বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক--"রাজনৈতিক শিষ্টাচার বিবর্জিত একটি অনা-কাংক্ষিত ঘটনা।"
 (রুহুল আমিন মজুমদার)

     বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নব নির্বাচিত সাধারন সম্পাদক জনাব ওবায়দুল কাদেরের গতকাল রাতে একটি অনাকাংক্ষিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক মাধ্যম, অপ-লাইনের পত্র-পত্রিকা, রাজনৈতিক মহল সহ দেশব্যাপি ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। দলের সাধারন সম্পাদক হিসেবে একজন নির্বাচিত সংসদ সদস্যের গায়ে হাত তোলা কোন অবস্থাই সমূচিন হয়নি--"ইহা বলার অপেক্ষা রাখেনা।" আমাদের দেশে উধ্বতন নেতানেত্রীর আচার আচরন নিয়ে দলীয় নেতাদের আলোচনা সমালোচনা করার রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে উঠেনি বিদায় এক্ষেত্রেও ভুক্তভূগি সাংসদ ঘটনাটিকে হালকা করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করছেন।সংশ্লিষ্টদের বিবৃতি লক্ষ করলেই অনুমান করা যায়।

      প্রত্যেক ব্যাক্তির কর্মক্ষমতার নির্দিষ্ট সীমারেখা আছে।উক্ত সীমারেখার বাহিরে বেশী দিন চলতে থাকলে বিষয়টি তাঁর শারিরীক মানষিক, স্নায়ু যন্ত্রের উপর অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।স্নায়ুবিক চাপ সামলাতে না পেরে অনেক সময় ইচ্ছার বাহিরেও বিরুপ আচরন করা অস্বাভাবিক নয়।এক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে বলে আমি মনে করি।

  লক্ষ করলে দেখা যায়--ঘটনার ব্যাখ্যায় উক্ত ঘটনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ কেউই অস্বীকার করেননি। তবে আমরা  আমজনতা সন্দিহান--"ঘটনার মূলে অন্য কোন বিষয় জড়িত রয়েছে কি-না।"

          লক্ষনীয় বিষয়টি হচ্ছে যার দাওয়াত খেতে গেলেন মন্ত্রী সেই গৃহস্তই বাড়ীতে উপস্থিত নেই- বাদবাকি আশপাশের সবাই সেখানে উপস্থীত।উনি রাস্তায় আছেন, আসছেন যতক্ষন বলা হয়েছে তাঁর "সিকি পরিমান সময়েরও কম সময়" লাগার কথা এমপি মহোদয়ের আবাস্থল থেকে যমুনা রিসোর্টে আসতে।নিশ্চয়ই মন্ত্রী মহোদয় তাঁর এলাকার কোন একটি আবশ্যকীয় ঘটনার বিবরণ উক্ত সাংসদের নিজমূখে শুনার জন্যই উনাকেই খবর দিয়ে রেখেছিলেন--"তিনি রাতের খাবার তাঁর সঙ্গেই খাবেন।" মন্ত্রী খানা ঠিকই পেয়েছেন কিন্তু যার উদ্দেশ্যে রাত্রী যাপন করার কথা ছিল তিনি নেই--কেন নেই? এখানেই অনাকাংখিত ঘটনার রহস্য লুকিয়ে আছে দেশব্যাপি আমজনতার উপলব্দি।

    সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, 'আমি এমপি মো. ছানোয়ার হোসেনকে শাসন করেছি। এটা আমাদের আওয়ামী লীগ পরিবারের বিষয়। দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এটা আমি করতেই পারি।'
টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য মো. ছানোয়ার হোসেনকে চড় মারা-সংক্রান্ত খবর গণমাধ্যমে প্রকাশের পর  এক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন তিনি।অভিযোগের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'চড় মারার বিষয়ে গণমাধ্যমে যে খবর প্রকাশ হয়েছে, সেই এমপি তো অভিযোগ করেননি। তিনি কি অভিযোগ করেছেন কাউকে? না, তিনি করেননি।'

এদিকে টাঙ্গাইলের এমপি মো. ছানোয়ার হোসেনও জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের হাতে তার লাঞ্ছিত হওয়ার খবর সঠিক নয়।যুগান্তরকে তিনি বলেন, 'মন্ত্রী নেতা-কর্মীদের ভিড় আর স্লোগানে বিরক্ত প্রকাশ করে একটু রাগারাগি করেছেন।'এ নিয়ে যারা মিথ্যে সংবাদ প্রকাশ করেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলেও জানান ছানোয়ার হোসেন।

উল্লেখ্য, নাটোর থেকে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের টাঙ্গাইলে যমুনা রিসোর্টে শনিবার যাত্রাবিরতি করেন। এ সময় তার রাতের খাবারের আয়োজন করেন টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের নবনির্বাচিত এমপি হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী।কিন্তু হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী এমপি উপস্থিত না থাকায় ওবায়দুল কাদের নেতা-কর্মীদের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে রাতের খাবার না খেয়েই চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন।

এ সময় টাঙ্গাইল-৫ সদর আসনের সংসদ সদস্য মো. ছানোয়ার হোসেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে খাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন এবং হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী রাস্তায় রয়েছেন, কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে আসবেন বলে জানান।

এ সময় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে এমপি ছানোয়ার হোসেনকে চড়-থাপ্পড় মারেন বলে একটি খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে।অবশ্য পরে ওবায়দুল কাদের রিসোর্ট ত্যাগ করার আগে এমপি ছানোয়ার হোসেনের মাথায় হাত বুলিয়ে তাকে সান্ত্বনা দেন বলেও জানা গেছে।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম, টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনের সংসদ সদস্য অনুপম শাজাহান জয়, যুগ্ম সম্পাদক খন্দকার আশরাফুজ্জামান স্মৃতি, নাহার আহমেদ, কালিহাতী উপজেলা চেয়ারম্যান মোজহারুল ইসলাম তালুকদার, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন মানিক, টাঙ্গাইল চেম্বার অব কমার্সের সাধারণ সম্পাদক খান আহম্মেদ শুভ এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

       ঘটনার বিষয়ে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য মো. ছানোয়ার হোসেন শনিবার রাতেই সংবাদ মাধ্যমকে বলেন----"মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দলের সাধারণ সম্পাদক, তিনি আমার বড় ভাই। তিনি শাসন করতে পারেন এবং তিনি আমাদের আদরও করবেন। তার বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই। তিনি যাওয়ার আগে মাথায় হাত বুলিয়ে আমাকে আদর করেছেন।'ঘটনার বিষয়ে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী যুগান্তরকে বলেন, 'ওবায়দুল কাদের ভাই আমাদের অভিভাবক। তিনি আমাদের শাসন করেন, আবার আদরও করেন। এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।'

এদিকে, রোববার সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের মির্জাপুরে চার লেনের কাজ ওবায়দুল কাদেরের পরিদর্শন করার কথা থাকলেও ওই ঘটনার পর রাতেই ঢাকা ফিরে গিয়ে তিনি এ কর্মসূচি বাতিল করে দেন।

     জনাব ওবায়দুল কাদের একজন কর্মঠ মন্ত্রী সকলেরই জানা আছে।দেশের অত্যান্ত স্পষ্যকাতর মন্ত্রানালয়ের দায়িত্ব পালনরত: অবস্থায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একান্ত ইচ্ছায় দেশে বিদেশে আলোচিত "পদ্মাসেতু" যথাসময়ে কায্যদেশ সমাপ্ত করার দায়িত্ব দিয়েছেন।উক্ত কাজটিও কোনপ্রকার কেলেংকারি ছাড়াই চল্লিশ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যে সমাপ্ত করেছেন। সড়ক ও সেতু মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বে থাকাকালিন সময়ে দেশের মানুষ দেখেছে তাঁর কর্মতৎপরতা।রাতবিরাত, যখন তখন সরকারি কাজে যত্রতত্র ঘুরে বেড়ানো এবং মাঝপথে নেমে সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তি ও বিষয়ের খোঁজখবর নেয়া তার রুটিন কাজের মধ্যেই অন্তভূক্ত ছিল। এনিয়ে সামাজিক মাধ্যম সহ পত্র-পত্রিকা, ইলেকট্রিক মিডিয়ায় হরহামেশাই আলোচনা সমালোনার মধ্যমণিতে তিনিই ছিলেন।

    দীর্ঘদিন যাবৎ দলের বিভিন্ন পয্যায় দাবি ছিল সরকার থেকে দলকে আলাদা করার।বিগত সম্মেলনে সর্বস্তরের দাবির প্রেক্ষাপটে সভানেত্রী সেই আলোকেই দলের নেতা নির্বাচন করার প্রক্রিয়া দৃশ্যমান হয়ে উঠায় দেশব্যাপি নেতাকর্মীদের মধ্যে  বিশেষ চাঞ্চল্যতা পরিলক্ষিত হয়।দলের বিশেষ গুরুত্বপুর্ণ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বে থাকাবস্থায় সারাদেশের নেতাকর্মীদের মনোভাবের প্রতি দৃষ্টি রেখে জনাব ওবায়দুল কাদেরকে সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত করেন।
   
    এর আগে বিগত সরকার সমূহে লক্ষ করা গেছে দলের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ন  পদের অধিকারি অধিকতর দপ্তর কেন্দ্রিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রনালয় স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বে রাখা হ'ত।মন্ত্রনালয়টি দেশের জন্যে গুরুত্বপুর্ণ হলেও কর্মকান্ড ছিল একান্তই দপ্তর কেন্দ্রিক।ফলে দল ও সরকার পরিচালনায় খুব বেশী সমস্যা দেখা দেয়ার সম্ভাবনা ছিলনা।তদপোরি বিভিন্ন সময়ে দলের কায্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিলে দেশব্যাপি আলোচনার ঝড় বয়ে যেতেও আমরা দেখেছি।
   
    জনাব ওবায়দুল কাদেরের সড়ক মন্ত্রনালয় এবং বাড়তি দায়িত্ব 'সেতু মন্ত্রনালয়' নিশ্চয়ই তাঁর কর্মক্ষমতার অতিরিক্ত ছিল আগেই পরিলক্ষিত হয়েছে। তার উপর দেশের সর্ববৃহৎ দলের দলীয় দায়িত্ব তুলে দেয়া হয়েছে। গুরুত্বপুর্ণ মন্ত্রনালয়দ্বয় ও দলীয় দায়িত্ব উভয়ের অস্বাভাবিক ভারে ন্যুজ হওয়াই তাঁর  স্বাভাবিক, বয়সও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি ফ্যাক্টর।তিনি কোনকাজ ফেলে রাখার পাত্র নন, সময়ের কাজ সময়ে করাই তাঁর অভ্যেস ছিল আগে থেকে। সময়ানুবর্তিতা, কর্মদক্ষতা, নিয়মানুবর্তিতা, প্রজ্ঞা, নিষ্টা তাঁকে উচ্চ শিখরে নিয়ে গেছে।
   
     এমনিতেই আমাদের দেশের লক্ষনীয় রাজনৈতিক দিক-যিনি যতবেশী কাজে ব্যাস্ত থাকেন তার সমালোচনাও ততোধিক বেশী হয়। তাঁর ক্ষেত্রেও ব্যাতিক্রম হবেনা জানি। কিন্তু উদ্ভুত ঘটনা তদ্রুপ কোন কাজের আওতায় পড়েনা- "ইহা সম্পুর্ণ রাজনৈতিক শিষ্টাচারের আওতায় পড়ে বিধায় রাজনৈতিক সচেতন মহল কোন অবস্থায় মেনে নিতে পারছেন না"। এইরুপ রাজনৈতিক কালচার ভবিষ্যতে দলকে চলমান 'বিগবসের' তুলনায় আরো গভীর ভাবে "বিগবস" এর খপ্পরে নিয়ে যেতে পারে।যেখান থেকে দলকে আর হয়ত মুক্ত করা আদৌ সম্ভব হবে না।
            "জয় বাংলা        জয়বঙ্গবন্ধু"
          ruhulaminmujumder27@gmail.com
     

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা