আইনের শাষন প্রতিষ্ঠার অন্যতম সর্ত সকল নাগরিকের জন্যে সম আইন প্রয়োগ---তারেক জিয়াকে বাংলাদেশে ফেরৎ আনা সময়ের অন্যতম দাবী।
(রুহুল আমিন মজুমদার)

মেজর জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালীন তার পুত্র তারেক জিয়াকে ক্ষমতার দাপটে ঢাকার সেইন্ট যোসেফ হায়ার সেকন্ডারি স্কুলে থার্ড গ্রেডে ভর্তি করে দেন। পরবর্তী কয়েক বছর তারেক স্কুলে গিয়ে ছেলেদের সাথে মারামারি, টিচার-ব্রাদারদের সাথে দূর্ব্যবহার, পড়াশুনায় অনিয়মিত হয়ে ফেইল করা ইত্যাদি কারণে প্রিন্সিপাল ব্রাদার থমাস ও ব্রাদার বায়ার্ড'র ব্ল্যাকলিস্টে পড়েন। মেজর জিয়াকে কয়েকবার তার ছেলের সম্পর্কে ওয়ার্নিং দেয়ার পরও তিনি কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো প্রভাব খাটাতে গেলে তারেককে স্কুল থেকে বের করে দেয়া হয়।

 এরপর তারেকের শিক্ষাগত যোগ্যতার কোন ডকুমেন্ট বা সঠিক তথ্য কারও জানা নাই। তার দল থেকে দাবী করা হয় তিনি সেইন্ট যোসেফ থেকে মাধ্যমিক ও ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছেন; সেইন্ট যোসেফের অ্যালুমনাই তালিকায় তার নাম আজও খুঁজে পাওয়া যায়নি। সুতারাং তারেক জিয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা কথিত ইন্টার পাস সর্বৈব মিথ্যা, বানোয়াট। যাহা বাংলাদেশের প্রচলিত আইনের পরিপন্থি।একজন ভবিষ্যত রাষ্ট্রের কর্নধারের ব্যাক্তিগত তথ্য  ককোন অবস্থায় বিকৃত বা মিথ্যা দেয়া যেতে পারেনা।

২০০১ সালের নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে যুদ্ধপরাধী দদল জামায়াতকে সসঙ্গে নিয়ে চারদলীয় জোট সরকার গঠন করে। তখন থেকেই জিয়া পরিবারের জৈষ্ঠ সন্তান তারেক জিয়া সরকারের নানাবিষয়ে হস্তক্ষেপ শুরু করেন। যদিও তিনি আইনানূগ ভাবে সরকারের কোনপয্যায় নিয়োগপ্রাপ্ত ছিলেন না। দলের অভ্যন্তরে তাঁর নেতৃত্বে শক্তিশালী এক সিন্ডিকেট গড়ে উঠে। সরকারে তাঁদের কায্যক্রম নিরঙ্কুশ করার লক্ষে হাওয়া ভবন নামে অন-অনুমোদিত সরকারি দপ্তর খুলে বসে। আপাত:দৃষ্টে যদিও দেখা যায় বঙ্গভবন থেকে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার পরিচালিত হচ্ছে, কায্যত: কথিত "হাওয়া ভবন"ই ছিল উক্ত সরকারের প্রান।

 দলের তরুন নেতাদের অলিখিত মন্ত্রীপরিষদের নেতৃত্বে তারেক জিয়া "প্যারালাল সরকারে"র নেটওয়ার্ক দেশব্যাপি প্রতিষ্ঠা করে মুলত: নির্বাচিত সরকারকেই অকায্যকর করে তোলেন। মন্ত্রী পরিষদে রদবদল, সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়োগ বদলি, মন্ত্রী নিয়োগ ওও চছাটাই,সামরিক বাহিনীর পদন্নতি ও পদাবনতি, সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা নিয়োগ ও চাকুরিচ্যুতি থেকে আরাম্ভ করে বিএনপি দলের নেতা নিয়োগ ও নিয়োগ বাতিল, নতুন নেতার পদায়ন ও পদস্থলন, সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড সবকিছুই নিয়ন্ত্রন হতে থাকে হাওয়া ভবন থেকে। কথিত আছে যে-- চার দলীয় জোট সরকারের আমলে দারিদ্রতা ও দুর্নীতির শীর্ষ পদটি ৫বছরের মধ্যে ৫বছরই ধরে রাখার ক্ষেত্রে "হাওয়াভবন" কেন্দ্রিক তারেক জিয়ার নেতৃত্বে পরিচালিত "প্যারালাল সরকারের" অবদান অস্বীকারের কোন উপায় নেই।

এমত:বস্থায় মা-ছেলের আজীবনের শাষন প্রতিষ্ঠিত করার মানষিকতায় পেয়ে বসে অল্পবয়সের প্যারালাল সরকারের প্রধান তারেক জিয়ার মধ্যে। তিনি প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের শীর্ষনেতাদের হত্যা করার উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় গড়ে তোলেন শীর্ষ সন্ত্রাসী, ধর্মীয় উগ্রজঙ্গী, ভারত ও বার্মার বিচ্ছিন্নতাবাদি, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও ডিজি এফ আই এর অভ্যন্তর থেকে একাধিক কিলিং মিশন। একে একে হত্যা করতে থাকেন দেশের প্রতি্যসা রাজনীতিবীদ, সাহিত্যিক, সাংবাদিক।

  এতেও ক্ষমতা নিস্কটক না হওয়ায় তৎকালিন বিরুধীদলের নেতা, জাতির জনকের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার উপর পরিচালিত হতে থাকে একের পর এক হামলা।মহান আল্লাহর কৃপায় তিনি সমস্ত হামলা থেকে রক্ষা পাওয়ার পর তারেক জিয়া মরিয়া হয়ে উঠেন। তারেক জিয়া শেখ হাসিনাকে হত্যা পরিকল্পনা সফল করার লক্ষে বৃহত্তর পরিসরে হামলার সিদ্ধান্ত নিয়ে সেনাবাহিনী, ডিজি,এফ,আই, পুলিশ, হুজি জঙ্গীদের সমন্বয়ে শক্তিশালী কিলিং মিশন পরিচালনার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন।হামলায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বপালনকারি হুজি শীর্ষ নেতা হান্নান আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে ধৃত হওয়ার পর তাঁর জবান বন্দিতে ঘটনার পূর্বাপর বিস্তারীত সরকারের নজরে আসে।

ততদিনে তারেক জিয়া সেনা সমর্থিত সরকারের আনীত অন্য অনেক মামলায় জামিনপ্রাপ্ত হয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ইংল্যান্ডে নিরাপদ স্থানে রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহন করে বসবাস শুরু করেছেন।
এদিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে জঙ্গি উত্থানরোধে রাষ্ট্রীয় সাড়াশি অভিযানের মুখে ধরা পড়ে জাতির জনকের কন্যাকে একাধিকবার হত্যা প্রচেষ্টার অন্যতম হুজি শীষ জঙ্গী মূফতি হান্নান। আইনশৃংখলা বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ক্ষমতাসীন চারদলীয় জোট সরকারের জঙ্গী লালন ও বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যা পরিকল্পনার মাষ্টারমাইন্ড তারেক জিয়া,স্ব-রাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর,হারিছ চোধুরী, জামায়েতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মোজাহিদ সহ তৎকালিন সরকারের উধ্বতন কর্মকর্তা-নেতাদের জড়িত থাকার সবিস্তারে বর্ণনা তোলে ধরেন। তাঁর জবানবন্দির উপর ভিত্তিকরে পূণরায় সি,আই,ডি তদন্ত শুরু করে অবশেষে তারেক জিয়া সহ অন্যদের জড়িত করে আদালতে সম্পূরক চার্জসিট দাখিল করে।

     তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে তত্বাবধায়ক সরকারের আনীত ১৭ মামলা এবং পরবর্তীতে বর্তমান সরকারের ২১ এ আগষ্ট এর দুটি মামলা সহ বর্তমানে অনেকগুলী মামলা বিচারাধীন রয়েছে।কিছু মামলা হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিত রয়েছে।বর্তমান সরকার একটি মামলা প্রত্যাহার করেছে। সবমিলিয়ে বাংলাদেশের সকল শীর্ষ অপরাধীদের মধ্যে অন্যতম শীর্ষ অপরাধির বহু চাঞ্চল্যকর মামলার আসামী বর্তমানে "তারেক জিয়া।"

   তারেক জিয়ার প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় এবং রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা এবং তাতে ঘটনাস্থলে  ২২ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় দুটি মামলা করে পুলিশ। একটি হত্যা ও আরেকটি বিস্ফোরণ দ্রব্য আইনে করা মামলা। আগেই বলেছি--বর্তমান সরকারের আমলে এ দু'টি মামলার সম্পূরক অভিযোগপত্রে তারেক রহমানকে আসামি করা হয়। ২০১১ সালের ৩ জুলাই সিআইডির দেয়া সম্পূরক অভিযোগপত্রে তারেক রহমান ছাড়াও বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, জামায়াত নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী, খালেদা জিয়ার ভাগ্নে সাইফুল ইসলাম ডিউকসহ ৩০ জনকে আসামি করা হয়। এ নিয়ে এই মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ৫২।

        এর আগে জোট সরকারের সময় এ মামলার তদন্ত ভিন্ন খাতে নেয়ার উদ্দেশ্যে জর্জ মিয়া নাটক সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়। গত সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নতুন করে তদন্ত শুরু করে সিআইডি। ২০০৮ সালের ১১ জুন সিআইডি প্রথম অভিযোগপত্র দেয়। তাতে জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের হুজি অন্যতম শীর্ষ নেতা মুফতি হান্নান, বিএনপি সরকারের সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ২২ জনকে আসামি করা হয়। তখনকার আসামিদের বেশির ভাগই হুজির সদস্য। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে স্থাপিত ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিশেষ এজলাসে এ মামলার বিচারকাজ শুরু হয়।

      তারেক জিয়ার অসুস্থ্যতার অজুহাতে বারবার তাঁর আইনজীবিরা সময় প্রার্থনা করে আইনের স্বাভাবিক গতিকে ব্যহত করে চলেছে।যদি তিনি সুস্থ না হয়ে থাকেন তাহলে কীভাবে লন্ডন থেকে সিঙ্গাপুর ও সৌদি আরব পর্যন্ত দীর্ঘ বিমানপথ ভ্রমণ করছেন।যদি তিনি সুস্থ না হয়ে থাকেন তাহলে কীভাবে লন্ডন থেকে সিঙ্গাপুর ও সৌদি আরব পর্যন্ত দীর্ঘ বিমানপথ বারবার ভ্রমণ করছেন।

তারেক রহমান বিএনপির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং দলটির দ্বিতীয় প্রভাবশালী নেতা। দেশের জনগণের বড় যে কথিত অংশটি জাতীয়তাবাদী চেতনায় বিশ্বাসী, সেটি তাকে দেশের নির্বাহী প্রধান হিসেবে স্বপ্ন দেখে। ফলে তার সম্পর্কে সকল ধরনের তথ্য জানার অধিকার সবার রয়েছে। দীর্ঘ দশ বছর চিকিৎসা নেওয়ার পরও যদি তিনি সুস্থ না হয়ে থাকেন, তাহলে যুক্তরাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থার গুণমত মান দিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করা যৌক্তিক। প্রশ্নটি স্বাভাবিকভাবেই মা হিসেবে খালেদা জিয়ার কাছ থেকে আসা উচিত। তা না করে তিনি নিজেই বার বার যান সে দেশে চিকিৎসা নিতে, সেটিও  জনমনে বিরাট এক প্রশ্নবোধক হয়ে আছে।

     জনগণকে মিথ্য তথ্য দিয়ে দেশের বাইরে গিয়ে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়া, বিশেষ করে বিরাজমান স্থিতিশীল অবস্থা অস্থিতিশীল করে দেওয়ার পরিকল্পনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে পড়েছেন তারেক জিয়া । সেটা বলা হচ্ছে এ জন্য যে, অতীতে বিএনপি যখনই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গঠিত বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে, ততবারই খামখেয়ালি পূর্ণভাবে তারা জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

     বৃটেনের রাষ্ট্রীয় বিধির গ্যাড়াকলে তারেক সেই দেশে বসবাস করে নাশকতা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশব্যাপি অস্থীরতা সৃষ্টি করে সরকার উৎখাতের একাধিক প্রচেষ্টা বাংলাদেশের জনগন ইতিমধ্যে বার কয়েক প্রত্যক্ষ করেছে। বিভিন্ন সময়ে রাষ্ট্রদ্রোহি বক্তব্যের মাধ্যমে দেশ ও জনগনের সূদূরপ্রসারি ক্ষতির পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে চলেছে। জিয়া পরিবারের কোন সদস্যের প্রতিষ্ঠিত কোন শিক্ষালয়ের ডিগ্রি না থাকা সত্বেও প্রত্যহ নতুন নতুন ইতিহাস রচনা করে চলেছে।সেই ইতিহাস গিলছে অথর্ব জ্ঞানপাপী একশ্রেনীর শুশিল। তাঁর এযাবৎকালের বিকৃত ইতিহাস রচনার অপরাধে দেশের প্রচলিত আইনে তিনবার ফাঁসি হওয়ার উপকরন রয়েছে।

ইতিমধ্যে ২১ আগষ্টের অন্যতম আসামীদের মধ্যে আলী আহসান মোহাম্মদ মোজাহিদ ও হুজিনেতা মুফতি হান্নানের অন্যান্ন মামলায় সর্ব উচ্চ শাস্তি ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড রাষ্ট্র কতৃক নিশ্চিত করা হয়েছে। বাবর বাংলাদেশের জেলখানায় রাজকীয় বন্দিজীবন অতিবাহিত করছে।হারিছ চৌধুরী সেনা সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকারের প্রথম থেকে আজব্দি পলাতক রয়েছে। প্রধান পরিকল্পনাকারি খালেদাপুত্র 'তারেক জিয়া' বাংলাদেশের লুটের টাকায় ইংল্যান্ড রাজকীয় জীবনযাপন করছে।  বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের হত্যার ষড়যন্ত্র ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাগ্রহন না করেও মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের ইতিহাস বিকৃতিতে ব্যাপৃত রয়েছে।

 পরিতাপের বিষয়---ইংল্যান্ডের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তারেক জিয়াকে ফেরৎ এনে আইনের মূখামূখি করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের লিখিত অঙ্গিকার দিতে হবে বৃটেন সরকারকে। তাঁকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড দিতে পারবে না। তাঁর যাবজ্জিবন সাজা দেয়ার অঙ্গিকার বিচারের আগেই তাঁদের সরকারের নিকট জমা দিতে হবে।

বর্তমানে তারেক রহমান যেহেতু রাজনৈতিক আশ্রয়ে লন্ডনে বসবাস করছেন, তাই তিনি বাংলাদেশ পাসপোর্ট জমা দিয়ে বৃটিশ পাসপোর্ট গ্রহন করেছেন। তাকে গ্রেফতার করতে হলে প্রথমে বাংলাদেশ সরকারকে বৃটেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করতে হবে। বৃটেনর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিযোগ খতিয়ে দেথে সন্তুষ্ট হলে বৃটিশ পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারবে। এবং তার বিচার প্রক্রিয়া তখন বৃটেনে শুরু হবে। অথবা বাংলাদেশ সরকার বৃটেনের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তি করে বাংলাদেশে তারেক রহমানকে ফেরত আনতে আবেদন করতে পারবে। কিন্তু বৃটেনে যেহেতু মৃত্যুদণ্ড আইন কার্যকর নয়, তাই বাংলাদেশ সরকারকে বৃটেনের কাছে এই মর্মে বন্ড দিতে হবে যে, যদি তারেক রহমান বাংলাদেশে ফেরত যায়, তাহলে তাকে কোনো বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যাবে না। কেবল তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করতে পারবে।
   এছাড়া তারেক রহমান নিজে যদি আইনি লড়াইয়ে অবতির্ন্ন হওয়ার জন্য বাংলাদেশে আসেন, তাহলে তাকে বৃটিশ রাজনৈতিক আশ্রয় ত্যাগ করে নতুন বাংলাদেশী পাসপোর্ট নিতে হবে। সেক্ষেত্র বৃটেনের বাংলাদেশে দূতাবাসের মাধ্যমে তাকে নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে হবে।

  সম্মানিত পাঠক বন্ধুরা-- উল্লেখিত দুটি প্রক্রিয়ার মধ্যে প্রথমটি নীতিগতভাবে বাংলাদেশের জনগনের গ্রহনযোগ্য নয়।যেহেতু তাঁর পিতা মেজর জিয়া ঠান্ডা মাথায় জাতির পিতার পরিবারের ১৬জনকে ১৫ই আগষ্ট ৭৫ এ হত্যা করেছে এবং তাঁর জৈষ্ঠ পুত্র তারেক জিয়া বাদবাকি জীবিতদের একাধিক হত্যা পরিকল্পনায় প্রত্যক্ষ  জড়িত। দ্বিতীয় প্রক্রিয়া জিয়া পরিবার গ্রহন করবেনা। কারন তাঁরা সম্যক জানে তারেক জিয়ার সৃষ্ট অপরাধের শাস্তি একমাত্র মৃত্যুদন্ড। কিন্ত্যু বাংলাদেশের জনগন চায় তারেক জিয়াকে অবিলম্ভে ইংল্যান্ড থেকে দেশে ফেরৎ আনা হোক এবং তাঁর কৃত অপরাধের সর্ব উচ্চ শাস্তি রাষ্ট্র নিশ্চিত করুক।

   সুতারাং বাস্তবতার আলোকে সরকারের কালক্ষপনের প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা। বৃটেনের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁকে ফেরৎ আনা হলেও তাঁর আমৃত্যু জেল হওয়ার শতভাগ উপকরন বিদ্যমান মামলায় যথেষ্ট রয়েছে। এমতবস্থায় তাঁকে ফেরৎ আনাই হবে সর্বোত্তম।এতে একদিকে বঙ্গবন্ধু পরিবারের জীবিত সদস্যদের হত্যা পরিকল্পনা থেকে জাতি রক্ষা পাবে অন্যদিকে আগামী প্রজম্ম ইতিহাস বিকৃতির চরম লজ্জাজনক পরিকল্পনা হাত থেকে বাঁচবে।
     জাতি প্রমানীত জাতির জনকের পরিবারের একাধিক হত্যা পরিকল্পনাকারীকে মুক্ত রেখে আশ্বস্ত থাকতে পারেনা। অবিলম্বে ইংল্যান্ডের আইনের বাস্তবতাকে সম্মান জানিয়ে তাঁরেক জিয়াকে ফেরৎ আনা হোক।তারেক জিয়া সহ জড়িত অন্যান্নদের বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করে সর্বোচ্ছ শাস্তি নিশ্চিত করা বর্তমান সময়ের অন্যতম দাবী।
      ruhulaminmujumder27@gmail.com

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন