বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অ-সাম্প্রদায়িক বটে তবে নাস্তিক্যবাদে বিশ্বাসী নয়।
      (রুহুল আমিন মজুমদার)

        অদ্য মুজিবনগরের বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠন দিবসে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে ফুল দিতে গিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আওয়ামীলীগ সভানেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দৃডতার সঙ্গে বলেন--'সাম্প্রদায়িকতার শেষ চিহ্নটুকু  মুছে দেয়ার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে তাঁর সরকার।" তাঁর আগে কওমী মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের শীর্ষনেতা আল্লামা সফি সাহেবের নেতৃত্বে প্রায় তিন শতাধিক ওলামা--গনভবনে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে তাঁদের শিক্ষা সনদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং ওলামা শিক্ষা বোর্ড়কে স্বতন্ত্র শিক্ষা বোর্ড হিসেবে অনুমোদনের বিষয় নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত বৈঠকে সরকার প্রধান নীতিগত ভাবে বিপুল সংখ্যক মাদ্রাসার ছাত্র/ ছাত্রীদের ভবিষ্যত জীবন অন্ধাকারাচ্ছন্নতার বিবেচনায়  তাঁদের শিক্ষা সনদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিদান এবং স্বতন্ত্র শিক্ষাকায্যক্রম পরিচালনার নিমিত্তে শিক্ষাবোর্ড়ের দাবি মেনে নেন।
         জাতীয় ও আন্তজাতিক বিশ্বে ঘটনাটি ব্যাপক চাঞ্চল্যতা সৃষ্টি করে। ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা অনুষ্ঠান এবং  বিবিসির বাংলা অনুষ্ঠানে ধারাবাহিক উক্ত চাঞ্চল্যকর বৈঠকের বিভিন্ন দিক নিয়ে ব্যাপক আলোচনা অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে।তাঁদের অনুষ্ঠানে উক্ত বৈঠকের  যত না ইতিবাচক দিক নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে তার চেয়ে বেশী সাম্প্রদায়িকতায় সূদুর প্রসারী নেতিবাচক দিক নিয়েই আলোকপাত করতে দেখা গেছে। বাংলাদেশের রাজনীতির অঙ্গনেও বিষয়টি সর্বমহলে তোড়পাড় সৃষ্টি করেছে।
         বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তাঁর বিবৃতিতে বলেন আওয়ামী লীগ ধর্ম নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছে।বিবিসি তাঁদের ভাষ্যে বলেন --'আওয়ামীলীগ সাম্প্রদায়িক শক্তির নিকট আত্মসমর্পন করেছে'। বিএনপির মহাসচিব ফকরুল ইসলাম বলেন--'শেখ হাসিনা কোন ধর্মই পালন মানেন না।' ভয়েস অব আমেরিকা তাঁদের মূল্যায়নে বলেন --'আওয়ামী লীগ ইসলামী জঙ্গী উত্থান রোধে মাঝপথে বিঘ্নতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে আপোষ করেছে।' আওয়ামী লীগের দলের অভ্যন্তরেও বিষয়টি অধিকাংশ নেতাকর্মী সহজভাবে নিতে পারেন নাই। আড়ালে আবড়ালে নানামূখী মন্তব্য করতেও পিছপা হচ্ছেনা তৃনমূল থেকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব পয্যন্ত।
        প্রীয় পাঠক বন্ধুগন দেশীয় রাজনীতি এবং আন্তজাতিক মহলের চাঞ্চল্যতাই প্রমান করে--'শেখ হাসিনা সঠিক সময় উপযুক্ত কাজটি করতে পেরেছেন।' আমরা সকলেই জানি-- হেফাজতের সংঙ্গে বৈঠকটি রাষ্ট্রীয় গনভবনে সরকার প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সরকার বিরুধী দেশী-বিদেশী মহল, দেশী- বিদেশী মিডিয়া সমূহ তাঁদের মানষিক অস্থীরতাহেতু বারবার আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দলকে জড়িয়ে বিভিন্নমূখি অভিমত প্রকাশ করে চলেছে। আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরেও বিষয়টিকে দলীয় অ-সাম্প্রদায়িক চেতনার বিপরীত হিসেবে গন্য করেছেন অনেকেই।
       এমত:বস্থায় মুজিবনগর  দিবস উপলক্ষে আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে ফুল দিতে এসে শেখ হাসিনা উল্লেখিত মন্তব্যটি করেছেন।  লক্ষনীয় বিষয়টি হচ্ছে বাংলাদেশের শতভাগ মানুষ গনতন্ত্র চায়, গনতান্ত্রিক শাষন ব্যবস্থা কামনা করে। শতভাগ মানুষ বিশ্বাস করে গনতান্ত্রিক শাষনই বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি নিশ্চিত করতে পারে। কিন্তু গনতন্ত্রের সর্বক্ষেত্রে ভারসাম্যতার প্রয়োজনীয়তা একজনও বিশ্বাস করে কিনা সন্দেহ আছে। বাংলাদেশের শতভাগ মানুষ মনে করে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা চিকিৎসা ৫টি বিষয় নিশ্চিত করাই কল্যান রাষ্ট্রের মূলভিত্তি।কিন্তু একজনও বিশ্বাস করে কিনা আমার সন্দেহ আছে--রাষ্ট্র ও সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্টিকে রাষ্ট্রীয় বিশেষ ব্যবস্থাপনায় মূলস্রোতের সঙ্গে একিভূত করাও কল্যান রাষ্ট্রের অন্যতম ভিত্তির মধ্যে একটি। গনতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকুক শতভাগ মানুষই কামনা করে কিন্তু গনতন্ত্রের কেন্দ্রিকতা একজনও অনুসরন করেনা। বাংলাদেশের ন্যায় রাজনীতি সচেতন জনগন বিশ্বের অন্যকোন দেশে নেই কিন্তু রাজনীতির ক্ষেত্রে আদর্শিক শিক্ষায় এতবেশি পিছিয়ে পড়া নেতাকর্মী অন্যকোন দেশেও নেই-- ইহাও সত্য।
        নবনির্বাচিত সাধারন সম্পাদক বিশেষ  কিছু প্রনিদানযোগ্য বক্তব্যই তোলে ধরেছেন বিভিন্ন সময়ে।তিনি একাধিকবার বলেছেন---'রাজনীতি ও সাংবাদিক পেশায় হাইব্রিডের আধিক্যে যোগ্যরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে।' একই সঙ্গে তিনি বলেন--'সাংবাদিকতা ও রাজনীতিতে মান কমে যাচ্ছে। নব্য হাইব্রিডদের তিনি কাউয়ার সংগে তুলনা করতেও পিছপা হননি। সর্বশেষ তিনি মন্তব্য করলেন নব্য হাইব্রিড আওয়ামী লীগারেরা ফার্মের মুরগী। অর্থাৎ বসে বসে পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহন করে মোটাতাজা হওয়াই তাঁদের একমাত্র লক্ষ--'দল, সরকার, রাজনীতি সম্পর্কে তাঁদের চিন্তাচেতনায় কিছু ধারন করার প্রয়োজন আছে কিনা তাঁদের সেদিকে কোন ভাবনাই নেই।'
        প্রীয় পাঠক বন্ধুরা---দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পর সামন্তপ্রথা উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়েছে।কিন্তু তাঁর অবশিষ্টাংশ এখনও সমাজ দেহের রন্ধে রন্ধে রয়ে গেছে। সামন্ত প্রথা উচ্ছেদের পর গনতন্ত্র আসি আসি বলে আজও পথিমধ্যেই আটকে আছে। আটকে আছে বললে ভুল হবে আটকিয়ে রেখেছে সামন্ততন্ত্রের বীজে লালিত অতিবিপ্লবী মানষিকতা সম্পন্ন রাজনীতিবীদেরা। তাঁরা দেশীয় আবহাওয়ায় গনতন্ত্রের সংজ্ঞা নির্ধারন নাকরে আমদানী করেছেন পশ্চিমের আবহাওয়ায় পুষ্ট গনতন্ত্রকে। যার ফলে পশ্চিমা গনতন্ত্র বাংলাদেশ তথা ভারতীয় উপমহাদেশের আবহাওয়ার হৃষ্টতা না পেয়ে দৈন্যতায় রুপান্তরীত হয়ে পেশী শক্তিকেই বারবার উৎসাহীত করে চলেছে। ব-দ্বিপের উর্বর ভূমিতে জাতীয় বীজের গনতন্ত্র চর্চা না করে পাশ্চাত্য গনতন্ত্র চর্চা করতে গিয়ে সামন্তবাদের গরিমায় অন্ধ মানুষদের রোষানলে পড়ে গনতন্ত্র সঠিকভাবে বিকশিত না হয়ে প্রত্যহ মৃত্যুর মিছিলকে বড় করে তুলছে।
        আমি এখানে একটিমাত্র উদাহরন দিয়ে ব্যাপারটি আপনাদেরকে বুঝিয়ে বলতে চাই-- "একনেতা একদেশ---বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ" শ্লোগানের প্রবক্তা ছিল তথাকথিত '৭২--৭৫ ইং এর হাইব্রিড আওয়ামী লীগারদের। উক্ত শ্লোগানভীতি বাঙ্গালী জাতির জনককে বাংলাদেশ অকালে হারাতে হয়েছিল।বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ সংক্ষেপে "বাকশাল" একদলীয় শাষন ছিল বটে কিন্তু কখনই একব্যাক্তির  বংশানুক্রমিক শাষন ছিলনা। তাছাড়াও একদলীয় শাষনের অভ্যন্তরে বহুদলের সংমিশ্রনে জাতীয় দলের রুপরেখায় অংকিত ছিল তাঁর থিম। হাইব্রিড আওয়ামী লীগারগন সেদিন "একনেতা একদেশ ---বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ " শ্লোগানে জাতীয় দলের শাষন ব্যবস্থাকে একদলীয় বংশানুক্রমিক শাষনের বৃত্তে বেঁধে, জনগনের মাঝে বঙ্গবন্ধুর উদার রাজনৈতিক ধ্যানধারনাকে সংকীর্ণতার গন্ডিতে আবদ্ধ করেছিলেন অত্যান্ত সূকৌশলে।
             এই প্রসঙ্গে আমি দেশের রাজনীতি বিশ্লেষকদের নিকট জানতে চাই--সমবায় সমিতির নির্বাচন কি একনেতার আজীবন ক্ষমতায় থাকার জন্য অনুষ্ঠিত হয় নাকি সমিতিভুক্ত যে কোন সদস্যই নেতা পদের জন্য নির্বচনে অংশ গ্রহন করতে পারে?  আরো সহজে যদি বলি---খোলাফায়ে রাশেদীনের সময়কালে মসজিদে বসে সাহাবীদের অধিকাংশের মতামতের ভিত্তিতে  খলীফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হ'ত নাকি বংশানুক্রমলিক হত? খলীফা নির্বাচনের উক্ত পদ্ধতিতে কি গনতন্ত্রের অভাব ছিল? খলীফা নির্বাচনে বংশানুক্রমিক ধারা কখনও কি বহাল ছিল? জাতির জনক বঙ্গবন্ধু মুজিবের 'বাকাশাল" শাষনে শাষক নির্বাচনের নীতি  উল্লেখিত দুই নীতির বাহিরে অন্য কোন নীতি বা পদ্ধতি ছিল ?
         যদি না হয়ে থাকে তাহলে "একনেতা একদেশ---বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ" শ্লোগান কেন দেয়া হয়েছিল?  বঙ্গবন্ধুকে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত করতে? আজকেও দেখি আওয়ামী লীগের মধ্যে তৎদ্রুপ একটি শক্তিশালী শ্রেনীর উম্মেষ ঘটেছে। তাঁরাও প্রকারান্তরে বলতে চায়---"শেখ হাসিনার বাংলাদেশ"।অতিভক্তির লক্ষন আর কি!
          রাষ্ট্র ধর্ম "ইসলাম"এর বিরুদ্ধে আনীত রীট উচ্চ আদালত বাদীদের এই রুপ রিট মামলা দাখিলের  কোন অধিকার বা এখতিয়ার নেই মর্মে খারিজ করেছে। অনেক আওয়ামী লীগ নেতা শোকর গোজার  করে নীজের দিলকে শীতল করেছে।সাথে বন্ধুদেরকেও শীতলতার পরশ দিতে ভুল করেননি। এই পরশ তিনি কি মুজিব আদর্শের সৈনীক হয়ে বুঝেশুনে দিলেন, নাকি আওয়ামী লীগ করি-- ভাল লাগে তাই। দর্শন, আদর্শ, নীতি জানার প্রয়োজন কি নেই ?
       পবিত্র কোরানে বহু জায়গায় আল্লাহপাক বলেছেন,"জ্বীন এবং এনসান"এর বিচার হবে কিয়ামতের ময়দানে"।কোরানের কোন জায়গায় বলেছেন জ্বীন এবং মসুলমান ধর্মের অনুসারীদের বিচার হবে?"এনসান বলতে মানব জাতিকে বুঝায় নাকি শুধু ইসলাম ধর্মালম্বিদের বুঝায়? ইহজগতে বিচারের পর আদালত শাস্তি নিশ্চিত করেন কার কি শাস্তি--আইন অনুযায়ী প্রাপ্য। কেয়ামতের ময়দানে আল্লাহ মানব জাতি এবং জ্বিনের বিচার করবেন --সেই বিচার অনুষ্ঠিত হবে দুনিয়ায় কৃত অপরাধের, নিশ্চয়ই ধর্মের বিচার হবেনা। ইসলাম যেহেতু আল্লাহ প্রেরিত তাঁর পছন্দের একমাত্র ধর্ম এবং তাঁর সৃষ্ট মানবজাতিকে সৎ পথে থাকার নির্দেশনা মুলক একমাত্র ধর্ম।  সেহেতু ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা কৃতকর্মের শাস্তি ভোগের পর হলেও বেহেস্তে যাওয়ার আশা করতে পারেন; অন্য কোন মনগড়া  ধর্মের মানুষ এই সুবিধা আল্লাহর নিকট থেকে আশা করতে পাবেনা।
           জাতির জনকের সাড়ে তিনবছরের ধর্মনিরপেক্ষতার শাষনে ইসলামের প্রচার প্রসারে সে সমস্ত মৌলিক কাজ গুলী হয়েছিল তাঁর অকাল মৃত্যুর পর যে কয়জন শাষক বাংলাদেশ শাষন করেছেন--সবাই তো ইসলামের জন্য জীবনবাজি রাখা শাষক। গত ৪০বছরে তুলনামুলক তাঁর সিকিভাগ কাজ সব সরকার মিলে করেছে ?  যদি না করে থাকে-- রাষ্ট্র ধর্ম করে কি হবে ?ইহা কি ইসলামের সঙ্গে শাষকশ্রেনীর প্রতারনার আওতায় পড়েনা? যে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম--আমার "লালিত বিশ্বাস ইসলাম ধর্মের" কোন কাজ করেনা; শুধুমাত্র সংবিধানে শোভা পায় --সেই রাষ্ট্র ধর্ম সংবিধানে থাকার চাইতে না থাকাই শ্রেয়।
              ধর্মনিরপেক্ষতা সকল ধর্মের কাজ সমভাবে করে তাঁর  নিরপেক্ষতা প্রমান করে। সুতারাং নিরপেক্ষতার নীতি অধিক শ্রেয় নয় কি ?  মক্কা- মদীনার ইমামদ্বয়ের বক্তব্যের সারমর্ম হচ্ছে --ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা এটি শুধু ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অস্তিত্বের বিষয় নয়, এটা সমগ্র জাতির এবং আমাদের মুসলিম সমাজের ধর্মীয় দায়িত্ব।  ভাইগন এত বেশী ধর্মানুরাগী যদি হয়ে থাকেন তবে দেশরত্মের খোলাফায়ে রাশেদীনের শাষনের প্রতি আপনাদের সমর্থন পাওয়া যায়নি কেন? মদীনা সনদ অনুযায়ী দেশ শাষনের প্রস্তাবে সাড়া দেননি কেন? বর্তমানের আলেম সমাজ কি তাঁদের চেয়েও বড় কিছু?
     বর্তমান সরকার দেশকে সঠিক ভাবে এগিয়ে নিচ্ছে শতকরা তিয়াত্তরজন মানুষ মনে করে। বিশ্ববাসিও মনে করে বাংলাদেশ তাঁর গন্তব্যপথে সঠিকভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর অ-সাম্প্রদায়িক শাষনে  মোল্লাদের সনদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়া হয়নি? তখন ও কি দল আদর্শবিচ্যুত হয়েছিল? তখন যদি বঙ্গবন্ধু তাঁদের মুল জনগোষ্ট্রির স্রোতে মিশাতে না পারতেন, আজকের বাঙলাদেশ কেমন হ'ত--ভাবা যায়!!
      প্রধানমন্ত্রী কওমী মাদ্রাসাকে এই মহুর্তে রাষ্ট্রীয় স্রোতধারায় আনতে ব্যর্থ্য হলে, আগামী বিশ বছরের মধ্যে একটি করে মাদ্রাসা প্রত্যেক বাড়ীর দরজায় প্রতিষ্ঠিত হয়ে হুরের  আশায় শুধু রক্তাক্ত বাংলাদেশই দেখা যেত--পানির সন্ধান কোথাও পাওয়া যেত বলে মনে হয়না।বিশবছর পরের বাংলাদেশকে বিশ বছর আগে  রক্ষা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভবিষ্যত বাংলাদেশকে বাসযোগ্য করার ক্ষেত্রে যুগান্তকারি  দৃষ্টান্তই স্থাপন করেছেন। বাংলাদেশের এমন কোন নাগরিক কি আছেন--যিনি কওমী মাদ্রাসার গানীতিক উত্থান অ-স্বীকার করতে পারেন? তাঁদের জীবন জীবিকার তাগিদেই তাঁরা  কওমী মাদ্রাসার উত্থান দ্রুত ঘটিয়েছেন।-জীবন জীবিকার গ্যারান্টি রাষ্ট্র দিতে পারলে মাদ্রাসা পত্তনের প্রয়োজন কি বলেন?
       '৭৫--- ৯৬ দীর্ঘসময় অবহেলা, নিয্যাতন, নিপীড়নে যে দলটি তাঁর চুলপরিমাণ আদর্শ বিচ্যুৎ হয়নি সেই দলটি বিগত ৪০ বছরের ইতিহাসে বর্তমান সময়ে গৌরবের স্বর্ণশীখরে অধিষ্ঠিত থাকাবস্থায়, আদর্শের জলাঞ্জলী দিতে হবে!! যে সমস্ত মহল চিন্তা করে তাঁদের আদর্শ ধারন পাত্রটি নিয়েই প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক।
ইহাও একান্ত বাস্তবতা যে--অসাম্প্রদায়িক চেতনা লালন করলেও আওয়ামী লীগ ধর্মবিশ্বাসেও অনুরাগী।তাঁর প্রকৃষ্ট প্রমান বঙ্গবন্ধু তাঁর শাষনামলে যেমন নাস্তিক ধর্মদ্রোহিদের নাগরিকত্ব বাতিল করেছিলেন তেমনি তাঁর কন্যাও প্রমানীত নাস্তিকদের জেল হাজতে প্রেরন করেছেন।নবী (স:) এর কটুক্তিকারীদের সর্বচ্ছো শাস্তি মৃত্যুদন্ড করার প্রস্তাবও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী করা যায় কিনা চিন্তাভাবনা করছেন।আবার ধর্মাশ্রয়ী দলযে নয় তাঁর প্রমানতো নিত্যই রেখে যাচ্ছে ধর্ম ব্যাবসায়ী, ধর্মশ্রয়ী দলগুলী।
ruhulaminmujumder27@gmail.com

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন