বাংলাদেশের রাজনীতির স্থীরতা--মার্কিন রাষ্ট্রদূত বার্ণিয়াকটের "বাংলাদেশের রাজনীতির বিচিত্র রুপ"  উপলব্দি,  নিশ্চিত অ-শুভ চক্রান্তের ঈঙ্গিত।
   (রুহুল আমিন মজুমদার)

       মাকিন রাষ্ট্রদূত মর্শিয়া ব্লুম বার্ণিয়াকট গতকাল ০৯/০২/২০১৭ইং বৃহস্পতিবার সেতু মন্ত্রনালয় এক বৈঠকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অকপটে বলেছেন তাঁর এবং তাঁর সরকারের  উপলব্দি "বিচিত্র বাংলাদেশের রাজনীতি"। তিনি আরো বলেন---"তাঁর ৩৫ বছরের কূটনৈতিক জীবনে এমন রাজনৈতিক বেসামাল দেশ  দেখেননি।" ৩৫ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বার্ণিয়াকট নি:সন্দেহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্নদেশে নিয়োগ করা রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে অন্যতম অভিজ্ঞতা সম্পন্ন সেরা কূটনীতিকদের মধ্যে একজন।
প্রিয় পাঠক লক্ষ রাখুন--"বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বাপেক্ষা স্থীতিশীল পরিবেশে বার্ণিয়াকট উক্তিটি করেছেন!

    একই সময় মার্কিনীদের মোড়লগীরির আন্তপার্লামেন্টারি সংস্থা বৈশ্বিক হুমকি সংক্রান্ত সিনেটের শুনানীতে সেই দেশের গোয়েন্দাদের প্রধান আরো একটি চমকপ্রদ তথ্য ফাঁস করার উদ্যোগ গ্রহন করেছেন।বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল সমূহের স্বার্থান্বেষি চরিত্রের কালদিক উম্মোচনের আহব্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন--"ঘটে যাওয়া হত্যাকান্ড সমূহে বিএনপি জামায়াতের প্রত্যক্ষ হাত রয়েছে।" বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি দেশেবিদেশে বিনষ্ট করে ক্ষমতায় যাওয়ার চক্রান্তের এমন ইতিহাস বিশ্বের কোন গনতান্ত্রিক দেশে নেই, বাংলাদেশের রাজনীতিতে সেই দৃশ্যটিও তাঁদেরকে ভাবিয়ে তুলেছে।

শেখ হাসিনা সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকদের হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে কিনা এমন বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার  প্রধান জেমস ক্ল্যাপার।
প্রভাবশালী বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার বৈশ্বিক হুমকির বিষয়ে মার্কিন সিনেটে অনুষ্ঠিত এক শুনানিতে দেওয়া লিখিত বক্তব্যে জেমস ক্ল্যাপার এ প্রশ্ন  তোলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিদেশি নাগরিক ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হওয়া ১১টি গুরুতর হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছে ইসলামিক স্টেট। এ ছাড়া ২০১৩ সাল পর্যন্ত আনসারুল্লাহ বাংলা টিম ও আল-কায়েদা বাংলাদেশের ১১ জন প্রগতিশীল লেখক ও ব্লগারকে হত্যা করেছে।
  সুধী বন্ধুগন---"৪৫ বছরের বন্ধু রাজনৈতিক সংগঠনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আগাম জাতিয় সংসদ নির্বাচনের সরকারের উদ্দেশ্য পরিস্কারের আগেই তাঁদের পার্লামেন্টের সিনেটে বিতর্ক প্রস্তাব উত্থাপন করে বলতে চেয়েছেন বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ----"বাংলাদেশে ২০১৩--১৫ সালের সকল হত্যা কান্ডে বিএনপি- জামায়াতের প্রচ্ছন্ন হাত রয়েছে।"

   এদিকে কানাডার বিদেশ সংক্রান্ত সর্ব উচ্চ আদালতে বিচারাধীন "পদ্মা সেতুর" অনিয়ম সংক্রান্ত দীর্ঘ শুনানীর পর সম্মিলীত বিচারক মন্ডলি সর্বসম্মত রায় দিয়ে বলেছেন--"পদ্মাসেতুতে কোনপ্রকার দুর্নীতি, ঘোষ কেলেংকারী, স্বজনপ্রীতি ঘটেনি।"  এমনতর অবস্থায় বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংক কতৃক প্রত্যাহাহৃত ঋনের সুবিধা বঞ্চিত হওয়ার কারনে ক্ষতিগ্রস্ততার বিবরন তুলে ধরে আন্তজাতিক আদালতে ক্ষতিপূরণের মামলা দায়ের বাংলাদেশের পক্ষে "আইন সঙ্গত এবং বৈশ্বিক বীধিসম্মত" বলে রায়ের অভিমতে তুলে ধরেছে।

        সূধী পাঠক বন্ধুগন---বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং তাঁর পরবর্তি জাতির জনকের সরকারের শাষনামলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা কমবেশী আমাদের জানা আছে। এও জানা আছে যে---"মার্কিন সরকারের পরিবর্তন হয়, কিন্তু তাঁদের অন্যান্ন দেশের উপর খবরদারী করার নীতির পরিবর্তন হ'তে কখনও দেখা যায়না।" জাতির জনকের সরকার উৎখাত এবং তাঁদের তাঁবেদার সরকার প্রতিষ্ঠার চক্রান্ত ইতিমধ্যে 'উইকিলিকসে'র তথ্য ফাঁসের মাধ্যমে বিশ্ববাসি অবগত হয়েছে।যাহা বিশ্ববাসির ধারনায় ছিল তাহা মার্কিনীদের দলিল ফাঁসের মাধ্যমে ইতিমধ্যে  প্রতিষ্ঠিত সত্যে রুপান্তরীত হয়েছে।"

      আমাদের স্মরণে থাকা উচিৎ--বর্তমান সরকার ২০০৯ ইং সালের অবাধ নির্বাচনে ভূমিধ্বস বিজয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় ফিরে এলে সদ্য ক্ষমতা হারানো "ওবামা সরকারের বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন বিষয়ে নগ্ন হস্তক্ষেপের একাধিক চেষ্টা জাতির জনকের কন্যার সরকার কতৃক স্বভাবসূলভ দৃড় মনোভাবের মাধ্যমে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর বর্তমান রাষ্ট্রদূত "বার্ণিয়াকট"কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করে পাঠানো হয়।" বর্তমান ট্রাম্পের নেতৃত্বে মার্কিনীদের নতুন সরকার গঠিত হলে--"অন্যান্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহার করা হলেও বার্ণিয়াকটকে প্রত্যাহার করা হয়নি।"

       লক্ষনীয় বিষয়টি হচ্ছে--মানবতাবিরুধী বিচার অনুষ্ঠান বানচালে তাঁদের সরকার ও বিরুধীদলের যৌথ প্রচেষ্টা ব্যার্থ্য হওয়ার পর,তাঁর সরকারের উচ্চ পয্যায়ের প্রতিনীধি দল বাংলাদেশ সফরে পাঠিয়ে বিচার সংক্রান্ত বিষয়ে শেখ হাছিনা সরকারের  মনোভাব পরিবর্তনের চেষ্টারত: অবস্থায় বাংলাদেশ সরকারের সাবেক মন্ত্রী জনাব "আশরাফুল ইসলাম" কতৃক সফরত: প্রতিনীধি দলের প্রধানকে উদ্দেশ্য করে "চার আনার মন্ত্রী" সম্ভোধনের মাধ্যমে চরম অবহেলার বহি:প্রকাশ ঘটালে দেশে বিদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।দেশের অভ্যন্তরে তাঁদের নিয়োগ দেয়া তথাকথিত সুশিলগন বাংলাদেশের ভবিষ্যত রাজনীতি কন্টাকাকির্ন, মন্ত্রীর অযাচিত আচরন, কূটনৈতিক বিধিবহির্ভুত আচরণ, বাংলাদেশের উপর চরম বিপদের বোঝা তুলে দেয়ার--"বর্তমান সরকারের ষড়যন্ত্র ইত্যাদি নানাহ মন্তব্যে বাংলাদেশের জনগন ও সরকারকে বিব্রত করার চক্রান্তে লিপ্ত হয়"।

    মার্কিন সরকার তাঁদের এদেশীয়-দোষরদের মাধ্যমে ২০১৪ ইং সালের সাধারন নির্বাচনকে উপলক্ষ করে দেশব্যাপি নাশকতা, আগুন বোমায় মানুষ হত্যা, ধর্মীয় গোষ্টিগুলিকে মাঠে নামিয়ে লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি কর্মকান্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগীতার মাধ্যমে ৭২--৭৪ এর ভুমিকায় অবতির্ন হয়ে শেখ হাসিনার সরকারের উপর চরম প্রতিশোধ গ্রহন করার চেষ্টায় লিপ্ত হয়। বাংলাদেশের উপর আন্তজাতিক চাপ অব্যাহত রাখার উদ্দেশ্যে ওবামা সরকার বাংলাদেশ ভ্রমনে রেড এলার্ট জারি করে।

    জাতির জনকের কন্যার সরকার দৃডতার সঙ্গে উল্লেখিত ষড়যন্ত্র শান্তিপূর্ন ভাবে প্রতিহত করে দেশকে 'অনিবায্য গৃহযুদ্ধে'র হাত থেকে রক্ষা করে দেশের স্থীতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হন। শেখ হাসিনা একদিকে দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্র মোকাবেলা, অন্যদিকে বাংলাদেশের আর্থিক সংকট মোচন, দারিদ্র নিরসন, সামাজিক বৈসম্য দুরিকরন, দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহনে কোনপ্রকার কার্পন্য বা শিথিলতা প্রদর্শন না করার নীতিতে অটল থাকেন।

        শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অর্থনৈতিক প্রধান হাতিয়ার প্রথম মেঘা প্রকল্প "পদ্মা সেতু"কে তাঁরা ইস্যু হিসেবে গ্রহন করে সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার চক্রান্তে লিপ্ত হয় তাঁদের এদেশীয় চর 'ড. ইউনূস' গংদের মাধ্যমে।শেখ হাসিনা নিজস্ব তহবিলে মেঘা প্রকল্প " পদ্মাসেতু"  করার দৃড সংকল্প ব্যাক্ত করলে দেশে বিদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। মার্কিনীদের এদেশীয় দোষরগন এহেন সিন্ধান্ত অলীক কল্পনা, বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক গভীর সংকটে নিমজ্জিত করার ষড়যন্ত্র ইত্যাদি নেতিবাচক প্রচার অব্যাহত রেখে জনমনে সন্দেহ অবিশ্বাস সৃষ্টির কৌশল গ্রহন করে। বাংলাদেশের অর্থনীতির আজব সব তথ্য তুলে ধরে নেতিবাচক প্রচার, সরকারের দুর্নীতির মোক্ষম সনদ ইত্যাদি ন্যাক্কারজনক অপ-প্রচার রাতবিরাতে ইলেকট্রোনিক মিডিয়া, পত্রপত্রিকা সহ অন-লাইনের হাজার হাজার পোর্টালে  অব্যাহত রাখতে দেখা যায়।

       উল্লেখিত সময়ে সরকারের অধিকাংশ নীতিনির্ধারক, বিদেশী বন্ধু ও বন্ধুরাষ্ট্র, আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতা,  কতিপয় বুদ্ধিজীবি বিভ্রান্ত হলেও শেখ হাসিনা ছিলেন নির্ভিক, দৃড, কৌশলী, ধৈয্যশীল। ষড়যন্ত্রের মাত্রা যতবেশী ঢালপালা মেলে ধরেছে 'শেখ হাসিনা'র দৃডতা ততবেশী শক্তি, সামর্থ্য, একাগ্রতার প্রতি নিবিষ্ট হতে দেখা গেছে। ফলে--সরকারের দৃড মনোবল, সততা, সৎসাহষের নিকট সকল অপ-শক্তির সম্মিলিত ষড়যন্ত্রের প্রয়াস স্তিমিত হতে বাধ্য হয়।

  বাংলাদেশের উপর শকূনের কালচায়ার মেঘ দুরিভূত হয়ে  শান্তি শৃংখলা ফিরে এলে একের পর এক বিদেশী রাষ্ট্র ও সংস্থা সমূহ সরকারের গানিতিক উন্নয়নের ধারাকে "বিশ্ববাসির রোল মডেল" জাতিসংঘ কতৃক  "ধরিত্রীর মানষকন্যা" এবং কি বিশ্বব্যাংক কতৃক তাঁদের বার্ষিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুল্যায়নে "নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ" হিসেবে ইতিবাচক অর্জনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা শুরু হয়। তৎক্ষনাৎ 'ওবামা প্রসাশন' রাতারাতি "বাংলাদেশ সংক্রান্ত নীতি পরিবর্তন" করে "মানবতা বিরুধী বিচার স্বচ্ছ, সুষ্ঠ, আন্তজাতিক মানের এবং বাংলাদেশকে আগামী দিনের দক্ষিন এশিয়ার অর্থনৈতিক টাইগারের অভিধায় অভিষিক্ত করতে থাকে।

মুলত: তাঁদের সকল চক্রান্ত ব্যর্থ হওয়ার পর "বার্ণিয়াকটের" ন্যায় দুরদর্শী কুটনৈতিক এবং তাঁর সরকারের উপলব্দিতে এসেছে দীর্ঘ "অর্ধশত বছর"  একদিকে দেশ পরিচালনায় অভিজ্ঞ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির লাগাতার নেতৃত্ব হত্যা, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বুদ্ধিজীবি নিধন, অ-সাম্প্রদায়িক চেতনার ধারক বাহক মুক্তমনা লেখক, ব্লগার, সাহিত্যিক, সাংবাদিক হত্যা, রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি, একক বাংলাদেশী রপ্তানী পন্যের উপর শুল্ক আরোপ করে অর্থনৈতিক বিধিনিষেদের গ্যাড়াকলে নিক্ষেপ, জাতির জনকের পরিবার ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লাগাতার গোয়েবলসীয় মিথ্যাচারের প্রশ্রয়দান ইত্যাদি অপকর্ম অব্যাহত রাখে মার্কিন রাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন সকল সরকার।

     অন্যদিকে জাতির জনকের শাষনামল থেকে অদ্যাবদি স্বাধীনতা বিরুধী শক্তির চরম  উত্থান,  মুক্তিযুদ্ধের বিরুধী শক্তিকে নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠা ও সরকারে অংশ গ্রহন নিশ্চিতকরন, সরকারের দেশ রক্ষাবাহিনী সহ একাধিক শাখা প্রশাখায় দেশবিরুধী মীরজাফর ক্রয় ও সৃষ্টি, ধর্মীয় নৈতিকতা সম্পন্ন সাধারন মসুলমান সমাজের আস্থাশীল 'আলেম ওলামাদে'র ধর্মীয় নৈতিক শক্তির চরম উত্থান ঘটিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে কৌশলে কাজে লাগানোর চক্রান্ত, সন্ত্রাসী জঙ্গিগোষ্টির উত্থানে অ-প্রকাশ্য মদদদান, চরমপন্থি মাওবাদি জলদুস্যুদের উত্থান, শান্তিবাহিনীকে প্রচ্ছন্ন সহযোগিতার মাধ্যমে আলাদা ভূখন্ড ও স্বাধীনতার দাবী উত্থাপনে সার্বিক সহযোগীতা প্রদান, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল নিয়ে আলাদা "বঙ্গদেশ" গঠনের চক্রান্তের উস্কানী ও প্রত্যক্ষ সমর্থন,, বার্মা, ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদিদের ঘাঁটি বাংলাদেশের ভুখন্ডে স্থাপন ও ভুমি ব্যাবহারে তাঁদের সৃষ্ট সরকারের প্রচেষ্টাকে সর্বাত্মক সমর্থন, নাশকতা, অস্থিরতা, রাজনৈতিক শুন্যতা সৃষ্টি, সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টির বহুবিদ প্রচেষ্টা এযাবৎকাল বাঙ্গালী জাতি রক্তের সাগরের বিনিময়ে উপলব্দি করেছে।

মার্কিনীদের মানবতা বিরুধী, বিশ্বসমাজে ধিকৃত সকল ষড়যন্ত্র  গ্রহন ও সফল বাস্তবায়ন সত্বেও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তি জাতির জনকের জৈষ্ঠ কন্যার সুদক্ষ নেতৃত্বে মাত্র ২১ বছরের মাথায় হার না মানা  অদম্য উত্থান তাঁদের হীন মানবতা বিরুধী কূটকৌশলের দ্বারা রোধ করা সম্ভব না হওয়াই বর্তমান বাংলাদেশের স্থীতিশীল রাজনৈতিক অবস্থাকে ' "বিচিত্র রাজনৈতিক ধারা মনে হচ্ছে  বার্নিয়াকট ও তাঁর সরকারের।"

নি:সন্দেহে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারি দল, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা, বাঙ্গালী জাতির জাতিয়তাবোধের উম্মেষদাতা, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম রাষ্ট্রনায়ক।এর আগে হাজার বছরের ইতিহাসে বাঙ্গালী জাতির আলাদা ইতিহাস, সংস্কৃতি, কৃষ্টি এবং কি আলাদা ভূখন্ড থাকা সত্বেও একদিনের জন্যেও নীজেদেরকে শাষন করার ক্ষমতা লাভ করেনি বা বাঙ্গালী জাতি স্বাধীনতার স্বাদ উপভোগ করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুই একমাত্র প্রথম বাঙ্গালী নেতা যিনি দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে উদ্ভোদ্ধ করে পশ্চিমা শাষকদের বিতাড়ন করে স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং সেই স্বাধীন দেশের প্রথম রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে অধিষ্ঠিত হতে পেরেছিলেন।

সঙ্গতকারনে মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগের এই দেশের প্রতি মায়া সর্বাপেক্ষা বেশীই থাকবে। মা গর্ভে সন্তান ধারন করেন বলেই তাঁর কষ্ট বাবার চাইতে বেশী  থাকে এবং মায়ের আন্তরীকতাও বাবার আন্তরিকতার চাইতে হাজার গুন বেশী। সঙ্গতকারনে আওয়ামীলীগের গর্ভে জম্ম নেয়া দলের দেশপ্রেম নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের প্রশ্ন উত্থাপন সময়ের ব্যবধানে বাংলাদেশের জনগনের নিকট ফ্যাকাসে হয়ে যায়। ফলে চার দলীয় জোট সরকার, তাঁদের বিদেশী শক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ অন্যান্ন প্রভুদের নিয়ে,  বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার ষড়যন্ত্রের ভীত যতই শক্তিশালী করেছে জনগনের ইস্পাত কঠিন, সুদৃড ঐক্যের উপয্যপুরী আঘাতে ক্ষমতার সেই ভীত তছনছ করে মুক্তিযুদ্ধের দল, স্বাধীনতার দল, মা মাটির দল আওয়ামী লীগ এবং তাঁর নেত্রী জাতির জনকের জৈষ্ঠকন্যা শেখ হাসিনাকে ২০০৯ ইং সালের সাধারন নির্বাচনে ভুমিধ্বস বিজয়ের মালা পরিয়ে বাংলাদেশের ক্ষমতার মসনদে ফিরিয়ে আনে।

এমতবস্থায় তাঁদের এতদিনকার ষড়যন্ত্রের ফসল অ-শুভশক্তির পাহারাদার বিএনপিকে রাজনীতির মাঠে ধরে রাখাই তাঁদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে দেখা দিয়েছে। বহুবীদ ধারায় চেষ্টার পরেও তাঁদেরকে রাজনীতির মাঠে, জনগনের মাঝে ফিরিয়ে এনে নতুনভাবে ষড়যন্ত্রের চক তৈরীর চেষ্টা বিগত কয়েকবছর যাবত: পরিলক্ষিত হচ্ছে। চারদলীয় জোট সরকার যখন তাঁদের মনোনীত প্রেসিডেন্টকে কারো সাথে সামান্য আলোচনা ব্যতিরেকে তত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান মনোনীত করেছিল-- তখন বিদেশী প্রভুদের মুখে কোন কথাই ছিলনা।একতরফা "সায়েদ আলী নির্বাচন কমিশন নিয়োগ" দেয়ার পরেও প্রভুরা সকলেই ছিলেন চুপ। উপোয্যপূরী চারদলীয় সরকার দুর্নীতিতে পাঁছবার প্রথম স্থান অধিকার করে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিশ্বদরবারে ভুলুন্ঠিত করার পরেও বাংলাদেশকে রাজনৈতিক সুবিধাদান বন্ধ করেনি প্রভুরা। চারদলীয় জোটের সরকার বহাল তবিয়তে দোদন্ড প্রতাপে আওয়ামী নিধন আভিযান পরিচালনায় ব্যাস্ত থাকলেও জঙ্গিগোষ্টির নায়ক "বাংলা ভাইয়ের"  উত্থান এবং প্রকাশ্য পুলিশী পাহারায় জঙ্গিমিছিল, একযোগে ৬৪ জেলায় বোমা হামলা, ২১শে আগষ্ট প্রশাসনের সহযোগীতায় শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বোমাহামলার মাধ্যমে নারকীয় হত্যাকান্ড সংঘটিত করার পরেও বাংলাদেশ তাঁদের নিকট বিপদজ্জনক রাষ্ট্রের তালিকায় স্থান পায়নি, বরঞ্চ মর্ডান ইসলামী দেশ হিসেবে বাহবাই দিতে দেখা গেছে।

বাংলাদেশের বিদ্যমান বিরুধীদলের কোনপ্রকার সহযোগীতা ব্যাতিরেকে, বরঞ্চ সর্বক্ষেত্রে চরম বিরুধীতা সত্বেও এবং বিশ্বমোড়লদের খবরদারির একাধিক ইস্যুকে  বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে জাতির জনকের কন্যা--"কষ্টার্জিত স্বাধীনতাকে অর্থবহ করার উদ্দেশ্যে সর্বক্ষেত্রে গনতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রেখে দেশ পরিচালনা করে চলেছেন। তিনি ইতিমধ্যে মাত্র আটবছরের শাষনে বাংলাদেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে তুলে আনতে সক্ষম হয়েছেন।

এমনতর মহুর্তে বেগম খালেদা জিয়াকেও যদি নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয় তাহলেও তিনি তাঁকেই মানবেন কিনা যথেষ্ট সন্দেহ--" প্রশ্নটি ইতিমধ্যে জনমনে ঘুরপাক শুরু করেছে"। মুলত: তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল সরকারকে অনির্দিষ্টকালের ক্ষমতা উপভোগের সুযোগ দিয়ে নির্বাচন কমিশন,  নির্বাচনকালিন সরকার সম্পর্কে দফায় দফায় আলোচনার নামে সময়ক্ষেপন করে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার চক্রান্ত কায্যকর করে নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করা।খালেদা জিয়ার নির্বাচন কমিশন সংস্কার সংক্রান্ত প্রস্তাব লক্ষ করলেই আমার বক্তব্যের সত্যতা প্রতিষ্ঠিত হবে আশা করি।

না চাইতে বজ্রপাত অসময়ে তাঁদেরকে বিব্রত, হৎচকিত, বেসামাল করে দিয়েছে এবং সকল অশুভ পরিকল্পনা ভন্ডুল করে দিয়েছে--"আমি মনে করি"।রাজপথে বিরুধী দলের কোনরুপ আন্দোলন, সংগ্রাম, হরতাল, অবরোধ ব্যাতিরেকেই বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদান্তে সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি কতৃক সার্চ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়াকে বর্তমান সরকার সর্বাত্মক সহযোগীতা দিয়ে সফলভাবে  সরকার তাঁর নৈতিক দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করেছে।যাহা গনতান্ত্রিক সরকারের নৈতিক দায়িত্ব হিসেবে বিবেচিত এবং দেশের অভ্যন্তরে ও বহিবিশ্বে সমাদৃত হয়েছে এবং হচ্ছে।ইহাই তাঁদের নিকট সর্বাপেক্ষা বিব্রতকর বিষয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

       মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধারাই সর্বক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করবে  এবং ইহাই স্বাভাবিক।প্রধান নির্বাচন কমিশনারও একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। বাংলাদেশের জনগনের আখাংকাও মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠসন্তান হিসেবে মুল্যায়িত হোক।-অ-শুভশক্তি এবং তাঁদের প্রেতাত্বারা স্বাধীন দেশের আবাহাওয়ায় বাস করে, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে জাতির জনককে স্ব-পরিবারে হত্যা করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে। সম্মিলীত অশুভচক্র দীর্ঘ ত্রিশ বছরের অধিক মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে লুটেপুটে হৃষ্টপুষ্ট হয়ে "মুক্তিযোদ্ধা নির্বাচন কমিশনারে"র প্রতি প্রকাশ্য অনাস্থা দেয়ার সাহষ দেখায়।
ইহাও মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে শান্তি, স্থীতিশীলতা বজায় রেখে  চলমান উন্নয়ন, অগ্রগতি নিরবচ্ছিন্ন রেখে জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের জনগনের সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি, সর্বপরি জীবনমান উন্নয়ন, উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মান নিশ্চিত করে স্বাধীনতার স্বাদ ঘরে ঘরে পৌছে দেয়ার স্বার্থে মেনে নিতে হচ্ছে।

                 মাকিন রাষ্ট্রদূত কি জানেন না--একক ধারার মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে অস্থীতিশীল করার চক্রান্তে নিক্সন--হেনরী কিসিঞ্জার সভ্যতার সকল মাপকাঠি অবজ্ঞা করে খাদ্য সাহায্যের চালান ফেরৎ নিয়ে লাখ লাখ বাঙ্গালীকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়ার ষড়যন্ত্র? তিনি কি বেমালুম ভুলে গেছেন- সম্মিলীত দেশবিরুধী অ-শুভশক্তিকে নতুন বাংলাদেশের নতুন সরকারের বিরুদ্ধে অরাজকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে তাঁর সরকারের অর্থ ও অস্ত্র সাহায্য দেয়ার ইতিহাস। তিনি এবং তাঁর সভ্য জাতি কি বেমালুম চেপে যেতে চাইছেন-- জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে হত্যার ষড়যন্ত্রে প্রকাশ্য অ-প্রকাশ্য সহযোগীতা দিয়ে বহু মত ও পথের বিচিত্র রাজনীতির উত্থান তাঁর দেশের সরকার ঘটাতে প্রত্যক্ষ সাহায্য সহযোগীতা করেছিলেন? জাতির জনকের দশবছরের উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্নকে ধুলিসাৎ করে দীর্ঘ পাঞ্চাশবছর পর উপলব্দিতে এসেছে তাঁর এবং তাঁর সরকারের--"বাংলাদেশের রাজনীতির বিচিত্রতা!!!" যতই তালবাহানা করা হোকনা কেন বাংলাদেশ, বাঙ্গালী জাতি কখনই ভুলবেনা তাঁদের মুক্তিযুদ্ধে বিরুধীতার ইতিহাস, খাদ্যের চালান ফেরৎ নিয়ে লাখ লাখ বাঙ্গালী হত্যার অমানবিক ইতিহাস, বাঙ্গালী জাতি কখনই ভুলবেনা--"অবহেলা, অবজ্ঞার করুন সেইসব দিনের অমলিন স্মৃতি।"
ruhulaminmujumder27@gmail.com
"জয়বাংলা          জয়বঙ্গবন্ধু"

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা