আওয়ামী লীগের মধ্যে ঘাপটিমেরে থাকা সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজদের বের করে দিয়ে, আগাছা পরিস্কারের প্রাথমিক কাজের উদ্ভোধন করা হোক।------------__------------------------------ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা অবিরত দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।একদিকে বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখা অন্য দিকে কায়েমীস্বার্থ বাদী ভোগ বিলাসীদের লালসা থেকে দেশকে রক্ষা। একদিকে আইনের শাষন প্রতিষ্ঠা করার লক্ষে ৪০ বছরের ফেলে রাখা মামলার নিস্পর্তি,অন্য দিকে যুগের পালাবদলে সৃষ্ট আই, এস,টি, আই অপরাধ থেকে নতুন প্রজর্ম্মকে রক্ষা করার কঠিন চেলেঞ্জ মোকাবেলা করা।একদিকে বর্হিবিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনা,অন্যদিকে যুগ যুগান্তর অনুচ্ছারীত বাংলাদেশের বৃহৎ স্বার্থ(সমুদ্র সীমা নির্ধারন,সিমান্ত চুক্তি,পানি বন্টন চুক্তি সমুহ)প্রতিবেশী সুলভ সম্পর্ক বজায় রেখে মিমাংশা করন।কোন বিষয়কে বাদ না রেখে সমানে সব দিকে ফ্রন্ট খুলে, ধীর স্থির ভাবে একের পর এক সুকৌশলে বিজয় চিনিয়ে এনে বাংলাদেশকে করে চলেছেন সমৃদ্ধ, বাড়িয়ে তুলেছেন সীমানা, অর্থনৈতিক গতিধারাকে ক্রমশ করছেন পরিপুষ্ট স্ফীত।সারা বিশ্ব যখন মন্দার কবলে পড়ে ভুখা নাঙ্গা মানুষের আহাকারে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে বিশ্ব অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়ার উপক্রম, তখন বাংলাদেশের মত তৃতীয় বিশ্বের দরিদ্র, একদা পর পর ছয় বার বিশ্ব ব্যাংক কতৃক স্বীকৃতি পাওয়া, দুর্নীতিতে শীর্ষস্থান অধিকারি, বাংলাদেশেকে পরিকল্পিত কর্মসূচি গ্রহনের মাধ্যমে এশিয়ার সকল দেশের শেষে নিতে সক্ষম হয়েছেন।অর্থনীতিকে করে নিয়েছেন পরনির্ভরতা থেকে স্বাবলম্বি,আমদানী কারক ভিক্ষাবৃত্তির দেশকে গড়ে তুলেছেন রপ্তানিকারক ও সাহায্যকারী দেশের পদমার্য্যদায়।বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা এমন একটি পয্যায় নিতে সক্ষম হয়েছেন, একাদা যাহা কোন দিন কোন বিশেষজ্ঞ কল্পনাও করেননি এইরুপ কর্মযজ্ঞ বাংলাদেশের মত একটি গরীব দেশে সম্ভব হতে পারে।তাঁর প্রমান ও রেখেছে তাঁদের নেতিবাচক মন্তব্যের মধ্য দিয়ে।এমনতর কয়েক বিষয়ে আমি আপন্সদের সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি:---এক. পদ্মা সেতুর কাজ পরিকল্পনামতো অগ্রসর হচ্ছে। যে সব নিন্দুক বা হতাশাবাদী ভবিষ্যৎ বাণী করেছিল নিজস্ব অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণ সম্ভব নয়, তাদের মুখে ছাই দিয়ে দেশের বৃহত্তম এই স্থাপনা ক্রমেই দৃশ্যমান হচ্ছে। সময়ের আগে ২০১৮ সালের মধ্যে স্বপ্নের এই সেতু ব্যবহার করা যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। দুই. ঢাকা ও চট্টগ্রামে বড় বড় উড়াল সেতু, যা ছিল এতদিন কথায় তা এখন বাস্তবায়িত হচ্ছে। একের পর এক ফ্লাইওভাবের পর শান্তিনগর-মালিবাগ-মগবাজার-ইস্কাটন, সাত রাস্তার মোড় জুরে বিশাল ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ অগ্রসর হচ্ছে। তিন. ঢাকায় মেট্রোরেলের কাজ শুরুর তৎপরতা প্রত্যক্ষ করে মানুষ আশান্বিত হয়ে উঠছে। ফ্লাইওভার ও মেট্রোরেল নির্মাণ শেষ হলে ঢাকার চেহারাই যাবে পাল্টে। চার. রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, যা ছিল ৬০ বছর আগের পরিকল্পনা, তা এখন বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছে। দেশ আনবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন যুগে প্রবেশের দিন গুনছে। তাছাড়া নির্মিত হচ্ছে দুটি বৃহৎ বিদ্যুৎ প্রকল্প। এই সঙ্গে আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে বিদ্যুৎ আমদানির মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা হচ্ছে। লোডশেডিং কথাটা যেখানে ছিল মানুষের অনবরত বুলি, তা এখন ক্রমে মঙ্গার মতোই অতীতের বিষয়ে পরিণত হচ্ছে। পাঁচ. গভীর সমুদ্রবন্দর তৈরির মাস্টারপ্লানের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দ্বিতীয় অগভীর সমুদ্রবন্দর, যা নির্মিত হবে পায়রায়। ছয়. কর্ণফুলীতে ট্যানেল নির্মাণ এখন আর দিবাস্বপ্ন নয়।সাত. কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর গড়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। আট. পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। চট্টগ্রামের মিরশ্বরাই ও আনোয়ারা, মৌলভীবাজার ও বাগেরহাটের মংলায় চারটি বিদেশি অর্থায়নে এবং সিরাজগঞ্জে নিজস্ব অর্থায়নে সম্পন্ন করা হবে। নয়. পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের জন্য কানেকটিভিটি ব্যবস্থা গড়ে তোলার মহাপরিকল্পনা ক্রমে বাস্তবায়িত হচ্ছে। দশ. সবচেয়ে সাড়া জাগানো প্রকল্প হচ্ছে মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট স্থাপন। ২০১৭ সালের মধ্যে যদি এটা স্থাপিত হয়, তবে মহাবিশ্বে যাবে বাংলাদেশ এবং টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থায় পরনির্ভরতা শেষ করার সুযোগ অবারিত হবে।উল্লিখিত দশটি কাজ দশ দিকে দশ হাতে যখন বাস্তবায়ন করার কর্মযজ্ঞ চলছে, তখন ক্রমেই ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার রূপকল্প হাতের মুঠোয় এসে যাচ্ছে এবং সমুদ্রে বিজয়ের সুফল করায়ত্ত করতে ‘ব্রু "ইকোনমি’ আর অন্য দিকে পার্শ¦বর্তী দেশগুলোর সঙ্গে যে সুসস্পর্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে একে পুঁজি করে আঞ্চলিক সহযোগিতাপূর্ণ অর্থনীতি দেশের উন্নয়নের স্বার্থে কিভাবে হাতের মুঠোয় আনা যায়, সেই পরিকল্পনা প্রণয়নের তৎপরতা চলছে। বলার অপেক্ষা রাখে না, এই সব বড় বড় প্রকল্পসহ অন্যান্য প্রকল্প বাস্তবায়ন করে উন্নত এক বাংলাদেশ যদি গড়তে হয়, তবে সংবিধান অনুযায়ী রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অত্যাবশ্যক। গ্রেনেডবাজি, বোমাবাজি ও আগুনবাজি প্রভৃতি জঙ্গিবাদী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড যদি চলতে থাকে, তবে যে উল্লিখিত উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড কল্পনার ফানুস হয়ে যাবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই বিচারে বলা যায়, দেশে এখন উল্লিখিত সব প্রকল্প বাস্তবায়ন করার মতো রাজনৈতিক পারিবেশ বিরাজ করছে। হরতাল-অবরোধ যা ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী, তা এখন বিএনপি-জামায়াত জোটের চরম ভুল তথা সংবিধানবিরোধী-গণবিরোধী-দেশবিরোধী রাজনীতির জন্য দেশবাসী প্রত্যাখ্যান করছে।বিএনপি এখন কার্যত সংবাদ মাধ্যমের দল হয়ে গেছে। এতেও নেই স্বস্তি। নেত্রীর নামে বিবৃতি দিয়ে বিবৃতি প্রত্যাহার করে আবার সেই বিবৃতিই প্রচার করার মতো অবস্থা এখন বিএনপির। নেত্রী খালেদা জিয়া যা বলেন, তা অনেকটাই ভাঙা কলের গানের মতো চর্বিত চর্বন, মানুষের কথা সেখানে থাকে না। মানুষ তাই এ নিয়ে তেমন উচ্চবাচ্যও করে না। আর ‘লন্ডনের ভাইয়া’ একেবারেই নীরব হয়ে গেছেন। এত ইতিহাস যিনি রচনা করলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসে বড় স্ক্রিনে অডিও-ভিডিও কনফারেন্স করে প্রতিনিয়ত নির্দেশ দিলেন, মানুষকে ঝলসিয়ে দিতে যিনি সালাউদ্দিন গংদের দিয়ে গোপন সংবাদ কেন্দ্র খুলে প্রতিদিন বিবৃতি দিয়ে হরতাল-অবরোধ চালু রাখলেন এবং সর্বোপরি যুদ্ধ জয়ের হুংকার দিতে থাকলেন, তিনি আজ নীরব। নেত্রীর লন্ডন যাওয়া নিয়ে কতই না তোড়জোড় ছিল।শেষ অবদি গেলেন।বলা হল ১৬ তারিখের মধ্যে ফিরে আসবেন।এখন বলছেন না নেত্রী চোখের চিকিৎসার পর ফিরে আসবেন।দোয়া করি নেত্রীর চোখ ভাল হোক জাতির জনকের কন্যার উন্নয়ন অগ্রগতি, বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান তিনি যেন চোখের ব্যেন্ডেজ খুলেই দেখতে পান। গৃহযুদ্ধ বাঁধানোর পরিকল্পনা গ্রহণ ও কার্যকর করতে গিয়ে দল ও জোট এখন যেন নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন ও কর্মসূচি গ্রহণও ভুলে গেছে। সুদীর্ঘ ৯ মাস পর ২০ দলীয় জোটের বৈঠক দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চললেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। বিএনপি সুকৌশলে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিকভাবে নীরবতা পালন করছে বলে একটা প্রচার রাজনৈতিক অঙ্গনে রয়েছে। বলাই বাহুল্য, ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত ও প্রতিহিংসা দিয়ে আপাদমস্তক মোড়া এই দল ও জোট ঘাপটি মেরে বসে থাকার কারণ যদি এটা হয় যে, অসংবিধানিক কিছু একটা করার নীলনক্সা করে তা বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করছে এই চক্র; তবুও এটাই বলতে হবে, পাপে নিমজ্জিত বিএনপি দল বা জোট হিসেবে নিয়মতান্ত্রিকভাবে কিছু করার মতো অবস্থায় নেই। দল বিধ্বস্ত ও গণবিচ্ছিন্ন। মানুষ এখন উন্নয়ন চায়, নিশ্চিত জীবন-জীবিকার গ্যারান্টি চায়। এ কারণেই করছে বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান।বিএনপি-জামায়াত জোটের অবস্থা এবং জনগণের মনোভাব উল্লিখিত ধরনের হওয়ায় আওয়ামী লীগ সুন্দর একটি পরিবেশ পেয়েছে দলটির নির্বাচনী অঙ্গীকার সময়মতো বাস্তবায়ন করে এটা প্রমাণ করার জন্য যে, মুক্তিযুদ্ধে যে দল নেতৃত্ব দিয়েছে, সেই দলই পারে জাতিকে অব্যাহত উন্নয়ন দিতে, জীবন-জীবিকার সুদূরপ্রসারী নিশ্চয়তা দিতে এবং সর্বোপরি উন্নত-সমৃদ্ধ-কল্যাণমুখী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে। স্বাধীনতার পরে আর কখনো ক্ষমতায় থাকতে আওয়ামী লীগ বাইরে এমন পরিবেশ পায়নি। তবে এই পরিবেশ অর্জন করা সম্ভব হয়েছে; কারো ভুল বা দয়ায় এমনটা নয়। জাতির অগ্রগতির পথে কলঙ্ক হিসেবে চেপে থাকা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও শাস্তি প্রদান, বর্তমান বিশ্বে উন্নয়নের প্রধান চাবিকাঠি প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বিশ্বাসযোগ্য পর্যায়ে আনা, বিএনপি-জামায়াতের যুদ্ধংদেহী অপতৎপরতা ঠেকানো, উগ্রজঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণ, দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা এবং সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করার সাফল্যের ভেতর দিয়ে পরিবেশ উন্নয়ন উপযোগী হয়েছে। স্বাধীনতার বিশেষত পঁচাত্তরের পর থেকে বিগত নির্বাচনের আগ পর্যন্তও চিন্তা করা যায়নি, এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। এক কথায় বলা যায়, এটা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পরিচালিত জোট সরকারের কাংিক্ষত ও কষ্টার্জিত অর্জন এবং সর্বোপরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি-প্রতিজ্ঞা-সাহস-কৌশলের কাছে সম্মিলীত অক্ষ বিষ দলের চরম পরাজয়ের কারনে। জাতির জনক তাঁর সারা জীবনের ত্যাগের ফসল বাংলাদেশের স্বাধীনতা। সেই স্বাধীনতাকে নিজের রক্ত এবং পরিবারের সদস্যদের রক্ত দিয়ে উৎসর্গ করে দিয়ে গেছেন বাঙালী জাতিকে।তাঁর জীবিত জৈষ্ঠ কন্যা দেশরত্ম সকল মেধা,প্রজ্ঞা,বিচক্ষনতা দিয়ে, বাঙালী জাতিকে দিয়ে যাচ্ছেন উন্নত, সমৃদ্ধ,মায্যদাপুর্ন বাংলাদেশ। আমাদের স্মরনে রাখা প্রয়োজন আছে গুটিকতক দুষ্কৃতকারীর কারনে এতসব অর্জন কোন অবস্থায় বিসর্জন দেয়া যায় না।তাই এখনি সময় আগাছা পরিষ্কার করে,সন্ত্রাসী, অস্রধারী,চোর ডাকাতদের কবল থেকে দলকে মুক্ত করে প্রকৃত দেশপ্রেমিক ত্যাগী নেতাদের হাতে সর্বক্ষেত্রে দলের নেতৃত্ব তুলে দেয়ার।আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন আগে যে খেটে খাওয়া মানুষটি আওয়ামী লীগ বলতে বুঝতো ভারতের তল্পিবাহক একটি দল এখন এই মহুর্তে সেই একই মানুষটি বুঝে আওয়ামী লীগ মানে উন্নত জীবন জীবিকার গ্যারান্টি দাতা, সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রুপকার,দক্ষিন পুর্ব এশিয়ার মধ্যে নেতৃত্ব দানকারি দেশের প্রতিষ্ঠাতা,মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকার বাস্তবায়নকারী,স্বাধীনতার স্বপ্ন পুরন কারী দলের নাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আর তাঁর সুদক্ষ কারিগর জাতির পিতার কন্যা দেশরত্ম বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী বিশ্ব নেতা শেখ হাসিনা ওয়াজেদ।পাঁচ দশ হাজার সন্ত্রাসী, মাস্তান,চাঁদাবাজকে যটপট ফেলে দিলে আওয়ামী লীগের তেমন কিছুই হবেনা বরং জগনের নিকট দল্টির গ্রহন যোগ্যতা আর কয়েক ধাপ বেড়ে একমাত্র জনগনের দলে রুপান্তরীত হওয়ার সুবর্ন সুযোগই অবারীত হবে।জয়বাংলা জয় বঙ্গবন্ধুজয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা

আওয়ামী লীগের জন্য দেশের কাজ করার এই সুবর্ন সুযোগ স্বাধীনতার পর আর কখনই আসেনি।রি সময়টাকে শত ভাগ কাজে লাগাতে হলে আগে দলকে আগাছা মুক্ত করা জরুরী।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা