মার্কিনীদের আরধ্য বাংলাদেশ--তাঁবেদার, অ-শুভশক্তির সম্মিলীত লুটপাটের বাংলাদেশ।
(রুহুল আমিন মজুমদার)

     গতকালই লিখেছিলাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের--বাংলাদেশের রাজনীতি সম্পর্কে তাঁর বিচিত্র উপলব্দি নিয়ে। ৩৫ বছরের কূটনৈতিক জীবনে এমন রাজনৈতিক বেসামাল বিচিত্রদেশ দেখেননি তিনি। অদ্য একই ব্যাক্তির উপর পুনরায় লিখতে হবে স্বপ্নেও কল্পনা করিনি।অদ্য তিনি আর একধাপ এগিয়ে বলছেন---"বাংলাদেশের বাক ও ব্যাক্তি স্বাধীনতা, গনতন্ত্র ধীরে ধীরে সংকুচিত হয়ে আসছে"। আসলে কেমন বাংলাদেশ মার্কিনীদের উপলব্দিতে ছিল? আসুন দেখে আসি অতীতের কিছু স্মৃতি----

 আপনার উপলব্দিতে ছিল যাহা জনাবা বার্ণিয়াকট।

   -গত পাঁছ/সাত বছর আগেও বাংলাদেশের মানুষ রেডিও, টিভি, এবং সংবাদ পত্রের উপর নির্ভর ছিল-খবরাখবর জানার জন্যে। তখনও সর্বসাকুল্যে দশ থেকে পনর লক্ষ মানুষ রাজনৈতিক হালচাল সম্পর্কে খবরাখবর রাখতেন। রাজনৈতিক দলের সর্বশেষ কর্মসূচি এবং দলের মনোভাব জানার জন্যে জেলা /উপজেলা শহরে কেন্দ্রীয় নেতাদের জনসভার সময় পয্যন্ত অপেক্ষা করার প্রয়োজন হ'ত। অথবা দলের কায্যকরি কমিটির সভা অনুষ্ঠান পয্যন্ত অপেক্ষার প্রহর গুনা ছাড়া উপায় ছিলনা।

      বাংলাদেশের এমন বহু অঞ্চল ছিল পত্রিকা পৌঁছাতেই এক দুইদিন সময় পেরিয়ে যেত। তাও সর্বসাধারনে পত্রিকা বা বই কিনে পড়ার অভ্যেস কখনই বাংলাদেশের মানুষের মননে  গড়ে উঠেনি। স্থানীয় বাজার, হাট, ক্লাব, বিদ্যালয়, শিক্ষক, রাজনীতিবীদ, রাজনৈতিক সচেতন কিছু মানুষ পত্রিকা রাখতেন, সেখান থেকেই পত্রিকা পড়ার তৃঞ্চা মিটাতে হ'ত গ্রামের বেকার যুবক, স্বল্প লেখা পড়া জানা মানুষের মধ্যে একটা অংশের। যেহেতু অধিকাংশ গ্রামে এবং কি কোন কোন ইউনিয়ন পয্যায়ও বিদ্যুত সংযোগ ছিলনা-- টিভিও  সর্বসাধারনের দেখার সুযোগ ছিলনা। যাহাই ছিল তাতেও অহরাত্র টিভি প্রোগ্রাম চালু ছিলনা।  "টকশো ধরনের অ-বাস্তব কল্পকাহিনী নিয়ে বিশেষজ্ঞ মতামত" প্রদান করে জনগনকে বিভ্রান্ত করতে পারে--"এমন কোন অনুষ্ঠান প্রচারের রীতি তখন পয্যন্ত টিভি প্রোগ্রামে গড়ে উঠেনি"।

বর্তমানের বিচিত্রতা জনাবা বার্ণিয়াকট।

       অনেকের তিরস্কৃত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানের সুযোগে   বিগত পাছ/সাত বছরের মধ্যে অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে।বিদ্যুত উৎপাদন বেড়েছে গানিতিক হারে- বিদ্যুতায়নের আওতায় এসে গেছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল। সাইবার ক্যাবলের সুবিধা নিয়ে ইন্টারনেটের ব্যবহার ছড়িয়ে পড়েছে অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত, শিক্ষিত, নারী পূরুষ, আবাল, বৃদ্ধবণিতা সর্বত্র। শুনে আশ্চায্য হওয়ার মতই তথ্য--"বাংলাদেশের ১১কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যাবহারের সুযোগ গ্রহনরত: রয়েছে।"
    ১১কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারির মধ্যে আটকোটি নরনারী পেইজবুক, গুগুল, টুইটার সহ অন্যান্ন সামাজিক মাধ্যমের সাথে সরাসরি সংযুক্ত।এই সমস্ত সামাজিক মাধ্যমে হাজার হাজার অন-লাইন পত্রিকা, পোর্টাল, ওয়েভ পেইজ--তাঁদের স্ব-স্ব বিশ্বাস, আদর্শ প্রচারের উদ্দেশ্যে চালু রেখেছে।সেকেন্ডের মধ্যে বিশ্বের কোথায় কি ঘটছে--"তৎক্ষনাৎ লাইভ ফুটেজ, ভিডিউ ফুটেজ, বন্ধুদের ষ্টেটাস, পোষ্টের মাধ্যমে সরাসরি দেখা এবং জানার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
    এমন শতশত লাইভ ভিডিও পোর্টাল চমকপ্রদ শিরোনাম ব্যবহার করে পোর্টালে প্রবেশে আগ্রহী করে তোলে যাহা বাস্তবতায় সেই পোর্টাল বা লাইভ ভিডিওতেই বলা হয়নি ।এমন লাইভ পোর্টালের মধ্যে আমার এই মহুর্তে স্মরনে আসা অন্যতম "ক্রোম" লাইভ পোর্টাল একটি--"যে লাইভ চ্যানলটি মনে হয় জম্মেও ভুয়া।"
    এনটিভি, চ্যানেল আই ইত্যাদি তো রয়েছেই।কেন্দ্রীয় নেতাগন সপ্তাহ বা মাসে একবার নীজ এলাকার নির্বাচক মন্ডলী নিদেনপক্ষে নেতাকর্মীদের সাথে লাইভ এ সংযোগ রক্ষা করে চলেছেন। গ্রামের সদ্য তরুন লাইক দিয়ে রেখেছে তাঁর প্রিয় কেন্দ্রীয় একাধিক নেতা বা নেত্রীকে। নীজের অভিমত প্রকাশ করছে প্রীয় নেতার সৃজিত পেইজ, পোর্টাল, ইমেইল, ম্যাসেঞ্জারে। বরেন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সংযোগ বা সান্নিধ্য পাওয়ার সহজ সুযোগ ৫/৭ বছর আগে কেউ কল্পনাও করেনি।

     কোন নেতা কখন কি বলে, দলীয় কর্মসূচি কি, কার কি মনোভাব,  কার কি গতিবীধি, সরকারের কোন মন্ত্রনালয়ে কর্মকাণ্ড কি, নিজের এলাকায় কি প্রজেক্ট  আছে, এলাকার কোন বড় রাস্তাটি এই বছরই পাকা হবে, দেশের কোথায় কি এই মহুর্তে ঘটছে, সরকারের ভুমিকা কি, বিরুধী দলের করনীয় কি ইত্যাদি তৎক্ষনাৎ জানার সুযোগ প্রত্যেকের হাতের মুঠায়।

    "এমন সময়ে বার্ণিয়াকটের উক্তি বাক ও ব্যাক্তি স্বাধীনতা, গনতন্ত্র সংকোচিত হয়ে আসছে।"বিচিত্র রাজনীতি" তাঁর ৩৫ বছরের কূটনৈতিক জীবনে কখনই কোন দেশে দেখেননি।"আসলেই তাই, দেখেননি সত্য-এত দ্রুত ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে হাঁটা দেশ ভিক্ষা দেয়ার পয্যায় পৌঁছে যেতে পারে--!!!

আসলেই বিচিত্র বাংলাদেশ ম্যডাম বার্ণিয়াকট।

        মুলত: বার্ণিয়াকটের উক্তির সত্যতা কেবলই নিছক মন্তব্য বলে ধরে নেয়ার কোন কারন নেই।'৭২-৭৫' সালের বাংলাদেশ এবং তাঁর সরকারের যে সামর্থ্যটি ছিলনা ; সেই সামর্থ্যটি বর্তমান সরকারের নেই চিন্তা করাটাতেই তাঁর বিচিত্রতার অনুসন্ধান করা প্রয়োজন মনে করি। গুজব, ষড়যন্ত্র, আগাম রাজনৈতিক কৌশল ইত্যাদি নতুন দেশের নতুন সরকারের সামর্থ্যে থাকার কথাও ছিলনা।
      ৭২-৭৫ সালে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব ছিল গুটি কয়েক দেশের সঙ্গে, ফলে খাদ্যের চালান ফেরৎ নিয়ে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি সম্ভব হয়েছিল।বর্তমানে বন্ধুত্বের পরিধি বেড়ে  হাজার গুনে বৃদ্ধি পেয়েছে। তখন খাদ্যের জাহাজ ফেরৎ নিয়ে খাদ্য সংকট সৃষ্টি করতে পারলেও এখন বাংলাদেশের তৈরি পোষাকে শুল্ক আরোপ করে রপ্তানী ব্যবসায় ধ্বস নামানো সম্ভব হচ্ছেনা।
     বিগত সরকার তাঁদের তাঁবেদার ছিল বিদায় যা চেয়েছেন তাই পেয়েছেন--- বর্তমান সরকার তাঁদের চাওয়ার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করতেও কার্পন্য করছেনা। আগের সরকারের মন্ত্রীরা তাঁদের রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তাকে "ইয়েস স্যার ইউর একসিলেন্সি" সম্ভোধন করে সম্মান জানালেও বর্তমান সরকারের মন্ত্রীরা "চার আনার মন্ত্রী' বলে উপহাস করে।আগের সরকার গুলি সাহায্যের জন্যে ধনাঢ্য সাতজাতির বৈঠকে চেয়ারের পিছনে দাঁড়িয়ে মৌ'সাহেবি করে সুদৃষ্টি কামনা করলেও বর্তমান সরকারকে আগাম নিমন্ত্রন জানিয়ে, বিমানের টিকেট পাঠিয়ে, "পয্যবেক্ষন ও বাংলাদেশের সাফল্যের কাহিনী শুনা"র অনুরুধ জানাতে হয়। আগের সরকার গুলিকে ঋন দিয়ে ব্যবহার করা শেখানোর জন্যে সেই অফিসের ঝাড়ুদার, পিয়নকে উচ্চমুল্যে বেতন দিয়ে অফিসার বানিয়ে আনার প্রয়োজন হ'ত--বর্তমান সরকারের সময়ে ঋন দেয়ার জন্যে বাংলাদেশে এসে সরকারের উচ্চ পয্যায়ে নিয়মিত মৌ'সাহেবি করার প্রয়োজন  হয়।

আরো আছে ম্যাডাম বার্ণিয়াকট।

        শেখ কামাল ব্যাংক ডাকাতি করেছে গুজব ছড়িয়ে তখন গেলানো সম্ভব হলেও এখন সজিব ওয়াজেদ জয়ের একাউন্টে 'ত্রিশলক্ষ ডলার' জমা আছে গুজব ছড়িয়ে চেলেঞ্জের মুখে পিছু হটে লজ্জা পেতে হয়। বঙ্গবন্ধুর ছেলের বিয়ে 'সোনার মুকুট' পরিধান করে সম্পন্ন হয়েছে গুজব বিশ্বাস করানো গেলেও এখন পদ্মাসেতুর ঘুষ কেলেংকারীর গুজব আন্তজাতিক আদালতে মিথ্যা, ষড়যন্ত্র, গুজব প্রমানিত হলে গুজবের জম্মদাতা 'রাজপথে বের হওয়া সংকট হয়'।

 আপনার সরকারের তাঁবেদারির বদন্যতার নমুনা 'জানাবা বার্ণিয়াকট'।

  বাংলাদেশকে বহিবিশ্ব ঋন, ভিক্ষা, সাহায্য দেয়ার জন্যে উন্নত দেশ ও সাহায্য সংস্থাগুলীর কর্মচারীদের দিয়ে একটি কমিটি করে দিয়েছিলেন। প্যারিসভিত্তিক উক্ত সাহায্য, ভিক্ষা, ঋন বরাদ্ধের কমিটির নাম ছিল "প্যারিস কনসোটিয়াম।" আপনাদের ইশারায় তাঁরাই নির্ধারন করতেন বাংলাদেশের কি পরিমান ঋন, সাহায্য, লাগবে এবং কি পরিমান ভিক্ষা দিতে হবে। এতই অবহেলিত ছিল বাংলাদেশ--"উন্নত দেশের সরকার প্রধানদের সাথে এই সমস্ত ঋন, সাহায্য, ভিক্ষা খোঁজার সুযোগও আপনারা দিতেননা"। আপনাদের উন্নত দেশের রাজকর্মচারি নিয়োগ দিয়ে রেখেছিলেন বাংলাদেশকে ভিক্ষা দেয়ার জন্যে। বছরে একবার প্যারিসে উক্ত কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হ'ত। সেই বৈঠকে বাংলাদেশের ভাগ্য নির্ধারন করা হত। ধনাঢ্য সাহায্যদাতা দেশের কর্মচারি, আন্তজাতিক সাহায্য সংস্থাগুলীর নিম্নশ্রেনীর কর্মকর্তারাও সেখানে; বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে যাওয়া উচ্চ পয্যায়ের প্রতিনীধি দলকে সামান্য এদিক সেদিক ভুলের কারনে চোখ রাঙিয়ে শাসাতেন।
বলে রাখা ভাল--"শুধুমাত্র বাংলাদেশকে সাহায্য করার জন্যেই ঐ বৈঠক অনুষ্ঠিত হত প্রতি অর্থ বছর শেষে।"  "অন্যান্য দেশের সাহায্য, ঋন সরকারি পয্যায় এবং দাতা সংস্থাগুলি বনাম সরকার" আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে হলেও বাংলাদেশের সেই সুবিধা ছিলনা। বৈঠকে সকল সদস্যের উপস্থীতি নিশ্চিত করার জন্যে বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রীকে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হ'ত।

সে দিন কি আর আছে--মাননীয়া বার্ণিয়াকট ম্যাডাম---?

 বিগত আট বছরের মধ্যে প্যারিস কনসোটিয়াম সদস্য বৃন্দ  জীবিত আছে নাকি মৃত্যুবরন করেছে--তাঁর খবরও নেয়ার প্রয়োজন মনে করেনি বর্তমান সরকার। ২০০৯ ইং সালেই তাঁদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করেছে বর্তমান সরকার। কোন দেশের সাহায্য নেয়া দুরের থাকুক, সাহায্য দেয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ--"ইতিমধ্যে তা প্রমানও করেছে বাংলাদেশ।"
 আপনাদের সরকার প্রধান গঙ্গার পানি আনতে ভুলে গেলেও বর্তমানের মুক্তিযুদ্ধের সরকার প্রধান আন্তজাতিক আদালতে মামলা করে "সাগর" আনতে জানে। বিগতদিনে শতকরা নব্বই টাকা বিদেশী সাহায্য, ঋন, ভিক্ষা নিয়ে বাজেট প্রনয়ন করা হলেও বর্তমানে তাঁর উলটো নব্বই টাকাই নিজস্ব রাজস্ব আয়ের টাকায় বাংলাদেশের বাজেট প্রনীত হয়।বাকি শতকরা দশ টাকা ঋনের উপর নির্ভরশীল রয়েছে তবে "সাহায্য এবং ভিক্ষা" যাদুঘরে পাঠিয়ে দিয়েছে বর্তমান সরকার। তখন ব্যাংক রিজার্ভ প্রায়শ: শুন্য থাকলেও এখন এশিয়ার বৃহৎ দেশগুলীর চাইতেও বেশী টাকা প্রত্যহ রিজার্ভ জমা রাখতে জানে বাংলাদেশ।

বিচিত্র রাজনীতি উপলব্দির আরো কারন আছে জনাবা ম্যাডাম বার্ণিয়াকট।

আগের প্রধানমন্ত্রী নির্দিষ্ট হারে করদিয়ে কালটাকা সাদা করলেও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আগেও কোনদিন এইরুপ কল্পনা করেনি এখনও করেনা। আগের অশিক্ষিত যুবরাজ 'হাওয়া ভবন' বানিয়ে পার্সেন্ট সংগ্রহ করলেও বর্তমান আইটি বিশেষজ্ঞ সুশিক্ষিত যুবরাজ সরকারের 'আইটি উপদেস্টা' হয়েও সরকার থেকে বেতন, ভাতা, গাড়ীর জ্বালানী নেয়ার প্রয়োজন মনে করেনা। আগের প্রধানমন্ত্রী নামমূল্যে অথবা জোরপূর্বক রাষ্ট্রীয় সম্পদ দখল করে বসবাস করলেও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী পিতৃসম্পদ রাষ্ট্রকে দান করে দিয়ে সর্বস্বহারা হতে জানে। আগের প্রধান মন্ত্রী ছেড়া গেঞ্জী, ভাঙ্গা স্যুটকেস থেকে কোটি কোটি টাকার সম্পদ, কোকো জাহাজ, ডান্ডি ডাইং এর মালিক হলেও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জম্মেই জমিদারঘরে হওয়া সত্বেও অদ্যবদি ঢাকায় কোন বাড়ী বা কারখানার মালিক হতে পারেননি।

সবশেষ কারন কি বলি জনাবা বার্ণিয়াকট--?

আপনাদের তাঁবেদার সরকারের শাষনামলে বুকের তাজারক্ত ঢেলে দাবী আদায় করা নিয়মে পরিণত হয়েছিল। বর্তমানে তা আর দরকার হয়না, রাজপথে কেউ না থাকলেও সকলের পরামর্শে নির্বাচন কমিশন নিয়োগ হয়। বিগতদিনে বিরুধীদল সার্বক্ষনিক সক্রিয় থেকেও গনতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হয়নি ; বর্তমানে বিরুধীদলের সর্বত্র অনুপস্থীতি, নিস্তেজ, আন্দোলন বিমূখ প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সর্বাত্মক অসহযোগীতায়ও গনতন্ত্র সাবলিল থাকে আগামীতেও থাকবে।
   যথারীতি যথাসময়ে নির্বাচন হবে,জনগনের রায় নিয়ে সরকার গঠিত হবে;ষড়যন্ত্রের সরকার আর বাংলাদেশের ক্ষমতা দখল করতে পারবেনা। আপনাদের বিচিত্রতার কারন  সেই নির্বাচনে আপনাদের তাঁবেদার সরকার ক্ষমতায় আসবেনা--তাঁরা এখন জনগন থেকে বিচ্ছিন্ন। জনগন মনে করে ষড়যন্ত্র, নাশকতা, অস্থিরতা, পরনির্ভরশীল, স্বাধীনতা বিরোদী,অশুভশক্তির সম্মিলীত জোট বাংলাদেশের মঙ্গল চায়না।তাঁদের উদ্দেশ্য লুটেপুটে নীজের সম্পদ বৃদ্ধি করে আরাম আয়েশে দিনযাপন।
ক্ষমতায় আসবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল।সেই দলের নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার উৎযাপন করবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তি ইনশাল্লাহ। ততদিনে স্বীকৃত হবে বাংলাদেশ এখনথেকে আর নিম্নমধ্য বিত্ত নয় 'মধ্যম আয়ের দেশ।"
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আরাধ্য স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।

ইহাই কি নয় আপনার বিচিত্র উপলব্দি  জনাবা বার্ণিয়াকট--?
    "জয়বাংলা       জয়বঙ্গবন্ধু"
  ruhulaminmujumder27@gmail.com

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন