বাঙ্গালী মুসলিম সমাজ নিজেদের দর্শনও মানেনা, আল্লাহর নবীর শাষনও মানেনা----"মানে শুধু ইহুদি, ইংরেজ তথা পাশ্চাত্যের শাষনব্যবস্থা।"                                              
(রুহুল আমিন মজুমদার)

মানব সমাজের সভ্যতা বিকাশের প্রথমার্ধে ইসলাম ধর্মের আবির্ভাব ঘটে। যখন মানব সমাজের প্রত্যহিক চাহিদা পূরনার্থ্যে চারিদিকে হিংসা, হানাহানি, জাতি গোষ্টিগত বিরোধ, একে অপরের উপর প্রধান্য বিস্তারের লক্ষে এক গোষ্টি অন্য গোষ্টিকে নি:শেষ করে দেয়ার চেষ্টারত: থাকায় চারদিকে ঘোর অন্ধকার নেমে এসেছিল ঠিক তখনই আল্লাহ তাঁর মনোনীত ধর্ম গ্রন্থ আল-কোরান নবী করিম (স:) এর মাধ্যমে সমগ্র মানব জাতির কল্যানে পৃথিবীতে প্রেরন করেন। আল্লাহ প্রেরীত আল-কোরান এবং নবী (স:) এর উপর বিশ্বাস স্থাপন কারীগন ইসলাম ধর্মের অনুসারি হিসেবে পরিচিত হন। আল্লাহ তাঁর প্রেরিত কিতাব সমগ্র মানব সমাজের কল্যানে এবং ইসলামকে সমগ্র মানব জাতির অনুসরনীয় করে সার্বজনীনতা ও সাম্যের ধর্মরুপে স্বীকৃতি প্রদান করেন।

মহান আল্লাহর ইচ্ছানুযায়ী নবীকরীম (স:) এর জীবনাচারকে অনুকরনীয় করে রাখার উদ্দেশ্যে সকল গুনাবলী তাঁর মধ্যে অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে মহামনবে রুপান্তর করেন। তিনি যেমন আল্লাহ প্রেরীত কোরানের ধারক তেমনি উহার বিস্তারের জন্যে প্রচারক, যেমনি নতুন সমাজ সৃষ্টিকারক তেমনি নতুন সমাজের শাষক, যেমন আল-কোরানের আলোকে রচিত হাদিসের মাধ্যমে কোরান এবং মানব সমাজে নিত্যনতুন সমস্যার সমাধান দিয়ে ধর্ম সংস্কারক হিসেবেও অনুকরনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে ছিলেন। তখনকার যুগে এমন কোন বিষয় ছিলনা যাহা ঘটেনি এবং নবী (স:)কোরানের আলোকে সমাধান দেননি।

তাঁর সৃষ্ট ইসলামী রাষ্ট্রের শাষনকর্তা হয়ে তিনিই প্রথম কোরানের আলোকে রাষ্ট্র শাষন ব্যবস্থা "মদিনা সনদ" রচনা করেন। তাঁর আগে বৃহত্তর কোন রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ছিলনা এবং ছোট ছোট 'নগর রাষ্ট্র' সমূহ শাষনের কোন রুপরেখাও ছিলনা। তাঁর মৃত্যুর পর কিভাবে পরবর্তী প্রজম্ম ইসলাম ধর্মের প্রসার, ইসলামী সাম্রাজ্য বিস্তার ও শাষন করবেন--"তাঁর রুপরেখাও তাঁর ওফাৎ এর আগে সর্বশেষ মসুলমানদের বৃহত্তর মিলনমেলা "হজ্বের অনুষ্ঠানে" ভাষনের মাধ্যমে দিকনির্দেশনা দিয়ে যান।" তাঁর আগে কোন রাষ্ট্র শাষকের ভাষন দেয়ার রীতিও প্রচলন ছিলনা। তাঁর শেষ ভাষনকে পরবর্তীতে মানব জাতির ইতিহাসে 'সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ভাষন' স্বীকৃতি দিয়ে "বিদায়ী হজ্বে''র ভাষন হিসেবে নামকরন করা হয়েছে।

নবী (স:) রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রবর্তন করে শাষক নিয়োগের রীতিও প্রচলন করে গেছেন। তৎসময়ের অভিজ্ঞ সাহাবীদের বেশীরভাগ 'সাহাবী'র মতামতের মাধ্যমে শাষনকর্তা নিয়োগের বিধান তিনিই দেখিয়েছেন।পরবর্তীতে খলিফাদের শাষনে নীতিটি পুর্ণাঙ্গ অনুসরনকল্পে সমাজের সর্বস্তরের অভিজ্ঞ সাহাবীদের বৈঠকে বেশীরভাগ 'সাহাবী'র মতামতের ভিত্তিতে" সকল প্রকার বিতর্ক এড়িয়ে 'খলিফা' নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়েছিল। এইরুপ আধুনিক নেতা নির্বাচনের পদ্ধতি ও রীতিটি সর্বযুগের শ্রেষ্ঠ রীতিরুপে "আল্লাহ নবীজির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন"।

নবীজির জীবিতবস্থায় মানব সমাজের দৈনন্দিন উন্নতি ও সভ্যতার ক্রমবিকাশের ফলে উদ্ভোত নতুন নতুন সমস্যা ও জটিলতা নিরসন কল্পে নির্দিষ্ট রুপরেখাও বলে দিয়েছেন। ইসলাম ধর্ম যেহেতু সর্বযুগের শ্রেষ্ঠধর্ম, বিশ্বমানবতার শান্তির ধর্ম এবং ইসলামী শাষন 'সার্বজনীন শাষন' সেহেতু যুগের সাথে তালমিলিয়ে আল-কোরানের নির্দেশনা অমলিন রেখে, হাদিসের আলোকে পরিবর্তন, পরিবর্ধন, আধুনিক, যুগোপযোগী করার লক্ষে সাহাবীদের পরবর্তী তাবেঈন-তাবেতাবেঈন সর্বশেষ ধর্মীয় জ্ঞানে অভিজ্ঞ আলেম উলামাদের উপর দায়িত্ব দিয়ে গেছেন।

যেহেতু ইসলাম সার্বজনীন ধর্ম এবং আল-কোরান সমগ্র মানব জাতির কল্যানে আল্লাহ প্রেরন করেছিলেন সেহেতু নবীজির প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রে "রাষ্ট্র ধর্ম" ছিলনা। যেহেতু নবীজির বিদায়ী হজ্বের ভাষন ধর্ম, বর্ণ, গোষ্ঠিবেদে সমগ্র মানব জাতির উদ্দেশ্যে প্রদত্ত ভাষন ছিল সেহেতু ঐ ভাষনের প্রারম্ভে কোরানের পবিত্র আয়াত 'বিছমিল্লাহ' বলে নবীজি শুরু করেননি।আল্লাহ যেহেতু তাঁর কোরান সমগ্র মানব জাতির কল্যানে এবং ইসলাম ধর্মে ইমান আনার জন্যে সমগ্র মানব জাতির উদ্দেশ্যে আহব্বান রেখেছেন সেহেতু নবীজির সকল কর্মকান্ড "আল্লাহ' সমগ্র মানব জাতির নিকট অ-বিতর্কিত রেখেছেন।"

 আল্লাহ তাঁর কোরানে মানব জাতি  এবং জ্বিনের বিচার করবেন উল্লেখ করায় নবীজি ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে নিষেদ করেছেন।--"সঙ্গে স্ব-স্ব ধর্ম পালনের স্বাধীনতা দিয়েছেন"। তিনি সংখ্যাগরিষ্ট মুসলমানদের শাষনে সংখ্যালুঘু অন্যান্ন ধর্মের নাগরীকদের সুরক্ষার নীতিও সুস্পষ্টভাবে "নীজের শাষনে' উদাহরন রেখেছেন এবং পরবর্তীতে যারা শষন করবেন তাঁদেরকেও অনুসরন করার নির্দেশ দিয়েছেন।

ইসলামের সৌন্দয্য, ভাতৃত্ববোধ, মহত্ব, সাম্যের রীতি যতদিন অব্যাহত ছিল মসুলমানদের বিজয় ততদিন আল্লাহ অব্যাহত রেখেছিলেন। ইসলামের অভ্যন্তরে "অতিধার্মীক" নবীজির জীবিতবস্থায়  বহি:স্কৃত করা খারেজদের  হাতে একে একে তিন খলীফার মর্মান্তিক মৃত্যুর পর ইসলামের অগ্রযাত্রা  থেমে যায়। সার্বজনীন ইসলামের অনুসারী মসুলমান এবং নবীজির নির্দেশ অমান্যকারি "কেন্দ্রিভুত ইসলামের অনুসারী"দের অভ্যন্তরীন কোন্দলে নবীজির আদরের দৌহিত্র "হাসান এবং হুসাইন"কেও কারবালার ময়দানে জীবন দিতে হয়েছিল।

অতিধার্মীকগন নবীজির শাষনের "সংখ্যা গরীষ্টের মতামতে নির্বাচিত শাষন প্রথা খেলাফত" বাতিল করে বংশ পরস্পরায় শাষন ব্যবস্থা "বাদশাহী" শাষন কায়েম করেন। সার্বজনীন "ইসলামী শাষন" খেলাফতের শাষনকে শুধুমাত্র মুসলিম শাষন "বাদশাহী শাষনে" রুপান্তরীত করে ইসলামের সৌন্দয্যহানী ঘটানোর প্রক্রিয়া তখনই চালু করেন। পরবর্তীতে সেই শাষনব্যবস্থাই আরো বেশী শাষক, শোষক, দখলবাজীর রুপ ধারন করে "সম্রাট শাষন" নাম ধারন করে ভারতীয় উপমহাদেশ পয্যন্ত বিস্তৃতি ঘটে। একের পর এক জনপথ করায়ত্ত হয়েছিল ঠিকই কিন্তু ইসলাম ধর্মের প্রচার, প্রসার বিস্তৃতি আর ঘটেনি। সংখ্যাতত্বের দিকে নজর দিলে যে কোন সচেতন ধার্মীক ব্যাক্তি আমার কথার যুক্তিকতা খুঁজে পাবেন--আশা করি।

আমাদের অত্র ভারতীয় উপমহাদেশেও 'বাদশাহী দখলবাজী শাষনে'র আগে 'খেলাফতের শাষনামলে' "সূফি সাধক, দরবেশ" গনের আগমনে যতটুকু ইসলাম ধর্মের বিস্তৃতি ঘটেছিল পরবর্তী "বাদশাহী, সম্রাটি" শাষনামলে ইঞ্চি পরিমানেও বিস্তৃতি ঘটেনি। বরঞ্চ শাষনকায্য নি:স্কন্টক রাখার উদ্দেশ্যে ইসলামের বিপরীতে অতিধার্মীক শাষক কতৃক প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে "দীন- ই- এলাহী" ধর্মের প্রবর্তন করতেও দেখা যায় (ইতিহাসে)। অতিধার্মীকগন লেবাজের গুনে সাধারন মসুলমানদের বিভ্রান্ত করে "সার্বজনীন  শান্তি, সাম্যের ইসলামী খেলাফতের শাষনের বিপরীতে  জোর, জুলুম, দখল, লুটপাট, শোষন, শাষনের "বাদশাহী, সম্রাটি" ইসলামী শাষনের প্রবর্তন করে ইসলামকে করেছে বিশ্বময় প্রশ্নবিদ্ধ, অগ্রযাত্রা দিয়েছে থামিয়ে, হিংসা হানাহানী দিয়েছে বাড়িয়ে।

লেবাজী ইসলাম ধর্মের ধারাবাহিকতা থেকে ইসলাম রক্ষিত না হয়ে আজকের দিনে আরো ব্যাপক শক্তি সঞ্চয় করে বহুগুন প্রভাব নিয়ে তাঁরা আবির্ভুত হয়েছে। অবশ্য নবী (স:) তাঁর জীবিতবস্থায় লেবাজী ধর্মধারী, অতিধার্মীক ও তাঁদের চেনার উপায় এবং কি প্রভাব বিস্তারের লক্ষন সম্মন্ধে মসুলমানদের সতর্ক করে দিয়ে গেছেন। লেবাজধারী আলেমগন তাঁদের আচার, আচরন, ধর্ম পালনের আনুগত্যতা দিয়ে খেলাফত যুগেও মসুলমানদের বিভ্রান্ত করে খলিফা হত্যা ও নবীজির বংশবিনাশ করতে পেরেছিল-বর্তমানেও সেই ধারাই তাঁরা অক্ষুন্ন রেখে ইমানদার সাধারন মসুলমানদের বিভ্রান্ত করে ইসলামকে অতিরঞ্জন, নৈরাশ্যবাদের অতলতলে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে। এরা সম্পূর্ণ আবু লাহাব, মোয়াবিয়া, ইয়াজিদের পথ অনুসরন করছে কিনা প্রকৃত আলেম সমাজের ভেবে দেখা প্রয়োজন।

বর্তমান বিশ্বের ইসলাম ধর্মের নিয়ন্ত্রন এই শ্রেনীর হাতেই রয়েছে অনুমেয়। সৌদী আরব সহ অন্য কোন মুসলিম প্রধান দেশেই নবীজির শাষনামলের রীতিনীতি অনুসৃত হওয়ার উদাহরন দেখা যায়না। সৌদী আরব বহুকাল আগে থেকে আল্লাহ এবং তাঁর নবীর বিরুধী "বাদশাহী শাষন" অব্যাহত রয়েছে। মিশরে দাঁড়ি রাখার উপর কড়া নিষেদাজ্ঞা জারি আছে এবং কি নবীজির আচার আচরন অনুসরনে প্রচুর ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়। ইরানে যদিও আপাত: দৃষ্টে ইসলামী শাষন নিয়ে একশ্রেনী গর্ব অনুভব করতে দেখা যায় তাঁরা মুলত: ইসলাম ধর্মের বিকৃতকারি, সর্বনাশকারি। ইরানের  শাষক শ্রেনী শিয়া ধর্মালম্বি এবং শিয়া মতবাদের ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনা করেন।ইরাকে ইহুদী শাষক আমেরিকা কতৃক সাদ্দাম সরকারকে উৎখাতের মাধ্যমে ইসলামী শাষনের যৎকিঞ্চিত ধারা লক্ষনীয় ছিল তাও তিরোহিত করেছেন।

পাশ্চাত্যের ইহুদী, খৃষ্টানগন "ইসলামের সৌন্দয্যের এককনা মাত্র' "নেতা নির্বাচনের পদ্ধতি"কে আর এককদম বাড়িয়ে সর্বস্তরের জনগনের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিনীধি কতৃক নির্বাচিত পদ্ধতি "গনতন্ত্র" নাম দিয়ে শান্তি, সমৃদ্ধি, শৌয্য, বিয্য, আধুনিক, বিজ্ঞানভিত্তিক সুখী সমৃদ্ধ দেশের অধিকারি হয়েছেন। সমাজতন্ত্রীরা নবী (স:) এর শুধুমাত্র "নেতা নির্বাচনের কেন্দ্রিকতা"কে গ্রহন করে কালজয়ী থিসিসের ধারক বাহক হয়েছেন--"চীন, সৌভিয়েত সহ বিশ্বের অর্ধেক শাষন করার কৃতিত্বের অধিকারি হয়েছেন"।

মসুলমানদের হাতে নবীজির সমগ্র জীবন দর্শন, আল-কোরান, নবীজির শাষনকালের দৃষ্টান্ত, নেতা নির্বাচনের "খেলাফতের" সমগ্র পদ্ধতি, শাষন করার নীতি "মদীনা সনদ', সংখ্যালুঘু ধর্মীয় গোষ্টি রক্ষায় "বিদায় হজ্বের ভাষন' থাকা সত্বেও বিশ্বের কোথাও ইঞ্চি পরিমান শাষন করার জায়গা নেই। এতেই বুঝা যায় প্রকৃত ইসলাম ধর্মের অনুসারিদের হাতে ইসলাম নেই। রাষ্ট্র শাষনে নবীজির পথ খেলাফত তিরোহিত হওয়ার পর ইসলামের প্রচার, প্রসার, বিস্তৃতি রুদ্ধ হয়ে গেছে এবং সেই রুদ্ধতা আজও অব্যাহত ও দৃশ্যমান।
মুসলিমগন খলীফা শাষনের পর হতে বিশ্বময় ইহুদী নাসারাদের হাতে অপমান, অপদস্ত, রাজ্যহারা, রাষ্ট্রহারা হওয়ার ধারাবাহিকতা থেকে রক্ষা পায়নি। ইহা আল্লাহ প্রদত্ত শাস্তি কিনা আলেম সমাজের ভেবে দেখার সময় হয়েছে। নচেৎ খেলাফতের শাষনামলের "অর্ধ পৃথিবীর শাষন" আজকের আধুনিক, বিজ্ঞানভিত্তিক, গনতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায়  বিশ্বময় কোথাও ধুলিকনায়ও অবশিষ্ট নেই কেন--"তাঁর ব্যাখ্যা আলেম ওলামাদের দেয়া প্রয়োজন।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু খেলাফত, মদীনা সনদের সমগ্র গ্রহন করে বাকশাল" গড়ে তুলেও দেশ শাষন করতে পারেননি। খেলাফতের শাষন-- "কোরান, হাদিসকে অক্ষুন্ন রেখে এবং সেই আলোকে মসুলমানদের একক শাষন অব্যাহত রাখার নিমিত্তে বিভিন্ন কর্মে নিয়োজিত ধর্মীয় জ্ঞানী ব্যাক্তিদের সংখ্যা গরীষ্টের মতামতে নেতা নির্বাচিত হওয়ার বিধান ছিল।

 "বাকশালেও সংবিধানের মূলনীতি অক্ষুন্ন রেখে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার নির্বাচিত প্রতিনীধি কতৃক সংখ্যা গরিষ্টের ভোটে নেতা নির্বাচনের বিধান ছিল"(বর্তমান নির্বাচিত জেলাপরিষদ পদ্ধতির কাছাকাছি)। যাতে কোন প্রকারেই স্বাধীনতা বিরুধী, অশুভ শক্তি নির্বাচিত হতে না পারে তজ্জন্য নির্দিষ্ট নির্বাচিত প্রতিনীধি পদ্ধতি গ্রহন করা হয়েছিল। দেশে বিরাজমান হিংসা হানাহানী, হত্যা, গুম, লুটতরাজ বন্ধ করে---"শান্তি, শৃংখলা, উন্নতি, সমৃদ্ধি অর্জনের লক্ষে সমগ্র  জাতিকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে একক 'জাতীয় দলের' অন্তভূক্ত করার "অভিনব রাষ্ট্র শাষন পদ্ধতির নাম "বাকশাল"।

অন্যদিকে--ইসলামী শাষনকে সার্বজনীন, সাম্যের, শান্তির শাষনে রুপান্তরে এবং ইসলামী শাষনের অভ্যন্তরে অন্য জাতিগোষ্টির অনুপ্রবেশ ঠেকানোর লক্ষে শুধুমাত্র ইসলামী জ্ঞানসম্পন্ন নির্দিষ্ট ব্যাক্তিদের নির্বাচনে সংখ্যা গরিষ্টের অভিমতে খেলাফতের উত্তরাধিকার মনোনীত করার বিধান ছিল।
পার্থক্য শুধুমাত্র একটি মনুষ্য সৃষ্টি "বাংলাদেশের বাঙ্গালী জাতির কল্যানে" অন্যটি নবীজির সৃষ্টি "বিশ্বমানবতার কল্যানে সৃজিত ছিল।"বাঙ্গালী জাতি দৃশ্যত নিজেদের পদ্ধতিও মানতে রাজী নয় নবী (স:) এর শাষন ব্যবস্থার প্রতিও আগ্রহি নয়।

অশুভ শক্তির অব্যাহত উত্থানে আমরা না পারছি নিজেদের উদ্ভাবীত রাষ্ট্র পরিচালনার ব্যাবস্থা গড়ে তুলতে না পারছি মহান ধর্ম ইসলামের আলোকে রাষ্ট্র পরিচালনায় সহযোগীতা দিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে অনন্তকালের বাসস্থানে সুখে, শান্তিতে থাকার নিশ্চয়তার ধারে কাছে ঘেঁষতে।আমরা বাঙ্গালী মুসলিম সমাজ খোদাবিরুদ্ধ সংখ্যালুঘু নিয্যাতন এবং ইহুদী আবিস্কৃত "জোর যার রাজ্য তার" নীতি তথাকথিত পুতিগন্ধময়  রাষ্ট্রব্যবস্থা "গনতন্ত্রের" প্রতি আনুগত্য প্রদর্শনের মাধ্যমে নীজ জাতিকে নিয়ে যাচ্ছি অন্ধকারে, ধর্মকে করছি অপমান, অপদস্ত, নবীজিকে দিচ্ছি প্রতিনিয়ত দু:খ্য, আল্লহকে করছি নারাজ।"
ruhulaminmujumder27@gmail.com

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা