সদা শংকিত, দরিদ্র, বিনিয়োগ প্রত্যাশী বাংলাদেশ--১০০কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রত্যাশায় ভুটান যাত্রা।
(রুহুল আমিন মজুমদার)
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী গত কয়দিন আগে ভারত সফরে গিয়েছিলেন।ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বেশ কিছু চুক্তি ও সমঝোতা সাক্ষরিত হয়েছে। বাংলাদেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক দল সমূহের মধ্যে বিএনপি উক্ত চুক্তি ও সমঝোতার প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছিল শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অবশিষ্ট যাহাই ছিল সমগ্রই এবারকার সফরে ভারতের নিকট বিক্রয় করে দিয়ে এসেছেন। বাংলাদেশের মানুষ দায়িত্ববান বিরুধী দল এবং একাধিকবার বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর অভি্যোগের প্রেক্ষাপটে অতিশয় শংকিত হয়ে পড়ে। জনগনের শংকা দূর করার কায্যকর পদক্ষেপ না নিয়ে অদ্য শেখ হাসিনা ১০০ কোটি ডলার নিয়ে ভূটান গমন করেছেন। সেখানে ভূটান সরকার বাংলাদেশের জন্যে একখন্ড জমি দান করেছেন।
সামরিক সমঝোতা স্বাক্ষরকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী সামরিক চুক্তি অভিহীত করে ভারতের আগ্রাসনের আশংকাও প্রকাশ করেছেন । সমঝোতা স্মারককে চুক্তি অভিহীত করার পেছনে তাঁর অজ্ঞতা কাজ করেছে, নাকি অপপ্রচারের উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে দেশবাসিকে শংকিত করে তুলার অসৎ উদ্দেশ্যে? এ বিষয় কোন প্রকার মন্তব্য দলটির পাওয়া যায়নি ।তিনি একদিকে বলছেন দেশের অবশিষ্ট যাহাই ছিল সবকিছু বিক্রি করে দিয়েছেন অন্যদিকে ভারতের আগ্রাসনের আশংকা প্রকাশ করে তাঁর প্রথম দেয়া দেশবিক্রির অভিযোগককে নীজেই মিথ্যা প্রমান করছেন। দেশ যদি আসলে বিক্রয়ই হয়ে যায়--আগ্রাসনের প্রশ্ন আসে কিভাবে? ভারতের মালিকানা দেশে ভারত সরকারের সেনাবাহিনী অবাধ যাতায়ত করবে--এখানে আগ্রাসনের বিষয়টি আসবে কেন?
দেশ ও জনগনের মনের ভীতি দূর করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরের পরদিন সাংবাদিক সম্মেলন করেন। তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন ১৯৮১ ইং সালে বাংলাদেশ সরকার চীনের সাথে একটি ৫০ বৎসর মেয়াদি প্রতিরক্ষা সামরিক চুক্তি করেছিল। চুক্তিটি বর্তমানেও বলবৎ আছে।তিনি সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসা করেন ঐ সামরিক প্রতিরক্ষা চুক্তিতে কি আছে---আপনারা কি কেউ জানেন? চুক্তি যে করা হয়েছিল বিগত ৩৫ বছরের মধ্যে কোন সরকার কি প্রকাশ করেছে,---সেই চুক্তিতে কি ছিল? তিনি বলেন কথাটি প্রাসঙ্গিক ভাবে এসেছে নতুবা আজও ঐ চুক্তি সম্পর্কে আমি বলতামনা। চুক্তিটি অত্যান্ত ---!!! বলেই প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর কথা থামিয়ে দেন।মুখের অভিব্যাক্তিতে অনুমান করা যায়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৈমত্বের জন্যে চুক্তিটি হুমকি স্বরুপই ছিল।
প্রধানমন্ত্রীর উক্ত সাংবাদিক সম্মেলনে জনমনের ভীতি দূর না হয়ে দ্বিগুন আকার ধারন করেছে।বাংলাদেশের গৌরবের মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষ বিরুধীতাকারি দেশ চীন। তাছাড়াও আবহমানকাল থেকেই আমাদের শত্রুদেশ পাকিস্তানের সঙ্গে রয়েছে দেশটির একাধিক সামরিক, প্রতিরক্ষামূলক চুক্তি।সেই গনচীনের সঙ্গেই অবৈধ ক্ষমতা দখলকারি মেজর জিয়া প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছে তাও অতিসংগোপনে!! যে চুক্তির বিষয়বস্তু বিগত বছরগুলীতে সকল সরকার রাষ্ট্রীয় ভাবেই গোপন করে চলেছেন!!! প্রধানমন্ত্রী বলতে চেয়েও কথা ঘুরিয়ে নিলেন কেন!! কি আছে ঐ চুক্তিতে? বাংলাদেশের জনগন জানতে চায় ঐ চুক্তির বিষয়বস্তু কি? অবিলম্ভে চুক্তির বিষদ বিবরনী জনসমক্ষে প্রকাশ করার দাবি জানাই।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রায়শ:ই একটি কথা বলেন--এবার আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় না আসতে পারলে বাংলাদেশের ইতিহাস মুছে যেত।কথাটির তাৎপয্য তখন বুঝিনি। বিগত দুই/তিন বছরের মধ্যে বিএনপির সর্বস্তরের নেতাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি এবং পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা কতৃক বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতির তথ্য সংবলিত পুস্তক রচনা ও বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে দেয়া, তথাকথিত অজ্ঞাত ইসরাইল কানেক্টেড ব্যাবসায়ির বিএনপি দলের কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদপ্রাপ্তি, চিকিৎসার নামে সেনাসমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে আপোষ মীমাংসায়--খালেদা পুত্রদ্বয়কে বিদেশে পালায়নের সুযোগ গ্রহন, কোটি কোটি ডলার ব্যয় করে আন্তজাতিক লবিষ্ট নিয়োগ, তারেক জিয়ার উদ্যত আচরণ, আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টির উদ্দেশ্যে হত্যা,গুম, আগুন সন্ত্রাস, সাধারন নির্বাচন বর্জন, সেনাবাহিনীকে কটাক্ষ, জঙ্গিদের প্রতি মায়া দরদ ইত্যাদির যোগফল মিলাতে গেলে, রাজনীতি সচেতন যে কোনব্যাক্তি হতবিহব্বল না হয়ে পারে না।
ষড়যন্ত্র, মিথ্যাচারেরও একটি সীমারেখা আছে। দেশ ও জনগনের সুদুরপ্রসারি সমূহ ক্ষতির সম্ভাবনাময় বিষয়াবলী নিয়ে দায়িত্বশীল ব্যাক্তি, গোষ্টি, রাজৈতিক দলের মিথ্যাচারের নমূনা বিশ্বের কোন দেশেই দেখা যায়না।বাংলাদেশই একমাত্র ব্যাতিক্রম। নি:সন্দেহে পদ্মাসেতু বাংলাদেশের গৌরব, অহংকার, সক্ষমতার প্রতিক। পদ্মাসেতুর নির্মানের কথিত দুর্নীতির অভিযোগ শুধুমাত্র ব্যাক্তি বা সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নয়। এই অভি্যোগ ছিল বিদেশী বন্ধুরাষ্ট্র, সাহায্য সংস্থা, ঋনদাতাদেশ ও সংস্থা, সাহায্যকারিদেশ ও সংস্থা থেকে বাংলাদেশকে বিচ্ছিম্ন করার সুদুরপ্রসারী মহাপরিকল্পনার অংশ। পদ্মাসেতুর বরাদ্ধ টাকা প্রত্যাহার শুধুমাত্র বাংলাদেশের মেঘা প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে অন্তরায় সৃষ্টির উদ্দেশ্য ছিলনা। বাংলাদেশকেই অকায্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার মহাপরিকল্পনারই অংশ ছিল।
দেশী কুলাংঙ্গার মীরজাফর সুদি ইউনূছের সঙ্গে সুর মিলিয়ে আন্তজাতিক বেনিয়া গোষ্টির ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে দেশের দায়িত্বশীল বিরুধীদল একই সময়ে একই বিষয়ে ষড়যন্ত্র, মিথ্যাচারে লিপ্ত হতে পারেনা। সেই কাজটিও বিএনপি করেছে নিদ্বিধায়,অবলিলায়, নিশ্চিন্তে, নির্বিঘ্নে, বুকচেতিয়ে।আন্তজাতিক আদালতে বাংলাদেশের কোনপ্রকার দুর্নীতির চিহ্ন না পেয়ে গুজুব সৃষ্টি অভিহিত করে রায় দেয়ার পর--অবলিলায় আবার স্বীকারও করে নেয় ইহা তাঁদের রাজনৈতিক বক্তব্য ছিল। সারা বিশ্ব থেকে বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্রেও কি আপনাদের রাজনীতি? কথিত দুর্নীতি প্রমান হলে কোন দেশের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী হতেন আপনারা? কোন দেশের মিডিয়ায় রাতের অন্ধকারে শুশিলের কৌকিল হয়ে কৌহু কহু ডাকতেন?
একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলতে চাই--একশ্রেনীর ব্যাক্তিও গোষ্টি দেশের কোন উন্নয়নই দেখে না। সারা বিশ্ব দেখে, বিশ্বব্যাংক দেখে, বন্ধুরাষ্ট্র সমূহের সরকার প্রধান, রাষ্ট্র প্রধাংন দেখেন বিএনপি এবং তাঁর মিত্রগন দেখে না।একলক্ষকোটি টাকার বাৎসরিক রাষ্ট্রীয় বাজেট চার লক্ষ কোটি টাকার অংকে পৌঁছে গেছে তারপরও কোন উন্নয়ন দেখেনা, অবকাঠামো দেখেনা, সাবমেরিন, জাহাজ, রকেট, যুদ্ধবিমান, পারমানবিক চুল্লি কিছুই দেখেনা।যাক অন্ধ হলে দেখবে কিভাবে? দেশের ঐশ্রেনীর অন্ধদের কে বস্তুগত কোন উদাহরন দিয়ে উন্নয়নের ফিরিস্তি দিতে চাইনা।অদৃশ্য শক্তির অনুভব অন্ধদের মধ্যে প্রবল থাকে জানি। আমি তাঁদের উদ্দেশ্যে অদৃশ্যশক্তির উন্নয়ন সম্পর্কে তুলনামূলক একটি আলোচনা উপস্থাপন করতে চাই।
সকলেই জানি সভ্যতা, উন্নয়ন, অগ্রগতির মূল চাবিকাঠির অদৃশ্যশক্তির নাম বিদ্যুৎ। ইংরেজীতেও তাঁকে পাওয়ার অর্থাৎ শক্তি নামেই ডাকে সবাই।
২০০৯ সাল নাগাদ সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে পরিচালিত মোট ৪৩টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু ছিল। এর মধ্যে সরকারি উদ্যোগে পরিচালিত ১৮টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ৩৮২৪ মেগাওয়াট এবং বেসরকারি উদ্যোগে স্থাপিত ২৫টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদনক্ষমতা ২১০৪ মেগাওয়াট। তবে এসব কেন্দ্র থেকে প্রকৃতপক্ষে উৎপাদনক্ষমতার সমপরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হতনা। পিক আওয়ারে সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি থেকে সর্বোচ্চ ৩৩৩১ এবং বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি থেকে ২০৪৫ মেগাওয়াটসহ মোট সর্বোচ্চ ৫৩৭৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হওয়ার ক্ষমতা ছিল।
সুষ্ঠ রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে অধিকাংশ কেন্দ্রই বছরের পর বছর অকেজো হয়ে পড়ে থাকার কারনে চাহিদা মাফিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কখনই সম্ভব হয়নি।বর্তমান সরকারের ক্ষমতার প্রথমাংশে দেখা যায় অধিকাংশ উৎপাদন কেন্দ্র বিকল হয়ে পড়ে আছে,সারাদেশ অন্ধকারে ডুবে আছে। ২০০৯-১০ অর্থ বছরে দেশে সর্বমোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ২৫,৬২২ মিলিয়ন কিলোওয়াট।২০১১ সালে পিডিবির গ্রাহকসংখ্যা ছিল ২,১৫৯.৮৭৯।দেশের মোট জনগোষ্টির ৩৩ শতাংশ বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগী ছিল।
২০০৮ সালের জানুয়ারী--মার্চ পয্যন্ত সেনাসমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকারের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় দেশে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছিল চার হাজার ৩৬ মেগাওয়াট।কালক্রমে তা কমে ২০০৯ সালের প্রথম দিকে বিদ্যুৎ উৎপাদন এসে দাঁড়ায় মাত্র ২৫০০ মেঘাওয়ার্টে। উক্ত সময়ে বর্তমান সরকার সাধারন নির্বাচনে ভুমিধ্বস বিজয়ের মাধ্যমে শেখহাসিনার নেতৃত্বে সরকার পরিচালনার দায়িতেওভার গ্রহন করে। সারাদেশ অন্ধকারাচ্ছন্ন থেকে কালক্রমে আলোতে নিয়ে আসার বিস্তারীত বিবরনীতে গেলামনা নিবন্ধের আকার বিস্তৃত হয়ে পাঠকদের বিরক্তির কারন হয়ে দাঁড়াবে। গত বছরের সর্বশেষ তথ্য দিয়ে লেখা শেষ করতে চাই।
মে ২০১৬ ইং সাল পর্যন্ত দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১৪ হাজার ৫৩৯ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। আওয়ামী লীগ ঘোষিত রূপকল্প ২০২১ অর্জনের লক্ষ্যে পৌঁছাতে আরও ২৪ হাজার মেগাওয়াট নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সরকারের।এ বছর নভেম্বরে ১৫ হাজার মেগাওয়ার্ট বিদ্যুৎ উৎপাদন উৎযাপন করবে সরকার। বন্ধ উৎপাদনী বিদ্যুৎ প্লান্টের হিসেব বাদ দিয়ে সর্বশেষ ১৪/০৩/২০১৭ ইং তারিখের তথ্য নিম্নে তুলে দিলাম।
বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা (মেঃওঃ): ১৩,১৭৯* (মার্চ ২০১৭)
সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন (মেঃওঃ): ৯,০৩৬ (৩০ জুন ১৬)
গ্রাহক সংখ্যা: ২ কোটি ৪২ লক্ষ (মার্চ ২০১৭)
মোট সঞ্চালন লাইন (সা.কি.মি.): ১০,৩৭৭ (ফেব্রুয়ারি ২০১৭)
বিতরণ লাইন (কি.মি.): ৩ লক্ষ ৮৯ হাজার (ফেব্রুয়ারি ২০১৭)
মাথাপিছু উৎপাদন (কিঃওঃআঃ): ৪০৭ কিঃওঃআঃ (আগষ্ট ২০১৬)
বর্তমানে বিদ্যুৎ সুবিধা প্রাপ্ত জনগোষ্ঠী:( ৮০%)
নতুন সংযুক্ত বিদ্যুৎ প্লান্ট---(১০৭টি)
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, ইতিমধ্যে বাংলাদেশের সর্বত্র চৈত্রের দাবদাহের মধ্যেও বিদ্যুতের আসা যাওয়ার সম্মুখ্যিন হচ্ছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল।১০হাজার মেগাওয়ার্টেরব্ল বেশি বিদ্যুত উৎপাদনের পরও অতিষ্ট জনজীবন। এত বিদ্যুত যাচ্ছে কোথায়? শিল্প, কলকারখানা, অবকাঠামো কিছুইতো হয়নি!!
ভারত সফরের প্রাক্কালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২হাজার মে: ও: বিদ্যুৎ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।সমুদয় বিদ্যুৎ এই বছরেই যুক্ত হবে জাতীয় গ্রিডে।এদিকে বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে ভূটানের রাজধানী থিম্পুতে রাত্রিযাপন করছেন অদ্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। উন্নয়ন একেবারেই হয়নি!! এযাবৎকাল শুনে এসেছি---বাংলাদেশে বিদেশী রাষ্ট্র ও ব্যাক্তির বিনিয়োগ পরিবেশ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে লম্বা লম্বা বক্তৃতা।, আজকের খবরে শুনলাম বাংলাদেশ বিনিয়োগ করবে ভূটানে তাও আবার জলবিদ্যুত উৎপাদনে।ভুটান থেকে উৎপাদিত বিদ্যুত বাংলাদেশে নিয়ে আসার পরিকল্পনায় সরকার সেই দেশেই বিদ্যুৎ প্লান্ট করার আগ্রহ ব্যাক্ত করেছে।
কথিত ভারতের নিকট বিক্রিত দেশ ভুটান কে কিনতে যাওয়া কততম আশ্চায্যের মধ্যে পড়তে পারে তাঁর বিচারের ভার পাঠক ভাইদের উপর ছেড়ে দিলাম।
ruhulaminmujumder27@gmail.com
(রুহুল আমিন মজুমদার)
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী গত কয়দিন আগে ভারত সফরে গিয়েছিলেন।ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বেশ কিছু চুক্তি ও সমঝোতা সাক্ষরিত হয়েছে। বাংলাদেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক দল সমূহের মধ্যে বিএনপি উক্ত চুক্তি ও সমঝোতার প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছিল শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অবশিষ্ট যাহাই ছিল সমগ্রই এবারকার সফরে ভারতের নিকট বিক্রয় করে দিয়ে এসেছেন। বাংলাদেশের মানুষ দায়িত্ববান বিরুধী দল এবং একাধিকবার বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর অভি্যোগের প্রেক্ষাপটে অতিশয় শংকিত হয়ে পড়ে। জনগনের শংকা দূর করার কায্যকর পদক্ষেপ না নিয়ে অদ্য শেখ হাসিনা ১০০ কোটি ডলার নিয়ে ভূটান গমন করেছেন। সেখানে ভূটান সরকার বাংলাদেশের জন্যে একখন্ড জমি দান করেছেন।
সামরিক সমঝোতা স্বাক্ষরকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী সামরিক চুক্তি অভিহীত করে ভারতের আগ্রাসনের আশংকাও প্রকাশ করেছেন । সমঝোতা স্মারককে চুক্তি অভিহীত করার পেছনে তাঁর অজ্ঞতা কাজ করেছে, নাকি অপপ্রচারের উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে দেশবাসিকে শংকিত করে তুলার অসৎ উদ্দেশ্যে? এ বিষয় কোন প্রকার মন্তব্য দলটির পাওয়া যায়নি ।তিনি একদিকে বলছেন দেশের অবশিষ্ট যাহাই ছিল সবকিছু বিক্রি করে দিয়েছেন অন্যদিকে ভারতের আগ্রাসনের আশংকা প্রকাশ করে তাঁর প্রথম দেয়া দেশবিক্রির অভিযোগককে নীজেই মিথ্যা প্রমান করছেন। দেশ যদি আসলে বিক্রয়ই হয়ে যায়--আগ্রাসনের প্রশ্ন আসে কিভাবে? ভারতের মালিকানা দেশে ভারত সরকারের সেনাবাহিনী অবাধ যাতায়ত করবে--এখানে আগ্রাসনের বিষয়টি আসবে কেন?
দেশ ও জনগনের মনের ভীতি দূর করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরের পরদিন সাংবাদিক সম্মেলন করেন। তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন ১৯৮১ ইং সালে বাংলাদেশ সরকার চীনের সাথে একটি ৫০ বৎসর মেয়াদি প্রতিরক্ষা সামরিক চুক্তি করেছিল। চুক্তিটি বর্তমানেও বলবৎ আছে।তিনি সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসা করেন ঐ সামরিক প্রতিরক্ষা চুক্তিতে কি আছে---আপনারা কি কেউ জানেন? চুক্তি যে করা হয়েছিল বিগত ৩৫ বছরের মধ্যে কোন সরকার কি প্রকাশ করেছে,---সেই চুক্তিতে কি ছিল? তিনি বলেন কথাটি প্রাসঙ্গিক ভাবে এসেছে নতুবা আজও ঐ চুক্তি সম্পর্কে আমি বলতামনা। চুক্তিটি অত্যান্ত ---!!! বলেই প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর কথা থামিয়ে দেন।মুখের অভিব্যাক্তিতে অনুমান করা যায়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৈমত্বের জন্যে চুক্তিটি হুমকি স্বরুপই ছিল।
প্রধানমন্ত্রীর উক্ত সাংবাদিক সম্মেলনে জনমনের ভীতি দূর না হয়ে দ্বিগুন আকার ধারন করেছে।বাংলাদেশের গৌরবের মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষ বিরুধীতাকারি দেশ চীন। তাছাড়াও আবহমানকাল থেকেই আমাদের শত্রুদেশ পাকিস্তানের সঙ্গে রয়েছে দেশটির একাধিক সামরিক, প্রতিরক্ষামূলক চুক্তি।সেই গনচীনের সঙ্গেই অবৈধ ক্ষমতা দখলকারি মেজর জিয়া প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছে তাও অতিসংগোপনে!! যে চুক্তির বিষয়বস্তু বিগত বছরগুলীতে সকল সরকার রাষ্ট্রীয় ভাবেই গোপন করে চলেছেন!!! প্রধানমন্ত্রী বলতে চেয়েও কথা ঘুরিয়ে নিলেন কেন!! কি আছে ঐ চুক্তিতে? বাংলাদেশের জনগন জানতে চায় ঐ চুক্তির বিষয়বস্তু কি? অবিলম্ভে চুক্তির বিষদ বিবরনী জনসমক্ষে প্রকাশ করার দাবি জানাই।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রায়শ:ই একটি কথা বলেন--এবার আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় না আসতে পারলে বাংলাদেশের ইতিহাস মুছে যেত।কথাটির তাৎপয্য তখন বুঝিনি। বিগত দুই/তিন বছরের মধ্যে বিএনপির সর্বস্তরের নেতাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি এবং পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা কতৃক বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতির তথ্য সংবলিত পুস্তক রচনা ও বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে দেয়া, তথাকথিত অজ্ঞাত ইসরাইল কানেক্টেড ব্যাবসায়ির বিএনপি দলের কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদপ্রাপ্তি, চিকিৎসার নামে সেনাসমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে আপোষ মীমাংসায়--খালেদা পুত্রদ্বয়কে বিদেশে পালায়নের সুযোগ গ্রহন, কোটি কোটি ডলার ব্যয় করে আন্তজাতিক লবিষ্ট নিয়োগ, তারেক জিয়ার উদ্যত আচরণ, আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টির উদ্দেশ্যে হত্যা,গুম, আগুন সন্ত্রাস, সাধারন নির্বাচন বর্জন, সেনাবাহিনীকে কটাক্ষ, জঙ্গিদের প্রতি মায়া দরদ ইত্যাদির যোগফল মিলাতে গেলে, রাজনীতি সচেতন যে কোনব্যাক্তি হতবিহব্বল না হয়ে পারে না।
ষড়যন্ত্র, মিথ্যাচারেরও একটি সীমারেখা আছে। দেশ ও জনগনের সুদুরপ্রসারি সমূহ ক্ষতির সম্ভাবনাময় বিষয়াবলী নিয়ে দায়িত্বশীল ব্যাক্তি, গোষ্টি, রাজৈতিক দলের মিথ্যাচারের নমূনা বিশ্বের কোন দেশেই দেখা যায়না।বাংলাদেশই একমাত্র ব্যাতিক্রম। নি:সন্দেহে পদ্মাসেতু বাংলাদেশের গৌরব, অহংকার, সক্ষমতার প্রতিক। পদ্মাসেতুর নির্মানের কথিত দুর্নীতির অভিযোগ শুধুমাত্র ব্যাক্তি বা সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নয়। এই অভি্যোগ ছিল বিদেশী বন্ধুরাষ্ট্র, সাহায্য সংস্থা, ঋনদাতাদেশ ও সংস্থা, সাহায্যকারিদেশ ও সংস্থা থেকে বাংলাদেশকে বিচ্ছিম্ন করার সুদুরপ্রসারী মহাপরিকল্পনার অংশ। পদ্মাসেতুর বরাদ্ধ টাকা প্রত্যাহার শুধুমাত্র বাংলাদেশের মেঘা প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে অন্তরায় সৃষ্টির উদ্দেশ্য ছিলনা। বাংলাদেশকেই অকায্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার মহাপরিকল্পনারই অংশ ছিল।
দেশী কুলাংঙ্গার মীরজাফর সুদি ইউনূছের সঙ্গে সুর মিলিয়ে আন্তজাতিক বেনিয়া গোষ্টির ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে দেশের দায়িত্বশীল বিরুধীদল একই সময়ে একই বিষয়ে ষড়যন্ত্র, মিথ্যাচারে লিপ্ত হতে পারেনা। সেই কাজটিও বিএনপি করেছে নিদ্বিধায়,অবলিলায়, নিশ্চিন্তে, নির্বিঘ্নে, বুকচেতিয়ে।আন্তজাতিক আদালতে বাংলাদেশের কোনপ্রকার দুর্নীতির চিহ্ন না পেয়ে গুজুব সৃষ্টি অভিহিত করে রায় দেয়ার পর--অবলিলায় আবার স্বীকারও করে নেয় ইহা তাঁদের রাজনৈতিক বক্তব্য ছিল। সারা বিশ্ব থেকে বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্রেও কি আপনাদের রাজনীতি? কথিত দুর্নীতি প্রমান হলে কোন দেশের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী হতেন আপনারা? কোন দেশের মিডিয়ায় রাতের অন্ধকারে শুশিলের কৌকিল হয়ে কৌহু কহু ডাকতেন?
একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলতে চাই--একশ্রেনীর ব্যাক্তিও গোষ্টি দেশের কোন উন্নয়নই দেখে না। সারা বিশ্ব দেখে, বিশ্বব্যাংক দেখে, বন্ধুরাষ্ট্র সমূহের সরকার প্রধান, রাষ্ট্র প্রধাংন দেখেন বিএনপি এবং তাঁর মিত্রগন দেখে না।একলক্ষকোটি টাকার বাৎসরিক রাষ্ট্রীয় বাজেট চার লক্ষ কোটি টাকার অংকে পৌঁছে গেছে তারপরও কোন উন্নয়ন দেখেনা, অবকাঠামো দেখেনা, সাবমেরিন, জাহাজ, রকেট, যুদ্ধবিমান, পারমানবিক চুল্লি কিছুই দেখেনা।যাক অন্ধ হলে দেখবে কিভাবে? দেশের ঐশ্রেনীর অন্ধদের কে বস্তুগত কোন উদাহরন দিয়ে উন্নয়নের ফিরিস্তি দিতে চাইনা।অদৃশ্য শক্তির অনুভব অন্ধদের মধ্যে প্রবল থাকে জানি। আমি তাঁদের উদ্দেশ্যে অদৃশ্যশক্তির উন্নয়ন সম্পর্কে তুলনামূলক একটি আলোচনা উপস্থাপন করতে চাই।
সকলেই জানি সভ্যতা, উন্নয়ন, অগ্রগতির মূল চাবিকাঠির অদৃশ্যশক্তির নাম বিদ্যুৎ। ইংরেজীতেও তাঁকে পাওয়ার অর্থাৎ শক্তি নামেই ডাকে সবাই।
২০০৯ সাল নাগাদ সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে পরিচালিত মোট ৪৩টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু ছিল। এর মধ্যে সরকারি উদ্যোগে পরিচালিত ১৮টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ৩৮২৪ মেগাওয়াট এবং বেসরকারি উদ্যোগে স্থাপিত ২৫টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদনক্ষমতা ২১০৪ মেগাওয়াট। তবে এসব কেন্দ্র থেকে প্রকৃতপক্ষে উৎপাদনক্ষমতার সমপরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হতনা। পিক আওয়ারে সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি থেকে সর্বোচ্চ ৩৩৩১ এবং বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি থেকে ২০৪৫ মেগাওয়াটসহ মোট সর্বোচ্চ ৫৩৭৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হওয়ার ক্ষমতা ছিল।
সুষ্ঠ রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে অধিকাংশ কেন্দ্রই বছরের পর বছর অকেজো হয়ে পড়ে থাকার কারনে চাহিদা মাফিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কখনই সম্ভব হয়নি।বর্তমান সরকারের ক্ষমতার প্রথমাংশে দেখা যায় অধিকাংশ উৎপাদন কেন্দ্র বিকল হয়ে পড়ে আছে,সারাদেশ অন্ধকারে ডুবে আছে। ২০০৯-১০ অর্থ বছরে দেশে সর্বমোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ২৫,৬২২ মিলিয়ন কিলোওয়াট।২০১১ সালে পিডিবির গ্রাহকসংখ্যা ছিল ২,১৫৯.৮৭৯।দেশের মোট জনগোষ্টির ৩৩ শতাংশ বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগী ছিল।
২০০৮ সালের জানুয়ারী--মার্চ পয্যন্ত সেনাসমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকারের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় দেশে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছিল চার হাজার ৩৬ মেগাওয়াট।কালক্রমে তা কমে ২০০৯ সালের প্রথম দিকে বিদ্যুৎ উৎপাদন এসে দাঁড়ায় মাত্র ২৫০০ মেঘাওয়ার্টে। উক্ত সময়ে বর্তমান সরকার সাধারন নির্বাচনে ভুমিধ্বস বিজয়ের মাধ্যমে শেখহাসিনার নেতৃত্বে সরকার পরিচালনার দায়িতেওভার গ্রহন করে। সারাদেশ অন্ধকারাচ্ছন্ন থেকে কালক্রমে আলোতে নিয়ে আসার বিস্তারীত বিবরনীতে গেলামনা নিবন্ধের আকার বিস্তৃত হয়ে পাঠকদের বিরক্তির কারন হয়ে দাঁড়াবে। গত বছরের সর্বশেষ তথ্য দিয়ে লেখা শেষ করতে চাই।
মে ২০১৬ ইং সাল পর্যন্ত দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১৪ হাজার ৫৩৯ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। আওয়ামী লীগ ঘোষিত রূপকল্প ২০২১ অর্জনের লক্ষ্যে পৌঁছাতে আরও ২৪ হাজার মেগাওয়াট নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সরকারের।এ বছর নভেম্বরে ১৫ হাজার মেগাওয়ার্ট বিদ্যুৎ উৎপাদন উৎযাপন করবে সরকার। বন্ধ উৎপাদনী বিদ্যুৎ প্লান্টের হিসেব বাদ দিয়ে সর্বশেষ ১৪/০৩/২০১৭ ইং তারিখের তথ্য নিম্নে তুলে দিলাম।
বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা (মেঃওঃ): ১৩,১৭৯* (মার্চ ২০১৭)
সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন (মেঃওঃ): ৯,০৩৬ (৩০ জুন ১৬)
গ্রাহক সংখ্যা: ২ কোটি ৪২ লক্ষ (মার্চ ২০১৭)
মোট সঞ্চালন লাইন (সা.কি.মি.): ১০,৩৭৭ (ফেব্রুয়ারি ২০১৭)
বিতরণ লাইন (কি.মি.): ৩ লক্ষ ৮৯ হাজার (ফেব্রুয়ারি ২০১৭)
মাথাপিছু উৎপাদন (কিঃওঃআঃ): ৪০৭ কিঃওঃআঃ (আগষ্ট ২০১৬)
বর্তমানে বিদ্যুৎ সুবিধা প্রাপ্ত জনগোষ্ঠী:( ৮০%)
নতুন সংযুক্ত বিদ্যুৎ প্লান্ট---(১০৭টি)
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, ইতিমধ্যে বাংলাদেশের সর্বত্র চৈত্রের দাবদাহের মধ্যেও বিদ্যুতের আসা যাওয়ার সম্মুখ্যিন হচ্ছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল।১০হাজার মেগাওয়ার্টেরব্ল বেশি বিদ্যুত উৎপাদনের পরও অতিষ্ট জনজীবন। এত বিদ্যুত যাচ্ছে কোথায়? শিল্প, কলকারখানা, অবকাঠামো কিছুইতো হয়নি!!
ভারত সফরের প্রাক্কালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২হাজার মে: ও: বিদ্যুৎ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।সমুদয় বিদ্যুৎ এই বছরেই যুক্ত হবে জাতীয় গ্রিডে।এদিকে বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে ভূটানের রাজধানী থিম্পুতে রাত্রিযাপন করছেন অদ্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। উন্নয়ন একেবারেই হয়নি!! এযাবৎকাল শুনে এসেছি---বাংলাদেশে বিদেশী রাষ্ট্র ও ব্যাক্তির বিনিয়োগ পরিবেশ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে লম্বা লম্বা বক্তৃতা।, আজকের খবরে শুনলাম বাংলাদেশ বিনিয়োগ করবে ভূটানে তাও আবার জলবিদ্যুত উৎপাদনে।ভুটান থেকে উৎপাদিত বিদ্যুত বাংলাদেশে নিয়ে আসার পরিকল্পনায় সরকার সেই দেশেই বিদ্যুৎ প্লান্ট করার আগ্রহ ব্যাক্ত করেছে।
কথিত ভারতের নিকট বিক্রিত দেশ ভুটান কে কিনতে যাওয়া কততম আশ্চায্যের মধ্যে পড়তে পারে তাঁর বিচারের ভার পাঠক ভাইদের উপর ছেড়ে দিলাম।
ruhulaminmujumder27@gmail.com
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন