খালেদা জিয়ার 'রুপকল্প২০৩০'---জাতির জনকের কন্যার ঘোষিত "রুপকল্পের" ফাঁকের ফাঁকি ______!! ♥_________________________________♥ বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনা '২০০৮ইং সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নে বিভোর করে নতুন প্রজম্মের ভোটারদের ভোট পক্ষে এনে বিপুল ভোটে জিতে সরকার গঠন করেন।সরকারে বসে ক্ষমতা উপভোগ করার চাইতে ক্ষমতাকে জনগনের কল্যানে ব্যবহার করার উদ্দেশ্যে কঠিন এক সংগ্রামের প্রস্তুতি গ্রহন করেন। তাঁর সরকারকে এই কঠিন সংগ্রামে সর্বতোভাবে নিয়োজিত করেন। তিনি দেশ উন্নয়নের ধারনাকে তিনভাগে ভাগ করে সুদুরপ্রসারী, বাস্তব মুখী চিন্তাচেতনার এক কল্পিত উন্নয়ন রেখচিত্র অংকন করে অগ্রসর হওয়ার মানসে সরকারের প্রাথমিক সংস্কার শুরু করেন। সফলভাবে সরকারের সংস্কার কায্যক্রম শেষে তিনি তাঁর কল্পিত চিন্তার ফসল 'রুপকল্প ২০২১' ঘোষনা করেন।তিনি উক্ত 'রুপকল্প'বাস্তবায়নে স্বল্প মেয়াদি, মধ্যমেয়াদি, দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহন করে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকতা কর্মচারি, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যদেরকে স্ব-স্ব কাজে মনোযোগী হতে উৎসাহীত করে তোলেন। স্বল্প সময়ের মধ্যে বিগত জোট সরকারের পাঁছবারের দুর্নীতিতে শীর্ষে থাকা দেশটিকে রাষ্ট্রের সকল সুচকে উন্নয়নের দৃশ্যমান পয্যায় নিতে সক্ষম হন।ফলে ২০১৪/ ১৫ সালের বিএনপি জোট কতৃক লাগাতার আন্দোলন, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, রাহাজানি, আগুন সন্ত্রাস সত্বেও দেশকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে উন্নিত করেন। ২০১৪ সালের সাধারন নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতির জনকের কন্যা তদ্রুপভাবে বাংলাদেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ দেশে রুপান্তর করে বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর আর একটি "রুপকল্প ২০৪১" ঘোষনা করে তিন ধাপে ইতিমধ্যে প্রকল্প গ্রহন ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন। প্রথম প্রথম জোটের শীর্ষনেতারা ডিজিটাল বাংলাদেশকে ব্যঙ্গাত্বকভাবে জাতির সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে' 'রুপকল্প২০২১'কে নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়।তাঁরা দেশে বিদেশে অপপ্রচার চালাতে থাকে যে-- জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা '২০২১'সাল পয্যন্ত ক্ষমতা ছাড়বেনা। ২০১৪ সালের সাধারন নির্বাচনে অংশ না নিয়ে গনতন্ত্রকে নস্যাৎ এবং নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার মানসে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে নির্বাচনে অংশ না নিয়ে লাগাতার সন্ত্রাসের দিকে ঝুকে পড়ে চারদলীয় জোট। দেশে বিদেশে অপপ্রচার চালাতে থাকে যে, নির্বাচনে অংশ নিয়ে কোন লাভ হবেনা '২০৪১'সাল পয্যন্ত আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ছাড়বেনা। অপপ্রচারকে সঙ্গী করে দেশব্যাপি শ্বেতসন্ত্রাসের কালোথাবা বিস্তার ঘটায়। তাঁদের এই ষড়যন্ত্রে যোগ দেয় নব্য রাজাকার শিবির, '৭১এর রাজাকার জামায়াত, সাম্প্রদায়িক উগ্র জঙ্গী গোষ্টি হেফাজত, চরম ডান-বাম গোষ্টি সমুহ। জাতির জনকের কন্যার অসিম ধৈয্য,রাষ্ট্র নায়কোচিত মনোভাবের কারনে চরমভাবে পরাজিত হয়ে লেজগুটিয়ে আগুন সন্ত্রাসের নেত্রী আন্দোলন বন্ধ করে বাসায় চলে যান।তাঁর ঘোষিত অসযোগের কর্মসুচি আজও প্রত্যাহারভকরেননি। নেত্রী দরজা জানালা বন্ধ করে স্বেচ্ছায় বন্দি থাকেন দীর্ঘ দিন। ইতিমধ্যে আন্দোলন ব্যার্থতার কারনে জোট ও দলে নিষ্ক্রিয়তা দেখা দেয়ায় নতুন এবং অভিনব এক উপায় খুজে বের করেন। দেশ ইতিমধ্যে তাঁদের ব্যংঙ্গকে উপেক্ষা করে মধ্যম আয়ের দেশের রুপান্তরিত হয়ে জনমনে স্বস্তি-শান্তি, আনন্দ-উল্লাসের জোয়ার আসে। সরকারের প্রতি অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় আস্থা ও বিশ্বাস অবিশ্বাস্যভাবে বেড়ে যাওয়ায় আন্দোলন সংগ্রামে জনসম্পৃত্ততা পাওয়া যাচ্ছিলনা। উপায়ান্তর না পেয়ে বিএনপি তাঁদের দলীয় কাউন্সিলের আয়োজন করে। উক্ত কাউন্সিলে বেগম জিয়া 'জাসদের' আন্দোলনের হাতিয়ার 'দ্বি-কক্ষ' বিশিষ্ট আইনসভা এবং আওয়ামীলীগের উন্নয়নের দর্শন' 'রুপকল্প' হাইজ্যাক করে 'চোখের লজ্জা' বিসর্জন দিয়ে 'রুপকল্প ২০৩০' খসড়া ঘোষনা প্রকাশ করে। ""উল্লেখ্য যে আওয়ামীলীগের ঘোষিত,('রুপকল্প ২০২১--২০৪১' মধ্যম--উন্নত, সমৃদ্ধ) বাংলাদেশের পরিকল্পিত স্বপ্ন-রেখচিত্র। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা বলেননি যে '২০৩০' আগে বা পরে বাংলাদেশ "উন্নত মধ্যম' আয়ের" দেশে রুপান্তরীত হবে।"এই ফাঁক টুকুকে কাজে লাগিয়ে জ্ঞানের সাগর খালেদা জিয়া 'উন্নত-মধ্যম' আয়ের 'রুপকল্প ২০৩০' ঘোষনা করেছেন।এই এক জনতার সঙ্গে প্রতারনার নয়া কৌশল বটে!!" সৃষ্টিতে দলটি বন্দুকের নলে ক্ষমতা পেয়েছিল। ন্যাশানাল আওয়ামীপার্টির মার্কা 'ধানের শীষ' হাইজ্যাক করে দল বানিয়েছিল।বিভিন্ন দলের সুযোগ সন্ধানী নেতাদের ভাগিয়ে এবং দালাল, রাজাকারদের সমন্বয়ে সরকার বানিয়েছিল খুনি মেজর জিয়াউর রহমান। তাঁরই ধারাবাহিকতা রক্ষাকল্পে তাঁরপত্নি উৎসের সাথে সামঞ্জস্য রেখে পতন বিলম্ভীত করার উদ্দেশ্যে অন্য রাজনৈতিক দলের দর্শন হাইজ্যাক প্রক্রিয়ায় নিলজ্জ ভাবে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। *এবার জনরোষের কবলে পড়ে দীর্ঘদিন স্বেচ্ছায় গৃহবন্দি থেকে নতুন ফন্দি-ফিকিরের অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগের ঘোষিত 'রুপকল্প ২০৪১'এবং 'রুপকল্প ২০২১'এর মাঝামাঝি 'রুপকল্প ২০৩০' কে "মধ্যম উন্নত" নামকরন করে বাহবা নেয়ার অপ-কৌশল গ্রহন করেছেন।* ____________________________________ সত্যের জয় হোক______প্রতারক চক্র নিপাত যাক জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা ♥প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা♥

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন