বাঙ্গালী মুসলিম সমাজ নিজেদের দর্শনও মানেনা, আল্লাহর নবীর শাষনও মানেনা----"মানে শুধু ইহুদি, ইংরেজ তথা পাশ্চাত্যের শাষনব্যবস্থা।"                                              
(রুহুল আমিন মজুমদার)

মানব সমাজের সভ্যতা বিকাশের প্রথমার্ধে ইসলাম ধর্মের আবির্ভাব ঘটে। যখন মানব সমাজের প্রত্যহিক চাহিদা পূরনার্থ্যে চারিদিকে হিংসা, হানাহানি, জাতি গোষ্টিগত বিরোধ, একে অপরের উপর প্রধান্য বিস্তারের লক্ষে এক গোষ্টি অন্য গোষ্টিকে নি:শেষ করে দেয়ার চেষ্টারত: থাকায় চারদিকে ঘোর অন্ধকার নেমে এসেছিল ঠিক তখনই আল্লাহ তাঁর মনোনীত ধর্ম গ্রন্থ আল-কোরান নবী করিম (স:) এর মাধ্যমে সমগ্র মানব জাতির কল্যানে পৃথিবীতে প্রেরন করেন। আল্লাহ প্রেরীত আল-কোরান এবং নবী (স:) এর উপর বিশ্বাস স্থাপন কারীগন ইসলাম ধর্মের অনুসারি হিসেবে পরিচিত হন। আল্লাহ তাঁর প্রেরিত কিতাব সমগ্র মানব সমাজের কল্যানে এবং ইসলামকে সমগ্র মানব জাতির অনুসরনীয় করে সার্বজনীনতা ও সাম্যের ধর্মরুপে স্বীকৃতি প্রদান করেন।

মহান আল্লাহর ইচ্ছানুযায়ী নবীকরীম (স:) এর জীবনাচারকে অনুকরনীয় করে রাখার উদ্দেশ্যে সকল গুনাবলী তাঁর মধ্যে অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে মহামনবে রুপান্তর করেন। তিনি যেমন আল্লাহ প্রেরীত কোরানের ধারক তেমনি উহার বিস্তারের জন্যে প্রচারক, যেমনি নতুন সমাজ সৃষ্টিকারক তেমনি নতুন সমাজের শাষক, যেমন আল-কোরানের আলোকে রচিত হাদিসের মাধ্যমে কোরান এবং মানব সমাজে নিত্যনতুন সমস্যার সমাধান দিয়ে ধর্ম সংস্কারক হিসেবেও অনুকরনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে ছিলেন। তখনকার যুগে এমন কোন বিষয় ছিলনা যাহা ঘটেনি এবং নবী (স:)কোরানের আলোকে সমাধান দেননি।

তাঁর সৃষ্ট ইসলামী রাষ্ট্রের শাষনকর্তা হয়ে তিনিই প্রথম কোরানের আলোকে রাষ্ট্র শাষন ব্যবস্থা "মদিনা সনদ" রচনা করেন। তাঁর আগে বৃহত্তর কোন রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ছিলনা এবং ছোট ছোট 'নগর রাষ্ট্র' সমূহ শাষনের কোন রুপরেখাও ছিলনা। তাঁর মৃত্যুর পর কিভাবে পরবর্তী প্রজম্ম ইসলাম ধর্মের প্রসার, ইসলামী সাম্রাজ্য বিস্তার ও শাষন করবেন--"তাঁর রুপরেখাও তাঁর ওফাৎ এর আগে সর্বশেষ মসুলমানদের বৃহত্তর মিলনমেলা "হজ্বের অনুষ্ঠানে" ভাষনের মাধ্যমে দিকনির্দেশনা দিয়ে যান।" তাঁর আগে কোন রাষ্ট্র শাষকের ভাষন দেয়ার রীতিও প্রচলন ছিলনা। তাঁর শেষ ভাষনকে পরবর্তীতে মানব জাতির ইতিহাসে 'সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ভাষন' স্বীকৃতি দিয়ে "বিদায়ী হজ্বে''র ভাষন হিসেবে নামকরন করা হয়েছে।

নবী (স:) রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রবর্তন করে শাষক নিয়োগের রীতিও প্রচলন করে গেছেন। তৎসময়ের অভিজ্ঞ সাহাবীদের বেশীরভাগ 'সাহাবী'র মতামতের মাধ্যমে শাষনকর্তা নিয়োগের বিধান তিনিই দেখিয়েছেন।পরবর্তীতে খলিফাদের শাষনে নীতিটি পুর্ণাঙ্গ অনুসরনকল্পে সমাজের সর্বস্তরের অভিজ্ঞ সাহাবীদের বৈঠকে বেশীরভাগ 'সাহাবী'র মতামতের ভিত্তিতে" সকল প্রকার বিতর্ক এড়িয়ে 'খলিফা' নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়েছিল। এইরুপ আধুনিক নেতা নির্বাচনের পদ্ধতি ও রীতিটি সর্বযুগের শ্রেষ্ঠ রীতিরুপে "আল্লাহ নবীজির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন"।

নবীজির জীবিতবস্থায় মানব সমাজের দৈনন্দিন উন্নতি ও সভ্যতার ক্রমবিকাশের ফলে উদ্ভোত নতুন নতুন সমস্যা ও জটিলতা নিরসন কল্পে নির্দিষ্ট রুপরেখাও বলে দিয়েছেন। ইসলাম ধর্ম যেহেতু সর্বযুগের শ্রেষ্ঠধর্ম, বিশ্বমানবতার শান্তির ধর্ম এবং ইসলামী শাষন 'সার্বজনীন শাষন' সেহেতু যুগের সাথে তালমিলিয়ে আল-কোরানের নির্দেশনা অমলিন রেখে, হাদিসের আলোকে পরিবর্তন, পরিবর্ধন, আধুনিক, যুগোপযোগী করার লক্ষে সাহাবীদের পরবর্তী তাবেঈন-তাবেতাবেঈন সর্বশেষ ধর্মীয় জ্ঞানে অভিজ্ঞ আলেম উলামাদের উপর দায়িত্ব দিয়ে গেছেন।

যেহেতু ইসলাম সার্বজনীন ধর্ম এবং আল-কোরান সমগ্র মানব জাতির কল্যানে আল্লাহ প্রেরন করেছিলেন সেহেতু নবীজির প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রে "রাষ্ট্র ধর্ম" ছিলনা। যেহেতু নবীজির বিদায়ী হজ্বের ভাষন ধর্ম, বর্ণ, গোষ্ঠিবেদে সমগ্র মানব জাতির উদ্দেশ্যে প্রদত্ত ভাষন ছিল সেহেতু ঐ ভাষনের প্রারম্ভে কোরানের পবিত্র আয়াত 'বিছমিল্লাহ' বলে নবীজি শুরু করেননি।আল্লাহ যেহেতু তাঁর কোরান সমগ্র মানব জাতির কল্যানে এবং ইসলাম ধর্মে ইমান আনার জন্যে সমগ্র মানব জাতির উদ্দেশ্যে আহব্বান রেখেছেন সেহেতু নবীজির সকল কর্মকান্ড "আল্লাহ' সমগ্র মানব জাতির নিকট অ-বিতর্কিত রেখেছেন।"

 আল্লাহ তাঁর কোরানে মানব জাতি  এবং জ্বিনের বিচার করবেন উল্লেখ করায় নবীজি ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে নিষেদ করেছেন।--"সঙ্গে স্ব-স্ব ধর্ম পালনের স্বাধীনতা দিয়েছেন"। তিনি সংখ্যাগরিষ্ট মুসলমানদের শাষনে সংখ্যালুঘু অন্যান্ন ধর্মের নাগরীকদের সুরক্ষার নীতিও সুস্পষ্টভাবে "নীজের শাষনে' উদাহরন রেখেছেন এবং পরবর্তীতে যারা শষন করবেন তাঁদেরকেও অনুসরন করার নির্দেশ দিয়েছেন।

ইসলামের সৌন্দয্য, ভাতৃত্ববোধ, মহত্ব, সাম্যের রীতি যতদিন অব্যাহত ছিল মসুলমানদের বিজয় ততদিন আল্লাহ অব্যাহত রেখেছিলেন। ইসলামের অভ্যন্তরে "অতিধার্মীক" নবীজির জীবিতবস্থায়  বহি:স্কৃত করা খারেজদের  হাতে একে একে তিন খলীফার মর্মান্তিক মৃত্যুর পর ইসলামের অগ্রযাত্রা  থেমে যায়। সার্বজনীন ইসলামের অনুসারী মসুলমান এবং নবীজির নির্দেশ অমান্যকারি "কেন্দ্রিভুত ইসলামের অনুসারী"দের অভ্যন্তরীন কোন্দলে নবীজির আদরের দৌহিত্র "হাসান এবং হুসাইন"কেও কারবালার ময়দানে জীবন দিতে হয়েছিল।

অতিধার্মীকগন নবীজির শাষনের "সংখ্যা গরীষ্টের মতামতে নির্বাচিত শাষন প্রথা খেলাফত" বাতিল করে বংশ পরস্পরায় শাষন ব্যবস্থা "বাদশাহী" শাষন কায়েম করেন। সার্বজনীন "ইসলামী শাষন" খেলাফতের শাষনকে শুধুমাত্র মুসলিম শাষন "বাদশাহী শাষনে" রুপান্তরীত করে ইসলামের সৌন্দয্যহানী ঘটানোর প্রক্রিয়া তখনই চালু করেন। পরবর্তীতে সেই শাষনব্যবস্থাই আরো বেশী শাষক, শোষক, দখলবাজীর রুপ ধারন করে "সম্রাট শাষন" নাম ধারন করে ভারতীয় উপমহাদেশ পয্যন্ত বিস্তৃতি ঘটে। একের পর এক জনপথ করায়ত্ত হয়েছিল ঠিকই কিন্তু ইসলাম ধর্মের প্রচার, প্রসার বিস্তৃতি আর ঘটেনি। সংখ্যাতত্বের দিকে নজর দিলে যে কোন সচেতন ধার্মীক ব্যাক্তি আমার কথার যুক্তিকতা খুঁজে পাবেন--আশা করি।

আমাদের অত্র ভারতীয় উপমহাদেশেও 'বাদশাহী দখলবাজী শাষনে'র আগে 'খেলাফতের শাষনামলে' "সূফি সাধক, দরবেশ" গনের আগমনে যতটুকু ইসলাম ধর্মের বিস্তৃতি ঘটেছিল পরবর্তী "বাদশাহী, সম্রাটি" শাষনামলে ইঞ্চি পরিমানেও বিস্তৃতি ঘটেনি। বরঞ্চ শাষনকায্য নি:স্কন্টক রাখার উদ্দেশ্যে ইসলামের বিপরীতে অতিধার্মীক শাষক কতৃক প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে "দীন- ই- এলাহী" ধর্মের প্রবর্তন করতেও দেখা যায় (ইতিহাসে)। অতিধার্মীকগন লেবাজের গুনে সাধারন মসুলমানদের বিভ্রান্ত করে "সার্বজনীন  শান্তি, সাম্যের ইসলামী খেলাফতের শাষনের বিপরীতে  জোর, জুলুম, দখল, লুটপাট, শোষন, শাষনের "বাদশাহী, সম্রাটি" ইসলামী শাষনের প্রবর্তন করে ইসলামকে করেছে বিশ্বময় প্রশ্নবিদ্ধ, অগ্রযাত্রা দিয়েছে থামিয়ে, হিংসা হানাহানী দিয়েছে বাড়িয়ে।

লেবাজী ইসলাম ধর্মের ধারাবাহিকতা থেকে ইসলাম রক্ষিত না হয়ে আজকের দিনে আরো ব্যাপক শক্তি সঞ্চয় করে বহুগুন প্রভাব নিয়ে তাঁরা আবির্ভুত হয়েছে। অবশ্য নবী (স:) তাঁর জীবিতবস্থায় লেবাজী ধর্মধারী, অতিধার্মীক ও তাঁদের চেনার উপায় এবং কি প্রভাব বিস্তারের লক্ষন সম্মন্ধে মসুলমানদের সতর্ক করে দিয়ে গেছেন। লেবাজধারী আলেমগন তাঁদের আচার, আচরন, ধর্ম পালনের আনুগত্যতা দিয়ে খেলাফত যুগেও মসুলমানদের বিভ্রান্ত করে খলিফা হত্যা ও নবীজির বংশবিনাশ করতে পেরেছিল-বর্তমানেও সেই ধারাই তাঁরা অক্ষুন্ন রেখে ইমানদার সাধারন মসুলমানদের বিভ্রান্ত করে ইসলামকে অতিরঞ্জন, নৈরাশ্যবাদের অতলতলে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে। এরা সম্পূর্ণ আবু লাহাব, মোয়াবিয়া, ইয়াজিদের পথ অনুসরন করছে কিনা প্রকৃত আলেম সমাজের ভেবে দেখা প্রয়োজন।

বর্তমান বিশ্বের ইসলাম ধর্মের নিয়ন্ত্রন এই শ্রেনীর হাতেই রয়েছে অনুমেয়। সৌদী আরব সহ অন্য কোন মুসলিম প্রধান দেশেই নবীজির শাষনামলের রীতিনীতি অনুসৃত হওয়ার উদাহরন দেখা যায়না। সৌদী আরব বহুকাল আগে থেকে আল্লাহ এবং তাঁর নবীর বিরুধী "বাদশাহী শাষন" অব্যাহত রয়েছে। মিশরে দাঁড়ি রাখার উপর কড়া নিষেদাজ্ঞা জারি আছে এবং কি নবীজির আচার আচরন অনুসরনে প্রচুর ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়। ইরানে যদিও আপাত: দৃষ্টে ইসলামী শাষন নিয়ে একশ্রেনী গর্ব অনুভব করতে দেখা যায় তাঁরা মুলত: ইসলাম ধর্মের বিকৃতকারি, সর্বনাশকারি। ইরানের  শাষক শ্রেনী শিয়া ধর্মালম্বি এবং শিয়া মতবাদের ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনা করেন।ইরাকে ইহুদী শাষক আমেরিকা কতৃক সাদ্দাম সরকারকে উৎখাতের মাধ্যমে ইসলামী শাষনের যৎকিঞ্চিত ধারা লক্ষনীয় ছিল তাও তিরোহিত করেছেন।

পাশ্চাত্যের ইহুদী, খৃষ্টানগন "ইসলামের সৌন্দয্যের এককনা মাত্র' "নেতা নির্বাচনের পদ্ধতি"কে আর এককদম বাড়িয়ে সর্বস্তরের জনগনের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিনীধি কতৃক নির্বাচিত পদ্ধতি "গনতন্ত্র" নাম দিয়ে শান্তি, সমৃদ্ধি, শৌয্য, বিয্য, আধুনিক, বিজ্ঞানভিত্তিক সুখী সমৃদ্ধ দেশের অধিকারি হয়েছেন। সমাজতন্ত্রীরা নবী (স:) এর শুধুমাত্র "নেতা নির্বাচনের কেন্দ্রিকতা"কে গ্রহন করে কালজয়ী থিসিসের ধারক বাহক হয়েছেন--"চীন, সৌভিয়েত সহ বিশ্বের অর্ধেক শাষন করার কৃতিত্বের অধিকারি হয়েছেন"।

মসুলমানদের হাতে নবীজির সমগ্র জীবন দর্শন, আল-কোরান, নবীজির শাষনকালের দৃষ্টান্ত, নেতা নির্বাচনের "খেলাফতের" সমগ্র পদ্ধতি, শাষন করার নীতি "মদীনা সনদ', সংখ্যালুঘু ধর্মীয় গোষ্টি রক্ষায় "বিদায় হজ্বের ভাষন' থাকা সত্বেও বিশ্বের কোথাও ইঞ্চি পরিমান শাষন করার জায়গা নেই। এতেই বুঝা যায় প্রকৃত ইসলাম ধর্মের অনুসারিদের হাতে ইসলাম নেই। রাষ্ট্র শাষনে নবীজির পথ খেলাফত তিরোহিত হওয়ার পর ইসলামের প্রচার, প্রসার, বিস্তৃতি রুদ্ধ হয়ে গেছে এবং সেই রুদ্ধতা আজও অব্যাহত ও দৃশ্যমান।
মুসলিমগন খলীফা শাষনের পর হতে বিশ্বময় ইহুদী নাসারাদের হাতে অপমান, অপদস্ত, রাজ্যহারা, রাষ্ট্রহারা হওয়ার ধারাবাহিকতা থেকে রক্ষা পায়নি। ইহা আল্লাহ প্রদত্ত শাস্তি কিনা আলেম সমাজের ভেবে দেখার সময় হয়েছে। নচেৎ খেলাফতের শাষনামলের "অর্ধ পৃথিবীর শাষন" আজকের আধুনিক, বিজ্ঞানভিত্তিক, গনতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায়  বিশ্বময় কোথাও ধুলিকনায়ও অবশিষ্ট নেই কেন--"তাঁর ব্যাখ্যা আলেম ওলামাদের দেয়া প্রয়োজন।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু খেলাফত, মদীনা সনদের সমগ্র গ্রহন করে বাকশাল" গড়ে তুলেও দেশ শাষন করতে পারেননি। খেলাফতের শাষন-- "কোরান, হাদিসকে অক্ষুন্ন রেখে এবং সেই আলোকে মসুলমানদের একক শাষন অব্যাহত রাখার নিমিত্তে বিভিন্ন কর্মে নিয়োজিত ধর্মীয় জ্ঞানী ব্যাক্তিদের সংখ্যা গরীষ্টের মতামতে নেতা নির্বাচিত হওয়ার বিধান ছিল।

 "বাকশালেও সংবিধানের মূলনীতি অক্ষুন্ন রেখে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার নির্বাচিত প্রতিনীধি কতৃক সংখ্যা গরিষ্টের ভোটে নেতা নির্বাচনের বিধান ছিল"(বর্তমান নির্বাচিত জেলাপরিষদ পদ্ধতির কাছাকাছি)। যাতে কোন প্রকারেই স্বাধীনতা বিরুধী, অশুভ শক্তি নির্বাচিত হতে না পারে তজ্জন্য নির্দিষ্ট নির্বাচিত প্রতিনীধি পদ্ধতি গ্রহন করা হয়েছিল। দেশে বিরাজমান হিংসা হানাহানী, হত্যা, গুম, লুটতরাজ বন্ধ করে---"শান্তি, শৃংখলা, উন্নতি, সমৃদ্ধি অর্জনের লক্ষে সমগ্র  জাতিকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে একক 'জাতীয় দলের' অন্তভূক্ত করার "অভিনব রাষ্ট্র শাষন পদ্ধতির নাম "বাকশাল"।

অন্যদিকে--ইসলামী শাষনকে সার্বজনীন, সাম্যের, শান্তির শাষনে রুপান্তরে এবং ইসলামী শাষনের অভ্যন্তরে অন্য জাতিগোষ্টির অনুপ্রবেশ ঠেকানোর লক্ষে শুধুমাত্র ইসলামী জ্ঞানসম্পন্ন নির্দিষ্ট ব্যাক্তিদের নির্বাচনে সংখ্যা গরিষ্টের অভিমতে খেলাফতের উত্তরাধিকার মনোনীত করার বিধান ছিল।
পার্থক্য শুধুমাত্র একটি মনুষ্য সৃষ্টি "বাংলাদেশের বাঙ্গালী জাতির কল্যানে" অন্যটি নবীজির সৃষ্টি "বিশ্বমানবতার কল্যানে সৃজিত ছিল।"বাঙ্গালী জাতি দৃশ্যত নিজেদের পদ্ধতিও মানতে রাজী নয় নবী (স:) এর শাষন ব্যবস্থার প্রতিও আগ্রহি নয়।

অশুভ শক্তির অব্যাহত উত্থানে আমরা না পারছি নিজেদের উদ্ভাবীত রাষ্ট্র পরিচালনার ব্যাবস্থা গড়ে তুলতে না পারছি মহান ধর্ম ইসলামের আলোকে রাষ্ট্র পরিচালনায় সহযোগীতা দিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে অনন্তকালের বাসস্থানে সুখে, শান্তিতে থাকার নিশ্চয়তার ধারে কাছে ঘেঁষতে।আমরা বাঙ্গালী মুসলিম সমাজ খোদাবিরুদ্ধ সংখ্যালুঘু নিয্যাতন এবং ইহুদী আবিস্কৃত "জোর যার রাজ্য তার" নীতি তথাকথিত পুতিগন্ধময়  রাষ্ট্রব্যবস্থা "গনতন্ত্রের" প্রতি আনুগত্য প্রদর্শনের মাধ্যমে নীজ জাতিকে নিয়ে যাচ্ছি অন্ধকারে, ধর্মকে করছি অপমান, অপদস্ত, নবীজিকে দিচ্ছি প্রতিনিয়ত দু:খ্য, আল্লহকে করছি নারাজ।"
ruhulaminmujumder27@gmail.com

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন