ধর্ম রাষ্ট্র ও জামায়াতের রাজনীতি--আওয়ামী ধারার রাজনীতিবীদদের চিন্তা-চেতনা----+ ♥~~~~`~~~~~~ ♥ গত ১৩-৩-২০১৬ বিশিষ্ট তথ্য ও প্রযুক্তিবীদ,লেখক, কলামিষ্ট জনাব আবদুল জব্বার সাহেবের একটি নিবন্ধ চাপা হয়েছিল আজকের কাগজ পত্রিকায়।নিবন্ধটির শিরোনাম ছিল --"ধর্মরাষ্ট্র ও জামায়াতের রাজনীতি"। তিনি যে তথ্য নিবন্ধটিতে তুলে ধরেছেন বলতে গেলে ভয়াবহ। ভয়াবহ বলছি এই কারনে, বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ জানেনা জামায়াতে ইসলামী দলটির ধর্মীয় মুল্যবোধ এবং চেতনার উৎসস্থল সম্মন্ধে। ব্যক্তিগত ভাবে আমি নীজেও সন্দিহান ছিলাম মুলত: দলটি ইসলামের কোন ধারাটি অনুসরন করে।তিনি লিখেছেন-- জামায়াতের রাজনৈতিক ইতিহাসে পাকিস্তানের একটি রাজ্য দখল করা ছাড়াও বাংলাদেশের সরকারের অংশীদার হতে পারা তাদের দু’টি বিশাল সাফল্য। বাংলাদেশে ২০০৫-২০০৬ সময়কালে ৫০ বছর ধরে বাংলাদেশপন্থী (যাদের আমরা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বলি) রাজনৈতিক শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য তৎকালীন সরকার ও সরকারি দলকে অত্যন্ত সফলভাবে ব্যবহার করার জন্যও তারা কৃতিত্বের দাবি করতে পারে। দেশটিকে একটি ধর্মরাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য জামায়াতবিরোধী ধর্মীয় গোষ্ঠী গুলোকেও জামায়াত অত্যন্ত সতর্কতায় তাদের সঙ্গে রাখতে পেরেছে। এর আগে মোল্লারাই জামায়াতের বিরোধিতা করত। জামায়াতের 'ওহাবি ভাবধারার ধর্মচিন্তা 'এ দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ মানে না। বিশ্ব তবলিগ আন্দোলনেরও জামায়াত বিরোধিতা করে। কিন্তু ২০০১-এর নির্বাচনে জামায়াতসহ সব ধর্মভিত্তিক সংগঠনগুলো আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় যাওয়া থেকে বাধা দেয়ার জন্য একযোগে চারদলীয় জোটকে সমর্থন করে। পাকি জামায়াতের সঙ্গে রাজনৈতিক প্রজ্ঞার তুলনা করে তিনি লিখেছেন- বাংলাদেশের জামায়াত চতুরতায় হুসেইন আহমেদের পাকিস্তানি জামায়াতের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। পাকি জামায়াত-আমেরিকা, ব্রিটেন ও পশ্চিমা দুনিয়ার কট্টর সমালোচক এবং লাদেনের সহযোগী হওয়া সত্ত্বেও আফগানিস্তান নিয়ে বাংলাদেশের জামায়াত একটি কথাও বলেনি। ইরাক নিয়ে তারা কোনো মন্তব্য করেনি। গুয়েন্তানামায় মার্কিনিদের হাতে পবিত্র কুরআনের অবমাননা হওয়া সত্ত্বেও তারা টুঁ শব্দটি করেনি। বরং জনৈক জামায়াত নেতা ওয়াশিংটন সফর করে আমেরিকাকে বোঝাতে চেষ্টা করেছে যে, তারা ‘আমেরিকাকে প্রাণ দিয়ে ভালোবাসে।’ জঙ্গি হামলার পর থেকে জামায়াতে চারিত্রিক পরিবর্তনের কথা বলতে গিয়ে তিনি লিখেছেন--'১৭ আগস্টে বোমা হামলার পর সম্ভবত তাদের কথা এখন আর পশ্চিমারা বিশ্বাস করতে পারছে না। সেজন্য জামায়াতের বক্তব্যে কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। পাক-জামায়াতের মতোই তারা "ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোশাদ "এবং ' ভারতকে' সরাসরি আক্রমণ করেছে। রাজনৈতিক শক্তি বা জনসমর্থনের তুলনামুলক আলোচনা করতে গিয়ে তিনি লিখেছেন-- পাকিস্তানে জামায়াত যথেষ্ট শক্তিশালী। কিছুটা জনসমর্থনও তাদের আছে। কারণ ভারত থেকে পাকিস্তানে যাওয়া মুসলমান মোহাজের, অনুন্নত ধর্মান্ধ উপজাতীয় এবং অশিক্ষিত-অল্পশিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত পাকিস্তানিদের মধ্যে ধর্মরাষ্ট্র ও ভারত বিরোধিতার প্রভাব অনেক। পাকিস্তানের অর্ধেক মানুষ ওসামা বিন লাদেনকে সমর্থন করে। সম্ভবত এই কারণেই ওসামা বিন লাদেনকে আমেরিকানরা ধরতে পারছিল না। পাকিস্তানের ভেতরে ওসামাকে হত্যা করে আমেরিকা সেই সত্যটি প্রমাণ করেছে। সেই তুলনায় বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে মৌলবাদ তথা ধর্মরাষ্ট্র তেমন প্রবল নয়। তবে ভারত খুব কাছের ও প্রভাবশালী প্রতিবেশী হওয়ায় ভারত বিরোধিতার জুজুটি পাকিস্তান আমল থেকেই এদেশে কার্যকর ও অব্যাহতভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তারা অত্যন্ত চতুরতার সঙ্গেই পা ফেলে। বাংলাদেশকে আফগানিস্তান বা তালেবান রাষ্ট্র বানানোর পরিকল্পনা তাদের আজকের নয়। একাত্তর পূর্ববর্তী জামায়াত পুরো পাকিস্তানকেই ধর্মরাষ্ট্র বানাতে চেয়েছিল। কিন্তু একাত্তরে বাংলাদেশের অভ্যুদয় তাদের সেই পরিকল্পনায় বাধ সাধে। বর্তমান জামায়াতের পরিকল্পনা সম্পর্কে বর্ননা করতে গিয়ে তিনি লিখেছেন--এখন তারা একটি নয়, এই উপমহাদেশে কমপক্ষে দু’টি ধর্মরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়। "আমার নিকট মনে হচ্ছিল এই একটি কারনেই বাংলাদেশের যুদ্ধ অপরাধীর বিচার এবং সর্বোচ্ছ আদালতের রায়ের প্রতি কোন শ্রদ্ধাবোধ না রেখে তিব্র বাসায় পাকিস্তান উৎকন্ঠা জানায়,বাংলাদেশের জামায়াত রায়ের পরেই হরতাল দেয়ার সাহষ দেখায়।" জঙ্গি হামলা ও জঙ্গি কানেকসান সম্মন্ধে তিনি লিখেছেন-- তারা মায়ানমার-থাইল্যান্ড-মালয়েশিয়া-ইন্দোনেশিয়া ও ভারতসহ এশীয় দেশগুলোর মুসলিম জঙ্গি সংগঠনগুলোর পৃষ্ঠপোষকতাও করে। মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ এবং আমেরিকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গেও তাদের সখ্য ও সম্পৃক্ততা আছে। ২০০৩ সালে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে জামায়াত নেতার বাড়ি থেকে ওসামা বিন লাদেনের দুই সহযোগী গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর জাতিসংঘ ১২৬ নং কমিটি গঠন করে। জাতি সংঘ কতৃক কমিটি গঠনকে তিনি বড় আগাত বলে বর্ননা দিয়ে লিখেছেন-- জামায়াতের জন্য এটি সম্ভবত একটি বড় ধরনের আঘাত। এটি জামায়াতের জন্য একটি বড়রকমের সেটব্যাক। এই প্রসংগে বাংলাদেশের জামায়াতের রাজনৈতিক দুরদর্শিতার পরিচয় দিতে গিয়ে তিনি লিখেছেন--বাংলাদেশের জামায়াত এই বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন। ফলে তারা হুসেইন আহমেদের সঙ্গে একসঙ্গে প্রকাশ্যে ইঙ্গ-মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতা করেনি। জামায়াতের অর্থনৈতিক পরিকল্পনার বর্ননা ফিতে গিয়ে কলামিষ্ট আবদুল গাফফার সাহের লিখা থেকে উদ্ধৃতি তোলে ধরে লিখেছেন-- জামায়াত যে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে তাদের পথে পা ফেলছে তা ২০০৫ সালে ১৪ আগস্টে জনকণ্ঠে প্রকাশিত আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর লেখায় প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশের জামায়াতীরা এখন লন্ডনের পূর্ব লন্ডন এলাকাটি প্রায় দখল করে ফেলেছে। বাংলাদেশেও ব্যাংক, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এনজিও, মিডিয়া ইত্যাদি সমন্বিত কার্যক্রমের সাহায্যে জামায়াত বাংলাদেশকে একটি ধর্মরাষ্ট্র বানানোর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছে। মাদ্রাসার শিশু থেকে বিশ্ববিদ্যালয়, বস্তি থেকে গুলশান-বারিধারা, কেরানি থেকে সচিব, ফেরিওয়ালা থেকে ডিপার্টমেন্টাল স্টোর; সবকিছুতেই জামায়াত পরিকল্পিতভাবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ করছে। বাংলাদেশের আর কোনো রাজনৈতিক সংগঠন এই সুপরিকল্পিত পথে পা বাড়ায়নি। মুক্তিযুদ্ধে চরম পরাজয়ের পর আবার গাঝাড়া দিয়ে উঠে আসার ও কিঞ্চিত বর্ননা লিখাটিতে পাওয়া যায়।তিনি লিখেছেন--একাত্তরে স্রোতের বিপরীতে থেকে সম্পূর্ণভাবে পরাস্ত হয়ে-মাত্র ৩৪ বছরে জামায়াত যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসেছে সেটি তাদের এইসব পরিকল্পিত কর্মকাণ্ডেরই ফসল। পক্ষান্তরে জামায়াতীদের যাদের মোকাবেলা করার কথা, তাদের কেউ কে' ১৯৭৫এর পর জামায়াতের সহযোগী হয়েছে। স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে আন্দোলনের নামে জামায়াত বাংলাদেশপন্থী ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক শক্তির পাশে এসেও দাঁড়াতে পেরেছিল। এরপর তারা দেশের আওয়ামী বিরোধী শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়ে ক্ষমতায় যায়। বাংলাদেশের পতাকাবাহী গাড়িতে চড়ে তারাই দেশের সমাজকল্যাণ আর শ্রম বিষয়ে সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত দেয়ার ক্ষমতা হাতে পায়। তাঁদের মতবাদের আলোচনায় তিনি অন্তত:আমার নিকট নতুন একটি তথ্য তুলে ধরেছেন,যাহা আমার মত অনেকেই হয়ত জানে না।তিনি লিখেছেন--জামায়াতের দুর্ভাগ্য তারা"ওহাবি মতবাদের অনুসারী।" আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ ইসলামের মূূূূল বৈশিষ্ট্যে বিশ্বাস করে, কিন্তু ওহাবি মতবাদকে গ্রহণ করে না। সেজন্যই প্রায় শতবর্ষেও জামায়াতীরা জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেনি। তারাও জানে, বিশ্বের কোনো দেশেই ভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করা তাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। ফলে অগণতান্ত্রিক পথ তাদের বেছে নিতেই হচ্ছে। তিনি তাঁদের দমনের ব্যপারে অনেকটা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন এই জন্য যে তাঁদের আরো অনেক গুলী শাখা সংগঠন আছে যাদের খবর সাধারন মানুষ এবং কি সরকারও জানেনা।তিনি লিখেছেন-- জামায়াত রাজনৈতিক সংগঠন নয়,-" তারা ওহাবি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার একটি পরিবার।"জামায়াত এই পরিবারের প্রকাশ্য সংগঠন- এমন আরো ডজন ডজন প্রতিষ্ঠান আছে যেগুলো তাদের গোপন সশস্ত্র সংগঠন। ফলে এদেশে ওহাবি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জামায়াতী স্বপ্নকে প্রতিহত করতে হলে কেবলমাত্র জামায়াতের কথা ভাবলেই হবে না- তাদের শিকড় থেকে ডালপালা পর্যন্ত উপড়ে ফেলতে হবে। কিন্তু সেই কাজটি আমরা সঠিকভাবে করছি না। বিএনপির ছত্রছায়াতেই কেবল নয়, বিপুল আর্থিক ক্ষমতা নিয়ে ২০১৬ সালেও তারা ক্রমশ শক্তিশালী হয়েছে। আমাদের জন্য দুঃসংবাদ হচ্ছে যে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের চাপে থাকার পরও জামায়াত দুর্বল হচ্ছে না। তিনি তার লিখায় প্রতিকারেরও সুন্দর একটা ইঙ্গিত দিতে পেরেছেন বলে আমি মনে করি। তিনি প্রসঙ্গটিতে লিখেছেন--আমার নিজের বিশ্বাস এর অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে আমরা যারা বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি নির্ভর বাংলাদেশটা গড়ে তুলেছি তারা সাংস্কৃতিক আন্দোলনটা করিনি। যতক্ষণ অবধি আমরা আমাদের জাতীয় সংস্কৃতিকে দেশের সব মানুষের আত্মা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে না পারি তবে জামায়াতের সঙ্গে পেরে উঠব না। আজকের ডিজিটাল যুগে এই লড়াইটা সবার আগে ডিজিটাল পদ্ধতির হওয়া উচিত। আমরা সেটিও খুব ভালোভাবে করছি না। আশাবাদটা এখানেই যে, আমাদের নতুন প্রজন্ম ইতিহাসের সত্যকে আবিষ্কারের দিকে দিনে দিনে অনেক বেশি মনোযোগী হচ্ছে। এজন্যই ওদের হাতে জামায়াত পরাজিত হবে। উপসংহারে বলতে চাই, যে সমস্ত বন্ধুরা মনে করেন ৫০/১০০ মানবতা বিরোধীর বিচার করে দিলে তাঁরা মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবেনা। অনেক বুদ্ধিজীবি, লেখক, সাহিত্যিক জামায়াতকে নিষিদ্ধ করে দিলেই শেষ, আর অস্তিত্ব থাকবেনা-আমি তাঁদের সাথে একমত নই। একমত নই এই কারনে, যে দুষ্ট চক্রটি মুক্তিযুদ্ধে এত বড় পরাজয়ের প্রতিশোধ মাত্র সাড়ে তিন বছরে নিতে পেরেছে, যে অশুভ চক্রটি মাত্র২০ /২৫ বছরের মধ্যে তাঁদের শিকড় পল্লিবধুর রন্ধন শালায় নিয়ে যেতে পেরেছে, যে শক্তির একটি অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানও বন্ধ করা যায়নি, একটি কিন্ডার গার্টেন বন্ধ করা যায়নি- তাঁদেরকে রাজনীতি নিষিদ্ধ করে বা দুই একজনকে ফাঁসি দিয়ে তৎপরতা বন্ধ করা যাবে বিশ্বাস করা আর বোকার স্বর্গে বাস করা সমান কথা আমি মনে করি। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা