মেজর জিয়ার বি,এন,পি যাদুঘরের পথে,মুজিবের আওয়ামী লীগের দেশে বিদেশে জয়জয়কার---। বর্তমান বি,এন,পির গন্তব্য বা ভবিষ্যত রাজনীতি কোন পয্যায়,কতটুকু বাংলাদেশের রাজনীতিতে এই দল অবদান রাখতে পারবে,বা আদৌ এই দল ঘুরে দাঁড়াতে পারবে কিনা --বিশ্লেষনের জন্য রাজনৈতিক বিশ্লেষক হওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।সাধারন একজন দিন মজুর,অথবা রিক্সাচালককে যদি প্রশ্ন করা হয়,আপনার এলাকায় বি,এন,পি দলের রাজনীতির কি খবর?সেই লোকটি তৎক্ষনাৎ যে উত্তর প্রদান করবে,একজন অতি জ্ঞানী রাজনীতি বিশ্লেষক ও হঠাৎ করে এইরুপ বলার বা কারো প্রশ্নের জবাব দেয়া সম্ভব হবে না।এক কথায় বলা যায় দলটি যে,মহাসংকটে আছে তা একবাক্যে সবাই স্বীকার করেন। বাস্তবতার আলোকে খালেদা তারেকের নেতৃত্বাধীন বিএনপি এখন চরম সংকটের মুখে। বিএনপি এখন কঠিন সময় অতিক্রম করছে।জিয়ার হাতে দল সৃষ্টির পর থেকে কোন সময় বর্তমান পরিস্থিতির মতো, এমন সংকটের মধ্যে বিএনপি আর কখনও পড়েনি।হয় ক্ষমতার স্বাদ গ্রহনে ব্যাস্ত ছিল নয়তো কাছাকাছি অবস্থানেই ছিল।তাই রাজনৈতিক বিশ্লেষকগন মনে করেন, বর্তমান সংকটকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করার মতো নেতৃত্ব বিএনপিতে গড়ে উঠেনি।এইরুপ সংকট কখনও আদৌ আসতে পারে বা আসবে তা কস্মিন কালেও খালেদা পরিবারের চিন্তায় আসেনি।এই প্রথম প্রায় নয় বছরের কাছাকাছি দলটি ক্ষমতার বাইরে থাকায়, নানা দল ও নানা মতের রাজনৈতিক ব্যক্তিদের এখন একত্রে ধরে রাখা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ এরা সবাই দলে এসেছিলেন কিছু পাওয়া কিছু নেওয়ার জন্য। কিন্তু বর্তমান বিএনপির অবস্থা দেখে এদের অনেকে ইতিমধ্যেই কেটে পড়েছেন। বাকিরাও কেটে পড়ার চিন্তা ভাবনা করছেন। এদিকে নিস্তেজ বিএনপিকে আবারও সতেজ করে তোলা অসুস্থ খালেদা জিয়ার পক্ষে এখন আর আগের মতো সহজ নয় বলেই অনেকে মনে করছেন। অন্যদিকে লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমান পরোক্ষভাবে বিএনপির নেতৃত্ব দিলেও তিনি কোনভাবেই দলকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে।দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থাকায় বিএনপি ও দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির বাস্তবতা থেকে তারেক রহমান এখন অনেক দূরে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন তিনি হয়তো ঝুঁকি নিয়ে আর দেশে ফিরে আসতে চাইবেন না। এমন অবস্থায় তার ব্রিটেনে বসবাসের সময় আরো দীর্ঘ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এছাড়া অবস্থা দেখে আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে যে, আগামী ২০১৯ সালের নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমান অবস্থায় লন্ডনে বসে বিএনপিকে তারেক রহমান কতটুকু নেতৃত্ব দিতে পারবেন সে বিষয়ে অনেকেই সন্দেহ পোষণ করেন।দেশে ফিরে না আসার বড় কারনটি হচ্ছে,সে জানে ক্ষমতায় থাকাকালে সে কতটুকু অপরাধ করেছে,বর্তমানে তাঁর শাস্তি অনিবার্য্য।সুতারাং অন্য কোন কৌশলে ক্ষমতার রদবদল করে,তাঁদের সাথে যে কোন সমঝোতার মাধ্যমে দেশে ফিরে আসা ছাড়া তাঁর কোন পথ খোলা নেই।এই কারনে গনতান্ত্রিক জনসমর্থিত দল হওয়া সত্বেও দেশব্যাপি নাশকতা করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে,একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি করা যায় কিনা,সেই চেষ্টা করে গেছেন এতদিন নিবিড় ভাবে।আগামী কয়েক বছরের মধ্যে তদ্রুপ চেষ্টা, আর করতে পারবেন না।পলিসি শতভাগ যে ব্যর্থ মা ছেলে ঠিকই বুঝে গেছেন।তাঁই নতুন কোন পথ খোলা যায় কিনা,সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছেন "মা-ছেলে"।এই ব্যাপারে যে যাই বলুক, আমি তাঁদের একেবারেই দোষ দেইনা,কারন সবাই চায় বাঁচতে-বাঁচার জন্য যা করা দরকার তাই করবে,এতে দোষের কি আছে? খালেদা জিয়ার দলের নেতাদের এবং ব্যারিষ্টারদের আচার আচরনে পরিষ্কার ধারনা মেলে কমপক্ষে চলতি দুই মামলায় খালেদা জিয়ার শাস্তি অনিবার্য্য।সুতারাং আগামিতে সংসদ নির্বাচনে তিনি অংশ নিতে পারবেন না,এটা দিবালোকের মত সত্য। দলকে নেতৃত্ব দেয়ার মত নেতা খালেদা বা তারেক ছাড়া আর কাউকে বিশ্বাস করা যায় না।কারো নেতৃত্বে বি,এন,পি ক্ষমতায় এলেও "মা-ছেলের"প্রতি বর্তমান আওয়ামী লীগ থেকে আরও কোঠোর আচরন করবে না,তার কি গ্যারান্টি? আদিকাল থেকে সব দেশের ইতিহাসের ঘটনাপঞ্জিতো তাই বলে। বিএনপির এই দুঃসময়ে দলটি আদৌ আর সামনের দিকে এগুতে পারবে না।তাই দলের অনেক কেন্দ্রীয় নেতাকে এখন খালেদা তারেকের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সমালোচনা পর্যন্ত করতে দেখা যাচ্ছে। বর্তমান অবস্থা চলতে থাকলে বিএনপির ভবিষ্যত ক্রমাগত ছোটো হয়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। যার কারণে অনেকেই মনে করছেন আর বিলম্ব না করে দলকে নুতন করে পুনর্গঠন করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থায় এ ব্যাপারে তিনি কতটুকু সফল হতে পারবেন তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। অন্যদিকে তারেক রহমান বর্তমান সিনিয়র নেতাদের সরিয়ে দিয়ে তরুণদের হাতে বিএনপির নেতৃত্ব দিতে আগ্রহী। কারণ অতীতে বিএনপির ডাকা আন্দোলনগুলোতে এসব সিনিয়র নেতাদের রাস্তায় নামতে দেখা যায়নি। অনেকের সাথে সরকারের আঁতাত রয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এসব নেতা বিএনপির শাসন আমলে বড় বড় ব্যবসা বাণিজ্যের সুযোগ পেয়েছেন। বর্তমানে এগুলোকে ধরে রাখতে তারা দলের ডাকে সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামতে আগ্রহী নন। এদের অনেকেই শুধু শুধু নিজের অর্থনৈতিক ক্ষতি ডেকে আনতে চান না। ইতিমধ্যে এধরনের সমস্যার মধ্যে জড়িয়ে পড়েছেন ঢাকা ব্যাঙ্কের মালিক মির্জা আব্বাসসহ কয়েকজন সিনিয়র নেতা। অন্যদিকে বিএনপি অদূর ভবিষ্যতে কবে আবার ক্ষমতায় আসতে পারবে কিংবা আদৌ কোনো দিন আসতে পারবে কি না সে ব্যাপারে কোনো গ্যারান্টি নেই। এমন অবস্থায় গা বাঁচিয়ে চলাটাকেই অনেক সিনিয়র নেতা উচিত বলে মনে করছেন। এদের অনেকের এখন তারেক রহমানকে পছন্দ নয়। তারেকও সুবিধাবাদী এসব নেতাদের সরিয়ে দিয়ে দলে নুতন নেতৃত্ব নিয়ে আসতে আগ্রহী। মা বেগম খালেদা জিয়ার সাথে এবার এই বিষয়টি নিয়ে তারেক রহমান সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এধরনের সিনিয়র নেতাদের উপদেষ্টা কিংবা অন্যভাবে দলের ক্ষমতাবান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে।সুতারাং দল যে ভাংছে এই ধারনা আর সম্ভাবনার পয্যায় নেই,বাস্তবতায় এসে মিশে গেছে। বর্তমান সরকারও নিজেদের স্বার্থে চাইবে বিএনপি ভেঙ্গে যেন কয়েক ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। এব্যাপারে সরকার প্রয়োজনে বিপক্ষ শক্তির প্রতি মদদ দিবে,দেওয়া স্বাভাবিক,বঙ্গবন্ধুর পরিবারের প্রতি তাঁরা যে আচরন করেছে,তা যদি শেখ হাসিনার মনে থাকে,মদদ না দিয়ে পারেনা বলে অনেকে মনে করেন। ইতিমধ্যেই অনেকে বলছেন, এই মুহূর্তে যদি খালেদা জিয়ার কোনো কিছু হয়ে যায় তাহলে বিএনপি ভেঙ্গে কয়েক টুকরো হয়ে যেতে পারে। এমন অবস্থায় খালেদা জিয়ার লন্ডন সফর অবশ্যই গুরুত্ব বহন করছে। তিনি লন্ডনযাওয়ার প্রাক্কালে আদালতের নিয়ম অনুযায়ী পারমিশন নিয়েছিলেন কিনা-সে ব্যাপারে সরকার থেকে এখন পর্যন্ত পরিষ্কারভাবে কিছু বলা হয়নি। কারণ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা নিয়মমাফিক চলে আসছে। এই অবস্থায় দেশের বাইরে যাওয়ার নো অবজেকশন সার্টিফিকেট আদালত তাকে দিয়েছিল কি না,সরকারের পক্ষ থেকে সে সম্পর্কে এখনও কিছু বলা হয়নি। অনেকে বলছেন, খালেদা জিয়া লন্ডন থেকে আর আসবেন না। শারীরিক অসুস্থতার অজুহাতে তার দীর্ঘ সময় পরিবারের সাথে থাকার সম্ভবনা রয়েছে। এই অবস্থায় দেশে বিএনপির নেতৃত্বের ভার তারেকের স্ত্রীকে দেয়া হচ্ছে এমন গুজব বাজারে আছে। যাকে দেওয়া হবে তাকে অবশ্যই অত্যন্ত বিশ্বস্ত হতে হবে। বর্তমানে যারা বেগম খালেদা জিয়ার আশেপাশে আছেন তাদের বিরুদ্ধে দলের ভেতরে রয়েছে বিভিন্ন অভিযোগ।কেহই দল পরিচালনা করার মত যোগ্যতা সম্পন্ন নন খালেদা পরিবার মনে করেন। পর্যবেক্ষক মহলের মতে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতির সুযোগে বর্তমানে বিএনপির সিনিয়র নেতারা নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে দলের ভবিষ্যত নেতৃত্বের ব্যাপারে একটা সমঝোতায় এসে ঘাপটি মেরে বসে আছেন।তাঁরা মনে করেন, দলের জনপ্রিয়তা এখনো বর্তমান। সুতরাং ২০১৯ সালের নির্বাচনে জিয়াউর রহমানের নাম সামনে রেখে খালেদা-তারেকবিহীন বিএনপি গঠন করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে দলের পক্ষে ভালো ফলাফল আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এইসময় যদি খালেদা জিয়া আবারও তত্বাবধায়ক সরকার কিংবা কোনো নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে জামায়াতকে সাথে নিয়ে আন্দোলনে নামেন, তাহলে দলের ভবিষ্যত অস্তিত্ব কঠিন সমস্যার মধ্যে পড়ার সম্ভবনা রয়েছে। অন্যদিকে আগামী নির্বাচনের আগে সরকার হয়তো জামায়াতের সকল রাজনৈতিক কার্যকলাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে পারে। ফলে এককভাবে বিএনপির পক্ষে নির্বাচনের মাধ্যমে আবার ক্ষমতায় আসা কোনো দিন আর সম্ভব হবে না বলেই অনেকে মনে করছেন। পরিসংখ্যান অনুসারে, বিএনপির পক্ষে এখন পর্যন্ত ৩০% ভোট আসার সম্ভবনা রয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। তবে দল ভেঙ্গে গেলে ভোটের ফলাফল আরো খারাপ হবে- বলেই পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন। ২০০১ সালের এক পরিসনখ্যানে দেখা গিয়েছিল, বাংলাদেশের ৩০% মানুষ সরাসরি আওয়ামী লীগবিরোধী মনমানষিকতা পোষন করেন।এখন অবশ্য অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে।তার পরও ধরে নিতে পারি, এই জনগোষ্ঠী আওয়ামী লীগ ও ভারতবিরোধী যে কোনো মোর্চায় সবসময় সমর্থন জানাবে। এই জনগোষ্ঠীকেই সম্ভবত খালেদা-তারেকবিহীন বিএনপি আগামীতে তাদের পক্ষে নিয়ে আসার চেষ্টা করবে। ২০১৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা শক্তিশালী বিরোধী দলের ভূমিকায় আসার একটা বড় সুযোগ আশা করে। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে খালেদা জিয়ার লন্ডন সফর ও পরবর্তিতে তার সাংগঠনিক কর্মসূচির ওপর। বাংলাদেশের জনগণ চায় দেশে একটা শক্তিশালী বিরোধী দলের অবস্থান। বর্তমানে এরশাদের জাতীয় পার্টিকে কেউ বিরোধী দল হিসেবে দেখছে না। কারণ সরকারের সাথে আপোষ করে তারা ক্ষমতায় রয়েছে। অন্যদিকে অনেকে মনে করেন, বিএনপির এই দুর্বলতার সুযোগে এরশাদের জাতীয় পার্টি ক্ষমতা থেকে সরে এসে সরকার বিরোধী দলের ভূমিকায় মাঠে নামলে জনগণের একটা ভালো সমর্থন দলটির পক্ষে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ক্ষমতায় থাকা আর না থাকা নিয়ে দলটির মধ্যে বর্তমানে রয়েছে মতানৈক্য। এই কারণে এরশাদের ইচ্ছা থাকা সত্বেও তিনি জাতীয় পার্টিকে সরকারবিরোধী ভূমিকায় নিয়ে আসতে পারছেন না। অনেকের মতে, বিএনপিকে ঠেকাতে সরকারের সাথে একটি আলোচনার মাধ্যমে জাতীয় পার্টিকে বিরোধী দলের ভূমিকায় রাজনৈতিক ভাবে মাঠে নামানোর চেষ্টা হচ্ছে। এখন প্রশ্ন হলো বর্তমান অবস্থায় এরশাদ কি পারবেন জাতীয় পার্টিকে বিরোধী দল হিসেবে সঠিকভাবে নেতৃত্ব দিতে?একেক সময় একেক রকম বিবৃতি দিয়ে জনগনের নিকট দলটি পাগলের দল হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে।জনগনের নিকট আদৌ এরশাদের কোন গ্রহন যোগ্যতা নেই।তাঁদের দ্বারা কি বিরুদি দলের ভুমিকা পালন করা সম্ভব হবে? কিংবা খালেদা-তারেকবিহীন বিএনপি কি পারবে আগামী নির্বাচনে বিরোধী দলের আসনে বসতে? বিএনপির বর্তমান দুঃসময়ের সুযোগে কর্নেল অলি, ব্যারিস্টার হুদা ও বদরুদ্দোজা চৌধুরীসহ কয়েকজন নেতা বিএনপিতে ফিরে আসার পায়তারা করছেন। তবে তারা বিএনপিতে এলে দলের বর্তমান অবস্থার আদৌ কোনো পরিবর্তন হবে কি না তাতে সন্দেহ রয়েছে। বরং আরো খারাপও হতে পারে। কারণ এই তিন জনই তিন মেরুর মানুষ। অন্যদিকে অলি ও বদরুদ্দোজা একসময়ে এক হয়েও এক থাকতে পারেননি।গত জীবনে ক্ষমতার প্রতিযোগিতায় তারা কেউ কাউকে মানতে বা ছাড় দিতে রাজি হননি।বি,এন,পিতে এলে তাঁরা দুইজন আগের অবস্থায় ফিরে যাবেন না তাও বলা যায় না। কামাল,ইউনুস,ইব্রাহীম,কাদের, অলি, হুদা ও বদরুদ্দোজা এখন বাংলাদেশের রাজনীতিতে আদৌ কোনো গুরুত্ব বহন করেন না। এই অবস্থায় বেগম খালেদা জিয়া জেনে শুনে খাল কেটে কুমির নাও আনতে পারেন। যদিও তিন জনই আপ্রাণ চেষ্টা করছেন বিএনপির এই ক্রাইসিসকে সদ্ব্যবহার করে নিজেদের অবস্থান বিএনপিতে পাকাপোক্ত করতে। উল্লেখযোগ্য যে, একসময় এই তিনজনই বিএনপি থেকে বের হয়ে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রচন্ড সমালোচনা করেছেন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে বর্তমানে একটা পরিবর্তন প্রয়োজন বলে পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন। দেশে এখন কোনো কায্যকর জনসমর্থিত,দেশপ্রেমে উদবুদ্ধ বিরোধী দল নেই।এটা দিবা লোকের মত সত্য কথা। চারিদিকে শুধু আওয়ামী লীগের জয় জয়কার। অন্যদিকে বিএনপি গত নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে নাশকতায় অংশ নিয়ে, আগুন সন্ত্রাস করে, মানুষ পুড়িয়ে মারা,ধন সম্পদের বেহাল ক্ষতি সাধন করাতে জনগন তাঁদের এখন আর ভাল চোখে দেখছে না।জনগনের কটুবাক্য নিক্ষেপে নেতারাও নিস্ক্রিয় হওয়া শুরু করেছেন।এমতবস্থায় দিন দিন দলটি দুর্বল হয়ে আসছে। বর্তমানে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত তাদের কোথাও আর দেখা যায় না। অনেকে দল পরিবর্তন করে আওয়ামী লীগে চলে আসছেন। এইকারণে আজ একটি প্রশ্ন সবার সামনে এসে দাঁড়িয়েছে, বিএনপির বিকল্প কি? কারণ বিএনপি বর্তমানে যেখানে অবস্থান করছে সেখান থেকে তাদের আগের জায়গায় ফিরে আসা আদৌ আর সম্ভব হবে না- তাতে কোন সন্দেহ নেই।এই সন্দেহ বি,এন,পির খোদ নেতারাও করেন না। এখন বিএনপিতে থাকা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি চিন্তা ভাবনা করছে জিয়ার নামকে সামনে রেখে খালেদা-তারেকবিহীন বিএনপি প্রতিষ্ঠার কথা। খালেদা জিয়ার লন্ডন অবস্থানকালে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বড় একটা অংশ খালেদা তারেককে বাদ দিয়ে দল পুর্নগঠন করার প্রকিয়া শুরু করবেন। খালেদা জিয়া যদিও আসেন,সিনিয়রদের বাদ দিয়ে দল পুর্ংঠন করার চেষ্টা করেন,তাহলেও বড় রকমের একটা উত্থান পতন ঘটবে এতে কোন সন্দেহ নেই। তবে সব কিছুই নির্ভর করতে পারে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ভবিষ্যত সাংগঠনিক ভাবে কতটুকু পরিপক্ষতা সহকারে দলের কায্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন। লন্ডন থেকে এসে খালেদা জিয়া যদি তারেক রহমানের পরামর্শ অনুসারে বিএনপিতে একটা পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেন তখন বয়োজৈষ্ঠ নেতাদের খালেদা-তারেকবিহীন বিএনপি প্রতিষ্ঠার কথা ঘোষণা দেওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে নিশ্চিত করে বলা যায়। খালেদা জিয়া দলের এই কঠিন সময়ে কি ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন এটাই এখন দেখার বিষয়। অন্যদিকে তিনি লন্ডনে কতদিন অবস্থান করবেন তাও এখন আর নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছেন না।সহসা ফিরে আসা না আসার মধ্যে দলের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। বিএনপির এই অভ্যন্তরীণ কোন্দলে সরকার কি চুপ করে বসে থাকবে? নিশ্চই না! ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা খালেদা তারেক বিহীন বিএনপি গঠনের কথা প্রকাশ্যে মিডিয়ায় বলেছেন।আওয়ামী লীগ চায় বি,এন,পি থাকুক অবশ্যই বিএনপি থাকবে।তবে খালেদা-তারেকের নেতৃত্বে নয়। সুতরাং আজ হোক আর কাল হোক অবশ্যই আসবে খালেদা-তারেকবিহীন বিএনপি। গনতন্ত্র মনা দেশপ্রেমিক কোন ব্যাক্তি চাইবে না বা চাইতে পারেনা শক্তিশালী সরকারী দলের বিপরীতে বিরুদীদল শক্তিহীন থাকুক।কোন গনতান্ত্রিক দেশের ও কাম্য নয়।যাহাই ঘটুক,যাহাই হোক,দেশ পরিচালনার জন্য,উন্নয়ন অগ্রগতি নিরবিচ্ছিন্ন রাখার মানষে শক্তিশালী, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের,স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসি গনতান্ত্রীক দেশপ্রেমিক, দায়ীত্বশীল বিরুদি দলের একান্ত কাম্য,বর্তমান প্রেক্ষাপটে।এই সত্যকে অস্বিকার করার অর্থই হবে, দেশের ভবিষ্যতকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেয়া। বি,এন,পি সম্পর্কে যে দিক থেকে আলোচনা করিনা কেন,ভবিষ্যতের দিকে তাকালে কেবলেই দেখা যায় যাদুঘর।আল্লাহর সরাসরি হস্তক্ষেপ ছাড়া এই দল বাংলাদেশের রাজনীতিতে কস্মিনকালেও সফল হবে না,বা সফল ভাবে ফিরে আসতে পারবে না,শতভাগ নিশ্চিত করেই বলা যায়।সুতারাং এখনি বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরন ঘটুক ইহাই কামনা করি মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে।আল্লাহ যেন আমাদের দেশে সুস্থ্যধারায় রাজনীতির চর্চা অব্যাহত রাখার ক্ষমতা সম্পন্ন নেতার আবির্ভাব ঘটিয়ে দেন,এই কামনাই করি। " জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু" " জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা"

ভবিষ্যত বাংলাদেশ বিনির্মানের জন্য সত্যিকারের দেশপ্রেমিক,মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ,গনতান্ত্রিক মুল্যবোধে বিশ্বাসি বিরুদি দলের একান্ত কাম্য।একদলে কখনই গনতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানীক ভাবে গড়ে তোলা সম্ভব নয়।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা