বহুল আলোচিত আই,সি,টি ও সাইবার অপরাধ দমন আইনে শিথিলতা বিড়ম্বনার কারন হতে পারে================================== নব্বইয়ের দশকে বি,এন,পি ক্ষমতায় এসে মাত্র ২/৩টি মোবাইল কোম্পানীকে ব্যবসার অনুমতি দিয়ে মোনোপলি ব্যবসার সুযোগ করে দেয়।ইউনুস সাহেবের পল্লিফোনের এক একটা সিমের দাম এক লক্ষ বিশ /ত্রিশ হাজার টাকায় গ্রামের গরীব মহিলাদেরকে লোনের উপর ব্যবসা করার জন্য দেয়।প্রতি মিনিট দশ টাকা ইনকামিং এবং আউট গোয়ীং পাঁচ টাকা করে গ্রামের বাজারে ব্যবসা শুরু করে।কত কোটি টাকা জাল জালিয়াতির মাধ্যমে গ্রামীন ব্যাংক পাবলিক থেকে নিয়ে গেছে তাঁর হিসেব আজ পয্যন্ত কোন বিশেষজ্ঞ অংক করে বের করতে পারেননি।পরবর্তিতে সিটি সেল ও একটেল বাজারে এলে দাম কমে ৪০/৪৫হাজার টাকায় স্থির হয়।ঐ সময়ে অপটিক্যাল ক্যবল বিনে পয়সায় বাংলাদেশকে অপার করলেও খালেদা সরকার তা গ্রহন করেননি। কারন হিসেবে বলা হয়েছিল দেশের গুরুত্ব পুর্ন তথ্য বাহিরে প্রকাশ হয়ে যাওয়ার কথা।তখন যদি অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপন করা সম্ভব হত দেশ ডিজিটালাইজেসনের পথে আরও অগ্রগামী থাকতো নিদ্ধিদায় বলা যায়।ছিয়ানব্বইতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে এই ক্ষেত্রে সকল নিশেদাজ্ঞা প্রত্যাহার করে বাজারের বন্ধ দরজা খুলে দেয়।ফলে মোবাইল এবং সিমের দাম কমতে থাকে।বর্তমানে সীম মোবাইলের সাথে ফ্রি পাওয়া যায়,অনেক ক্ষেত্রে আরও অগ্রগামি হয়ে ১০০/টাকা রিসার্জ করলে সীম বিনাপয়সায় পাওয়া যায়।এই সহজলভ্যতার ও খারাপ দিক লক্ষনীয় ভাবে ফুটে উঠেছে।অল্পবয়স্ক ছেলে মেয়েদের হাতে মোবাইল চলে যাওয়ার কারনে সমাজে অস্থিরতাও সৃষ্টি হয়েছে,অপব্যায়তো বেড়েছেই।এমন ও দেখা যায় দিনরাত চব্বিশ ঘন্টা কানের কাছে মোবাইল ধরে বসে আছে। ব্যবসা বানিজ্য যোগাযোগে যেমন বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে অন্যদিকে ছেলে মেয়েরাও তাঁদের যাহা করার বয়স এখনও হয়নি তাহাই করে যাচ্ছে।যৌবনে যাহা প্রযোজ্য তাহাই কিশোর বয়সে ঘটে যাচ্ছে অবলীলায়।মোবাইলই হলো প্রথম ডিজিটাল প্রযুক্তি যেটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রবেশ করে জীবন মান দ্রুত পরিবর্তন করে দিয়েছে। সমাজের সব স্তরে এভাবে আর কোনো ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রবেশ করেনি। আমরা রেডিও-টিভির কথা বলতে পারি। সে সমস্ত প্রযুক্তি অনেক আগেই এসেছে কিন্তু মানুষের জীবন মানের উপর তেমন প্রভাব পড়েনি। যেভাবে মোবাইল এসেছে সেভাবে আর কোন প্রযুক্তি আসেনি। রেডিও-টিভি একপক্ষীয়। এসব থেকে আমরা তথ্য পেতাম। কিন্তু মোবাইল হলো দ্বিপক্ষীয়, ইন্টার এ্যাকটিভ যোগাযোগ মাধ্যম। ফলে এটি কেবলমাত্র ফোনের প্রযুক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এটি এসএমএসের সহায়তায় ডাটা আদান-প্রদানে আমাদের যুক্ত করেছে। এতে সাউন্ড ও ভিডিও যুক্ত হয়েছে এবং ইন্টারনেটের সহায়তায় ডিজিটাল সভ্যতা বা জ্ঞানভিত্তিক সভ্যতার মাঝেআমরা প্রবেশ করেছি।ভাব চক্করে মনে হচ্ছে, মোবাইলের মতো একটি যন্ত্র যাতে ইন্টারনেট ও কথা বলার সুযোগ থাকবে সেটিই হবে আগামী দিনের ডিজিটাল যন্ত্র। যাহোক ইন্টারনেটই যে সব প্রযুক্তির কেন্দ্র, সেটি নিয়ে কারো কোনো সন্দেহ থাকার কথা নয়।ফেইজ বুক বর্তমানে সবচাইতে বড় ও গভীর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।বর্তমানে বাংলাদেশে ষোল কোটি মানুষ তম্মধ্যে তের কোটি মোবাইল ব্যাবহারকারী রয়েছে।ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে মোবাইলের বদৌলতে টেলিঘনত্বের মাপকাঠিতে অনেক ওপরে আছে বাংলাদেশ। আমাদের মোবাইলের ব্যবহারও অবিশ্বাস্য গতিতে বেড়েছে। কোনো সন্দেহ নেই যে, উভয়ক্ষেত্রেই আমাদের অল্প বয়সের মানুষরা এতে বেশি করে যুক্ত হচ্ছেন বিশেষ করে স্কুল কলেজ গামী ছেলে মেয়েরা। মোবাইল ও ইন্টারনেট নামক ডিজিটাল যুগের দুটি যোগাযোগ মাধ্যমের প্রসারের ফলে দেশেরর সার্বিক অগ্রগতি হবে এবং হচ্ছে এটি অর্থনীতিবিদদের ধারনা।সার্বিকভাবে ইন্টারনেটের প্রভাব এখন আর আগের মতো ই-মেইল, ফেসবুক, টুইটার বা গুগল সার্চের মধ্যেই সীমিত নয়। বিশেষ করে থ্রিজি বা ৪জি প্রযুক্তির বদৌলতে ইন্টারনেট একটি ডিজিটাল জীবনধারা গড়ে তুলছে। মানবসভ্যতা এর আগে আর কখনো এমন গভীর প্রভাব বিস্তারকারী প্রযুক্তির মুখোমুখি হয়নি।এর পরবর্তিতে আরও উন্নত প্রযুক্তি ৫/৬/৭জি আসবেনা তা কি বলা যায়? আগামী দিনের রাজনীতি, আন্দোলন,জনমত সংঘটন,ভোটের ব্যরোমিটার উঠানামা সব কিছুই ফেইজ বুক,গুগল,ইন্টারনেটের মাধ্যমে হবে ইহা নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়।শাহবাগের জমায়েত এবং সফল আন্দোলন তাঁরই প্রকৃষ্ট প্রমান।মোবাইল ও ইন্টারনেট জীবনধারায় কি প্রভাব ফেলবে সেই আলোচনা করতে হলে প্রথমেই বুঝতে হবে এসব প্রযুক্তি মানুষের জীবনযাপনে কি পরিবর্তন এনেছে। উনিশ শতকের আশির দশকের মাঝামাঝিতে আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেলের টেলিফোন এবং ১৯৬০ সালে পরস্পরের তথ্য বিনিময়ের নেটওয়ার্ক কালক্রমে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব হয়ে এখন যখন মোবাইল ও ইন্টারনেটের সভ্যতা তৈরি করেছে তখন বস্তুত এটি জীবনের প্রায় সব অলিন্দ্যে প্রবেশ করে জীবনের অংশ হয়ে বসে আছে। মোবাইল তো বটেই ইন্টারনেট এখন জীবনের সব যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, ভাব বিনিময়, তথ্য-উপাত্ত বিনিময় ও সামাজিক-ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যম। এটি এখন কেবল কথা বা লেখা বিনিময় করে না, সাউন্ড, ভিডিও-এর পাশাপাশি একটি চমৎকার ইন্টারএ্যাকটিভ মাধ্যম হিসেবে এই প্রযুক্তি গড়ে উঠেছে। থ্রিজি প্রযুক্তির মোবাইল থেকেই আমরা বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ স্যাটেলাইট টিভিগুলো মোবাইল ফোনে দেখি। ইন্টারনেট মাধ্যমটি এখন টিভি দেখার, ভিডিও দেখার, গান শোনার, সিনেমা দেখার এবং লেখাপড়া করার শ্রেষ্ঠতম মাধ্যম। এই মাধ্যমটি এখন ব্যবসা-বাণিজ্যের বা শিল্প কলকারখানার কেন্দ্রবিন্দু। এমনকি ইন্টারনেট এখন রাজনীতির সবচেয়ে বড় মাধ্যম। রাজনীতিবিদ-মন্ত্রী, সংসদ সদস্যরা এখন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে মনের ভাব তাঁর নির্বাচনী এলাকার মানুষকে জানান দিচ্ছেন।ঐ এলাকার মানুষ ও পোষ্ট বা স্টেটাস দিয়ে তাঁর এলাকার সমস্যাদির কথা এম,পি মহোদয়কে জানিয়ে দিচ্ছেন। গণজাগরণ মঞ্চের জন্ম, বিস্তার ও বিকাশ এবং হেফাজতে ইসলামসহ নানা প্রকৃতির মানুষের ডিজিটাল অপরাধ বিষয়ক বক্তব্য প্রত্যহ প্রকাশিত ও প্রচারিত হচ্ছে। এখন বাংলাদেশ সম্ভবত এই বিষয়টি নিয়েই অনেক বেশি আলোড়িত,আলোচিত,সমালোচিত।অনেকেই ইতিমধ্যে এই সমস্ত মাধ্যমের খারাপ দিক গুলীর নেশায় আসক্ত হয়ে সব ভুলে একাকিত্বতায় ভুগছেন।মোবাইলের সুবিধা যেমন অবারীত হচ্ছে,তাঁর সাথে যুক্ত হচ্ছে ডিজিটাল অপরাধ বিষয়ক নানাবিদ কর্মকান্ড।বর্তমানে যে সকল অপরাধ কর্ম সংঘটিত হচ্ছে মোবাইলের ব্যবহার সেখানে না থেকে পারে না।এমন ও দেখা যায় কোন অপরাধি চির্হিত হলে তাঁর দখলে একাধিক মোবাইল সিম পাওয়া যাচ্ছে।এতেই বুঝা যাচ্ছে সিমের অপব্যবহার হচ্ছে যথেচ্ছ ভাবে।মোবাইল কোম্পানীগলী ব্যবসার উদ্দেশ্যে যত্রতত্র ভাবেই সিম বিক্রি করে দিচ্ছে।বর্তমান সরকার সিম নাম্বার অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।নি:সন্দেহে এটা একটি ভাল উদ্যোগ হতে পারে।কলরেটের ক্ষেত্রে আর ও একধাপ প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হলে ব্যাবহার কারিরাই উপকৃত হবে।যাহাই সিদ্ধান্ত নেয়া হোক না কেন, মন্দদিক থাকবে।অপরাধ প্রক্রিয়ায় যুক্ত হবে অন্য আর এক প্রকার কৌশল। অদোপান্ত বিশ্লেষন করলে দেখা যায় ক্ষেত্রটি যেহারে প্রসারীত হচ্ছে, ব্যক্তিজীবন,রাজনীতি,সামাজিক জীবন,অপরাধ প্রবনতা ইত্যাদি, সেমত কিরে উহাকে নিয়ন্ত্রন বা সৃষ্ট অপরাধ প্রবনতা নিয়ন্ত্রন করার মত তেমন কোন আইন বা বিধি বিধান গড়ে উঠেনি।যেটুকু গড়ে উঠেছে সেইটুকু আবার অপব্যাবহার হতেও দেখা গেছে।যেমন ৫৭ধারায় সাংবাদিক প্রবির শিকদারকে গ্রেপতার করে রিমান্ড দেয়া হল।আবার ফেইজবুকের কল্যানে রিমান্ড বাতিল করে মুক্তি ও পেল।মুলত আই,সি,টি আইন গড়ে উঠে নাই বলে প্রবির শিকদার ৫৭ ধারার অপব্যাবহারের শিকার হলেন।আইসিটি আইন প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবী ও ব্যবহারকারী এবং বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান সময়ের তাগিদে এ রকম একটি আইন প্রণয়ের জন্য সোচ্চার ছিলেন। ২০০৬ সালে প্রণীত হওয়ার পর থেকে দুবার কয়েকটি ধারায় সংশোধনী এনে এই আইনকে কঠোর করা হয়েছে। তারপর থেকেই মূলত একেকটি ঘটনা ঘটে আর মাঝে মাঝে আইসিটি আইন নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। কোনো কোনো ধারা বাতিলের দাবি ওঠে, আদালতে রিট হয়, পত্রপত্রিকা আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। আইন অপপ্রয়োগের সুযোগ থাকলে এবং সেই সুযোগ ব্যবহৃত হলে এরকমটি ভবিষ্যতেও ঘটবে এটি নিঃসন্দেহে বলা যায়। তাই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারাসহ যেসব ধারায় শাস্তির বিধান রয়েছে সে সবের চেয়ে যেসব ধারা, বিশেষত ৭৬ ও ৮৬ ধারাসহ অন্যান্য ধারায় বর্ণিত বিধান বলে প্রথমোক্ত ধারাগুলোকে বিপজ্জনক করা হয়েছে, সেগুলোতে রদবদল এনে এই আইনে ভারসাম্য নিয়ে আসার প্রয়োজন।অন্যদিকে, সরকার ইতোমধ্যে ‘সাইবার সিকিউরিটি আইন’ প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ আইনের একটি খসড়া প্রণয়ন করে আইসিটি ডিভিশনের সংশ্লিষ্ট সংস্থা, সংগঠন, পেশাজীবী, আইনজীবী প্রমুখের মধ্যে বিতরণ পূর্বক তাদের সঙ্গে পর্যালোচনা সভা করে একটি চূড়ান্ত প্রস্তাব দেয়ার দ্বারপ্রান্তে রেয়েছে। অচিরেই মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদনের পর সংসদে বিল আকারে উত্থাপন ও পাস হয়ে তা চূড়ান্ত আইনে রূপলাভ করবে। মূলত সাইবার জগতের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ এবং নিয়ন্ত্রণের জন্যই ‘সাইবার সিকিউরিটি আইন’ প্রণয়ন করা হচ্ছে। তবে প্রশ্নের উদ্রেক ঘটা অস্বাভাবিক নয় যে, ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি’ বিষয়ক কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে দেশে ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন’ বিদ্যমান আছে। এই প্রযুক্তির মধ্যেই সাইবার জগতের জন্য কঠোর বিধান প্রয়োজন অনুভুত হচ্ছে। ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন’ এবং প্রণীতব্য ‘সাইবার সিকিউরিটি আইন’-আলাদা আলাদা বাঞ্চনীয়।আপাত দৃষ্টে উভয়ের ধরন একই মনে হলেও অপরাধ প্রবনতার মধ্যে স্পষ্টতই ব্যবধান লক্ষনীয়। খসড়া ‘সাইবার সিকিউরিটি আইন’-এর মধ্যে ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন’-এর বেশ কিছু বিধানাবলি এক রকম হওয়ার কারনে সমালোচনা হতে পারে।কিন্তু ভেবে দেখা প্রয়োজন যে অপরাধের ধরন এক নহে।কোন কোন মহল থেকে বিধানাবলীর পুনরোক্তি রদের জন্য দাবি উত্থাপিত হচ্ছে।তাঁদের যুক্তি হচ্ছে যে, আইন দুটির মধ্যে একই ধরনের বিধান বিদ্যমান থাকলে, কোন আইন কখন কোন অপরাধের বেলায়, কার জন্য প্রয়োগ করা হবে বা কে কোন আইনের আশ্রয় গ্রহণ করবেন তা নিয়ে জটিলতা বা দ্বিধা-দ্বন্ধের সৃষ্টি হতে পারে। তাই এই দুটি আইনের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা আবশ্যক। সে ক্ষেত্রে সাইবার সিকিউরিটি আইন প্রণয়নের প্রাক্কালে আইসিটি আইনেও প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনে দুটি আইনে সার্বিক ভারসাম্য রক্ষাপূর্বক সম্ভাব্য জটিলতা এড়ানোর ব্যাবস্থা গ্রহণ করার জন্য বলছেন।যুক্তি কেবলই মন্দ নহে,তবে ভেবে দেখা প্রয়োজন সাইবার অপরাধে যারা জড়িত হওয়ার সম্ভাবনা আই,সিটি এ তদ্রুপ অপরাধের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন,গুটিকতক অপরাধির অপরাধের কারনে আই,সি,টির সুবিধা থেকে গনহারে বঞ্চিত করা ঠিক হবে কিনা।রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপুর্ন সাইট হ্যাক করা আর মন্ত্রীর বিরুদ্ধে পোষ্ট দিয়ে বিরুদিতার মধ্যে অবশ্যই পার্থক্য আছে।যেহেতু পার্থক্য আছে সেহেতু আইনের মধ্যেও পার্থক্য রাখা উচিৎ আমি মনে করি। আই,সি,টি এবং সাইবার দুটি কে প্রয়োজনে আলাদা আলাদা নিয়ন্ত্রন সংস্থা সৃষ্টি করে আলাদা আলাদা আইন করা প্রয়োজন।নচেৎ এই দুটি প্রযুক্তি মানুষের জীবনের সাথে যেভাবে জড়িয়ে আছে এতে বিড়ম্বনার সম্ভাবনা আরো বেশী করে জড়িয়ে আছে।আইনের কঠোরতায় বিগ্ম ঘটলে,সেবা নেয়া দুষ্কর হবে।জননন্দিত ব্যাক্তিদের সম্মানহানীর সম্ভাবনা থেকেই যাবে।ক্ষেত্র বিশেষ অপপ্রয়োগের কারনে শিথিলতা কাম্য নহে।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন