বহুল আলোচিত আই,সি,টি ও সাইবার অপরাধ দমন আইনে শিথিলতা বিড়ম্বনার কারন হতে পারে================================== নব্বইয়ের দশকে বি,এন,পি ক্ষমতায় এসে মাত্র ২/৩টি মোবাইল কোম্পানীকে ব্যবসার অনুমতি দিয়ে মোনোপলি ব্যবসার সুযোগ করে দেয়।ইউনুস সাহেবের পল্লিফোনের এক একটা সিমের দাম এক লক্ষ বিশ /ত্রিশ হাজার টাকায় গ্রামের গরীব মহিলাদেরকে লোনের উপর ব্যবসা করার জন্য দেয়।প্রতি মিনিট দশ টাকা ইনকামিং এবং আউট গোয়ীং পাঁচ টাকা করে গ্রামের বাজারে ব্যবসা শুরু করে।কত কোটি টাকা জাল জালিয়াতির মাধ্যমে গ্রামীন ব্যাংক পাবলিক থেকে নিয়ে গেছে তাঁর হিসেব আজ পয্যন্ত কোন বিশেষজ্ঞ অংক করে বের করতে পারেননি।পরবর্তিতে সিটি সেল ও একটেল বাজারে এলে দাম কমে ৪০/৪৫হাজার টাকায় স্থির হয়।ঐ সময়ে অপটিক্যাল ক্যবল বিনে পয়সায় বাংলাদেশকে অপার করলেও খালেদা সরকার তা গ্রহন করেননি। কারন হিসেবে বলা হয়েছিল দেশের গুরুত্ব পুর্ন তথ্য বাহিরে প্রকাশ হয়ে যাওয়ার কথা।তখন যদি অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপন করা সম্ভব হত দেশ ডিজিটালাইজেসনের পথে আরও অগ্রগামী থাকতো নিদ্ধিদায় বলা যায়।ছিয়ানব্বইতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে এই ক্ষেত্রে সকল নিশেদাজ্ঞা প্রত্যাহার করে বাজারের বন্ধ দরজা খুলে দেয়।ফলে মোবাইল এবং সিমের দাম কমতে থাকে।বর্তমানে সীম মোবাইলের সাথে ফ্রি পাওয়া যায়,অনেক ক্ষেত্রে আরও অগ্রগামি হয়ে ১০০/টাকা রিসার্জ করলে সীম বিনাপয়সায় পাওয়া যায়।এই সহজলভ্যতার ও খারাপ দিক লক্ষনীয় ভাবে ফুটে উঠেছে।অল্পবয়স্ক ছেলে মেয়েদের হাতে মোবাইল চলে যাওয়ার কারনে সমাজে অস্থিরতাও সৃষ্টি হয়েছে,অপব্যায়তো বেড়েছেই।এমন ও দেখা যায় দিনরাত চব্বিশ ঘন্টা কানের কাছে মোবাইল ধরে বসে আছে। ব্যবসা বানিজ্য যোগাযোগে যেমন বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে অন্যদিকে ছেলে মেয়েরাও তাঁদের যাহা করার বয়স এখনও হয়নি তাহাই করে যাচ্ছে।যৌবনে যাহা প্রযোজ্য তাহাই কিশোর বয়সে ঘটে যাচ্ছে অবলীলায়।মোবাইলই হলো প্রথম ডিজিটাল প্রযুক্তি যেটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রবেশ করে জীবন মান দ্রুত পরিবর্তন করে দিয়েছে। সমাজের সব স্তরে এভাবে আর কোনো ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রবেশ করেনি। আমরা রেডিও-টিভির কথা বলতে পারি। সে সমস্ত প্রযুক্তি অনেক আগেই এসেছে কিন্তু মানুষের জীবন মানের উপর তেমন প্রভাব পড়েনি। যেভাবে মোবাইল এসেছে সেভাবে আর কোন প্রযুক্তি আসেনি। রেডিও-টিভি একপক্ষীয়। এসব থেকে আমরা তথ্য পেতাম। কিন্তু মোবাইল হলো দ্বিপক্ষীয়, ইন্টার এ্যাকটিভ যোগাযোগ মাধ্যম। ফলে এটি কেবলমাত্র ফোনের প্রযুক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এটি এসএমএসের সহায়তায় ডাটা আদান-প্রদানে আমাদের যুক্ত করেছে। এতে সাউন্ড ও ভিডিও যুক্ত হয়েছে এবং ইন্টারনেটের সহায়তায় ডিজিটাল সভ্যতা বা জ্ঞানভিত্তিক সভ্যতার মাঝেআমরা প্রবেশ করেছি।ভাব চক্করে মনে হচ্ছে, মোবাইলের মতো একটি যন্ত্র যাতে ইন্টারনেট ও কথা বলার সুযোগ থাকবে সেটিই হবে আগামী দিনের ডিজিটাল যন্ত্র। যাহোক ইন্টারনেটই যে সব প্রযুক্তির কেন্দ্র, সেটি নিয়ে কারো কোনো সন্দেহ থাকার কথা নয়।ফেইজ বুক বর্তমানে সবচাইতে বড় ও গভীর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।বর্তমানে বাংলাদেশে ষোল কোটি মানুষ তম্মধ্যে তের কোটি মোবাইল ব্যাবহারকারী রয়েছে।ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে মোবাইলের বদৌলতে টেলিঘনত্বের মাপকাঠিতে অনেক ওপরে আছে বাংলাদেশ। আমাদের মোবাইলের ব্যবহারও অবিশ্বাস্য গতিতে বেড়েছে। কোনো সন্দেহ নেই যে, উভয়ক্ষেত্রেই আমাদের অল্প বয়সের মানুষরা এতে বেশি করে যুক্ত হচ্ছেন বিশেষ করে স্কুল কলেজ গামী ছেলে মেয়েরা। মোবাইল ও ইন্টারনেট নামক ডিজিটাল যুগের দুটি যোগাযোগ মাধ্যমের প্রসারের ফলে দেশেরর সার্বিক অগ্রগতি হবে এবং হচ্ছে এটি অর্থনীতিবিদদের ধারনা।সার্বিকভাবে ইন্টারনেটের প্রভাব এখন আর আগের মতো ই-মেইল, ফেসবুক, টুইটার বা গুগল সার্চের মধ্যেই সীমিত নয়। বিশেষ করে থ্রিজি বা ৪জি প্রযুক্তির বদৌলতে ইন্টারনেট একটি ডিজিটাল জীবনধারা গড়ে তুলছে। মানবসভ্যতা এর আগে আর কখনো এমন গভীর প্রভাব বিস্তারকারী প্রযুক্তির মুখোমুখি হয়নি।এর পরবর্তিতে আরও উন্নত প্রযুক্তি ৫/৬/৭জি আসবেনা তা কি বলা যায়? আগামী দিনের রাজনীতি, আন্দোলন,জনমত সংঘটন,ভোটের ব্যরোমিটার উঠানামা সব কিছুই ফেইজ বুক,গুগল,ইন্টারনেটের মাধ্যমে হবে ইহা নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়।শাহবাগের জমায়েত এবং সফল আন্দোলন তাঁরই প্রকৃষ্ট প্রমান।মোবাইল ও ইন্টারনেট জীবনধারায় কি প্রভাব ফেলবে সেই আলোচনা করতে হলে প্রথমেই বুঝতে হবে এসব প্রযুক্তি মানুষের জীবনযাপনে কি পরিবর্তন এনেছে। উনিশ শতকের আশির দশকের মাঝামাঝিতে আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেলের টেলিফোন এবং ১৯৬০ সালে পরস্পরের তথ্য বিনিময়ের নেটওয়ার্ক কালক্রমে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব হয়ে এখন যখন মোবাইল ও ইন্টারনেটের সভ্যতা তৈরি করেছে তখন বস্তুত এটি জীবনের প্রায় সব অলিন্দ্যে প্রবেশ করে জীবনের অংশ হয়ে বসে আছে। মোবাইল তো বটেই ইন্টারনেট এখন জীবনের সব যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, ভাব বিনিময়, তথ্য-উপাত্ত বিনিময় ও সামাজিক-ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যম। এটি এখন কেবল কথা বা লেখা বিনিময় করে না, সাউন্ড, ভিডিও-এর পাশাপাশি একটি চমৎকার ইন্টারএ্যাকটিভ মাধ্যম হিসেবে এই প্রযুক্তি গড়ে উঠেছে। থ্রিজি প্রযুক্তির মোবাইল থেকেই আমরা বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ স্যাটেলাইট টিভিগুলো মোবাইল ফোনে দেখি। ইন্টারনেট মাধ্যমটি এখন টিভি দেখার, ভিডিও দেখার, গান শোনার, সিনেমা দেখার এবং লেখাপড়া করার শ্রেষ্ঠতম মাধ্যম। এই মাধ্যমটি এখন ব্যবসা-বাণিজ্যের বা শিল্প কলকারখানার কেন্দ্রবিন্দু। এমনকি ইন্টারনেট এখন রাজনীতির সবচেয়ে বড় মাধ্যম। রাজনীতিবিদ-মন্ত্রী, সংসদ সদস্যরা এখন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে মনের ভাব তাঁর নির্বাচনী এলাকার মানুষকে জানান দিচ্ছেন।ঐ এলাকার মানুষ ও পোষ্ট বা স্টেটাস দিয়ে তাঁর এলাকার সমস্যাদির কথা এম,পি মহোদয়কে জানিয়ে দিচ্ছেন। গণজাগরণ মঞ্চের জন্ম, বিস্তার ও বিকাশ এবং হেফাজতে ইসলামসহ নানা প্রকৃতির মানুষের ডিজিটাল অপরাধ বিষয়ক বক্তব্য প্রত্যহ প্রকাশিত ও প্রচারিত হচ্ছে। এখন বাংলাদেশ সম্ভবত এই বিষয়টি নিয়েই অনেক বেশি আলোড়িত,আলোচিত,সমালোচিত।অনেকেই ইতিমধ্যে এই সমস্ত মাধ্যমের খারাপ দিক গুলীর নেশায় আসক্ত হয়ে সব ভুলে একাকিত্বতায় ভুগছেন।মোবাইলের সুবিধা যেমন অবারীত হচ্ছে,তাঁর সাথে যুক্ত হচ্ছে ডিজিটাল অপরাধ বিষয়ক নানাবিদ কর্মকান্ড।বর্তমানে যে সকল অপরাধ কর্ম সংঘটিত হচ্ছে মোবাইলের ব্যবহার সেখানে না থেকে পারে না।এমন ও দেখা যায় কোন অপরাধি চির্হিত হলে তাঁর দখলে একাধিক মোবাইল সিম পাওয়া যাচ্ছে।এতেই বুঝা যাচ্ছে সিমের অপব্যবহার হচ্ছে যথেচ্ছ ভাবে।মোবাইল কোম্পানীগলী ব্যবসার উদ্দেশ্যে যত্রতত্র ভাবেই সিম বিক্রি করে দিচ্ছে।বর্তমান সরকার সিম নাম্বার অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।নি:সন্দেহে এটা একটি ভাল উদ্যোগ হতে পারে।কলরেটের ক্ষেত্রে আর ও একধাপ প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হলে ব্যাবহার কারিরাই উপকৃত হবে।যাহাই সিদ্ধান্ত নেয়া হোক না কেন, মন্দদিক থাকবে।অপরাধ প্রক্রিয়ায় যুক্ত হবে অন্য আর এক প্রকার কৌশল। অদোপান্ত বিশ্লেষন করলে দেখা যায় ক্ষেত্রটি যেহারে প্রসারীত হচ্ছে, ব্যক্তিজীবন,রাজনীতি,সামাজিক জীবন,অপরাধ প্রবনতা ইত্যাদি, সেমত কিরে উহাকে নিয়ন্ত্রন বা সৃষ্ট অপরাধ প্রবনতা নিয়ন্ত্রন করার মত তেমন কোন আইন বা বিধি বিধান গড়ে উঠেনি।যেটুকু গড়ে উঠেছে সেইটুকু আবার অপব্যাবহার হতেও দেখা গেছে।যেমন ৫৭ধারায় সাংবাদিক প্রবির শিকদারকে গ্রেপতার করে রিমান্ড দেয়া হল।আবার ফেইজবুকের কল্যানে রিমান্ড বাতিল করে মুক্তি ও পেল।মুলত আই,সি,টি আইন গড়ে উঠে নাই বলে প্রবির শিকদার ৫৭ ধারার অপব্যাবহারের শিকার হলেন।আইসিটি আইন প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবী ও ব্যবহারকারী এবং বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান সময়ের তাগিদে এ রকম একটি আইন প্রণয়ের জন্য সোচ্চার ছিলেন। ২০০৬ সালে প্রণীত হওয়ার পর থেকে দুবার কয়েকটি ধারায় সংশোধনী এনে এই আইনকে কঠোর করা হয়েছে। তারপর থেকেই মূলত একেকটি ঘটনা ঘটে আর মাঝে মাঝে আইসিটি আইন নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। কোনো কোনো ধারা বাতিলের দাবি ওঠে, আদালতে রিট হয়, পত্রপত্রিকা আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। আইন অপপ্রয়োগের সুযোগ থাকলে এবং সেই সুযোগ ব্যবহৃত হলে এরকমটি ভবিষ্যতেও ঘটবে এটি নিঃসন্দেহে বলা যায়। তাই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারাসহ যেসব ধারায় শাস্তির বিধান রয়েছে সে সবের চেয়ে যেসব ধারা, বিশেষত ৭৬ ও ৮৬ ধারাসহ অন্যান্য ধারায় বর্ণিত বিধান বলে প্রথমোক্ত ধারাগুলোকে বিপজ্জনক করা হয়েছে, সেগুলোতে রদবদল এনে এই আইনে ভারসাম্য নিয়ে আসার প্রয়োজন।অন্যদিকে, সরকার ইতোমধ্যে ‘সাইবার সিকিউরিটি আইন’ প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ আইনের একটি খসড়া প্রণয়ন করে আইসিটি ডিভিশনের সংশ্লিষ্ট সংস্থা, সংগঠন, পেশাজীবী, আইনজীবী প্রমুখের মধ্যে বিতরণ পূর্বক তাদের সঙ্গে পর্যালোচনা সভা করে একটি চূড়ান্ত প্রস্তাব দেয়ার দ্বারপ্রান্তে রেয়েছে। অচিরেই মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদনের পর সংসদে বিল আকারে উত্থাপন ও পাস হয়ে তা চূড়ান্ত আইনে রূপলাভ করবে। মূলত সাইবার জগতের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ এবং নিয়ন্ত্রণের জন্যই ‘সাইবার সিকিউরিটি আইন’ প্রণয়ন করা হচ্ছে। তবে প্রশ্নের উদ্রেক ঘটা অস্বাভাবিক নয় যে, ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি’ বিষয়ক কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে দেশে ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন’ বিদ্যমান আছে। এই প্রযুক্তির মধ্যেই সাইবার জগতের জন্য কঠোর বিধান প্রয়োজন অনুভুত হচ্ছে। ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন’ এবং প্রণীতব্য ‘সাইবার সিকিউরিটি আইন’-আলাদা আলাদা বাঞ্চনীয়।আপাত দৃষ্টে উভয়ের ধরন একই মনে হলেও অপরাধ প্রবনতার মধ্যে স্পষ্টতই ব্যবধান লক্ষনীয়। খসড়া ‘সাইবার সিকিউরিটি আইন’-এর মধ্যে ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন’-এর বেশ কিছু বিধানাবলি এক রকম হওয়ার কারনে সমালোচনা হতে পারে।কিন্তু ভেবে দেখা প্রয়োজন যে অপরাধের ধরন এক নহে।কোন কোন মহল থেকে বিধানাবলীর পুনরোক্তি রদের জন্য দাবি উত্থাপিত হচ্ছে।তাঁদের যুক্তি হচ্ছে যে, আইন দুটির মধ্যে একই ধরনের বিধান বিদ্যমান থাকলে, কোন আইন কখন কোন অপরাধের বেলায়, কার জন্য প্রয়োগ করা হবে বা কে কোন আইনের আশ্রয় গ্রহণ করবেন তা নিয়ে জটিলতা বা দ্বিধা-দ্বন্ধের সৃষ্টি হতে পারে। তাই এই দুটি আইনের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা আবশ্যক। সে ক্ষেত্রে সাইবার সিকিউরিটি আইন প্রণয়নের প্রাক্কালে আইসিটি আইনেও প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনে দুটি আইনে সার্বিক ভারসাম্য রক্ষাপূর্বক সম্ভাব্য জটিলতা এড়ানোর ব্যাবস্থা গ্রহণ করার জন্য বলছেন।যুক্তি কেবলই মন্দ নহে,তবে ভেবে দেখা প্রয়োজন সাইবার অপরাধে যারা জড়িত হওয়ার সম্ভাবনা আই,সিটি এ তদ্রুপ অপরাধের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন,গুটিকতক অপরাধির অপরাধের কারনে আই,সি,টির সুবিধা থেকে গনহারে বঞ্চিত করা ঠিক হবে কিনা।রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপুর্ন সাইট হ্যাক করা আর মন্ত্রীর বিরুদ্ধে পোষ্ট দিয়ে বিরুদিতার মধ্যে অবশ্যই পার্থক্য আছে।যেহেতু পার্থক্য আছে সেহেতু আইনের মধ্যেও পার্থক্য রাখা উচিৎ আমি মনে করি। আই,সি,টি এবং সাইবার দুটি কে প্রয়োজনে আলাদা আলাদা নিয়ন্ত্রন সংস্থা সৃষ্টি করে আলাদা আলাদা আইন করা প্রয়োজন।নচেৎ এই দুটি প্রযুক্তি মানুষের জীবনের সাথে যেভাবে জড়িয়ে আছে এতে বিড়ম্বনার সম্ভাবনা আরো বেশী করে জড়িয়ে আছে।আইনের কঠোরতায় বিগ্ম ঘটলে,সেবা নেয়া দুষ্কর হবে।জননন্দিত ব্যাক্তিদের সম্মানহানীর সম্ভাবনা থেকেই যাবে।ক্ষেত্র বিশেষ অপপ্রয়োগের কারনে শিথিলতা কাম্য নহে।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা