বর্তমান যুগে একমাত্র নিয়ন্তর গনতন্ত্র চর্চার মাধ্যমে "বিশ্বমানবতার মুক্তির ধর্ম ইসলাম" প্রতিষ্ঠা সম্ভব।
   (রুহুল আমিন মজুমদার)

    গনতন্ত্র আসলে কি? বিভিন্ন রাষ্ট্রনায়ক থেকে দার্শনিক, মনীষিরা গনতন্ত্রের সংজ্ঞা যেভাবে দিয়েছেন ঐ সংজ্ঞাও যদি বিশ্লেষন করি তাহলেও গনতন্ত্রের আগে পরে কোন বিশেষনের প্রয়োজন হয়না।জনকল্যান মূখি রাষ্ট্রব্যাবস্থা গঠনকল্পে গনতন্ত্রে নেই এমন কোন  নীতি অবশিষ্ট নেই।যতসব ভাল,উন্নত, সমৃদ্ধ গুনাবলি সব ভাল গুনাবলি গনতন্ত্রে উপস্থিত।শুধুমাত্র একটা দিক খারাপ বলা যেতে পারে, গনতন্ত্রের অন্যতম একটি বাহন জনগনের সরাসরি মতামতে বা ভোটে নেতা নির্বাচনে অনেক সময় খারাপ লোকও নির্বাচিত হয়ে যেতে পারে।
    জনগনের সরাসরি ভোটে বলতে কি উপস্থিত সকলের? না, সকলের নয়- ম্যাজরিটির বা বেশীর ভাগ উপস্থিতির। ম্যাজরিটির মতামতকে মাইনোরিটি মেনে নিতে হয়। বৃহদাংশের মত ক্ষুদ্র অংশের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে  বলা হলেও গনতন্ত্র অর্থহীন।সকলের মত কোন অবস্থায় এক হয়না,একক যেহেতু হয়না গ্রহন করার প্রশ্নই উঠেনা। সকলের ভিন্ন ভিন্ন অভিমত  গ্রহন করতে গেলে শৃংখলাই থাকেনা।বৃহদাংশের মতামতকে মেনে নিতে শৃংখলিত করার রীতিকেই বলে 'গনতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতা'।'গনতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতা' সফল করার নিমিত্তে প্রথমেই প্রয়োজন সহনশীলতা। সহনশীলতা সাধারনত: ব্যাক্তির চরিত্রে একদিনে বা একাধিক বছরেও অর্জিত হয়না,  ব্যাক্তির চরিত্রে ধারন করার জন্যেও প্রয়োজন হয় নিবিড় চর্চার।

উনিশ শতকের মাঝামাঝি সমাজতন্ত্র ও সাম্যবাদ বিশ্বব্যাপি তরুন সমাজকে নাড়া দিতে পেরেছিল। বিশ শতকের মধ্যভাগে ‘সমাজতন্ত্রের’ জনপ্রিয়তা আকাশচুম্ভি আকার ধারন করেছিল।এমনও ভাবা হ'ত প্রকৃত সমাজতন্ত্র হচ্ছে গণতন্ত্রের উচ্চতর রূপ। কোন কোন দেশে অতি গনতান্ত্রিক বা সমাজতান্ত্রিক বুঝানোর অর্থে গনতন্ত্র বা সমাজতন্ত্রের আগে পরে যুৎসই অন্য একটা শব্দ যোগ করে দিতেন।পরবর্তীতে দেখা গেছে গনতন্ত্রের উচ্চরুপ সমাজতন্ত্রতো নহেই গনতন্ত্রের ধারে কাছেও নেই।উক্ত বিশেষন সম্পুর্ণ ফ্যাসিষ্ট শাষনকেও হার মানায়। উদাহরণ হিসেবে উত্তর কোরিয়ার কথা বলা যায়। দেশটির মুলত: নাম "ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অব কোরিয়া।" উত্তর কোরিয়ায় কেমন ডেমোক্রেসি আছে বা কয় জন পিপল রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণে অংশ নিতে পারে, কমবেশি আমরা সবাই জানি।  গালভরা বুলি কপচে যতই তন্ত্রমন্ত্রের গুণগান করা হোক না কেন, তা যে আসলেই কত ঠুনকো, অন্তঃসারশূন্য, তা এ ধরনের দেশের হালচাল দেখলেই বোঝা যায়।

  আমাদের অত্যান্ত নিকটের দেশ শ্রীলঙ্কা।সাংবিধানিক  নাম "ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্ট রিপাবলিক অব শ্রীলঙ্কা।" বাইরে থেকে আমরা অনেকেই ওই দেশের ভেতরের খবর জানি না বা রাখি না। ওই দেশের অনেক নাগরিক মনে করেন ওখানে গণতন্ত্রের ছিটেফোঁটাও নেই। সমাজতন্ত্র তো নির্বাসনে গেছে অনেক আগেই। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে মানবাধিকারের রেকর্ড তলানিতে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শ্রীলঙ্কাই সবার আগে বিদেশি পুঁজির জন্য দরজা খুলে দিয়েছিল। শাষনব্যবস্থার ভুলের কারনে বিদেশী ঋণের ভারে দেশটির অর্থনীতি অনেকটাই নিস্তেজ হয়ে পড়েছে।

       একসময় বিশ্বের দেশে দেশে রাজা-রানিদের শাসন ছিল। এখন অবশ্য বিশ্বব্যাপি না থাকলেও অঞ্চলভেদে দেখা যায়। আরব দেশগুলোতে এখনো রাজা-বাদশাহরা দণ্ডমুণ্ডের কর্তা, কিন্তু ইউরোপের দেশগুলোতে রাজা-রানিরা সংবিধানের আলোকে অলংকারমাত্র, কিন্তু প্রজা সাধারন যথেষ্ট সম্মান ভক্তি বজায় রেখেছে। প্রজাতন্ত্র হলেই যে প্রজাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। প্রজাতন্ত্রের নামের আড়ালেও স্বৈরশাসন থাকতে পারে, বাংলাদেশ তাঁর যুৎসই উদাহরন হতে পারে।বিগত চল্লিশ বছরে দুই সরকারের দাপুটে মন্ত্রী ব্যারিষ্টার মওদূদ নীজেই স্বিকার করে বলেছেন --বাংলাদেশে গত চল্লিশবছর গনতন্ত্র এবং সুশাষন ছিলনা।উল্লেখ্য কথিত চল্লিশ বছরের মধ্যে তাঁর শাষিত  দল বিএনপি, জাতিয় পার্টির শাষনই ছিল ত্রিশ বছরের অধিক।

  আমরা আলংকারিক শব্দ বা বিশেষন যুক্ত শব্দসমষ্টি ভালবাসি। সংবিধানে কোন শব্দটি আছে বা নেই, কোনটা ঢুকল বা বাদ পড়ল, তা নিয়ে আমরা তুলকালাম করি। ১৯৭২ সালে আমাদের সংবিধানের প্রস্তাবনায় 'পরম' 'পবিত্র' খাঁটি মসুলমানি শব্দরাজির ব্যবহার ছিল। ‘রাষ্ট্রীয় মূলনীতি’ গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা আর জাতীয়তাবাদ ছিল। এখনও আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষ এই শব্দগুলোর অর্থ বোঝেন কি না বা ব্যাখ্যা জানেন কি না, তা নিয়ে আমার মনে ঘোরতর সন্দেহ আছে। তারপরও আমরা এই শব্দগুলো নিয়ে কতই-না হইচই করি, হাঙ্গামা বাধাই।

     গনতন্ত্র একটি সম্পুর্ণ শাষন ব্যবস্থা আগেই বলেছি। পরবর্তিতে সমাজতন্ত্র, ধর্ম নিরপেক্ষতার কি প্রয়োজন ছিল? গনতন্ত্রের উচ্ছতর রুপ সমাজতন্ত্র মেনে নিলে সমাজতন্ত্রের কোন প্রয়োজনীয়তা থাকেনা।তেমনি ধর্ম, বর্ণ, গোষ্টি, লিঙ্গ, জাতিভেদ যেহেতু গনতন্ত্রে কোন স্থান নেই ধর্মনিরপেক্ষতার কি প্রয়োজন থাকতে পারে? জাতীয়তার ব্যাপারটি স্বতন্ত্র জাতি সত্বার উম্মেষ এবং কখনই এই জাতির শাষন ক্ষমতা, স্বাধীনসত্বা ছিলনা বুঝাতে প্রয়োজন ছিল কিন্তু সমাজতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতার প্রয়োজন ছিলনা--'তথাপি সংযোজিত হয়েছিল'।

   বর্তমানে একদল মানুষ গনতন্ত্র পুর্ণোদ্ধারের সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছেন।তাঁরা সকলেই '৭২এর পবিত্র সংবিধানে 'রাষ্ট্রধর্ম এবং বিসমিল্লাহ সংযোজনকারি।' রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম বহাল রাখার জন্যে শহিদ হতেও প্রস্তুত কিন্তু গনতন্ত্র পুণো:দ্ধারের সংগ্রামও চালিয়ে যাচ্ছেন। গনতন্ত্রের সংজ্ঞায় বা গনতন্ত্রে ধর্ম, জাতি, লিঙ্গ ভেদাবেদ সমর্থন করে? নিজেদেরকে  বহুদলীয় গনতন্ত্রের প্রবক্তা কেন বলেন? গনতন্ত্র কি একদলীয়?

      একদল মৌলভি নতুন করে বের হয়েছেন--তাঁদের জম্ম ১৯৭১ ইং সালে।- বাঙ্গালী জাতি যখন তাঁদের স্বাধীকারের লড়াইয়ে, মুক্তির লড়াইয়ে পাকিস্তানি উপনিবেশিক শাষক শোষকের বিরুদ্ধে মরণপণ লড়াইরত: ছিল; তখন চুপিসারে চট্রগ্রামের পটিয়ায় মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে। উক্ত মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারেও নানাহ কাহিনী উক্ত জনপদে প্রচলিত আছে। আমি সেদিকে যেতে চাইনা---"তাঁরাও গনতন্ত্র চান, আবার ভাস্কায্য সরানোর আন্দোলনও করেন"।

      গনতন্ত্রের শিক্ষাই হচ্ছে সৃজনশীল কাজের উৎসাহ প্রদান, শিল্প, সংস্কৃতির লালন।গনতন্ত্র চাইলে ভাস্কায্য কেন সরাতে হবে? গনতন্ত্রই যদি চান নারী কেন হিজাব পড়বে, ভাইয়ের সমান সম্পত্তি বোন পাবে না কেন বা নারী তাঁর অর্জিত সম্পদের মালিক হতে পারবে না কেন? এককথায় ইসলাম সমর্থন করেনা--এই তো?

     সমর্থন করেনা বলেই তো ইসলাম গনতন্ত্র চর্চা করাকেও হারাম বলে। আপনি কেন গনতন্ত্র মেনে আন্দোলন সংগ্রাম, বক্তৃতা, বিবৃতি দেন? আপনি কি ইসলাম ধর্মের মধ্যে আছেন?বলতে পারেন গনতন্ত্র মানিনা--"গনতন্ত্র যদি নাইবা মানেন বিবৃতি প্রকাশ করেন কোন শাষনাধীনে, কিভাবে? কোন শাষনাধীনে, কিভাবে গনতন্ত্রকে অনুসরন করে মিছিল মিটিং, সভা, সমাবেশ, অবস্থান ধর্মঘট করেন? আপনারাই-তো বলেন--"ইসলাম ধর্মে  গনতন্ত্র অনুসরন, অনুকরন, বিশ্বাস, লালন সম্পূর্ণ হারাম"। তাহলে আমরা বলতে পারি--"আপনারা নিশ্চয়ই ইসলাম ধর্মভিত্তিক কোরানের আলোকে, নবী প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েমের লক্ষে পবিত্র ধর্ম ইসলামকে পরিচালিত করছেন না।"

      সৌদি আরব ইসলাম ধর্মের তীর্থভূমি।সৌদি বাদশাহ'র এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় ভাস্কায্য উম্মোচিত হতে পারলে বাংলাদেশে কেন সরাতে হবে? বাংলাদেশে কি কোরানের শাষন কায়েম করা হয়েছে? সরকার বলে গনতান্ত্রিক শাষন কায়েম করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি- আপনারা চাইতেছেন গনতন্ত্র পুর্ণোদ্ধার, মৌলবি সাহেবেরা গনতা। সকল পক্ষ যেহেতু গনতন্ত্রের পূজারি--সেহেতু ভাস্কায্য পেতে পারে সকল পক্ষের সম্মান, আন্দোলন হতে পারে তাঁর ভাবগাম্ভিয্য রক্ষার--তাই নয় কি?

   গ্রেট বৃটেনকে গনতন্ত্রের রাজা-রাণীর দেশ বলা হয়,শতববছর গনতন্ত্র চর্চা অব্যাহত রেখেছে বৃটেন।সেখানে গনতন্ত্রের বিধিবিধান অনুসরনের জন্যে লিখিত সংবিধানের প্রয়োজন হয়নি তাঁদের। দীর্ঘ দিনের প্রচলিত রীতিনীতিই তাঁদের জনগনের মনে স্থায়ি প্রভাব সৃষ্টি করে--অলঙ্ঘনীয় সংবিধানে পরিণত করেছে। কোনপক্ষ কতৃক প্রচলিত প্রথা বা রীতিনীতি ভঙ্গ করার উদাহরনও দেখা যায়না। সেখানে তাঁদের বিশ্ব শাষন করার ঐতিহ্য রাজপরিবারকে যথাযথ মায্যদায় লালন করে, রাজপরিবারের শাষনতান্ত্রিক ক্ষমতা উহ্য।গনতন্ত্র চর্চায় রাজ পরিবার বাধা হয়ে দাঁড়ায় না।

     "গনতন্ত্র" মানব সৃষ্ট এমন একটি শাষন ব্যবস্থা-"যে শাষন ব্যবস্থা মানব কল্যানে তাঁর অন্তনিহিত সকল শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে কল্যান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার নিয়ন্তর চেষ্টা অব্যাহত রাখে। গনতন্ত্র ধর্ম, জাতি, বর্ণ, লিঙ্গ, ধনি, গরিব, কাল, সাদা ইত্যাদি সকল বিষয়ে অন্ধ।কোন একটি বিষয় তাঁর উপর প্রভাব বিস্তারের অধিকার রাখেনা। গনতন্ত্রের কোন বিশেষন নেই, কোন অলংকার নেই, রঙ, রুপ, গন্ধ কিছুই নেই। সাদাকে সাদা, কালোকে কালো, হিন্দুকে হিন্দু, মুসলিমকে মুসলিম মেনে নিয়ে সকলের জন্যে সমমায্যদা রক্ষা করে নিজের ধর্ম সৃষ্টি করেছে "মানবধর্ম।" সুয্য যেমন তাঁর আলোতে পৃথিবীর সব কিছুতে সমভাবে আলো বিকিরণ করে; গনতন্ত্র তাঁর নিজের আলো "বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে মানবসেবার" উজ্বল আলোকরস্মির দ্বারা সবাইকে সমভাবে আলোকিত করে।
   সুতারাং মহান সৃষ্টিকর্তা ঘোষিত যুগের সাথে তালমিলিয়ে সকল জটিলতার মিমাংসা পূর্বক ইসলামকে আধুনিকায়ন ও যুগ উপযোগী করার লক্ষে কোরান ও হাদিসের আলোকে এগিয়ে নেয়াই হবে ধর্মীয় ব্যাক্তিত্বদের সময়ের দাবী পূরনের অন্যতম দুরদর্শিতার পরিচায়ক।
         ruhulaminmujumder@gmail.com


 

   

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা