বিএনপির হাওয়ায় ভেসে দেশশাষন--ইতিহাসের নজিরবিহীন শাষন হয়ে থাকবে --- ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ ভাড়াটিয়াদের তথ্য প্রদানের বিরুদ্ধে করা রিট উচ্চ আদালত খারিজ করে দিয়েছেন। জঙ্গীরা বাড়ী ভাড়া নিয়ে আস্তানা বানিয়ে নাশকতা করা থেকে জনগনের জানমাল রক্ষা করার নৈতিক দায়িত্ব থেকে সরকার এই তথ্য চেয়েছিলেন। পত্রপত্রিকায় ভুয়া খবর চাপিয়ে নাশকতায় উস্কানী দেয়ার একাধিক প্রমান পাওয়ার পর ভুয়া খবর চাপানোর অপরাধে একজন সম্পাদককে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মামলা করলে আদালত উক্ত সম্পাদক সাহেবকে জেলহাজতে প্রেরন করে। নাশকতা, ব্লগার হত্যা ইত্যাদি কারনে সরকার জঙ্গীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে দমনের জন্য অভিযান পরিচালনায় আস্তানা, গোলাবারুদ, জিহাদি বই পুস্তক, কম্পিউটার,বোমা তৈরীর সরঞ্জাম সহ একাদিক জঙ্গী গ্রুপ আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে আটক হয়। চার দলীয় জোট নেত্রী কঠোর ভাষায় উক্ত অভিযানের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়ে বলেন, "সরকার ভাল ছেলেদের ধরে জঙ্গী বানিয়ে জেলখানা ভর্তি করে তুলছে। তথ্যভিত্তিক সংবাদ পরিবেশন সাংবাদিকদের নৈতিক দায়িত্ব। সাংবাদিকতা সর্বকালের জন্য মহৎ পেশা। পত্র-পত্রিকায় রাষ্ট্র ও সরকার বিরুদী বিভিন্ন মিথ্যা বানোয়াট, কল্পিত কাহিনী প্রচার, ধমীয় উস্কানী,কবি সাহিত্যিক হত্যায় উস্কানী ইত্যাদি অপপ্রচার চালিয়ে--একাধিক পত্রিকা জনজীবন দুর্বিসহ করে তুললে সরকার নাগরীকদের জানমাল, সম্পদ রক্ষার স্বার্থে - জড়িত আমার দেশ পত্রিকা সহ ইসলামী টি,ভি চ্যানেল বন্ধের নির্দেশ দেন। , চার দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নিন্দা জানিয়ে বলেন, "সরকার মানুষের কন্ঠ রোধ করেছে এবং বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা হরন করেছে।"বর্তমান সরকার বাকশালি শাষন কায়েমের উদ্দেশ্যে জনগনের মতামত প্রকাশের উপর কঠোর নিষেদাজ্ঞা জারী করেছে।" সাম্প্রতিক সময়ে হয়ে যাওয়া একাধিক পৌরনির্বাচনে বিএনপি ও চার দলীয় জোটের মনোনীত প্রার্থীরা স্বেচ্চায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে সমঝোতার ভিত্তিতে ভোটের প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়া থেকে বিরত থাকে। চার দলীয়জোট অভিযোগ উত্থাপন করে বলেন,'তাঁদের মনোনীত প্রার্থীদের জোর পুর্বক নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে সরিয়ে সরকার নিজেদের প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া গ্রহন করেছেন। এইরুপ পৌরসভা সমুহের তালিকা প্রনয়ন পুর্বক নির্বাচন কমিশনের নিকট দাখিল করবেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েও--অদ্যাবদি সেই তালিকা নির্বাচন কমিশনে দাখিল না করে প্রত্যহ একই অভিযোগের চর্বিত চর্বনে ব্যস্ত রয়েছে। অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষনা দিয়ে নীজ কায্যালয়ে অবস্থান করে চার দলীয় জোটনেত্রী সারা দেশব্যাপি আগুন সন্ত্রাস, নাশকতা, লুটপাট, নারী শিশু হত্যা, যানবাহনে আগুন দিয়ে যাত্রীদের পুড়িয়ে মারা সহ অসংখ্য অগনিত অপরাধ সংগঠিত করে। আইন-শৃংখলা রক্ষা, জানমালের নিরাপত্তা, সম্পদ রক্ষা, চলাচলের স্বাধিনতা নিশ্চিত করন সরকারের দায়িত্ব--উক্ত সেবার নিশ্চয়তা সরকার থেকে পাওয়ার জনগনের সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার। হত্যার মত অপরাধ দমনে সরকার ব্যবস্থা গ্রহন করলে, চার দলীয় জোটনেত্রী এবং জোটের পক্ষ থেকে বলা হয় সরকার বিরুদি রাজনীতিক নেতা কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা হামলা করে আন্দোলন বানচাল করেছে। অবিলম্ভে নেতাকর্মীদের নি:শর্ত মুক্তিও দাবী করেন। ১/১১ এর সরকারের সঙ্গে সমঝোতার প্রেক্ষিতে তারেক জিয়া ও কোকোকে বিদেশে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে পাঠান চার দলীয় জোট।১/১১ এর সরকার চাঁদাবাজি, ঘোষ, দুর্নীতির একাধিক অভিযোগে বেগম জিয়ার ছেলেদ্বয়ের বিরুদ্ধে আদালতে একাধিক মামলা রুজু করে। আপাতত: জেলমুক্তির প্রেক্ষিত বিবেচনায়--সমঝোতার নিরিখে উভয়কে বিদেশে পাঠিয়ে হাঁফ চেড়ে বেঁচেছিলেন খালেদা জিয়া। সেনা সমর্থীত তত্বাবধায়ক সরকারের দেয়া মামলা গুলি আদালতের রীতি-নিয়মানুসারে আসামীর অনুপস্থীতিতে বিচার কাজ শুরু হলে," বিএনপির নেত্রী জোটের পক্ষ থেকে বলতে থাকেন যে--তারেক জিয়াকে রাজনীতি থেকে সরানোর জন্য সরকার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।" বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে ১/১১ সরকারের আনীত অভিযোগ, "জিয়া চ্যারিটেবল ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ, জিয়া অর্ফানেজের তহবিল তশরুপ, মিগ কেনায় ঘুষ গ্রহন ইত্যাদি মামলা গুলী আদালতের স্বাভাবিক ধর্মানুযায়ী কায্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।আইনের প্রক্রিয়া অনুযায়ী মামলা গুলী বর্তমানে শেষ পয্যায়। এমত:বস্তায় প্রথম থেকেই উক্ত মামলাগুলী প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছে চার দলীয় জোট। আদালতে হাজিরা না দিয়ে আদালতের স্বাভাবিক কায্যক্রমকে বিঘ্নিত, আইনের প্রতি অশ্রদ্ধা দেখানোর নজীর স্থাপন করেছে খালেদা পরিবার। প্রত্যেক মামলায় সাজা নিশ্চিত জেনে বাঁচার বহুবীদ চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায়--উপায় খোঁজে না পেয়ে সরকারের সাথে একাধিক প্রস্তাব নিয়ে সমঝোতা করার প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছেন। সরকারের সর্বস্তরে জানাজানি হয়ে গেলে সেই চেষ্টাও ভেস্তে যেতে বসেছে জেনে নীজ দলের গঠনতন্ত্রে সংশোধনী এনে যুদ্ধাপরাধীদের সংজ্ঞ ত্যাগের প্রতিশ্রুতি সম্ভলীত প্রস্তাবনা নিয়ে অগ্রসর হওয়ার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন খালেদা জিয়া। এতেও ফলোদয় না হওয়ার পর বর্তমানে অভিযোগ উত্থাপন করে বলছেন যে," খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে সরানো এবং বিএনপিকে ধ্বংশ করার জন্য সরকার চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে।" ২০০১ ইং সাল থেকে ০৫ইং পয্যন্ত চারদলীয় জোট সরকারে থেকে জামায়াতকে সংগে নিয়ে দেশব্যাপি স্বেতসন্ত্রাস, লুটপাট, দুর্নীতি, স্বজন প্রীতির চরম পয্যায় পৌছান। তারেক কতৃক প্রভুত্বতন্ত্র কায়েমের নিমিত্তে হাওয়া ভবনকেন্দ্রিক বিকল্প সরকার পরিচালনা করে জনগন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী পুলিশ,বিডিয়ার, সেনাবাহিনী সহ সুশীল সমাজের বিরাগভাজন হয়ে পড়েন। এমত:বস্থায় নিয়মতান্ত্রীক তত্ববধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচনে চরম পরাজয় আঁছ করতে পেরে--সকল নিয়ম রীতি লঙন পুর্বক নীজ দলীয় রাষ্ট্রপতিকে তত্বাবধায়ক প্রধান করে সাধারন নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহন করে। জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট নির্বাচন প্রত্যাখ্যান পুর্বক চারদলীয় জোট সরকারের পদত্যাগ, তত্বাবধায়কের হাতে খমতা হস্তান্তরের দাবিতে লাগাতার আন্দোলনে জনগন ঝাঁপিয়ে পড়েন। অবস্থা বেগতিক দেখে দাবি মেনে নিয়ে পদত্যাগে বাধ্য হয় জোট সরকার। খালেদা জিয়া সরকারে থাকাবস্থায় তারেক জিয়া কতৃক প্রভুত্ববাদ কায়েমের লক্ষে নেয়া পদক্ষেপের কারনে দলটি জনগনের রোষানলে পড়েন।এই সুযোগটি সার্বিকভাবে গ্রহন করে সেনা সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকার। তাঁরা প্রতিষ্ঠিত দুইদলকে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে চিরবিদায়ের ষড়যন্ত্র শুরু করে। ব্যপারটি অসম্ভব জেনে- দুই নেত্রীকে দলীয় পদ থেকে অপসারনের উদ্দেশ্যে কারাবন্দি করে নিয্যাতন শুরু করে। ইহাও অসম্ভবের পর-উপায়ান্তর না দেখে দুই নেত্রীকে মুক্তি দিয়ে সাধারন নির্বাচনের ঘোষনা দেয়। আওয়ামী লীগ দলীয় ত্যাগী নেতাকর্মীদের ত্যাগের বিনিময়ে ঘুরে দাঁড়ালেও বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে নিজেদের কোন্দলের ঘুরপাকে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। ফলত: ঘোষিত ২০০৮ ইং সালের সাধারন নির্বাচনে দলটির চরম ভরাডুবি ঘটে। ভোটে পরাজয়ের পর খালেদা জিয়াকে অর্জিত অবৈধ সম্পদ রক্ষা,ছেলেদের আগামী দিনের রাজনৈতিক , অর্থনৈতিক, সামাজিক,পারিবারিক অস্তিত্ব রক্ষা করার স্বাভাবিক রোগে পেয়ে বসে। খালেদা জিয়ার পরিবার কতৃক রাষ্ট্রীয় বাড়ী গাড়ী রক্ষা, অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পদ দখলে রাখার মানসে নির্বাচিত মহাজোট সরকারের প্রথম থেকে সহিংস আন্দোলনের পথ বেঁচে নেয়। সঙ্গত কারনে পারিবারিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট আন্দোলনে জনগনের সম্পৃত্ততা না পাওয়ায়-জামায়াত শিবির ও জঙ্গী গোষ্টি সমুহ খালেদার এই দুর্বল সময়ের সুযোগ গ্রহন করে নিতে সময়ক্ষেপন করেনি। সুযোগ গ্রহন করেই আন্দোলনকে সন্ত্রাস, নাশকতা, লুটতরাজের কালিমা লেপন করে জাতীয় ও আন্তজাতিক ভাবে বিরোদীতার সম্মুখ্যিন হয়ে রনে ভঙ্গ দেন। কথিত আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকারি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নাশকতা, আগুন সন্ত্রাস, লুটপাট, অগ্নি সংযোগের হাজার হাজার পুলিশি অভিযোগের ভিত্তিতে একাধিক মামলায় ধরপাকড় শুরু হলে দলটি চরম বিপয্যয়ের মুখে পড়ে অস্তিত্বের সংগ্রামে লিপ্ত হতে বাধ্য হয়। এমত:বস্তায় আন্দোলন সংগ্রামে ভীতশ্রদ্ধ নেতাকর্মীগন স্থানীয় আওয়ামী লীগের সুযোগ সন্ধানী নেতাদের করুনা লাভের উদ্দেশ্যে রাজপথ, আন্দোলন, রাজনীতি, নির্বাচন ছেড়ে এলাকা ভিত্তিক সমঝোতা পুর্বক নীজের সংসার, পরিবার ব্যবসাপাতি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ফলত: ইউনিয়ন, পৌরসভার মত জনসম্পৃত্ত স্থানীয় নির্বাচনে সামান্যতম প্রতিযোগিতা, প্রতিরোধ গড়ে তোলার শক্তি সামর্থ্য অবশিষ্ট নেই। চারদলীয় জোট কতৃক জোর পুর্বক নমিনেশন কাঁধে তোলে দিলেও পথিমধ্যে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের হাতে সেই নমিনেশন তুলে দিচ্ছেন। কেউ কেউ নমিনেশন পাওয়ার পরও দল বা জনগনের সংগে কোন যোগাযোগ রক্ষা না করে গাঁঢাকা দিয়ে অস্তিত্ব রক্ষার চেষ্টায় ব্রতি রয়েছেন। এই অবস্থাকে বিএনপি ভোট বিহীন নির্বাচন আখ্যা দিয়ে নীজেদের ব্যর্থ্যতা আড়াল করার নীতি গ্রহন করে জনগনকে সরকার সম্পর্কে বিভ্রান্ত করার অপকৌশল গ্রহন করেছেন বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন। মুলত:আন্দোলন, সংগ্রাম, রাজনীতি, নির্বাচন বিমুখ নেতাকর্মীদের মাঠে রাখার সকল চেষ্টা ব্যর্থ্য হতে দেখে জেলা-উপজেলায় দল পুর্নগঠনের ঘোষনা দেয় দলটি। এতেও নেতাকর্মীদের উজ্জিবিত করতে না পেরে , কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে টানার উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় কমিটি পুর্নগঠনের ঘোষনা দিয়ে নমিনেশন বিক্রির চেষ্টা করে। সরকারের পক্ষ হতে কল্পিত বাধার রনহুংকারে মাঠ গরম রাখার চেষ্টাও বিফলে যাওয়ার পর-- শেষ খবর পাওয়া পয্যন্ত কোন দলীয় নেতা ফরম কিনেছেন শুনা যায়নি। অবস্থা দলের অভ্যন্তরেই বেগতিক দেখে-- দলের নেতাদের শান্ত করার উদ্দেশ্যে,চেয়ারপার্সনের সংস্পর্শে নিতে নতুন ঘোষনা দিতে বাধ্য হলেন। "তারেক জিয়ার সহসভাপতির ক্ষমতা নির্দিষ্ট চকে বেঁধে দেয়ার ঘোষনা প্রদান করে দলটি।"এতেই বুঝা যায় সামরিক চাউনিতে জম্ম নেয়া দলটির আদর্শতো নেয়ই--গঠনতন্ত্রও নেয়ই বা কখনও ছিলনা। এইরুপ একটি দল কিভাবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে টিকে ছিল, বাংলাদেশ শাষন করেছে--উহাই আগামী প্রজম্মের নিকট বিরাট প্রশ্নবোধক হয়ে থাকবে। ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ ♥জয় বাংলা ♥♥জয় বঙ্গবন্ধু♥ জয়তু জাতির জনকের কন্যা ♥দেশরত্ম শেখ হাসিনা♥

  মুক্তিযুদ্ধ মানেনা,স্বাধীনতা মানেনা,জাতির পিতা মানেনা,বাঙ্গালী জাতীয়তা কি বুঝেনা,২৩বছরের আন্দোলন সংগ্রাম কার বিরুদ্ধে কে করেছিল,কেন করেছিল তাও জানেনা-অথছ কয়েক দফা বাংলাদেশ শাষন করেছে।ইহাও কি সম্ভব --!!

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা