গনতন্ত্র--ধর্ম নিরপেক্ষতা____রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম!------ __________________________________________ __________________________________________ মহান মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকার পুরনে "মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ" সরকার সমুহ অঙ্গিকারাবদ্ধ থাকার কথা ছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যানে অনেক কিছু করার চাইতে তাঁদের ত্যাগ, শহীদি রাস্তা বেচে নেয়ার কারন, আপামর জনগনের মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে অসম যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার পিছনের অঙ্গিকার ইত্যাদি আশা আখাংকা পুরন অগ্রাধিকার পাওয়া উচিৎ ছিল। দু:খ্যজনক হলেও সত্য '৭৫এর পট পরিবর্তনের পর ক্ষমতা দখলকারি শাষকবর্গ বাংলাদেশকে পাকিস্তানের ধ্যান-ধারনায় নিয়ে যায়। যে কারনে পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারন করেছে বাঙ্গালী-সেই কারনের গর্তেই ফেলে দেয় বাংলাদেশকে। শাষক শ্রনীর মধ্যে একজন মেজর জিয়া প্রথম উদ্যোগক্তা এবং অন্যতম। রাজাকার পুর্নবাসনের, সংবিধান সংশোধনের-সকল প্রক্রিয়া তাঁর হাতেই সমাপ্ত করেন তিনি। অথছ তাঁর দল তাঁর মৃত্যুর পর তাঁকে স্বাধীনতার ঘোষক প্রতিষ্ঠায় আপ্রান চেষ্টায় ব্রতি হয়। তিনি নিজেই তাঁর প্রকাশিত বইয়ে উল্লেখ করে গেছেন বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষন শুনেই আমরা স্বাধীনতার রেড সিগন্যাল পেয়ে যাই। সে যাই হোক-মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম এক অঙ্গিকার ছিল ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। মুক্তিযুদ্ধে জয়ী হলে নতুন দেশ বাংলাদেশের অভ্যুদ্বয় হয়,বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে স্বিকৃতি লাভ করে। জাতির জনক পাকিস্তানের জেল খানা থেকে মুক্ত হয়ে নতুন বাংলাদেশের সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহন করেন। বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারকে প্রাধান্য দিয়ে সর্বাজ্ঞে দেশ পরিচালনায় লিখিত সংবিধান তৈরী করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। অখন্ড পাকিস্তানের ২৩ বছর শাষনতন্ত্র ছাড়াই দেশ পরিচালনা করা হয়েছিল। শুধু ধর্মকে ব্যবহার করেছিল-পুর্ব বাংলাকে শাষন শোষন করার উদ্দেশ্যে।অবশ্য পাকিস্তানের উৎপত্তিও হয়েছিল ধর্মকে প্রাধান্য দিয়ে। অথছ তাঁরা অর্থাৎ শাষক শ্রেনীর কেহই ব্যাক্তি জীবনে ধর্ম পালন করতেন না,পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত ছিলেন। সে যাহাই হোক মুল কথায় আসা যাক--জাতির জজনক বঙ্গবন্ধু তাঁর সরকারের রচিত সংবিধানে চার মুলনীতির মধ্যে অন্যতম নীতি ধর্ম নিরপেক্ষতা সংবিধানে সংযোজন করে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন।আপামর জনগনের আশা-আখাংকাকে মুল্য দিয়েছিলেন। তাঁর পরবর্তি সরকার গুলী সংবিধান থেকে নীতিটি সংশোধন করেন।সেনাশাষক এরশাদ তাঁর বিরুদ্ধে গন আন্দোলন তুঙ্গে গেলে সাম্প্রদায়ীক গোষ্টি সমুহকে হাতে নেয়ার উদ্দেশ্যে তড়িগড়ি 'ধর্ম''কে হাতিয়ারে রুপান্তর করে জনরোষ থেকে বাঁচার অপকৌশল গ্রহন করেন। একান্তই জনগনের সঙ্গে প্রতারনা করে ক্ষমতায় টিকে থাকার অংশ হিসেবেই পবিত্র "ইসলাম"কে তড়িগড়ি "রাষ্ট্রধর্ম" হিসেবে সংবিধানে সংযোজন করেন। এতেও কিন্তু তাঁর শেষ রক্ষা হয়নি,জনগন ঠিকই বুঝতে পেরেছিল তার চক্রান্তের কৌশল। জালিম সরকারকে বাংলাদেধের মানুষ ক্ষমতা থেকে টেনে নামিয়ে আনেন ঢাকার রাজপথে,আজও তিনি রাজপথেই আছেন-সিংহাসন আর দেখেননি। স্বৈরাচার এরশাদ অত্যান্ত নেক্কারজনক ভাবে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে বাধ্য হন। উল্লেখ্য--সেনা শাষকেরা ধর্মকে রাজনীতির হাতিয়ারে পরিনত করেছেন একমাত্র সাধারন ধর্মানুরাগী, মানুষের ধর্মের প্রতি একাগ্রতাকে পুঁজি করে ফ্যাসিষ্ট শাষন অব্যাহত রাখার স্বার্থে--ধর্মের উন্নতি, অগ্রগতি প্রচার,প্রসার, পালনের স্বার্থে করেননি। বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের সরকারে থেকে ধর্ম নিরপেক্ষতার নীতি অনুসরন করেও ইসলামের প্রচার প্রসারে মাত্র সাড়ে তিন বছরে যতটুকু অবদান রেখে গেছেন- তাঁর সিকিভাগ কাজও তথাকথিত ধর্মদগত ৪০/৪২বছরের বাংলাদেশের ইতিহাসে হয়নি। ধর্মকে সংবিধানে সংযোজন করলেই ইসলাম রক্ষা পাবে-নাকরলে নয় এইরুপ যারা চিন্তা করেন, তাঁরাই মুলত:ইসলামকে বিক্রি করে স্বার্থ উদ্ধারে ব্রতি হওয়ার জন্যই বলেন। সাড়ে তিন বছরে ইসলামের মুল কাজ গুলি যদি ধর্ম নিরপেক্ষ সরকারের শাষনে হতে পারে-৪২ বছর 'রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম' সংবিধানে থাকার পরে ও সিকিভাগ কাজ হলনা কেন? মুসলিম অধ্যুষিত দেশ সমুহে রাষ্ট্রধর্ম না থাকার কারনে কোন দেশে ধর্ম পালনে মুসলমান সমাজ বাধাগ্রস্থ্য হচ্ছে? ধর্ম পালনকে রুপক দৃষ্টিতে যারা দেখেন তারাই ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করা পছন্দ করেন। নামাজের জন্য এয়ার কন্ডিশন মসজিদের প্রয়োজন চিন্তা করেন।ধর্ম ধারন করার বিষয়-লোক দেখানোর বিষয় নয়। লক্ষনীয় বিষয়টি হচ্ছে ভারতীয় উপমহাদেশে যত রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রক্ষমতায় ধর্মকে ব্যবহার করে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন ব্যাক্তিজীবনে তাঁরা একজনও ধর্ম পালনতো করেনইনা,-বাহ্যিক ধর্মীয় অনুশাষন গুলীও মেনে চলতে দেখা যায়না বা দেখা যায়নি। বাংলাদেশের ধর্মানুরাগী মানুষকে বোকা বানিয়ে ধোঁকা দেয়া ছাড়া -তাঁদের উদ্দেশ্য আর কি হতে পারে? ইসলামী শাষন কায়েমের জন্য ইসলামী বিপ্লবের প্রয়োজন অথবা সাচ্ছা ইসলামী দলের রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকা প্রয়োজন। নির্বাচনের মাধ্যমেও যাওয়ার সুযোগ আছে-বিপ্লব করেও সুযোগ আছে।সে দিকে মনোযোগি না হয়ে গনতান্ত্রিক গনসংগঠনের কাঁধে ভর দিয়ে ইসলামের চিন্তা করা আর বোকার স্বর্গে বাস করা সমান কথা। "রাষ্ট্রের কোন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ইসলামের ছোঁয়া থাকবেনা- অথছ সংবিধানে থাকবে, ধর্মকেও প্রতারনার হাতিয়ার বানাতে চায় গোষ্টিটি। রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হোক নয়তো ধর্ম নিরপেক্ষ থাকুক-আল্লাহর সাথে প্রতারনা করা কোন অবস্থায় সঠিক নয়।" ধর্মের বিরুধীতা নয়, সকল ধর্মের সমান সুযোগ নিশ্চিত করাই ধর্মনিরপেক্ষতার মুল কথা।অর্থাৎ ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার-এই নীতিতে দেশ শাষনকরার নামই ধর্মনিরপেক্ষতা। ইহাকেই সাম্প্রদায়িক গোষ্টি ধর্মহীনতার অভিযোগে অভিযুক্ত করে অপপ্রচার করার কৌশল অবলম্বন করে। এই পয্যায়ে স্বার্থান্বেষি মহল ইসলামের প্রথম যুগের শাষন ব্যবস্থাকেও বিবেচনায় আনতে চায়না। তাঁদের থেকেও ধর্ম বিষয়ে বেশি জ্ঞানের অধিকারি চিন্তা করে নিজেদের। আর একশ্রেনীর মানুষ ইদানিং দেখা যায় অন্যধর্মের প্রতি ঘৃনারভাব ছড়িয়ে, ঘৃনার উদ্রেক ঘটিয়ে, গালাগাল করে ইদলাম ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমান করার দিকেই মনোযোগি।তাঁরা মনে করে ধর্ম পালন না করে,ধর্মীয় অনুশাষন না মেনেও অন্য ধর্মের প্রতি ঘৃনা পোষন করে বেহেস্তে যাওয়া যাবে। এই শ্রেনীর লোকেরা আবার ধর্ম সম্পর্কেও কিছু জানেনা- ধর্ম পালন বা ধারন কিছুই করেনা।ধর্মধারন করার পরেইতো পালনের বিষয়টি আপনা আপনি আল্লাহ ভীতি চলে আসে মনে।তখন মসজিদে না গিয়ে উপায় থাকেনা। স্বার্থান্বেষি মহলটি একদিকে বলে গনতন্ত্রের কথা-অন্যদিকে বলে ধর্মের কথা। ধর্মীয় শাষন আর গনতান্ত্রিক শাষনে আকাশ পাতাল ব্যবধান তাও তাঁরা ভুলে যায়।"গনতন্ত্রের চর্চা করতে গেলেইতো ধর্মের কথা বাদ দিতে হবে --ধর্মীয় শাষন কায়েম করতে গেলে গনতন্ত্র থাকেনা।" "বর্তমান গনতন্ত্র মনুষ্য সৃষ্ট বা পশ্চিমা ইহুদীদের সৃষ্ট একটা আধুনিক শোষন শাষনের দলিল। একদিকে সেই দলিল রক্ষার কথা বলে---অন্যদিকে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম চায়।" ইসলামী শাষন হচ্ছে--"আল্লাহ নির্দেশিত সর্ব উত্তম শাষন পদ্ধতি।" এই সর্ব উত্তম শাষন পরিচালনার জন্য সর্বত্তম ইসলামী জ্ঞান সমৃদ্ধ দলের প্রয়োজন, ইসলামের আলোতে আলোকিত সর্ব উত্তম নেতার প্রয়োজন। আল্লাহ কখনও দুই মুখী নীতির বান্দা পছন্দ করে না। দৌদল্ল্যমান ব্যাক্তি না পায় বেহস্ত -না পায় দোযগ। "সেই দিকে মনোযোগি না হয়ে-মসজিদে নামাজরত: মুসল্লিদের উপর বোমা মেরে মুসল্লি হত্যা করে- ঐ একই বোমায় নীজেও আত্মহত্যা করে। উভয় মৃত্যুর জন্য আল্লাহ নিকৃষ্ট দোজগ বরাদ্ধ করে রেখেছেন।"তাঁরাও নাকি ইসলাম কায়েমের জন্য জেহাদে অংশ নিয়েছে।আল্লাহর রাসুল মসুলমানদের বাণী এবং ইসলামের রীতিনীতি শিক্ষা দিয়েছেন।বিধর্মীদের কাছে ইসলাম প্রচার করেছেন-খলিফাদের শাষনামলে বিধর্মীদের সাথে ধর্ম যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছেন জয়ী হয়ে ইসলামের পতাকাতলে তাঁদের আসার আহব্বান জানিয়েছেন। জোর পুর্বক কাউকে ইসলাম ধর্মগ্রহনে বাধ্য করার উদাহরন তো পাওয়া যায়না। বরঞ্চ ইসলামের সৌন্দয্যে মুগ্ধ হয়ে দলে দলে কাফের, ইহুদি, খ্রিষ্টান বিভিন্ন জাতি গোষ্টির মানুষ ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছেন। যারা গন সংগঠনের অধিনে, গনতান্ত্রিক শাষন বহাল থাকাবস্থায় ইসলামের কথা বলে জনমনে বিভ্রান্তি ঘটানোর অপ্প্রয়াস চালায় তারাই বর্নবাদি, সাম্প্রদায়িক, ইসলাম ধ্বংসকারী, ইসলামের অপব্যাখ্যাকারি। সরলমনা বাঙ্গালী মসুলমানদের বিভ্রান্ত করে স্বার্থ উদ্ধার করাই তাঁদের উদ্দেশ্য। ইসলাম রক্ষা করা তাঁদের উদ্দেশ্য মোটেই নয়। আল্লাহ নীজেই বলেছেন,"তাঁর প্রেরীত কোরান তিনি নিজেই হেফাজত করবেন।" সেখানে কারা বলে ধর্মরক্ষার কথা, কোরান হেফাজতের কথা--যারা আমাদের মহানবীর বিশ্বস্ত সাহাবাদের শাষনকাল "খোলাফায়ে রাশেদীনের" চার খলিফার মধ্যে তিন খলিফাকেই হত্যা করেছিলেন--ইসলামের কথা বলে তাঁরা। যারা আমার নবী মোহাম্মদ মোস্তফা (স:) এর আদরের দৌহিত্র হাসান -হোসেনকে কারবালায় হত্যা করেছিল তাঁরা। তাঁরা নীজেদের ইসলামের বড় পন্ডিত চিন্তা করে, ইসলামের ধারক বাহক মনে করে নীজেদের। তাঁরা নবী বংশের চেয়ে বেশি জ্ঞানী মনে করে নীজেদের। কথায় কথায় মানুষকে কাফের বলা যাদের মজ্জাগত দোষ---কথায় কথায় মানুষকে নাস্তিক বলা যাদের রোগ তারা"। এই শ্রেনী থেকে বাংলাদেশের বাঙ্গালী মসুলমানদের রক্ষা করতে হবে-তাঁদের অশুভ চক্রান্ত থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে হবে।অশুভ, ভন্ড, বক ধার্মীকদের থেকে দেশ জাতিকে রক্ষা করতে হলে ৭২' এর সংবিধান অবিকল পুর্ণবহালের বিকল্প কিছুই নেই, কিছুই থাকতে পারেনা। মহান নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালী মসুলমানদের চিন্তাচেতনার প্রতি লক্ষ রেখেই এই সংবিধান রচনা করেছেন। তাঁর সময়ে ধর্মপালনে কোন অসুবিধা হয়েছিল এমনটি আজও কেউ বলতে পারেনি, তাঁর আমলে ইসলামের প্রচার প্রসারে যে অগ্রগতি উন্নতি সাধিত হয়েছিল-- তথাকথিত রাষ্ট্রধর্ম প্রনেতাদের এবং দাবিকারীদের সময়ে তার চেয়ে বেশি কাজ ইসলামের জন্য হলে জাতি'৭২এর সংবিধান বাস্তবায়নের দাবী প্রত্যাহার করবে। ধর্মীয় শাষন কায়েম করতে না পারলে অন্তত--সকল ধর্মকে অন্তর দিয়ে রক্ষার জন্যে হলেও ৭২'এর সংবিধান অবিকল পুর্ণবহাল করার চেয়ে অদ্যাবদি কোন বিকল্প দর্শন এখনও আবিস্কৃত হয়নি। ৪০ বছর পর জাতি মর্মে মর্মে অনুধাবন করছে --জাতির জনকের প্রতিটি পদক্ষেপ, প্রতিটি সিদ্ধান্ত ছিল সুদুর প্রসারী চিন্তা চেতনার ফসল--বাঙ্গালী জাতির স্বার্থে--বাংলাদেশের স্বার্থে। সুতারাং উপসংহারে বলতে চাই, আর কালবিলম্ব নয়-'৭২ এর সংবিধান পুর্ণবহাল করে মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকার এর পুর্নাঙ্গরুপ দিতে সরকার ব্যবস্থা গ্রহন করবে। জাতির আশা আখাংকার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে, মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মাকে সম্মান জানাবে, ,বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সর্বস্তরে প্রাধান্য দিবে-- বাঙ্গালী জাতীর একান্ত প্রত্যাশা বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনার নিকট। _________________________________ শুভশক্তির উদয় হোক- অশুভশক্তি নিপাত যাক জয়বাংলা বলে আগে বাড়ো জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা ♥দেশরত্ম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা♥

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা