আওয়ামী লীগের মধ্যে ঘাপটিমেরে থাকা সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজদের বের করে দিয়ে, আগাছা পরিস্কারের প্রাথমিক কাজের উদ্ভোধন করা হোক।------------__------------------------------ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা অবিরত দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।একদিকে বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখা অন্য দিকে কায়েমীস্বার্থ বাদী ভোগ বিলাসীদের লালসা থেকে দেশকে রক্ষা। একদিকে আইনের শাষন প্রতিষ্ঠা করার লক্ষে ৪০ বছরের ফেলে রাখা মামলার নিস্পর্তি,অন্য দিকে যুগের পালাবদলে সৃষ্ট আই, এস,টি, আই অপরাধ থেকে নতুন প্রজর্ম্মকে রক্ষা করার কঠিন চেলেঞ্জ মোকাবেলা করা।একদিকে বর্হিবিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনা,অন্যদিকে যুগ যুগান্তর অনুচ্ছারীত বাংলাদেশের বৃহৎ স্বার্থ(সমুদ্র সীমা নির্ধারন,সিমান্ত চুক্তি,পানি বন্টন চুক্তি সমুহ)প্রতিবেশী সুলভ সম্পর্ক বজায় রেখে মিমাংশা করন।কোন বিষয়কে বাদ না রেখে সমানে সব দিকে ফ্রন্ট খুলে, ধীর স্থির ভাবে একের পর এক সুকৌশলে বিজয় চিনিয়ে এনে বাংলাদেশকে করে চলেছেন সমৃদ্ধ, বাড়িয়ে তুলেছেন সীমানা, অর্থনৈতিক গতিধারাকে ক্রমশ করছেন পরিপুষ্ট স্ফীত।সারা বিশ্ব যখন মন্দার কবলে পড়ে ভুখা নাঙ্গা মানুষের আহাকারে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে বিশ্ব অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়ার উপক্রম, তখন বাংলাদেশের মত তৃতীয় বিশ্বের দরিদ্র, একদা পর পর ছয় বার বিশ্ব ব্যাংক কতৃক স্বীকৃতি পাওয়া, দুর্নীতিতে শীর্ষস্থান অধিকারি, বাংলাদেশেকে পরিকল্পিত কর্মসূচি গ্রহনের মাধ্যমে এশিয়ার সকল দেশের শেষে নিতে সক্ষম হয়েছেন।অর্থনীতিকে করে নিয়েছেন পরনির্ভরতা থেকে স্বাবলম্বি,আমদানী কারক ভিক্ষাবৃত্তির দেশকে গড়ে তুলেছেন রপ্তানিকারক ও সাহায্যকারী দেশের পদমার্য্যদায়।বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা এমন একটি পয্যায় নিতে সক্ষম হয়েছেন, একাদা যাহা কোন দিন কোন বিশেষজ্ঞ কল্পনাও করেননি এইরুপ কর্মযজ্ঞ বাংলাদেশের মত একটি গরীব দেশে সম্ভব হতে পারে।তাঁর প্রমান ও রেখেছে তাঁদের নেতিবাচক মন্তব্যের মধ্য দিয়ে।এমনতর কয়েক বিষয়ে আমি আপন্সদের সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি:---এক. পদ্মা সেতুর কাজ পরিকল্পনামতো অগ্রসর হচ্ছে। যে সব নিন্দুক বা হতাশাবাদী ভবিষ্যৎ বাণী করেছিল নিজস্ব অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণ সম্ভব নয়, তাদের মুখে ছাই দিয়ে দেশের বৃহত্তম এই স্থাপনা ক্রমেই দৃশ্যমান হচ্ছে। সময়ের আগে ২০১৮ সালের মধ্যে স্বপ্নের এই সেতু ব্যবহার করা যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। দুই. ঢাকা ও চট্টগ্রামে বড় বড় উড়াল সেতু, যা ছিল এতদিন কথায় তা এখন বাস্তবায়িত হচ্ছে। একের পর এক ফ্লাইওভাবের পর শান্তিনগর-মালিবাগ-মগবাজার-ইস্কাটন, সাত রাস্তার মোড় জুরে বিশাল ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ অগ্রসর হচ্ছে। তিন. ঢাকায় মেট্রোরেলের কাজ শুরুর তৎপরতা প্রত্যক্ষ করে মানুষ আশান্বিত হয়ে উঠছে। ফ্লাইওভার ও মেট্রোরেল নির্মাণ শেষ হলে ঢাকার চেহারাই যাবে পাল্টে। চার. রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, যা ছিল ৬০ বছর আগের পরিকল্পনা, তা এখন বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছে। দেশ আনবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন যুগে প্রবেশের দিন গুনছে। তাছাড়া নির্মিত হচ্ছে দুটি বৃহৎ বিদ্যুৎ প্রকল্প। এই সঙ্গে আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে বিদ্যুৎ আমদানির মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা হচ্ছে। লোডশেডিং কথাটা যেখানে ছিল মানুষের অনবরত বুলি, তা এখন ক্রমে মঙ্গার মতোই অতীতের বিষয়ে পরিণত হচ্ছে। পাঁচ. গভীর সমুদ্রবন্দর তৈরির মাস্টারপ্লানের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দ্বিতীয় অগভীর সমুদ্রবন্দর, যা নির্মিত হবে পায়রায়। ছয়. কর্ণফুলীতে ট্যানেল নির্মাণ এখন আর দিবাস্বপ্ন নয়।সাত. কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর গড়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। আট. পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। চট্টগ্রামের মিরশ্বরাই ও আনোয়ারা, মৌলভীবাজার ও বাগেরহাটের মংলায় চারটি বিদেশি অর্থায়নে এবং সিরাজগঞ্জে নিজস্ব অর্থায়নে সম্পন্ন করা হবে। নয়. পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের জন্য কানেকটিভিটি ব্যবস্থা গড়ে তোলার মহাপরিকল্পনা ক্রমে বাস্তবায়িত হচ্ছে। দশ. সবচেয়ে সাড়া জাগানো প্রকল্প হচ্ছে মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট স্থাপন। ২০১৭ সালের মধ্যে যদি এটা স্থাপিত হয়, তবে মহাবিশ্বে যাবে বাংলাদেশ এবং টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থায় পরনির্ভরতা শেষ করার সুযোগ অবারিত হবে।উল্লিখিত দশটি কাজ দশ দিকে দশ হাতে যখন বাস্তবায়ন করার কর্মযজ্ঞ চলছে, তখন ক্রমেই ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার রূপকল্প হাতের মুঠোয় এসে যাচ্ছে এবং সমুদ্রে বিজয়ের সুফল করায়ত্ত করতে ‘ব্রু "ইকোনমি’ আর অন্য দিকে পার্শ¦বর্তী দেশগুলোর সঙ্গে যে সুসস্পর্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে একে পুঁজি করে আঞ্চলিক সহযোগিতাপূর্ণ অর্থনীতি দেশের উন্নয়নের স্বার্থে কিভাবে হাতের মুঠোয় আনা যায়, সেই পরিকল্পনা প্রণয়নের তৎপরতা চলছে। বলার অপেক্ষা রাখে না, এই সব বড় বড় প্রকল্পসহ অন্যান্য প্রকল্প বাস্তবায়ন করে উন্নত এক বাংলাদেশ যদি গড়তে হয়, তবে সংবিধান অনুযায়ী রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অত্যাবশ্যক। গ্রেনেডবাজি, বোমাবাজি ও আগুনবাজি প্রভৃতি জঙ্গিবাদী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড যদি চলতে থাকে, তবে যে উল্লিখিত উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড কল্পনার ফানুস হয়ে যাবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই বিচারে বলা যায়, দেশে এখন উল্লিখিত সব প্রকল্প বাস্তবায়ন করার মতো রাজনৈতিক পারিবেশ বিরাজ করছে। হরতাল-অবরোধ যা ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী, তা এখন বিএনপি-জামায়াত জোটের চরম ভুল তথা সংবিধানবিরোধী-গণবিরোধী-দেশবিরোধী রাজনীতির জন্য দেশবাসী প্রত্যাখ্যান করছে।বিএনপি এখন কার্যত সংবাদ মাধ্যমের দল হয়ে গেছে। এতেও নেই স্বস্তি। নেত্রীর নামে বিবৃতি দিয়ে বিবৃতি প্রত্যাহার করে আবার সেই বিবৃতিই প্রচার করার মতো অবস্থা এখন বিএনপির। নেত্রী খালেদা জিয়া যা বলেন, তা অনেকটাই ভাঙা কলের গানের মতো চর্বিত চর্বন, মানুষের কথা সেখানে থাকে না। মানুষ তাই এ নিয়ে তেমন উচ্চবাচ্যও করে না। আর ‘লন্ডনের ভাইয়া’ একেবারেই নীরব হয়ে গেছেন। এত ইতিহাস যিনি রচনা করলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসে বড় স্ক্রিনে অডিও-ভিডিও কনফারেন্স করে প্রতিনিয়ত নির্দেশ দিলেন, মানুষকে ঝলসিয়ে দিতে যিনি সালাউদ্দিন গংদের দিয়ে গোপন সংবাদ কেন্দ্র খুলে প্রতিদিন বিবৃতি দিয়ে হরতাল-অবরোধ চালু রাখলেন এবং সর্বোপরি যুদ্ধ জয়ের হুংকার দিতে থাকলেন, তিনি আজ নীরব। নেত্রীর লন্ডন যাওয়া নিয়ে কতই না তোড়জোড় ছিল।শেষ অবদি গেলেন।বলা হল ১৬ তারিখের মধ্যে ফিরে আসবেন।এখন বলছেন না নেত্রী চোখের চিকিৎসার পর ফিরে আসবেন।দোয়া করি নেত্রীর চোখ ভাল হোক জাতির জনকের কন্যার উন্নয়ন অগ্রগতি, বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান তিনি যেন চোখের ব্যেন্ডেজ খুলেই দেখতে পান। গৃহযুদ্ধ বাঁধানোর পরিকল্পনা গ্রহণ ও কার্যকর করতে গিয়ে দল ও জোট এখন যেন নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন ও কর্মসূচি গ্রহণও ভুলে গেছে। সুদীর্ঘ ৯ মাস পর ২০ দলীয় জোটের বৈঠক দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চললেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। বিএনপি সুকৌশলে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিকভাবে নীরবতা পালন করছে বলে একটা প্রচার রাজনৈতিক অঙ্গনে রয়েছে। বলাই বাহুল্য, ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত ও প্রতিহিংসা দিয়ে আপাদমস্তক মোড়া এই দল ও জোট ঘাপটি মেরে বসে থাকার কারণ যদি এটা হয় যে, অসংবিধানিক কিছু একটা করার নীলনক্সা করে তা বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করছে এই চক্র; তবুও এটাই বলতে হবে, পাপে নিমজ্জিত বিএনপি দল বা জোট হিসেবে নিয়মতান্ত্রিকভাবে কিছু করার মতো অবস্থায় নেই। দল বিধ্বস্ত ও গণবিচ্ছিন্ন। মানুষ এখন উন্নয়ন চায়, নিশ্চিত জীবন-জীবিকার গ্যারান্টি চায়। এ কারণেই করছে বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান।বিএনপি-জামায়াত জোটের অবস্থা এবং জনগণের মনোভাব উল্লিখিত ধরনের হওয়ায় আওয়ামী লীগ সুন্দর একটি পরিবেশ পেয়েছে দলটির নির্বাচনী অঙ্গীকার সময়মতো বাস্তবায়ন করে এটা প্রমাণ করার জন্য যে, মুক্তিযুদ্ধে যে দল নেতৃত্ব দিয়েছে, সেই দলই পারে জাতিকে অব্যাহত উন্নয়ন দিতে, জীবন-জীবিকার সুদূরপ্রসারী নিশ্চয়তা দিতে এবং সর্বোপরি উন্নত-সমৃদ্ধ-কল্যাণমুখী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে। স্বাধীনতার পরে আর কখনো ক্ষমতায় থাকতে আওয়ামী লীগ বাইরে এমন পরিবেশ পায়নি। তবে এই পরিবেশ অর্জন করা সম্ভব হয়েছে; কারো ভুল বা দয়ায় এমনটা নয়। জাতির অগ্রগতির পথে কলঙ্ক হিসেবে চেপে থাকা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও শাস্তি প্রদান, বর্তমান বিশ্বে উন্নয়নের প্রধান চাবিকাঠি প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বিশ্বাসযোগ্য পর্যায়ে আনা, বিএনপি-জামায়াতের যুদ্ধংদেহী অপতৎপরতা ঠেকানো, উগ্রজঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণ, দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা এবং সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করার সাফল্যের ভেতর দিয়ে পরিবেশ উন্নয়ন উপযোগী হয়েছে। স্বাধীনতার বিশেষত পঁচাত্তরের পর থেকে বিগত নির্বাচনের আগ পর্যন্তও চিন্তা করা যায়নি, এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। এক কথায় বলা যায়, এটা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পরিচালিত জোট সরকারের কাংিক্ষত ও কষ্টার্জিত অর্জন এবং সর্বোপরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি-প্রতিজ্ঞা-সাহস-কৌশলের কাছে সম্মিলীত অক্ষ বিষ দলের চরম পরাজয়ের কারনে। জাতির জনক তাঁর সারা জীবনের ত্যাগের ফসল বাংলাদেশের স্বাধীনতা। সেই স্বাধীনতাকে নিজের রক্ত এবং পরিবারের সদস্যদের রক্ত দিয়ে উৎসর্গ করে দিয়ে গেছেন বাঙালী জাতিকে।তাঁর জীবিত জৈষ্ঠ কন্যা দেশরত্ম সকল মেধা,প্রজ্ঞা,বিচক্ষনতা দিয়ে, বাঙালী জাতিকে দিয়ে যাচ্ছেন উন্নত, সমৃদ্ধ,মায্যদাপুর্ন বাংলাদেশ। আমাদের স্মরনে রাখা প্রয়োজন আছে গুটিকতক দুষ্কৃতকারীর কারনে এতসব অর্জন কোন অবস্থায় বিসর্জন দেয়া যায় না।তাই এখনি সময় আগাছা পরিষ্কার করে,সন্ত্রাসী, অস্রধারী,চোর ডাকাতদের কবল থেকে দলকে মুক্ত করে প্রকৃত দেশপ্রেমিক ত্যাগী নেতাদের হাতে সর্বক্ষেত্রে দলের নেতৃত্ব তুলে দেয়ার।আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন আগে যে খেটে খাওয়া মানুষটি আওয়ামী লীগ বলতে বুঝতো ভারতের তল্পিবাহক একটি দল এখন এই মহুর্তে সেই একই মানুষটি বুঝে আওয়ামী লীগ মানে উন্নত জীবন জীবিকার গ্যারান্টি দাতা, সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রুপকার,দক্ষিন পুর্ব এশিয়ার মধ্যে নেতৃত্ব দানকারি দেশের প্রতিষ্ঠাতা,মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকার বাস্তবায়নকারী,স্বাধীনতার স্বপ্ন পুরন কারী দলের নাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আর তাঁর সুদক্ষ কারিগর জাতির পিতার কন্যা দেশরত্ম বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী বিশ্ব নেতা শেখ হাসিনা ওয়াজেদ।পাঁচ দশ হাজার সন্ত্রাসী, মাস্তান,চাঁদাবাজকে যটপট ফেলে দিলে আওয়ামী লীগের তেমন কিছুই হবেনা বরং জগনের নিকট দল্টির গ্রহন যোগ্যতা আর কয়েক ধাপ বেড়ে একমাত্র জনগনের দলে রুপান্তরীত হওয়ার সুবর্ন সুযোগই অবারীত হবে।জয়বাংলা জয় বঙ্গবন্ধুজয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা

আওয়ামী লীগের জন্য দেশের কাজ করার এই সুবর্ন সুযোগ স্বাধীনতার পর আর কখনই আসেনি।রি সময়টাকে শত ভাগ কাজে লাগাতে হলে আগে দলকে আগাছা মুক্ত করা জরুরী।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন