স্থানীয় সরকার নির্বাচন,দলীয় প্রতিকে--রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব এড়ানো যুগের অবসান
স্থানীয় সরকারের নির্বাচন,দলীয় প্রতিকে--রাজনৈতিক দল সমুহের দায়িত্ব এড়ানোর যুগের অবসান
===============================
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই ও মনোনয়নের কোনো পদ্ধতি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সহ কোন দলের গঠনতন্ত্রেই নেই।ইহা একটা নতুন অবশ্যম্ভাবি অধিকতর গনতান্ত্রিক পদ্ধতি হতে পারে, যদি দল গুলি নিয়মাতান্ত্রিকভাবে স্বতস্ফুর্ত, আনন্দঘন পরিবেশে অংশগ্রহন করে।নির্বাচনের কয়টি দিন জাতিয় আনন্দ দিবস হিসেবেও গন্য করা হলে অতুক্তি হবেনা বলে আমি মনে করি।যেহেতু স্থানীয় পরিষদ নির্বাচন গুলিতে দেশের প্রত্যেক নাগরিক জড়িয়ে পড়েন।প্রত্যেকে প্রত্যেকের স্বার্থ এই স্থানীয় পরিষদে নিহিত আছে মনে করেন।নীজেদের লোক নির্বাচিত করে আনার জন্য তাই তাঁদের আত্মিয় স্বজন, বন্ধু-বান্ধবেরা মরিয়া হয়ে নির্বাচনী মাঠে ঝাপিয়ে পড়ে।যাহা জাতিয় নির্বাচন সমুহে চোখে পড়ে না।
বর্তমান সরকার স্থানীয় পরিষদের নির্বাচন দলীয় প্রতিকে করার সিন্ধান্ত নিয়ে কয়েক যুগের জাতিগত ভাবে মিথ্যা,শঠতা,ভন্
ডামির অবসান ঘটিয়ে, দায়িত্বহীন রাজনৈতিক দল সমুহের কাঁধে দায়িত্বের বোঝা তুলে দিতে সক্ষম হলেন।এযাবৎ কাল স্থানীয় পরিষদের কোন নিররাচনে, কেন্দ্র দখল,ত কারচুপি,হামলা মামলার দায়িত্ব রাজনৈতিক দল সমুহ নিতে দেখা যায়নি।নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দলিয় ভাবে ফুলের তোড়া দিয়ে জাঁকজমকের সহিত বরন করে নিতে দেখা গেছে।নির্বাচিতদের সংখ্যাধিক্য নিয়ে বড়াই করতে দেখা গেছে কিন্তু কেন্দ্রে বোমাবাজি,ব্যলট চিনতাইয়ের মত ন্যক্কারজনক কোন বিষয়ের দায়িত্ব নিতে দেখা যায়নি।এই দায়িত্ব শুধু সরকারকে একাই বহন করতে হত।এখন থেকে দায়িত্ব দল গুলীর উপর বর্তাবে আমি মনে করি।জাতিয় নির্বাচনে কারচুপির জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করা যত কঠিন,স্থানিয় নির্বাচনে এহেন কর্মকান্ডে আন্দোলন সংগ্রাম সংগঠিত করা ততসহজ হবে বলেও আমি মনে করি।যেহেতু স্থানীয় নির্বাচনে জনস্বার্থ জাতিয় নির্বাচন থেকে আরও গভীরে প্রোথিত।নির্বাচনে কারচুপির মাত্রা অনেকাংশে কমে আসবে,কারন সকল দলের জাতীয় নেতারা তাঁদের দলীয় স্বার্থে নীজ এলাকার প্রার্থীর পক্ষে প্রচারনায় অংশ নিতে পারবেন। প্রয়োজনীয় কেন্দ্রে অবস্থান গ্রহন করে ভোট পয্যবেক্ষন করার আইনগত ভাবে সিদ্ধতা পাবেন।নির্বাচন কমিশন কতৃক নিয়োগ কৃত কর্মকর্তা কর্মচারিরাও ভি,আই,পির উপস্থিতিতে সাহষ নিয়ে ভোট পরিচালনা সহ আনুষাঙ্গিক কর্মকান্ড সুষ্ঠ ভাবে করতে পারবেন।
অনেক দল এবং ব্যাক্তি বিভ্রান্তিতে আছেন পদ্ধতিটি কেমন হতে পারে।দল গুলিও এই মনোনয়ন কীভাবে হবে, তা ঠিক করতে শিগগিরই দলের কার্যনির্বাহী সংসদ সভা ডাকার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।কোন কোন দল ইতিমধ্যে এই নির্বাচনকে ঘিরে নীজেদের দলীয় শক্তি সামর্থ্য যাচাই করার নিমিত্তে ইতিমধ্যে তৃন্মুল পয্যায়ে নির্বাচন করার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন মাঠ পয্যায়ের নেতা কর্মিদের। এদিকে, দলীয় পরিচয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্তের পরই সরকারি দলের আগ্রহী প্রার্থীরা মন্ত্রী, নেতা ও সাংসদদের পেছনে ছোটাছুটি শুরু করে দিয়েছেন। প্রতিটি পৌরসভায় পাঁচের অধিক দলীয় নেতা নির্বাচন করতে চাওয়ায়, এবার প্রার্থী বাছাই করা কঠিন হবে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।বি,এন,পিতেও প্রার্থীর চড়াচড়ি হবে অবসঘা দৃষ্টে মনে হচ্ছে।
স্থানীয় নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সব ধরনের নির্বাচনই রাজনৈতিক দলে গতি আনে। স্থানীয় নির্বাচন দলীয় প্রতীকে করার সিদ্ধান্তে আওয়ামী লীগের তৃণমূলে চাঙাভাব এসেছে। সাত বছর ধরে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকার কারণে দলীয় কার্যক্রম দিবস ভিত্তিক হয়ে পড়েছিল। অনেকে টাকা বানানোর পেছনে ছুটেছেন। এখন স্থানীয় নির্বাচনে প্রার্থী হতে সবাই তৎপর হয়
স্থানীয় নির্বাচন জোটগতভাবে হবে নাকি আলাদা হবে—এ নিয়ে তৃনমুলের নেতা কর্মিদের মনে
দলের নীতিনির্ধারণী একটি সূত্র জানিয়েছে, দলীয়ভাবে প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া নিয়ে দলে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। শিগগিরই কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক করে প্রার্থী বাছাইয়ের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হবে। সূত্র আরও জানায়, প্রতীক ও দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের মাধ্যমে নির্বাচনের বিষয়টি সরকারের অনেক ভাবনার ফসল। এ জন্য দলীয় প্রার্থী বাছাই এবং সেসব প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য দল থেকে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আগামী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকেই সারা দেশের মেয়াদোত্তীর্ণ ২৪৫টি পৌরসভায় নির্বাচন শুরু হয়ে যাবে। এরপর মার্চ-এপ্রিল থেকে শুরু হবে ৪ হাজার ৫৫৩টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। এসব নির্বাচন এত দিন নির্দলীয় হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছিল।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য নূহ-উল-আলম লেনিন প্রথম আলোকে বলেন, দলীয় প্রতীক ও প্রার্থী বাছাই পদ্ধতি ঠিক করার জন্য সাংগঠনিক প্রস্তুতির বিষয় আছে। দলীয় ফোরামে আলোচনা করেই ঠিক করা হবে। দলের মধ্যে মনোনয়নের জন্য সুস্থ প্রতিযোগিতা সব সময় থাকে। এবার হয়তো প্রতিযোগিতা আরও বাড়বে। সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থীটাই যাতে দলীয় মনোনয়ন পান, সেই পদ্ধতিই অবলম্বন করা হবে।
দলীয় প্রতীকে ভোট হলে প্রার্থী বাছাইয়ে সাংসদদের ভূমিকা কিছুটা কমে আসবে। কারণ, সাংসদ সব পৌরসভা ও ইউনিয়নে নিজের লোকদের বসাতে পারতেন। এখন একটি কমিটি বা বোর্ডের মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই করা হবে। এ ক্ষেত্রে সাংসদ হয়তোবা বোর্ড বা কমিটির গুরুত্বপূর্ণ অংশ হবেন। তাই সব সিদ্ধান্ত নিজের পক্ষে হয়তো নিতে পারবেন না।
আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, জাতীয় নির্বাচনের জন্য ১১ সদস্যের একটি সংসদীয় বোর্ড থাকে। দলীয় সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সংসদীয় দলের নেতা পদাধিকার বলে সদস্য। অন্যরা কাউন্সিলের মাধ্যমে নির্বাচিত হন। কিন্তু তৃণমূলের প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কমিটি কেমন হবে, তা গঠনতন্ত্রে নেই।
যতটুকু অনুমান করা যায়, এ মাসে বা আগামী মাসের শুরুতে কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক হবে। এ বৈঠকে স্থানীয় নির্বাচনের প্রার্থী মনোনয়নের প্রক্রিয়া এবং কমিটি কেমন হবে, এর রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। কার্যনির্বাহী সংসদে নেওয়া সিদ্ধান্তের ফলে গঠনতন্ত্রে কোনো কিছু যোগ করার থাকলে তা পরবর্তী কাউন্সিলে অনুমোদন করিয়ে নেওয়ার নিয়ম আছে। এ ক্ষেত্রে সংসদীয় বোর্ডের আদলে জেলা পর্যায়ে কমিটি করে দেওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিতে পারছিনা। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব, সাংসদ ও কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি রাখা হতে পারে। চূড়ান্তভাবে তালিকা কেন্দ্রীয় সংসদীয় কমিটি থেকে অনুমোদন করা হবে।
বর্তমানে পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই করে আনুষ্ঠানিক মনোনয়ন দেওয়ার প্রক্রিয়া চালু আছে। বর্তমানে জেলার নেতা, স্থানীয় সাংসদ, দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ক্ষেত্রবিশেষে অঞ্চলভিত্তিক বড় নেতারা এ কাজ করেন। কিছু কিছু স্থানে তৃণমূলের ভোটের ভিত্তিতে প্রার্থী বাছাই করা হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কেন্দ্রীয় নেতারা সমঝোতার ভিত্তিতে একজনকে নির্বাচন করেন।
ভোটের মালিক জনগন।নেতৃত্ব দেন ওই এলাকার নেতারা।কর্মি সৃষ্টি করেন নেতারা।উন্নয়ন মুলক কাজ করেন স্ব-স্ব এলাকার দায়িত্ব প্রাপ্ত সংসদ সদস্যের মাধ্যমে স্থানীয় সরকারের প্রতিনীধিরা,সাথে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাগনও অংশগ্রহন করেন।কে ভাল কে মন্দ এলাকার নেতাকর্মিদের চাইতে বেশি আর কেহই জানার সুযোগ নেই।স্বানীয় কর্মিদের দ্বারা নির্বাচিত নেতাকে মনোনয়ন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেয়া যায়,তবে মনোনয়ন বানিজ্য কমে আসার সম্ভাবনা আছে।উদ্বতন নেতাদের মনোনয়নে সম্পৃত্ত রাখার অর্থই হবে, তৃনমুলের নেতাদের শোষন করে মনোনয়ন বানিজ্যের মাধ্যমে লক্ষ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া।এমনিতে তৃনমুলের নেতাকর্মিরা দলের উপর রাগ ক্ষোভ নিয়ে কোনক্রমে দিনাতিপাত করছেন।বানিজ্যের সুযোগ দিলে ক্ষোভ বিক্ষোভে পরিনত হয়ে দলের মধ্যে বিশৃংখলা সৃষ্টি হওয়ার আশংকা উড়িয়ে দিতে পারি না।
আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, জাতীয় নির্বাচনের জন্য ১১ সদস্যের একটি সংসদীয় বোর্ড থাকে। দলীয় সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সংসদীয় দলের নেতা পদাধিকার বলে সদস্য। অন্যরা কাউন্সিলের মাধ্যমে নির্বাচিত হন। তদ্রুপ ইউনিয়ন,পৌর সভা,ওয়ার্ডের নির্বাচনে নেতৃত্ব বাচাইয়ের প্রক্রিয়ার মত একই রীতি অনুস্মরন করা বাঞ্চনীয়।
নিম্নের মতামতটি একান্তই আমার নিজস্ব মতামত,কোন ক্রমেই দল বা জোটকে,নেতৃবৃন্দকে বিভ্রান্ত করার জন্য নহে,বিবেচনা করার জন্য আবেদন মাত্র।
"ধরা যাক ওয়ার্ডের মেম্বার পদে প্রার্থী বাছাইয়ে ঐ ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি সম্পাদক ব্যতিত আরও মনোনীত দশ জন কাউন্সিলর নিয়ে বাছাই কমিটি করা যেতে পারে।সর্বমোট বার জনের ভোটে যিনি প্রথম হবেন তিনি দলীয় নমিনেশন পাবেন।যিনি দ্বিতীয় হবেন তিনি পাইপ লাইনে থাকবেন,কোন কারনে প্রথম জনের নমিনেশন বাতিল হলে দ্বিতীয়জন ভোটে অংশ গ্রহন করার সুযোগ থাকবে।তেমনী ভাবে প্রত্যেক ওয়ার্ডের ঐ বার জন করে নয় ওয়ার্ড থেকে ১২*৯=১০৮ সাথে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সম্পাদক সর্বমোট ১১০ জনের ভোটে যিনি প্রথম হবেন তিনি দলীয় নমিনিশনের জন্য বিবেচিত হবেন,দ্বিতীয় জন প্রথম জনের নমিনিশন কোন কারনে বাতিল হলে দ্বিতীয় জন নমিনেশন পেয়েছেন ধরে নিতে হবে।প্রক্রিয়াটি উপজেলা পয্যায় পয্যন্ত একইভাবে অনুস্মরন করা যেতে পারে।
প্রক্রিয়াটিতে জেলা,উপজেলা,সংসদ সদস্যদের কোনক্রমেই রাখা যাবে না।যদি উদ্ধতনের হস্তক্ষেপের সুযোগ দেয়া হয়, গনতন্ত্রকে সুদৃড ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করার সরকারের যে ইচ্ছা, এতে বড় রকমের বাঁধার সৃষ্টি হবে,দল ক্রমশ নেতা নির্ভর হতে বাধ্য হয়ে যাবে।দলীয় তৃনমুলের নেতাদের শোষন করে উদ্ধতন নেতারা গাড়ী বাড়ীর মালিক হবে, দলের বিকাশ ঘটবে না।ইহা কোন অবস্থায় একজন সত্যিকারের মুজিব আদর্শের বিশ্বাসী সৈনীকের কাম্য হতে পারে না।"
বর্তমানে পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই করে আনুষ্ঠানিক মনোনয়ন দেওয়ার প্রক্রিয়া চালু আছে। বর্তমানে জেলার নেতা, স্থানীয় সাংসদ, দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ক্ষেত্রবিশেষে অঞ্চলভিত্তিক বড় নেতারা এ কাজ করেন। কিছু কিছু স্থানে তৃণমূলের ভোটের ভিত্তিতে প্রার্থী বাছাই করা হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কেন্দ্রীয় নেতারা সমঝোতার ভিত্তিতে একজনকে নির্বাচন করেন। তবে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মনোনয়ন ঠিক করা হয়নি এই যাবৎ।এবার তাও সম্ভব হবে একই প্রক্রিয়ায়।
উল্লেখিত প্রক্রিয়াটিতে তোষন নীতি স্পষ্ট।বেশ ত্রুটি পরিলক্ষিত হওয়ার কারনে তা কিছুটা রদবদল আনায়ন জরুরী মনে করি।কোন অবস্থায় উদ্ধতন নেতাদের হস্তক্ষেপ করার সুযোগ দেয়া উচিৎ হবে না,উদ্ধতন নেতাদের বাছাই পর্বে অংশগ্রহন,"" অংশটিতে সংশোধনী এনে কর্মীদের ভোটে নেতা নির্বাচন পদ্ধতি অনুমোদন করা আওয়ামী লীগের মত বড় সংগঠনের একান্ত কাম্য।""
এতে দলের অভ্যন্তরীন কোন্দল অনেকাংশে নির্মুল করা যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।সর্বক্ষেত্র
ে কর্মিদের উপর নির্ভরতা থাকা প্রয়োজন।এতে দলের ত্যাগী,কর্মিবান্ধব,জনগনের জন্য নিবেদিত ব্যাক্তিরাই নেতৃত্বে উঠে আসবেন।দল যেমন উপকৃত হবে জনগন ও দলের কতিপয় হাইব্রিডের অত্যাচার থেকে রক্ষা পাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
সকলের নিবিড়ভাবে মনে রাখা প্রয়োজন যে, দলীয় প্রতিকে নির্বাচনের অর্থই হচ্ছে,সফলত বিফলতার সম্পুওর্ন দায় দলের উপর বর্তানো।কারো খেয়াল খুশিমত আত্মীয়করন,স্বজনপ্রীতি,মনোনয়ন বানিজ্যের কারনে দলের ভরা ডুবি কাম্য হতে পারেনা।
তৃনমুলের নেতাকর্মিদের হাতে মনোনয়নের দায়িত্ব থাকার অর্থই হচ্ছে মরিয়া হয়ে তাঁদের প্রার্থীকে জিতিয়ে আনা।সকল দিক বিবেচনা করলে দেখা যাবে স্ব-স্ব এলাকার নির্বাচক মন্ডলি কতৃক মনোনয়ন হবে গন্তান্ত্রিক, জনগন নির্ভর,দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের মহতি উদ্যোগ।প্রাথমিক অবস্থায় প্রার্থী বাছাইয়ে ত্রুটি থেকে গেলে,তা রক্ষনাবেক্ষন করা পয্যন্ত দলের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাবে।
উল্লেখ্য করা প্রয়োজন যে অতীতের মত রাজনৈতিক দল গুলীর, প্রার্থীদের ইতিবাচক দিক গ্রহন করে, নেতিবাচক দিক কৌশলে এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকবে না।কারন নৌকার হার মানেই আওয়ামী লীগের হার,আওয়ামী লীগের হার মানেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার হার,স্বাধীনতার হার,সর্বপুরী দেশরত্ম শেখ হাসিনার হার।
উল্লেখিত আইন এর অধিনে নির্বাচনের ভাল মন্দ দিক সমুহ সর্বতোভাবে,সরকার,রাজনৈতিক দল,প্রার্থী সকলের কাঁধে সমভাবে সফলতা বিফলতার অংশ বর্তাবে।কৌশলে এড়িয়ে যাওয়ার যুগের অবসান ঘটালেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনা।
জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু
জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা
===============================
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই ও মনোনয়নের কোনো পদ্ধতি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সহ কোন দলের গঠনতন্ত্রেই নেই।ইহা একটা নতুন অবশ্যম্ভাবি অধিকতর গনতান্ত্রিক পদ্ধতি হতে পারে, যদি দল গুলি নিয়মাতান্ত্রিকভাবে স্বতস্ফুর্ত, আনন্দঘন পরিবেশে অংশগ্রহন করে।নির্বাচনের কয়টি দিন জাতিয় আনন্দ দিবস হিসেবেও গন্য করা হলে অতুক্তি হবেনা বলে আমি মনে করি।যেহেতু স্থানীয় পরিষদ নির্বাচন গুলিতে দেশের প্রত্যেক নাগরিক জড়িয়ে পড়েন।প্রত্যেকে প্রত্যেকের স্বার্থ এই স্থানীয় পরিষদে নিহিত আছে মনে করেন।নীজেদের লোক নির্বাচিত করে আনার জন্য তাই তাঁদের আত্মিয় স্বজন, বন্ধু-বান্ধবেরা মরিয়া হয়ে নির্বাচনী মাঠে ঝাপিয়ে পড়ে।যাহা জাতিয় নির্বাচন সমুহে চোখে পড়ে না।
বর্তমান সরকার স্থানীয় পরিষদের নির্বাচন দলীয় প্রতিকে করার সিন্ধান্ত নিয়ে কয়েক যুগের জাতিগত ভাবে মিথ্যা,শঠতা,ভন্
ডামির অবসান ঘটিয়ে, দায়িত্বহীন রাজনৈতিক দল সমুহের কাঁধে দায়িত্বের বোঝা তুলে দিতে সক্ষম হলেন।এযাবৎ কাল স্থানীয় পরিষদের কোন নিররাচনে, কেন্দ্র দখল,ত কারচুপি,হামলা মামলার দায়িত্ব রাজনৈতিক দল সমুহ নিতে দেখা যায়নি।নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দলিয় ভাবে ফুলের তোড়া দিয়ে জাঁকজমকের সহিত বরন করে নিতে দেখা গেছে।নির্বাচিতদের সংখ্যাধিক্য নিয়ে বড়াই করতে দেখা গেছে কিন্তু কেন্দ্রে বোমাবাজি,ব্যলট চিনতাইয়ের মত ন্যক্কারজনক কোন বিষয়ের দায়িত্ব নিতে দেখা যায়নি।এই দায়িত্ব শুধু সরকারকে একাই বহন করতে হত।এখন থেকে দায়িত্ব দল গুলীর উপর বর্তাবে আমি মনে করি।জাতিয় নির্বাচনে কারচুপির জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করা যত কঠিন,স্থানিয় নির্বাচনে এহেন কর্মকান্ডে আন্দোলন সংগ্রাম সংগঠিত করা ততসহজ হবে বলেও আমি মনে করি।যেহেতু স্থানীয় নির্বাচনে জনস্বার্থ জাতিয় নির্বাচন থেকে আরও গভীরে প্রোথিত।নির্বাচনে কারচুপির মাত্রা অনেকাংশে কমে আসবে,কারন সকল দলের জাতীয় নেতারা তাঁদের দলীয় স্বার্থে নীজ এলাকার প্রার্থীর পক্ষে প্রচারনায় অংশ নিতে পারবেন। প্রয়োজনীয় কেন্দ্রে অবস্থান গ্রহন করে ভোট পয্যবেক্ষন করার আইনগত ভাবে সিদ্ধতা পাবেন।নির্বাচন কমিশন কতৃক নিয়োগ কৃত কর্মকর্তা কর্মচারিরাও ভি,আই,পির উপস্থিতিতে সাহষ নিয়ে ভোট পরিচালনা সহ আনুষাঙ্গিক কর্মকান্ড সুষ্ঠ ভাবে করতে পারবেন।
অনেক দল এবং ব্যাক্তি বিভ্রান্তিতে আছেন পদ্ধতিটি কেমন হতে পারে।দল গুলিও এই মনোনয়ন কীভাবে হবে, তা ঠিক করতে শিগগিরই দলের কার্যনির্বাহী সংসদ সভা ডাকার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।কোন কোন দল ইতিমধ্যে এই নির্বাচনকে ঘিরে নীজেদের দলীয় শক্তি সামর্থ্য যাচাই করার নিমিত্তে ইতিমধ্যে তৃন্মুল পয্যায়ে নির্বাচন করার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন মাঠ পয্যায়ের নেতা কর্মিদের। এদিকে, দলীয় পরিচয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্তের পরই সরকারি দলের আগ্রহী প্রার্থীরা মন্ত্রী, নেতা ও সাংসদদের পেছনে ছোটাছুটি শুরু করে দিয়েছেন। প্রতিটি পৌরসভায় পাঁচের অধিক দলীয় নেতা নির্বাচন করতে চাওয়ায়, এবার প্রার্থী বাছাই করা কঠিন হবে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।বি,এন,পিতেও প্রার্থীর চড়াচড়ি হবে অবসঘা দৃষ্টে মনে হচ্ছে।
স্থানীয় নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সব ধরনের নির্বাচনই রাজনৈতিক দলে গতি আনে। স্থানীয় নির্বাচন দলীয় প্রতীকে করার সিদ্ধান্তে আওয়ামী লীগের তৃণমূলে চাঙাভাব এসেছে। সাত বছর ধরে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকার কারণে দলীয় কার্যক্রম দিবস ভিত্তিক হয়ে পড়েছিল। অনেকে টাকা বানানোর পেছনে ছুটেছেন। এখন স্থানীয় নির্বাচনে প্রার্থী হতে সবাই তৎপর হয়
স্থানীয় নির্বাচন জোটগতভাবে হবে নাকি আলাদা হবে—এ নিয়ে তৃনমুলের নেতা কর্মিদের মনে
দলের নীতিনির্ধারণী একটি সূত্র জানিয়েছে, দলীয়ভাবে প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া নিয়ে দলে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। শিগগিরই কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক করে প্রার্থী বাছাইয়ের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হবে। সূত্র আরও জানায়, প্রতীক ও দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের মাধ্যমে নির্বাচনের বিষয়টি সরকারের অনেক ভাবনার ফসল। এ জন্য দলীয় প্রার্থী বাছাই এবং সেসব প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য দল থেকে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আগামী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকেই সারা দেশের মেয়াদোত্তীর্ণ ২৪৫টি পৌরসভায় নির্বাচন শুরু হয়ে যাবে। এরপর মার্চ-এপ্রিল থেকে শুরু হবে ৪ হাজার ৫৫৩টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। এসব নির্বাচন এত দিন নির্দলীয় হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছিল।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য নূহ-উল-আলম লেনিন প্রথম আলোকে বলেন, দলীয় প্রতীক ও প্রার্থী বাছাই পদ্ধতি ঠিক করার জন্য সাংগঠনিক প্রস্তুতির বিষয় আছে। দলীয় ফোরামে আলোচনা করেই ঠিক করা হবে। দলের মধ্যে মনোনয়নের জন্য সুস্থ প্রতিযোগিতা সব সময় থাকে। এবার হয়তো প্রতিযোগিতা আরও বাড়বে। সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থীটাই যাতে দলীয় মনোনয়ন পান, সেই পদ্ধতিই অবলম্বন করা হবে।
দলীয় প্রতীকে ভোট হলে প্রার্থী বাছাইয়ে সাংসদদের ভূমিকা কিছুটা কমে আসবে। কারণ, সাংসদ সব পৌরসভা ও ইউনিয়নে নিজের লোকদের বসাতে পারতেন। এখন একটি কমিটি বা বোর্ডের মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই করা হবে। এ ক্ষেত্রে সাংসদ হয়তোবা বোর্ড বা কমিটির গুরুত্বপূর্ণ অংশ হবেন। তাই সব সিদ্ধান্ত নিজের পক্ষে হয়তো নিতে পারবেন না।
আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, জাতীয় নির্বাচনের জন্য ১১ সদস্যের একটি সংসদীয় বোর্ড থাকে। দলীয় সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সংসদীয় দলের নেতা পদাধিকার বলে সদস্য। অন্যরা কাউন্সিলের মাধ্যমে নির্বাচিত হন। কিন্তু তৃণমূলের প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কমিটি কেমন হবে, তা গঠনতন্ত্রে নেই।
যতটুকু অনুমান করা যায়, এ মাসে বা আগামী মাসের শুরুতে কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক হবে। এ বৈঠকে স্থানীয় নির্বাচনের প্রার্থী মনোনয়নের প্রক্রিয়া এবং কমিটি কেমন হবে, এর রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। কার্যনির্বাহী সংসদে নেওয়া সিদ্ধান্তের ফলে গঠনতন্ত্রে কোনো কিছু যোগ করার থাকলে তা পরবর্তী কাউন্সিলে অনুমোদন করিয়ে নেওয়ার নিয়ম আছে। এ ক্ষেত্রে সংসদীয় বোর্ডের আদলে জেলা পর্যায়ে কমিটি করে দেওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিতে পারছিনা। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব, সাংসদ ও কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি রাখা হতে পারে। চূড়ান্তভাবে তালিকা কেন্দ্রীয় সংসদীয় কমিটি থেকে অনুমোদন করা হবে।
বর্তমানে পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই করে আনুষ্ঠানিক মনোনয়ন দেওয়ার প্রক্রিয়া চালু আছে। বর্তমানে জেলার নেতা, স্থানীয় সাংসদ, দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ক্ষেত্রবিশেষে অঞ্চলভিত্তিক বড় নেতারা এ কাজ করেন। কিছু কিছু স্থানে তৃণমূলের ভোটের ভিত্তিতে প্রার্থী বাছাই করা হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কেন্দ্রীয় নেতারা সমঝোতার ভিত্তিতে একজনকে নির্বাচন করেন।
ভোটের মালিক জনগন।নেতৃত্ব দেন ওই এলাকার নেতারা।কর্মি সৃষ্টি করেন নেতারা।উন্নয়ন মুলক কাজ করেন স্ব-স্ব এলাকার দায়িত্ব প্রাপ্ত সংসদ সদস্যের মাধ্যমে স্থানীয় সরকারের প্রতিনীধিরা,সাথে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাগনও অংশগ্রহন করেন।কে ভাল কে মন্দ এলাকার নেতাকর্মিদের চাইতে বেশি আর কেহই জানার সুযোগ নেই।স্বানীয় কর্মিদের দ্বারা নির্বাচিত নেতাকে মনোনয়ন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেয়া যায়,তবে মনোনয়ন বানিজ্য কমে আসার সম্ভাবনা আছে।উদ্বতন নেতাদের মনোনয়নে সম্পৃত্ত রাখার অর্থই হবে, তৃনমুলের নেতাদের শোষন করে মনোনয়ন বানিজ্যের মাধ্যমে লক্ষ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া।এমনিতে তৃনমুলের নেতাকর্মিরা দলের উপর রাগ ক্ষোভ নিয়ে কোনক্রমে দিনাতিপাত করছেন।বানিজ্যের সুযোগ দিলে ক্ষোভ বিক্ষোভে পরিনত হয়ে দলের মধ্যে বিশৃংখলা সৃষ্টি হওয়ার আশংকা উড়িয়ে দিতে পারি না।
আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, জাতীয় নির্বাচনের জন্য ১১ সদস্যের একটি সংসদীয় বোর্ড থাকে। দলীয় সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সংসদীয় দলের নেতা পদাধিকার বলে সদস্য। অন্যরা কাউন্সিলের মাধ্যমে নির্বাচিত হন। তদ্রুপ ইউনিয়ন,পৌর সভা,ওয়ার্ডের নির্বাচনে নেতৃত্ব বাচাইয়ের প্রক্রিয়ার মত একই রীতি অনুস্মরন করা বাঞ্চনীয়।
নিম্নের মতামতটি একান্তই আমার নিজস্ব মতামত,কোন ক্রমেই দল বা জোটকে,নেতৃবৃন্দকে বিভ্রান্ত করার জন্য নহে,বিবেচনা করার জন্য আবেদন মাত্র।
"ধরা যাক ওয়ার্ডের মেম্বার পদে প্রার্থী বাছাইয়ে ঐ ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি সম্পাদক ব্যতিত আরও মনোনীত দশ জন কাউন্সিলর নিয়ে বাছাই কমিটি করা যেতে পারে।সর্বমোট বার জনের ভোটে যিনি প্রথম হবেন তিনি দলীয় নমিনেশন পাবেন।যিনি দ্বিতীয় হবেন তিনি পাইপ লাইনে থাকবেন,কোন কারনে প্রথম জনের নমিনেশন বাতিল হলে দ্বিতীয়জন ভোটে অংশ গ্রহন করার সুযোগ থাকবে।তেমনী ভাবে প্রত্যেক ওয়ার্ডের ঐ বার জন করে নয় ওয়ার্ড থেকে ১২*৯=১০৮ সাথে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সম্পাদক সর্বমোট ১১০ জনের ভোটে যিনি প্রথম হবেন তিনি দলীয় নমিনিশনের জন্য বিবেচিত হবেন,দ্বিতীয় জন প্রথম জনের নমিনিশন কোন কারনে বাতিল হলে দ্বিতীয় জন নমিনেশন পেয়েছেন ধরে নিতে হবে।প্রক্রিয়াটি উপজেলা পয্যায় পয্যন্ত একইভাবে অনুস্মরন করা যেতে পারে।
প্রক্রিয়াটিতে জেলা,উপজেলা,সংসদ সদস্যদের কোনক্রমেই রাখা যাবে না।যদি উদ্ধতনের হস্তক্ষেপের সুযোগ দেয়া হয়, গনতন্ত্রকে সুদৃড ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করার সরকারের যে ইচ্ছা, এতে বড় রকমের বাঁধার সৃষ্টি হবে,দল ক্রমশ নেতা নির্ভর হতে বাধ্য হয়ে যাবে।দলীয় তৃনমুলের নেতাদের শোষন করে উদ্ধতন নেতারা গাড়ী বাড়ীর মালিক হবে, দলের বিকাশ ঘটবে না।ইহা কোন অবস্থায় একজন সত্যিকারের মুজিব আদর্শের বিশ্বাসী সৈনীকের কাম্য হতে পারে না।"
বর্তমানে পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই করে আনুষ্ঠানিক মনোনয়ন দেওয়ার প্রক্রিয়া চালু আছে। বর্তমানে জেলার নেতা, স্থানীয় সাংসদ, দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ক্ষেত্রবিশেষে অঞ্চলভিত্তিক বড় নেতারা এ কাজ করেন। কিছু কিছু স্থানে তৃণমূলের ভোটের ভিত্তিতে প্রার্থী বাছাই করা হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কেন্দ্রীয় নেতারা সমঝোতার ভিত্তিতে একজনকে নির্বাচন করেন। তবে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মনোনয়ন ঠিক করা হয়নি এই যাবৎ।এবার তাও সম্ভব হবে একই প্রক্রিয়ায়।
উল্লেখিত প্রক্রিয়াটিতে তোষন নীতি স্পষ্ট।বেশ ত্রুটি পরিলক্ষিত হওয়ার কারনে তা কিছুটা রদবদল আনায়ন জরুরী মনে করি।কোন অবস্থায় উদ্ধতন নেতাদের হস্তক্ষেপ করার সুযোগ দেয়া উচিৎ হবে না,উদ্ধতন নেতাদের বাছাই পর্বে অংশগ্রহন,"" অংশটিতে সংশোধনী এনে কর্মীদের ভোটে নেতা নির্বাচন পদ্ধতি অনুমোদন করা আওয়ামী লীগের মত বড় সংগঠনের একান্ত কাম্য।""
এতে দলের অভ্যন্তরীন কোন্দল অনেকাংশে নির্মুল করা যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।সর্বক্ষেত্র
ে কর্মিদের উপর নির্ভরতা থাকা প্রয়োজন।এতে দলের ত্যাগী,কর্মিবান্ধব,জনগনের জন্য নিবেদিত ব্যাক্তিরাই নেতৃত্বে উঠে আসবেন।দল যেমন উপকৃত হবে জনগন ও দলের কতিপয় হাইব্রিডের অত্যাচার থেকে রক্ষা পাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
সকলের নিবিড়ভাবে মনে রাখা প্রয়োজন যে, দলীয় প্রতিকে নির্বাচনের অর্থই হচ্ছে,সফলত বিফলতার সম্পুওর্ন দায় দলের উপর বর্তানো।কারো খেয়াল খুশিমত আত্মীয়করন,স্বজনপ্রীতি,মনোনয়ন বানিজ্যের কারনে দলের ভরা ডুবি কাম্য হতে পারেনা।
তৃনমুলের নেতাকর্মিদের হাতে মনোনয়নের দায়িত্ব থাকার অর্থই হচ্ছে মরিয়া হয়ে তাঁদের প্রার্থীকে জিতিয়ে আনা।সকল দিক বিবেচনা করলে দেখা যাবে স্ব-স্ব এলাকার নির্বাচক মন্ডলি কতৃক মনোনয়ন হবে গন্তান্ত্রিক, জনগন নির্ভর,দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের মহতি উদ্যোগ।প্রাথমিক অবস্থায় প্রার্থী বাছাইয়ে ত্রুটি থেকে গেলে,তা রক্ষনাবেক্ষন করা পয্যন্ত দলের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাবে।
উল্লেখ্য করা প্রয়োজন যে অতীতের মত রাজনৈতিক দল গুলীর, প্রার্থীদের ইতিবাচক দিক গ্রহন করে, নেতিবাচক দিক কৌশলে এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকবে না।কারন নৌকার হার মানেই আওয়ামী লীগের হার,আওয়ামী লীগের হার মানেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার হার,স্বাধীনতার হার,সর্বপুরী দেশরত্ম শেখ হাসিনার হার।
উল্লেখিত আইন এর অধিনে নির্বাচনের ভাল মন্দ দিক সমুহ সর্বতোভাবে,সরকার,রাজনৈতিক দল,প্রার্থী সকলের কাঁধে সমভাবে সফলতা বিফলতার অংশ বর্তাবে।কৌশলে এড়িয়ে যাওয়ার যুগের অবসান ঘটালেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনা।
জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু
জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন