মার্কিনীদের আরধ্য বাংলাদেশ--তাঁবেদার, অ-শুভশক্তির সম্মিলীত লুটপাটের বাংলাদেশ।
(রুহুল আমিন মজুমদার)
গতকালই লিখেছিলাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের--বাংলাদেশের রাজনীতি সম্পর্কে তাঁর বিচিত্র উপলব্দি নিয়ে। ৩৫ বছরের কূটনৈতিক জীবনে এমন রাজনৈতিক বেসামাল বিচিত্রদেশ দেখেননি তিনি। অদ্য একই ব্যাক্তির উপর পুনরায় লিখতে হবে স্বপ্নেও কল্পনা করিনি।অদ্য তিনি আর একধাপ এগিয়ে বলছেন---"বাংলাদেশের বাক ও ব্যাক্তি স্বাধীনতা, গনতন্ত্র ধীরে ধীরে সংকুচিত হয়ে আসছে"। আসলে কেমন বাংলাদেশ মার্কিনীদের উপলব্দিতে ছিল? আসুন দেখে আসি অতীতের কিছু স্মৃতি----
আপনার উপলব্দিতে ছিল যাহা জনাবা বার্ণিয়াকট।
-গত পাঁছ/সাত বছর আগেও বাংলাদেশের মানুষ রেডিও, টিভি, এবং সংবাদ পত্রের উপর নির্ভর ছিল-খবরাখবর জানার জন্যে। তখনও সর্বসাকুল্যে দশ থেকে পনর লক্ষ মানুষ রাজনৈতিক হালচাল সম্পর্কে খবরাখবর রাখতেন। রাজনৈতিক দলের সর্বশেষ কর্মসূচি এবং দলের মনোভাব জানার জন্যে জেলা /উপজেলা শহরে কেন্দ্রীয় নেতাদের জনসভার সময় পয্যন্ত অপেক্ষা করার প্রয়োজন হ'ত। অথবা দলের কায্যকরি কমিটির সভা অনুষ্ঠান পয্যন্ত অপেক্ষার প্রহর গুনা ছাড়া উপায় ছিলনা।
বাংলাদেশের এমন বহু অঞ্চল ছিল পত্রিকা পৌঁছাতেই এক দুইদিন সময় পেরিয়ে যেত। তাও সর্বসাধারনে পত্রিকা বা বই কিনে পড়ার অভ্যেস কখনই বাংলাদেশের মানুষের মননে গড়ে উঠেনি। স্থানীয় বাজার, হাট, ক্লাব, বিদ্যালয়, শিক্ষক, রাজনীতিবীদ, রাজনৈতিক সচেতন কিছু মানুষ পত্রিকা রাখতেন, সেখান থেকেই পত্রিকা পড়ার তৃঞ্চা মিটাতে হ'ত গ্রামের বেকার যুবক, স্বল্প লেখা পড়া জানা মানুষের মধ্যে একটা অংশের। যেহেতু অধিকাংশ গ্রামে এবং কি কোন কোন ইউনিয়ন পয্যায়ও বিদ্যুত সংযোগ ছিলনা-- টিভিও সর্বসাধারনের দেখার সুযোগ ছিলনা। যাহাই ছিল তাতেও অহরাত্র টিভি প্রোগ্রাম চালু ছিলনা। "টকশো ধরনের অ-বাস্তব কল্পকাহিনী নিয়ে বিশেষজ্ঞ মতামত" প্রদান করে জনগনকে বিভ্রান্ত করতে পারে--"এমন কোন অনুষ্ঠান প্রচারের রীতি তখন পয্যন্ত টিভি প্রোগ্রামে গড়ে উঠেনি"।
বর্তমানের বিচিত্রতা জনাবা বার্ণিয়াকট।
অনেকের তিরস্কৃত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানের সুযোগে বিগত পাছ/সাত বছরের মধ্যে অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে।বিদ্যুত উৎপাদন বেড়েছে গানিতিক হারে- বিদ্যুতায়নের আওতায় এসে গেছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল। সাইবার ক্যাবলের সুবিধা নিয়ে ইন্টারনেটের ব্যবহার ছড়িয়ে পড়েছে অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত, শিক্ষিত, নারী পূরুষ, আবাল, বৃদ্ধবণিতা সর্বত্র। শুনে আশ্চায্য হওয়ার মতই তথ্য--"বাংলাদেশের ১১কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যাবহারের সুযোগ গ্রহনরত: রয়েছে।"
১১কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারির মধ্যে আটকোটি নরনারী পেইজবুক, গুগুল, টুইটার সহ অন্যান্ন সামাজিক মাধ্যমের সাথে সরাসরি সংযুক্ত।এই সমস্ত সামাজিক মাধ্যমে হাজার হাজার অন-লাইন পত্রিকা, পোর্টাল, ওয়েভ পেইজ--তাঁদের স্ব-স্ব বিশ্বাস, আদর্শ প্রচারের উদ্দেশ্যে চালু রেখেছে।সেকেন্ডের মধ্যে বিশ্বের কোথায় কি ঘটছে--"তৎক্ষনাৎ লাইভ ফুটেজ, ভিডিউ ফুটেজ, বন্ধুদের ষ্টেটাস, পোষ্টের মাধ্যমে সরাসরি দেখা এবং জানার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
এমন শতশত লাইভ ভিডিও পোর্টাল চমকপ্রদ শিরোনাম ব্যবহার করে পোর্টালে প্রবেশে আগ্রহী করে তোলে যাহা বাস্তবতায় সেই পোর্টাল বা লাইভ ভিডিওতেই বলা হয়নি ।এমন লাইভ পোর্টালের মধ্যে আমার এই মহুর্তে স্মরনে আসা অন্যতম "ক্রোম" লাইভ পোর্টাল একটি--"যে লাইভ চ্যানলটি মনে হয় জম্মেও ভুয়া।"
এনটিভি, চ্যানেল আই ইত্যাদি তো রয়েছেই।কেন্দ্রীয় নেতাগন সপ্তাহ বা মাসে একবার নীজ এলাকার নির্বাচক মন্ডলী নিদেনপক্ষে নেতাকর্মীদের সাথে লাইভ এ সংযোগ রক্ষা করে চলেছেন। গ্রামের সদ্য তরুন লাইক দিয়ে রেখেছে তাঁর প্রিয় কেন্দ্রীয় একাধিক নেতা বা নেত্রীকে। নীজের অভিমত প্রকাশ করছে প্রীয় নেতার সৃজিত পেইজ, পোর্টাল, ইমেইল, ম্যাসেঞ্জারে। বরেন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সংযোগ বা সান্নিধ্য পাওয়ার সহজ সুযোগ ৫/৭ বছর আগে কেউ কল্পনাও করেনি।
কোন নেতা কখন কি বলে, দলীয় কর্মসূচি কি, কার কি মনোভাব, কার কি গতিবীধি, সরকারের কোন মন্ত্রনালয়ে কর্মকাণ্ড কি, নিজের এলাকায় কি প্রজেক্ট আছে, এলাকার কোন বড় রাস্তাটি এই বছরই পাকা হবে, দেশের কোথায় কি এই মহুর্তে ঘটছে, সরকারের ভুমিকা কি, বিরুধী দলের করনীয় কি ইত্যাদি তৎক্ষনাৎ জানার সুযোগ প্রত্যেকের হাতের মুঠায়।
"এমন সময়ে বার্ণিয়াকটের উক্তি বাক ও ব্যাক্তি স্বাধীনতা, গনতন্ত্র সংকোচিত হয়ে আসছে।"বিচিত্র রাজনীতি" তাঁর ৩৫ বছরের কূটনৈতিক জীবনে কখনই কোন দেশে দেখেননি।"আসলেই তাই, দেখেননি সত্য-এত দ্রুত ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে হাঁটা দেশ ভিক্ষা দেয়ার পয্যায় পৌঁছে যেতে পারে--!!!
আসলেই বিচিত্র বাংলাদেশ ম্যডাম বার্ণিয়াকট।
মুলত: বার্ণিয়াকটের উক্তির সত্যতা কেবলই নিছক মন্তব্য বলে ধরে নেয়ার কোন কারন নেই।'৭২-৭৫' সালের বাংলাদেশ এবং তাঁর সরকারের যে সামর্থ্যটি ছিলনা ; সেই সামর্থ্যটি বর্তমান সরকারের নেই চিন্তা করাটাতেই তাঁর বিচিত্রতার অনুসন্ধান করা প্রয়োজন মনে করি। গুজব, ষড়যন্ত্র, আগাম রাজনৈতিক কৌশল ইত্যাদি নতুন দেশের নতুন সরকারের সামর্থ্যে থাকার কথাও ছিলনা।
৭২-৭৫ সালে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব ছিল গুটি কয়েক দেশের সঙ্গে, ফলে খাদ্যের চালান ফেরৎ নিয়ে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি সম্ভব হয়েছিল।বর্তমানে বন্ধুত্বের পরিধি বেড়ে হাজার গুনে বৃদ্ধি পেয়েছে। তখন খাদ্যের জাহাজ ফেরৎ নিয়ে খাদ্য সংকট সৃষ্টি করতে পারলেও এখন বাংলাদেশের তৈরি পোষাকে শুল্ক আরোপ করে রপ্তানী ব্যবসায় ধ্বস নামানো সম্ভব হচ্ছেনা।
বিগত সরকার তাঁদের তাঁবেদার ছিল বিদায় যা চেয়েছেন তাই পেয়েছেন--- বর্তমান সরকার তাঁদের চাওয়ার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করতেও কার্পন্য করছেনা। আগের সরকারের মন্ত্রীরা তাঁদের রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তাকে "ইয়েস স্যার ইউর একসিলেন্সি" সম্ভোধন করে সম্মান জানালেও বর্তমান সরকারের মন্ত্রীরা "চার আনার মন্ত্রী' বলে উপহাস করে।আগের সরকার গুলি সাহায্যের জন্যে ধনাঢ্য সাতজাতির বৈঠকে চেয়ারের পিছনে দাঁড়িয়ে মৌ'সাহেবি করে সুদৃষ্টি কামনা করলেও বর্তমান সরকারকে আগাম নিমন্ত্রন জানিয়ে, বিমানের টিকেট পাঠিয়ে, "পয্যবেক্ষন ও বাংলাদেশের সাফল্যের কাহিনী শুনা"র অনুরুধ জানাতে হয়। আগের সরকার গুলিকে ঋন দিয়ে ব্যবহার করা শেখানোর জন্যে সেই অফিসের ঝাড়ুদার, পিয়নকে উচ্চমুল্যে বেতন দিয়ে অফিসার বানিয়ে আনার প্রয়োজন হ'ত--বর্তমান সরকারের সময়ে ঋন দেয়ার জন্যে বাংলাদেশে এসে সরকারের উচ্চ পয্যায়ে নিয়মিত মৌ'সাহেবি করার প্রয়োজন হয়।
আরো আছে ম্যাডাম বার্ণিয়াকট।
শেখ কামাল ব্যাংক ডাকাতি করেছে গুজব ছড়িয়ে তখন গেলানো সম্ভব হলেও এখন সজিব ওয়াজেদ জয়ের একাউন্টে 'ত্রিশলক্ষ ডলার' জমা আছে গুজব ছড়িয়ে চেলেঞ্জের মুখে পিছু হটে লজ্জা পেতে হয়। বঙ্গবন্ধুর ছেলের বিয়ে 'সোনার মুকুট' পরিধান করে সম্পন্ন হয়েছে গুজব বিশ্বাস করানো গেলেও এখন পদ্মাসেতুর ঘুষ কেলেংকারীর গুজব আন্তজাতিক আদালতে মিথ্যা, ষড়যন্ত্র, গুজব প্রমানিত হলে গুজবের জম্মদাতা 'রাজপথে বের হওয়া সংকট হয়'।
আপনার সরকারের তাঁবেদারির বদন্যতার নমুনা 'জানাবা বার্ণিয়াকট'।
বাংলাদেশকে বহিবিশ্ব ঋন, ভিক্ষা, সাহায্য দেয়ার জন্যে উন্নত দেশ ও সাহায্য সংস্থাগুলীর কর্মচারীদের দিয়ে একটি কমিটি করে দিয়েছিলেন। প্যারিসভিত্তিক উক্ত সাহায্য, ভিক্ষা, ঋন বরাদ্ধের কমিটির নাম ছিল "প্যারিস কনসোটিয়াম।" আপনাদের ইশারায় তাঁরাই নির্ধারন করতেন বাংলাদেশের কি পরিমান ঋন, সাহায্য, লাগবে এবং কি পরিমান ভিক্ষা দিতে হবে। এতই অবহেলিত ছিল বাংলাদেশ--"উন্নত দেশের সরকার প্রধানদের সাথে এই সমস্ত ঋন, সাহায্য, ভিক্ষা খোঁজার সুযোগও আপনারা দিতেননা"। আপনাদের উন্নত দেশের রাজকর্মচারি নিয়োগ দিয়ে রেখেছিলেন বাংলাদেশকে ভিক্ষা দেয়ার জন্যে। বছরে একবার প্যারিসে উক্ত কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হ'ত। সেই বৈঠকে বাংলাদেশের ভাগ্য নির্ধারন করা হত। ধনাঢ্য সাহায্যদাতা দেশের কর্মচারি, আন্তজাতিক সাহায্য সংস্থাগুলীর নিম্নশ্রেনীর কর্মকর্তারাও সেখানে; বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে যাওয়া উচ্চ পয্যায়ের প্রতিনীধি দলকে সামান্য এদিক সেদিক ভুলের কারনে চোখ রাঙিয়ে শাসাতেন।
বলে রাখা ভাল--"শুধুমাত্র বাংলাদেশকে সাহায্য করার জন্যেই ঐ বৈঠক অনুষ্ঠিত হত প্রতি অর্থ বছর শেষে।" "অন্যান্য দেশের সাহায্য, ঋন সরকারি পয্যায় এবং দাতা সংস্থাগুলি বনাম সরকার" আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে হলেও বাংলাদেশের সেই সুবিধা ছিলনা। বৈঠকে সকল সদস্যের উপস্থীতি নিশ্চিত করার জন্যে বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রীকে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হ'ত।
সে দিন কি আর আছে--মাননীয়া বার্ণিয়াকট ম্যাডাম---?
বিগত আট বছরের মধ্যে প্যারিস কনসোটিয়াম সদস্য বৃন্দ জীবিত আছে নাকি মৃত্যুবরন করেছে--তাঁর খবরও নেয়ার প্রয়োজন মনে করেনি বর্তমান সরকার। ২০০৯ ইং সালেই তাঁদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করেছে বর্তমান সরকার। কোন দেশের সাহায্য নেয়া দুরের থাকুক, সাহায্য দেয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ--"ইতিমধ্যে তা প্রমানও করেছে বাংলাদেশ।"
আপনাদের সরকার প্রধান গঙ্গার পানি আনতে ভুলে গেলেও বর্তমানের মুক্তিযুদ্ধের সরকার প্রধান আন্তজাতিক আদালতে মামলা করে "সাগর" আনতে জানে। বিগতদিনে শতকরা নব্বই টাকা বিদেশী সাহায্য, ঋন, ভিক্ষা নিয়ে বাজেট প্রনয়ন করা হলেও বর্তমানে তাঁর উলটো নব্বই টাকাই নিজস্ব রাজস্ব আয়ের টাকায় বাংলাদেশের বাজেট প্রনীত হয়।বাকি শতকরা দশ টাকা ঋনের উপর নির্ভরশীল রয়েছে তবে "সাহায্য এবং ভিক্ষা" যাদুঘরে পাঠিয়ে দিয়েছে বর্তমান সরকার। তখন ব্যাংক রিজার্ভ প্রায়শ: শুন্য থাকলেও এখন এশিয়ার বৃহৎ দেশগুলীর চাইতেও বেশী টাকা প্রত্যহ রিজার্ভ জমা রাখতে জানে বাংলাদেশ।
বিচিত্র রাজনীতি উপলব্দির আরো কারন আছে জনাবা ম্যাডাম বার্ণিয়াকট।
আগের প্রধানমন্ত্রী নির্দিষ্ট হারে করদিয়ে কালটাকা সাদা করলেও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আগেও কোনদিন এইরুপ কল্পনা করেনি এখনও করেনা। আগের অশিক্ষিত যুবরাজ 'হাওয়া ভবন' বানিয়ে পার্সেন্ট সংগ্রহ করলেও বর্তমান আইটি বিশেষজ্ঞ সুশিক্ষিত যুবরাজ সরকারের 'আইটি উপদেস্টা' হয়েও সরকার থেকে বেতন, ভাতা, গাড়ীর জ্বালানী নেয়ার প্রয়োজন মনে করেনা। আগের প্রধানমন্ত্রী নামমূল্যে অথবা জোরপূর্বক রাষ্ট্রীয় সম্পদ দখল করে বসবাস করলেও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী পিতৃসম্পদ রাষ্ট্রকে দান করে দিয়ে সর্বস্বহারা হতে জানে। আগের প্রধান মন্ত্রী ছেড়া গেঞ্জী, ভাঙ্গা স্যুটকেস থেকে কোটি কোটি টাকার সম্পদ, কোকো জাহাজ, ডান্ডি ডাইং এর মালিক হলেও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জম্মেই জমিদারঘরে হওয়া সত্বেও অদ্যবদি ঢাকায় কোন বাড়ী বা কারখানার মালিক হতে পারেননি।
সবশেষ কারন কি বলি জনাবা বার্ণিয়াকট--?
আপনাদের তাঁবেদার সরকারের শাষনামলে বুকের তাজারক্ত ঢেলে দাবী আদায় করা নিয়মে পরিণত হয়েছিল। বর্তমানে তা আর দরকার হয়না, রাজপথে কেউ না থাকলেও সকলের পরামর্শে নির্বাচন কমিশন নিয়োগ হয়। বিগতদিনে বিরুধীদল সার্বক্ষনিক সক্রিয় থেকেও গনতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হয়নি ; বর্তমানে বিরুধীদলের সর্বত্র অনুপস্থীতি, নিস্তেজ, আন্দোলন বিমূখ প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সর্বাত্মক অসহযোগীতায়ও গনতন্ত্র সাবলিল থাকে আগামীতেও থাকবে।
যথারীতি যথাসময়ে নির্বাচন হবে,জনগনের রায় নিয়ে সরকার গঠিত হবে;ষড়যন্ত্রের সরকার আর বাংলাদেশের ক্ষমতা দখল করতে পারবেনা। আপনাদের বিচিত্রতার কারন সেই নির্বাচনে আপনাদের তাঁবেদার সরকার ক্ষমতায় আসবেনা--তাঁরা এখন জনগন থেকে বিচ্ছিন্ন। জনগন মনে করে ষড়যন্ত্র, নাশকতা, অস্থিরতা, পরনির্ভরশীল, স্বাধীনতা বিরোদী,অশুভশক্তির সম্মিলীত জোট বাংলাদেশের মঙ্গল চায়না।তাঁদের উদ্দেশ্য লুটেপুটে নীজের সম্পদ বৃদ্ধি করে আরাম আয়েশে দিনযাপন।
ক্ষমতায় আসবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল।সেই দলের নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার উৎযাপন করবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তি ইনশাল্লাহ। ততদিনে স্বীকৃত হবে বাংলাদেশ এখনথেকে আর নিম্নমধ্য বিত্ত নয় 'মধ্যম আয়ের দেশ।"
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আরাধ্য স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।
ইহাই কি নয় আপনার বিচিত্র উপলব্দি জনাবা বার্ণিয়াকট--?
"জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু"
ruhulaminmujumder27@gmail.com
(রুহুল আমিন মজুমদার)
গতকালই লিখেছিলাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের--বাংলাদেশের রাজনীতি সম্পর্কে তাঁর বিচিত্র উপলব্দি নিয়ে। ৩৫ বছরের কূটনৈতিক জীবনে এমন রাজনৈতিক বেসামাল বিচিত্রদেশ দেখেননি তিনি। অদ্য একই ব্যাক্তির উপর পুনরায় লিখতে হবে স্বপ্নেও কল্পনা করিনি।অদ্য তিনি আর একধাপ এগিয়ে বলছেন---"বাংলাদেশের বাক ও ব্যাক্তি স্বাধীনতা, গনতন্ত্র ধীরে ধীরে সংকুচিত হয়ে আসছে"। আসলে কেমন বাংলাদেশ মার্কিনীদের উপলব্দিতে ছিল? আসুন দেখে আসি অতীতের কিছু স্মৃতি----
আপনার উপলব্দিতে ছিল যাহা জনাবা বার্ণিয়াকট।
-গত পাঁছ/সাত বছর আগেও বাংলাদেশের মানুষ রেডিও, টিভি, এবং সংবাদ পত্রের উপর নির্ভর ছিল-খবরাখবর জানার জন্যে। তখনও সর্বসাকুল্যে দশ থেকে পনর লক্ষ মানুষ রাজনৈতিক হালচাল সম্পর্কে খবরাখবর রাখতেন। রাজনৈতিক দলের সর্বশেষ কর্মসূচি এবং দলের মনোভাব জানার জন্যে জেলা /উপজেলা শহরে কেন্দ্রীয় নেতাদের জনসভার সময় পয্যন্ত অপেক্ষা করার প্রয়োজন হ'ত। অথবা দলের কায্যকরি কমিটির সভা অনুষ্ঠান পয্যন্ত অপেক্ষার প্রহর গুনা ছাড়া উপায় ছিলনা।
বাংলাদেশের এমন বহু অঞ্চল ছিল পত্রিকা পৌঁছাতেই এক দুইদিন সময় পেরিয়ে যেত। তাও সর্বসাধারনে পত্রিকা বা বই কিনে পড়ার অভ্যেস কখনই বাংলাদেশের মানুষের মননে গড়ে উঠেনি। স্থানীয় বাজার, হাট, ক্লাব, বিদ্যালয়, শিক্ষক, রাজনীতিবীদ, রাজনৈতিক সচেতন কিছু মানুষ পত্রিকা রাখতেন, সেখান থেকেই পত্রিকা পড়ার তৃঞ্চা মিটাতে হ'ত গ্রামের বেকার যুবক, স্বল্প লেখা পড়া জানা মানুষের মধ্যে একটা অংশের। যেহেতু অধিকাংশ গ্রামে এবং কি কোন কোন ইউনিয়ন পয্যায়ও বিদ্যুত সংযোগ ছিলনা-- টিভিও সর্বসাধারনের দেখার সুযোগ ছিলনা। যাহাই ছিল তাতেও অহরাত্র টিভি প্রোগ্রাম চালু ছিলনা। "টকশো ধরনের অ-বাস্তব কল্পকাহিনী নিয়ে বিশেষজ্ঞ মতামত" প্রদান করে জনগনকে বিভ্রান্ত করতে পারে--"এমন কোন অনুষ্ঠান প্রচারের রীতি তখন পয্যন্ত টিভি প্রোগ্রামে গড়ে উঠেনি"।
বর্তমানের বিচিত্রতা জনাবা বার্ণিয়াকট।
অনেকের তিরস্কৃত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানের সুযোগে বিগত পাছ/সাত বছরের মধ্যে অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে।বিদ্যুত উৎপাদন বেড়েছে গানিতিক হারে- বিদ্যুতায়নের আওতায় এসে গেছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল। সাইবার ক্যাবলের সুবিধা নিয়ে ইন্টারনেটের ব্যবহার ছড়িয়ে পড়েছে অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত, শিক্ষিত, নারী পূরুষ, আবাল, বৃদ্ধবণিতা সর্বত্র। শুনে আশ্চায্য হওয়ার মতই তথ্য--"বাংলাদেশের ১১কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যাবহারের সুযোগ গ্রহনরত: রয়েছে।"
১১কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারির মধ্যে আটকোটি নরনারী পেইজবুক, গুগুল, টুইটার সহ অন্যান্ন সামাজিক মাধ্যমের সাথে সরাসরি সংযুক্ত।এই সমস্ত সামাজিক মাধ্যমে হাজার হাজার অন-লাইন পত্রিকা, পোর্টাল, ওয়েভ পেইজ--তাঁদের স্ব-স্ব বিশ্বাস, আদর্শ প্রচারের উদ্দেশ্যে চালু রেখেছে।সেকেন্ডের মধ্যে বিশ্বের কোথায় কি ঘটছে--"তৎক্ষনাৎ লাইভ ফুটেজ, ভিডিউ ফুটেজ, বন্ধুদের ষ্টেটাস, পোষ্টের মাধ্যমে সরাসরি দেখা এবং জানার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
এমন শতশত লাইভ ভিডিও পোর্টাল চমকপ্রদ শিরোনাম ব্যবহার করে পোর্টালে প্রবেশে আগ্রহী করে তোলে যাহা বাস্তবতায় সেই পোর্টাল বা লাইভ ভিডিওতেই বলা হয়নি ।এমন লাইভ পোর্টালের মধ্যে আমার এই মহুর্তে স্মরনে আসা অন্যতম "ক্রোম" লাইভ পোর্টাল একটি--"যে লাইভ চ্যানলটি মনে হয় জম্মেও ভুয়া।"
এনটিভি, চ্যানেল আই ইত্যাদি তো রয়েছেই।কেন্দ্রীয় নেতাগন সপ্তাহ বা মাসে একবার নীজ এলাকার নির্বাচক মন্ডলী নিদেনপক্ষে নেতাকর্মীদের সাথে লাইভ এ সংযোগ রক্ষা করে চলেছেন। গ্রামের সদ্য তরুন লাইক দিয়ে রেখেছে তাঁর প্রিয় কেন্দ্রীয় একাধিক নেতা বা নেত্রীকে। নীজের অভিমত প্রকাশ করছে প্রীয় নেতার সৃজিত পেইজ, পোর্টাল, ইমেইল, ম্যাসেঞ্জারে। বরেন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সংযোগ বা সান্নিধ্য পাওয়ার সহজ সুযোগ ৫/৭ বছর আগে কেউ কল্পনাও করেনি।
কোন নেতা কখন কি বলে, দলীয় কর্মসূচি কি, কার কি মনোভাব, কার কি গতিবীধি, সরকারের কোন মন্ত্রনালয়ে কর্মকাণ্ড কি, নিজের এলাকায় কি প্রজেক্ট আছে, এলাকার কোন বড় রাস্তাটি এই বছরই পাকা হবে, দেশের কোথায় কি এই মহুর্তে ঘটছে, সরকারের ভুমিকা কি, বিরুধী দলের করনীয় কি ইত্যাদি তৎক্ষনাৎ জানার সুযোগ প্রত্যেকের হাতের মুঠায়।
"এমন সময়ে বার্ণিয়াকটের উক্তি বাক ও ব্যাক্তি স্বাধীনতা, গনতন্ত্র সংকোচিত হয়ে আসছে।"বিচিত্র রাজনীতি" তাঁর ৩৫ বছরের কূটনৈতিক জীবনে কখনই কোন দেশে দেখেননি।"আসলেই তাই, দেখেননি সত্য-এত দ্রুত ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে হাঁটা দেশ ভিক্ষা দেয়ার পয্যায় পৌঁছে যেতে পারে--!!!
আসলেই বিচিত্র বাংলাদেশ ম্যডাম বার্ণিয়াকট।
মুলত: বার্ণিয়াকটের উক্তির সত্যতা কেবলই নিছক মন্তব্য বলে ধরে নেয়ার কোন কারন নেই।'৭২-৭৫' সালের বাংলাদেশ এবং তাঁর সরকারের যে সামর্থ্যটি ছিলনা ; সেই সামর্থ্যটি বর্তমান সরকারের নেই চিন্তা করাটাতেই তাঁর বিচিত্রতার অনুসন্ধান করা প্রয়োজন মনে করি। গুজব, ষড়যন্ত্র, আগাম রাজনৈতিক কৌশল ইত্যাদি নতুন দেশের নতুন সরকারের সামর্থ্যে থাকার কথাও ছিলনা।
৭২-৭৫ সালে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব ছিল গুটি কয়েক দেশের সঙ্গে, ফলে খাদ্যের চালান ফেরৎ নিয়ে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি সম্ভব হয়েছিল।বর্তমানে বন্ধুত্বের পরিধি বেড়ে হাজার গুনে বৃদ্ধি পেয়েছে। তখন খাদ্যের জাহাজ ফেরৎ নিয়ে খাদ্য সংকট সৃষ্টি করতে পারলেও এখন বাংলাদেশের তৈরি পোষাকে শুল্ক আরোপ করে রপ্তানী ব্যবসায় ধ্বস নামানো সম্ভব হচ্ছেনা।
বিগত সরকার তাঁদের তাঁবেদার ছিল বিদায় যা চেয়েছেন তাই পেয়েছেন--- বর্তমান সরকার তাঁদের চাওয়ার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করতেও কার্পন্য করছেনা। আগের সরকারের মন্ত্রীরা তাঁদের রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তাকে "ইয়েস স্যার ইউর একসিলেন্সি" সম্ভোধন করে সম্মান জানালেও বর্তমান সরকারের মন্ত্রীরা "চার আনার মন্ত্রী' বলে উপহাস করে।আগের সরকার গুলি সাহায্যের জন্যে ধনাঢ্য সাতজাতির বৈঠকে চেয়ারের পিছনে দাঁড়িয়ে মৌ'সাহেবি করে সুদৃষ্টি কামনা করলেও বর্তমান সরকারকে আগাম নিমন্ত্রন জানিয়ে, বিমানের টিকেট পাঠিয়ে, "পয্যবেক্ষন ও বাংলাদেশের সাফল্যের কাহিনী শুনা"র অনুরুধ জানাতে হয়। আগের সরকার গুলিকে ঋন দিয়ে ব্যবহার করা শেখানোর জন্যে সেই অফিসের ঝাড়ুদার, পিয়নকে উচ্চমুল্যে বেতন দিয়ে অফিসার বানিয়ে আনার প্রয়োজন হ'ত--বর্তমান সরকারের সময়ে ঋন দেয়ার জন্যে বাংলাদেশে এসে সরকারের উচ্চ পয্যায়ে নিয়মিত মৌ'সাহেবি করার প্রয়োজন হয়।
আরো আছে ম্যাডাম বার্ণিয়াকট।
শেখ কামাল ব্যাংক ডাকাতি করেছে গুজব ছড়িয়ে তখন গেলানো সম্ভব হলেও এখন সজিব ওয়াজেদ জয়ের একাউন্টে 'ত্রিশলক্ষ ডলার' জমা আছে গুজব ছড়িয়ে চেলেঞ্জের মুখে পিছু হটে লজ্জা পেতে হয়। বঙ্গবন্ধুর ছেলের বিয়ে 'সোনার মুকুট' পরিধান করে সম্পন্ন হয়েছে গুজব বিশ্বাস করানো গেলেও এখন পদ্মাসেতুর ঘুষ কেলেংকারীর গুজব আন্তজাতিক আদালতে মিথ্যা, ষড়যন্ত্র, গুজব প্রমানিত হলে গুজবের জম্মদাতা 'রাজপথে বের হওয়া সংকট হয়'।
আপনার সরকারের তাঁবেদারির বদন্যতার নমুনা 'জানাবা বার্ণিয়াকট'।
বাংলাদেশকে বহিবিশ্ব ঋন, ভিক্ষা, সাহায্য দেয়ার জন্যে উন্নত দেশ ও সাহায্য সংস্থাগুলীর কর্মচারীদের দিয়ে একটি কমিটি করে দিয়েছিলেন। প্যারিসভিত্তিক উক্ত সাহায্য, ভিক্ষা, ঋন বরাদ্ধের কমিটির নাম ছিল "প্যারিস কনসোটিয়াম।" আপনাদের ইশারায় তাঁরাই নির্ধারন করতেন বাংলাদেশের কি পরিমান ঋন, সাহায্য, লাগবে এবং কি পরিমান ভিক্ষা দিতে হবে। এতই অবহেলিত ছিল বাংলাদেশ--"উন্নত দেশের সরকার প্রধানদের সাথে এই সমস্ত ঋন, সাহায্য, ভিক্ষা খোঁজার সুযোগও আপনারা দিতেননা"। আপনাদের উন্নত দেশের রাজকর্মচারি নিয়োগ দিয়ে রেখেছিলেন বাংলাদেশকে ভিক্ষা দেয়ার জন্যে। বছরে একবার প্যারিসে উক্ত কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হ'ত। সেই বৈঠকে বাংলাদেশের ভাগ্য নির্ধারন করা হত। ধনাঢ্য সাহায্যদাতা দেশের কর্মচারি, আন্তজাতিক সাহায্য সংস্থাগুলীর নিম্নশ্রেনীর কর্মকর্তারাও সেখানে; বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে যাওয়া উচ্চ পয্যায়ের প্রতিনীধি দলকে সামান্য এদিক সেদিক ভুলের কারনে চোখ রাঙিয়ে শাসাতেন।
বলে রাখা ভাল--"শুধুমাত্র বাংলাদেশকে সাহায্য করার জন্যেই ঐ বৈঠক অনুষ্ঠিত হত প্রতি অর্থ বছর শেষে।" "অন্যান্য দেশের সাহায্য, ঋন সরকারি পয্যায় এবং দাতা সংস্থাগুলি বনাম সরকার" আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে হলেও বাংলাদেশের সেই সুবিধা ছিলনা। বৈঠকে সকল সদস্যের উপস্থীতি নিশ্চিত করার জন্যে বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রীকে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হ'ত।
সে দিন কি আর আছে--মাননীয়া বার্ণিয়াকট ম্যাডাম---?
বিগত আট বছরের মধ্যে প্যারিস কনসোটিয়াম সদস্য বৃন্দ জীবিত আছে নাকি মৃত্যুবরন করেছে--তাঁর খবরও নেয়ার প্রয়োজন মনে করেনি বর্তমান সরকার। ২০০৯ ইং সালেই তাঁদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করেছে বর্তমান সরকার। কোন দেশের সাহায্য নেয়া দুরের থাকুক, সাহায্য দেয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ--"ইতিমধ্যে তা প্রমানও করেছে বাংলাদেশ।"
আপনাদের সরকার প্রধান গঙ্গার পানি আনতে ভুলে গেলেও বর্তমানের মুক্তিযুদ্ধের সরকার প্রধান আন্তজাতিক আদালতে মামলা করে "সাগর" আনতে জানে। বিগতদিনে শতকরা নব্বই টাকা বিদেশী সাহায্য, ঋন, ভিক্ষা নিয়ে বাজেট প্রনয়ন করা হলেও বর্তমানে তাঁর উলটো নব্বই টাকাই নিজস্ব রাজস্ব আয়ের টাকায় বাংলাদেশের বাজেট প্রনীত হয়।বাকি শতকরা দশ টাকা ঋনের উপর নির্ভরশীল রয়েছে তবে "সাহায্য এবং ভিক্ষা" যাদুঘরে পাঠিয়ে দিয়েছে বর্তমান সরকার। তখন ব্যাংক রিজার্ভ প্রায়শ: শুন্য থাকলেও এখন এশিয়ার বৃহৎ দেশগুলীর চাইতেও বেশী টাকা প্রত্যহ রিজার্ভ জমা রাখতে জানে বাংলাদেশ।
বিচিত্র রাজনীতি উপলব্দির আরো কারন আছে জনাবা ম্যাডাম বার্ণিয়াকট।
আগের প্রধানমন্ত্রী নির্দিষ্ট হারে করদিয়ে কালটাকা সাদা করলেও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আগেও কোনদিন এইরুপ কল্পনা করেনি এখনও করেনা। আগের অশিক্ষিত যুবরাজ 'হাওয়া ভবন' বানিয়ে পার্সেন্ট সংগ্রহ করলেও বর্তমান আইটি বিশেষজ্ঞ সুশিক্ষিত যুবরাজ সরকারের 'আইটি উপদেস্টা' হয়েও সরকার থেকে বেতন, ভাতা, গাড়ীর জ্বালানী নেয়ার প্রয়োজন মনে করেনা। আগের প্রধানমন্ত্রী নামমূল্যে অথবা জোরপূর্বক রাষ্ট্রীয় সম্পদ দখল করে বসবাস করলেও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী পিতৃসম্পদ রাষ্ট্রকে দান করে দিয়ে সর্বস্বহারা হতে জানে। আগের প্রধান মন্ত্রী ছেড়া গেঞ্জী, ভাঙ্গা স্যুটকেস থেকে কোটি কোটি টাকার সম্পদ, কোকো জাহাজ, ডান্ডি ডাইং এর মালিক হলেও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জম্মেই জমিদারঘরে হওয়া সত্বেও অদ্যবদি ঢাকায় কোন বাড়ী বা কারখানার মালিক হতে পারেননি।
সবশেষ কারন কি বলি জনাবা বার্ণিয়াকট--?
আপনাদের তাঁবেদার সরকারের শাষনামলে বুকের তাজারক্ত ঢেলে দাবী আদায় করা নিয়মে পরিণত হয়েছিল। বর্তমানে তা আর দরকার হয়না, রাজপথে কেউ না থাকলেও সকলের পরামর্শে নির্বাচন কমিশন নিয়োগ হয়। বিগতদিনে বিরুধীদল সার্বক্ষনিক সক্রিয় থেকেও গনতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হয়নি ; বর্তমানে বিরুধীদলের সর্বত্র অনুপস্থীতি, নিস্তেজ, আন্দোলন বিমূখ প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সর্বাত্মক অসহযোগীতায়ও গনতন্ত্র সাবলিল থাকে আগামীতেও থাকবে।
যথারীতি যথাসময়ে নির্বাচন হবে,জনগনের রায় নিয়ে সরকার গঠিত হবে;ষড়যন্ত্রের সরকার আর বাংলাদেশের ক্ষমতা দখল করতে পারবেনা। আপনাদের বিচিত্রতার কারন সেই নির্বাচনে আপনাদের তাঁবেদার সরকার ক্ষমতায় আসবেনা--তাঁরা এখন জনগন থেকে বিচ্ছিন্ন। জনগন মনে করে ষড়যন্ত্র, নাশকতা, অস্থিরতা, পরনির্ভরশীল, স্বাধীনতা বিরোদী,অশুভশক্তির সম্মিলীত জোট বাংলাদেশের মঙ্গল চায়না।তাঁদের উদ্দেশ্য লুটেপুটে নীজের সম্পদ বৃদ্ধি করে আরাম আয়েশে দিনযাপন।
ক্ষমতায় আসবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল।সেই দলের নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার উৎযাপন করবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তি ইনশাল্লাহ। ততদিনে স্বীকৃত হবে বাংলাদেশ এখনথেকে আর নিম্নমধ্য বিত্ত নয় 'মধ্যম আয়ের দেশ।"
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আরাধ্য স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।
ইহাই কি নয় আপনার বিচিত্র উপলব্দি জনাবা বার্ণিয়াকট--?
"জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু"
ruhulaminmujumder27@gmail.com
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন