সদা শংকিত, দরিদ্র, বিনিয়োগ প্রত্যাশী বাংলাদেশ--১০০কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রত্যাশায় ভুটান যাত্রা।
  (রুহুল আমিন মজুমদার)

       বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী গত কয়দিন আগে ভারত সফরে গিয়েছিলেন।ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বেশ কিছু চুক্তি ও সমঝোতা সাক্ষরিত হয়েছে। বাংলাদেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক দল সমূহের মধ্যে বিএনপি উক্ত চুক্তি ও সমঝোতার প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছিল শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অবশিষ্ট যাহাই ছিল সমগ্রই এবারকার সফরে ভারতের নিকট বিক্রয় করে দিয়ে এসেছেন। বাংলাদেশের মানুষ দায়িত্ববান বিরুধী দল এবং একাধিকবার বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর অভি্যোগের প্রেক্ষাপটে অতিশয় শংকিত হয়ে পড়ে। জনগনের শংকা দূর করার কায্যকর পদক্ষেপ না নিয়ে অদ্য শেখ হাসিনা ১০০ কোটি ডলার নিয়ে ভূটান গমন করেছেন। সেখানে ভূটান সরকার বাংলাদেশের জন্যে একখন্ড জমি দান করেছেন।

       সামরিক সমঝোতা স্বাক্ষরকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী সামরিক চুক্তি অভিহীত করে ভারতের আগ্রাসনের আশংকাও প্রকাশ করেছেন । সমঝোতা স্মারককে চুক্তি অভিহীত করার পেছনে তাঁর অজ্ঞতা কাজ করেছে, নাকি অপপ্রচারের উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে দেশবাসিকে শংকিত করে তুলার অসৎ উদ্দেশ্যে?  এ বিষয় কোন প্রকার মন্তব্য দলটির পাওয়া যায়নি ।তিনি একদিকে বলছেন দেশের অবশিষ্ট যাহাই ছিল সবকিছু বিক্রি করে দিয়েছেন অন্যদিকে ভারতের আগ্রাসনের আশংকা প্রকাশ করে তাঁর প্রথম দেয়া দেশবিক্রির অভিযোগককে নীজেই মিথ্যা প্রমান করছেন। দেশ যদি আসলে বিক্রয়ই হয়ে যায়--আগ্রাসনের প্রশ্ন আসে কিভাবে? ভারতের মালিকানা দেশে ভারত সরকারের সেনাবাহিনী অবাধ যাতায়ত করবে--এখানে আগ্রাসনের বিষয়টি আসবে কেন?

   দেশ ও জনগনের মনের ভীতি দূর করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরের পরদিন সাংবাদিক সম্মেলন করেন। তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন ১৯৮১ ইং সালে বাংলাদেশ সরকার চীনের সাথে একটি ৫০ বৎসর মেয়াদি প্রতিরক্ষা সামরিক চুক্তি করেছিল। চুক্তিটি বর্তমানেও বলবৎ আছে।তিনি সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসা করেন ঐ সামরিক প্রতিরক্ষা চুক্তিতে কি আছে---আপনারা কি কেউ জানেন? চুক্তি যে করা হয়েছিল বিগত ৩৫ বছরের মধ্যে কোন সরকার কি প্রকাশ করেছে,---সেই চুক্তিতে কি ছিল? তিনি বলেন কথাটি প্রাসঙ্গিক ভাবে এসেছে নতুবা আজও ঐ চুক্তি সম্পর্কে আমি বলতামনা। চুক্তিটি অত্যান্ত ---!!! বলেই প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর কথা থামিয়ে দেন।মুখের অভিব্যাক্তিতে অনুমান করা যায়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৈমত্বের জন্যে চুক্তিটি হুমকি স্বরুপই ছিল।

     প্রধানমন্ত্রীর উক্ত সাংবাদিক সম্মেলনে জনমনের ভীতি দূর না হয়ে দ্বিগুন আকার ধারন করেছে।বাংলাদেশের গৌরবের মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষ বিরুধীতাকারি দেশ চীন। তাছাড়াও আবহমানকাল থেকেই আমাদের শত্রুদেশ পাকিস্তানের সঙ্গে রয়েছে দেশটির একাধিক সামরিক, প্রতিরক্ষামূলক চুক্তি।সেই  গনচীনের সঙ্গেই অবৈধ ক্ষমতা দখলকারি মেজর জিয়া প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছে তাও অতিসংগোপনে!! যে চুক্তির বিষয়বস্তু বিগত বছরগুলীতে সকল সরকার রাষ্ট্রীয় ভাবেই গোপন করে চলেছেন!!! প্রধানমন্ত্রী বলতে চেয়েও কথা ঘুরিয়ে নিলেন কেন!! কি আছে ঐ চুক্তিতে? বাংলাদেশের জনগন জানতে চায় ঐ চুক্তির বিষয়বস্তু কি? অবিলম্ভে চুক্তির বিষদ বিবরনী জনসমক্ষে প্রকাশ করার দাবি জানাই।

       মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রায়শ:ই একটি কথা বলেন--এবার আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় না আসতে পারলে বাংলাদেশের ইতিহাস মুছে যেত।কথাটির তাৎপয্য তখন বুঝিনি। বিগত দুই/তিন বছরের মধ্যে বিএনপির সর্বস্তরের নেতাদের মুক্তিযুদ্ধের  ইতিহাস বিকৃতি এবং পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা কতৃক বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতির তথ্য সংবলিত পুস্তক রচনা ও বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে দেয়া, তথাকথিত অজ্ঞাত ইসরাইল কানেক্টেড ব্যাবসায়ির বিএনপি দলের কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদপ্রাপ্তি, চিকিৎসার নামে সেনাসমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে আপোষ মীমাংসায়--খালেদা পুত্রদ্বয়কে বিদেশে পালায়নের সুযোগ গ্রহন, কোটি কোটি ডলার ব্যয় করে আন্তজাতিক লবিষ্ট নিয়োগ, তারেক জিয়ার উদ্যত আচরণ, আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টির উদ্দেশ্যে হত্যা,গুম, আগুন সন্ত্রাস, সাধারন নির্বাচন বর্জন, সেনাবাহিনীকে কটাক্ষ, জঙ্গিদের প্রতি মায়া দরদ ইত্যাদির যোগফল মিলাতে গেলে, রাজনীতি সচেতন যে কোনব্যাক্তি হতবিহব্বল না হয়ে পারে না।

       ষড়যন্ত্র, মিথ্যাচারেরও একটি সীমারেখা আছে। দেশ ও জনগনের সুদুরপ্রসারি সমূহ ক্ষতির সম্ভাবনাময় বিষয়াবলী নিয়ে দায়িত্বশীল ব্যাক্তি, গোষ্টি, রাজৈতিক দলের মিথ্যাচারের নমূনা বিশ্বের কোন দেশেই দেখা যায়না।বাংলাদেশই একমাত্র ব্যাতিক্রম। নি:সন্দেহে পদ্মাসেতু বাংলাদেশের  গৌরব, অহংকার, সক্ষমতার প্রতিক। পদ্মাসেতুর নির্মানের কথিত দুর্নীতির অভিযোগ শুধুমাত্র ব্যাক্তি বা সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নয়। এই অভি্যোগ ছিল বিদেশী বন্ধুরাষ্ট্র, সাহায্য সংস্থা, ঋনদাতাদেশ ও সংস্থা,  সাহায্যকারিদেশ ও সংস্থা থেকে বাংলাদেশকে বিচ্ছিম্ন করার সুদুরপ্রসারী মহাপরিকল্পনার অংশ। পদ্মাসেতুর বরাদ্ধ টাকা প্রত্যাহার শুধুমাত্র বাংলাদেশের মেঘা প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে অন্তরায় সৃষ্টির উদ্দেশ্য ছিলনা। বাংলাদেশকেই অকায্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার মহাপরিকল্পনারই অংশ ছিল।

      দেশী কুলাংঙ্গার মীরজাফর সুদি ইউনূছের সঙ্গে সুর মিলিয়ে আন্তজাতিক বেনিয়া গোষ্টির ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে দেশের দায়িত্বশীল বিরুধীদল একই সময়ে একই বিষয়ে ষড়যন্ত্র, মিথ্যাচারে লিপ্ত হতে পারেনা। সেই কাজটিও বিএনপি করেছে নিদ্বিধায়,অবলিলায়, নিশ্চিন্তে, নির্বিঘ্নে, বুকচেতিয়ে।আন্তজাতিক আদালতে বাংলাদেশের কোনপ্রকার দুর্নীতির চিহ্ন না পেয়ে গুজুব সৃষ্টি অভিহিত করে রায় দেয়ার পর--অবলিলায় আবার স্বীকারও করে নেয় ইহা তাঁদের রাজনৈতিক বক্তব্য ছিল। সারা বিশ্ব থেকে বাংলাদেশকে  বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্রেও কি আপনাদের রাজনীতি?  কথিত দুর্নীতি প্রমান হলে কোন দেশের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী হতেন আপনারা? কোন দেশের মিডিয়ায় রাতের অন্ধকারে শুশিলের কৌকিল হয়ে কৌহু কহু ডাকতেন?

     একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলতে চাই--একশ্রেনীর ব্যাক্তিও গোষ্টি দেশের কোন উন্নয়নই দেখে না। সারা বিশ্ব দেখে, বিশ্বব্যাংক দেখে, বন্ধুরাষ্ট্র সমূহের সরকার প্রধান, রাষ্ট্র প্রধাংন দেখেন বিএনপি এবং তাঁর মিত্রগন দেখে না।একলক্ষকোটি টাকার বাৎসরিক রাষ্ট্রীয় বাজেট চার লক্ষ কোটি টাকার অংকে পৌঁছে গেছে তারপরও কোন উন্নয়ন দেখেনা, অবকাঠামো দেখেনা, সাবমেরিন, জাহাজ, রকেট, যুদ্ধবিমান, পারমানবিক চুল্লি কিছুই দেখেনা।যাক অন্ধ হলে দেখবে কিভাবে? দেশের ঐশ্রেনীর অন্ধদের কে বস্তুগত কোন উদাহরন দিয়ে উন্নয়নের ফিরিস্তি দিতে চাইনা।অদৃশ্য শক্তির অনুভব অন্ধদের মধ্যে প্রবল থাকে জানি। আমি তাঁদের উদ্দেশ্যে অদৃশ্যশক্তির উন্নয়ন সম্পর্কে তুলনামূলক একটি আলোচনা উপস্থাপন করতে চাই।

       সকলেই জানি সভ্যতা, উন্নয়ন, অগ্রগতির মূল চাবিকাঠির অদৃশ্যশক্তির নাম বিদ্যুৎ। ইংরেজীতেও তাঁকে পাওয়ার অর্থাৎ শক্তি নামেই ডাকে সবাই।
২০০৯ সাল নাগাদ সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে পরিচালিত মোট ৪৩টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু ছিল। এর মধ্যে সরকারি উদ্যোগে পরিচালিত ১৮টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ৩৮২৪ মেগাওয়াট এবং বেসরকারি উদ্যোগে স্থাপিত ২৫টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদনক্ষমতা ২১০৪ মেগাওয়াট। তবে এসব কেন্দ্র থেকে প্রকৃতপক্ষে উৎপাদনক্ষমতার সমপরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হতনা। পিক আওয়ারে সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি থেকে সর্বোচ্চ ৩৩৩১ এবং বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি থেকে ২০৪৫ মেগাওয়াটসহ মোট সর্বোচ্চ ৫৩৭৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হওয়ার ক্ষমতা ছিল।

   সুষ্ঠ রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে অধিকাংশ কেন্দ্রই বছরের পর বছর অকেজো হয়ে পড়ে থাকার কারনে চাহিদা মাফিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কখনই সম্ভব হয়নি।বর্তমান সরকারের ক্ষমতার প্রথমাংশে দেখা যায় অধিকাংশ উৎপাদন কেন্দ্র বিকল হয়ে পড়ে আছে,সারাদেশ অন্ধকারে  ডুবে আছে। ২০০৯-১০ অর্থ বছরে দেশে সর্বমোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ২৫,৬২২ মিলিয়ন কিলোওয়াট।২০১১ সালে পিডিবির গ্রাহকসংখ্যা ছিল ২,১৫৯.৮৭৯।দেশের মোট জনগোষ্টির ৩৩ শতাংশ বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগী ছিল।

২০০৮ সালের জানুয়ারী--মার্চ পয্যন্ত সেনাসমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকারের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় দেশে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছিল চার হাজার ৩৬ মেগাওয়াট।কালক্রমে তা কমে ২০০৯ সালের প্রথম দিকে বিদ্যুৎ উৎপাদন এসে দাঁড়ায় মাত্র ২৫০০ মেঘাওয়ার্টে। উক্ত সময়ে বর্তমান সরকার সাধারন নির্বাচনে ভুমিধ্বস বিজয়ের মাধ্যমে শেখহাসিনার নেতৃত্বে সরকার পরিচালনার দায়িতেওভার গ্রহন করে। সারাদেশ অন্ধকারাচ্ছন্ন থেকে কালক্রমে আলোতে নিয়ে আসার বিস্তারীত বিবরনীতে গেলামনা নিবন্ধের আকার বিস্তৃত হয়ে পাঠকদের বিরক্তির কারন হয়ে দাঁড়াবে। গত বছরের সর্বশেষ তথ্য দিয়ে লেখা শেষ করতে চাই।

 মে ২০১৬ ইং সাল  পর্যন্ত দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১৪ হাজার ৫৩৯ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। আওয়ামী লীগ ঘোষিত রূপকল্প ২০২১ অর্জনের লক্ষ্যে পৌঁছাতে আরও ২৪ হাজার মেগাওয়াট নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সরকারের।এ বছর নভেম্বরে ১৫ হাজার মেগাওয়ার্ট বিদ্যুৎ উৎপাদন   উৎযাপন করবে সরকার। বন্ধ উৎপাদনী বিদ্যুৎ প্লান্টের হিসেব বাদ দিয়ে সর্বশেষ ১৪/০৩/২০১৭ ইং তারিখের তথ্য নিম্নে তুলে দিলাম।

বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা (মেঃওঃ): ১৩,১৭৯* (মার্চ ২০১৭)
সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন (মেঃওঃ): ৯,০৩৬ (৩০ জুন ১৬)
গ্রাহক সংখ্যা: ২ কোটি ৪২ লক্ষ (মার্চ ২০১৭)
মোট সঞ্চালন লাইন (সা.কি.মি.): ১০,৩৭৭ (ফেব্রুয়ারি ২০১৭)
বিতরণ লাইন (কি.মি.): ৩ লক্ষ ৮৯ হাজার (ফেব্রুয়ারি ২০১৭)
মাথাপিছু উৎপাদন (কিঃওঃআঃ): ৪০৭ কিঃওঃআঃ (আগষ্ট ২০১৬)
বর্তমানে বিদ্যুৎ সুবিধা প্রাপ্ত জনগোষ্ঠী:( ৮০%)
নতুন সংযুক্ত বিদ্যুৎ প্লান্ট---(১০৭টি)

  প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, ইতিমধ্যে বাংলাদেশের সর্বত্র চৈত্রের দাবদাহের মধ্যেও বিদ্যুতের আসা যাওয়ার সম্মুখ্যিন হচ্ছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল।১০হাজার মেগাওয়ার্টেরব্ল বেশি বিদ্যুত উৎপাদনের পরও অতিষ্ট জনজীবন। এত বিদ্যুত যাচ্ছে কোথায়? শিল্প, কলকারখানা, অবকাঠামো কিছুইতো হয়নি!!
 ভারত সফরের প্রাক্কালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২হাজার মে: ও: বিদ্যুৎ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।সমুদয় বিদ্যুৎ এই বছরেই যুক্ত হবে জাতীয় গ্রিডে।এদিকে বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে ভূটানের রাজধানী থিম্পুতে রাত্রিযাপন করছেন অদ্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। উন্নয়ন একেবারেই হয়নি!! এযাবৎকাল শুনে এসেছি---বাংলাদেশে বিদেশী রাষ্ট্র ও ব্যাক্তির বিনিয়োগ পরিবেশ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে লম্বা লম্বা বক্তৃতা।, আজকের খবরে শুনলাম বাংলাদেশ বিনিয়োগ করবে ভূটানে তাও আবার জলবিদ্যুত উৎপাদনে।ভুটান থেকে উৎপাদিত বিদ্যুত বাংলাদেশে নিয়ে আসার পরিকল্পনায় সরকার সেই দেশেই বিদ্যুৎ প্লান্ট করার আগ্রহ ব্যাক্ত করেছে।

      কথিত ভারতের নিকট বিক্রিত দেশ ভুটান কে কিনতে যাওয়া কততম আশ্চায্যের মধ্যে পড়তে পারে তাঁর বিচারের ভার পাঠক ভাইদের উপর ছেড়ে দিলাম।
ruhulaminmujumder27@gmail.com
 


মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা