বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থলোপাট--আমাদের মুল্যবোধের মাত্রাজ্ঞান--- ♥~~~~~~~~~~~♥ বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থচুরি দেশের জন্য বড় অশনি সংকেত নি:সন্দেহে। গত দুই তিন দিন যাবত: অনেকেই অর্থ কেলেংকারির ঘটনায় সরকারের উচ্চমহল জড়িত আছে বলে জনগনকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমি ও বিশ্বাস করি সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা জড়িত না হলে এই কাজটি করা সহজ হতনা। অশুভ চক্রটির সমর্থক গোষ্টি পেইজবুক সহ সামাজিক অন্যান্ন মাধ্যমে আকারে ইঙ্গিতে আই, টি বিশেষজ্ঞ মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর পুত্র জনাব সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে মন্তব্য করতেও ছাড়ছেন না।এবং কি আমার মত কাঁচা বস্তাপঁচা লেখকদের লেখায় কমেন্ট করে বলে যাচ্ছেন তাঁদের সন্দেহের বিষয়াবলী।তাঁরা বন্দুকের নিশানা ঠিকই নিয়েছে--সজীব যেহেতু আই,টি বিশেষজ্ঞ, টাকা চুরির ঘটনাটিও আই,টি সংক্রান্ত। সুতারাং সুযোগ হারানো যাবেনা, সাধারন মানুষকে সহজেই ভাগে আনার এইতো সময়। "সাঈদীকে যেদিন চাঁদে দেখা গেছে সেই দিন থেকে মিডিয়া ষড়যন্ত্রের কবর রচিত হয়েছে। এরপরেও আহম্মকের দলের শিক্ষা হয়নি। সামান্যতম হুশ জ্ঞান হয়েছে বলে মনে হয়না।" আমি তাঁদের উদ্দেশ্যে সংক্ষেপে একটি কথাই বলব, আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন বহুকাল থেকে আমার মত পাতি লেখকদের মনের ভাব প্রকাশ করার কোন মাধ্যম ছিলনা। পত্রপত্রিকা যাই ছিল প্রতিষ্ঠিত লেখক সাংবাদিকদের লেখা চাপালেও কালেভদ্রে অনেক চেষ্টা তদবিরে আমার মত পাতি লেখকদের লেখা পত্রিকার চিঠি পত্র বিভাগে ছোট আকারে স্থান করে নিতে অনেক কষ্টই হত। সারা বাংলাদেশের সব লেখক সাংবাদিক একত্র করে গুনে ১০/২০হাজার পুর্ন করার যুগ ছিলনা। পাঠের জন্য ১/২দিনের বাসি পত্রিকা পেতে অনেক ঘাম জরাতে হত। সেই অবস্থান থেকে মাত্র ৪/৫বছরের ব্যবধানে আমরা সাধারনেরা এমন এক মাধ্যম পেয়েছি-যে মাধ্যমে আমার বউ কি রাঁধে, আমি কি খাচ্ছি সেকেন্ডের মধ্যে সারা পৃথিবীর মানুষকে জানাতে পারি, তাঁদের জীবন্ধারাও আমি জেনে নিতে পারছি। আমি শুধু উদাহরনের জন্য বলছি-সম্মান শ্রদ্ধা রেখেই বলছি-স্বনামধন্য লেখক জনাব আবদুল গাফফার চৌধুরীর লেখা যদি এক লক্ষ মানুষ পড়ে-আমার বস্তাপঁচা লেখাটিও নিদেনপক্ষে দশ হাজার মানূষ হলেও পড়ে। ব্যবধান শুধু এইটুকু-জনাব গাফফার সাহেবের লেখা হয়তোবা ইতিহাসের অংশ হবে-আমার লেখা হবেনা। পাঠক উনারও আমজনতা আমারও তাই। এইযে অবারিত সুযোগ পেলাম, এই সুযোগকে আমি যথেচ্ছ ব্যবহার করতে পারি? ৪/৫বছর আগে যেখানে মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা উপভোগ করেছে সর্ব- সাকুল্যে ২০হাজার লেখক।সেখানে বর্তমানে প্রায় আট থেকে নয় কোটি মানুষ একই বিষয়, একই সময়ে- তাঁর মতামত স্বাধীনভাবে, ইচ্ছামত, যেভাবে মন চায় সেইভাবে প্রকাশ করার সুযোগ পাচ্ছে। আর সেই সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়ার অন্যতম কর্ণধার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য পুত্র কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ জনাব সজিব ওয়াজেদ (জয়)।শুধু মতামত আমার ওয়ালে নয়, অন্যের লেখায় আমার মতামতও সন্নিবেশিত করার সুযোগ আমরা আমজনতা পেয়েছি শ্রেষ্ঠ সামাজিক মাধ্যম পেইজবুকের মাধ্যমে। অনেক আগে যদিও মাধ্যমটির প্রচলন উন্নত বিশ্বে শুরু হয়েছিল কিন্তু আমাদের দেশে মাধ্যমটি এসেছে বিগত ৪/৫ বছর আগে,সর্বসাধারনের ব্যবহারের সুযোগ পেয়েছি আরো ২বছর পর। সাবেক প্রধানমন্ত্রী পুত্র চুরির দায়ে বিদেশে পালিয়ে বেড়াচ্ছে,একজনের বিদেশে মৃত্যুও হয়েছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর পুত্রের গায়ে যদি কিছু রঙ লাগানো যায় মন্দ কি!! আমার কলামের মন্তব্য কারিরা বেশির ভাগ খালেদার মতই স্ব-শিক্ষিত বলে মনে হয়েছে আমার। মন্তব্য লেখার মাধুয্য এবং শব্দের বানান রীতি লক্ষ করে আমি যে অভিজ্ঞতা লাভ করেছি তাতে মনে হয়েছে হাইস্কুল পার হতে পারেনি একজনও। তাঁদের নিকট আমার সবিনয় জিজ্ঞাসা, আপনার বিশ্বাসের শিক্ষাগত যোগ্যতা কতটুকু? আদৌ আছে, নাকি মায়ের মতই স্ব-শিক্ষিত? আপনিও কি তাই? যদি তাই না হন হীনমন্যতায় ভুগছেন কেন? আপনি কি জানেন না- হিন্দু জমিদার অধ্যুষিত বাংলায় যে কয়জন মুসলিম জমিদার ছিলেন-তাঁর মধ্যে ফরিদ পুরের শেখ পরিবার অন্যতম একটি পরিবার?সেই পরিবারের বংশধর রাষ্ট্রীয় অর্থ চুরি করা লাগবে? তাঁর যে লেখাপড়া আছে-এই লেখাপড়ায় কি সাচ্ছন্দে পরিবার পরিজন প্রতিপালন করা যায়না? আপনি যে মন্তব্যটা সামাজিক মাধ্যম পেইজবুকে করেছেন, সজিবের জম্ম না হলে- বিশ বছর পরেও করতে পারতেন কি? আপনার বিশ্বাসের একদা চেড়াগেঞ্জী আর ভাঙ্গা স্যুটকেসের মালিক- বৃটেনের মত ব্যায়বহুল শহরে বছরের পর বছর ভাড়া বাড়ীতে পরিবার পরিজন নিয়ে কিভাবে থাকে-চিন্তা করেছেন কখনও? ডান্ডি ডায়িং, কোকো জাহাজ, একাদিক বাড়ী, কালোটাকা (যাহা কর পরিশোধ করে খালেদা জিয়া নিজেই সাদা করেছে) কোত্থেকে এসেছে এই বিশাল সম্পদ-ভেবে দেখেছেন কখনও? আমি স্বীকার করছি বিগত সরকার সমুহের রাষ্ট্রীয় বাজেটের অর্ধেকাংশ টাকা হ্যকিংয়ের মাধ্যমে চুরি হয়েছে।তাঁরপরও বর্তমান সরকারের অর্থনীতিতে কোন প্রভাব পড়বেনা বলে মনে করি। অতীতের সরকার সমুহের পাঁচগুনেরও বেশী শুধুমাত্র বর্তমান সরকারের উন্নয়ন বাজেট। তাছাড়া এই চুরি শুধু বাংলাদেশেই ঘটেছে তাই নয়, আমেরিকার মত উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর দেশে আরো অনেক আগেই ঘটনাগুলি ঘটেছে। তাই বলে তাঁদের দেশের বিরুদীদল বা জনগন ওবামা পুত্রকে দুষারোপ করেনি।এর অর্থ এই নয় আমি চুরিকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি,আমি আপনাদের মুল্যবোধের, হীনমানষিকতার,শিক্ষার,চিন্তাচেতনার মাত্রাজ্ঞানকে ঘৃনা জানানোর উদ্দেশ্যে বলছি। আমার দৃড বিশ্বাস, হলমার্ক, পুঁজিবাজার লুটের বিরুদ্ধে সরকার যেই দৃডতা নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করেছে- ঠিক একই দৃডতায় হ্যকিংয়ের ঘটনাটির বিরুদ্ধেও সরকার ব্যবস্থা গ্রহন করবে।প্রকৃত দুষি ব্যাক্তিদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করবে। অবশ্য সকারের এবং মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর তাৎক্ষনিক পদক্ষেপে আশ্বস্ত হওয়ার যথেষ্ট উপকরন আছে।ইতিমধ্যে নেয়া ব্যবস্থা সমুহ যথাযথ বলে জনমনে স্বস্থির আবহ তৈরী হয়েছে। সরকারের একাদিক এজেন্সি তদন্ত শুরু করে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রেখেছে। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার বলেছেন- তদন্তের স্বার্থে তাঁরা যে কাউকেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। প্রয়োজনে বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সেখানে পদ-পদবি তাদের কোন বিবেচনায় আসবে না। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় এবং লুট হওয়া টাকাও ফেরত আনতে পারবে বলে সিআইডি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। সি আইডি দুইটি বিষয়ের উপর জোর দিচ্ছেন-- (এক) সদ্য নিয়োগ পাওয়া আইটি কনসালটেন্টের মৌখিক পরামর্শে সব বিভাগ, সেল, ইউনিট, উইং এবং শাখা অফিসের কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও সার্ভারের সরবরাহকৃত সিকিউরিটি প্যাচ নামের সার্ভার ইনস্টল করা হত। এর মাধ্যমেই বাংলাদেশ ব্যাংকের সব তথ্য ফাঁস হওয়ার আশংকা করছেন সিআইডি সহ সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ। (দুই) চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার আগে থেকেই কেন ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ ও ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট ডিভিশনের ডিলিং রুমের দুটি ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা বিকল ছিল? যার ফলে ওই ঘটনার সময় ডিলিং রুমে কারা ছিল, সুইফট কোড ব্যবহার করে কারা কাজ করছিল- তা নির্ণয় করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন তদন্ত দল। উপরে উল্লেখীত দুই বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা হয়েছে বলে সি আইডি সুত্র নিশ্চিত করেছেন। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যাংকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ চুরির ঘটনায় জড়িত ম্যানিলার ৬ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে ফিলিপাইন। এর মধ্যে কিম উন নামে চীনের এক নাগরিক ফিলিপাইন ছেড়ে হংকংয়ে পালিয়ে গেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলারের মধ্যে ফিলিপাইনের কয়েকটি অ্যাকাউন্টে চলে যায় মোট ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার। ফিলিপাইনের ব্যাংকে যাওয়া এই অর্থ পাচারের সঙ্গে চীনের ওই নাগরিক অন্য ৫ জনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে ম্যানিলার অর্থপাচার বিরোধী কাউন্সিল (এএমএলসি) জানিয়েছে। উপরে উল্লেখিত বিষয় সমুহ পয্যালোচনা করলে দেখা যায়, ঘটনার সুত্র, প্রকৃত দুষি ব্যাক্তি, ডলারের পরিমান ইত্যাদি সুনির্দিষ্ট ভাবে চিহ্নিত হয়েছে। কোনভাবেই সরকারের সংশ্লিষ্টতা না পেয়ে অশুভ চক্রের মাথায় ভাঁজ পড়েছে। ষড়যন্ত্র, চক্রান্তের রাজনীতির স্থায়ীত্ব বেশি দিন থাকেনা। অবিবেচক বিরুদীদল চিন্তা চেতনায় পরিবর্তন না ঘটালে পতনের গতি আরো দ্রুতই হবে মনে করি। সত্যের জয় চিরকাল,মিথ্যার পতন অবশ্যাম্ভাবি।শুধু প্রয়োজন ধৈয্য, সহনশীলতা, আত্মবিশ্বাস, একাগ্রতা, ক্ষিপ্রতা, বিচক্ষনতা, সর্বপুরী অগাধ দেশপ্রেম। এইসমস্ত গুনের সব গুলিরই অধিকারি জাতির জনকের কন্যা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনা। ইতিমধ্যেই তার একাধিক প্রমান জাতি হাতেনাতে পেয়েছে বলে আমি মনেপ্রানে বিশ্বাস করি। সত্যের জয় হোক, মিথ্যা নিপাত যাক জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন