নারী স্বাধীনতায় দৃশ্যমান অর্জনের ক্ষেত্রে নারী সংগঠন গুলীর কোন কৃতিত্ব চোখে পড়ে না।
  (রুহুল আমিন মজুমদার)

  আজকের লেখার প্রারম্ভিকতা বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতার কয়টি চরন উল্লেখ করে শুরু করতে চাই।কবির জীবিতবস্থায় বঙ্গের নারীদের বঞ্চনা এবং বর্তমান আধুনিক সভ্যসমাজের অন্তভুক্ত বঙ্গ সমাজের নারীদের বঞ্চনার মধ্যে গুনগত, ,প্রথাগত, আচরগত পার্থক্য অনুধাবনে পাঠকদের কিছুটা হলেও সহায়ক হবে।

 দেবতাগো জিজ্ঞাসি দেড়শত কোটি সন্তান এই বিশ্বের অধিবাসি,
কয়জন পিতামাতা ইহাদের হয়ে নিস্কাম ব্রতি?
 পুত্রকন্যা কামনা করিল কয়জন সৎ-সতী,
কয়জন করিল তপস্যা ভাইরে-সন্তান লাভ তরে?
কার পাঁপে কুটি দুধের বাচ্ছা আতুড়ে জম্মে মরে?
স্রেফ পশু ক্ষুদা নিয়ে হেতা মিলে নরনারি যত,
 সে কামনার সন্তান মোরা তবুও গর্ব কত।
শুন ধর্মের ছাঁই জারজ কামজ সন্তানের মধ্যে কোন প্রভেদ নাই।
অসতি মাতার সন্তান যদি জারজ সন্তান হয়,
অসৎ পিতার সন্তানও নিশ্চয়ই জারজ সন্তান হয়।
 (কাজী নজরুল ইসলাম)

 কবিতায় হয়ত বা কিছু ভুল থাকতে পারে, অনেক দিন আগের পড়া-স্মৃতি থেকে নেয়া। তবে প্রতিপাদ্য বিষয় সম্পুর্ণ সঠিক রয়েছে। বিশ্বব্যাপি দেড়শ কোটি মানব সন্তানের বসবাসের সময়কার কবিতায় কবির তখনকার সমাজ ভাবনা, নারীদের প্রতি পুরুষদের অবহেলা, নারীদের উপর পুরুষদের আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমে অবলা, অসহায়, নির্ভরশীল করে রাখার  বিরুদ্ধে কবি তাঁর স্বভাবজাত ক্ষোভের বহি:প্রকাশ ঘটিয়েছেন।তুলনামূলক সেই যুগের স্বল্প সংখ্যক মানব মানবী-- বিশাল বিশ্বে বসবাস সত্বেও, গৃহকোনে আবদ্ধ নারীদের উপর বৈশম্যমূলক আচরন কবির দৃষ্টি এড়াতে পারেনি। তিনি তাঁর কবিতায় সুন্দর ভাবে তাঁর সচেতন মনোভাব তুলে ধরেছেন সেই যুগেও।

    অবরুদ্ধ যুগের  অন্দর মহলে বসবাস করা সত্বেও বেগম রোকেয়া নারী জাগরনে অসামান্য অবদান রেখে নারী সমাজের মুক্তির  অগ্রদুত হিসেবে নীজকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিলেন।নারীদের পক্ষে তাঁদের অত্যাচার, অনাচার প্রতিরোধের লক্ষে তাঁদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের পথে অন্তরায় দূর করার নিমিত্তে তাঁর লেখনি অত্র ভারতীয় উপমহাদেশে বিশেষ করে বাঙ্গালী নারী সমাজের মননে,চিন্তায়, চেতনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তনের ধারা সৃষ্টি করতে পেরেছিল। মহিয়ষী নারী বেগম রোকেয়ার নির্দেশীত পথে নিয়ন্তর সংগ্রাম অব্যাহত  থাকা সত্বেও কাঙ্ক্ষিত মায্যদা বা অগ্রগতি  আজও  লাভ করতে পারেনি নারী সমাজ?

      এক্ষেত্রে পুরুষদের দাবিয়ে রাখার মানষিকতা অন্যদিকে  নারীদের মুক্তির আক্ষাংকা--দুইয়ের মাঝে নারীদের কাঙ্ক্ষিত মায্যদা লাভে প্রকৃতিগত এবং তাঁদের নীজেদের নেতিবাচক কিছু দৃষ্টিভঙ্গিও দায়ী। শিশুবস্থায় যেমন নারীশিশু চরিত্রে সাজসজ্জার প্রতি প্রকৃতিগত আগ্রহ লক্ষনীয় ভাবে পরিলক্ষিত হয় তেমনি বয়:সন্ধিকাল পরবর্তি প্রত্যেক নারী  নীজকে লোভনীয়, আকর্ষনীয় ভাবে তোলে ধরার প্রয়াসও  সুস্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হয়। একশ্রেনীর নারী তো রয়েছেই নিজেদের প্রকৃতি প্রদত্ত সৌন্দয্যকে পণ্যে পরিণত করে বিলাসী জীবনযাপনের অদম্য আক্ষাংকা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায়। আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত, স্বাবলম্বি নারীও অধিকাংশ ক্ষেত্রে সৌন্দয্য প্রদর্শনের নিমিত্তে সুপ্তবাসনা  প্রকাশে পিছিয়ে থাকেনা। পুরুষদের নজরে আসার প্রানান্তকর এই চেষ্টাও অনেক ক্ষেত্রে নারীদেরকে যথার্থ মায্যদা পাওয়ায় বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। নারী এবং পূরুষ একে অপরের পরিপূরক ভাবনাটি তাঁদের মধ্যে তীরোহিত হয়ে পুরুষের বিলাসি পণ্যে রুপান্তরের ভাবনাটি তখন তাঁদের অনেকের মননে প্রধান্য পেতে থাকে।

      বর্তমান জনবহুল বিশ্বের আধুনিক সভ্য সমাজ ব্যবস্থায় বৃহদাংশ নারী ঘর থেকে বেরিয়ে পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে নিয়ন্তর সংগ্রাম অব্যাহত রাখা সত্বেও তাঁদের উপর  বলদর্পি পরুষতন্ত্রের আধিপত্যের মাত্রা  আদৌ কমাতে পারেনি। সভ্যতার জোয়ারে সংখ্যাতত্বের হিসেবে আপাত: দৃষ্টে যদিও মনে হয় অনেকটাই কমেছে কিন্তু শিক্ষা, বিজ্ঞান, সমাজ সচেতনতা, বহি:বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ, অর্থনৈতিক উন্নতি, পারিবারিক জীবন যাপন, অর্থনৈতিক স্বাবলম্ভিতা, নীজ নীজ ক্ষেত্রে নারীদের সফলতার ধারাবাহিক উন্নতি বিবেচনায় দেখা যায়--" পূরুষের ধ্যান ধারনায় নারীর মায্যদা প্রাগ ঐতিহাসিক যুগের সেই তিমিরেই রয়ে গেছে।"

     প্রায় প্রত্যেক নারী স্বভাবজাত ভাবে চিন্তা করে, পুরুষই তাঁদের জীবন জীবিকা এবং চলার পথে একমাত্র অবলম্বন। কথাটার বিপরীত চিন্তা কি অ-গ্রহন যোগ্য? নারীর ক্ষেত্রে পুরুষের যেমন প্রয়োজনীয়তা অবশ্যাম্ভাবী পুরুষের ক্ষেত্রে নারীও তদ্রুপ। নারী এবং পূরুষের অর্থনৈতিক বৈসম্য দূর হলে অনেকেই মনে করেন--"নারী নিয্যাতন, নারীদের প্রতি সহিংসতা অনেকাংশে কমে আসবে।" কথাটা অ-গ্রহনযোগ্য নয় তবে সামগ্রিক মুক্তি আসবে বলা যায়না। আমি মনে করি--'নারীরা যতদিন  পুরুষনির্ভর মানষিকতা পরিহার করতে পারবেনা, মানব কূলের অন্যতম অপরিহায্য অংশ ভাবতে পারবেনা  ততদিন সার্বিক নারীমুক্তি আশা করা যায়না'।

    পুরুষতান্ত্রিক সমাজ--নারী তাঁর স্বাভাবিক জীবনাচার, অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা, সম্পদ অর্জন, রাজনীতি, সামাজিকতা ইত্যাদি ক্ষেত্রে অগ্রগামীতাকে কখনও মেনে নিতে পারেনি, ভবিষ্যতেও মেনে নেয়ার কোন লক্ষন নেই।যে কয়জন নারী তাঁদের সার্বিক মুক্তির সংগ্রামে লিপ্ত হয়েছে, অধিকার দাবি করেছে, অধিকার প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে বিদ্রোহ করেছে---"সেই কয়জন নারী পুরুষতান্ত্রিক সমাজের ধারাবাহিক সামাজিক বঞ্চনার শিকারে পরিণত হয়ে নষ্টা, ভ্রষ্টা ইত্যাদি অসম্মান সূচক অপবাদের তীরে বিদ্ধ হয়ে মানষিক পীড়ায় জর্জরীত হয়েছে।" বিপরীতে নারীরা পুরুষের চক্রান্তের সেই নষ্টা, ভ্রষ্টার পক্ষ না নিয়ে পুরুষদের পক্ষে সুর মিলিয়ে তাঁর বঞ্চনার গতি দ্বিগুন বাড়িয়ে দিতে দেখা গেছে। নারীরা কখনই অনিষ্টকারি পুরুষের বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি।অনিষ্টকারি সেই বলদর্পি পূরুষ ঠিকই সমাজে মাথা উঁচু করে দ্বিগুনশক্তির সমাহার ঘটিয়ে প্রত্যহ নারী নিয়ন্ত্রনের নিত্যনতুন সামাজিক রীতিনীতি প্রনয়ন ও প্রয়োগে সচেষ্ট রয়েছন।

        নারী সুরক্ষায় এযাবত যতটুকুই অগ্রগতি সাধিত হয়েছে তাঁর কৃতিত্ব উচ্চপয্যায়ের নেতৃত্বে দীর্ঘবছর নারীনেতৃত্বের শক্তিশালী অবস্থানের কারনে----সুদীর্ঘকাল নারী মুক্তি আন্দোলনের কারনে নয়। নারীরা এযাবৎ  এমন কোন আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তুলতে পারেনি--"যার ফলশ্রুতিতে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ তাঁদের ন্যায্য দাবী মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে"। ফলে উপর থেকে চাপিয়ে দেয়া নারীদের প্রতি সরকারের বদন্যতা পুরুষের মানষিক পরিবর্তন, মুল্যবোধ, চিন্তাচেতনায় কোন প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। নারী-পুরুষ একে অপরের পরিপূরক ধারনায় কোন প্রকার উন্নতি সাধিত হয়নি।

       আবহমানকাল থেকে গড়ে উঠা আমাদের বর্তমান সমাজব্যবস্থায়--'যে পুরুষটি নারী স্বাধীনতার জন্যে আন্দোলনরত:, মিছিল মিটিং, সভা সমাবেশে সামনের কাতারে থেকে নেতৃত্ব প্রদান করে, তাঁর পারিবারিক ক্ষেত্রেও নারীরা সমমায্যদায় অনেকটা পিছিয়ে। সেখানেও নারী তাঁর ইচ্ছানুযায়ী কর্ম সম্পাদন করতে পারেনা, ইচ্ছা পূরণে সর্বদা পূরুষ সদস্যদের দ্বারা বাঁধাগ্রস্ত হয়। এইরুপ বাঁধা কিন্তু ঐ পরিবারের পুরুষ ব্যাক্তিটির ইচ্ছায় নয়---আবহমান কালের পুরুষ নিয়ন্ত্রিত তাঁদের প্রয়োজনে এবং চাহিদা অনুযায়ী গড়ে উঠা এবং স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠিত সামাজিক রীতিনীতির কারনে।

      যতই আইন প্রনয়ন করা হোক-কায্যক্ষেত্রে সেই আইন নারী সুরক্ষায় কোন কাজে আসেনা। নারীনিয্যাতন বন্ধ, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, সর্বক্ষেত্রে সমঅধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রনিত আইন প্রায়োগিক ক্ষেত্রে পুরুষদের চরিত্রগত পৌরষত্বে বাঁধাপ্রাপ্ত হয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে। স্বাধীনতার পর নারীসমাজ অবাধ সুযোগ পাওয়া সত্বেও যুগের পর যুগ পুরুষ শাষনে নিগৃহিত, নিস্পেষিত, অবহেলীত, সর্বক্ষেত্রে বঞ্চিত এবং পূরুষদের ভোগের সামগ্রি মানষিকতার কারনে সর্বক্ষেত্রে নারীর অবস্থান, অস্তিত্ব শুন্যের ঘর পার হতে পারে না।

বিধাতার কৃপায় মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে বিশেষ করে উচ্চ পয্যায়ে নারী নেতৃত্বের বিগত দুই যুগেরও অধিক সময় শুন্য থেকে গানিতিক হারে উন্নতি ও অগ্রগতি অব্যাহত রয়েছে। ধর্মান্ধতার কাল আবরন উপেক্ষা করে চিরায়ত সামাজিক কাঠামোকে তোয়াক্কা না করে সরকার ধারাবাহিক চেষ্টার বিনিময়ে কতিপয় আইন প্রনয়ন, অনেকক্ষেত্রে একতরফা আইন সৃজন করে নারীদের উন্নতি, সার্বিক অগ্রগতির সূচনা করেছেন। নারীকুলের সার্বিক অংশগ্রহনের অপ্রতুলতা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ অর্জন সুদুর পরাহতই থেকে যাচ্ছে। বলতে গেলে ভাগ্য গুনে পাওয়া 'নারী নেতৃত্ব' আন্তরিক চেষ্টা অব্যাহত রাখা সত্বেও  কায্যকরন ক্ষেত্র পয্যন্ত নারীদের পৌঁছাতে ব্যার্থ্যই হচ্ছে।

   অদ্যাবদি অব্যাহত চেষ্টার পরেও প্রশাসনের উচ্চস্তরে নারী প্রশাসক হাতে গুনে বলে দেয়া সম্ভব। সরকারের নীতি নির্ধারনী পয্যায় যারা উঠে আসতে পেরেছেন তাঁদের সংখ্যা এত কম যে--'সারা দেশের মানুষ তাদের নাম জানে'।স্থানীয় সরকার, সংসদ, মন্ত্রী সভা, চাকুরী সর্বত্র সংরক্ষিত এবং কোটা নির্ধারন করেও তাঁদের কাঙ্ক্ষিত অগ্রসরতায় গতি আনতে পারছেনা। উচ্চশিক্ষা, আধুনিকতা, বিজ্ঞানের অগ্রসরতায় নারীদের চিন্তা, চেতনা, মানষিকতায় যতটুকু পরিবর্তনের প্রয়োজন ছিল ততটুকু পরিবর্তন আসেনি। শুধুমাত্র প্রথাগত অভ্যস্ততা পরিহারে নারীদের  অনিহা এবং প্রয়োজনীয় মহুর্তে সাহষিকতার অভাবে।

         তৃনমূল ইউনিয়ন পরিষদে 'সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নির্বাচন--"নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে সামাজিক নেতৃত্বে নারীর অবস্থান সুনিশ্চিত করার লক্ষে নেয়া সরকারের সাহষি পদক্ষেপ।" এখানেও বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে  বলদর্পি অধিকতর সচেতন পিতৃতান্ত্রিক পরিবার প্রধান পূরুষ। অধিকতর শিক্ষিত, মার্জিত, রুচিসম্পন্ন, তুলনামূলক সচ্ছল পরিবারের নারীগন--"কৌশলি নারী নেতৃত্ব বিদ্বেসী পরিবার প্রধান পুরুষ সদস্যেদের বাঁধার মুখে নির্বাচনে অংশগ্রহন করতে পারছেন না। প্রথাগত অভ্যস্ততাহেতু 'মহিলারাও পূরুষ নির্ভরতার কারনে পিতৃতান্ত্রিক বাঁধা উপেক্ষা করার সাহষ দেখাতে পারছেনা। তদস্থলে নিরিহ গরীব, অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত, স্বামী পরিত্যাক্তা, বিধবা মহিলাগন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। তাঁরা কর্মস্থলে সংখাধিক্য পুরুষ সদস্য নিয়ন্ত্রিত ইউনিয়ন পরিষদ এবং  বাসস্থল নীজ সমাজে অধিকতর প্রভাবশালী পিতৃতান্ত্রিক পরিবারগুলির উপর কোনরুপ প্রভাব সৃষ্টি করতে পারছেনা।

     তৃনমূলে নারীদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে সামাজিক নেতৃত্বে নারীদের অবস্থান নিশ্চিত" করার প্রয়াস "শিক্ষিত পিতৃতান্ত্রিক পরিবারের সদস্যদের "পৌরষত্বের অহমিকায় বড় ধাক্কা"। নারীমুক্তি, নারী স্বাধীনতা এবং নারী জাগরনের ক্ষেত্রে "নীরব  সামাজিক বিপ্লব"। নারীদের সচেতনতার অভাবে পূরুষগন তাঁদেরকে কৌশলে নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে দূরে সরিয়ে কাংক্ষিত স্বাধীনতা, সার্বিক মুক্তির বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সুফল ভোগে বাধাগ্রস্ত করে চলেছে।--"নারীর ক্ষমতায়ন এবং সামাজিক নেতৃত্বে নারীর অবস্থান নিশ্চিতে "নীরব বিপ্লবের" বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহন করেছে নারীর স্ব-গৃহের পিতৃতান্ত্রিক পরিবারের বলদর্পি পূরুষ।"

     শহরকেন্দ্রিক নারী আন্দোলন বা নারী জাগরন গ্রামে বসবাসরত: : কোটি নারীর মনে রেখাপাত করতে পারেনি।নারী আন্দোলনের হাওয়া গ্রামে পৌছাতে ব্যার্থতা নারী জাগরনে কাঙ্ক্ষিত উদ্দেশ্য বাস্তবের মুখ দেখেনি। নারীদের শহরকেন্দ্রিক আন্দোলনে সর্বশ্রেনীর নারীর অংশগ্রহনের শূন্যতা সার্বিক আন্দোলনের আবহ সৃষ্টিতে সক্ষম না হওয়াও অন্যতম কারন বটে।নারীর অগ্রগামীতায় যতটুকুই অগ্রসরতা অর্জিত হয়েছে তাও পূরুষের বদন্যতার ফসল। স্বাধীনতার পর দীর্ঘ বছর উচ্চস্তরে রাষ্ট্রীয় নেতৃত্বে নারীর লাগাতার অবস্থানের বদন্যতার ফসল বর্তমানের যৎকিঞ্চিত প্রাপ্তি---কোন অবস্থায় নারী সমাজের আন্দোলনের ফসল নয়।

      বর্তমানের যৎকিঞ্চিত অর্জনকে সংরক্ষন করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পুর্বশর্ত নারী সমাজের ঐক্যবদ্ধ সাংগঠনিক ভিত্তিতে আন্দোলন ব্যাতিরেকে সম্ভব নয়। দাবি আদায়, সংরক্ষন, বাস্তবায়ন, নারীমুক্তি, সহিংসতারোধ যাহাই বলিনা কেন তৃনমূল পয্যন্ত আন্দোলনের বিস্তৃতির প্রয়োজনে সাংগঠনিক শক্তিকে ইউনিয়ন, গ্রাম পয্যন্ত বিস্তৃত করার প্রয়োজনীয়তার কোন বিকল্প নেই। শুধুমাত্র বিচ্ছিন্ন নারীর প্রতি সহিংসতা, ধর্ষন, হত্যা, গুমের বিরুদ্ধে শহরকেন্দ্রিক সাময়িক প্রতিবাদী ভুমিকা সামগ্রিক নারী সচেতনতা বা নারী আন্দোলনে কোন ভুমিকা বা প্রভাব রাখা সম্ভব নয়।
ruhulaminmujumder27@gmail.com

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা