প্রচলিত শিষ্টাচারের সম্মান দিতে রাজনীতি বিসর্জনের বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপিত।
(রুহুল আমিন
মজুমদার)
বাংলাদেশের সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কাউট প্রতিষ্ঠা বাধ্যতামূলক হলেও অনেক প্রতিষ্ঠানে এখনও তা গড়ে উঠেনি।যদিও প্রতিষ্ঠান কতৃপক্ষ নিয়মিত প্রত্যেক বছরই একবার স্কাউটিং ফি ছাত্র ছাত্রী ভর্তির সময়েই আদায় করে নিয়ে যায়।স্কাউটিং বিশ্বব্যাপি স্বীকৃত স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পয্যায়ে একটি কল্যানমূলক, মানষিক, শারিরীক, আত্মপ্রত্যয়ী, শৃংখলাবদ্ধ, অধ্যবাসায়ি, মানবিক প্রশিক্ষন প্রতিষ্ঠান। স্কাউটিং ছাত্রাবস্থায় নিয়মানুবর্তিতা, অধ্যবসায়, কায়িকশ্রম, প্রাকৃতিক দুযোগ মোকাবেলা, মানবসৃষ্ট দুয্যোগ মোকাবেলা সহ শহর বন্দরে ট্রাপিক নিয়ন্ত্রন, শীতবস্ত্র বিতরন, জনদুর্ভোগ লাগব সহ সকল সেবাধর্মী কাজের প্রশিক্ষন আয়ত্ব করার শিক্ষালয় বটে।
আইনশৃংখলা বাহিনী সহ দেশরক্ষায় নিয়োজিত নিয়মিত বাহিনীর অনুসরনে এখানেও সকল ধরনের প্রশিক্ষনের ব্যাবস্থা আবহমান কাল থেকে প্রচলিত রয়েছে। মানব তৌরন, মৃত্যুকূপ, মিশরের পিরামিড, ভয়াবহ ঝাম্পিং, অগ্নিনির্বাপন সহ অমানবিক বহু প্রশিক্ষনই দেয়া হয়ে থাকে আবহমান কাল থেকে।রোভার স্কাউটিংয়ে মেয়েদের সংখ্যাধিক্য লক্ষনীয় ছিল প্রশিক্ষনের সহজতায় কিন্ত্যু B. N. C. C. প্রশিক্ষন সেনা প্রশিক্ষনের ন্যায় কঠোর নিয়মানুবর্তিতা অনুসরন করেই দেয়া হয়ে থাকে।
স্কাউটিং এর স্তর বিন্যাস রয়েছে। স্কুল পয্যায়ে যে প্রকারের প্রশিক্ষন দেয়া হয় কলেজ পয্যায় বিভাগ অনুযায়ী আরো উন্নততর প্রশিক্ষন দেয়া হয়। ইহা অনস্বিকায্য নয় যে--'স্কুল কলেজের প্রত্যেক ছাত্র/ ছাত্রী স্কাউটিংয়ে অংশ গ্রহনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।' এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই--'স্কাউটিং করার জন্য শারিরীক যোগ্যতা একটি অন্যতম অনুসঙ্গ'। এমন অনেক ছাত্র /ছাত্রী আছে-তাঁরা অনেকে জানেও না তাঁদের স্কুল বা কলেজে স্কাউটিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। স্কুল কলেজের শ্রেনী কায্যক্রম শুরু করার অনেক আগেই তাঁদের প্রশিক্ষনের কায্যাদি শেষ করা হয় অথবা স্কুল,কলেজ ছুটির পর কায্যক্রম শুরু হতে দেখা যায়।শিক্ষাক্রম বহিভুত নিয়োগকৃত প্রশিক্ষক স্কাউটিংয়ের প্রশিক্ষন দিয়ে থাকে। অনেক প্রতিষ্ঠানে স্কাউটিংয়ের জন্যে আলাদা ভবনের ব্যবস্থাও চোখে পড়ে।
স্কাউটিং ছেলে মেয়েদের সেনাবাহিনীতে ভর্তি যথাযথ শিক্ষাগত যোগ্যতায় কমিশন কর্মকর্তায় উন্নতি ভর্তি পরবর্তি প্রশিক্ষন ক্ষেত্রে বিশেষ সহায়ক ভুমিকা পালন করে। ইন্টারমেডিয়েট পাস করার আগে বা পরে সরাসরি সেনাকর্মকর্তা ভর্তির জন্যে শারিরীক যোগ্যতা সম্পন্ন স্কাউটিং ছেলে মেয়েরা অগ্রাধিকার পেয়ে থাকে। এখানে আমার প্রশ্ন 'শারিরীক যোগ্যতা সম্পন্ন মাধ্যমিক স্কুল বা কলেজ পড়ুয়া ছাত্ররা কি আদৌ শিশু'? কোন কোন পত্রিকা "স্কুল পড়ুয়া শিশুদের দ্বারা মানব নির্মিত "পদ্মা সেতু"র উপর দিয়ে আওয়ামীলীগ নেতার হেঁটে যাওয়াকে অমানবিক আখ্যায়িত করার প্রয়াস লক্ষনীয় ভাবে তুলে ধরেছে!! পদ্মা সেতুর গুরুত্বের প্রতি জনমনে বিরুপ ধারনা তৈরির এহেন প্রয়াস অবশ্যই নিন্দনীয়, হুলুদ সাংবাদিকতার উৎকৃষ্ট প্রমান--'আমি মনে করি'। ঐ সমস্ত পত্রিকা কি জানেনা স্কাউটিং কখন, কিভাবে, এবং ইহার আদর্শ উদ্দেশ্য কি?
মুলত: স্কাউটিং চালু হওয়ার প্রাক্কালে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা দুরের কথা ভারতীয় উপমহাদেশ ব্যাপি কোন বড় সেতুও নির্মিত হয়নি।বাঁশের সাঁকো অথবা নৌকাই নদী পারাপারের একমাত্র মাধ্যম ছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২৫ ই মার্চ কাল রাতে পাক সেনা কতৃক আক্রান্ত হলে রোভার স্কাউট এবং 'বি, এন সি, সি'র ছেলেমেয়েরাই প্রশিক্ষনের জন্যে রক্ষিত গাঁদা বন্দুকের সাহায্যে প্রাথমিক প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। তাঁদের প্রশিক্ষন এতই যদি হালকা হ'ত ঐদিনের প্রতিরোধ যুদ্ধ কি আদৌ সম্ভব হ'ত?
উল্লেখিত মানব সেতু, মিশরের পিরামিড, মানব তৌরন প্রশিক্ষনের ক্ষেত্রে নতুন আবিস্কার নয় এবং কি আওয়ামী লীগ নেতার জন্যে আলাদা আবিস্কৃত কোন নতুন ইভেন্টও নয়। আবহমান কাল থেকে স্কাউটিং, সেনা, নৌ, বিমান, বিজেপি,পুলিশ বাহিনীতে এইরুপ অমানবিক, কষ্টদায়ক বহু বিকৃত প্রশিক্ষন ও শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে।ঐ সমস্ত প্রশিক্ষন ও শাস্তি লোক চক্ষুর অন্তরালে সংঘটিত হওয়ার কারনে আলোচনার বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়নি।
বন্দুকের ম্যাগাজিন লোড, ট্রিগারের উপর চাপ দেয়া শিখলেও যুদ্ধ করা সম্ভব। অযথা দেশে বিদেশে লাগাতার অমানবিক প্রশিক্ষনের কি আদৌ প্রয়োজন আছে? ১৭/১৮ বছরের তরুনেরা কেন শীতের মধ্যে ব্যারাকে না থেকে শীতকালিন মহড়ার নামে কাঁদাপানিতে ছোটাছুটি করবে? অযথা কেন ২০০/২৫০ কেজি ওজনের ভর নিয়ে মাইলের পর মেইল হামাগুড়ি দিতে হবে।গুলি বর্ষনের ক্ষেত্রে আদৌ কি উক্ত ওজন বহন করার প্রয়োজন হয় কখনও ? দাদা, বাবা ছেলে, ছেলের নাতি-পুতি অবসরের পরেও যুদ্ধ করার প্রয়োজন নাও হতে পারে-অযথা কেন কষ্ট দেয়া, ভুলের কারনে অমানবিক শাস্তি মেনে নেয়া, আদরের শিক্ষিত মেধাবি ছেলেটির--! কার হাতে শাস্তি ভোগ করে জানেন? -অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত হাবিলদার বা সুবেদারের ! তিনিই সেনা কর্মকর্তা সাহেবের প্রশিক্ষক--! ইহা কি অমানবিক, অযাচিত, ভারসাম্যহীন নয়? ঐ ছেলেতো বাবার একটা গরুও নেড়েছেড়ে দেখেনি কোনদিন।
মিশরের পিরামিড তৈরীতে এক বা একাধিক ছেলের উপর কয়জন ছেলের ভর উঠে--'কেউ কি জানেন? তৌরন নির্মানে অ-প্রশিক্ষন প্রাপ্ত এক বা একাধিক ছেলের উপর কয়জন ছেলের ভর উঠে কেউ কি দেখেছেন ? সামান্য ভুলের কারনে নিয়মিত বাহিনীর তরুন প্রশিক্ষন গ্রহনকারি ভাইটি কিরুপ শাস্তিভোগ করে,--বলতে পারেন? প্রশিক্ষনকালে কি ধরনের বিকৃত, অমানবিক, অমানষিক শাস্তির অ-লিখিত অনুমোদন প্রাপ্ত হন প্রশিক্ষক--'কেউ বলতে পারেন?' ঐ তুলনায় অনেকের উপর পায়ে পায়ে একজনের হেঁটে যাওয়া প্রশিক্ষন প্রাপ্ত ঐ ষড়যন্ত্রকারি পত্রিকার ভাষ্যনুযায়ী কথিত শিশুদের জন্যে একেবারেই নস্যি--"কারো বুঝার বাকি থাকার কথা নয়"।
বিদ্যালয় কতৃপক্ষ, এলাকাবাসি তাঁদের বক্তব্যে স্বীকার করেছেন এইরুপ মানব সেতু বহু আগ থেকেই তাঁদের বিদ্যালয়ে প্রচলিত আছে। প্রধান শিক্ষক নীজেই বলেছেন আমার আগের প্রধান শিক্ষক উক্ত সেতুর উপর দিয়ে হেঁটেছেন। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্কাউটিং করা বহু স্কুল কলেজে আরো ভয়াবহ ইভেন্টের উপস্থীতি বহুকাল আগে থেকেই রয়েছে, ইহা কারো অজানা নয়।
মুজিব সেনাদের উপলব্দিতে থাকা উচিৎ- সরকারের উচ্চ পদস্ত কর্মকর্তা হওয়ার জন্যে ইউনিভারসিটির সর্বশেষ ডিগ্রির প্রয়োজন, নিদেনপক্ষে দেশে বিদেশে বেতন ভাতাসহ প্রশিক্ষনের প্রয়োজন হয়।সফল ব্যাবসায়ী হ'তে কিছু পুজি এবং অধ্যবসায়ের প্রয়োজন। সাহিত্যিক, কলামিষ্ট, বুদ্ধিজীবি হতে প্রয়োজন সাধনা এবং জ্ঞান। কিন্তু একজন কর্মীকে নেতায় রুপান্তরে বহুকর্মীর ত্যাগ, জীবনহানী, সম্পদহানী, পরিবার পরিজন এবং কি অনেকক্ষেত্রে অনেক কর্মীর জৈবিক তাড়নাও বিসর্জনের দিতে হয়েছে।প্রতিষ্ঠিত নেতাও তাঁর জীবনের স্বর্ণময় সময়গুলী দল, দেশ এবং রাজনীতির জন্যে ব্যয় করেছেন। নেতা অনেকক্ষেত্রে সংসারধর্ম পালন করতেও পারেননি।আজীবন চিরকুমারব্রত পালন করার উদাহরন আমাদের চারপাশেই আছে। সময়ে নেতা কেরানী পদে চাকুরি নিলেও অফিসার হয়ে অবসর নিয়ে পরিবারের সুখ শান্তির মধ্যমনি হতে পারতেন--"কিন্তু তিনি সেই পথে যাননি একমাত্র--কর্মী, দল, রাজনীতির মোহে-ই।" এক্ষেত্রে হয়তবা কদাচিৎ ব্যতিক্রম থাকতে পারে-- তবে সর্বাংশে নয়।
আমি বহুবার তথ্য প্রমান দিয়ে বলতে চেয়েছি- বর্তমান সময়ে অপ-লাইনের পত্র পত্রিকা, ইলেকট্রোনিক মিডিয়া, সরকারের গোয়েন্দাবাহিনী সহ অপরাপর মাধ্যমগুলীর চাইতে অনেক গুন বেশী শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে আবিভুত হয়েছে "সামাজিক মাধ্যম পেইজ বুকিং।"অদ্য পয্যন্ত এই মাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টিকারি কোন ঘটনাই কতৃপক্ষের নজর এড়িয়ে যায়নি। যথাযথ ব্যবস্থা গৃহিত হওয়ার বহু উদাহরন তুলে ধরে বলার চেষ্টা করেছি এবং বলেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একান্ত আত্মীয়ও এক্ষেত্রে বাদ যায়নি।সুতারাং এই মাধ্যমটিতে সার্বক্ষনিক কাজ করা প্রত্যেক ইউজার বন্ধুদের আরো দায়িত্বশীল, বিষয়বস্তুর সম্পর্কে সম্যক ধারনা লাভ, ঘটনার উৎপত্তি, কারন ইত্যাদি সম্পর্কে আগেভাগে সম্যক জ্ঞান নেয়া প্রয়োজন মনে করি। হুজুগে অন্তত: মুজিব সেনারা জড়িয়ে পড়া উচিৎ নয়। সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার চক্রান্তে গা ভাসিয়ে দিয়ে দল, সরকার, নেতাকর্মী, শুভাকাংক্ষি, শুভানূধ্যায়ীদের সমুহ বিপদগ্রস্ত করা থেকে বিরত থাকা প্রত্যেকের নৈতিক এবং আদর্শিক দায়িত্ব--"আমি দৃডভাবে ইহা বিশ্বাস করি।"
ruhulaminmujumder27@gmail.com
"জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু"
লক্ষ করুন স্কাউটের পিঠের উপর আওয়ামীলীগ নেতা কোথাও একবারও বলা হয়নি,বলা হয়েছে ছাত্র / শিশুর পিঠে আওয়ামী নেতা বা উপজেলা চেয়ারম্যান।
(রুহুল আমিন
মজুমদার)
বাংলাদেশের সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কাউট প্রতিষ্ঠা বাধ্যতামূলক হলেও অনেক প্রতিষ্ঠানে এখনও তা গড়ে উঠেনি।যদিও প্রতিষ্ঠান কতৃপক্ষ নিয়মিত প্রত্যেক বছরই একবার স্কাউটিং ফি ছাত্র ছাত্রী ভর্তির সময়েই আদায় করে নিয়ে যায়।স্কাউটিং বিশ্বব্যাপি স্বীকৃত স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পয্যায়ে একটি কল্যানমূলক, মানষিক, শারিরীক, আত্মপ্রত্যয়ী, শৃংখলাবদ্ধ, অধ্যবাসায়ি, মানবিক প্রশিক্ষন প্রতিষ্ঠান। স্কাউটিং ছাত্রাবস্থায় নিয়মানুবর্তিতা, অধ্যবসায়, কায়িকশ্রম, প্রাকৃতিক দুযোগ মোকাবেলা, মানবসৃষ্ট দুয্যোগ মোকাবেলা সহ শহর বন্দরে ট্রাপিক নিয়ন্ত্রন, শীতবস্ত্র বিতরন, জনদুর্ভোগ লাগব সহ সকল সেবাধর্মী কাজের প্রশিক্ষন আয়ত্ব করার শিক্ষালয় বটে।
আইনশৃংখলা বাহিনী সহ দেশরক্ষায় নিয়োজিত নিয়মিত বাহিনীর অনুসরনে এখানেও সকল ধরনের প্রশিক্ষনের ব্যাবস্থা আবহমান কাল থেকে প্রচলিত রয়েছে। মানব তৌরন, মৃত্যুকূপ, মিশরের পিরামিড, ভয়াবহ ঝাম্পিং, অগ্নিনির্বাপন সহ অমানবিক বহু প্রশিক্ষনই দেয়া হয়ে থাকে আবহমান কাল থেকে।রোভার স্কাউটিংয়ে মেয়েদের সংখ্যাধিক্য লক্ষনীয় ছিল প্রশিক্ষনের সহজতায় কিন্ত্যু B. N. C. C. প্রশিক্ষন সেনা প্রশিক্ষনের ন্যায় কঠোর নিয়মানুবর্তিতা অনুসরন করেই দেয়া হয়ে থাকে।
স্কাউটিং এর স্তর বিন্যাস রয়েছে। স্কুল পয্যায়ে যে প্রকারের প্রশিক্ষন দেয়া হয় কলেজ পয্যায় বিভাগ অনুযায়ী আরো উন্নততর প্রশিক্ষন দেয়া হয়। ইহা অনস্বিকায্য নয় যে--'স্কুল কলেজের প্রত্যেক ছাত্র/ ছাত্রী স্কাউটিংয়ে অংশ গ্রহনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।' এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই--'স্কাউটিং করার জন্য শারিরীক যোগ্যতা একটি অন্যতম অনুসঙ্গ'। এমন অনেক ছাত্র /ছাত্রী আছে-তাঁরা অনেকে জানেও না তাঁদের স্কুল বা কলেজে স্কাউটিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। স্কুল কলেজের শ্রেনী কায্যক্রম শুরু করার অনেক আগেই তাঁদের প্রশিক্ষনের কায্যাদি শেষ করা হয় অথবা স্কুল,কলেজ ছুটির পর কায্যক্রম শুরু হতে দেখা যায়।শিক্ষাক্রম বহিভুত নিয়োগকৃত প্রশিক্ষক স্কাউটিংয়ের প্রশিক্ষন দিয়ে থাকে। অনেক প্রতিষ্ঠানে স্কাউটিংয়ের জন্যে আলাদা ভবনের ব্যবস্থাও চোখে পড়ে।
স্কাউটিং ছেলে মেয়েদের সেনাবাহিনীতে ভর্তি যথাযথ শিক্ষাগত যোগ্যতায় কমিশন কর্মকর্তায় উন্নতি ভর্তি পরবর্তি প্রশিক্ষন ক্ষেত্রে বিশেষ সহায়ক ভুমিকা পালন করে। ইন্টারমেডিয়েট পাস করার আগে বা পরে সরাসরি সেনাকর্মকর্তা ভর্তির জন্যে শারিরীক যোগ্যতা সম্পন্ন স্কাউটিং ছেলে মেয়েরা অগ্রাধিকার পেয়ে থাকে। এখানে আমার প্রশ্ন 'শারিরীক যোগ্যতা সম্পন্ন মাধ্যমিক স্কুল বা কলেজ পড়ুয়া ছাত্ররা কি আদৌ শিশু'? কোন কোন পত্রিকা "স্কুল পড়ুয়া শিশুদের দ্বারা মানব নির্মিত "পদ্মা সেতু"র উপর দিয়ে আওয়ামীলীগ নেতার হেঁটে যাওয়াকে অমানবিক আখ্যায়িত করার প্রয়াস লক্ষনীয় ভাবে তুলে ধরেছে!! পদ্মা সেতুর গুরুত্বের প্রতি জনমনে বিরুপ ধারনা তৈরির এহেন প্রয়াস অবশ্যই নিন্দনীয়, হুলুদ সাংবাদিকতার উৎকৃষ্ট প্রমান--'আমি মনে করি'। ঐ সমস্ত পত্রিকা কি জানেনা স্কাউটিং কখন, কিভাবে, এবং ইহার আদর্শ উদ্দেশ্য কি?
মুলত: স্কাউটিং চালু হওয়ার প্রাক্কালে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা দুরের কথা ভারতীয় উপমহাদেশ ব্যাপি কোন বড় সেতুও নির্মিত হয়নি।বাঁশের সাঁকো অথবা নৌকাই নদী পারাপারের একমাত্র মাধ্যম ছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২৫ ই মার্চ কাল রাতে পাক সেনা কতৃক আক্রান্ত হলে রোভার স্কাউট এবং 'বি, এন সি, সি'র ছেলেমেয়েরাই প্রশিক্ষনের জন্যে রক্ষিত গাঁদা বন্দুকের সাহায্যে প্রাথমিক প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। তাঁদের প্রশিক্ষন এতই যদি হালকা হ'ত ঐদিনের প্রতিরোধ যুদ্ধ কি আদৌ সম্ভব হ'ত?
উল্লেখিত মানব সেতু, মিশরের পিরামিড, মানব তৌরন প্রশিক্ষনের ক্ষেত্রে নতুন আবিস্কার নয় এবং কি আওয়ামী লীগ নেতার জন্যে আলাদা আবিস্কৃত কোন নতুন ইভেন্টও নয়। আবহমান কাল থেকে স্কাউটিং, সেনা, নৌ, বিমান, বিজেপি,পুলিশ বাহিনীতে এইরুপ অমানবিক, কষ্টদায়ক বহু বিকৃত প্রশিক্ষন ও শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে।ঐ সমস্ত প্রশিক্ষন ও শাস্তি লোক চক্ষুর অন্তরালে সংঘটিত হওয়ার কারনে আলোচনার বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়নি।
বন্দুকের ম্যাগাজিন লোড, ট্রিগারের উপর চাপ দেয়া শিখলেও যুদ্ধ করা সম্ভব। অযথা দেশে বিদেশে লাগাতার অমানবিক প্রশিক্ষনের কি আদৌ প্রয়োজন আছে? ১৭/১৮ বছরের তরুনেরা কেন শীতের মধ্যে ব্যারাকে না থেকে শীতকালিন মহড়ার নামে কাঁদাপানিতে ছোটাছুটি করবে? অযথা কেন ২০০/২৫০ কেজি ওজনের ভর নিয়ে মাইলের পর মেইল হামাগুড়ি দিতে হবে।গুলি বর্ষনের ক্ষেত্রে আদৌ কি উক্ত ওজন বহন করার প্রয়োজন হয় কখনও ? দাদা, বাবা ছেলে, ছেলের নাতি-পুতি অবসরের পরেও যুদ্ধ করার প্রয়োজন নাও হতে পারে-অযথা কেন কষ্ট দেয়া, ভুলের কারনে অমানবিক শাস্তি মেনে নেয়া, আদরের শিক্ষিত মেধাবি ছেলেটির--! কার হাতে শাস্তি ভোগ করে জানেন? -অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত হাবিলদার বা সুবেদারের ! তিনিই সেনা কর্মকর্তা সাহেবের প্রশিক্ষক--! ইহা কি অমানবিক, অযাচিত, ভারসাম্যহীন নয়? ঐ ছেলেতো বাবার একটা গরুও নেড়েছেড়ে দেখেনি কোনদিন।
মিশরের পিরামিড তৈরীতে এক বা একাধিক ছেলের উপর কয়জন ছেলের ভর উঠে--'কেউ কি জানেন? তৌরন নির্মানে অ-প্রশিক্ষন প্রাপ্ত এক বা একাধিক ছেলের উপর কয়জন ছেলের ভর উঠে কেউ কি দেখেছেন ? সামান্য ভুলের কারনে নিয়মিত বাহিনীর তরুন প্রশিক্ষন গ্রহনকারি ভাইটি কিরুপ শাস্তিভোগ করে,--বলতে পারেন? প্রশিক্ষনকালে কি ধরনের বিকৃত, অমানবিক, অমানষিক শাস্তির অ-লিখিত অনুমোদন প্রাপ্ত হন প্রশিক্ষক--'কেউ বলতে পারেন?' ঐ তুলনায় অনেকের উপর পায়ে পায়ে একজনের হেঁটে যাওয়া প্রশিক্ষন প্রাপ্ত ঐ ষড়যন্ত্রকারি পত্রিকার ভাষ্যনুযায়ী কথিত শিশুদের জন্যে একেবারেই নস্যি--"কারো বুঝার বাকি থাকার কথা নয়"।
বিদ্যালয় কতৃপক্ষ, এলাকাবাসি তাঁদের বক্তব্যে স্বীকার করেছেন এইরুপ মানব সেতু বহু আগ থেকেই তাঁদের বিদ্যালয়ে প্রচলিত আছে। প্রধান শিক্ষক নীজেই বলেছেন আমার আগের প্রধান শিক্ষক উক্ত সেতুর উপর দিয়ে হেঁটেছেন। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্কাউটিং করা বহু স্কুল কলেজে আরো ভয়াবহ ইভেন্টের উপস্থীতি বহুকাল আগে থেকেই রয়েছে, ইহা কারো অজানা নয়।
মুজিব সেনাদের উপলব্দিতে থাকা উচিৎ- সরকারের উচ্চ পদস্ত কর্মকর্তা হওয়ার জন্যে ইউনিভারসিটির সর্বশেষ ডিগ্রির প্রয়োজন, নিদেনপক্ষে দেশে বিদেশে বেতন ভাতাসহ প্রশিক্ষনের প্রয়োজন হয়।সফল ব্যাবসায়ী হ'তে কিছু পুজি এবং অধ্যবসায়ের প্রয়োজন। সাহিত্যিক, কলামিষ্ট, বুদ্ধিজীবি হতে প্রয়োজন সাধনা এবং জ্ঞান। কিন্তু একজন কর্মীকে নেতায় রুপান্তরে বহুকর্মীর ত্যাগ, জীবনহানী, সম্পদহানী, পরিবার পরিজন এবং কি অনেকক্ষেত্রে অনেক কর্মীর জৈবিক তাড়নাও বিসর্জনের দিতে হয়েছে।প্রতিষ্ঠিত নেতাও তাঁর জীবনের স্বর্ণময় সময়গুলী দল, দেশ এবং রাজনীতির জন্যে ব্যয় করেছেন। নেতা অনেকক্ষেত্রে সংসারধর্ম পালন করতেও পারেননি।আজীবন চিরকুমারব্রত পালন করার উদাহরন আমাদের চারপাশেই আছে। সময়ে নেতা কেরানী পদে চাকুরি নিলেও অফিসার হয়ে অবসর নিয়ে পরিবারের সুখ শান্তির মধ্যমনি হতে পারতেন--"কিন্তু তিনি সেই পথে যাননি একমাত্র--কর্মী, দল, রাজনীতির মোহে-ই।" এক্ষেত্রে হয়তবা কদাচিৎ ব্যতিক্রম থাকতে পারে-- তবে সর্বাংশে নয়।
আমি বহুবার তথ্য প্রমান দিয়ে বলতে চেয়েছি- বর্তমান সময়ে অপ-লাইনের পত্র পত্রিকা, ইলেকট্রোনিক মিডিয়া, সরকারের গোয়েন্দাবাহিনী সহ অপরাপর মাধ্যমগুলীর চাইতে অনেক গুন বেশী শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে আবিভুত হয়েছে "সামাজিক মাধ্যম পেইজ বুকিং।"অদ্য পয্যন্ত এই মাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টিকারি কোন ঘটনাই কতৃপক্ষের নজর এড়িয়ে যায়নি। যথাযথ ব্যবস্থা গৃহিত হওয়ার বহু উদাহরন তুলে ধরে বলার চেষ্টা করেছি এবং বলেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একান্ত আত্মীয়ও এক্ষেত্রে বাদ যায়নি।সুতারাং এই মাধ্যমটিতে সার্বক্ষনিক কাজ করা প্রত্যেক ইউজার বন্ধুদের আরো দায়িত্বশীল, বিষয়বস্তুর সম্পর্কে সম্যক ধারনা লাভ, ঘটনার উৎপত্তি, কারন ইত্যাদি সম্পর্কে আগেভাগে সম্যক জ্ঞান নেয়া প্রয়োজন মনে করি। হুজুগে অন্তত: মুজিব সেনারা জড়িয়ে পড়া উচিৎ নয়। সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার চক্রান্তে গা ভাসিয়ে দিয়ে দল, সরকার, নেতাকর্মী, শুভাকাংক্ষি, শুভানূধ্যায়ীদের সমুহ বিপদগ্রস্ত করা থেকে বিরত থাকা প্রত্যেকের নৈতিক এবং আদর্শিক দায়িত্ব--"আমি দৃডভাবে ইহা বিশ্বাস করি।"
ruhulaminmujumder27@gmail.com
"জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু"
লক্ষ করুন স্কাউটের পিঠের উপর আওয়ামীলীগ নেতা কোথাও একবারও বলা হয়নি,বলা হয়েছে ছাত্র / শিশুর পিঠে আওয়ামী নেতা বা উপজেলা চেয়ারম্যান।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন