স্থানীয় সরকার নির্বাচন,প্রার্থী বাছাই-আমার অভিমত:--- ============================ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই ও মনোনয়নের কোনো পদ্ধতি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সহ কোন দলের গঠন তন্ত্রেই নেই।ইহা একটা নতুন অবশ্যম্ভাবি অধিকতর গনতান্ত্রীক পদ্ধতি হতে পারে, যদি দল গুলি নিয়মাতান্ত্রিকভাবে চিন্তা করে।অনেক দল এবং ব্যাক্তি বিভ্রান্তিতে আছেন পদ্ধতিটি কেমন হতে পারে।দল গুলিও এই মনোনয়ন কীভাবে হবে, তা ঠিক করতে শিগগিরই দলের কার্যনির্বাহী সংসদের সভা ডাকার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।কোন কোন দল ইতিমধ্যে এই নির্বাচনকে ঘিরে নীজেদের দলীয় শক্তি সামর্থ্য যাচাই করার নিমিত্তে ইতিমধ্যে তৃনমুল পয্যায়ে নির্বাচন করার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন নেতা কর্মিদের। এদিকে, দলীয় পরিচয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্তের পরই সরকারি দলের আগ্রহী প্রার্থীরা মন্ত্রী, নেতা ও সাংসদদের পেছনে ছোটাছুটি শুরু করে দিয়েছেন। প্রতিটি পৌরসভায় পাঁচের অধিক দলীয় নেতা নির্বাচন করতে চাওয়ায়, এবার প্রার্থী বাছাই করা কঠিন হবে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।বি,এন,পিতেও প্রার্থীর চড়াচড়ি হবে অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে। স্থানীয় নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সব ধরনের নির্বাচনই রাজনৈতিক দলে গতি আনে। স্থানীয় নির্বাচন দলীয় প্রতীকে করার সিদ্ধান্তে আওয়ামী লীগের তৃণমূলে চাঙাভাব এসেছে। সাত বছর ধরে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকার কারণে দলীয় কার্যক্রম" দিবস ভিত্তিক "হয়ে পড়েছিল। অনেকে টাকা বানানোর পেছনে ছুটেছেন। এখন স্থানীয় নির্বাচনে প্রার্থী হতে সবাই তৎপর হয়ে উঠেছেন। স্থানীয় নির্বাচন জোটগতভাবে হবে নাকি আলাদা হবে—এ নিয়ে তৃনমুলের নেতা কর্মিদের মনে বিভ্রান্তি দেখা গেলেও আনন্দের কমতি নেই।অনেকেই দলের প্রভাব খাটিয়ে নির্বাচিত হয়ে যাওয়ার দিবাস্বপ্ন দেখা শুরু করেছেন,বিশেষ করে দলের হাইব্রিড নেতাদের মধ্যে অনেকেই। প্রতীক ও দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের মাধ্যমে নির্বাচনের বিষয়টি সরকারের অনেক ভাবনার ফসল। এ জন্য দলীয় প্রার্থী বাছাই এবং সেসব প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য দল থেকে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেওয়া হবে, ইহাই স্বাভাবিক।তবে তাহা কোনক্রমেই জোরপুর্বক নয়।প্রচার প্রচারনার মাধ্যমেই। আগামী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকেই সারা দেশের মেয়াদোত্তীর্ণ ২৪৫টি পৌরসভায় নির্বাচন শুরু হয়ে যাবে। এরপর মার্চ-এপ্রিল থেকে শুরু হবে ৪ হাজার ৫৫৩টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। এসব নির্বাচন এত দিন নির্দলীয় হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছিল। দলীয় প্রতীক ও প্রার্থী বাছাই পদ্ধতি ঠিক করার জন্য সাংগঠনিক প্রস্তুতির বিষয় আছে। দলীয় ফোরামে আলোচনা করেই ঠিক করা হবে। দলের মধ্যে মনোনয়নের জন্য সুস্থ প্রতিযোগিতাকে উৎসাহিত করা বাঞ্চনীয়।আগে নেতা নির্বাচনে আওয়ামী লীগে কিছুটা গনতান্ত্রিক পদ্ধতির কারনে প্রতিযোগিতা লক্ষ করা যেত।স্থানীয় সরকার নির্বাচন হেতু এবার হয়তো প্রতিযোগিতা আরও বাড়বে। সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থীটাই যাতে দলীয় মনোনয়ন পান, সেই পদ্ধতিই অবলম্বন করা উচিৎ হবে। অনানুষ্ঠানিক হলেও সব সময় দলীয় প্রার্থী বাছাই করা হয়েছে।যেহেতু এবার আইনি ভাবে দলীয় নির্বাচন হবে,সেহেতু বাছাই প্রক্রিয়াটিও সাংগঠনিক পদ্ধতিতে প্রার্থী বাছাই হবে স্বাভাবিক। দল দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার কারণে অনেকে টাকাওয়ালা ও পেশিশক্তির অধিকারী হয়েছেন। মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে এঁদেরই তোড়জোড় বেশি। দল নিশ্চয় টাকা নয়, ত্যাগী নেতা দেখে মনোনয়ন দেবে। এইক্ষেত্রে ব্যত্যায় ঘটলে অনেক এলাকায় দলের অস্তিত্ব ধরে রাখা কষ্টকর হবে আমি মনে করি। জেলা থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত নানা বলয় আছে প্রত্যেক দলে।দির্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার কারনে আওয়ামী লীগে আর ও বেশি হবে ইহাই স্বাভাবিক। কতিপয় পদ্ধতি মেনে প্রাথীবাছাই করা হলে বহলাংশে ত্যাগী রাজনৈতিক কর্মীরাই মোনোনয়ন পাবেন আমার দৃড বিশ্বাস।দলীয় প্রতীকে ভোট হলে প্রার্থী বাছাইয়ে সাংসদ,জেলা,উপজেলার নেতাদের ভূমিকা রাখার সুযোগ না দিয়ে তৃনমুলের কর্মিদের হাতে ক্ষমতা দেয়া উচিৎ বলে আমি মনে করি।কারণ, সাংসদ জেলা,উপজেলার প্রভাবশালী নেতারা অযোগ্য আত্মীয়স্বজনদের সব পৌরসভা ও ইউনিয়নে বসিয়ে দিতে তৎপর থাকে অতীতে দেখা গেছে। নিজের লোকদের বসাতে তাঁদের সামান্যতম বিবেকে বাঁধাও দেয়না।তখন তারা নিলর্জ্জের মতই নেতা কর্মিদের সাথে আচরন করে।অর্থলোভি কর্মিরাও অনেকটা নেতার নির্দেশ পালনে তৎপর থাকে।এতে দলের সর্বনাশ হলেও তাঁদের মনে সামান্যতম অনুভুতি জর্ম্ম নিতে দেখা যায়না।ত্যাগী নেতারা সুযোগ না পেয়ে হতাশ হয়ে একসময়ে রাজনীতি বিমুখ হতে দেখা যায়,সুযোগ সন্ধানী নেতারা ঠিকই এই সময়ের জন্যই অপেক্ষায় থাকে। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, জাতীয় নির্বাচনের জন্য ১১ সদস্যের একটি সংসদীয় বোর্ড থাকে। দলীয় সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সংসদীয় দলের নেতা পদাধিকার বলে সদস্য। অন্যরা কাউন্সিলের মাধ্যমে নির্বাচিত হন। তদ্রুপ ইউনিয়ন,পৌর সভা,ওয়ার্ডের নির্বাচনে নেতৃত্ব বাচাইয়ের প্রক্রিয়ার মত একই রীতি অনুস্মরন করা বাঞ্চনীয়। নিম্নের মতামতটি একান্তই আমার নিজস্ব মতামত,কোন ক্রমেই দল বা জোটকে,নেতৃবৃন্দকে বিভ্রান্ত করার জন্য নহে,বিবেচনা করার জন্য আবেদন মাত্র। "ধরা যাক ওয়ার্ডের মেম্বার পদে প্রার্থী বাছাইয়ে ঐ ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি সম্পাদক ব্যতিত আরও মনোনীত দশ জন কাউন্সিলর নিয়ে বাছাই কমিটি করা যেতে পারে।সর্বমোট বার জনের ভোটে যিনি প্রথম হবেন তিনি দলীয় নমিনেশন পাবেন।যিনি দ্বিতীয় হবেন তিনি পাইপ লাইনে থাকবেন,কোন কারনে প্রথম জনের নমিনেশন বাতিল হলে দ্বিতীয়জন ভোটে অংশ গ্রহন করার সুযোগ থাকবে।তেমনী ভাবে প্রত্যেক ওয়ার্ডের ঐ বার জন করে নয় ওয়ার্ড থেকে ১২*৯=১০৮ সাথে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সম্পাদক সর্বমোট ১১০ জনের ভোটে যিনি প্রথম হবেন তিনি দলীয় নমিনিশনের জন্য বিবেচিত হবেন,দ্বিতীয় জন প্রথম জনের নমিনিশন কোন কারনে বাতিল হলে দ্বিতীয় জন নমিনেশন পেয়েছেন ধরে নিতে হবে।প্রক্রিয়াটি উপজেলা পয্যায় পয্যন্ত একইভাবে অনুস্মরন করা যেতে পারে। প্রক্রিয়াটিতে জেলা,উপজেলা,সংসদ সদস্যদের কোনক্রমেই রাখা যাবে না।যদি উদ্ধতনের হস্তক্ষেপের সুযোগ দেয়া হয়, গনতন্ত্রকে সুদৃড ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করার সরকারের যে ইচ্ছা, এতে বড় রকমের বাঁধার সৃষ্টি হবে,দল ক্রমশ নেতা নির্ভর হতে বাধ্য হয়ে যাবে।দলীয় তৃনমুলের নেতাদের শোষন করে উদ্ধতন নেতারা গাড়ী বাড়ীর মালিক হবে, দলের বিকাশ ঘটবে না।ইহা কোন অবস্থায় একজন সত্যিকারের মুজিব আদর্শের বিশ্বাসী সৈনীকের কাম্য হতে পারে না।" বর্তমানে পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই করে আনুষ্ঠানিক মনোনয়ন দেওয়ার প্রক্রিয়া চালু আছে। বর্তমানে জেলার নেতা, স্থানীয় সাংসদ, দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ক্ষেত্রবিশেষে অঞ্চলভিত্তিক বড় নেতারা এ কাজ করেন। কিছু কিছু স্থানে তৃণমূলের ভোটের ভিত্তিতে প্রার্থী বাছাই করা হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কেন্দ্রীয় নেতারা সমঝোতার ভিত্তিতে একজনকে নির্বাচন করেন। তবে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মনোনয়ন ঠিক করা হয়নি এই যাবৎ।এবার তাও সম্ভব হবে একই প্রক্রিয়ায়।উল্লেখিত প্রক্রিয়াটিতে তোষন নীতি স্পষ্ট।বেশ ত্রুটি পরিলক্ষিত হওয়ার কারনে তা কিছুটা রদবদল আনায়ন জরুরী মনে করি।কোন অবস্থায় উদ্ধতন নেতাদের হস্তক্ষেপ করার সুযোগ দেয়া উচিৎ হবে না,উদ্ধতন নেতাদের বাছাই পর্বে অংশগ্রহন,"" অংশটিতে সংশোধনী এনে কর্মীদের ভোটে নেতা নির্বাচন পদ্ধতি অনুমোদন করা আওয়ামী লীগের মত বড় সংগঠনের একান্ত কাম্য।"" এতে দলের অভ্যন্তরীন কোন্দল অনেকাংশে নির্মুল করা যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।সর্বক্ষেত্রে কর্মিদের উপর নির্ভরতা থাকা প্রয়োজন।এতে দলের ত্যাগী,কর্মিবান্ধব,জনগনের জন্য নিবেদিত ব্যাক্তিরাই নেতৃত্বে উঠে আসবেন।দল যেমন উপকৃত হবে জনগন ও দলের কতিপয় হাইব্রিডের অত্যাচার থেকে রক্ষা পাবে বলে আমি বিশ্বাস করি। জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা

গ্রামের মানুষ ইউনিয়ন পরিষদের ভোটে অঙ্গাওঙ্গি ভাবে জড়িত থাকে।তাছাড়া প্রত্যেক লোক এই নির্বাচনে তাঁদের স্বার্থ সর্বাপেক্ষা বেশী প্রাধান্য দিয়ে থাকে।তাই প্রার্থী বাছাইয়ে তাঁদের মতের প্রাধান্য দেয়া প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের কর্তব্য।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg