জামায়াত শিবিরের যত সম্পদ জঙ্গি উত্থানের উৎস।

জামায়াতে ইসলামীর যতসব আর্থিক,রাজনৈতিক, সামাজিক ও শিক্ষা ব্যাবসা।
======================================


গত কিছুদিন আগে ,  মোল্লা ফয়সালসহ নয়জনকে আটক করে ঈশ্বরগঞ্জ থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ স্পষ্ট করে জানায়, আটকরা কেউই আই এস আইয়ের সদস্য নয়।জামাত শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এসব লোকজনই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতেই আই,এস নাটক সাজিয়েছিল।এর আগে চট্রগ্রামে বেশ কিছু গুরুত্বপুর্ন স্থানে বোমাবাজি করার জন্য জামাত শিবিরের বিভিন্ন জেলার প্রায় ৪০জন নেতৃস্থানীয় নেতা শপথ নেয়ার জন্য এবং প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষন নিতে চট্রগ্রাম জোড়ো হয়েছিল।গুটিকতক গ্রেপতার হওয়ার পর বাদ বাকী কারা ছিল, আজ পয্যন্ত তথ্য উৎঘাটনের উদ্যোগ নিয়েছে এই ধরনের কোন খবর পত্রিকায় আসেনি।পেট্রোল বোমা বাজী, আগুন সন্ত্রাস চলাকালিন জামাতের নেতা সহ শিবিরের বেশ কিছু নেতা কর্মি বোমা সহ গ্রেপতার হয়েছিল।সন্ত্রাস উপদ্রুত এলাকায় বেশ কিছু মামলাও হয়েছিল।যারা জেলে ছিল তাঁরা জামিনে বের হয়ে আবার বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সাথে মিশে যাচ্ছে।যারা পলাতক ছিল, অনেকেই বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে।দেশে যারা আছে তাঁদের কে পুলিশ না দেখার ভান করে দিন পার করে দিচ্ছে।বিচার প্রক্রিয়া শ্লথ গতিতে চলছে,এভাবে চলতে থাকলে ২০/২৫বছরেও বিচার হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
 এবার জঙ্গি সম্পৃত্ততায় যে স্কুল ছাত্র ধরা পড়েছে নয়জন তাঁরাও শিবিরের জুনিয়র কর্মিবাহিনী।
ডিবি’র ওসি ইমরাত জানান, তারা শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলেও জঙ্গি সংগঠন আইএস’র নাম ব্যবহার করে দেশে জঙ্গিবাদের অস্তিত্ব আছে এটা প্রমাণ করতে চেয়েছিল।
বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ --বি,এন,পির কর্মি সংগ্রহের তৎপরতা না থাকলেও জামাত শিবিরের কর্মি সংগ্রহের তৎপরতায় সামান্যতম চিড় ধরেনি।সপ্তাহের একদিন ও বাদ নেই জেলাওয়ারী কোন না কোন বাড়িতে তাঁদের উঠান বৈঠক হচ্ছেনা।একাজে শিবির বর্তমানে আর ও নতুন কৌশল অবলম্ভন করেছে।স্কুল কলেজের ছাত্র/ছাত্রীদের তাঁরা প্রত্যহ কোন না কোন এলাকায় ছাত্র /ছাত্রী বন্ধুদের বাড়ীতে পাঠিয়ে ঐ পাড়ার ছাত্র/ছাত্রীদের এক জায়গায় জড়ো করে মগজ ধোলাইয়ের কাজ সমাধা করে।বিখ্যাত আওয়ামী লীগের বাড়ীতে তাঁর মেয়ের বান্ধবীরা বেড়াতে এসে মগজ ধোলাইয়ের কাজ সুচারু রুপে করে চলে যাওয়ার ১৫দিন পর নেতা নীজে জানতে পারেন।আচায্যের বিষয় হচ্ছে মাননীয় নেতার স্ত্রীও তাঁর মেয়ের সাথে একত্রে বসে নতুন করে মসুল মানের শফথ পাঠ করেছেন।'৭৫ পরবর্তিতে অল্প সময়ের ব্যাবধানে এই চক্র যে শক্তি সঞ্চয় করেছিল তাও অভিনব পদ্ধতিতেই করেছিল।তাঁরা প্রথমেই অর্থের শক্তি সঞ্চয় করার জন্য ভাল মানুষ,জনদরদী হয়ে সমাজের নেতৃস্থানীয়দের সাথে মিশে যায়।এলাকায় এলাকায় সরকারী বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার দুর্বলতাকে পুঁজি করে ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের জন্য বিভিন্ন নামে কিন্ডার গার্ডেন খুলে।নাম ধামের জন্য আমাদের টাকা ওয়ালা নেতারা মুক্ত হস্তে ঐ সব প্রতিষ্ঠানে দান করতে থাকে।শক্তি সঞ্চয়ের পরেই আমাদের টাকার গৌরবে গৌরাম্ভিত নেতাদের মেম্ভার শীপ আর সেখানে রাখেননি।সেই সমস্ত কিণ্ডার গার্ডেন কালক্রমে কলেজ বিস্ববিদ্যালয়ে পয্যন্ত রুপান্তরীত হয়েছে বা হচ্ছে।
  স্বল্প পুজিতে সুদের ব্যাবসা করার জন্য মাল্টিপারপাস শুরু করে এখন তাঁরাই ব্যাংক বীমার মালিক।সাথে ইসলামকে কৌশল করে ব্যাবহার করছে।প্রত্যেক মাল্টিপারপাসের নামের আগে আল শব্দটি যোগ করে বিস্বস্ততার সিঁড়ি প্রস্তুত করতেও তাঁদের বিবেকে বাঁধেনি।আজকের সেই ইসলামের নামের ব্যাংকে জাল টাকার আখড়ায় পরিনত হয়েছে।একলক্ষ টাকার এ।ক ব্যান্ডেল টাকায় কমের মধ্যে এক হাজার টাকার একটি জাল নোট থাকবেই।এই টাকা তাঁরা জঙ্গি তৈরী, প্রশিক্ষন,আংগঠনিক সফর ইত্যাদি নানা কাজে ব্যবহার করে থাকে।ব্যাংকের টাকার হিসেব ও আথিক রইলো,তঁদের দলের কাজ হল।আমাদের কোটি টাকার মালিক নেতারা ঐ সমস্ত ব্যাংকে টাকা লেনদেন করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন।একজন ব্যাবসায়ী নেতাও পাওয়া যাবে না যার ইসলামীক ব্যাংকে একাধিক একাউন্ট নেই।এই হচ্ছে আমাদের মজিব আদর্শ।এদের বিরুধিতা করতদ গেলেই প্রথমেই বলে বসে আপনি কি দেশের উন্নতি চান না?দেশের কি করে উন্নতি করে জাল টাকা বাজারজাত করে আমি বুঝি না।কচি কচি ছেলে মেয়েদের দুন্দর দ্রেস পড়া ছাড়া আর কি উপকার কিরতস পারদ এই সমস্ত কিন্ডার গার্ডেন আমি জানি না।প্রাই মারী স্কুলের মেধা ভিত্তিক নিয়োগ প্রাপ্ত গ্রেজুয়েট শিক্ষকেরা পড়াতে জানে না,সাধারন মেট্রিক, আই এ পাশ শিক্ষকেরা কি করে ভাল শিক্ষা দিতে পারে আমি একেবারেই বুঝিনা।হেফাজতিদের প্রত্যেক মাদ্রাসায় আমাদের নেতাদের সিংহ ভাগ দান।চেয়ারম্যান হয়ে দান করে গরিবের খাদ্য,টাকার মালিক হয়ে করে শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরী থেকে বঞ্চিত করে টাকা এনে, সেই টাকা মাদ্রাসা মসজিদে দান করে বেহেস্তের টিকেটের জন্য।অফিসার হয়ে ঘোষের টাকা দান করে বনে যান সাহেব।কত টুকু পুর্ন্য জমা হয় জানিনা তাদের আমল নামায়।আমাদের সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জনাব নাসির সাহেব তো যে দিন মেয়র নির্বাচিত হলেন, তাঁর দুই চার দিন পরেই চলে গেলেন  সফি সাহেবের দোয়ার জন্য।তাঁর পায়ের কাছে নতজানু হয়ে বসা একটা ছবি পত্রিকায় ফলাও করে প্রকাশিত হয়েছিল।
  প্রত্যেক কাজে জামায়াত শিবিরের শঠতা।লক্ষ করলে দেখবেন,তাঁরা নতুন কোন এলাকায় সংগঠন বিস্তার করতে গেলে কখনই জামায়াত শিবিরের নাম নিয়ে যায় না। তাঁরা যায় ইসলামী পাঠাগার,ইসলামী সমাজ কল্যান সংঘ,ইসলামী সমাজ কল্যান পরিষদ ইত্যাদি নাম নিয়ে।আপনি যদি বাঁধা দিতে যান তখন বলবে দেখছেন ইসলামের দুষমনদের কান্ড!!  সাধারন মানুষ ইসলামের নাম থাকার কারনে সহজে তাঁদের কথাটাই বিশ্বাস করে আগে।তাঁরা যে প্রথমেই শঠতার আশ্রয় নিলো এটা কেউ বুঝার ও চেষ্টা করে না।সমাবেশ মানে জনসভা ডাকে ইসলামী  সমাজ কল্যান পরিষদের নামে,জেলেদের জাল,তাঁতীদের তাঁত,গরীবদের সাহায্য করে সংঘের মাধ্যমে,সুদ খায় মাল্টি পারপাসের মাধ্যমে,বেকারদের (শিবিরের) চাকুরী দেয় ব্যাংক, বীমা,কিন্ডার গ্লার্টেন এর মাধ্যমে।স্কুল পড়ুয়া ছেলে মেয়েদের নিশ্চিত ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা দিয়ে, বৃত্তি প্রদানের আস্বাস দিয়ে দলে টেনে নেয়।একারনেই জামাত শিবিরকে নিষ্কৃয় করতে হলে তাঁদের অর্থের উৎস মুখ আগে বন্ধ করতে হবে।তাঁদের আর্থিক প্রতিষ্ঠান গুলি বন্ধ করে দিতে হবে।
মগজ ধোলাইয়ের কাজ যে সমস্ত কারখানায় হয় ঐ কারখানা আগে বন্ধ করে দিতে হবে,নিদেন পক্ষে মুক্তি যুদ্ধের পক্ষ শক্তিকে ঐ সমস্ত প্রতিষ্ঠান বর্জন করতে হবে।
  দেশের সকল মাদ্রাসাকে আর আধুনিকায়ন করে, মাদ্রাসা থেকে পাশ করে যাতে সিকারী চাকুরী পায়,জ্ঞান বিজ্ঞানে দক্ষতা অর্জন করতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।সমাজের একটা বৃহিত অংশকে শুধু মাত্র ইমামতি আর মোয়াজ্জেমী করার উপযোগি করে রাখলে সমাজ অলস হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।আমাদের বাবা মায়েরা অবৈধ আয়ে ফুলে ফেঁপে কলাগাছ হয়ে, পরকালে বেহেস্তে যাওয়ার আশায় ছেলে মেয়েদের ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করে, কবর জিয়ারতের ব্যবস্থায় মনোযোগি হওয়ার দিকে জোঁক বেশী।
 সমাজ থেকে প্রতিযোগিতার অর্থনীতির এই যুগে দুর্নীতি দূর করা কোন অবস্থায় সম্ভব নয়।মারমুখি কদাচিৎ লুন্টনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা যাবে, মুল উৎপাটন করা যাবে না। পশ্চিমা অর্থনীতির ধরনই লুটপাট,দুর্নীতি,স্বজনপ্রীতি দমন করবেন কিভাবে?

(নিম্নের প্রতিষ্ঠান গুলি বর্তমানে জঙ্গি অর্থায়নে জড়িত।)

"জেনে নিন আগে নীজে তারপর জনগনকেও জানান, জামাত শিবিরের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এর নাম। এই সমস্ত প্রতিষ্ঠান সমূহ নীজে  বয়কট  করুন জনগনকে উদ্ভুদ্ধ করুন বয়কট করার জন্য। সরকারের নিকট ঐক্যবদ্ধ ভাবে দাবী জানাতে হবে:--
জামাত শিবির প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানগুলো অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য। এইগুলো বন্ধ করে দিলেই চিরতরে জামাত শিবিরের মেরুদণ্ড ভেঙ্গে যাবে।  অর্থনৈতিক শক্তির কারণেই এরা বার বার ছড়া কচুগাছের মত বেড়ে উঠবে। এদের বিষদাঁত ভেঙ্গে দেয়ার এখনি সময়।
ক)) ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড:-- এটিই জামায়াতের সবচেয়ে বড় এবং লাভজনক সংগঠন।জাল টাকা বাজার জাত করার মুল ঘাঁটি। ধর্মের নাম ব্যবহার করে ব্যবসা করে তারা। এই ব্যাংকটির মূল কাজ হচ্ছে জামাত-শিবির যারা করে তাদের ঋণদেয়া সহ নানা ধরণের আর্থিক সুবিধা দেওয়া। এখানে যারা চাকরি করেন তারাও পরীক্ষিত জামায়াত কর্মী অথবা জামায়াত নেতাদের মেয়ের জামাই।ইসলামী ব্যাংকে চাকুরীর আশ্বাস দিয়ে এরা মেয়ে বিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করে।
ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদ:--
 ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান  অধ্যাপক আবু নাসের মোহাম্মদ আবদুজ জাহের।
 একাত্তরের ঘাতক দালাল কে কোথায় বইটিতে  ৭১-এ তার ভূমিকার বিবরণ:--
আবু জাহের  কুখ্যাত আলবদর সদস্য ছিলেন।  আল বদর হাইকমান্ডের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে  সে ছিল চট্টগ্রাম জেলা প্রধান।অভাবনীয় সাংগঠনিক দক্ষতার অধিকারী ছিলেন আবু জাহের।
২)  মোহাম্মদ ইউনুস (এখন মৃত)। সে ছিল আল বদর হাইকমান্ড-এর একজন সদস্য।  জামাতের মজলিসে সূরার সদস্য ছিলেন তিনি।
(৩) কাশেম আলী:-- প্রথমে চট্টগ্রাম জেলা প্রধান।  আল বদর হাই কমান্ডের তিন নম্বর প্রভাবশালী  সদস্য ছিলেন।পরবর্তিতে  আবু নাসের মোহাম্মদ আবদুজ জাহের মীর কাসেম আলীর স্থলাবিষক্ত হন। মীর কাশেম আলী নয়া দিগন্ত পত্রিকা ও টেলিভিশনের  প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। সেও একসময় মহানগর জামায়াতের আমীর ছিলেন। বলা যায় মীর কাশেম আলি জামায়াতের অর্থের উৎস ভান্ডার ও রক্ষনাবেক্ষনকারী।
(খ) ইবনে সিনা ট্রাস্ট:-- জামাতের একটি বড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। এখান থেকেই জামায়াতে ইসলামীর আয়ের বড় একটি অংশ আসে। এই ট্রাস্টের নামে আছে ইবনে সিনা হাসপাতাল, ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ইবনে সিনা ফার্মাসহ ৭/৮ প্রতিষ্ঠান। কর্মীদের এবং তাঁদের আত্মীয় স্বজনদের চিকিৎসা, লালন-পালন করার একটি বৃহৎ আকারের ট্রাস্ট।
 ট্রাষ্টিদের নাম:---
01. Mr. Advocate Mujibur Rahman, Chairman
02. Commodore (Retd.) Md. Ataur Rahman, Member, Ex-chairman( TCB)

03. Dr. Shamsuddin Ahmed, Member, Professor, International University of Technology

04. Mr. Shah Abdul Hannan, Member, Ex. Secretary. Govt. of Bangladesh,

05. Mr. A.N.M.A. Zaher, Member Finance, Chairman, Islami Bank.

06. Mr. Mir Quasem Ali, Member Administration,

07. Prof. Chowdhury Mahmood Hasan, Member, Professor. Dhaka University.

08. Prof. A.K.M. Sadrul Islam, Member, Professor, International University of Technology.

09. Mr. Nazir Ahmed, Member, Ex-Chairman, Islami Bank,

10. Mr. Kazi Harun Al Rashid, Member, Ex-Chairman, Islami Bank

(গ) দৈনিক নয়া দিগন্ত, দিগন্ত টেলিভিশন, দৈনিক আমার দেশ ও সংগ্রাম: তাদের দলীয় পত্রিকা ও টেলিভিশণ চ্যানেল।  সাধারণ মানুষের নিকট তাঁদের আদর্শ প্রচারের বড় প্রচার মাধ্যম।   সংগ্রামের কোনো ধরণের জনপ্রিয়তা বা গ্রহনযোগ্যতা না থাকায় তারা নয়া দিগন্ত পত্রিকা বের করে এবং দিগন্ত টেলিভিশন চালু করে।তাঁদের বুদ্ধিজীবি এবং আমাদের দালালেরা এই সমস্ত পত্রিকায় লিখালিখি করে।আজগুবী সব খবর চাপলেও তাঁদের কেশাগ্র কেউ স্পর্ষ করার সাহস করেনি।
আমার দেশ-এর মালিকানায় সেকেন্ড লারজেস্ট ইনভেস্টমেন্ট জামায়াতের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক তাসনীম আলমের পরিবার।
(ঘ) বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান:-- জামায়াতের অনেকগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে।
(১)চট্টগ্রামের ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি।
,(২) ঢাকার মানারত বিশ্ববিদ্যালয়,
(৩) সাঈদীর বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।
 আরও অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আছে, যেগুলোর মুল বা সিংহভাগ মালিক জামাতীরা। যেমন, নর্দান ইউনিভার্সিটি ও ইষ্টার্ণ ইউনিভার্সিটি।
(ঙ) কোচিং সেন্টার:---(১) বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ‘ফোকাস’,
(২)মেডিকেলে ভর্তির জন্য ‘রেটিনা’,
(৩)ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তির জন্য ‘কনক্রিট’, ‘কনসেপ্ট’ ও ‘এক্সিলেন্ট’ কোচিং সেন্টার।
দেশের সিংহভাগ স্কুল,কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় মূলত জামায়াত-শিবিরের বিভিন্ন ফাউন্ডেশনের নামে প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত। এসব কোচিং সেন্টার  প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকে।প্রশ্ন ফাঁসের আন্দোলনেও কিন্তু শিবিরের ভুমিকা অগ্রগন্য থাকে।তাঁরা আগেই জেনে যায় কোন বিষয়ের প্রশ্ন ফাস হয়েছে ।
(চ) ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান: মীর কাশেম আলীর কেয়ারি গ্রুপ রিয়েল এস্টেটের সবচেয়ে বড় অংশিদার।  কেয়ারি সিন্দবাদ নামের ফেরি জাহাজ মালিক মীর কাশেম আলী।
আবুল কাশেম হায়দার:--- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের নেতা ছিলেন।তার ছিল বেশ কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান।(১)  ইয়ুথ গ্রুপ থেকে তৈরী ভার্জিন ড্রিংকস। (২)মেট্রো শপিং সেন্টার।
(৩)রিয়েল এস্টেট মিশন গ্রুপ সহ আরো কয়েকটি।

এর বাহিরেও দেশে বিদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে জামায়াতের আর্থিক প্রতিষ্ঠান।বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এমন কোন ইউনিয়ন নেই, যে ইউনিয়নে একাদিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব বিদ্যমান নেই।

  দেশবাসি,মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি,প্রগতিমনা সকল রাজনৈতিক দল ও জোট,সংস্কৃতি কর্মি,সাহিত্যিক,সাংবাদিক,পেশাজীবি, আইনজীবি সকলের নিকট আহব্বান জানাবো আসুন আমরা সবাই মিলে উল্লেখিত প্রতিষ্ঠান গুলি বর্জন করি,জনগনকে সামর্থ অনুয়ায়ী উদ্ভুদ্ধ করি বর্জন করার জন্য।সরকারি ভাবে বন্ধ করার জন্য আন্দোলন গড়ে তুলি।জনমত সৃষ্টি ছাড়া কোন সরকার কোন দিন কোন কাজ নীজ থেকে করেনি ভবিষ্যতেও করবেনা।


      "জয়বাংলা       জয়বঙ্গবন্ধু"
      "জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা"

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন