গনতন্ত্র--ধর্ম নিরপেক্ষতা____রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম!------ __________________________________________ __________________________________________ মহান মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকার পুরনে "মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ" সরকার সমুহ অঙ্গিকারাবদ্ধ থাকার কথা ছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যানে অনেক কিছু করার চাইতে তাঁদের ত্যাগ, শহীদি রাস্তা বেচে নেয়ার কারন, আপামর জনগনের মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে অসম যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার পিছনের অঙ্গিকার ইত্যাদি আশা আখাংকা পুরন অগ্রাধিকার পাওয়া উচিৎ ছিল। দু:খ্যজনক হলেও সত্য '৭৫এর পট পরিবর্তনের পর ক্ষমতা দখলকারি শাষকবর্গ বাংলাদেশকে পাকিস্তানের ধ্যান-ধারনায় নিয়ে যায়। যে কারনে পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারন করেছে বাঙ্গালী-সেই কারনের গর্তেই ফেলে দেয় বাংলাদেশকে। শাষক শ্রনীর মধ্যে একজন মেজর জিয়া প্রথম উদ্যোগক্তা এবং অন্যতম। রাজাকার পুর্নবাসনের, সংবিধান সংশোধনের-সকল প্রক্রিয়া তাঁর হাতেই সমাপ্ত করেন তিনি। অথছ তাঁর দল তাঁর মৃত্যুর পর তাঁকে স্বাধীনতার ঘোষক প্রতিষ্ঠায় আপ্রান চেষ্টায় ব্রতি হয়। তিনি নিজেই তাঁর প্রকাশিত বইয়ে উল্লেখ করে গেছেন বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষন শুনেই আমরা স্বাধীনতার রেড সিগন্যাল পেয়ে যাই। সে যাই হোক-মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম এক অঙ্গিকার ছিল ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। মুক্তিযুদ্ধে জয়ী হলে নতুন দেশ বাংলাদেশের অভ্যুদ্বয় হয়,বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে স্বিকৃতি লাভ করে। জাতির জনক পাকিস্তানের জেল খানা থেকে মুক্ত হয়ে নতুন বাংলাদেশের সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহন করেন। বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারকে প্রাধান্য দিয়ে সর্বাজ্ঞে দেশ পরিচালনায় লিখিত সংবিধান তৈরী করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। অখন্ড পাকিস্তানের ২৩ বছর শাষনতন্ত্র ছাড়াই দেশ পরিচালনা করা হয়েছিল। শুধু ধর্মকে ব্যবহার করেছিল-পুর্ব বাংলাকে শাষন শোষন করার উদ্দেশ্যে।অবশ্য পাকিস্তানের উৎপত্তিও হয়েছিল ধর্মকে প্রাধান্য দিয়ে। অথছ তাঁরা অর্থাৎ শাষক শ্রেনীর কেহই ব্যাক্তি জীবনে ধর্ম পালন করতেন না,পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত ছিলেন। সে যাহাই হোক মুল কথায় আসা যাক--জাতির জজনক বঙ্গবন্ধু তাঁর সরকারের রচিত সংবিধানে চার মুলনীতির মধ্যে অন্যতম নীতি ধর্ম নিরপেক্ষতা সংবিধানে সংযোজন করে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন।আপামর জনগনের আশা-আখাংকাকে মুল্য দিয়েছিলেন। তাঁর পরবর্তি সরকার গুলী সংবিধান থেকে নীতিটি সংশোধন করেন।সেনাশাষক এরশাদ তাঁর বিরুদ্ধে গন আন্দোলন তুঙ্গে গেলে সাম্প্রদায়ীক গোষ্টি সমুহকে হাতে নেয়ার উদ্দেশ্যে তড়িগড়ি 'ধর্ম''কে হাতিয়ারে রুপান্তর করে জনরোষ থেকে বাঁচার অপকৌশল গ্রহন করেন। একান্তই জনগনের সঙ্গে প্রতারনা করে ক্ষমতায় টিকে থাকার অংশ হিসেবেই পবিত্র "ইসলাম"কে তড়িগড়ি "রাষ্ট্রধর্ম" হিসেবে সংবিধানে সংযোজন করেন। এতেও কিন্তু তাঁর শেষ রক্ষা হয়নি,জনগন ঠিকই বুঝতে পেরেছিল তার চক্রান্তের কৌশল। জালিম সরকারকে বাংলাদেধের মানুষ ক্ষমতা থেকে টেনে নামিয়ে আনেন ঢাকার রাজপথে,আজও তিনি রাজপথেই আছেন-সিংহাসন আর দেখেননি। স্বৈরাচার এরশাদ অত্যান্ত নেক্কারজনক ভাবে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে বাধ্য হন। উল্লেখ্য--সেনা শাষকেরা ধর্মকে রাজনীতির হাতিয়ারে পরিনত করেছেন একমাত্র সাধারন ধর্মানুরাগী, মানুষের ধর্মের প্রতি একাগ্রতাকে পুঁজি করে ফ্যাসিষ্ট শাষন অব্যাহত রাখার স্বার্থে--ধর্মের উন্নতি, অগ্রগতি প্রচার,প্রসার, পালনের স্বার্থে করেননি। বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের সরকারে থেকে ধর্ম নিরপেক্ষতার নীতি অনুসরন করেও ইসলামের প্রচার প্রসারে মাত্র সাড়ে তিন বছরে যতটুকু অবদান রেখে গেছেন- তাঁর সিকিভাগ কাজও তথাকথিত ধর্মদগত ৪০/৪২বছরের বাংলাদেশের ইতিহাসে হয়নি। ধর্মকে সংবিধানে সংযোজন করলেই ইসলাম রক্ষা পাবে-নাকরলে নয় এইরুপ যারা চিন্তা করেন, তাঁরাই মুলত:ইসলামকে বিক্রি করে স্বার্থ উদ্ধারে ব্রতি হওয়ার জন্যই বলেন। সাড়ে তিন বছরে ইসলামের মুল কাজ গুলি যদি ধর্ম নিরপেক্ষ সরকারের শাষনে হতে পারে-৪২ বছর 'রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম' সংবিধানে থাকার পরে ও সিকিভাগ কাজ হলনা কেন? মুসলিম অধ্যুষিত দেশ সমুহে রাষ্ট্রধর্ম না থাকার কারনে কোন দেশে ধর্ম পালনে মুসলমান সমাজ বাধাগ্রস্থ্য হচ্ছে? ধর্ম পালনকে রুপক দৃষ্টিতে যারা দেখেন তারাই ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করা পছন্দ করেন। নামাজের জন্য এয়ার কন্ডিশন মসজিদের প্রয়োজন চিন্তা করেন।ধর্ম ধারন করার বিষয়-লোক দেখানোর বিষয় নয়। লক্ষনীয় বিষয়টি হচ্ছে ভারতীয় উপমহাদেশে যত রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রক্ষমতায় ধর্মকে ব্যবহার করে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন ব্যাক্তিজীবনে তাঁরা একজনও ধর্ম পালনতো করেনইনা,-বাহ্যিক ধর্মীয় অনুশাষন গুলীও মেনে চলতে দেখা যায়না বা দেখা যায়নি। বাংলাদেশের ধর্মানুরাগী মানুষকে বোকা বানিয়ে ধোঁকা দেয়া ছাড়া -তাঁদের উদ্দেশ্য আর কি হতে পারে? ইসলামী শাষন কায়েমের জন্য ইসলামী বিপ্লবের প্রয়োজন অথবা সাচ্ছা ইসলামী দলের রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকা প্রয়োজন। নির্বাচনের মাধ্যমেও যাওয়ার সুযোগ আছে-বিপ্লব করেও সুযোগ আছে।সে দিকে মনোযোগি না হয়ে গনতান্ত্রিক গনসংগঠনের কাঁধে ভর দিয়ে ইসলামের চিন্তা করা আর বোকার স্বর্গে বাস করা সমান কথা। "রাষ্ট্রের কোন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ইসলামের ছোঁয়া থাকবেনা- অথছ সংবিধানে থাকবে, ধর্মকেও প্রতারনার হাতিয়ার বানাতে চায় গোষ্টিটি। রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হোক নয়তো ধর্ম নিরপেক্ষ থাকুক-আল্লাহর সাথে প্রতারনা করা কোন অবস্থায় সঠিক নয়।" ধর্মের বিরুধীতা নয়, সকল ধর্মের সমান সুযোগ নিশ্চিত করাই ধর্মনিরপেক্ষতার মুল কথা।অর্থাৎ ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার-এই নীতিতে দেশ শাষনকরার নামই ধর্মনিরপেক্ষতা। ইহাকেই সাম্প্রদায়িক গোষ্টি ধর্মহীনতার অভিযোগে অভিযুক্ত করে অপপ্রচার করার কৌশল অবলম্বন করে। এই পয্যায়ে স্বার্থান্বেষি মহল ইসলামের প্রথম যুগের শাষন ব্যবস্থাকেও বিবেচনায় আনতে চায়না। তাঁদের থেকেও ধর্ম বিষয়ে বেশি জ্ঞানের অধিকারি চিন্তা করে নিজেদের। আর একশ্রেনীর মানুষ ইদানিং দেখা যায় অন্যধর্মের প্রতি ঘৃনারভাব ছড়িয়ে, ঘৃনার উদ্রেক ঘটিয়ে, গালাগাল করে ইদলাম ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমান করার দিকেই মনোযোগি।তাঁরা মনে করে ধর্ম পালন না করে,ধর্মীয় অনুশাষন না মেনেও অন্য ধর্মের প্রতি ঘৃনা পোষন করে বেহেস্তে যাওয়া যাবে। এই শ্রেনীর লোকেরা আবার ধর্ম সম্পর্কেও কিছু জানেনা- ধর্ম পালন বা ধারন কিছুই করেনা।ধর্মধারন করার পরেইতো পালনের বিষয়টি আপনা আপনি আল্লাহ ভীতি চলে আসে মনে।তখন মসজিদে না গিয়ে উপায় থাকেনা। স্বার্থান্বেষি মহলটি একদিকে বলে গনতন্ত্রের কথা-অন্যদিকে বলে ধর্মের কথা। ধর্মীয় শাষন আর গনতান্ত্রিক শাষনে আকাশ পাতাল ব্যবধান তাও তাঁরা ভুলে যায়।"গনতন্ত্রের চর্চা করতে গেলেইতো ধর্মের কথা বাদ দিতে হবে --ধর্মীয় শাষন কায়েম করতে গেলে গনতন্ত্র থাকেনা।" "বর্তমান গনতন্ত্র মনুষ্য সৃষ্ট বা পশ্চিমা ইহুদীদের সৃষ্ট একটা আধুনিক শোষন শাষনের দলিল। একদিকে সেই দলিল রক্ষার কথা বলে---অন্যদিকে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম চায়।" ইসলামী শাষন হচ্ছে--"আল্লাহ নির্দেশিত সর্ব উত্তম শাষন পদ্ধতি।" এই সর্ব উত্তম শাষন পরিচালনার জন্য সর্বত্তম ইসলামী জ্ঞান সমৃদ্ধ দলের প্রয়োজন, ইসলামের আলোতে আলোকিত সর্ব উত্তম নেতার প্রয়োজন। আল্লাহ কখনও দুই মুখী নীতির বান্দা পছন্দ করে না। দৌদল্ল্যমান ব্যাক্তি না পায় বেহস্ত -না পায় দোযগ। "সেই দিকে মনোযোগি না হয়ে-মসজিদে নামাজরত: মুসল্লিদের উপর বোমা মেরে মুসল্লি হত্যা করে- ঐ একই বোমায় নীজেও আত্মহত্যা করে। উভয় মৃত্যুর জন্য আল্লাহ নিকৃষ্ট দোজগ বরাদ্ধ করে রেখেছেন।"তাঁরাও নাকি ইসলাম কায়েমের জন্য জেহাদে অংশ নিয়েছে।আল্লাহর রাসুল মসুলমানদের বাণী এবং ইসলামের রীতিনীতি শিক্ষা দিয়েছেন।বিধর্মীদের কাছে ইসলাম প্রচার করেছেন-খলিফাদের শাষনামলে বিধর্মীদের সাথে ধর্ম যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছেন জয়ী হয়ে ইসলামের পতাকাতলে তাঁদের আসার আহব্বান জানিয়েছেন। জোর পুর্বক কাউকে ইসলাম ধর্মগ্রহনে বাধ্য করার উদাহরন তো পাওয়া যায়না। বরঞ্চ ইসলামের সৌন্দয্যে মুগ্ধ হয়ে দলে দলে কাফের, ইহুদি, খ্রিষ্টান বিভিন্ন জাতি গোষ্টির মানুষ ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছেন। যারা গন সংগঠনের অধিনে, গনতান্ত্রিক শাষন বহাল থাকাবস্থায় ইসলামের কথা বলে জনমনে বিভ্রান্তি ঘটানোর অপ্প্রয়াস চালায় তারাই বর্নবাদি, সাম্প্রদায়িক, ইসলাম ধ্বংসকারী, ইসলামের অপব্যাখ্যাকারি। সরলমনা বাঙ্গালী মসুলমানদের বিভ্রান্ত করে স্বার্থ উদ্ধার করাই তাঁদের উদ্দেশ্য। ইসলাম রক্ষা করা তাঁদের উদ্দেশ্য মোটেই নয়। আল্লাহ নীজেই বলেছেন,"তাঁর প্রেরীত কোরান তিনি নিজেই হেফাজত করবেন।" সেখানে কারা বলে ধর্মরক্ষার কথা, কোরান হেফাজতের কথা--যারা আমাদের মহানবীর বিশ্বস্ত সাহাবাদের শাষনকাল "খোলাফায়ে রাশেদীনের" চার খলিফার মধ্যে তিন খলিফাকেই হত্যা করেছিলেন--ইসলামের কথা বলে তাঁরা। যারা আমার নবী মোহাম্মদ মোস্তফা (স:) এর আদরের দৌহিত্র হাসান -হোসেনকে কারবালায় হত্যা করেছিল তাঁরা। তাঁরা নীজেদের ইসলামের বড় পন্ডিত চিন্তা করে, ইসলামের ধারক বাহক মনে করে নীজেদের। তাঁরা নবী বংশের চেয়ে বেশি জ্ঞানী মনে করে নীজেদের। কথায় কথায় মানুষকে কাফের বলা যাদের মজ্জাগত দোষ---কথায় কথায় মানুষকে নাস্তিক বলা যাদের রোগ তারা"। এই শ্রেনী থেকে বাংলাদেশের বাঙ্গালী মসুলমানদের রক্ষা করতে হবে-তাঁদের অশুভ চক্রান্ত থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে হবে।অশুভ, ভন্ড, বক ধার্মীকদের থেকে দেশ জাতিকে রক্ষা করতে হলে ৭২' এর সংবিধান অবিকল পুর্ণবহালের বিকল্প কিছুই নেই, কিছুই থাকতে পারেনা। মহান নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালী মসুলমানদের চিন্তাচেতনার প্রতি লক্ষ রেখেই এই সংবিধান রচনা করেছেন। তাঁর সময়ে ধর্মপালনে কোন অসুবিধা হয়েছিল এমনটি আজও কেউ বলতে পারেনি, তাঁর আমলে ইসলামের প্রচার প্রসারে যে অগ্রগতি উন্নতি সাধিত হয়েছিল-- তথাকথিত রাষ্ট্রধর্ম প্রনেতাদের এবং দাবিকারীদের সময়ে তার চেয়ে বেশি কাজ ইসলামের জন্য হলে জাতি'৭২এর সংবিধান বাস্তবায়নের দাবী প্রত্যাহার করবে। ধর্মীয় শাষন কায়েম করতে না পারলে অন্তত--সকল ধর্মকে অন্তর দিয়ে রক্ষার জন্যে হলেও ৭২'এর সংবিধান অবিকল পুর্ণবহাল করার চেয়ে অদ্যাবদি কোন বিকল্প দর্শন এখনও আবিস্কৃত হয়নি। ৪০ বছর পর জাতি মর্মে মর্মে অনুধাবন করছে --জাতির জনকের প্রতিটি পদক্ষেপ, প্রতিটি সিদ্ধান্ত ছিল সুদুর প্রসারী চিন্তা চেতনার ফসল--বাঙ্গালী জাতির স্বার্থে--বাংলাদেশের স্বার্থে। সুতারাং উপসংহারে বলতে চাই, আর কালবিলম্ব নয়-'৭২ এর সংবিধান পুর্ণবহাল করে মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকার এর পুর্নাঙ্গরুপ দিতে সরকার ব্যবস্থা গ্রহন করবে। জাতির আশা আখাংকার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে, মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মাকে সম্মান জানাবে, ,বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সর্বস্তরে প্রাধান্য দিবে-- বাঙ্গালী জাতীর একান্ত প্রত্যাশা বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনার নিকট। _________________________________ শুভশক্তির উদয় হোক- অশুভশক্তি নিপাত যাক জয়বাংলা বলে আগে বাড়ো জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা ♥দেশরত্ম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা♥

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন