মার্কিনীদের আরধ্য বাংলাদেশ--তাঁবেদার, অ-শুভশক্তির সম্মিলীত লুটপাটের বাংলাদেশ।
(রুহুল আমিন মজুমদার)

     গতকালই লিখেছিলাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের--বাংলাদেশের রাজনীতি সম্পর্কে তাঁর বিচিত্র উপলব্দি নিয়ে। ৩৫ বছরের কূটনৈতিক জীবনে এমন রাজনৈতিক বেসামাল বিচিত্রদেশ দেখেননি তিনি। অদ্য একই ব্যাক্তির উপর পুনরায় লিখতে হবে স্বপ্নেও কল্পনা করিনি।অদ্য তিনি আর একধাপ এগিয়ে বলছেন---"বাংলাদেশের বাক ও ব্যাক্তি স্বাধীনতা, গনতন্ত্র ধীরে ধীরে সংকুচিত হয়ে আসছে"। আসলে কেমন বাংলাদেশ মার্কিনীদের উপলব্দিতে ছিল? আসুন দেখে আসি অতীতের কিছু স্মৃতি----

 আপনার উপলব্দিতে ছিল যাহা জনাবা বার্ণিয়াকট।

   -গত পাঁছ/সাত বছর আগেও বাংলাদেশের মানুষ রেডিও, টিভি, এবং সংবাদ পত্রের উপর নির্ভর ছিল-খবরাখবর জানার জন্যে। তখনও সর্বসাকুল্যে দশ থেকে পনর লক্ষ মানুষ রাজনৈতিক হালচাল সম্পর্কে খবরাখবর রাখতেন। রাজনৈতিক দলের সর্বশেষ কর্মসূচি এবং দলের মনোভাব জানার জন্যে জেলা /উপজেলা শহরে কেন্দ্রীয় নেতাদের জনসভার সময় পয্যন্ত অপেক্ষা করার প্রয়োজন হ'ত। অথবা দলের কায্যকরি কমিটির সভা অনুষ্ঠান পয্যন্ত অপেক্ষার প্রহর গুনা ছাড়া উপায় ছিলনা।

      বাংলাদেশের এমন বহু অঞ্চল ছিল পত্রিকা পৌঁছাতেই এক দুইদিন সময় পেরিয়ে যেত। তাও সর্বসাধারনে পত্রিকা বা বই কিনে পড়ার অভ্যেস কখনই বাংলাদেশের মানুষের মননে  গড়ে উঠেনি। স্থানীয় বাজার, হাট, ক্লাব, বিদ্যালয়, শিক্ষক, রাজনীতিবীদ, রাজনৈতিক সচেতন কিছু মানুষ পত্রিকা রাখতেন, সেখান থেকেই পত্রিকা পড়ার তৃঞ্চা মিটাতে হ'ত গ্রামের বেকার যুবক, স্বল্প লেখা পড়া জানা মানুষের মধ্যে একটা অংশের। যেহেতু অধিকাংশ গ্রামে এবং কি কোন কোন ইউনিয়ন পয্যায়ও বিদ্যুত সংযোগ ছিলনা-- টিভিও  সর্বসাধারনের দেখার সুযোগ ছিলনা। যাহাই ছিল তাতেও অহরাত্র টিভি প্রোগ্রাম চালু ছিলনা।  "টকশো ধরনের অ-বাস্তব কল্পকাহিনী নিয়ে বিশেষজ্ঞ মতামত" প্রদান করে জনগনকে বিভ্রান্ত করতে পারে--"এমন কোন অনুষ্ঠান প্রচারের রীতি তখন পয্যন্ত টিভি প্রোগ্রামে গড়ে উঠেনি"।

বর্তমানের বিচিত্রতা জনাবা বার্ণিয়াকট।

       অনেকের তিরস্কৃত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানের সুযোগে   বিগত পাছ/সাত বছরের মধ্যে অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে।বিদ্যুত উৎপাদন বেড়েছে গানিতিক হারে- বিদ্যুতায়নের আওতায় এসে গেছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল। সাইবার ক্যাবলের সুবিধা নিয়ে ইন্টারনেটের ব্যবহার ছড়িয়ে পড়েছে অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত, শিক্ষিত, নারী পূরুষ, আবাল, বৃদ্ধবণিতা সর্বত্র। শুনে আশ্চায্য হওয়ার মতই তথ্য--"বাংলাদেশের ১১কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যাবহারের সুযোগ গ্রহনরত: রয়েছে।"
    ১১কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারির মধ্যে আটকোটি নরনারী পেইজবুক, গুগুল, টুইটার সহ অন্যান্ন সামাজিক মাধ্যমের সাথে সরাসরি সংযুক্ত।এই সমস্ত সামাজিক মাধ্যমে হাজার হাজার অন-লাইন পত্রিকা, পোর্টাল, ওয়েভ পেইজ--তাঁদের স্ব-স্ব বিশ্বাস, আদর্শ প্রচারের উদ্দেশ্যে চালু রেখেছে।সেকেন্ডের মধ্যে বিশ্বের কোথায় কি ঘটছে--"তৎক্ষনাৎ লাইভ ফুটেজ, ভিডিউ ফুটেজ, বন্ধুদের ষ্টেটাস, পোষ্টের মাধ্যমে সরাসরি দেখা এবং জানার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
    এমন শতশত লাইভ ভিডিও পোর্টাল চমকপ্রদ শিরোনাম ব্যবহার করে পোর্টালে প্রবেশে আগ্রহী করে তোলে যাহা বাস্তবতায় সেই পোর্টাল বা লাইভ ভিডিওতেই বলা হয়নি ।এমন লাইভ পোর্টালের মধ্যে আমার এই মহুর্তে স্মরনে আসা অন্যতম "ক্রোম" লাইভ পোর্টাল একটি--"যে লাইভ চ্যানলটি মনে হয় জম্মেও ভুয়া।"
    এনটিভি, চ্যানেল আই ইত্যাদি তো রয়েছেই।কেন্দ্রীয় নেতাগন সপ্তাহ বা মাসে একবার নীজ এলাকার নির্বাচক মন্ডলী নিদেনপক্ষে নেতাকর্মীদের সাথে লাইভ এ সংযোগ রক্ষা করে চলেছেন। গ্রামের সদ্য তরুন লাইক দিয়ে রেখেছে তাঁর প্রিয় কেন্দ্রীয় একাধিক নেতা বা নেত্রীকে। নীজের অভিমত প্রকাশ করছে প্রীয় নেতার সৃজিত পেইজ, পোর্টাল, ইমেইল, ম্যাসেঞ্জারে। বরেন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সংযোগ বা সান্নিধ্য পাওয়ার সহজ সুযোগ ৫/৭ বছর আগে কেউ কল্পনাও করেনি।

     কোন নেতা কখন কি বলে, দলীয় কর্মসূচি কি, কার কি মনোভাব,  কার কি গতিবীধি, সরকারের কোন মন্ত্রনালয়ে কর্মকাণ্ড কি, নিজের এলাকায় কি প্রজেক্ট  আছে, এলাকার কোন বড় রাস্তাটি এই বছরই পাকা হবে, দেশের কোথায় কি এই মহুর্তে ঘটছে, সরকারের ভুমিকা কি, বিরুধী দলের করনীয় কি ইত্যাদি তৎক্ষনাৎ জানার সুযোগ প্রত্যেকের হাতের মুঠায়।

    "এমন সময়ে বার্ণিয়াকটের উক্তি বাক ও ব্যাক্তি স্বাধীনতা, গনতন্ত্র সংকোচিত হয়ে আসছে।"বিচিত্র রাজনীতি" তাঁর ৩৫ বছরের কূটনৈতিক জীবনে কখনই কোন দেশে দেখেননি।"আসলেই তাই, দেখেননি সত্য-এত দ্রুত ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে হাঁটা দেশ ভিক্ষা দেয়ার পয্যায় পৌঁছে যেতে পারে--!!!

আসলেই বিচিত্র বাংলাদেশ ম্যডাম বার্ণিয়াকট।

        মুলত: বার্ণিয়াকটের উক্তির সত্যতা কেবলই নিছক মন্তব্য বলে ধরে নেয়ার কোন কারন নেই।'৭২-৭৫' সালের বাংলাদেশ এবং তাঁর সরকারের যে সামর্থ্যটি ছিলনা ; সেই সামর্থ্যটি বর্তমান সরকারের নেই চিন্তা করাটাতেই তাঁর বিচিত্রতার অনুসন্ধান করা প্রয়োজন মনে করি। গুজব, ষড়যন্ত্র, আগাম রাজনৈতিক কৌশল ইত্যাদি নতুন দেশের নতুন সরকারের সামর্থ্যে থাকার কথাও ছিলনা।
      ৭২-৭৫ সালে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব ছিল গুটি কয়েক দেশের সঙ্গে, ফলে খাদ্যের চালান ফেরৎ নিয়ে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি সম্ভব হয়েছিল।বর্তমানে বন্ধুত্বের পরিধি বেড়ে  হাজার গুনে বৃদ্ধি পেয়েছে। তখন খাদ্যের জাহাজ ফেরৎ নিয়ে খাদ্য সংকট সৃষ্টি করতে পারলেও এখন বাংলাদেশের তৈরি পোষাকে শুল্ক আরোপ করে রপ্তানী ব্যবসায় ধ্বস নামানো সম্ভব হচ্ছেনা।
     বিগত সরকার তাঁদের তাঁবেদার ছিল বিদায় যা চেয়েছেন তাই পেয়েছেন--- বর্তমান সরকার তাঁদের চাওয়ার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করতেও কার্পন্য করছেনা। আগের সরকারের মন্ত্রীরা তাঁদের রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তাকে "ইয়েস স্যার ইউর একসিলেন্সি" সম্ভোধন করে সম্মান জানালেও বর্তমান সরকারের মন্ত্রীরা "চার আনার মন্ত্রী' বলে উপহাস করে।আগের সরকার গুলি সাহায্যের জন্যে ধনাঢ্য সাতজাতির বৈঠকে চেয়ারের পিছনে দাঁড়িয়ে মৌ'সাহেবি করে সুদৃষ্টি কামনা করলেও বর্তমান সরকারকে আগাম নিমন্ত্রন জানিয়ে, বিমানের টিকেট পাঠিয়ে, "পয্যবেক্ষন ও বাংলাদেশের সাফল্যের কাহিনী শুনা"র অনুরুধ জানাতে হয়। আগের সরকার গুলিকে ঋন দিয়ে ব্যবহার করা শেখানোর জন্যে সেই অফিসের ঝাড়ুদার, পিয়নকে উচ্চমুল্যে বেতন দিয়ে অফিসার বানিয়ে আনার প্রয়োজন হ'ত--বর্তমান সরকারের সময়ে ঋন দেয়ার জন্যে বাংলাদেশে এসে সরকারের উচ্চ পয্যায়ে নিয়মিত মৌ'সাহেবি করার প্রয়োজন  হয়।

আরো আছে ম্যাডাম বার্ণিয়াকট।

        শেখ কামাল ব্যাংক ডাকাতি করেছে গুজব ছড়িয়ে তখন গেলানো সম্ভব হলেও এখন সজিব ওয়াজেদ জয়ের একাউন্টে 'ত্রিশলক্ষ ডলার' জমা আছে গুজব ছড়িয়ে চেলেঞ্জের মুখে পিছু হটে লজ্জা পেতে হয়। বঙ্গবন্ধুর ছেলের বিয়ে 'সোনার মুকুট' পরিধান করে সম্পন্ন হয়েছে গুজব বিশ্বাস করানো গেলেও এখন পদ্মাসেতুর ঘুষ কেলেংকারীর গুজব আন্তজাতিক আদালতে মিথ্যা, ষড়যন্ত্র, গুজব প্রমানিত হলে গুজবের জম্মদাতা 'রাজপথে বের হওয়া সংকট হয়'।

 আপনার সরকারের তাঁবেদারির বদন্যতার নমুনা 'জানাবা বার্ণিয়াকট'।

  বাংলাদেশকে বহিবিশ্ব ঋন, ভিক্ষা, সাহায্য দেয়ার জন্যে উন্নত দেশ ও সাহায্য সংস্থাগুলীর কর্মচারীদের দিয়ে একটি কমিটি করে দিয়েছিলেন। প্যারিসভিত্তিক উক্ত সাহায্য, ভিক্ষা, ঋন বরাদ্ধের কমিটির নাম ছিল "প্যারিস কনসোটিয়াম।" আপনাদের ইশারায় তাঁরাই নির্ধারন করতেন বাংলাদেশের কি পরিমান ঋন, সাহায্য, লাগবে এবং কি পরিমান ভিক্ষা দিতে হবে। এতই অবহেলিত ছিল বাংলাদেশ--"উন্নত দেশের সরকার প্রধানদের সাথে এই সমস্ত ঋন, সাহায্য, ভিক্ষা খোঁজার সুযোগও আপনারা দিতেননা"। আপনাদের উন্নত দেশের রাজকর্মচারি নিয়োগ দিয়ে রেখেছিলেন বাংলাদেশকে ভিক্ষা দেয়ার জন্যে। বছরে একবার প্যারিসে উক্ত কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হ'ত। সেই বৈঠকে বাংলাদেশের ভাগ্য নির্ধারন করা হত। ধনাঢ্য সাহায্যদাতা দেশের কর্মচারি, আন্তজাতিক সাহায্য সংস্থাগুলীর নিম্নশ্রেনীর কর্মকর্তারাও সেখানে; বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে যাওয়া উচ্চ পয্যায়ের প্রতিনীধি দলকে সামান্য এদিক সেদিক ভুলের কারনে চোখ রাঙিয়ে শাসাতেন।
বলে রাখা ভাল--"শুধুমাত্র বাংলাদেশকে সাহায্য করার জন্যেই ঐ বৈঠক অনুষ্ঠিত হত প্রতি অর্থ বছর শেষে।"  "অন্যান্য দেশের সাহায্য, ঋন সরকারি পয্যায় এবং দাতা সংস্থাগুলি বনাম সরকার" আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে হলেও বাংলাদেশের সেই সুবিধা ছিলনা। বৈঠকে সকল সদস্যের উপস্থীতি নিশ্চিত করার জন্যে বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রীকে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হ'ত।

সে দিন কি আর আছে--মাননীয়া বার্ণিয়াকট ম্যাডাম---?

 বিগত আট বছরের মধ্যে প্যারিস কনসোটিয়াম সদস্য বৃন্দ  জীবিত আছে নাকি মৃত্যুবরন করেছে--তাঁর খবরও নেয়ার প্রয়োজন মনে করেনি বর্তমান সরকার। ২০০৯ ইং সালেই তাঁদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করেছে বর্তমান সরকার। কোন দেশের সাহায্য নেয়া দুরের থাকুক, সাহায্য দেয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ--"ইতিমধ্যে তা প্রমানও করেছে বাংলাদেশ।"
 আপনাদের সরকার প্রধান গঙ্গার পানি আনতে ভুলে গেলেও বর্তমানের মুক্তিযুদ্ধের সরকার প্রধান আন্তজাতিক আদালতে মামলা করে "সাগর" আনতে জানে। বিগতদিনে শতকরা নব্বই টাকা বিদেশী সাহায্য, ঋন, ভিক্ষা নিয়ে বাজেট প্রনয়ন করা হলেও বর্তমানে তাঁর উলটো নব্বই টাকাই নিজস্ব রাজস্ব আয়ের টাকায় বাংলাদেশের বাজেট প্রনীত হয়।বাকি শতকরা দশ টাকা ঋনের উপর নির্ভরশীল রয়েছে তবে "সাহায্য এবং ভিক্ষা" যাদুঘরে পাঠিয়ে দিয়েছে বর্তমান সরকার। তখন ব্যাংক রিজার্ভ প্রায়শ: শুন্য থাকলেও এখন এশিয়ার বৃহৎ দেশগুলীর চাইতেও বেশী টাকা প্রত্যহ রিজার্ভ জমা রাখতে জানে বাংলাদেশ।

বিচিত্র রাজনীতি উপলব্দির আরো কারন আছে জনাবা ম্যাডাম বার্ণিয়াকট।

আগের প্রধানমন্ত্রী নির্দিষ্ট হারে করদিয়ে কালটাকা সাদা করলেও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আগেও কোনদিন এইরুপ কল্পনা করেনি এখনও করেনা। আগের অশিক্ষিত যুবরাজ 'হাওয়া ভবন' বানিয়ে পার্সেন্ট সংগ্রহ করলেও বর্তমান আইটি বিশেষজ্ঞ সুশিক্ষিত যুবরাজ সরকারের 'আইটি উপদেস্টা' হয়েও সরকার থেকে বেতন, ভাতা, গাড়ীর জ্বালানী নেয়ার প্রয়োজন মনে করেনা। আগের প্রধানমন্ত্রী নামমূল্যে অথবা জোরপূর্বক রাষ্ট্রীয় সম্পদ দখল করে বসবাস করলেও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী পিতৃসম্পদ রাষ্ট্রকে দান করে দিয়ে সর্বস্বহারা হতে জানে। আগের প্রধান মন্ত্রী ছেড়া গেঞ্জী, ভাঙ্গা স্যুটকেস থেকে কোটি কোটি টাকার সম্পদ, কোকো জাহাজ, ডান্ডি ডাইং এর মালিক হলেও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জম্মেই জমিদারঘরে হওয়া সত্বেও অদ্যবদি ঢাকায় কোন বাড়ী বা কারখানার মালিক হতে পারেননি।

সবশেষ কারন কি বলি জনাবা বার্ণিয়াকট--?

আপনাদের তাঁবেদার সরকারের শাষনামলে বুকের তাজারক্ত ঢেলে দাবী আদায় করা নিয়মে পরিণত হয়েছিল। বর্তমানে তা আর দরকার হয়না, রাজপথে কেউ না থাকলেও সকলের পরামর্শে নির্বাচন কমিশন নিয়োগ হয়। বিগতদিনে বিরুধীদল সার্বক্ষনিক সক্রিয় থেকেও গনতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হয়নি ; বর্তমানে বিরুধীদলের সর্বত্র অনুপস্থীতি, নিস্তেজ, আন্দোলন বিমূখ প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সর্বাত্মক অসহযোগীতায়ও গনতন্ত্র সাবলিল থাকে আগামীতেও থাকবে।
   যথারীতি যথাসময়ে নির্বাচন হবে,জনগনের রায় নিয়ে সরকার গঠিত হবে;ষড়যন্ত্রের সরকার আর বাংলাদেশের ক্ষমতা দখল করতে পারবেনা। আপনাদের বিচিত্রতার কারন  সেই নির্বাচনে আপনাদের তাঁবেদার সরকার ক্ষমতায় আসবেনা--তাঁরা এখন জনগন থেকে বিচ্ছিন্ন। জনগন মনে করে ষড়যন্ত্র, নাশকতা, অস্থিরতা, পরনির্ভরশীল, স্বাধীনতা বিরোদী,অশুভশক্তির সম্মিলীত জোট বাংলাদেশের মঙ্গল চায়না।তাঁদের উদ্দেশ্য লুটেপুটে নীজের সম্পদ বৃদ্ধি করে আরাম আয়েশে দিনযাপন।
ক্ষমতায় আসবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল।সেই দলের নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার উৎযাপন করবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তি ইনশাল্লাহ। ততদিনে স্বীকৃত হবে বাংলাদেশ এখনথেকে আর নিম্নমধ্য বিত্ত নয় 'মধ্যম আয়ের দেশ।"
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আরাধ্য স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।

ইহাই কি নয় আপনার বিচিত্র উপলব্দি  জনাবা বার্ণিয়াকট--?
    "জয়বাংলা       জয়বঙ্গবন্ধু"
  ruhulaminmujumder27@gmail.com

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা