও দল বের হয়ে গেছে। তাদের সঙ্গে অস্ত্র ও গুলিগোলা আছে। তারা সিদ্দিকী সাহেবের বাড়ী থেকে ক্যান্টনমেন্ট -এর সঙ্গে যুক্ত শহরের রাস্তার ওপর নজর রাখবে এবং পাকিস্তানী সৈন্য রাস্তায় বের হলেই তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করবে। এ বাড়ী তাই তাদের দরকার।  আমি সিদ্দিকী সাহেবকে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বাড়ী ছেড়ে কাছাকাছি অন্য বাড়ীতে যেতে বলি এবং এদের খাবার দাবারের ব্যবস্থা করতে বলি।  তখন শহরে স্থানে স্থানে খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। টেলিফোনে গোলাগুলির আওয়াজ পাচ্ছিলাম এবং ছেলেরাও জানাল তাদের দক্ষিণ দিকের একটা বাড়ী থেকে এ বাড়ী লক্ষ্য করে গোলা ছোড়া হচ্ছে এবং বিদ্যুতের তারের খুঁটিতে আঘাত লেগে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। পরে আমরা জানতে পারি দক্ষিণের ঐ অবাঙ্গালী বাড়িতে আগেই প্রস্তুতি হিসেবে শত্রু সৈন্য মোতায়েন ছিল।
বইটি অনেক বড় আজ/আগামী কাল/পরশু তিন দিনে পোষ্ট করবো।ছাত্র লীগ ভাইয়েরা কপি করে সংগ্রহে রাখার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরুধ রইলো।অথবা ব্লগ লিং সেভ করে রাখার অনুরুধ রইলো।


মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা