হাজার বছরের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুই বাঙ্গালী জাতির স্বতন্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন----
(রুহুল আমিন মজুমদার)
ইরান থেকে ভাগ্য অন্বেষণে বাংলায় আসা নবাব আলীবর্দী খাঁর কোনো ছেলে ছিল না। তার ছিল তিন কন্যা। আলীবর্দী খাঁ তার তিন কন্যাকে বিয়ে দেন তার বড় ভাই মির্জা হাজী আহমেদের তিন পুত্রের সঙ্গে। আলীবর্দী খাঁ যখন পাটনার শাসনভার লাভ করেন, তখন তার তৃতীয় কন্যা আমেনা বেগমের গর্ভে ১৭২৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর রাজমহলে সিরাজউদ্দৌলার জন্ম হয়। এ কারণে সিরাজের জন্মকে সৌভাগ্যের লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করে নবজাতক সিরাজউদ্দৌলাকে আলীবর্দী খাঁ পোষ্যপুত্র হিসেবে গ্রহণ করেন। পরবর্তী সময়ে সিরাজকে যখন তিনি বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার উত্তরাধিকারী ঘোষণা করেন, তখন সিরাজের বয়স ছিল মাত্র সতেরো বছর। আলীবর্দী খাঁ মারা যাওয়ার পর ১৭৫৬ সালের ১০ এপ্রিল সিরাজউদ্দৌলা বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার সিংহাসনে আরোহণ করেন।
ইংরেজগন ভারতীয় উপমহাদেশে আসেন ব্যাবসার উদ্দেশ্যে। ফরাসিরাও লিপ্ত ছিলেন অত্র উপমহাদেশে ব্যবসায়।ফরাসি এবং ইংরেজদের ব্যাবসার সুযোগ নিয়ে দ্বন্ধ থেকে মুলত: নবাব সিরাজদৌল্লাহ কে উৎখাত পরিকল্পনা করেন ষড়যন্ত্রকারিগন। নবাবের সেনাবাহিনীতে যারা ছিলেন তারা ভারতীয় উপমহাদেশের যুবক, ইংরেজ সেনাবাহিনীতে যারা ছিলেন তাঁরাও ভারতীয় উপমহাদেশের যুবক।
এক্ষনে দেখা যায়--নবাব পরিবার ভারতীয় উপমহাদেশের জন্যে ভিন দেশী, ইংরেজও নি:সন্দেহে ভিন দেশী।এক ভিনদেশী শষক আর এক ভিনদেশী শাষককে বিতাড়িত করে ভারতীয় উপমহাদেশের কিয়দংশ শাষন করেছে। পরবর্তীতে ফরাসি, মারাঠি, ভারতীয়, আফগানীদের বিতাড়ন করে সম্পুর্ণ ভারতবর্ষ গ্রাস করেছে।
আমার প্রশ্ন --নবাব সিরাদৌল্লাহকে শেষ স্বাধীন নবাব বলা হবে কেন? সিরাজদৌল্লাহ যেহেতু বিদেশী শাষক ছিলেন সেহেতু তাঁর আগে হাজার বছরের ইতিহাসে ১৯৪৭ ইং সালের ১৫ই আগষ্ট পয্যন্ত কখনই ভারতীয়রা নিজেদের শাষন করার ক্ষমতা পায়নি এবং ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ ইং সালের আগে কখনই বাঙ্গালী নিজেদের শাষন করার ক্ষমতা পায়নি।
বিদেশী শাষকগন জাতিভেদে শাষনকায্যের সুবিদার্থে সংখ্যাগরিষ্ট জাতির আবাস নিরুপনের মাধ্যমে ভুখন্ড চিহ্নিত করে ভাগাভাগির ফলে জাতিগত ভুখন্ডের উৎপত্তি হয়েছে। তাঁরা বিভিন্ন ভুখন্ডে সুবেদার অথবা শাষনকর্তা নিয়োগের মাধ্যমে শাষন কায্য নির্বিগ্ন রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন।
উল্লেখিত মহাসত্যটি যদি সত্যি হয়--জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে জাতির জনক এবং বাংলাদেশের স্থপতি অমান্যকারিদের দেশদ্রোহিতার অভিযোগে নাগরিকত্ব বাতিল করা হবেনা কেন?
সুহৃদয় বন্ধুরা আমার দুটি প্রশ্নের উত্তর দিলে কৃতার্থ হব।
"জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু"
ruhulaminmujumder27@gmail.com
(রুহুল আমিন মজুমদার)
ইরান থেকে ভাগ্য অন্বেষণে বাংলায় আসা নবাব আলীবর্দী খাঁর কোনো ছেলে ছিল না। তার ছিল তিন কন্যা। আলীবর্দী খাঁ তার তিন কন্যাকে বিয়ে দেন তার বড় ভাই মির্জা হাজী আহমেদের তিন পুত্রের সঙ্গে। আলীবর্দী খাঁ যখন পাটনার শাসনভার লাভ করেন, তখন তার তৃতীয় কন্যা আমেনা বেগমের গর্ভে ১৭২৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর রাজমহলে সিরাজউদ্দৌলার জন্ম হয়। এ কারণে সিরাজের জন্মকে সৌভাগ্যের লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করে নবজাতক সিরাজউদ্দৌলাকে আলীবর্দী খাঁ পোষ্যপুত্র হিসেবে গ্রহণ করেন। পরবর্তী সময়ে সিরাজকে যখন তিনি বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার উত্তরাধিকারী ঘোষণা করেন, তখন সিরাজের বয়স ছিল মাত্র সতেরো বছর। আলীবর্দী খাঁ মারা যাওয়ার পর ১৭৫৬ সালের ১০ এপ্রিল সিরাজউদ্দৌলা বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার সিংহাসনে আরোহণ করেন।
ইংরেজগন ভারতীয় উপমহাদেশে আসেন ব্যাবসার উদ্দেশ্যে। ফরাসিরাও লিপ্ত ছিলেন অত্র উপমহাদেশে ব্যবসায়।ফরাসি এবং ইংরেজদের ব্যাবসার সুযোগ নিয়ে দ্বন্ধ থেকে মুলত: নবাব সিরাজদৌল্লাহ কে উৎখাত পরিকল্পনা করেন ষড়যন্ত্রকারিগন। নবাবের সেনাবাহিনীতে যারা ছিলেন তারা ভারতীয় উপমহাদেশের যুবক, ইংরেজ সেনাবাহিনীতে যারা ছিলেন তাঁরাও ভারতীয় উপমহাদেশের যুবক।
এক্ষনে দেখা যায়--নবাব পরিবার ভারতীয় উপমহাদেশের জন্যে ভিন দেশী, ইংরেজও নি:সন্দেহে ভিন দেশী।এক ভিনদেশী শষক আর এক ভিনদেশী শাষককে বিতাড়িত করে ভারতীয় উপমহাদেশের কিয়দংশ শাষন করেছে। পরবর্তীতে ফরাসি, মারাঠি, ভারতীয়, আফগানীদের বিতাড়ন করে সম্পুর্ণ ভারতবর্ষ গ্রাস করেছে।
আমার প্রশ্ন --নবাব সিরাদৌল্লাহকে শেষ স্বাধীন নবাব বলা হবে কেন? সিরাজদৌল্লাহ যেহেতু বিদেশী শাষক ছিলেন সেহেতু তাঁর আগে হাজার বছরের ইতিহাসে ১৯৪৭ ইং সালের ১৫ই আগষ্ট পয্যন্ত কখনই ভারতীয়রা নিজেদের শাষন করার ক্ষমতা পায়নি এবং ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ ইং সালের আগে কখনই বাঙ্গালী নিজেদের শাষন করার ক্ষমতা পায়নি।
বিদেশী শাষকগন জাতিভেদে শাষনকায্যের সুবিদার্থে সংখ্যাগরিষ্ট জাতির আবাস নিরুপনের মাধ্যমে ভুখন্ড চিহ্নিত করে ভাগাভাগির ফলে জাতিগত ভুখন্ডের উৎপত্তি হয়েছে। তাঁরা বিভিন্ন ভুখন্ডে সুবেদার অথবা শাষনকর্তা নিয়োগের মাধ্যমে শাষন কায্য নির্বিগ্ন রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন।
উল্লেখিত মহাসত্যটি যদি সত্যি হয়--জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে জাতির জনক এবং বাংলাদেশের স্থপতি অমান্যকারিদের দেশদ্রোহিতার অভিযোগে নাগরিকত্ব বাতিল করা হবেনা কেন?
সুহৃদয় বন্ধুরা আমার দুটি প্রশ্নের উত্তর দিলে কৃতার্থ হব।
"জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু"
ruhulaminmujumder27@gmail.com
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন