শেখ হাসিনার ভারত সফর----"বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্ব  বহুমাপাক্ষিক সহযোগীতায় রুপান্তর।"
(রুহুল আমিন মজুমদার)

      বাংলাদেশের রাজনীতির একটি অংশের ধারা প্রবাহিত হচ্ছে অদ্ভূত যুক্তিহীন বাগাড়ম্বরতার স্রোতের মধ্য দিয়ে। এই গোষ্টিটি বাংলাদেশের অভ্যুদ্বয়ের আগে পাকিস্তান রাষ্ট্রটিকে টিকিয়ে রাখার উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃত সুদুরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ভারত বিদ্বেসী মনোভাব উদ্ভব ঘটিয়েছিল।পাকিস্তানী শাষকগোষ্টির পরিকল্পিত পরিকল্পনায় এই মনোভাব সৃষ্টি এবং লালন করা হয়েছিল।তাঁদের পরিকল্পনার হোমওয়ার্ক সম্পন্ন করা হয়েছিল অখন্ড ভারতের পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে পূর্বাঞ্চলের মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলকে  অন্তভূক্তির উদ্দেশ্যে অত্রাঅঞ্চলে " হিন্দু --মুসলিম" দাঙ্গা সৃষ্টি করে একিভূত পাকিস্তান সৃষ্টির দাবিকে ত্বরান্বিত করার  উদ্দেশ্য সাধন করতে।
            পরবর্তীতে জাতিগত ভাবে পাকিস্তান- হিন্দুস্তান দুটি রাষ্ট্র উদ্ভব হয়েছে সত্য কিন্ত্যু হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় সৃষ্টি হওয়া বৈরিভাব আর কখনও দূর করার চেষ্টা হয়নি। বরঞ্চ পাকিস্তানীদের শাষন শোষন দীর্ঘায়ীত করার লক্ষে অত্রাঞ্চলের উন্নয়ন অগ্রগতির চাবিকাঠি অমিমাংসীত রেখে ক্ষেত্র বিশেষ অনুচ্ছারিত রেখে সময় সময় বৈরিতাকে উস্কে দেয়ার নীতি গ্রহন করেছিল। পাকিস্তানী শাষক গোষ্টির অ-প্রকাশিত উক্ত নীতি অত্রাঞ্চলে লালন করার জন্যে একটি মুৎসুদ্ধি গোষ্টি, রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় তাঁরা  উদ্ভব ঘটিয়েছিল।উদ্ভব হওয়া কায়েমী স্বার্থবাদী গোষ্টিটি ''দ্বিজাতি তত্বের" ছদ্ধাবরনে 'পবিত্র ধর্ম ইসলাম'কে ব্যবহার করে অত্রাঞ্চলের মুক্তিকামী জনগনের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে অস্ত্রধারন করতেও দ্বিধা বোধ করেনি।
        জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পরিচালিত বাংলাদেশের স্বাধীনতার  উদ্দেশ্যে পরিচালিত বাঙ্গালীর মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট তৈরীর প্রাক্কালে প্রচন্ডভাবে বিকশীত করেছিল।এদেশীয় সেই সমস্ত অনুচরেরা শেষপয্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে অস্ত্রহাতে সম্মুখ যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে দখলদার পাকিস্তানী সেনাদের সহযোগীতায় অকাতরে বাঙ্গালী হত্যা, বাঙ্গালী নারী দর্শন, অসহনীয়, অবর্ননীয় মানবতাবিরোধী অপরাধে লিপ্ত হতেও কুন্ঠিত হয়নি।' ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে বাঙ্গালী দামাল ছেলেরা পাকিস্তানী সেনাদের সঙ্গে তাঁদেরকেও  পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদ্বয় ঘটিয়েছিল।
            পাকিস্তান সৃষ্টির প্রারম্ভেই বাঙ্গালী জাতির জনক বুঝতে পেরেছিলেন পশ্চিমারা তাঁদের শোষন শাষন অব্যাহত রাখার স্বার্থে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে অত্রাঞ্চলের সম্পদরাজীর আহরন করবেনা। সম্পদ ছাড়া অত্রাঞ্চলের জনগনের জীবনমানও উন্নয়ন হবে না। ভারতের প্রয়াত নেত্রী "প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি"ও একই ভাবে বুঝতে পেরেছিলেন পশ্চিমাদের শাষন শোষন অব্যাহত রাখার স্বার্থেই পুর্বাঞ্চলের বিপুল সম্পদ আহরনে পশ্চিমারা নিত্য বাধা হয়ে দাঁড়াবে। সীমানা চিহ্নিতকরন জটিলতার অজুহাতে ভারতকে এককভাবে সম্পদ আহরন করতেও দিবে না। এমনিতেই সিমান্তে অহেতুক জটিলতার পক্ষেই ছিল পশ্চিম পাকিস্তান। অথছ সমৃদ্ধ অত্রাঞ্চলের  বিপূল  পরিত্যাক্ত সম্পদ আহরন ও সূষম ব্যবহার ছাড়া  ঘনবসতিপূর্ণ জনগোষ্টি সমৃদ্ধ অত্রাঞ্চল অর্থনৈতিক উন্নতি ও অগ্রগতি কোনভাবেই সম্ভব হবেনা।
        বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে-- দুই দেশের সুদুরপ্রসারী দৃষ্টিসম্পন্ন দুইনেতা ভারত বিভাগ ও অভ্যন্তরীন ষড়যন্ত্রের রাজনীতির প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন।বিশ্ব সভ্যতার বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্ন জাতিগোষ্টি প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সম্পদ আহরন ও বিপনের মাধ্যমে সম্পদশালী জাতিতে রুপান্তরিত হয়ে জ্ঞান বিজ্ঞানেও এগিয়ে গেছে। একই সময়ে স্বাধীনতা পেলেও ভারতীয় উপমহাদেশের কোন দেশেই স্বার্থান্বেষী মহলের ষড়যন্ত্রহেতু বিপুল সম্পদ থাকা সত্বেও কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন ও অগ্রগতি সম্ভব হয়নি। অথছ বিশ্বব্যাপি কর্মশক্তির অধিকাংশই ভারতীয় উপমহাদেশেই  বসবাসরত ছিল।
           দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর বিশ্ব নেতৃবৃন্দের তিক্ত অভিজ্ঞতার আলোকে এবং সম্মিলীত জাতিপুঞ্জের ব্যার্থতা সম্যক উপলব্দিতে  স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের সংজ্ঞা নির্ধারন সহ "জাতিসংঘ" প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে।ষড়যন্ত্রকারিরা তথায় মনযোগ দেয়ার সুযোগ না দিয়ে দখল ও আধিপত্য বিস্তারের কাল্পনিক গল্প ছড়িয়ে ভারত বিদ্বেসী মনোভাব সৃষ্টিতেই মনযোগী ছিল। এহেন ষড়যন্ত্র সম্পর্কে দুই দেশের দুই নেতার উপলব্দি সময় উপযোগি ও সমপয্যায় হওয়ায় মুলত: বাংলাদেশের স্বাধীনতার লক্ষে পরিচালিত বাংলার মুক্তিকামী মানুষের মুক্তিযুদ্ধ ভারতের সহযোগিতায় পরিপূর্ণতা পেতে বিপুল ভুমিকা পালন করেছিল।
       তাই দেখা যায়--একাত্তরে স্বাধীনতার প্রাণপুরুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণার পরপরই বাংলাদেশের নিত্য প্রতিবেশী ভারতের সহযোগিতার যাত্রা শুরু হয়। ভারত কয়েক লাখ শরণার্থীকে মাসের পর মাস লালন করেছে, এককোটি শরনার্থী আশ্রয় দিয়েছে, তাঁদের খাবার দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধা ছাত্র জনতাকে  প্রশিক্ষণ দিয়ে শত্রু মোকাবেলার উপযোগী করে গড়ে তোলেছে। প্রবাসী মুজিব নগর সরকারের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে মুলত: ভারত থেকে। স্বাধীনতা যুদ্ধের চরম পর্যায়ে  তাঁদের সেনাবাহিনী পাঠিয়ে দেশকে পাক হানাদারমুক্ত করায় সহযোগীতা করেছে। মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধের মাঠে ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। অত্রাঞ্চলের দূরদর্শী রাজনীতির দুই প্রভাবশালী নেতা বঙ্গবন্ধু ও ইন্দিরা গান্ধীর ভবিষ্যত প্রজম্মের উন্নতি, অগ্রগতির প্রতি সুদুর প্রসারী দৃষ্টি ভঙ্গি অটুট,ও ঐক্যমত্য ছিল বলেই সম্ভব হয়েছে।
           পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভারতীয় সরকারের আস্থা থেকেই ক্রমাগত সহযোগিতার ক্রমবর্ধমান ধারারও বিস্তৃতি ঘটেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির সামগ্রিক উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু সরকারের প্রতি প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও ছিল সে আস্থারই প্রতিবিম্ব। স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেই ‘ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী চুক্তি’ ছিল পারস্পরিক আস্থাপূর্ণ সম্পর্কের ক্ষেত্রে অনন্য এক সংযোজন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সে সময়ের ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ১৯৭২ সালের ১৯ মার্চ চুক্তিটি স্বাক্ষর করেছিলেন। উভয় দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, উন্নয়নে সহযোগিতা, সম্পদ আহরন, সম্পদের কায্যকর ব্যবহার, আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা,  অমিমাংসীত ভুখন্ড হস্তান্তর, উভয় দেশের জল ও স্থল সীমানা চিহ্নিতকরন, অভিন্ন নদীর পানি সুষম বন্টন, চিটমহল বিনিময় সহ বহুমাত্রিক আঞ্চলিক সহযোগীতাপুর্ণ ২৫ বছর মেয়াদি "ভারত ---বাংলাদেশ মৈত্রী চুক্তি " সম্পাদিত হয়েছিল। চুক্তিটি শেষাবদি "মুজিব-- ইন্দিরা" মেত্রী চুক্তি নামেই খ্যাতি অর্জন করেছিল।
 প্রীয় পাঠক লক্ষ করুন-- উল্লেখিত চুক্তিটি আজ থেকে ৪৩ বছর আগে কায্যকর হলে এই সময়ে দুই দেশের অর্থনৈতিক অবস্থান কোথায় পৌঁছাত।মুজিব--ইন্দিরা মৈত্রী চুক্তির ধারাবাহিকতায় জাতির জনকের কন্যার এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী মৌদির নেতৃত্বে চিটমহল ও সমুদ্র সীমানা নির্ধারীত হওয়ার পর বাংলাদেশের আয়তন দাঁড়িয়েছে দ্বিগুনেরও বেশী।প্রাপ্ত ভুখন্ড ও সমুদ্র সীমানার সম্পদরাজী পাহারা দেয়ার জন্যে সামরিক সরঞ্জামের উপস্থীত প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। উদ্দেশ্য সাধনকল্পে গনচীনের সংজ্ঞে সামরিক চুক্তির আওতায় অত্যাধুনিক সাবমেরিন সহ যুদ্ধজাহাজ ও  সামরিক সরঞ্জাম সংগ্রাহ করেছেন হাসিনা সরকার। "ভারত- বাংলাদেশ মৈত্রী চুক্তির" আওতায় ৪৩ বছর আগে উক্ত সম্পদের মালিকানা হস্তগত হলে বাংলাদেশ বিশ্বদরবারে কত বছর আগে নেতৃত্ব দেয়ার সক্ষমতা অর্জন করতো একবার ভাবুনতো।
১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর ৩০ বছর মেয়াদি ‘গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি’ স্বাক্ষর করেন বঙ্গবন্ধু তনয়া দেশরত্ম শেখ হাসিনা। পরের বছর ১ জানুয়ারি থেকে চুক্তিটি কার্যকর হয়ে আজও বলবৎ রয়েছে।তখন থেকেই শুরু হয় পুর্বতন মৈত্রীর বন্ধন পুণ:দ্ধারের আয়োজন।দীর্ঘবছর পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের মধ্য দিয়ে উক্ত আক্ষাংকা বাস্তবায়নের পথ সুগম হল।
          জাতির জনকের কন্যা ২০০৯ সালের পর দ্বিতীয়বার সরকার গঠন করে চীনসহ কয়েকটি দেশের সঙ্গে  প্রযুক্তি সহায়তা, সামরিক সরঞ্জাম, অবকাঠামো উন্নয়ন, সম্পদ আহরন, পারমানবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন সহ নানা ক্ষেত্রে সমঝোতা স্মারক সই করেছে। এসব সমঝোতায় সাধারণত তথ্যবিনিময়, প্রশিক্ষণ ও কারিগরি ক্ষেত্রে নানামুখী সহযোগিতার উল্লেখ আছে। অন্যান্ন দেশের চাইতে ভারত প্রতিবেশি দেশ হিসেবে উক্ত সহযোগিতার ক্ষেত্র সামরিক খাতের চাইতেও অন্য অনেক ক্ষেত্রে এখন অনেক বড় হয়ে উঠছে। বিশ্বব্যাপি সাতশত কোটি মানুষের বাস, তম্মধ্যে  ভারতেই বসবাস করে প্রায় দেড় শত কোটি মানুষ। বাংলাদেশ ও ভারতে বসবাস করে দুই শত কোটির কাছাকাছি মানব সন্তান। বিপুল পরিমান জনসংখ্যার দৈনন্দিন চাহিদা পুরণকল্পে নেয়া সহযোগিতায় বৈরিতার প্রশ্ন অবান্তর নয় কি?
       দুই দেশের সমুদ্র সম্পদ, অভিন্ন নদীর পানি, ভুগর্স্থ খনিজসম্পদ, প্রাকৃতিক সম্পদ, অর্থনৈতিক অবকাঠামো, সামরিক সরঞ্জাম, যোগাযোগ অবকাঠামো, সমুদ্র বন্দর, সমুদ্রের বিশাল সম্পদরাজীর অনুসন্ধান ও উত্তোলন ইত্যাদি অর্থনৈতিক উন্নতির চাবিকাঠি সমূহ একযোগে করা গেলে দুই দেশই অর্থনৈতিক উন্নতির শিখরে উঠতে পারবে বলে বিশেষজ্ঞরা অনেক আগে থেকে মতামত ব্যাক্ত করে আসছে। বিশেষজ্ঞগন এও মনে করেন বিদ্যমান সম্পদ সঠিকভাবে আহরন ও ব্যবহার করা গেলে অত্রাঞ্চলের জনচাহিদা পূরণ সাপেক্ষে অবশ্বাম্ভাবি বহি: বিশ্বকেও সহযোগীতা করা সম্ভব হবে। উভয় দেশের জনগনের উপলব্দিতে যখন  সকল প্রকার বৈরিতাকে পরিহার করে উন্নতি, অগ্রগতির অর্থনৈতিক বিষয় সমূহ সমাধানকল্পে সম্পর্ক নিবিড়তর করে তোলার প্রয়োজনীতা দেখা দিয়েছে--তখনই কায়েমি স্বার্থান্বেষী মহলের জাতীয় ও আন্তজাতিক ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।
        উল্লেখ্য যে ---দুই দেশের পরস্পরের বিশাল বাজার, ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত শ্রেণির বর্ধিত চাহিদা পূরনকল্পে আন্তজাতিক সম্পর্কের ফায়দা নিয়ে বাংলাদেশ-ভারত যখন বিশ্ববাজারে একটি বড় আর্থিক অঞ্চল হিসেবে দাঁড়ানোর জন্যে  প্রস্তুতি নিচ্ছে তখন নানা বিতর্ক উত্থাপন করার অন্তহীন চেষ্টা লক্ষ করা যাচ্ছে। উল্লেখিত সমস্ত বিতর্ক অর্থহীনভাবে উত্থাপন করে অত্রাঞ্চলকে অগ্রসরমান বিশ্ব থেকে পিছিয়ে দিতে উদগ্রিব হয়ে উঠে পড়ে লেগেছে স্বার্থান্বেষী মহলটি। বাংলাদেশ তাঁর নিজস্ব প্রযুক্তিতে কারো উপর নির্ভরশীল না হয়ে-- বিদ্যমান সম্পদ আহরন  সম্ভব কিনা, আলোচনা না করে অযাচিত অন্যের সহযোগিতায়ও বাঁধা প্রদান করে চলেছে। তাঁরা কার উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টা করছে? জনগনই সময়ে বিচার করবে--- ইনশাল্লাহ।
            বিশ্বব্যাপি উন্নত দেশসমুহের পাস্পারিক সহযোগীতার আলোকে অত্রাঞ্চলেও  "বাংলাদেশ-ভারত" পরস্পরের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাঁধা অপসারন কল্পে অমিমাংশীত এবং দীর্ঘ যুগের অনুচ্ছারিত বিষয় সমূহ যেমন---" সমুদ্র সীমানা নির্ধারন, গঙ্গা চুক্তি, চিটমহল সমস্যা সহ অনেকগুলী সমস্যা  ইতিমধ্যে সমাধান করেছে। অন্যান্ন বিরাজমান সমস্যা সমূহ চিহ্নিত করনের উদ্যোগ গ্রহন করেছে। তিস্তা সহ সকল সমস্যা সমাধান করে দুটি দেশ উন্নয়ন অগ্রগতির লক্ষে পরস্পর সহযোগীতার হাত সম্প্রসারিত করার উদ্যোগ নিয়েছে। জাতির জনকের কন্যা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমৌদি বদ্ধপরিকর--এতদাঞ্চলের উন্নতির লক্ষে প্রয়োজনীয় যা যা করার দরকার তাই তাঁরা দুই নেতাই করবেন।ইতিমধ্যে দুই দেশের মধ্যে বহুপাক্ষিক ২২টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সাক্ষরিত হয়েছে। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্র চিহ্নিত করার কাজও চলছে। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সহযোগিতার ধারাবাহিকতা রক্ষা করার দৃড অঙ্গিকারও ব্যাক্ত করেছেন দুই নেতা।
                 এতেই স্বার্থান্বেষী মহলের বুকে চিন চিন ব্যাথা শুরু করেছে। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের পরিক্ষিত প্রতিবেশি  দুইবন্ধু দেশ পারস্পারিক সহযোগীতায় উন্নয়নের মহাসড়কে উঠে গেলে ষড়যন্ত্রকারিদের যুগ যুগান্তরের ষড়যন্ত্রের কালবিড়াল বেরিয়ে পড়বে। বাংলার পথে প্রান্তরে ঘুরে বেড়ানো পরসম্পদে বলিয়ান উক্ত কাল বিড়াল অবশ্যাম্ভাবি গোষ্টিগত চোরের সুস্বাধু উপাদেয় খাদ্যে পরিণত হবে।কাল বিড়ালের সুস্বাধু মাংস চোরের মাত্রাতিরিক্ত প্রহারের ক্ষেত্রে অত্যান্ত প্রয়োজনীয়--খনার বচন থেকেই জানি।
     ruhulaminmujumder27@gmail.com

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা