এক শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মা'য়ের প্রতিক্ষা--ছেলে অনেক মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে এসে ভাত খাবে।
  (রুহুল আমিন মজুমদার)

      ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ--হাজারো, লাখো  হৃদয়স্পর্ষী কাহিনী বাংলার আনাছে কানাছে অ-প্রকাশিত রয়ে গেছে।অনুমান করাটা আসলে কঠিন ব্যাপার। বিজাতীয় পাকিস্তানী শাষনশোষনের যাঁতাকলে পিষ্ট বাঙ্গালীকে শেকলমুক্ত করতে, বঙ্গবন্ধুর আহব্বানে সাড়া দিয়ে, লাখো লাখো তরুন, যুবক, আবাল, বৃদ্ধ, বণিতা কতজন কতভাবে জীবনের সর্বস্ব তুচ্ছ করেছিল। কাংক্ষিত স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষে অবদান রাখতে গিয়ে, করুন, মর্মস্পর্ষী, হৃদয়হীনভাবে মৃত্যুমূখে নিজেকে সঁপে দিয়েছিল--তাঁর কোন ইয়াত্তা নেই। হৃদয়স্পর্ষি সমূদয়  ঘটনার শিকারে পরিণত পাত্র, পাত্রীর  তথ্য, উপাত্ত  রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে অদ্যাবদি সম্পূর্ণভাবে সংরক্ষিত হয়নি। যদিও জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ গৌরব মুক্তিযুদ্ধের খুঁটিনাটি তথ্য উপাত্ত সংরক্ষনে রাখা রাষ্ট্রের নৈতিক, আইনগত, মানবিক দায়িত্ব ও কর্তব্য এবং আবশ্যই পালনীয় ছিল।

       বর্তমান সরকার ২০০৯ইং সালে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা পাওয়ার পর সমম্বিত কিছু উদ্যোগ লক্ষ করা গেছে। এর আগে সময়ে সময়ে কিছু কিছু বেসরকারি সংস্থা মুক্তিযুদ্ধের এই সমস্ত স্মৃতি, বাঙ্গালী জাতির ত্যাগ, মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ অবদান সংরক্ষনের উদ্যোগ নিয়েছিল সত্য--মাঝপথে বাঁধাগ্রস্ততার কারনে  উদ্যোগ বাতিল অথবা থেমে গেছে। ঢাকা ইউনিভারসিটি কেন্দ্রিক একদল নতুন প্রজম্মের মেধাবী তরুন ২০১৩/১৪ সালে নীজেদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বগাঁথা সংরক্ষনের উদ্দেশ্যে কাজ শুরু করে অনেকদুর অগ্রসর হতে পেরেছেন। মুক্তিযোদ্ধা আর্কাইবসও এক্ষেত্রে তাঁদের কাজের অগ্রগতি লক্ষনীয়ভাবে তুলে ধরেছেন। 

'৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ অশুভশক্তি বাঙ্গালী জাতিকে উলটো দিকে অনেকদূর পয্যন্ত নিয়ে গিয়েছিল। ফলে বহু মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের নীজেদের বিরত্বগাঁথার সংবাদ, ত্যাগের মহিমা প্রকাশতো দুরের কথা--মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিতেও ভীত ছিলেন। অনেকেই নিজকে মুক্তিযুদ্ধা ভাবতেও গ্লানীতে আত্মহননের ইচ্ছা জেগে উঠার পরিবেশ বিরাজমান ছিল।

     মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামীলীগ এবং তাঁর নেতা বঙ্গবন্ধুর স্বল্পকালিন শাষনকালে উদ্যোগ নিয়েছিলেন কিন্তু তাঁর মর্মান্তিক মৃত্যুর পর অন্যসব ইতিহাসের ন্যায় ইহাও হারিয়ে যায় হিংস্রতার আগুনে।  মুক্তিযুদ্ধের লাখো লাখো আত্মত্যাগের কাহিনী, বীরত্বের কাহিনী বিগত চল্লিশ/বিয়াল্লিশ বছরে অনেকের স্মৃতির পাতা থেকে মুছে গেছে। মুছে যাওয়া ঐ সমস্ত স্মৃতি, ত্যাগ, বিরত্বের কাহিনী ইতিহাসের পাতায়  আসার কথা নয়। এখনও এমন হাজারো অজানা আত্মত্যাগ, কিংবদন্তির বীরত্ব গাঁথা বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে লোক মুখে জীবন্ত রয়েছে---সদিচ্ছা নিয়ে হাত বাড়ালেই পাওয়া যেতে পারে।  এখনও কুড়িয়ে পাওয়া হৃদয় বিদারক, মর্মস্পষী কাহিনী গুলীও যদি কখনও প্রকাশিত হয়-- নিশ্চিত আরব্য রজনীর রুপকল্পকে হার মানাবে। বাঙ্গালীর মুক্তিযুদ্ধের সত্য ও বাস্তবতা সর্বস্ব এতসব লোমহর্ষক কাহিনী যথাতথা চড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।

      মূলত: মুক্তিযুদ্ধের আত্মত্যাগ, বীরত্বগাঁথা, মুক্তিযোদ্ধাদের শৌয্যবিয্য, সাধারন মানুষের অসীম সাহষী কর্মকান্ডের শতভাগের একভাগও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের পাতায় শেষ পয্যন্তও  স্থান হবেনা। ইতিহাসে স্থান না পাওয়া এখনও অজস্র আত্মত্যাগ, বীরত্বগাঁথা বাংলার হাটেঘাটে, পথেপ্রান্তরে  পরিবার, সমাজ, পাড়াপড়শী, বন্ধুমহলের চোখের পানিতে স্বরনীয়, বরনীয় হয়ে জীবন্ত রয়েছে। সময়ে ইতিহাসের অতলগব্বরে অধিকাংশ হারিয়ে যাবে ; ইতিমধ্যে যেমনি ভাবে হারিয়ে  গেছে হাজারো কাহিনী।

           কত হাজারো বিকৃত উপায়ে, পাষন্ডতায়, শৃগাল কুকুরের মানষিকতায়, বিকৃত, ধিকৃত, পাশবিকতায়, অচিন্তনীয় রুচিতে এদেশের মা, বোনদের উপর অত্যাচার, নিয্যাতন, নিস্পেষন চালিয়েছিল---অধিকাংশের খোঁজখবরও হয়নি। হাজারো বিকৃত প্রক্রিয়ায় বাঙ্গালী মা, বোন ভাইদের  জীবন  কেড়ে নিয়েছিল---সেই সমস্ত হৃদয় নিংড়ানো অব্যাক্ত কাহিনী, শতভাগের একভাগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই পাবেনা শত চেষ্টার পরেও।হাজারো অমরত্বের বিরত্বগাঁথা লোকের মূখে মুখে অনেক বছর প্রচলিত ছিল কিন্তু রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ ছিলনা বিধায় সংগৃহিত হয়নি। অনেক ঘটনা পরিবেশ পরিস্থীতির কারনে ইচ্ছাকৃত হারাতে বাধ্য হয়েছে। হাজারো হৃদয়স্পর্ষী ঘটনা প্রথম থেকেই লোক লজ্জায় অ-প্রকাশিত থেকে গেছে---সেই সমস্ত ঘটনা কেউ কোন দিন জানবে না।

  তেমনি এক ভিডিওচিত্র 'ফেইছবুক বন্ধু অন-লাইন পোর্টাল বাংলাদেশ প্রেসের সম্পাদক জনাব Asrarul Huq Mahmood Rumy ভাইয়ের মাধ্যমে আমার হাতে এসেছে।' সত্যি ভিডিওটি দেখে চমৎকৃত, হতবিহব্বল, হৎচকিৎ, শিহরীত হলাম। এমনও কি হয়!! হতে পারে!!!

     ফিরোজপুরের এক মুক্তিযোদ্ধার মায়ের হৃদয় নিংড়নো, নাড়িচেড়া ধনের ফিরে আসার অপেক্ষায় দীর্ঘ ৪৬ বছর প্রতিক্ষার বাস্তব তার অম্লান, মর্মস্পর্ষী উপাখ্যান। মুক্তিযোদ্ধা ওমর ফারুক পাকবাহিনীর নিয্যাতনে শহিদ হন।তাঁর নাড়িচেড়া মা বিগত ৪৬ বছর ছেলের অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন।তিনি কিছুতেই বিশ্বাস করতে চাননা তাঁর ছেলে আর কখনও ফিরে আসবেনা।পাকবাহিনীর চরম শারিরীক নিয্যাতনে আজ থেকে ৪৬ বছর আগে তাঁর মর্মান্তিক  মৃত্যু ঘটেছে।

 ফিরোজ পুর সদর উপজেলার শহর মাজিম পুর গ্রামের এক নিবৃত পল্লি। রাঁতের আধাঁরে সবাই ঘুমিয়ে পড়ে, জেগে থাকে এক মা কুলসুম বেগম। তাঁর ছেলে ( মায়ের আদূরে নাম ফারুক সাহেব) বাড়ী থেকে বের হওয়ার সময় বলেছিল--"মা আমি সন্ধ্যা নাগাদ বাড়ী ফিরে আসব"। ছেলের এই একটি বাক্যই 'জননী মা'কে রেখেছে ৪৬ বছর নির্ঘুম প্রতিক্ষায়।

      মায়ের ফারুক সাহেব আর আসেননি। আজও মা তাঁর ফারুক সাহেবের অপেক্ষায় দরজা খোলা রেখে ঘুমান। ঘুমের ক্লান্তি যদি কখনও এসে যায় ঘরের সবাইকে সজাগ করে দেন প্রত্যহ, দরজায় খেয়াল রাখতে, যাতে তাঁর ফারুক সাহেব দরজা খোলা না পেয়ে ফেরৎ চলে না যায়।  প্রতিদিন মা' ভাতের চাল দিয়ে রাখেন, অনেক সঙ্গি মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে ভাত খেতে আসবে তার সাহেব ! ফারুকের বোন অঝোরে কেঁদে বলছিল--কোনদিন যদি আমরা চালের পরিমাণ কম দেই, মা খুব রাগ হয়ে যায় এবং কি মেয়ের জামাই বাড়ীতে বা কোথাও বেড়াতে গেলেও একই নিয়ম সবাইকে পালন করতে হয়।

 মো: ওমর ফারুক। বয়স সবেমাত্র ২১ বছর। সরকারি শহীদ সরওয়াদী কলেজ ছাত্র সংসদের ভি,পি। ৭১ এর উত্তাল দিনগুলীতে লুকিয়ে লুকিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করার মূল দায়িত্ব ছিল ছাত্রনেতা ওমর ফারুকের উপর। শুরুতে জড়িয়ে পড়েন 'স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াস গ্রুপে'র সঙ্গে।১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ ফিরোজপুর টাউন হল চত্বরে  প্রথম 'স্বাধীন বাংলাদেশের' পতাকা উত্তোলন করেন ওমর ফারুক। সেদিন তাঁর নেতৃত্বে পুড়িয়ে ফেলা হয় সব পাকিস্তানী পতাকা। সঙ্গীয় মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে পিরোজপুর ট্রেজারী ভেঙ্গে লুট করে নিয়ে আসেন সব অস্ত্র। প্রথম তিনমাস দেশের অভ্যন্তরে থেকে মুক্তি যুদ্ধ করলেও পরবর্তীতে ভারত চলে যাওয়ার প্রয়োজনীতা দেখা দেয়।
 
   ২৯ মে, স্বরুপ  আটঘর কুরিয়ানা থেকে ভারত যাওয়ার পথে কির্তনখোলা নদীর তীরে ধরা পড়ে যায় এই অকুতোভয় বীর সেনানী পাকবাহিনীর হাতে। ধরাপড়ার সময় তার কাছে রক্ষিত ছিল সাতটি স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। তার একটি পতাকা নিষ্ঠুর,পাশবিক কায়দায় হাতুড়ি পেটা করে ডুকিয়ে দেয়া হয় তার মাথার মগজে। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়--পাকিস্তানী সেনারা বারবার বলেছিল "পাকিস্তান জিন্দাবাদ বললে ছেড়ে দেবে। তেজস্বী যুবক নিয্যাতনে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে থাকা সত্বেও গাঁয়ের সমস্ত শক্তি উজাড় করে চিৎকার করে বলে উঠেছিল "জয়বাংলা"।

সেদিনই ওমর ফারুককে মৃত্যু নিশ্চিত করে কির্তন খোলা নদীতে তাঁর লাশ ভাসিয়ে দেয়া হয়।অনেক খুঁজাখুঁজি করেও সঙ্গীয় মুক্তিযোদ্ধারা তাঁর লাশের কোন সন্ধান পাননি। সমসাময়িক সময়ের এক মুক্তিযোদ্ধা বলেন--ফারুক ভাই ছিলেন অগ্নিঝরা বক্তা।প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তিনিই সংগঠিত করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের। পিরোজপুর কালেক্ট্রোরিয়েট মাঠে তিনিই প্রথম স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করেন।অথছ আজও আমরা তাঁকে জীবিত মুক্তিযোদ্ধারা সেই সম্মানটুকুও দিতে পারিনি।

     তানবীর আহম্মদের তথ্য ও ছবি নিয়ে মাকসুদুর নবীর প্রতিবেদনটি বেসরকারি টিভি  'চ্যানেল ২৪'' এ প্রচারিত হয়। বোনের চোখের পানি এখনও ঝর ঝর করে পড়ছিল।তাঁর বৃদ্ধ মা আজও বিশ্বাস করেন না তার ছেলে আর কখনও ফিরে আসবেনা। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযূদ্ধ চলাকালিন দশম শ্রনীর একছাত্রের সাক্ষাৎকারও সংযোজিত রয়েছে ভিডিও চিত্রটিতে।
ruhulaminmujumder27@gmail.com
https://www.youtube.com/watch?v=NfSA3qsRQg0&sns=em

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা