পত্রিকায় প্রকাশিত একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের ময়নাতদন্ত।
(রুহুল আমিন মজুমদার)
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এতদঞ্চলের একটি ঐতিহাসিক গনতান্ত্রিক সংগঠন। বাংলাদেশের অভ্যুদ্বয়ের ইতিহাসের প্রতিটি বাঁকে জড়িয়ে আছে এই দলটির এবং দলের নেতা বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, বাঙ্গালী জাতীয়তাবোধের জম্মদাতা, শ্রেষ্ঠবাঙ্গালী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের নাম। মুক্তিযুদ্ধের পর জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সরকার গঠিত হলে সারা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগে যোগদানের হিড়িক পড়ে। দলে দলে আওয়ামী লীগের পতাকাতলে সমবেত হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার শফথ নিতে থাকে নিষিদ্ধ ঘোষিত ধর্মভিত্তিক দলের নেতাকর্মী, চীনপন্থি কম্যুনিষ্ট পার্টির তৃনমূলের নেতাকর্মীরা। আওয়ামীলীগ ছাড়া বাকি কোন দলের অস্তিত্ব খুঁজে নিতে দুরবীন যন্ত্রের সাহায্য নিলেও খোঁজে পাওয়া কষ্টকর ছিল।
এমন পরিস্থীতিতে সাম্রাজ্যবাদি চক্রের কূটচালে ছাত্রলীগের একটি অংশ দলত্যাগ করে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র কায়েমের লক্ষে সরকার বিরুধী একটি রাজনৈতিক দল গঠন করে। রাতারাতি দলটি সারাদেশব্যাপি শাখা, প্রশাখা ছড়িয়ে শক্তিশালী দলে রুপান্তরীত হয়। আশু বিপ্লবের লক্ষে তৎক্ষনাৎ দলটির একটি সামরিক শাখারও বিকাশ ঘটে।সামরিক শাখাটি গনবাহিনী নাম নিয়ে আত্মপ্রকাশ করার উষালগ্নেই অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রের সজ্জিত হয়ে আত্মপ্রকাশ করতে পেরেছিল। তখনকার তরুন প্রজম্ম একটুখানিও চিন্তা করেনি সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত দেশে সামরিক বাহিনীর হাতে যেখানে অস্ত্র নেই, তাঁদের হাতে এই সমস্ত ভীনদেশী অত্যাধুনিক অস্ত্র কোত্থেকে আসে, কেন আসে।
১৯৭৫ এর ১৫ আগষ্ট ঘাতকচক্রের হাতে বঙ্গবন্ধু স্ব-পরিবারে নিহত হলে আওয়ামী লীগের উপর চরম বিপয্যয় নেমে আসে। দলের অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকা মীর জাপরের বংশ তাঁদের আসল চেহারা নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে। ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুর রক্তস্রোতের উপর দাঁড়িয়ে সেইদিন ভোর থেকে ঘাতক চক্র ভীরু ভীরু কন্ঠে সাধু-চলিত ভাষার সংমিশ্রনে হৎচকিতভাবে যে ঘোষনাটি বাংলাদেশ বেতারে(রেডিও বাংলাদেশ) পাঠ করেছিল বার বার, সেই ঘোষনানুযায়ী তাঁরা শুধুমাত্র সেই দিন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি---হত্যা করেছিল বাংলাদেশ, বাঙ্গালী জাতি, অসাম্প্রদায়িক চেতনাবোধকে।
তাঁর পরবর্তী ইতিহাস আওয়ামী নিধনের ইতিহাস, সংখ্যালুঘু নিধনের ইতিহাস, সাম্প্রদায়িক রাজনীতি উত্থানের ইতিহাস, পবিত্র ধর্ম ইসলামকে বেচাকেনার ইতিহাস। সেদিন থেকে দীর্ঘ ২১ বছর আওয়ামীলীগ নিধন হয়েছিল ঠিকই, যাদের কাঁধে ভর দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে হত্যা করা হয়েছিল, সেই বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রীদের অস্তিত্ব কোনপ্রকার নিড়ানী ছাড়াই কালক্রমে নিধন হয়ে গিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যার আগে লক্ষ লক্ষ বিপ্লবীর মিছিল, গগনবিদারী শ্লোগান,গনভবন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ঘেরাও এর হঠকারি রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন অব্যাহত ছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর একই বিপ্লবীদল ঢাকা শহরের সববস্তির টোকাই ভাড়া করেও অদ্যাবদি একটি মফস্বল শহরে অনুষ্ঠিত সমপরিমানের জঙ্গীমিছিলও কোনদিন করা সম্ভব হয়নি।
তদ্রুপ রাজনৈতিক পরিবেশ পরিস্থীতি আবারো উত্থান ঘটানোর চক্রান্তে বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারি দল জাতির জনকের জৈষ্ঠকন্যা, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রে। দেশী-বিদেশী একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে ০১/০৪/২০১৭ ইং শনিবার প্রখ্যাত দুটি পত্রিকা "দৈনিক ইত্তেফাক ও দৈনিক আজকের সূয্যদয়" পত্রিকায় জনাব "আবুল খায়ের ও মেহেদী হাসানের" একটি অনুসন্ধানী রিপোর্ট চাপা হয়েছে। রিপোর্টের মর্মানুযায়ী সরকারের আকাশচুম্ভি উন্নয়ন অগ্রগতির রথ থামানোর উদ্দেশ্যে দেশীবিদেশী চক্রান্তে, উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে দলে দলে জামায়াত শিবির সহ অন্যান্ন স্বাধীনতা বিরুধীদের অনুপ্রবেশ সুনিশ্চিত করা হয়েছে। একাজে দলের অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকা মোস্তাকচক্রের সরাসরি জড়িত থাকার ইঙ্গিতও রয়েছে বলে গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে।
গোয়েন্দা সংস্থার দেয়া রিপোর্টের সত্যতা যাছাইকল্পে জনাব "আবুল খায়ের ও মেহেদী হাসান" দেশব্যাপি অনুসন্ধান চালিয়ে বর্তমান আওয়ামী লীগ এবং তাঁর নেত্রী শেখ হাসিনার জীবন নাশের উপযোগি ভয়ংকর চিত্রের সন্ধান পেয়েছেন। তাঁদের ভাষায়--"দলে দলে সরকারি দলে বিএনপি-জামায়াত। হাইব্রিডদের মাঠ দখল। গত চার বছরে ঢুকেছে ৩০ হাজারের বেশি। অর্থ-সম্পদ বৃদ্ধি, ফৌজদারী অপরাধ থেকে রক্ষা ও দলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিই যোগদানের উদ্দেশ্য। হাইকমান্ডের নির্দেশনা উপেক্ষিত, উদ্বিগ্ন ১৪ দলের শরিকরাও।
রিপোর্টের একটি ছোট একটি অংশ সম্মানিত পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা প্রয়োজন মনে করি---"জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মীদের আওয়ামী লীগে যোগদানের জন্য তৃণমূল আওয়ামী লীগের উদ্যোগে যেসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল তাতে প্রধান অতিথি হিসেবে বিভিন্ন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।"
দল শক্তিশালী করতে ২০১১ সালে সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করে আওয়ামী লীগ। সারা দেশে দুই টাকা মূল্যের সদস্য ফরম পাঠানো হয়। কিন্তু পরে তা আর বেশি দূর এগোয়নি। আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের অভিযোগ, অভিযান শুরুর পর তা বাস্তবায়নে আর আগ্রহ দেখাননি দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা। এ পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় স্বাধীনতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত দল জামায়াত ও তাদের জোটসঙ্গী বিএনপির নেতাকর্মীদের দলে ভেড়ানো হয়। স্থানীয় সংসদ সদস্যরা এতে মদদ দেন। শুধু তাই নয়, স্থানীয় প্রশাসনেও অনুপ্রবেশকারীদের লোকরাই চাকরি পাচ্ছে বেশি। জামায়াতের টাকায় তারা চাকরি পাচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আওয়ামী লীগের অনুপ্রবেশকারীদের একক আধিপত্য বিরাজ করছে।"
উল্লেখিত রিপোর্টে সামান্যতম অংশও যে বাতুলতা নয়, তাঁর চাক্ষুস প্রমান সহকারে---আমার বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে, আমার অনেক লেখায় তুলে ধরেছিলাম। এবং কি আমার নীজ ইউনিয়নে কিভাবে আওয়ামী নিধন পরিবারের সন্তান, আওয়ামী লীগে যোগদান ব্যাতিরেকে একলাফে দলের ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি পদ সহ ইউ,পি চেয়ারম্যান মনোনয়ন পেয়েছে"---তাঁর সম্পূর্ণ বিবরণী তোলে ধরেছি। চাকুরী ক্ষেত্রেও আমার এলাকার ইউনিয়ন বিএনপি নেতার ছেলে, ঢাকা ইউনিভারসিটির শিবির নেতা কিভাবে, কার মাধ্যমে, কতটাকার বিনিময়ে পুলিশ সার্জেন্টের ন্যায় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকুরী লাভ করেছিল--তাঁর বিশদ বিবরনী সহ উল্লেখ করেছিলাম। অত্যান্ত পরিতাপের বিষয়--আওয়ামীলীগের নীতিনির্ধারক পয্যায়ের কারো নজরেই আমার লেখা গুলি কখনও পড়েনি।
এমনতর ঘটনা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঘটেছে তাঁর প্রমানাদি সহ গোয়েন্দাদের একাধিক রিপোর্ট, দলের উধ্বতন কতৃপক্ষের নিকট জমা দেয়া হয়েছে। দলের সাধারন সম্পাদক একাধিকবার ঐসমস্ত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন ঘোষনাও দিয়েছেন। তিনি তাঁদেরকে তৃনমূল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের "হাইব্রিড" উপাদিকে চাপিয়ে আরো নিগূড় তাৎপয্যপূর্ণ উপাদি "কাউয়া" বলে সম্বোধন করে তাঁর অন্তরে জমানো ক্ষোভের বহি:প্রকাশও ঘটিয়েছেন।
ব্যাক্তিগতভাবে আমি একজন ক্ষুদ্র বঙ্গবন্ধু প্রেমি হিসেবে যতটুকু বুঝি-- বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে সদ্য স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে আওয়ামীলীগের অভ্যন্তর থেকে জাসদ সৃষ্টি করা হয়েছিল। নতুন দল জাসদের কাঁধে ভর দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিল সাম্রাজ্যবাদি মূৎসুদ্ধি গোষ্টি এবং তাঁদের এদেশীয় দোসরেরা। উদ্দেশ্য ছিল সমৃদ্ধ অত্রাঞ্চলকে তাঁদের পদানত রেখে শাষনশোষন অব্যাহত রাখা। তাঁদের উদ্দেশ্যের প্রধান প্রতিবন্ধকতা ছিল ''একমাত্র এবং একমাত্র'' 'বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ' এবং তাঁর অবিসংবদিত নেতা, জাতির জনক, বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে একঢিলে দুই পাখি শিকার সম্ভব করেছিল সাম্রাজ্যবাদি চক্র।একদিকে ব্যাক্তি মুজিবকে হত্যা করে তাঁর আদর্শের কবর রচনা এবং তাঁর সোনার বাংলা গড়ার ক্ষেত্রে অত্রাঞ্চলে প্রতিবন্ধকতার দেয়াল তোলে দেয়া অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বকারি দল আওয়ামীলীগকে চিরতরে বাংলার মাটি থেকে উচ্ছেদ করে, পাকিস্তানের সঙ্গে নতুন করে কনফেডারেশন গঠনের পথ পরিস্কার করা। ইতিমধ্যে আমেরিকার গোপন নথি প্রকাশের পর বিশ্বব্যাপি ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড নিয়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে এবং বিশ্বনেতৃত্বে নতুন সমীকরনের পথ প্রসস্ত হয়েছে। উল্লেখ্য দেশী--বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থা কমপক্ষে ছয়মাস আগে বঙ্গবন্ধুকে সতর্ক করেছিলেন হত্যা পরিকল্পনাকারিদের সম্পর্কে কিন্তু তিনি উক্ত সতর্কবাণী হেলায় হেসে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর অগাধ বিশ্বাস ছিল বাঙ্গালীরা তাঁকে কোনদিনও হত্যা করতে পারেনা।
গত ০১/০৪/২০১৭ ইং তারিখের 'দৈনিক ইত্তেফাক ও আজকের সুর্য্যদয় পত্রিকায় জনাব ''আবুল খায়ের ও মেহেদী হাসানের" অনুসন্ধানী রিপোর্টটি চোখে পড়ার পর নিজকে আর সংযত রাখতে পারিনি। বাংলা নাটকের দৃশ্যের ন্যায় চোখের তারায় শুধুই ভেসে উঠছে একের পর এক ২১ আগষ্ট বোমা হামলা থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রীর একমাত্র পুত্রসন্তান "সজিব ওয়াজেদ জয়" হত্যা পরিকল্পনা। অখ্যাত অজ্ঞাত চট্রগ্রামের ব্যাবসায়ীর বিএনপি দলের যুগ্ম মহাসচিব পদ প্রাপ্তি এবং তাঁর ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা "মোসাদ" কানেকশান। প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারি বিমানে নাশকতার চেষ্টা, দেশব্যাপি জঙ্গী উত্থান, হেফাজতে ইসলামের উত্থান এবং তাঁদের ইসলাম রক্ষার নামে শাফলা চত্বরে অবস্থান।ইসলাম রক্ষার নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার তৎক্ষনাৎ নেতাকর্মীদের প্রতি হেফাজতের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ, ঢাকাবাসিকে রাজপথে নেমে আসার আহব্বান, সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা দখলের জন্যে প্রকাশ্য উস্কানী ইত্যাদি সরকার বিরুধী দল সমূহের মঞ্চায়ীত নাটকের দৃশ্যাবলী।
গোয়েন্দা রিপোর্ট যতটুকু আঁচ করতে পেরেছি---এতে মনে হচ্ছে যেন অবিকল '৭২--৭৫' এর ষড়যন্ত্রের সাথে বর্তমান সময়ের ষড়যন্ত্রের হুবহু মিল রয়েছে। তখন সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে ষড়যন্ত্রকারিদের রাজপথে থাকার জন্যে একটি রাজনৈতিক দল সৃষ্টি করতে হয়েছিল। বর্তমান সময়ে তাঁর আর দরকার হয়নি। তাঁদের ৭৫ এর ষড়যন্ত্রের ফসল মেজর জিয়ার বিএনপি দীর্ঘবছর তাঁদের পরিচয্যায় বাংলাদেশের জনগনের একটি বিরাট অংশের মনে ঠাঁই করে নিয়েছে। নি:সন্দেহে সদ্য স্বাধীন দেশের নবগঠিত জাসদের চেয়ে বর্তমানের, তাঁদের ষড়যন্ত্রে সৃষ্ট বিএনপি অনেক বেশি বিশ্বস্থ, জনসম্পৃত্ত, নেতৃত্ব গুনে রাজপথের কায্যকর রাজনৈতিক শক্তি।
'৭২--৭৫ এ জামায়াতে ইসলাম ৭১ এ স্বাধীনতা যুদ্ধে বিরুধীতার কারনে লোকচক্ষুর অন্তরালে ছিল। শীর্ষনেতারা বিদেশে পালিয়ে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ষড়যন্ত্রে ইন্দন যুগিয়েছিল। মাঝারি মাঠপয্যায়ের নেতাকর্মীগন দলে দলে আওয়ামীলীগ ও নতুন জম্মনেয়া জাসদের ছাতার তলায় মুখ লুকিয়েছিল। ছাত্রসংঘের প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত ক্যাডার বাহিনী গনবাহিনীতে যোগ দিয়ে গনবাহিনীকে অ-প্রতিরোধ্য বিপ্লবী রণবাহিনীতে রুপান্তর করেছিল।
বর্তমান সময়েও তাঁরা মুক্তিযুদ্ধে মানবতা বিরুধী বিচারের কাঠগড়ায় থাকায় লোকচক্ষুর অন্তরালে তাঁদের অবস্থান। '৭২--৭৫ এর ন্যায় এবারও তাঁদের অনেকে বিদেশে পালিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।মাঝারি পয্যায়ের নেতাকর্মীরা আওয়ামীলীগ ও বিএনপিতে বিলীন হয়ে আছে।তাঁদের অপ্রতিরোধ্য ছাত্র শাখার অধিকাংশ মেধাবিরা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে চাকুরীর সুযোগ করে নিয়েছে। একাংশ জঙ্গিদলে মিশে গেছে। জামায়াতের শীর্ষ কয়েকজন দলের ব্যানারে থেকে শুধুমাত্র সময়ে সময়ে তাঁদের উপস্থীতি জানান দিচ্ছে। বাদবাকীরা হেফাজতে ইসলাম সহ অন্যান্ন সমমনা দলের সাথে মিশে আছে। ফলে বিশদলীয় জোটের অন্যতম শরিক দল হওয়া সত্বেও জোটনেত্রী জামায়াতকে ডাকার প্রয়োজন অনুভব করেন না। অ-প্রয়োজনের একমাত্র কারন--বিএনপি নেত্রী জানেন তাঁরা অধিকাংশই ইতিমধ্যে বিএনপিতে মিশে আছে।
উল্লেখিত গুপ্ত কাজটি তাঁদের বিদেশী প্রভুদের পরামর্শে এবং কেন্দ্রীয় মজলিশে সূরার অনুমোদন ক্রমেই ঘটেছে। কৌশলটি স্বাধীনতার পরবর্তী পয্যায় তাঁদের বিলুপ্ত দলের ক্ষেত্রে খুব ভাল রাজনৈতিক ফায়দা দিয়েছিল।বিলুপ্ত দলকে স্বল্প সময়ের মধ্যে দ্বিগুন শক্তির সমাহারে উজ্জিবীত করতে পেরেছিল। এবারও বিলুপ্ত প্রায় দলের স্বল্পসময়ে পুর্ণজ্জীবনের লক্ষে---তাঁদের নেতাকর্মীদের আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন।উদ্দেশ্য পুরাতন-- একদিকে আওয়ামী লীগ দলের মধ্যে বিশৃংখলা সৃষ্টি অন্যদিকে প্রশিক্ষন প্রাপ্ত ছাত্র শাখার নেতাকর্মীদের জঙ্গীদলে অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে দেশব্যাপি হত্যাকান্ড, নাশকতা, অরাজকতার সৃষ্টির কৌশল বাস্তবায়ন। শুধু তাই নয়--তাঁদের দলের ছাত্র শাখার বড় একটি অংশকে দলীয় অর্থসাহায্যে আওয়ামী নেতা, এমপি, মন্ত্রীদের নগদ টাকার প্রলোভনে, কেউবা আত্মীয়তার সুত্রে সরকারের গুরুত্ব পুর্ণ ক্যাডার ভিত্তিক পদপদবি দখল, অতিশয় কম শিক্ষায় শিক্ষিতদের সেনা, নৌ, বিমান, পুলিশ, বিজিবিতে স্থান করে দিয়েছেন।উদ্দেশ্য পরিস্কার--সরকারি কাজে বিভ্রান্তি ঘটানো। দলের অতিক্ষুদ্রাংশ বিভিন্ন সরকার বিরুধী ক্ষেত্র বিশেষ সরকারি দলে মিশে 'পবিত্র কোরান অবমাননা সহ নানাহ সাম্প্রদায়িক উস্কানি মূলক কর্মকান্ডে লিপ্ত রয়েছে।যার গণ্ডা চারেক উদাহরনের স্মৃতি "মুজিব ভক্তদে"র মনোপীড়ার কারন হয়ে চোখের জলে আত্মাহুতি দিতে বাধ্য হয়েছে।
লক্ষ করলে দেখা যায়--বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ দ্বিতীয়বার সরকার গঠন করার পর দেশব্যাপি পাইকারি হারে জামায়াত শিবির, বিএনপি নেতাকর্মীদের অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে।কোন ককোন স্থানে এখনও তা অব্যাহতই রয়েছে। তার আগে "অ-শুভশক্তি এবং তাঁদের দোসর প্রেতাত্বা বিএনপি" এর ধারনা ছিল সরকারের গৃহিত উন্নয়ন কর্মকান্ড যেহেতু দৃশ্যমান হয়নি ; সেহেতু স্বল্প সময়ে ধর্মকে সামনে রেখে দেশব্যাপি নাশকতা, হত্যা, সাজানো গুমখুনের কল্পকাহিনী প্রচারের মাধ্যমে আইনশৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে সরকারের পতন ঘটানো সম্ভব হবে। তাঁদের উদ্দেশ্য সফল হয়নি--সরকার নাশকতা, জঙ্গিপনা, আগুনবোমায় মানুষ হত্যার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রশক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে তাঁদের চক্রান্ত রুখে দিতে সক্ষম হয়েছে। এ-ক্ষেত্রে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সদ্য স্বাধীনদেশে অপ্রতুল পাকিস্তান ফেরৎ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দিয়ে যাহা পারেননি তাঁর কন্যা স্বাধীন দেশের স্বাধীনতাপ্রেমি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মাধ্যমে শতভাগ সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।
অ-শুভশক্তিবিহীন সাধারন নির্বাচন সফলভাবে অনুষ্ঠানের পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দ্বিতীয়বার সরকার গঠন করেন। পুর্ব সরকারের গৃহিত "ভিষন ২০২১" অনুযায়ী "ডিজিটাল বাংলাদেশ" গড়ার লক্ষে নেয়া মেঘা উন্নয়ন কর্মকান্ড একে একে দৃশ্যমান হতে থাকে। এরই মধ্যে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে "নিম্নমধ্য আয়ে"র দেশ হিসেবে ঘোষনা প্রদান করে। জাতিসংঘ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী 'শেখ হাসিনা'কে সর্বাধিক সম্মানিত উপঢৌকন "ধরিত্রীর মানষকন্যার" উপাদিতে ভুষিত করে।দেশের অভ্যন্তরে ব্যাবসায়ী, শিল্পপতি, রাজনৈতিক দল,শুসীল সমাজও পিছিয়ে থাকেনি--তাঁরাও জাতির জনকের কন্যাকে "দেশরত্ম" উপাদিতে ভূষিত করে সম্মান জানায়। বিদেশী বন্ধুরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘ বাংলাদেশ সরকারের গানিতিক উন্নয়ন অগ্রগতিকে তৃতীয় বিশ্বের "রোল মডেল" হিসেবে অভিহীত করে অন্যান্ন দারিদ্রপীড়িত দেশ সমুহকে অনুসরনের পরামর্শ দিতে থাকে।
এমত:বস্থায় অ-শুভশক্তি তাঁদের কৌশলে কিছুটা পরিবর্তন এনে '৭২--৭৫ এর অবিকল কৌশল কাজে লাগানোর চেষ্টায় আংশিক সফলতা অর্জন করেছে বলে মনে করি। পূর্ণাঙ্গ সফলতার আগেই তাঁদের ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা দেশীবিদেশী গোয়েন্দা সংস্থা সমূহের নজরে চলে আসে।
এককথায় বলা যায় কাকতালীয়ভাবে বঙ্গবন্ধুকে যে সমস্ত দেশী-বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থা হত্যা পরিকল্পনার বিশদ বিবরন সহ পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট কমপক্ষে ছয়মাস আগে দিয়েছিলেন, তাঁর কন্যাকেও একই দেশী-বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থা, তাঁর সরকার উচ্ছেদ ও পরিবার নাশের বিশদ বিবরনী সহ পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রদান করে। উক্ত রিপোর্টের আলোকে জনাব 'আবুল খায়ের ও মেহেদী হাসানের' অনুসন্ধানী প্রতিবেদন দৈনিক 'আজকের সুয্যদয় ও দৈনিক ইত্তেফাক' পত্রিকায় গুরুত্বের সঙ্গে ছাপানো হয়েছে।
তবে আশার কথা বঙ্গবন্ধুকন্যা জাতির পিতার মর্মান্তিক হত্যাকান্ড অক্ষরে অক্ষরে স্মরণ রেখেছেন, প্রতিনিয়ত জাতিকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন। গোয়েন্দা রিপোর্ট দৃষ্টিগোচর হওয়ার পর দলের নবনির্বাচিত সাধারন সম্পাদক জনাব ওবায়দুল কাদের কঠোর হুমকি দিয়ে বলেছেন--"জামাত- শিবির অনুপ্রবেশে সহায়াতাকারি নেতাদের পরিণতি ভাল হবেনা।"শেখ হাসিনা মহান সংসদে দাঁড়িয়ে দ্ব্যার্থ্যহীন কন্ঠে ঘোষনা দিয়ে বলেছেন--"বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিপন্নকারি অ-শুভশক্তির সকল চক্রান্ত বাংলাদেশের জনগনকে সাথে নিয়ে তিনি প্রতিহত করবেন। দেশ ও জনগনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারি কাউকেই তিনি রেহাই দেবেন না----সকল অ-পশক্তিকে তিনি সময়ে আইনের আওতায় নিয়ে আসবেন।
বঙ্গবন্ধুপ্রেমী অগনিত কর্মী জাতিরজনকের কন্যার ঘোষনায় নি:সন্দেহে আশ্বস্ত হতে পারি। তিনি সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সম্যক ওয়াকিবহাল আছেন।
মহান আল্লাহ তাঁর জীবন হেফাজতকারী-----
ruhulaminmujumder27@gmail.com
(রুহুল আমিন মজুমদার)
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এতদঞ্চলের একটি ঐতিহাসিক গনতান্ত্রিক সংগঠন। বাংলাদেশের অভ্যুদ্বয়ের ইতিহাসের প্রতিটি বাঁকে জড়িয়ে আছে এই দলটির এবং দলের নেতা বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, বাঙ্গালী জাতীয়তাবোধের জম্মদাতা, শ্রেষ্ঠবাঙ্গালী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের নাম। মুক্তিযুদ্ধের পর জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সরকার গঠিত হলে সারা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগে যোগদানের হিড়িক পড়ে। দলে দলে আওয়ামী লীগের পতাকাতলে সমবেত হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার শফথ নিতে থাকে নিষিদ্ধ ঘোষিত ধর্মভিত্তিক দলের নেতাকর্মী, চীনপন্থি কম্যুনিষ্ট পার্টির তৃনমূলের নেতাকর্মীরা। আওয়ামীলীগ ছাড়া বাকি কোন দলের অস্তিত্ব খুঁজে নিতে দুরবীন যন্ত্রের সাহায্য নিলেও খোঁজে পাওয়া কষ্টকর ছিল।
এমন পরিস্থীতিতে সাম্রাজ্যবাদি চক্রের কূটচালে ছাত্রলীগের একটি অংশ দলত্যাগ করে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র কায়েমের লক্ষে সরকার বিরুধী একটি রাজনৈতিক দল গঠন করে। রাতারাতি দলটি সারাদেশব্যাপি শাখা, প্রশাখা ছড়িয়ে শক্তিশালী দলে রুপান্তরীত হয়। আশু বিপ্লবের লক্ষে তৎক্ষনাৎ দলটির একটি সামরিক শাখারও বিকাশ ঘটে।সামরিক শাখাটি গনবাহিনী নাম নিয়ে আত্মপ্রকাশ করার উষালগ্নেই অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রের সজ্জিত হয়ে আত্মপ্রকাশ করতে পেরেছিল। তখনকার তরুন প্রজম্ম একটুখানিও চিন্তা করেনি সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত দেশে সামরিক বাহিনীর হাতে যেখানে অস্ত্র নেই, তাঁদের হাতে এই সমস্ত ভীনদেশী অত্যাধুনিক অস্ত্র কোত্থেকে আসে, কেন আসে।
১৯৭৫ এর ১৫ আগষ্ট ঘাতকচক্রের হাতে বঙ্গবন্ধু স্ব-পরিবারে নিহত হলে আওয়ামী লীগের উপর চরম বিপয্যয় নেমে আসে। দলের অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকা মীর জাপরের বংশ তাঁদের আসল চেহারা নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে। ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুর রক্তস্রোতের উপর দাঁড়িয়ে সেইদিন ভোর থেকে ঘাতক চক্র ভীরু ভীরু কন্ঠে সাধু-চলিত ভাষার সংমিশ্রনে হৎচকিতভাবে যে ঘোষনাটি বাংলাদেশ বেতারে(রেডিও বাংলাদেশ) পাঠ করেছিল বার বার, সেই ঘোষনানুযায়ী তাঁরা শুধুমাত্র সেই দিন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি---হত্যা করেছিল বাংলাদেশ, বাঙ্গালী জাতি, অসাম্প্রদায়িক চেতনাবোধকে।
তাঁর পরবর্তী ইতিহাস আওয়ামী নিধনের ইতিহাস, সংখ্যালুঘু নিধনের ইতিহাস, সাম্প্রদায়িক রাজনীতি উত্থানের ইতিহাস, পবিত্র ধর্ম ইসলামকে বেচাকেনার ইতিহাস। সেদিন থেকে দীর্ঘ ২১ বছর আওয়ামীলীগ নিধন হয়েছিল ঠিকই, যাদের কাঁধে ভর দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে হত্যা করা হয়েছিল, সেই বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রীদের অস্তিত্ব কোনপ্রকার নিড়ানী ছাড়াই কালক্রমে নিধন হয়ে গিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যার আগে লক্ষ লক্ষ বিপ্লবীর মিছিল, গগনবিদারী শ্লোগান,গনভবন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ঘেরাও এর হঠকারি রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন অব্যাহত ছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর একই বিপ্লবীদল ঢাকা শহরের সববস্তির টোকাই ভাড়া করেও অদ্যাবদি একটি মফস্বল শহরে অনুষ্ঠিত সমপরিমানের জঙ্গীমিছিলও কোনদিন করা সম্ভব হয়নি।
তদ্রুপ রাজনৈতিক পরিবেশ পরিস্থীতি আবারো উত্থান ঘটানোর চক্রান্তে বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারি দল জাতির জনকের জৈষ্ঠকন্যা, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রে। দেশী-বিদেশী একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে ০১/০৪/২০১৭ ইং শনিবার প্রখ্যাত দুটি পত্রিকা "দৈনিক ইত্তেফাক ও দৈনিক আজকের সূয্যদয়" পত্রিকায় জনাব "আবুল খায়ের ও মেহেদী হাসানের" একটি অনুসন্ধানী রিপোর্ট চাপা হয়েছে। রিপোর্টের মর্মানুযায়ী সরকারের আকাশচুম্ভি উন্নয়ন অগ্রগতির রথ থামানোর উদ্দেশ্যে দেশীবিদেশী চক্রান্তে, উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে দলে দলে জামায়াত শিবির সহ অন্যান্ন স্বাধীনতা বিরুধীদের অনুপ্রবেশ সুনিশ্চিত করা হয়েছে। একাজে দলের অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকা মোস্তাকচক্রের সরাসরি জড়িত থাকার ইঙ্গিতও রয়েছে বলে গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে।
গোয়েন্দা সংস্থার দেয়া রিপোর্টের সত্যতা যাছাইকল্পে জনাব "আবুল খায়ের ও মেহেদী হাসান" দেশব্যাপি অনুসন্ধান চালিয়ে বর্তমান আওয়ামী লীগ এবং তাঁর নেত্রী শেখ হাসিনার জীবন নাশের উপযোগি ভয়ংকর চিত্রের সন্ধান পেয়েছেন। তাঁদের ভাষায়--"দলে দলে সরকারি দলে বিএনপি-জামায়াত। হাইব্রিডদের মাঠ দখল। গত চার বছরে ঢুকেছে ৩০ হাজারের বেশি। অর্থ-সম্পদ বৃদ্ধি, ফৌজদারী অপরাধ থেকে রক্ষা ও দলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিই যোগদানের উদ্দেশ্য। হাইকমান্ডের নির্দেশনা উপেক্ষিত, উদ্বিগ্ন ১৪ দলের শরিকরাও।
রিপোর্টের একটি ছোট একটি অংশ সম্মানিত পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা প্রয়োজন মনে করি---"জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মীদের আওয়ামী লীগে যোগদানের জন্য তৃণমূল আওয়ামী লীগের উদ্যোগে যেসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল তাতে প্রধান অতিথি হিসেবে বিভিন্ন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।"
দল শক্তিশালী করতে ২০১১ সালে সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করে আওয়ামী লীগ। সারা দেশে দুই টাকা মূল্যের সদস্য ফরম পাঠানো হয়। কিন্তু পরে তা আর বেশি দূর এগোয়নি। আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের অভিযোগ, অভিযান শুরুর পর তা বাস্তবায়নে আর আগ্রহ দেখাননি দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা। এ পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় স্বাধীনতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত দল জামায়াত ও তাদের জোটসঙ্গী বিএনপির নেতাকর্মীদের দলে ভেড়ানো হয়। স্থানীয় সংসদ সদস্যরা এতে মদদ দেন। শুধু তাই নয়, স্থানীয় প্রশাসনেও অনুপ্রবেশকারীদের লোকরাই চাকরি পাচ্ছে বেশি। জামায়াতের টাকায় তারা চাকরি পাচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আওয়ামী লীগের অনুপ্রবেশকারীদের একক আধিপত্য বিরাজ করছে।"
উল্লেখিত রিপোর্টে সামান্যতম অংশও যে বাতুলতা নয়, তাঁর চাক্ষুস প্রমান সহকারে---আমার বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে, আমার অনেক লেখায় তুলে ধরেছিলাম। এবং কি আমার নীজ ইউনিয়নে কিভাবে আওয়ামী নিধন পরিবারের সন্তান, আওয়ামী লীগে যোগদান ব্যাতিরেকে একলাফে দলের ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি পদ সহ ইউ,পি চেয়ারম্যান মনোনয়ন পেয়েছে"---তাঁর সম্পূর্ণ বিবরণী তোলে ধরেছি। চাকুরী ক্ষেত্রেও আমার এলাকার ইউনিয়ন বিএনপি নেতার ছেলে, ঢাকা ইউনিভারসিটির শিবির নেতা কিভাবে, কার মাধ্যমে, কতটাকার বিনিময়ে পুলিশ সার্জেন্টের ন্যায় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকুরী লাভ করেছিল--তাঁর বিশদ বিবরনী সহ উল্লেখ করেছিলাম। অত্যান্ত পরিতাপের বিষয়--আওয়ামীলীগের নীতিনির্ধারক পয্যায়ের কারো নজরেই আমার লেখা গুলি কখনও পড়েনি।
এমনতর ঘটনা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঘটেছে তাঁর প্রমানাদি সহ গোয়েন্দাদের একাধিক রিপোর্ট, দলের উধ্বতন কতৃপক্ষের নিকট জমা দেয়া হয়েছে। দলের সাধারন সম্পাদক একাধিকবার ঐসমস্ত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন ঘোষনাও দিয়েছেন। তিনি তাঁদেরকে তৃনমূল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের "হাইব্রিড" উপাদিকে চাপিয়ে আরো নিগূড় তাৎপয্যপূর্ণ উপাদি "কাউয়া" বলে সম্বোধন করে তাঁর অন্তরে জমানো ক্ষোভের বহি:প্রকাশও ঘটিয়েছেন।
ব্যাক্তিগতভাবে আমি একজন ক্ষুদ্র বঙ্গবন্ধু প্রেমি হিসেবে যতটুকু বুঝি-- বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে সদ্য স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে আওয়ামীলীগের অভ্যন্তর থেকে জাসদ সৃষ্টি করা হয়েছিল। নতুন দল জাসদের কাঁধে ভর দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিল সাম্রাজ্যবাদি মূৎসুদ্ধি গোষ্টি এবং তাঁদের এদেশীয় দোসরেরা। উদ্দেশ্য ছিল সমৃদ্ধ অত্রাঞ্চলকে তাঁদের পদানত রেখে শাষনশোষন অব্যাহত রাখা। তাঁদের উদ্দেশ্যের প্রধান প্রতিবন্ধকতা ছিল ''একমাত্র এবং একমাত্র'' 'বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ' এবং তাঁর অবিসংবদিত নেতা, জাতির জনক, বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে একঢিলে দুই পাখি শিকার সম্ভব করেছিল সাম্রাজ্যবাদি চক্র।একদিকে ব্যাক্তি মুজিবকে হত্যা করে তাঁর আদর্শের কবর রচনা এবং তাঁর সোনার বাংলা গড়ার ক্ষেত্রে অত্রাঞ্চলে প্রতিবন্ধকতার দেয়াল তোলে দেয়া অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বকারি দল আওয়ামীলীগকে চিরতরে বাংলার মাটি থেকে উচ্ছেদ করে, পাকিস্তানের সঙ্গে নতুন করে কনফেডারেশন গঠনের পথ পরিস্কার করা। ইতিমধ্যে আমেরিকার গোপন নথি প্রকাশের পর বিশ্বব্যাপি ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড নিয়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে এবং বিশ্বনেতৃত্বে নতুন সমীকরনের পথ প্রসস্ত হয়েছে। উল্লেখ্য দেশী--বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থা কমপক্ষে ছয়মাস আগে বঙ্গবন্ধুকে সতর্ক করেছিলেন হত্যা পরিকল্পনাকারিদের সম্পর্কে কিন্তু তিনি উক্ত সতর্কবাণী হেলায় হেসে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর অগাধ বিশ্বাস ছিল বাঙ্গালীরা তাঁকে কোনদিনও হত্যা করতে পারেনা।
গত ০১/০৪/২০১৭ ইং তারিখের 'দৈনিক ইত্তেফাক ও আজকের সুর্য্যদয় পত্রিকায় জনাব ''আবুল খায়ের ও মেহেদী হাসানের" অনুসন্ধানী রিপোর্টটি চোখে পড়ার পর নিজকে আর সংযত রাখতে পারিনি। বাংলা নাটকের দৃশ্যের ন্যায় চোখের তারায় শুধুই ভেসে উঠছে একের পর এক ২১ আগষ্ট বোমা হামলা থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রীর একমাত্র পুত্রসন্তান "সজিব ওয়াজেদ জয়" হত্যা পরিকল্পনা। অখ্যাত অজ্ঞাত চট্রগ্রামের ব্যাবসায়ীর বিএনপি দলের যুগ্ম মহাসচিব পদ প্রাপ্তি এবং তাঁর ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা "মোসাদ" কানেকশান। প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারি বিমানে নাশকতার চেষ্টা, দেশব্যাপি জঙ্গী উত্থান, হেফাজতে ইসলামের উত্থান এবং তাঁদের ইসলাম রক্ষার নামে শাফলা চত্বরে অবস্থান।ইসলাম রক্ষার নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার তৎক্ষনাৎ নেতাকর্মীদের প্রতি হেফাজতের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ, ঢাকাবাসিকে রাজপথে নেমে আসার আহব্বান, সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা দখলের জন্যে প্রকাশ্য উস্কানী ইত্যাদি সরকার বিরুধী দল সমূহের মঞ্চায়ীত নাটকের দৃশ্যাবলী।
গোয়েন্দা রিপোর্ট যতটুকু আঁচ করতে পেরেছি---এতে মনে হচ্ছে যেন অবিকল '৭২--৭৫' এর ষড়যন্ত্রের সাথে বর্তমান সময়ের ষড়যন্ত্রের হুবহু মিল রয়েছে। তখন সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে ষড়যন্ত্রকারিদের রাজপথে থাকার জন্যে একটি রাজনৈতিক দল সৃষ্টি করতে হয়েছিল। বর্তমান সময়ে তাঁর আর দরকার হয়নি। তাঁদের ৭৫ এর ষড়যন্ত্রের ফসল মেজর জিয়ার বিএনপি দীর্ঘবছর তাঁদের পরিচয্যায় বাংলাদেশের জনগনের একটি বিরাট অংশের মনে ঠাঁই করে নিয়েছে। নি:সন্দেহে সদ্য স্বাধীন দেশের নবগঠিত জাসদের চেয়ে বর্তমানের, তাঁদের ষড়যন্ত্রে সৃষ্ট বিএনপি অনেক বেশি বিশ্বস্থ, জনসম্পৃত্ত, নেতৃত্ব গুনে রাজপথের কায্যকর রাজনৈতিক শক্তি।
'৭২--৭৫ এ জামায়াতে ইসলাম ৭১ এ স্বাধীনতা যুদ্ধে বিরুধীতার কারনে লোকচক্ষুর অন্তরালে ছিল। শীর্ষনেতারা বিদেশে পালিয়ে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ষড়যন্ত্রে ইন্দন যুগিয়েছিল। মাঝারি মাঠপয্যায়ের নেতাকর্মীগন দলে দলে আওয়ামীলীগ ও নতুন জম্মনেয়া জাসদের ছাতার তলায় মুখ লুকিয়েছিল। ছাত্রসংঘের প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত ক্যাডার বাহিনী গনবাহিনীতে যোগ দিয়ে গনবাহিনীকে অ-প্রতিরোধ্য বিপ্লবী রণবাহিনীতে রুপান্তর করেছিল।
বর্তমান সময়েও তাঁরা মুক্তিযুদ্ধে মানবতা বিরুধী বিচারের কাঠগড়ায় থাকায় লোকচক্ষুর অন্তরালে তাঁদের অবস্থান। '৭২--৭৫ এর ন্যায় এবারও তাঁদের অনেকে বিদেশে পালিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।মাঝারি পয্যায়ের নেতাকর্মীরা আওয়ামীলীগ ও বিএনপিতে বিলীন হয়ে আছে।তাঁদের অপ্রতিরোধ্য ছাত্র শাখার অধিকাংশ মেধাবিরা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে চাকুরীর সুযোগ করে নিয়েছে। একাংশ জঙ্গিদলে মিশে গেছে। জামায়াতের শীর্ষ কয়েকজন দলের ব্যানারে থেকে শুধুমাত্র সময়ে সময়ে তাঁদের উপস্থীতি জানান দিচ্ছে। বাদবাকীরা হেফাজতে ইসলাম সহ অন্যান্ন সমমনা দলের সাথে মিশে আছে। ফলে বিশদলীয় জোটের অন্যতম শরিক দল হওয়া সত্বেও জোটনেত্রী জামায়াতকে ডাকার প্রয়োজন অনুভব করেন না। অ-প্রয়োজনের একমাত্র কারন--বিএনপি নেত্রী জানেন তাঁরা অধিকাংশই ইতিমধ্যে বিএনপিতে মিশে আছে।
উল্লেখিত গুপ্ত কাজটি তাঁদের বিদেশী প্রভুদের পরামর্শে এবং কেন্দ্রীয় মজলিশে সূরার অনুমোদন ক্রমেই ঘটেছে। কৌশলটি স্বাধীনতার পরবর্তী পয্যায় তাঁদের বিলুপ্ত দলের ক্ষেত্রে খুব ভাল রাজনৈতিক ফায়দা দিয়েছিল।বিলুপ্ত দলকে স্বল্প সময়ের মধ্যে দ্বিগুন শক্তির সমাহারে উজ্জিবীত করতে পেরেছিল। এবারও বিলুপ্ত প্রায় দলের স্বল্পসময়ে পুর্ণজ্জীবনের লক্ষে---তাঁদের নেতাকর্মীদের আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন।উদ্দেশ্য পুরাতন-- একদিকে আওয়ামী লীগ দলের মধ্যে বিশৃংখলা সৃষ্টি অন্যদিকে প্রশিক্ষন প্রাপ্ত ছাত্র শাখার নেতাকর্মীদের জঙ্গীদলে অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে দেশব্যাপি হত্যাকান্ড, নাশকতা, অরাজকতার সৃষ্টির কৌশল বাস্তবায়ন। শুধু তাই নয়--তাঁদের দলের ছাত্র শাখার বড় একটি অংশকে দলীয় অর্থসাহায্যে আওয়ামী নেতা, এমপি, মন্ত্রীদের নগদ টাকার প্রলোভনে, কেউবা আত্মীয়তার সুত্রে সরকারের গুরুত্ব পুর্ণ ক্যাডার ভিত্তিক পদপদবি দখল, অতিশয় কম শিক্ষায় শিক্ষিতদের সেনা, নৌ, বিমান, পুলিশ, বিজিবিতে স্থান করে দিয়েছেন।উদ্দেশ্য পরিস্কার--সরকারি কাজে বিভ্রান্তি ঘটানো। দলের অতিক্ষুদ্রাংশ বিভিন্ন সরকার বিরুধী ক্ষেত্র বিশেষ সরকারি দলে মিশে 'পবিত্র কোরান অবমাননা সহ নানাহ সাম্প্রদায়িক উস্কানি মূলক কর্মকান্ডে লিপ্ত রয়েছে।যার গণ্ডা চারেক উদাহরনের স্মৃতি "মুজিব ভক্তদে"র মনোপীড়ার কারন হয়ে চোখের জলে আত্মাহুতি দিতে বাধ্য হয়েছে।
লক্ষ করলে দেখা যায়--বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ দ্বিতীয়বার সরকার গঠন করার পর দেশব্যাপি পাইকারি হারে জামায়াত শিবির, বিএনপি নেতাকর্মীদের অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে।কোন ককোন স্থানে এখনও তা অব্যাহতই রয়েছে। তার আগে "অ-শুভশক্তি এবং তাঁদের দোসর প্রেতাত্বা বিএনপি" এর ধারনা ছিল সরকারের গৃহিত উন্নয়ন কর্মকান্ড যেহেতু দৃশ্যমান হয়নি ; সেহেতু স্বল্প সময়ে ধর্মকে সামনে রেখে দেশব্যাপি নাশকতা, হত্যা, সাজানো গুমখুনের কল্পকাহিনী প্রচারের মাধ্যমে আইনশৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে সরকারের পতন ঘটানো সম্ভব হবে। তাঁদের উদ্দেশ্য সফল হয়নি--সরকার নাশকতা, জঙ্গিপনা, আগুনবোমায় মানুষ হত্যার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রশক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে তাঁদের চক্রান্ত রুখে দিতে সক্ষম হয়েছে। এ-ক্ষেত্রে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সদ্য স্বাধীনদেশে অপ্রতুল পাকিস্তান ফেরৎ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দিয়ে যাহা পারেননি তাঁর কন্যা স্বাধীন দেশের স্বাধীনতাপ্রেমি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মাধ্যমে শতভাগ সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।
অ-শুভশক্তিবিহীন সাধারন নির্বাচন সফলভাবে অনুষ্ঠানের পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দ্বিতীয়বার সরকার গঠন করেন। পুর্ব সরকারের গৃহিত "ভিষন ২০২১" অনুযায়ী "ডিজিটাল বাংলাদেশ" গড়ার লক্ষে নেয়া মেঘা উন্নয়ন কর্মকান্ড একে একে দৃশ্যমান হতে থাকে। এরই মধ্যে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে "নিম্নমধ্য আয়ে"র দেশ হিসেবে ঘোষনা প্রদান করে। জাতিসংঘ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী 'শেখ হাসিনা'কে সর্বাধিক সম্মানিত উপঢৌকন "ধরিত্রীর মানষকন্যার" উপাদিতে ভুষিত করে।দেশের অভ্যন্তরে ব্যাবসায়ী, শিল্পপতি, রাজনৈতিক দল,শুসীল সমাজও পিছিয়ে থাকেনি--তাঁরাও জাতির জনকের কন্যাকে "দেশরত্ম" উপাদিতে ভূষিত করে সম্মান জানায়। বিদেশী বন্ধুরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘ বাংলাদেশ সরকারের গানিতিক উন্নয়ন অগ্রগতিকে তৃতীয় বিশ্বের "রোল মডেল" হিসেবে অভিহীত করে অন্যান্ন দারিদ্রপীড়িত দেশ সমুহকে অনুসরনের পরামর্শ দিতে থাকে।
এমত:বস্থায় অ-শুভশক্তি তাঁদের কৌশলে কিছুটা পরিবর্তন এনে '৭২--৭৫ এর অবিকল কৌশল কাজে লাগানোর চেষ্টায় আংশিক সফলতা অর্জন করেছে বলে মনে করি। পূর্ণাঙ্গ সফলতার আগেই তাঁদের ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা দেশীবিদেশী গোয়েন্দা সংস্থা সমূহের নজরে চলে আসে।
এককথায় বলা যায় কাকতালীয়ভাবে বঙ্গবন্ধুকে যে সমস্ত দেশী-বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থা হত্যা পরিকল্পনার বিশদ বিবরন সহ পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট কমপক্ষে ছয়মাস আগে দিয়েছিলেন, তাঁর কন্যাকেও একই দেশী-বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থা, তাঁর সরকার উচ্ছেদ ও পরিবার নাশের বিশদ বিবরনী সহ পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রদান করে। উক্ত রিপোর্টের আলোকে জনাব 'আবুল খায়ের ও মেহেদী হাসানের' অনুসন্ধানী প্রতিবেদন দৈনিক 'আজকের সুয্যদয় ও দৈনিক ইত্তেফাক' পত্রিকায় গুরুত্বের সঙ্গে ছাপানো হয়েছে।
তবে আশার কথা বঙ্গবন্ধুকন্যা জাতির পিতার মর্মান্তিক হত্যাকান্ড অক্ষরে অক্ষরে স্মরণ রেখেছেন, প্রতিনিয়ত জাতিকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন। গোয়েন্দা রিপোর্ট দৃষ্টিগোচর হওয়ার পর দলের নবনির্বাচিত সাধারন সম্পাদক জনাব ওবায়দুল কাদের কঠোর হুমকি দিয়ে বলেছেন--"জামাত- শিবির অনুপ্রবেশে সহায়াতাকারি নেতাদের পরিণতি ভাল হবেনা।"শেখ হাসিনা মহান সংসদে দাঁড়িয়ে দ্ব্যার্থ্যহীন কন্ঠে ঘোষনা দিয়ে বলেছেন--"বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিপন্নকারি অ-শুভশক্তির সকল চক্রান্ত বাংলাদেশের জনগনকে সাথে নিয়ে তিনি প্রতিহত করবেন। দেশ ও জনগনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারি কাউকেই তিনি রেহাই দেবেন না----সকল অ-পশক্তিকে তিনি সময়ে আইনের আওতায় নিয়ে আসবেন।
বঙ্গবন্ধুপ্রেমী অগনিত কর্মী জাতিরজনকের কন্যার ঘোষনায় নি:সন্দেহে আশ্বস্ত হতে পারি। তিনি সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সম্যক ওয়াকিবহাল আছেন।
মহান আল্লাহ তাঁর জীবন হেফাজতকারী-----
ruhulaminmujumder27@gmail.com
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন