ইসলামের সহজ সৌন্দয্যের অনুসন্ধান---ইসলাম বলে কি আমরা করি কি?
(রুহুল আমিন মজুমদার)
ইসলাম শান্তি, সমতা, আধুনিক এবং সার্বজনীন শ্রেষ্ঠ ধর্ম।নবীজি তাঁর জীবদ্দশায় ব্যাক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র, সরকার পরিচালনার সকল নজীর মানব সমাজের জন্যে রেখে গেছেন।তিনি ছিলেন হিংসা বিদ্বেস, রিয়াহীন মহামানব।তিনি তাঁর জীবদ্দশায় যাহাই করেছেন সব কিছুই মহান আল্লাহর হুকুমপ্রাপ্ত হয়ে করেছেন। লক্ষ করলে দেখবেন-আল্লাহ বার বার বলেছেন 'কেয়ামতের মাঠে তিনি 'জ্বিন এবং এনসানে'র বিচার করবেন'।
নবীজি ইসলাম ধর্মের মহত্বের বড় নজির স্থাপন করেছেন আধুনিক শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করে।তৎসময়ে সর্বদিক থেকে উন্নত ছিল চীন; বর্তমানেও উক্ত রাষ্ট্রের অস্তিত্ব বিদ্যমান রয়েছে।তিনি তাঁর সাহাবিদের উদ্দেশ্যে বলেছেন --জ্ঞান অর্জনের জন্যে প্রয়োজনে চীন দেশে যাও।"অর্থাৎ শিক্ষার জন্যে কোন ধর্মকে বা ধর্মের অনুসারিকে তিনি বাধা মনে করেননি। ইসলাম ধর্ম এত ক্ষুদ্র নয়, সংকীন্ন নয় বা আংশিকও নয় যে, " কারো কবিতা, গল্প, ধর্মগ্রন্থ পড়েই ইসলাম ধর্মচ্যুত হওয়ার আশংকা থেকে যাবে।এইরুপ বর্তমান সময়ে যারাই মনে করুন না কেন তাঁদের "ইমান আকিদা"র উপর যথেষ্ট সন্দেহ সৃষ্টির অবকাশ থেকে যাওয়া স্বাভাবিক, আমি মনে করি।
"এনসান" শাব্দিক অর্থ "মানব জাতি"।আল্লাহ তাঁর হুকুমে দুনিয়া সৃষ্টি করেছেন, আর এক হুকুমে মানুষ সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ কি,আর একটা হুকুমে সকল মানব জাতিকে ইসলামের অনুসারি করে নিতে পারতেন না ? অবশ্যই পারতেন-- কিন্তু তিনি তা করেননি। বিচার মানে দুষ গুনের বিশ্লেষন পুর্বক তিরস্কার অথবা পুরস্কার নির্ধারনের আয়োজন। আল্লাহ যেহেতু মানব জাতির বিচার করবেন বলেছেন সেহেতু ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, নির্বিশেষে সকল মানব জাতির জন্যে তিনি 'পুরস্কার এবং তিরস্কার' নির্ধারিত রেখেছেন।
ইসলাম সার্বজনীন মানে সকল মানব জাতির কল্যানে আল্লাহ তাঁর পছন্দের সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্মকে নবীজির মাধ্যমে দুনীয়াতে পাঠিয়েছেন।যারা এই ধর্ম অনুসরন করবে তারা প্রকৃত ইমানদার হিসেবে আল্লাহ এবং তার নবীর প্রিয় হবেন।প্রিয় বন্ধু যদি কোন অপরাধ করে তবে বড় কষ্ট লাগে এবং ইহাই স্বাভাবিক।তাই ইসলামের অনুসারিদের বিচার কড়া হওয়াই স্বাভাবিক। এতে নিশ্চয়ই অন্যধর্মালম্ভিদের বিচারে ছাড় দেয়া হবে মনে করা যায়না।
ইসলাম যেহেতু সার্বজনীন সেহেতু মদীনা সনদের প্ররম্ভে কোরানের আয়াত' এবং ইসলাম ধর্মের অনুসারিদের প্ররম্বিক বাক্য 'বিছমিল্লাহ' নবীকতৃক প্রতিষ্ঠিত সদ্য আধুনিক রাষ্ট্র পরিচালনায় সৃষ্ট সংবিধান 'মদিনাসনদে'র প্রারম্ভে সংযুক্ত করে অন্যধর্মালম্বিদের বিরুপ ধারনা পোষন করার সুযোগ দেননি।আল্লাহ কোরানের আয়াত নাজেলের মাধ্যমে কারন ব্যাখ্যা করে বলে দিয়েছেন--"যার যার ধর্ম তার তার জন্যে বড়'। অন্যকোন ধর্ম পালনে নিষেদাজ্ঞাজারি করেননি ইসলাম ধর্ম শ্রেষ্ঠ ধর্ম বলেছেন এবং ইসলাম ধর্ম অনুসরন করার জন্যে বলেছেন।
নবীজি সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মহামানব, রাষ্ট্রনায়ক, সমাজ সংস্কারক। তাঁর আবির্ভাবের আগে কোন যুৎসই রাষ্ট্র পরিচালনার নীতি বা কাঠামো ছিলনা। ছোট ছোট গোত্র, বংশ, নগর কেন্দ্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা চালু ছিল।তিনি প্রথম বিজিত অংশে আধুনিক রাষ্ট্র কাঠামো প্রস্তুত করেন, রাষ্ট্র পরিচালনার জন্যে অধিক ব্যাক্তি সম্ন্বয়ে সরকার গঠন করেন, রাজধানীর পত্তন করেন, সরকার পরিচালনার জন্যে নির্দিষ্ট মসজিদ বা অফিস বা সংসদ বা গনভবন সৃষ্টি করেন।তিনিই প্রথম রাষ্ট্র পরিচালনার জন্যে সুনির্দিষ্ট নীতি লিপিবদ্ধ করেন।লিখিত সেই নীতিকে তিনিই নাম দিয়েছেন "মদিনা সনদ" ।যাহা আজও আধুনিক রাষ্ট্রপরিচালনার জন্যে বিশ্বের দেশে দেশে অনুকরনীয় হয়ে জীবিত আছে।
যেহেতু ইসলাম সার্বজনীন মানবতার ধর্ম সেহেতু তাঁর নবীও সার্বজনীন মানবতার নবী।তিনি মদিনা সনদে মুসলমান ধর্মের পবিত্র কালামের অংশ বিছমিল্লাহ তাঁর রচিত বিশ্ব মানবতার সনদে সংযুক্ত করে তাঁর প্রচারীত আল্লাহ প্রেরীত ধর্মের এবং মানবকল্যানে প্রেরীত গ্রন্থ কোরানের সার্বজনীনতার মহিমাকে খাটো করতে চাননি এবং একক ইসলাম ধর্মকে 'রাষ্ট্রধর্মে'র মায্যদা অধিষ্ঠিত করে ইসলাম ধর্ম এবং পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল-কোরানের সার্বজনীনতার মহিমাকে অন্য ধর্মালম্বিদের নিকট প্রশ্নবিদ্ধ করেননি।
যেহেতু তিনি সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মানব সেহেতু তাঁর আচার,আচরন,খাওয়া,চলাফেরা, নেতৃত্ব, যুদ্ধবিগ্রহ, জয় পরাজয়, কথা বলা, কথা শুনা, কর্ম ভাষন ইত্যাদি মহান আল্লাহর অপার মহিমাগুনে সর্বকালের সর্বমানব জাতির অনুসরনীয়, অনুকরনীয় হয়ে থাকবে--"পৃথিবী ধ্বংস হওয়া পয্যন্ত।" তিনি বুঝতে পেরেছিলেন তাঁর প্রয়োজন আল্লাহর নিকট ফুরিয়ে এসেছে এবং তাঁকে আল্লাহ উঠিয়ে নেয়ার সময় ঘনিয়ে এসেছে।তাই কিছুটা রোগমুক্তির পর এবং তাঁর ওফাতের অল্প সময়ে আগে মানব জাতির উদ্দেশ্যে নীতি নির্ধারনী মূলক বক্তব্যটি দিয়ে আবহমান মানবজাতি সুখে শান্তিতে বসবাস এবং তাঁর সৃষ্টিকর্তাকে স্মরন করার নীতি আদর্শ তুলে ধরার জন্যে তাঁর "বিদায়ী ভাষনে"র প্রয়োজনীতা অনুভবে "বিদায় হজ্বের ভাষন" দিয়েছেন। আল্লাহর নির্দেশে ইসলামের প্রারম্ভিক বাক্য বা বরকতের বাক্য " "বিছমিল্লাহ" বিদায়ী ভাষনে বলেননি কারন তাঁর ভাষন একক ধর্মের অনুসারিদের জন্যে হতে পারেনা।
ইসলাম যেহেতু ততদিনে সর্বাঙ্গীনভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেহেতু নবী মোহাম্মদকে পৃথিবীতে রাখা সমচিন মনে করেননি আল্লাহ। আল্লাহর হুকুমেই তিনি ভাষনটি রচনা করেছেন,আল্লাহর নির্দেশেই তিনি তার বিদায়ী হজ্বের ভাষনে প্রত্যেক যতিতে "হে মানব জাতি" বলে সম্ভোধন করে "ইসলাম ধর্ম সমগ্র মানব জাতির কল্যানে একমাত্র আল্লাহ প্রেরিত ধর্ম এবং তাঁর প্রেরীত কিতাব সমগ্র মানবের কল্যানে একমাত্র শেষ আসমানী কিতাব, বহনকারি মানব বা নবী মহামানব বা শেষ নবী"র দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। কোরানে পা''কে একাধিকবার ঘোষনা দিয়ে "আল্লাহ তার উম্মতের জন্য সকল প্রকার জীবন বিধান' আসমানি কিতাব' নবী বা রাসুল' প্রেরনের ইতি ঘটিয়েছেন"।
উল্লেখিত আলোচনায় যদি ভুল বা অতিরঞ্জন নাহয় তবে আমি বিশ্বাস করি নবীজির জীবনাদর্শ, রাষ্ট্রপরিচালনা, বক্তব্য ইত্যাদি ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সমগ্র মানবব্জাতির কল্যানের সেহেতু তিনি সকল ধর্ম, বর্ণ, গোত্রের জন্যে মায্যদাশীল, অনুসরনীয়, অনুকরনীয়-- এবং তিনি নিরপেক্ষ।
এই বিশ্বাসের বাহিরে যারা বা যিনি আছেন তিনি কি প্রকৃত নবীজির অনুসারি অর্থাৎ প্রকৃত মসুলমান দাবি করতে পারেন--?? না- কি যারা উল্লেখিত নীতি আদর্শ বিশ্বাস করেন, অনুসরন করেন তারা বা তিনি নবীজির অনুসারি অর্থাৎ প্রকৃত মসুলমান দাবি করতে পারেন--???
(রুহুল আমিন মজুমদার)
ইসলাম শান্তি, সমতা, আধুনিক এবং সার্বজনীন শ্রেষ্ঠ ধর্ম।নবীজি তাঁর জীবদ্দশায় ব্যাক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র, সরকার পরিচালনার সকল নজীর মানব সমাজের জন্যে রেখে গেছেন।তিনি ছিলেন হিংসা বিদ্বেস, রিয়াহীন মহামানব।তিনি তাঁর জীবদ্দশায় যাহাই করেছেন সব কিছুই মহান আল্লাহর হুকুমপ্রাপ্ত হয়ে করেছেন। লক্ষ করলে দেখবেন-আল্লাহ বার বার বলেছেন 'কেয়ামতের মাঠে তিনি 'জ্বিন এবং এনসানে'র বিচার করবেন'।
নবীজি ইসলাম ধর্মের মহত্বের বড় নজির স্থাপন করেছেন আধুনিক শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করে।তৎসময়ে সর্বদিক থেকে উন্নত ছিল চীন; বর্তমানেও উক্ত রাষ্ট্রের অস্তিত্ব বিদ্যমান রয়েছে।তিনি তাঁর সাহাবিদের উদ্দেশ্যে বলেছেন --জ্ঞান অর্জনের জন্যে প্রয়োজনে চীন দেশে যাও।"অর্থাৎ শিক্ষার জন্যে কোন ধর্মকে বা ধর্মের অনুসারিকে তিনি বাধা মনে করেননি। ইসলাম ধর্ম এত ক্ষুদ্র নয়, সংকীন্ন নয় বা আংশিকও নয় যে, " কারো কবিতা, গল্প, ধর্মগ্রন্থ পড়েই ইসলাম ধর্মচ্যুত হওয়ার আশংকা থেকে যাবে।এইরুপ বর্তমান সময়ে যারাই মনে করুন না কেন তাঁদের "ইমান আকিদা"র উপর যথেষ্ট সন্দেহ সৃষ্টির অবকাশ থেকে যাওয়া স্বাভাবিক, আমি মনে করি।
"এনসান" শাব্দিক অর্থ "মানব জাতি"।আল্লাহ তাঁর হুকুমে দুনিয়া সৃষ্টি করেছেন, আর এক হুকুমে মানুষ সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ কি,আর একটা হুকুমে সকল মানব জাতিকে ইসলামের অনুসারি করে নিতে পারতেন না ? অবশ্যই পারতেন-- কিন্তু তিনি তা করেননি। বিচার মানে দুষ গুনের বিশ্লেষন পুর্বক তিরস্কার অথবা পুরস্কার নির্ধারনের আয়োজন। আল্লাহ যেহেতু মানব জাতির বিচার করবেন বলেছেন সেহেতু ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, নির্বিশেষে সকল মানব জাতির জন্যে তিনি 'পুরস্কার এবং তিরস্কার' নির্ধারিত রেখেছেন।
ইসলাম সার্বজনীন মানে সকল মানব জাতির কল্যানে আল্লাহ তাঁর পছন্দের সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্মকে নবীজির মাধ্যমে দুনীয়াতে পাঠিয়েছেন।যারা এই ধর্ম অনুসরন করবে তারা প্রকৃত ইমানদার হিসেবে আল্লাহ এবং তার নবীর প্রিয় হবেন।প্রিয় বন্ধু যদি কোন অপরাধ করে তবে বড় কষ্ট লাগে এবং ইহাই স্বাভাবিক।তাই ইসলামের অনুসারিদের বিচার কড়া হওয়াই স্বাভাবিক। এতে নিশ্চয়ই অন্যধর্মালম্ভিদের বিচারে ছাড় দেয়া হবে মনে করা যায়না।
ইসলাম যেহেতু সার্বজনীন সেহেতু মদীনা সনদের প্ররম্ভে কোরানের আয়াত' এবং ইসলাম ধর্মের অনুসারিদের প্ররম্বিক বাক্য 'বিছমিল্লাহ' নবীকতৃক প্রতিষ্ঠিত সদ্য আধুনিক রাষ্ট্র পরিচালনায় সৃষ্ট সংবিধান 'মদিনাসনদে'র প্রারম্ভে সংযুক্ত করে অন্যধর্মালম্বিদের বিরুপ ধারনা পোষন করার সুযোগ দেননি।আল্লাহ কোরানের আয়াত নাজেলের মাধ্যমে কারন ব্যাখ্যা করে বলে দিয়েছেন--"যার যার ধর্ম তার তার জন্যে বড়'। অন্যকোন ধর্ম পালনে নিষেদাজ্ঞাজারি করেননি ইসলাম ধর্ম শ্রেষ্ঠ ধর্ম বলেছেন এবং ইসলাম ধর্ম অনুসরন করার জন্যে বলেছেন।
নবীজি সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মহামানব, রাষ্ট্রনায়ক, সমাজ সংস্কারক। তাঁর আবির্ভাবের আগে কোন যুৎসই রাষ্ট্র পরিচালনার নীতি বা কাঠামো ছিলনা। ছোট ছোট গোত্র, বংশ, নগর কেন্দ্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা চালু ছিল।তিনি প্রথম বিজিত অংশে আধুনিক রাষ্ট্র কাঠামো প্রস্তুত করেন, রাষ্ট্র পরিচালনার জন্যে অধিক ব্যাক্তি সম্ন্বয়ে সরকার গঠন করেন, রাজধানীর পত্তন করেন, সরকার পরিচালনার জন্যে নির্দিষ্ট মসজিদ বা অফিস বা সংসদ বা গনভবন সৃষ্টি করেন।তিনিই প্রথম রাষ্ট্র পরিচালনার জন্যে সুনির্দিষ্ট নীতি লিপিবদ্ধ করেন।লিখিত সেই নীতিকে তিনিই নাম দিয়েছেন "মদিনা সনদ" ।যাহা আজও আধুনিক রাষ্ট্রপরিচালনার জন্যে বিশ্বের দেশে দেশে অনুকরনীয় হয়ে জীবিত আছে।
যেহেতু ইসলাম সার্বজনীন মানবতার ধর্ম সেহেতু তাঁর নবীও সার্বজনীন মানবতার নবী।তিনি মদিনা সনদে মুসলমান ধর্মের পবিত্র কালামের অংশ বিছমিল্লাহ তাঁর রচিত বিশ্ব মানবতার সনদে সংযুক্ত করে তাঁর প্রচারীত আল্লাহ প্রেরীত ধর্মের এবং মানবকল্যানে প্রেরীত গ্রন্থ কোরানের সার্বজনীনতার মহিমাকে খাটো করতে চাননি এবং একক ইসলাম ধর্মকে 'রাষ্ট্রধর্মে'র মায্যদা অধিষ্ঠিত করে ইসলাম ধর্ম এবং পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল-কোরানের সার্বজনীনতার মহিমাকে অন্য ধর্মালম্বিদের নিকট প্রশ্নবিদ্ধ করেননি।
যেহেতু তিনি সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মানব সেহেতু তাঁর আচার,আচরন,খাওয়া,চলাফেরা, নেতৃত্ব, যুদ্ধবিগ্রহ, জয় পরাজয়, কথা বলা, কথা শুনা, কর্ম ভাষন ইত্যাদি মহান আল্লাহর অপার মহিমাগুনে সর্বকালের সর্বমানব জাতির অনুসরনীয়, অনুকরনীয় হয়ে থাকবে--"পৃথিবী ধ্বংস হওয়া পয্যন্ত।" তিনি বুঝতে পেরেছিলেন তাঁর প্রয়োজন আল্লাহর নিকট ফুরিয়ে এসেছে এবং তাঁকে আল্লাহ উঠিয়ে নেয়ার সময় ঘনিয়ে এসেছে।তাই কিছুটা রোগমুক্তির পর এবং তাঁর ওফাতের অল্প সময়ে আগে মানব জাতির উদ্দেশ্যে নীতি নির্ধারনী মূলক বক্তব্যটি দিয়ে আবহমান মানবজাতি সুখে শান্তিতে বসবাস এবং তাঁর সৃষ্টিকর্তাকে স্মরন করার নীতি আদর্শ তুলে ধরার জন্যে তাঁর "বিদায়ী ভাষনে"র প্রয়োজনীতা অনুভবে "বিদায় হজ্বের ভাষন" দিয়েছেন। আল্লাহর নির্দেশে ইসলামের প্রারম্ভিক বাক্য বা বরকতের বাক্য " "বিছমিল্লাহ" বিদায়ী ভাষনে বলেননি কারন তাঁর ভাষন একক ধর্মের অনুসারিদের জন্যে হতে পারেনা।
ইসলাম যেহেতু ততদিনে সর্বাঙ্গীনভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেহেতু নবী মোহাম্মদকে পৃথিবীতে রাখা সমচিন মনে করেননি আল্লাহ। আল্লাহর হুকুমেই তিনি ভাষনটি রচনা করেছেন,আল্লাহর নির্দেশেই তিনি তার বিদায়ী হজ্বের ভাষনে প্রত্যেক যতিতে "হে মানব জাতি" বলে সম্ভোধন করে "ইসলাম ধর্ম সমগ্র মানব জাতির কল্যানে একমাত্র আল্লাহ প্রেরিত ধর্ম এবং তাঁর প্রেরীত কিতাব সমগ্র মানবের কল্যানে একমাত্র শেষ আসমানী কিতাব, বহনকারি মানব বা নবী মহামানব বা শেষ নবী"র দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। কোরানে পা''কে একাধিকবার ঘোষনা দিয়ে "আল্লাহ তার উম্মতের জন্য সকল প্রকার জীবন বিধান' আসমানি কিতাব' নবী বা রাসুল' প্রেরনের ইতি ঘটিয়েছেন"।
উল্লেখিত আলোচনায় যদি ভুল বা অতিরঞ্জন নাহয় তবে আমি বিশ্বাস করি নবীজির জীবনাদর্শ, রাষ্ট্রপরিচালনা, বক্তব্য ইত্যাদি ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সমগ্র মানবব্জাতির কল্যানের সেহেতু তিনি সকল ধর্ম, বর্ণ, গোত্রের জন্যে মায্যদাশীল, অনুসরনীয়, অনুকরনীয়-- এবং তিনি নিরপেক্ষ।
এই বিশ্বাসের বাহিরে যারা বা যিনি আছেন তিনি কি প্রকৃত নবীজির অনুসারি অর্থাৎ প্রকৃত মসুলমান দাবি করতে পারেন--?? না- কি যারা উল্লেখিত নীতি আদর্শ বিশ্বাস করেন, অনুসরন করেন তারা বা তিনি নবীজির অনুসারি অর্থাৎ প্রকৃত মসুলমান দাবি করতে পারেন--???
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন