বিএনপির হাওয়ায় ভেসে দেশশাষন--ইতিহাসের নজিরবিহীন শাষন হয়ে থাকবে --- ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ ভাড়াটিয়াদের তথ্য প্রদানের বিরুদ্ধে করা রিট উচ্চ আদালত খারিজ করে দিয়েছেন। জঙ্গীরা বাড়ী ভাড়া নিয়ে আস্তানা বানিয়ে নাশকতা করা থেকে জনগনের জানমাল রক্ষা করার নৈতিক দায়িত্ব থেকে সরকার এই তথ্য চেয়েছিলেন। পত্রপত্রিকায় ভুয়া খবর চাপিয়ে নাশকতায় উস্কানী দেয়ার একাধিক প্রমান পাওয়ার পর ভুয়া খবর চাপানোর অপরাধে একজন সম্পাদককে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মামলা করলে আদালত উক্ত সম্পাদক সাহেবকে জেলহাজতে প্রেরন করে। নাশকতা, ব্লগার হত্যা ইত্যাদি কারনে সরকার জঙ্গীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে দমনের জন্য অভিযান পরিচালনায় আস্তানা, গোলাবারুদ, জিহাদি বই পুস্তক, কম্পিউটার,বোমা তৈরীর সরঞ্জাম সহ একাদিক জঙ্গী গ্রুপ আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে আটক হয়। চার দলীয় জোট নেত্রী কঠোর ভাষায় উক্ত অভিযানের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়ে বলেন, "সরকার ভাল ছেলেদের ধরে জঙ্গী বানিয়ে জেলখানা ভর্তি করে তুলছে। তথ্যভিত্তিক সংবাদ পরিবেশন সাংবাদিকদের নৈতিক দায়িত্ব। সাংবাদিকতা সর্বকালের জন্য মহৎ পেশা। পত্র-পত্রিকায় রাষ্ট্র ও সরকার বিরুদী বিভিন্ন মিথ্যা বানোয়াট, কল্পিত কাহিনী প্রচার, ধমীয় উস্কানী,কবি সাহিত্যিক হত্যায় উস্কানী ইত্যাদি অপপ্রচার চালিয়ে--একাধিক পত্রিকা জনজীবন দুর্বিসহ করে তুললে সরকার নাগরীকদের জানমাল, সম্পদ রক্ষার স্বার্থে - জড়িত আমার দেশ পত্রিকা সহ ইসলামী টি,ভি চ্যানেল বন্ধের নির্দেশ দেন। , চার দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নিন্দা জানিয়ে বলেন, "সরকার মানুষের কন্ঠ রোধ করেছে এবং বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা হরন করেছে।"বর্তমান সরকার বাকশালি শাষন কায়েমের উদ্দেশ্যে জনগনের মতামত প্রকাশের উপর কঠোর নিষেদাজ্ঞা জারী করেছে।" সাম্প্রতিক সময়ে হয়ে যাওয়া একাধিক পৌরনির্বাচনে বিএনপি ও চার দলীয় জোটের মনোনীত প্রার্থীরা স্বেচ্চায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে সমঝোতার ভিত্তিতে ভোটের প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়া থেকে বিরত থাকে। চার দলীয়জোট অভিযোগ উত্থাপন করে বলেন,'তাঁদের মনোনীত প্রার্থীদের জোর পুর্বক নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে সরিয়ে সরকার নিজেদের প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া গ্রহন করেছেন। এইরুপ পৌরসভা সমুহের তালিকা প্রনয়ন পুর্বক নির্বাচন কমিশনের নিকট দাখিল করবেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েও--অদ্যাবদি সেই তালিকা নির্বাচন কমিশনে দাখিল না করে প্রত্যহ একই অভিযোগের চর্বিত চর্বনে ব্যস্ত রয়েছে। অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষনা দিয়ে নীজ কায্যালয়ে অবস্থান করে চার দলীয় জোটনেত্রী সারা দেশব্যাপি আগুন সন্ত্রাস, নাশকতা, লুটপাট, নারী শিশু হত্যা, যানবাহনে আগুন দিয়ে যাত্রীদের পুড়িয়ে মারা সহ অসংখ্য অগনিত অপরাধ সংগঠিত করে। আইন-শৃংখলা রক্ষা, জানমালের নিরাপত্তা, সম্পদ রক্ষা, চলাচলের স্বাধিনতা নিশ্চিত করন সরকারের দায়িত্ব--উক্ত সেবার নিশ্চয়তা সরকার থেকে পাওয়ার জনগনের সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার। হত্যার মত অপরাধ দমনে সরকার ব্যবস্থা গ্রহন করলে, চার দলীয় জোটনেত্রী এবং জোটের পক্ষ থেকে বলা হয় সরকার বিরুদি রাজনীতিক নেতা কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা হামলা করে আন্দোলন বানচাল করেছে। অবিলম্ভে নেতাকর্মীদের নি:শর্ত মুক্তিও দাবী করেন। ১/১১ এর সরকারের সঙ্গে সমঝোতার প্রেক্ষিতে তারেক জিয়া ও কোকোকে বিদেশে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে পাঠান চার দলীয় জোট।১/১১ এর সরকার চাঁদাবাজি, ঘোষ, দুর্নীতির একাধিক অভিযোগে বেগম জিয়ার ছেলেদ্বয়ের বিরুদ্ধে আদালতে একাধিক মামলা রুজু করে। আপাতত: জেলমুক্তির প্রেক্ষিত বিবেচনায়--সমঝোতার নিরিখে উভয়কে বিদেশে পাঠিয়ে হাঁফ চেড়ে বেঁচেছিলেন খালেদা জিয়া। সেনা সমর্থীত তত্বাবধায়ক সরকারের দেয়া মামলা গুলি আদালতের রীতি-নিয়মানুসারে আসামীর অনুপস্থীতিতে বিচার কাজ শুরু হলে," বিএনপির নেত্রী জোটের পক্ষ থেকে বলতে থাকেন যে--তারেক জিয়াকে রাজনীতি থেকে সরানোর জন্য সরকার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।" বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে ১/১১ সরকারের আনীত অভিযোগ, "জিয়া চ্যারিটেবল ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ, জিয়া অর্ফানেজের তহবিল তশরুপ, মিগ কেনায় ঘুষ গ্রহন ইত্যাদি মামলা গুলী আদালতের স্বাভাবিক ধর্মানুযায়ী কায্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।আইনের প্রক্রিয়া অনুযায়ী মামলা গুলী বর্তমানে শেষ পয্যায়। এমত:বস্তায় প্রথম থেকেই উক্ত মামলাগুলী প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছে চার দলীয় জোট। আদালতে হাজিরা না দিয়ে আদালতের স্বাভাবিক কায্যক্রমকে বিঘ্নিত, আইনের প্রতি অশ্রদ্ধা দেখানোর নজীর স্থাপন করেছে খালেদা পরিবার। প্রত্যেক মামলায় সাজা নিশ্চিত জেনে বাঁচার বহুবীদ চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায়--উপায় খোঁজে না পেয়ে সরকারের সাথে একাধিক প্রস্তাব নিয়ে সমঝোতা করার প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছেন। সরকারের সর্বস্তরে জানাজানি হয়ে গেলে সেই চেষ্টাও ভেস্তে যেতে বসেছে জেনে নীজ দলের গঠনতন্ত্রে সংশোধনী এনে যুদ্ধাপরাধীদের সংজ্ঞ ত্যাগের প্রতিশ্রুতি সম্ভলীত প্রস্তাবনা নিয়ে অগ্রসর হওয়ার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন খালেদা জিয়া। এতেও ফলোদয় না হওয়ার পর বর্তমানে অভিযোগ উত্থাপন করে বলছেন যে," খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে সরানো এবং বিএনপিকে ধ্বংশ করার জন্য সরকার চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে।" ২০০১ ইং সাল থেকে ০৫ইং পয্যন্ত চারদলীয় জোট সরকারে থেকে জামায়াতকে সংগে নিয়ে দেশব্যাপি স্বেতসন্ত্রাস, লুটপাট, দুর্নীতি, স্বজন প্রীতির চরম পয্যায় পৌছান। তারেক কতৃক প্রভুত্বতন্ত্র কায়েমের নিমিত্তে হাওয়া ভবনকেন্দ্রিক বিকল্প সরকার পরিচালনা করে জনগন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী পুলিশ,বিডিয়ার, সেনাবাহিনী সহ সুশীল সমাজের বিরাগভাজন হয়ে পড়েন। এমত:বস্থায় নিয়মতান্ত্রীক তত্ববধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচনে চরম পরাজয় আঁছ করতে পেরে--সকল নিয়ম রীতি লঙন পুর্বক নীজ দলীয় রাষ্ট্রপতিকে তত্বাবধায়ক প্রধান করে সাধারন নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহন করে। জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট নির্বাচন প্রত্যাখ্যান পুর্বক চারদলীয় জোট সরকারের পদত্যাগ, তত্বাবধায়কের হাতে খমতা হস্তান্তরের দাবিতে লাগাতার আন্দোলনে জনগন ঝাঁপিয়ে পড়েন। অবস্থা বেগতিক দেখে দাবি মেনে নিয়ে পদত্যাগে বাধ্য হয় জোট সরকার। খালেদা জিয়া সরকারে থাকাবস্থায় তারেক জিয়া কতৃক প্রভুত্ববাদ কায়েমের লক্ষে নেয়া পদক্ষেপের কারনে দলটি জনগনের রোষানলে পড়েন।এই সুযোগটি সার্বিকভাবে গ্রহন করে সেনা সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকার। তাঁরা প্রতিষ্ঠিত দুইদলকে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে চিরবিদায়ের ষড়যন্ত্র শুরু করে। ব্যপারটি অসম্ভব জেনে- দুই নেত্রীকে দলীয় পদ থেকে অপসারনের উদ্দেশ্যে কারাবন্দি করে নিয্যাতন শুরু করে। ইহাও অসম্ভবের পর-উপায়ান্তর না দেখে দুই নেত্রীকে মুক্তি দিয়ে সাধারন নির্বাচনের ঘোষনা দেয়। আওয়ামী লীগ দলীয় ত্যাগী নেতাকর্মীদের ত্যাগের বিনিময়ে ঘুরে দাঁড়ালেও বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে নিজেদের কোন্দলের ঘুরপাকে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। ফলত: ঘোষিত ২০০৮ ইং সালের সাধারন নির্বাচনে দলটির চরম ভরাডুবি ঘটে। ভোটে পরাজয়ের পর খালেদা জিয়াকে অর্জিত অবৈধ সম্পদ রক্ষা,ছেলেদের আগামী দিনের রাজনৈতিক , অর্থনৈতিক, সামাজিক,পারিবারিক অস্তিত্ব রক্ষা করার স্বাভাবিক রোগে পেয়ে বসে। খালেদা জিয়ার পরিবার কতৃক রাষ্ট্রীয় বাড়ী গাড়ী রক্ষা, অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পদ দখলে রাখার মানসে নির্বাচিত মহাজোট সরকারের প্রথম থেকে সহিংস আন্দোলনের পথ বেঁচে নেয়। সঙ্গত কারনে পারিবারিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট আন্দোলনে জনগনের সম্পৃত্ততা না পাওয়ায়-জামায়াত শিবির ও জঙ্গী গোষ্টি সমুহ খালেদার এই দুর্বল সময়ের সুযোগ গ্রহন করে নিতে সময়ক্ষেপন করেনি। সুযোগ গ্রহন করেই আন্দোলনকে সন্ত্রাস, নাশকতা, লুটতরাজের কালিমা লেপন করে জাতীয় ও আন্তজাতিক ভাবে বিরোদীতার সম্মুখ্যিন হয়ে রনে ভঙ্গ দেন। কথিত আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকারি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নাশকতা, আগুন সন্ত্রাস, লুটপাট, অগ্নি সংযোগের হাজার হাজার পুলিশি অভিযোগের ভিত্তিতে একাধিক মামলায় ধরপাকড় শুরু হলে দলটি চরম বিপয্যয়ের মুখে পড়ে অস্তিত্বের সংগ্রামে লিপ্ত হতে বাধ্য হয়। এমত:বস্তায় আন্দোলন সংগ্রামে ভীতশ্রদ্ধ নেতাকর্মীগন স্থানীয় আওয়ামী লীগের সুযোগ সন্ধানী নেতাদের করুনা লাভের উদ্দেশ্যে রাজপথ, আন্দোলন, রাজনীতি, নির্বাচন ছেড়ে এলাকা ভিত্তিক সমঝোতা পুর্বক নীজের সংসার, পরিবার ব্যবসাপাতি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ফলত: ইউনিয়ন, পৌরসভার মত জনসম্পৃত্ত স্থানীয় নির্বাচনে সামান্যতম প্রতিযোগিতা, প্রতিরোধ গড়ে তোলার শক্তি সামর্থ্য অবশিষ্ট নেই। চারদলীয় জোট কতৃক জোর পুর্বক নমিনেশন কাঁধে তোলে দিলেও পথিমধ্যে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের হাতে সেই নমিনেশন তুলে দিচ্ছেন। কেউ কেউ নমিনেশন পাওয়ার পরও দল বা জনগনের সংগে কোন যোগাযোগ রক্ষা না করে গাঁঢাকা দিয়ে অস্তিত্ব রক্ষার চেষ্টায় ব্রতি রয়েছেন। এই অবস্থাকে বিএনপি ভোট বিহীন নির্বাচন আখ্যা দিয়ে নীজেদের ব্যর্থ্যতা আড়াল করার নীতি গ্রহন করে জনগনকে সরকার সম্পর্কে বিভ্রান্ত করার অপকৌশল গ্রহন করেছেন বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন। মুলত:আন্দোলন, সংগ্রাম, রাজনীতি, নির্বাচন বিমুখ নেতাকর্মীদের মাঠে রাখার সকল চেষ্টা ব্যর্থ্য হতে দেখে জেলা-উপজেলায় দল পুর্নগঠনের ঘোষনা দেয় দলটি। এতেও নেতাকর্মীদের উজ্জিবিত করতে না পেরে , কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে টানার উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় কমিটি পুর্নগঠনের ঘোষনা দিয়ে নমিনেশন বিক্রির চেষ্টা করে। সরকারের পক্ষ হতে কল্পিত বাধার রনহুংকারে মাঠ গরম রাখার চেষ্টাও বিফলে যাওয়ার পর-- শেষ খবর পাওয়া পয্যন্ত কোন দলীয় নেতা ফরম কিনেছেন শুনা যায়নি। অবস্থা দলের অভ্যন্তরেই বেগতিক দেখে-- দলের নেতাদের শান্ত করার উদ্দেশ্যে,চেয়ারপার্সনের সংস্পর্শে নিতে নতুন ঘোষনা দিতে বাধ্য হলেন। "তারেক জিয়ার সহসভাপতির ক্ষমতা নির্দিষ্ট চকে বেঁধে দেয়ার ঘোষনা প্রদান করে দলটি।"এতেই বুঝা যায় সামরিক চাউনিতে জম্ম নেয়া দলটির আদর্শতো নেয়ই--গঠনতন্ত্রও নেয়ই বা কখনও ছিলনা। এইরুপ একটি দল কিভাবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে টিকে ছিল, বাংলাদেশ শাষন করেছে--উহাই আগামী প্রজম্মের নিকট বিরাট প্রশ্নবোধক হয়ে থাকবে। ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ ♥জয় বাংলা ♥♥জয় বঙ্গবন্ধু♥ জয়তু জাতির জনকের কন্যা ♥দেশরত্ম শেখ হাসিনা♥

  মুক্তিযুদ্ধ মানেনা,স্বাধীনতা মানেনা,জাতির পিতা মানেনা,বাঙ্গালী জাতীয়তা কি বুঝেনা,২৩বছরের আন্দোলন সংগ্রাম কার বিরুদ্ধে কে করেছিল,কেন করেছিল তাও জানেনা-অথছ কয়েক দফা বাংলাদেশ শাষন করেছে।ইহাও কি সম্ভব --!!

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন