শেখ হাসিনার ভারত সফর----"বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্ব  বহুমাপাক্ষিক সহযোগীতায় রুপান্তর।"
(রুহুল আমিন মজুমদার)

      বাংলাদেশের রাজনীতির একটি অংশের ধারা প্রবাহিত হচ্ছে অদ্ভূত যুক্তিহীন বাগাড়ম্বরতার স্রোতের মধ্য দিয়ে। এই গোষ্টিটি বাংলাদেশের অভ্যুদ্বয়ের আগে পাকিস্তান রাষ্ট্রটিকে টিকিয়ে রাখার উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃত সুদুরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ভারত বিদ্বেসী মনোভাব উদ্ভব ঘটিয়েছিল।পাকিস্তানী শাষকগোষ্টির পরিকল্পিত পরিকল্পনায় এই মনোভাব সৃষ্টি এবং লালন করা হয়েছিল।তাঁদের পরিকল্পনার হোমওয়ার্ক সম্পন্ন করা হয়েছিল অখন্ড ভারতের পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে পূর্বাঞ্চলের মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলকে  অন্তভূক্তির উদ্দেশ্যে অত্রাঅঞ্চলে " হিন্দু --মুসলিম" দাঙ্গা সৃষ্টি করে একিভূত পাকিস্তান সৃষ্টির দাবিকে ত্বরান্বিত করার  উদ্দেশ্য সাধন করতে।
            পরবর্তীতে জাতিগত ভাবে পাকিস্তান- হিন্দুস্তান দুটি রাষ্ট্র উদ্ভব হয়েছে সত্য কিন্ত্যু হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় সৃষ্টি হওয়া বৈরিভাব আর কখনও দূর করার চেষ্টা হয়নি। বরঞ্চ পাকিস্তানীদের শাষন শোষন দীর্ঘায়ীত করার লক্ষে অত্রাঞ্চলের উন্নয়ন অগ্রগতির চাবিকাঠি অমিমাংসীত রেখে ক্ষেত্র বিশেষ অনুচ্ছারিত রেখে সময় সময় বৈরিতাকে উস্কে দেয়ার নীতি গ্রহন করেছিল। পাকিস্তানী শাষক গোষ্টির অ-প্রকাশিত উক্ত নীতি অত্রাঞ্চলে লালন করার জন্যে একটি মুৎসুদ্ধি গোষ্টি, রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় তাঁরা  উদ্ভব ঘটিয়েছিল।উদ্ভব হওয়া কায়েমী স্বার্থবাদী গোষ্টিটি ''দ্বিজাতি তত্বের" ছদ্ধাবরনে 'পবিত্র ধর্ম ইসলাম'কে ব্যবহার করে অত্রাঞ্চলের মুক্তিকামী জনগনের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে অস্ত্রধারন করতেও দ্বিধা বোধ করেনি।
        জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পরিচালিত বাংলাদেশের স্বাধীনতার  উদ্দেশ্যে পরিচালিত বাঙ্গালীর মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট তৈরীর প্রাক্কালে প্রচন্ডভাবে বিকশীত করেছিল।এদেশীয় সেই সমস্ত অনুচরেরা শেষপয্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে অস্ত্রহাতে সম্মুখ যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে দখলদার পাকিস্তানী সেনাদের সহযোগীতায় অকাতরে বাঙ্গালী হত্যা, বাঙ্গালী নারী দর্শন, অসহনীয়, অবর্ননীয় মানবতাবিরোধী অপরাধে লিপ্ত হতেও কুন্ঠিত হয়নি।' ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে বাঙ্গালী দামাল ছেলেরা পাকিস্তানী সেনাদের সঙ্গে তাঁদেরকেও  পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদ্বয় ঘটিয়েছিল।
            পাকিস্তান সৃষ্টির প্রারম্ভেই বাঙ্গালী জাতির জনক বুঝতে পেরেছিলেন পশ্চিমারা তাঁদের শোষন শাষন অব্যাহত রাখার স্বার্থে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে অত্রাঞ্চলের সম্পদরাজীর আহরন করবেনা। সম্পদ ছাড়া অত্রাঞ্চলের জনগনের জীবনমানও উন্নয়ন হবে না। ভারতের প্রয়াত নেত্রী "প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি"ও একই ভাবে বুঝতে পেরেছিলেন পশ্চিমাদের শাষন শোষন অব্যাহত রাখার স্বার্থেই পুর্বাঞ্চলের বিপুল সম্পদ আহরনে পশ্চিমারা নিত্য বাধা হয়ে দাঁড়াবে। সীমানা চিহ্নিতকরন জটিলতার অজুহাতে ভারতকে এককভাবে সম্পদ আহরন করতেও দিবে না। এমনিতেই সিমান্তে অহেতুক জটিলতার পক্ষেই ছিল পশ্চিম পাকিস্তান। অথছ সমৃদ্ধ অত্রাঞ্চলের  বিপূল  পরিত্যাক্ত সম্পদ আহরন ও সূষম ব্যবহার ছাড়া  ঘনবসতিপূর্ণ জনগোষ্টি সমৃদ্ধ অত্রাঞ্চল অর্থনৈতিক উন্নতি ও অগ্রগতি কোনভাবেই সম্ভব হবেনা।
        বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে-- দুই দেশের সুদুরপ্রসারী দৃষ্টিসম্পন্ন দুইনেতা ভারত বিভাগ ও অভ্যন্তরীন ষড়যন্ত্রের রাজনীতির প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন।বিশ্ব সভ্যতার বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্ন জাতিগোষ্টি প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সম্পদ আহরন ও বিপনের মাধ্যমে সম্পদশালী জাতিতে রুপান্তরিত হয়ে জ্ঞান বিজ্ঞানেও এগিয়ে গেছে। একই সময়ে স্বাধীনতা পেলেও ভারতীয় উপমহাদেশের কোন দেশেই স্বার্থান্বেষী মহলের ষড়যন্ত্রহেতু বিপুল সম্পদ থাকা সত্বেও কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন ও অগ্রগতি সম্ভব হয়নি। অথছ বিশ্বব্যাপি কর্মশক্তির অধিকাংশই ভারতীয় উপমহাদেশেই  বসবাসরত ছিল।
           দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর বিশ্ব নেতৃবৃন্দের তিক্ত অভিজ্ঞতার আলোকে এবং সম্মিলীত জাতিপুঞ্জের ব্যার্থতা সম্যক উপলব্দিতে  স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের সংজ্ঞা নির্ধারন সহ "জাতিসংঘ" প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে।ষড়যন্ত্রকারিরা তথায় মনযোগ দেয়ার সুযোগ না দিয়ে দখল ও আধিপত্য বিস্তারের কাল্পনিক গল্প ছড়িয়ে ভারত বিদ্বেসী মনোভাব সৃষ্টিতেই মনযোগী ছিল। এহেন ষড়যন্ত্র সম্পর্কে দুই দেশের দুই নেতার উপলব্দি সময় উপযোগি ও সমপয্যায় হওয়ায় মুলত: বাংলাদেশের স্বাধীনতার লক্ষে পরিচালিত বাংলার মুক্তিকামী মানুষের মুক্তিযুদ্ধ ভারতের সহযোগিতায় পরিপূর্ণতা পেতে বিপুল ভুমিকা পালন করেছিল।
       তাই দেখা যায়--একাত্তরে স্বাধীনতার প্রাণপুরুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণার পরপরই বাংলাদেশের নিত্য প্রতিবেশী ভারতের সহযোগিতার যাত্রা শুরু হয়। ভারত কয়েক লাখ শরণার্থীকে মাসের পর মাস লালন করেছে, এককোটি শরনার্থী আশ্রয় দিয়েছে, তাঁদের খাবার দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধা ছাত্র জনতাকে  প্রশিক্ষণ দিয়ে শত্রু মোকাবেলার উপযোগী করে গড়ে তোলেছে। প্রবাসী মুজিব নগর সরকারের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে মুলত: ভারত থেকে। স্বাধীনতা যুদ্ধের চরম পর্যায়ে  তাঁদের সেনাবাহিনী পাঠিয়ে দেশকে পাক হানাদারমুক্ত করায় সহযোগীতা করেছে। মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধের মাঠে ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। অত্রাঞ্চলের দূরদর্শী রাজনীতির দুই প্রভাবশালী নেতা বঙ্গবন্ধু ও ইন্দিরা গান্ধীর ভবিষ্যত প্রজম্মের উন্নতি, অগ্রগতির প্রতি সুদুর প্রসারী দৃষ্টি ভঙ্গি অটুট,ও ঐক্যমত্য ছিল বলেই সম্ভব হয়েছে।
           পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভারতীয় সরকারের আস্থা থেকেই ক্রমাগত সহযোগিতার ক্রমবর্ধমান ধারারও বিস্তৃতি ঘটেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির সামগ্রিক উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু সরকারের প্রতি প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও ছিল সে আস্থারই প্রতিবিম্ব। স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেই ‘ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী চুক্তি’ ছিল পারস্পরিক আস্থাপূর্ণ সম্পর্কের ক্ষেত্রে অনন্য এক সংযোজন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সে সময়ের ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ১৯৭২ সালের ১৯ মার্চ চুক্তিটি স্বাক্ষর করেছিলেন। উভয় দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, উন্নয়নে সহযোগিতা, সম্পদ আহরন, সম্পদের কায্যকর ব্যবহার, আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা,  অমিমাংসীত ভুখন্ড হস্তান্তর, উভয় দেশের জল ও স্থল সীমানা চিহ্নিতকরন, অভিন্ন নদীর পানি সুষম বন্টন, চিটমহল বিনিময় সহ বহুমাত্রিক আঞ্চলিক সহযোগীতাপুর্ণ ২৫ বছর মেয়াদি "ভারত ---বাংলাদেশ মৈত্রী চুক্তি " সম্পাদিত হয়েছিল। চুক্তিটি শেষাবদি "মুজিব-- ইন্দিরা" মেত্রী চুক্তি নামেই খ্যাতি অর্জন করেছিল।
 প্রীয় পাঠক লক্ষ করুন-- উল্লেখিত চুক্তিটি আজ থেকে ৪৩ বছর আগে কায্যকর হলে এই সময়ে দুই দেশের অর্থনৈতিক অবস্থান কোথায় পৌঁছাত।মুজিব--ইন্দিরা মৈত্রী চুক্তির ধারাবাহিকতায় জাতির জনকের কন্যার এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী মৌদির নেতৃত্বে চিটমহল ও সমুদ্র সীমানা নির্ধারীত হওয়ার পর বাংলাদেশের আয়তন দাঁড়িয়েছে দ্বিগুনেরও বেশী।প্রাপ্ত ভুখন্ড ও সমুদ্র সীমানার সম্পদরাজী পাহারা দেয়ার জন্যে সামরিক সরঞ্জামের উপস্থীত প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। উদ্দেশ্য সাধনকল্পে গনচীনের সংজ্ঞে সামরিক চুক্তির আওতায় অত্যাধুনিক সাবমেরিন সহ যুদ্ধজাহাজ ও  সামরিক সরঞ্জাম সংগ্রাহ করেছেন হাসিনা সরকার। "ভারত- বাংলাদেশ মৈত্রী চুক্তির" আওতায় ৪৩ বছর আগে উক্ত সম্পদের মালিকানা হস্তগত হলে বাংলাদেশ বিশ্বদরবারে কত বছর আগে নেতৃত্ব দেয়ার সক্ষমতা অর্জন করতো একবার ভাবুনতো।
১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর ৩০ বছর মেয়াদি ‘গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি’ স্বাক্ষর করেন বঙ্গবন্ধু তনয়া দেশরত্ম শেখ হাসিনা। পরের বছর ১ জানুয়ারি থেকে চুক্তিটি কার্যকর হয়ে আজও বলবৎ রয়েছে।তখন থেকেই শুরু হয় পুর্বতন মৈত্রীর বন্ধন পুণ:দ্ধারের আয়োজন।দীর্ঘবছর পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের মধ্য দিয়ে উক্ত আক্ষাংকা বাস্তবায়নের পথ সুগম হল।
          জাতির জনকের কন্যা ২০০৯ সালের পর দ্বিতীয়বার সরকার গঠন করে চীনসহ কয়েকটি দেশের সঙ্গে  প্রযুক্তি সহায়তা, সামরিক সরঞ্জাম, অবকাঠামো উন্নয়ন, সম্পদ আহরন, পারমানবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন সহ নানা ক্ষেত্রে সমঝোতা স্মারক সই করেছে। এসব সমঝোতায় সাধারণত তথ্যবিনিময়, প্রশিক্ষণ ও কারিগরি ক্ষেত্রে নানামুখী সহযোগিতার উল্লেখ আছে। অন্যান্ন দেশের চাইতে ভারত প্রতিবেশি দেশ হিসেবে উক্ত সহযোগিতার ক্ষেত্র সামরিক খাতের চাইতেও অন্য অনেক ক্ষেত্রে এখন অনেক বড় হয়ে উঠছে। বিশ্বব্যাপি সাতশত কোটি মানুষের বাস, তম্মধ্যে  ভারতেই বসবাস করে প্রায় দেড় শত কোটি মানুষ। বাংলাদেশ ও ভারতে বসবাস করে দুই শত কোটির কাছাকাছি মানব সন্তান। বিপুল পরিমান জনসংখ্যার দৈনন্দিন চাহিদা পুরণকল্পে নেয়া সহযোগিতায় বৈরিতার প্রশ্ন অবান্তর নয় কি?
       দুই দেশের সমুদ্র সম্পদ, অভিন্ন নদীর পানি, ভুগর্স্থ খনিজসম্পদ, প্রাকৃতিক সম্পদ, অর্থনৈতিক অবকাঠামো, সামরিক সরঞ্জাম, যোগাযোগ অবকাঠামো, সমুদ্র বন্দর, সমুদ্রের বিশাল সম্পদরাজীর অনুসন্ধান ও উত্তোলন ইত্যাদি অর্থনৈতিক উন্নতির চাবিকাঠি সমূহ একযোগে করা গেলে দুই দেশই অর্থনৈতিক উন্নতির শিখরে উঠতে পারবে বলে বিশেষজ্ঞরা অনেক আগে থেকে মতামত ব্যাক্ত করে আসছে। বিশেষজ্ঞগন এও মনে করেন বিদ্যমান সম্পদ সঠিকভাবে আহরন ও ব্যবহার করা গেলে অত্রাঞ্চলের জনচাহিদা পূরণ সাপেক্ষে অবশ্বাম্ভাবি বহি: বিশ্বকেও সহযোগীতা করা সম্ভব হবে। উভয় দেশের জনগনের উপলব্দিতে যখন  সকল প্রকার বৈরিতাকে পরিহার করে উন্নতি, অগ্রগতির অর্থনৈতিক বিষয় সমূহ সমাধানকল্পে সম্পর্ক নিবিড়তর করে তোলার প্রয়োজনীতা দেখা দিয়েছে--তখনই কায়েমি স্বার্থান্বেষী মহলের জাতীয় ও আন্তজাতিক ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।
        উল্লেখ্য যে ---দুই দেশের পরস্পরের বিশাল বাজার, ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত শ্রেণির বর্ধিত চাহিদা পূরনকল্পে আন্তজাতিক সম্পর্কের ফায়দা নিয়ে বাংলাদেশ-ভারত যখন বিশ্ববাজারে একটি বড় আর্থিক অঞ্চল হিসেবে দাঁড়ানোর জন্যে  প্রস্তুতি নিচ্ছে তখন নানা বিতর্ক উত্থাপন করার অন্তহীন চেষ্টা লক্ষ করা যাচ্ছে। উল্লেখিত সমস্ত বিতর্ক অর্থহীনভাবে উত্থাপন করে অত্রাঞ্চলকে অগ্রসরমান বিশ্ব থেকে পিছিয়ে দিতে উদগ্রিব হয়ে উঠে পড়ে লেগেছে স্বার্থান্বেষী মহলটি। বাংলাদেশ তাঁর নিজস্ব প্রযুক্তিতে কারো উপর নির্ভরশীল না হয়ে-- বিদ্যমান সম্পদ আহরন  সম্ভব কিনা, আলোচনা না করে অযাচিত অন্যের সহযোগিতায়ও বাঁধা প্রদান করে চলেছে। তাঁরা কার উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টা করছে? জনগনই সময়ে বিচার করবে--- ইনশাল্লাহ।
            বিশ্বব্যাপি উন্নত দেশসমুহের পাস্পারিক সহযোগীতার আলোকে অত্রাঞ্চলেও  "বাংলাদেশ-ভারত" পরস্পরের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাঁধা অপসারন কল্পে অমিমাংশীত এবং দীর্ঘ যুগের অনুচ্ছারিত বিষয় সমূহ যেমন---" সমুদ্র সীমানা নির্ধারন, গঙ্গা চুক্তি, চিটমহল সমস্যা সহ অনেকগুলী সমস্যা  ইতিমধ্যে সমাধান করেছে। অন্যান্ন বিরাজমান সমস্যা সমূহ চিহ্নিত করনের উদ্যোগ গ্রহন করেছে। তিস্তা সহ সকল সমস্যা সমাধান করে দুটি দেশ উন্নয়ন অগ্রগতির লক্ষে পরস্পর সহযোগীতার হাত সম্প্রসারিত করার উদ্যোগ নিয়েছে। জাতির জনকের কন্যা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমৌদি বদ্ধপরিকর--এতদাঞ্চলের উন্নতির লক্ষে প্রয়োজনীয় যা যা করার দরকার তাই তাঁরা দুই নেতাই করবেন।ইতিমধ্যে দুই দেশের মধ্যে বহুপাক্ষিক ২২টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সাক্ষরিত হয়েছে। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্র চিহ্নিত করার কাজও চলছে। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সহযোগিতার ধারাবাহিকতা রক্ষা করার দৃড অঙ্গিকারও ব্যাক্ত করেছেন দুই নেতা।
                 এতেই স্বার্থান্বেষী মহলের বুকে চিন চিন ব্যাথা শুরু করেছে। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের পরিক্ষিত প্রতিবেশি  দুইবন্ধু দেশ পারস্পারিক সহযোগীতায় উন্নয়নের মহাসড়কে উঠে গেলে ষড়যন্ত্রকারিদের যুগ যুগান্তরের ষড়যন্ত্রের কালবিড়াল বেরিয়ে পড়বে। বাংলার পথে প্রান্তরে ঘুরে বেড়ানো পরসম্পদে বলিয়ান উক্ত কাল বিড়াল অবশ্যাম্ভাবি গোষ্টিগত চোরের সুস্বাধু উপাদেয় খাদ্যে পরিণত হবে।কাল বিড়ালের সুস্বাধু মাংস চোরের মাত্রাতিরিক্ত প্রহারের ক্ষেত্রে অত্যান্ত প্রয়োজনীয়--খনার বচন থেকেই জানি।
     ruhulaminmujumder27@gmail.com

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন