দলীয় প্রতিকে স্থানীয় নির্বাচন,নতুন সমাজ গড়ার অঙ্গিকারের একধাপ অগ্রগতি।

জয়বাংলা           জয়বঙ্গবন্ধু
=========================

 স্থানীয় নির্বাচন দলীয় ভাবে হবে,দেশরত্মের সুদুরপ্রসারী চিন্তাচেতনার ফসল=====================
=>=>===================[===

সরকার অনেক দিন পর ভাল একটা উদ্যোগ নিল। গনতন্ত্রকে সুদৃড ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করতে হলে সর্বস্তরে নির্বাচিত প্রতিনিধির অবস্থান যেমনি অপরিহায্য, তেমনি দলীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করাও অবশ্যক ছিল।রাজনৈতিক মহলে বিষয়টি অনেক দিন আগে থেকে ব্যাপক আলোচিত হলেও অতীতে কোন সরকার উদ্যোগ নিতে সাহসি হননি।
দলীয় নির্বাচনের সুফল পেতে দেরী হলে ও অরাজনৈতিক ব্যাক্তিদের হঠাৎ রাজনীতির মাঠে উদয় হয়ে বাজিমাৎ করার প্রবনতা নি:সন্দেহে কমে আসবে।    এই একটি সুফল সত্বর পাওয়া যাবে আশা করি। স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় ভাবে করার চিন্তা আওয়ামীলীগের অনেক দিনের ইচ্ছা ছিল।   সরকারের মন্ত্রী পরিষদ দলীয় ভাবে  নির্বাচনের পক্ষে মত  দিয়েছেন।  মন্ত্রী পরিষদের নিয়মিত বৈঠকে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন আইনের এ সংক্রান্ত সংশোধনের প্রস্তাবের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।প্রস্তাব   অনুসারে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে রাজনৈতিক দলীয় প্রতীকে। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো প্রার্থী মনোয়ন দিতে পারবে। মনোনীত প্রার্থী দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবে। তবে এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্ধিতার সুযোগ রেখে আইনের সংশোধনী প্রস্তাব করা হয়েছে।
অতীতে যদিও স্থানীয় সরকার নির্বাচন নির্দলীয় হওয়ার বিধান ছিল,কালক্রমে সেই বিধানে দলীয় রঙের চাপ লাগাতে দলগুলি যারপরনাই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেখা যেত।এমন ও দেখা গেছে বিদ্রোহি অনেক প্রাথীকে ভোটের আগে পরে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।এতে তাঁর সারা   জীবনের রাজনীতির মাঠে অর্জিত সুনাম নিমিশেই ধুলায় মিশে যেত।
 স্থানীয় সরকার বলতে, ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশনকে বুঝায়।
 স্বাধিনতার পর থেকে স্থানীয় সরকারের প্রত্যেক     নির্বাচনে  ব্যাপকভাবে রাজনৈতিক দলগুলী দলীয় প্রভাব  রাখঢাক না রেখেই খাটাতে দেখা গেছে।  প্রার্থী সমর্থন থেকে আরাম্ভ করে পোষ্টার, লিপলেট বিতরন,উদ্ধতন নেতাদের নির্বাচনী সভায় বক্তৃতাদান সব নির্বাচনী কাজ দলীয় নেতা কর্মীরাই করেতেন, কোন কোন ক্ষেত্রে মনোনয়ন দিতেও দেখা গেছে।   দল-সমর্থিত প্রার্থীরা দলীয় প্রার্থী পরিচয়েই নির্বাচন করতেন। কাগজে কলমে নির্দলীয় হলেও আসলে দলীয় নির্বাচনই হতে দেখা গেছে।  অবস্থাদৃষ্টে স্থানীয় নির্বাচন দলীয়ভাবে অনুষ্ঠানের সম্ভাব্যতার বিষয়টি আলোচিত হচ্ছে থেমে থেমে কয়েক বছর ধরেই। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বরাবরই দলীয় নির্বাচনের  পক্ষে ছিল। অন্য দলগুলো অন্য অনেক রাষ্ট্রীয় গুরুত্ব পুর্ন বিষয়ের মত দৌদল্যমানতায় ভুগছিল।স্থানীয় সরকার   সংশ্লিষ্ট  বিশেষজ্ঞদের মতামত ইতোমধ্যে পক্ষে বিপক্ষে দেশব্যাপি মানুষের মনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হচ্ছে।    উল্লেখ্য, ভারত, ব্রিটেনসহ বহু দেশেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় ভিত্তিতে হয়ে থাকে।কিছুদিন আগে  পশ্চিমবঙ্গের‘পুর নির্বাচন’   স্ব স্ব দলের প্রতীকে হতে দেখা গেছে। বাংলাদেশেও বর্তমান সরকার দলীয় পরিচয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পক্ষে নির্বাচনী আইন সংশোধনের সাহসী উদ্যোগ নিয়েছেন।সাহসী উদ্যোগ বলছি এই কারনে,অতীতে দেখা গেছে, নতুন কোন আইন বা রীতি প্রনয়ন করতে গেলে একশ্রেনীর পশ্চাদপদ দল ও গুষ্টি ব্যাপক অপপ্রচার এবং গুজব চড়াতে দেখা গেছে।প্রকৃষ্ট প্রমানের জন্য বেশি দূর যাওয়ার প্রয়োজন নেই।নারীদের অর্জিত সম্পত্তির মালিকানা আইন সংসদে পাস  ও হেফাজতিদের ধর্মের অপব্যাখ্যা করে সাধারন মানুষকে বিভ্রান্ত করার হীন প্রচেষ্টা কিছুদিন আগেও দেশ বাসি প্রত্যক্ষ করেছে।
কিছু কিছু বিশেষজ্ঞ    সরকারের  উদ্যোগকে সাধুবাদ জানালেও কিয়দংশ    শঙ্কার কথা বলে বিভ্রান্তি চড়ানোর চেষ্টা করবেন স্বাভাবিক ভাবেই।বিরুদিদের মুখে নির্বাচনে দলীয় প্রভাবের কথা   উঠে আসছে। যেমন- স্থানীয় নির্বাচন দলীয় হলে তৃণমূলে রাজনৈতিক সহিংসতা বিস্তৃত হওয়ার শঙ্কা থাকবে,তৃনমুলে পেশিশক্তির প্রভাব, অর্থবিত্তের প্রভাব খাটিয়ে দলীয় নমিনেশন লাভ করা ও ভোট কেনাবেচার প্রবণতা স্থানীয় সরকার নির্বাচিনেও দেখা দিবে।  স্থানীয় পর্যায়ে ভালো লোক  কোনো দল করেন না, তাদের প্রার্থী হওয়া বা জেতার সুযোগ সিমীত হয়ে যাবে।
তাঁদের প্রতি সম্মান রেখেই বলতে চাই,রাস্তায় দেখা না গেলে,সমাজের কোন কাজে অংশ না নিলে,জনসেবা করার  মানষিকতা না থাকলে,জনগনের সুখে  দু:খ্যে অংশ না নিলে,সমাজে বিতর্কের ভয়ে সামাজিকতা না করলে তাঁরাই কি ভাল লোক?
শুধুমাত্র টাকার গৌরবে সমাজে পারিবারিক সম্মান বৃদ্ধির জন্য অকস্যাৎ নির্বাচনে এসে বাজিমাৎ করা যায়, সমাজের কোন কাজ করা যায়না।উন্নয়ন মুলক কোন কাজ তাঁর দ্বারা করা কোন অবস্থায়  সম্ভব হয় না ইহা  পরিক্ষীত ,বাস্তব,চিরন্তন সত্য।
  স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয়ভাবে হলে যে কোনো সমস্যার জন্য রাজনৈতিক দলগুলো দায়ী থাকবে। এতে কাজে সুবিধা হবে। যাই হোক, এ সংক্রান্ত আইনের সংশোধনী মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হওয়ার পর, ধরে নেয়াই স্বাভাবিক যে, বাকী প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। অর্থাৎ ভবিষ্যতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় পরিচয়েই হবে।  পরিস্থিতির বিবেচনায় বিধানটি অসামঞ্জস্য মনে হলে ও সুদুর প্রসারী বাস্তবমুখি পদক্ষেপ নি:সন্দেহে বলা যায়। আমাদের চাওয়া হবে, বিরুদি দল সমুহের  স্থানীয় নির্বাচন সংক্রান্ত আইন ও বিধি প্রণয়নের ক্ষেত্রে  আশঙ্কার বিষয়গুলো সরকারের পক্ষ থেকে যেন আমলে নেয়া হয়। উল্লিখিত সব যুক্তি-তর্কের মোদ্দা কথা হলো, দলীয় ভিত্তিতে স্থানীয় নির্বাচনের সফলতা নির্ভর করবে অনেকটাই রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনে স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহন,সকল দলের দায়িত্বশীলতা, সর্বোপরি রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অংশ নিয়ে গনতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষায় মনোযোগি হওয়ার উপর।আমি বিশ্বাস করি ২//৩ টি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে রাজনৈতিক সংস্কৃতির ইতিবাচক পরিবর্তন সংগঠিত হবে।প্রথমে  নির্বাচন কমিশনের বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার প্রয়োজন হলেও অচিরেই জনগন সুফল পাওয়া শুরু হলে জনগন অভ্যেসগত ভাবে মেনে নিবে। স্থানীয় পর্যায়ে জনপ্রিয় ব্যক্তিরা যাতে সুযোগ পান সেদিকে উদ্বতন নেতাদের  নজর দিতে হবে। সরকারি দল ছাড়া ভিন্ন দলের প্রার্থীরা নির্বাচনে জীতে গেলে,জীতবেতো অবশ্যই, তারা যেন তাদের দায়িত্ব স্বাভাবিকভাবে পালন করতে পারেন, সেটা সরকারের প্রসাশন নিশ্চিত করতে হবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন কেবল নির্বাচনের পদ্ধতিগত পরিবর্তন নয়, গুণগত পরিবর্তন প্রত্যাশা করে জনগন।সরকারের এই উদ্যোগের ফলে তৎক্ষনাৎ যে সুদুরপ্রসারী উপকার জনগন ও তৃনমুলের জ্ঞানী,ব্যক্তিত্ব সম্পর্ন্ন,জনদরদি সমাজ সেবক গন পাবেন তাঁর কিঞ্চিত বিবরন তুলে ধরতে চাই।

(১)সবচেয়ে বড় যে কাজটি হবে প্রার্থীদের ব্যয় অনেকাংশে কমে যাবে।দলীয় প্রার্থীর ভোট সংগ্রহ কর্মীদের বাধ্যবাধকতার কারনে,ভোট বেচা কেনার হিড়িক কমে আসবে।
(২) অতিশয় গরীব মেধাসম্পন্ন তৃনমুলের নেতাদের ভোটে অংশগ্রহনের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
(৩)দলীয় কাজে গতিশীলতা আসবে।মাঠের সক্রিয় নেতাদের নমিনেশন পাওয়ার সম্ভাবনা যত বাড়বে,দলীয় কাজে অংশ নেয়ার মাত্রা প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে  বেড়ে যাবে।
(৪) টাকার কুমিরদের ভোটে প্রভাব বিস্তারের সুযোগ কমে আসবে।সত্যিকারের সমাজ সেবকদের হাতে স্থানীয় সরকার পরিচালনার ক্ষমতা  ক্রমশই বৃদ্ধি পেতে থাকবে।
 সকল উদ্যোগের ভালমন্দ দিক থাকা স্বাভাবিক।কিছু ব্যতিক্রম হবেনা তা হলফ করে বলা যায় না।পদ্ধতিটি প্রাতিষ্ঠানীক রুপ পেলে জালিয়াতি অবশ্যই কমে যাবে।উদ্ধতন নেতাদের প্রথম দিকে নমিনেশন বেচাকেনার সুযোগ সৃষ্টি হলেও অচিরেই কর্মিদের প্রাথমিক নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা চালু হলে ঐ জাল জস্লিয়াতির সুযোগ অনেকাংশে কমে আসবে আশা করি।
  পরিশেষে বলতে চাই,গনতন্রকে সুদৃড ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করতে হলে,আর ও কতক ক্ষেত্রে জননেত্রীর সরকার কে সাহসী উদ্যোগ নেয়ার প্রয়োজন আছে।এই দেশের যত ইতিবাচক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে,সকল কৃতিত্বই আওয়ামী লীগের।আওয়ামী লীগ যেহেতু স্বাধীনতার রুপকার,বাস্তবায়নকারী,তেমনি জনগনের কল্যানে, দেশের উন্নতির জন্য বড় ঝুকি নিয়ে হলেও কাজ করে যেতে হবে।জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে, মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে, তাঁর রক্তের ঋন শোধ করতে হবে।পুরাতন ঘুনেধরা সমাজের পরিবর্তন করে,জ্ঞান ভিত্তিক,আধুনিক,প্রযুক্তি নির্ভর সমাজ প্রতিষ্ঠা করে, ষড়যন্ত্র কারীদের সকল সমালোচনার উপযুক্ত জবাব দিতে হবে।
  পশ্চিমা গনতন্ত্রের ধারক বাহকদের উদ্দেশ্যে সবিনয়ে বলতে চাই,বহুদলীয় গনতন্ত্রের কথা মুখে বলতে শিখেছেন,কাজে পরিনত করেননি।ভোটের গনতন্ত্রে অন্য সকল গনতান্ত্রীক দেশে যেমন ভাবে, যেই সমস্ত স্তরে নির্বাচনের মাধ্যমে গনতন্ত্রের চর্চা অব্যাহত রেখেছেন,বর্তমান সরকার তাই অনুস্মরন করে বাস্তব পদক্ষেপ নিচ্ছেন।আপনারা যা পারেননি দেশরত্ম তাহাই সম্ভব করে দেশকে এগিয়ে নেয়ার প্রয়াস নিচ্ছেন।রাজনৈতিক বিরোধ থাকবে, থাকাটা স্বাভাবিক, গনতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় ভুল সংশোধনের জন্য বিরুদিদলের ছায়া মন্ত্রীসভার অস্তিত্ব থাকাটাও জনগন প্রত্যাশা করে,জনগনকে আপনারা তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।

সময় এসেছে, পরিবর্তনের সকল ইস্যুতে জনগনের প্রত্যাশা অনুযায়ী জাতীয় সকল কর্মকান্ডে জাতীয় ঐক্যমত্য প্রতিষ্ঠার।বিশেষ করে পরিবর্তনের জাতীয় ইস্যুগুলিতে জাতিয় দল সমুহের জাতিয় ঐক্য গড়ে তোলা নতুন প্রজর্ম্মের নতুন দাবী। জাতীয় ঐক্যে যে দল বা জোট যত দুরত্বে অবস্থান করবে,জনগন ও ঐ দল বা জোটের নিকট থেকে সমদুরত্বে অবস্থান নিতে থাকবে।যত শীগ্রই বোধদয় হবে, ততই জোট,দল,সরকার তথা জগনের মঙ্গল সাধিত হবে।


   "" জয়বাংলা  জয়বঙ্গবন্ধু
   জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা ""

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা