বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অ-সাম্প্রদায়িক বটে তবে নাস্তিক্যবাদে বিশ্বাসী নয়।
      (রুহুল আমিন মজুমদার)

        অদ্য মুজিবনগরের বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠন দিবসে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে ফুল দিতে গিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আওয়ামীলীগ সভানেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দৃডতার সঙ্গে বলেন--'সাম্প্রদায়িকতার শেষ চিহ্নটুকু  মুছে দেয়ার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে তাঁর সরকার।" তাঁর আগে কওমী মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের শীর্ষনেতা আল্লামা সফি সাহেবের নেতৃত্বে প্রায় তিন শতাধিক ওলামা--গনভবনে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে তাঁদের শিক্ষা সনদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং ওলামা শিক্ষা বোর্ড়কে স্বতন্ত্র শিক্ষা বোর্ড হিসেবে অনুমোদনের বিষয় নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত বৈঠকে সরকার প্রধান নীতিগত ভাবে বিপুল সংখ্যক মাদ্রাসার ছাত্র/ ছাত্রীদের ভবিষ্যত জীবন অন্ধাকারাচ্ছন্নতার বিবেচনায়  তাঁদের শিক্ষা সনদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিদান এবং স্বতন্ত্র শিক্ষাকায্যক্রম পরিচালনার নিমিত্তে শিক্ষাবোর্ড়ের দাবি মেনে নেন।
         জাতীয় ও আন্তজাতিক বিশ্বে ঘটনাটি ব্যাপক চাঞ্চল্যতা সৃষ্টি করে। ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা অনুষ্ঠান এবং  বিবিসির বাংলা অনুষ্ঠানে ধারাবাহিক উক্ত চাঞ্চল্যকর বৈঠকের বিভিন্ন দিক নিয়ে ব্যাপক আলোচনা অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে।তাঁদের অনুষ্ঠানে উক্ত বৈঠকের  যত না ইতিবাচক দিক নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে তার চেয়ে বেশী সাম্প্রদায়িকতায় সূদুর প্রসারী নেতিবাচক দিক নিয়েই আলোকপাত করতে দেখা গেছে। বাংলাদেশের রাজনীতির অঙ্গনেও বিষয়টি সর্বমহলে তোড়পাড় সৃষ্টি করেছে।
         বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তাঁর বিবৃতিতে বলেন আওয়ামী লীগ ধর্ম নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছে।বিবিসি তাঁদের ভাষ্যে বলেন --'আওয়ামীলীগ সাম্প্রদায়িক শক্তির নিকট আত্মসমর্পন করেছে'। বিএনপির মহাসচিব ফকরুল ইসলাম বলেন--'শেখ হাসিনা কোন ধর্মই পালন মানেন না।' ভয়েস অব আমেরিকা তাঁদের মূল্যায়নে বলেন --'আওয়ামী লীগ ইসলামী জঙ্গী উত্থান রোধে মাঝপথে বিঘ্নতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে আপোষ করেছে।' আওয়ামী লীগের দলের অভ্যন্তরেও বিষয়টি অধিকাংশ নেতাকর্মী সহজভাবে নিতে পারেন নাই। আড়ালে আবড়ালে নানামূখী মন্তব্য করতেও পিছপা হচ্ছেনা তৃনমূল থেকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব পয্যন্ত।
        প্রীয় পাঠক বন্ধুগন দেশীয় রাজনীতি এবং আন্তজাতিক মহলের চাঞ্চল্যতাই প্রমান করে--'শেখ হাসিনা সঠিক সময় উপযুক্ত কাজটি করতে পেরেছেন।' আমরা সকলেই জানি-- হেফাজতের সংঙ্গে বৈঠকটি রাষ্ট্রীয় গনভবনে সরকার প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সরকার বিরুধী দেশী-বিদেশী মহল, দেশী- বিদেশী মিডিয়া সমূহ তাঁদের মানষিক অস্থীরতাহেতু বারবার আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দলকে জড়িয়ে বিভিন্নমূখি অভিমত প্রকাশ করে চলেছে। আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরেও বিষয়টিকে দলীয় অ-সাম্প্রদায়িক চেতনার বিপরীত হিসেবে গন্য করেছেন অনেকেই।
       এমত:বস্থায় মুজিবনগর  দিবস উপলক্ষে আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে ফুল দিতে এসে শেখ হাসিনা উল্লেখিত মন্তব্যটি করেছেন।  লক্ষনীয় বিষয়টি হচ্ছে বাংলাদেশের শতভাগ মানুষ গনতন্ত্র চায়, গনতান্ত্রিক শাষন ব্যবস্থা কামনা করে। শতভাগ মানুষ বিশ্বাস করে গনতান্ত্রিক শাষনই বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি নিশ্চিত করতে পারে। কিন্তু গনতন্ত্রের সর্বক্ষেত্রে ভারসাম্যতার প্রয়োজনীয়তা একজনও বিশ্বাস করে কিনা সন্দেহ আছে। বাংলাদেশের শতভাগ মানুষ মনে করে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা চিকিৎসা ৫টি বিষয় নিশ্চিত করাই কল্যান রাষ্ট্রের মূলভিত্তি।কিন্তু একজনও বিশ্বাস করে কিনা আমার সন্দেহ আছে--রাষ্ট্র ও সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্টিকে রাষ্ট্রীয় বিশেষ ব্যবস্থাপনায় মূলস্রোতের সঙ্গে একিভূত করাও কল্যান রাষ্ট্রের অন্যতম ভিত্তির মধ্যে একটি। গনতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকুক শতভাগ মানুষই কামনা করে কিন্তু গনতন্ত্রের কেন্দ্রিকতা একজনও অনুসরন করেনা। বাংলাদেশের ন্যায় রাজনীতি সচেতন জনগন বিশ্বের অন্যকোন দেশে নেই কিন্তু রাজনীতির ক্ষেত্রে আদর্শিক শিক্ষায় এতবেশি পিছিয়ে পড়া নেতাকর্মী অন্যকোন দেশেও নেই-- ইহাও সত্য।
        নবনির্বাচিত সাধারন সম্পাদক বিশেষ  কিছু প্রনিদানযোগ্য বক্তব্যই তোলে ধরেছেন বিভিন্ন সময়ে।তিনি একাধিকবার বলেছেন---'রাজনীতি ও সাংবাদিক পেশায় হাইব্রিডের আধিক্যে যোগ্যরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে।' একই সঙ্গে তিনি বলেন--'সাংবাদিকতা ও রাজনীতিতে মান কমে যাচ্ছে। নব্য হাইব্রিডদের তিনি কাউয়ার সংগে তুলনা করতেও পিছপা হননি। সর্বশেষ তিনি মন্তব্য করলেন নব্য হাইব্রিড আওয়ামী লীগারেরা ফার্মের মুরগী। অর্থাৎ বসে বসে পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহন করে মোটাতাজা হওয়াই তাঁদের একমাত্র লক্ষ--'দল, সরকার, রাজনীতি সম্পর্কে তাঁদের চিন্তাচেতনায় কিছু ধারন করার প্রয়োজন আছে কিনা তাঁদের সেদিকে কোন ভাবনাই নেই।'
        প্রীয় পাঠক বন্ধুরা---দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পর সামন্তপ্রথা উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়েছে।কিন্তু তাঁর অবশিষ্টাংশ এখনও সমাজ দেহের রন্ধে রন্ধে রয়ে গেছে। সামন্ত প্রথা উচ্ছেদের পর গনতন্ত্র আসি আসি বলে আজও পথিমধ্যেই আটকে আছে। আটকে আছে বললে ভুল হবে আটকিয়ে রেখেছে সামন্ততন্ত্রের বীজে লালিত অতিবিপ্লবী মানষিকতা সম্পন্ন রাজনীতিবীদেরা। তাঁরা দেশীয় আবহাওয়ায় গনতন্ত্রের সংজ্ঞা নির্ধারন নাকরে আমদানী করেছেন পশ্চিমের আবহাওয়ায় পুষ্ট গনতন্ত্রকে। যার ফলে পশ্চিমা গনতন্ত্র বাংলাদেশ তথা ভারতীয় উপমহাদেশের আবহাওয়ার হৃষ্টতা না পেয়ে দৈন্যতায় রুপান্তরীত হয়ে পেশী শক্তিকেই বারবার উৎসাহীত করে চলেছে। ব-দ্বিপের উর্বর ভূমিতে জাতীয় বীজের গনতন্ত্র চর্চা না করে পাশ্চাত্য গনতন্ত্র চর্চা করতে গিয়ে সামন্তবাদের গরিমায় অন্ধ মানুষদের রোষানলে পড়ে গনতন্ত্র সঠিকভাবে বিকশিত না হয়ে প্রত্যহ মৃত্যুর মিছিলকে বড় করে তুলছে।
        আমি এখানে একটিমাত্র উদাহরন দিয়ে ব্যাপারটি আপনাদেরকে বুঝিয়ে বলতে চাই-- "একনেতা একদেশ---বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ" শ্লোগানের প্রবক্তা ছিল তথাকথিত '৭২--৭৫ ইং এর হাইব্রিড আওয়ামী লীগারদের। উক্ত শ্লোগানভীতি বাঙ্গালী জাতির জনককে বাংলাদেশ অকালে হারাতে হয়েছিল।বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ সংক্ষেপে "বাকশাল" একদলীয় শাষন ছিল বটে কিন্তু কখনই একব্যাক্তির  বংশানুক্রমিক শাষন ছিলনা। তাছাড়াও একদলীয় শাষনের অভ্যন্তরে বহুদলের সংমিশ্রনে জাতীয় দলের রুপরেখায় অংকিত ছিল তাঁর থিম। হাইব্রিড আওয়ামী লীগারগন সেদিন "একনেতা একদেশ ---বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ " শ্লোগানে জাতীয় দলের শাষন ব্যবস্থাকে একদলীয় বংশানুক্রমিক শাষনের বৃত্তে বেঁধে, জনগনের মাঝে বঙ্গবন্ধুর উদার রাজনৈতিক ধ্যানধারনাকে সংকীর্ণতার গন্ডিতে আবদ্ধ করেছিলেন অত্যান্ত সূকৌশলে।
             এই প্রসঙ্গে আমি দেশের রাজনীতি বিশ্লেষকদের নিকট জানতে চাই--সমবায় সমিতির নির্বাচন কি একনেতার আজীবন ক্ষমতায় থাকার জন্য অনুষ্ঠিত হয় নাকি সমিতিভুক্ত যে কোন সদস্যই নেতা পদের জন্য নির্বচনে অংশ গ্রহন করতে পারে?  আরো সহজে যদি বলি---খোলাফায়ে রাশেদীনের সময়কালে মসজিদে বসে সাহাবীদের অধিকাংশের মতামতের ভিত্তিতে  খলীফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হ'ত নাকি বংশানুক্রমলিক হত? খলীফা নির্বাচনের উক্ত পদ্ধতিতে কি গনতন্ত্রের অভাব ছিল? খলীফা নির্বাচনে বংশানুক্রমিক ধারা কখনও কি বহাল ছিল? জাতির জনক বঙ্গবন্ধু মুজিবের 'বাকাশাল" শাষনে শাষক নির্বাচনের নীতি  উল্লেখিত দুই নীতির বাহিরে অন্য কোন নীতি বা পদ্ধতি ছিল ?
         যদি না হয়ে থাকে তাহলে "একনেতা একদেশ---বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ" শ্লোগান কেন দেয়া হয়েছিল?  বঙ্গবন্ধুকে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত করতে? আজকেও দেখি আওয়ামী লীগের মধ্যে তৎদ্রুপ একটি শক্তিশালী শ্রেনীর উম্মেষ ঘটেছে। তাঁরাও প্রকারান্তরে বলতে চায়---"শেখ হাসিনার বাংলাদেশ"।অতিভক্তির লক্ষন আর কি!
          রাষ্ট্র ধর্ম "ইসলাম"এর বিরুদ্ধে আনীত রীট উচ্চ আদালত বাদীদের এই রুপ রিট মামলা দাখিলের  কোন অধিকার বা এখতিয়ার নেই মর্মে খারিজ করেছে। অনেক আওয়ামী লীগ নেতা শোকর গোজার  করে নীজের দিলকে শীতল করেছে।সাথে বন্ধুদেরকেও শীতলতার পরশ দিতে ভুল করেননি। এই পরশ তিনি কি মুজিব আদর্শের সৈনীক হয়ে বুঝেশুনে দিলেন, নাকি আওয়ামী লীগ করি-- ভাল লাগে তাই। দর্শন, আদর্শ, নীতি জানার প্রয়োজন কি নেই ?
       পবিত্র কোরানে বহু জায়গায় আল্লাহপাক বলেছেন,"জ্বীন এবং এনসান"এর বিচার হবে কিয়ামতের ময়দানে"।কোরানের কোন জায়গায় বলেছেন জ্বীন এবং মসুলমান ধর্মের অনুসারীদের বিচার হবে?"এনসান বলতে মানব জাতিকে বুঝায় নাকি শুধু ইসলাম ধর্মালম্বিদের বুঝায়? ইহজগতে বিচারের পর আদালত শাস্তি নিশ্চিত করেন কার কি শাস্তি--আইন অনুযায়ী প্রাপ্য। কেয়ামতের ময়দানে আল্লাহ মানব জাতি এবং জ্বিনের বিচার করবেন --সেই বিচার অনুষ্ঠিত হবে দুনিয়ায় কৃত অপরাধের, নিশ্চয়ই ধর্মের বিচার হবেনা। ইসলাম যেহেতু আল্লাহ প্রেরিত তাঁর পছন্দের একমাত্র ধর্ম এবং তাঁর সৃষ্ট মানবজাতিকে সৎ পথে থাকার নির্দেশনা মুলক একমাত্র ধর্ম।  সেহেতু ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা কৃতকর্মের শাস্তি ভোগের পর হলেও বেহেস্তে যাওয়ার আশা করতে পারেন; অন্য কোন মনগড়া  ধর্মের মানুষ এই সুবিধা আল্লাহর নিকট থেকে আশা করতে পাবেনা।
           জাতির জনকের সাড়ে তিনবছরের ধর্মনিরপেক্ষতার শাষনে ইসলামের প্রচার প্রসারে সে সমস্ত মৌলিক কাজ গুলী হয়েছিল তাঁর অকাল মৃত্যুর পর যে কয়জন শাষক বাংলাদেশ শাষন করেছেন--সবাই তো ইসলামের জন্য জীবনবাজি রাখা শাষক। গত ৪০বছরে তুলনামুলক তাঁর সিকিভাগ কাজ সব সরকার মিলে করেছে ?  যদি না করে থাকে-- রাষ্ট্র ধর্ম করে কি হবে ?ইহা কি ইসলামের সঙ্গে শাষকশ্রেনীর প্রতারনার আওতায় পড়েনা? যে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম--আমার "লালিত বিশ্বাস ইসলাম ধর্মের" কোন কাজ করেনা; শুধুমাত্র সংবিধানে শোভা পায় --সেই রাষ্ট্র ধর্ম সংবিধানে থাকার চাইতে না থাকাই শ্রেয়।
              ধর্মনিরপেক্ষতা সকল ধর্মের কাজ সমভাবে করে তাঁর  নিরপেক্ষতা প্রমান করে। সুতারাং নিরপেক্ষতার নীতি অধিক শ্রেয় নয় কি ?  মক্কা- মদীনার ইমামদ্বয়ের বক্তব্যের সারমর্ম হচ্ছে --ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা এটি শুধু ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অস্তিত্বের বিষয় নয়, এটা সমগ্র জাতির এবং আমাদের মুসলিম সমাজের ধর্মীয় দায়িত্ব।  ভাইগন এত বেশী ধর্মানুরাগী যদি হয়ে থাকেন তবে দেশরত্মের খোলাফায়ে রাশেদীনের শাষনের প্রতি আপনাদের সমর্থন পাওয়া যায়নি কেন? মদীনা সনদ অনুযায়ী দেশ শাষনের প্রস্তাবে সাড়া দেননি কেন? বর্তমানের আলেম সমাজ কি তাঁদের চেয়েও বড় কিছু?
     বর্তমান সরকার দেশকে সঠিক ভাবে এগিয়ে নিচ্ছে শতকরা তিয়াত্তরজন মানুষ মনে করে। বিশ্ববাসিও মনে করে বাংলাদেশ তাঁর গন্তব্যপথে সঠিকভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর অ-সাম্প্রদায়িক শাষনে  মোল্লাদের সনদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়া হয়নি? তখন ও কি দল আদর্শবিচ্যুত হয়েছিল? তখন যদি বঙ্গবন্ধু তাঁদের মুল জনগোষ্ট্রির স্রোতে মিশাতে না পারতেন, আজকের বাঙলাদেশ কেমন হ'ত--ভাবা যায়!!
      প্রধানমন্ত্রী কওমী মাদ্রাসাকে এই মহুর্তে রাষ্ট্রীয় স্রোতধারায় আনতে ব্যর্থ্য হলে, আগামী বিশ বছরের মধ্যে একটি করে মাদ্রাসা প্রত্যেক বাড়ীর দরজায় প্রতিষ্ঠিত হয়ে হুরের  আশায় শুধু রক্তাক্ত বাংলাদেশই দেখা যেত--পানির সন্ধান কোথাও পাওয়া যেত বলে মনে হয়না।বিশবছর পরের বাংলাদেশকে বিশ বছর আগে  রক্ষা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভবিষ্যত বাংলাদেশকে বাসযোগ্য করার ক্ষেত্রে যুগান্তকারি  দৃষ্টান্তই স্থাপন করেছেন। বাংলাদেশের এমন কোন নাগরিক কি আছেন--যিনি কওমী মাদ্রাসার গানীতিক উত্থান অ-স্বীকার করতে পারেন? তাঁদের জীবন জীবিকার তাগিদেই তাঁরা  কওমী মাদ্রাসার উত্থান দ্রুত ঘটিয়েছেন।-জীবন জীবিকার গ্যারান্টি রাষ্ট্র দিতে পারলে মাদ্রাসা পত্তনের প্রয়োজন কি বলেন?
       '৭৫--- ৯৬ দীর্ঘসময় অবহেলা, নিয্যাতন, নিপীড়নে যে দলটি তাঁর চুলপরিমাণ আদর্শ বিচ্যুৎ হয়নি সেই দলটি বিগত ৪০ বছরের ইতিহাসে বর্তমান সময়ে গৌরবের স্বর্ণশীখরে অধিষ্ঠিত থাকাবস্থায়, আদর্শের জলাঞ্জলী দিতে হবে!! যে সমস্ত মহল চিন্তা করে তাঁদের আদর্শ ধারন পাত্রটি নিয়েই প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক।
ইহাও একান্ত বাস্তবতা যে--অসাম্প্রদায়িক চেতনা লালন করলেও আওয়ামী লীগ ধর্মবিশ্বাসেও অনুরাগী।তাঁর প্রকৃষ্ট প্রমান বঙ্গবন্ধু তাঁর শাষনামলে যেমন নাস্তিক ধর্মদ্রোহিদের নাগরিকত্ব বাতিল করেছিলেন তেমনি তাঁর কন্যাও প্রমানীত নাস্তিকদের জেল হাজতে প্রেরন করেছেন।নবী (স:) এর কটুক্তিকারীদের সর্বচ্ছো শাস্তি মৃত্যুদন্ড করার প্রস্তাবও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী করা যায় কিনা চিন্তাভাবনা করছেন।আবার ধর্মাশ্রয়ী দলযে নয় তাঁর প্রমানতো নিত্যই রেখে যাচ্ছে ধর্ম ব্যাবসায়ী, ধর্মশ্রয়ী দলগুলী।
ruhulaminmujumder27@gmail.com

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা