তৃনমূলের আবিস্কৃত "হাউব্রিড" তত্ত্ব---ওবায়দুল কাদের সাহেবের "কাউয়া" তত্ত্বে বিলীন
   (রুহুল আমিন মজুমদার)

         দীর্ঘ আট/নয় বছর দল ক্ষমতায় থাকার কারনে সর্বস্তরে  কিছু আগাছা জম্মেছে তা অস্বীকারের উপায় নেই।স্থান বিশেষে আগাছার বাড়ন্তিতে তারতম্য থাকতে পারে, একেবারে নেই এমন অঞ্চল বোধকরি বাংলাদেশের  কোথাও নেই। জনাব ওবায়দুল কাদের তৃনমূল থেকে উঠে আসা পোঁড় খাওয়া এক অন্যন্ন রাজনীতিবিদ। তাই তিনি সহজে অনুধাবন করতে পেরেছেন দলের মুলত: সমস্যা কোথায়। আত্মসমালোচনা, আত্মপলব্দি গনতান্ত্রিক দলের অপরিহায্য অংশ অস্বিকারের উপায় নেই। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ একটি ঐতিহ্যবাহী বৃহৎ গনতান্ত্রিক রাজনৈতিক গনসংগঠন। এইদলে সময়ে অ-সময়ে দলে দলে লোক আসবে আবার চলেও যাবে। দলের ভালকর্মে বা কর্মসূচিতে আপামর জনগনের সমর্থন বাড়বে আবার কোনকোন কর্মসূচিকে উপলক্ষ করে অনেকেই দলত্যাগ করতে পারে। এতে জনসমর্থনের ব্যারোমিটার উঠানামা করবে সত্য দলের অস্তিত্ব কখনই বিপন্ন হবেনা। কারন আওয়ামীলীগ একটি নির্দিষ্ট আদর্শ, উদ্দেশ্য সম্বলীত সুশিক্ষিত, আদর্শবান নেতাকর্মীদের অভায়ারণ্য ভিত্তিক দল। দলের দু:সময়ে আদর্শের অনুপ্রেরনায় অনুপ্রানিত নেতাকর্মীগন কখনই ঘরে বসে থাকতে পারেন না। আদর্শের টানে মাঠে তাদের ছুটে আসতেই হয় এবং আসেন।

     "৭৫ পরবর্তীতে দীর্ঘ একুশ বছরের অধিক অ-গনতান্ত্রিক সামরিক শাষন সহ বিভিন্ন মুখী ফ্যাসিবাদি   অ-রাজনৈতিক শাষনের প্রেক্ষাপটে বিবিধ ধারনার সুযোগসন্ধানী নেতাকর্মীদের সমাবেস ঘটেছে জাতির জনকের হাতে গড়া তাঁর আদর্শের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগে। জাতিরজনকের নেতৃত্বে একদল ত্যাগি আদর্শবান নেতাকর্মীর বিচরনে যে দলটি বিকশীত হয়ে বিপ্লবি দল না হওয়া সত্বেও মুক্তিযুদ্ধের ন্যায় 'সামাজিক স্বসস্ত্র বিপ্লবে'র নেতৃত্ব দিতে পেরেছে। সে দলটি কালক্রমে তাঁর অকাল প্রয়ানে বিভিন্নমূখি সুযোগ সন্ধানী অনা-দর্শিক নেতাকর্মীর অনুপ্রবেশ ঘটে দলকেই গিলে খাওয়ার উপক্রম হয়েছে। তাঁর প্রকৃষ্ট প্রমান পাওয়া যায় এই সেইদিন কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে। সবকিছু অনুকূলে থাকা সত্বেও দেশের সর্বকনিষ্ট কুমিল্লা সিটি নির্বাচনেও জিতে আসতে পারেনি দলটি-- "তাঁর একমাত্র এবং একমাত্র কারন দলের প্রভাব প্রতিপত্তির চাইতেও ব্যাক্তির প্রভাব প্রতিপত্তি অত্যাদিক বেড়ে যাওয়ায় কুমিল্লায় ব্যাক্তি দলকেই গিলে খেয়ে ফেলেছে। শুধুমাত্র কুমিল্লা নয়--এমন অঞ্চল বাকি নেই গুনে বলা সম্ভব--বাকি আছে বোধহয় এমন অঞ্চল গোনে বলা সম্ভব নয়।

     রাজনীতির দুস্তর পথ পাড়ি দিতে '৭৫ পরবর্তীতে স্ব-স্ব এলাকার চলমান রাজনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে সন্ত্রাসী, মাস্তান, দুবৃত্ত, কালটাকার মালিক ব্যাবসায়ী, আত্মকেন্দ্রিক লুটেরা,  অ-রাজনৈতিক দুবৃত্ত ব্যাক্তি বিশেষের হাতে আওয়ামী রাজনীতির চাবিকাঠি অনায়াসে  চলে গেছে। তাঁরা আওয়ামীলীগের অভ্যন্তরে অবস্থান করে ক্ষেত্র বিশেষ জেলা, উপজেলার নেতৃত্ব করায়ত্ব করে, দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, সমাজের চিহ্নিত দুস্কৃতকারি, চোর, ডাকাত, ভুমিদুস্য, সন্ত্রাসি, মাস্তান সমন্বয়ে নিজস্ব বলয় সৃষ্টি করেছেন। ক্ষমতাধর উল্লেখিত  নেতা যতনা দলের আদর্শ, উদ্দেশ্য ধারন এবং তদানুযায়ি প্রচার প্রপাকান্ড এর মাধ্যমে আদর্শিক শিক্ষায় শিক্ষিত নেতাকর্মী সৃষ্টি,  দলকে শক্তিশালী করার কাজে মনযোগী--তার চেয়ে ঢের অধিক নিজের আখের গোছানো, প্রভাব বলয় বৃদ্ধি, স্বজনপ্রীতি, আত্ম প্রচারনায় মনযোগী বহুগুন বেশি।'৭৫ পরবর্তী তৎসময়ের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থীতি বিবেচনায় তাঁদেরকে অনেকক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে উৎসাহীত করা হয়নি, এমন কিন্তু হলফ করে বলা যাবেনা।

    তবে আশার কথা--গত জাতীয় সম্মেলনে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতিক এবং প্রার্থী বাছাইয়ের সুনির্দিষ্ট নিয়মরীতি দলীয় গঠনতন্ত্রে সংযোজিত হয়েছে। এই ধারা চলমান থাকলে অচিরেই দলের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী, মাস্তান, দখলদার, অনাদর্শিক নেতাদের প্রভাব প্রতিপত্তি বিলীন হতে বাধ্য হবে। তদস্থলে অধিকতর আদর্শবান, দলের প্রতি অনুগত, চরিত্রবান শিক্ষিত নেতাদের প্রভাব ধীরে ধীরে হলেও বৃদ্ধি পাবে।আমি নিশ্চিত করেই বলতে পারি। উল্লেখিত প্রথাটি গতবার অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সর্বস্তরে অনুসরনের কঠোর নির্দেশনা থাকা সত্বেও এলাকাভিত্তিক বলদর্পি নেতাগন মানেননি। তাঁরা একতরফা নিজস্ব পছন্দের প্রার্থীর নাম জেলা, উপজেলায় বসেই অনুমোদন করে কেন্দ্রে পাঠিয়ে দিয়েছেন।এতে লেনদেনের ব্যাপারটিও ছিল বলে লোকমূখে বলাবলি আছে। ত্যাগি নেতাদেরকে নমিনেশনের ধারে কাছে ঘেঁষার সুযোগ নাদেয়ার উদাহরন কেবল কম নয়। তথাপি বলতে পারি উল্লেখিত নিয়মের আওতায় সময়ে ঐসমস্ত অঞ্চলের নেতারাও আসতে বাধ্য হবে এবং আসবেন-ই। কারন ইহা দলীয় রীতি, বেশীদিন লংগন করা এত সহজ হবেনা।

       আওয়ামীলীগের নবনির্বাচিত সাধারন সম্পাদক জনাব ওবায়দুল কাদের দায়িত্ব পাওয়ার পর তাঁর বেশ কিছু সত্য এবং নিগূঢ় বক্তব্য বিভিন্ন সময়ে দেশবাসি লক্ষ করেছে। বক্তব্যগুলী অদ্যাবদি বক্তব্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে---কায্যকর কোন প্রতিফলন দেখা যাচ্ছেনা।অবশ্য দীর্ঘদিনের লালিত অভ্যেস সহজে ইচ্ছে করলেই বদলানো যাবে ভাবাও অনেকটা বোকামি--রাজনীতির ক্ষেত্রে আরো বড় কঠিন বলা যায়। যেমন তিনি পারেননি আত্মপ্রচারনামূলক রাস্তায় রাস্তায় অসংখ্য বিলবোর্ড, তৌরণ, পোষ্টারের ক্ষেত্রে। যেখানে জাতির জনক এবং প্রধানমন্ত্রীর ছবি অত্যান্ত ছোটাকার (অনেকক্ষেত্রে চোখেও দেখা যায়না) করে তাঁর নিজের ছবি বিলবোর্ড ব্যাপি। (নিছে আবার বিভিন্ন ওয়ার্ড সভাপতি, সম্পাদক বা ব্যাক্তির ছবি ও নাম অংকিত, যার উৎসাহ, উদ্দিপনা, অর্থে উক্ত প্রচারকায্য) উক্তরুপ বিলবোর্ড সরানোর নির্দেশ দিয়ে কায্যকর করতে পেরেছেন? পারেননি---কেন পারেননি? কারন দলের চেয়ে দলের নেতার প্রভাব এখানে অনেকগুন বেশী ( নেতা নিজে নিজে মনে করে)।

     ঐতিহাসিক ৭ মার্চের শ্রমিক লীগ আয়োজিত সভায় ওবায়দুর কাদের সাহেবের বক্তব্যটি পড়ে চমৎকৃত হয়েছি। তিনি বলেছিলেন 'নিউজ আর ছবি ছাপালে এ সব ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা সংগঠন উৎসাহিত হয় এবং চাঁদাবাজি করে।' সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন 'এদের উৎসাহিত করবেন না'। জাতীয় শ্রমিক লীগের আমন্ত্রণে তাদেরই সভায় উপস্থিত হয়ে বলেছিলেন 'শ্রমিক লীগের যুক্তরাষ্ট্র শাখার কি দরকার? বিদেশে শ্রমিক লীগের দরকারটা কি? কৃষক লীগের ধানমন্ডি শাখার বা গুলশান শাখার কি দরকার? ধানমন্ডিতে যে ধান চাষ হয় তা তো আমি জানি না। কৃষক লীগের কাতার শাখারই বা দরকার কি? তাঁতি লীগের নাম দেখলাম কুয়েত না কাতারে তার আবার পাল্টা দুই কমিটি।' তরুণ লীগ নামের এক ভুঁইফোড় দলের নাম উল্লেখ করে বলেছিলেন 'এই লীগের হেডকোয়ার্টার কোথায়? পাঁচশ' টাকা দিয়ে একটা রাবার স্ট্যাম্প বানালেই তো দল হয়ে যায় না? এই সব দোকানদারির স্বীকৃতি আমরা দেব না। এগুলো আওয়ামী লীগের সুনাম নষ্ট করছে, ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।'

সাধারণ সম্পাদক হওয়ার আগে তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তার আগেও তিনি দলের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে দায়িত্ব পালন করেছেন। তখন কি তিনি আওয়ামী পরিচয়ের ঐ সব ভুঁইফোড় সংগঠনের তৎপরতা লক্ষ্য করেননি? তখন কি তিনি দেখেননি তারই সতীর্থ অনেক নেতাই ওই সব সংগঠনের পৃষ্ঠপোষক? তাদের আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি- অতিথি হয়ে কেতাদূরস্থ সেজে সভাস্থল উজ্জ্বল করে রাখতে? একটা কথা কাদের সাহেব এখন আর অস্বীকার করতে পারবেন না--তার নিজের দলের কোন না কোন নেতার আশীর্বাদ নিয়েই ঐ সব ভুঁইফোড় সংগঠনের জন্ম।

কেন এ ধরনের সংগঠন গড়তে সহযোগিতা করা হয় সেটাও কাদের সাহেব ভালো করেই জানেন। মূলত নিজেদের উপদল বা গ্রুপ শক্তিশালী করার জন্যই এটা করা হয়। উপদলীয় কোন্দলে আওয়ামীলীগ বোধহয় এখন সবচেয়ে বেশি জর্জরিত। অতীতেও কোন্দল ছিল তবে অনেক ক্ষেত্রেই তা ছিল নিয়ন্ত্রণের মধ্যে। কিন্তু এ কোন্দল, গ্রুপিং এখন সব সীমা অতিক্রম করেছে।  উপরে উপরে ঐক্যের গান গাইলেও ভেতরে রয়েছে হিংসা, বিদ্বেস, অহংকার। নিজে পাইনি অন্যকেও পেতে দেব না। কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি নয়।এক্ষেত্রে উদ্বতন নেতাদের কারসাজি,পছন্দ, অপছন্দ সর্বত্র চোখে পড়ার মত পরিলক্ষিত হয়। উধ্বতন নেতাদের আর্শিবাদ তোলে নিলে সর্বত্র সমঝোতা সম্ভব--এতে কোন সন্দেহ নেই।

 ঢাকা আইনজীবী সমিতি ও সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচন তাঁর প্রমান। অন্য কেউ না জানলেও কাদের সাহেব তা ভালো করেই জানেন। অথবা এটাই সত্য যে, ৮০-এর পর থেকে এ পর্যন্ত যত নির্বাচন হয়েছে তাতে আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারতেন তাহলে সব নির্বাচনেই একজন সাধারন আওয়ামী কর্মীকেও সামনে রেখে জিতে আসতে পারতেন।

       আমি মনে করি--সমর্থক-শুভাকাঙ্ক্ষীরা দলের বাইরে থেকে যতটুকু বুঝতে পেরেছেন তার চাইতে অনেক বেশি বুঝতে পেরেছেন ওবায়দুল কাদের সাহেব। আরো অনেকেই বুঝতে পারছেন যারা দলের মধ্যে থেকে প্রতিনিয়ত এমনতর উৎকট পরিস্থিতি ভোগ করে একসময় অতিষ্ট হয়ে রাজনীতিকেই গুডবাই জানিয়েছেন। সবচেয়ে বড় ব্যাপারটি হচ্ছে দলের সংকট সম্যক এবং নিবিড়ভাবে সাধারন সম্পাদক অনুধাবন করতে পেরেছেন।এবং তা ভুক্তভোগি তৃনমূলের অনেকের চাইতে অনেক গভীরে অনুভব করতে পেরেছেন।

 অবশ্য সমস্যা শনাক্ত করা, সমস্যার গভীরে দেখার মানসিকতা থাকা এবং সংকট সমাধানের ব্যাপারে আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকার ব্যাপারটা সবার মাঝে এক ধরনের হয় না। আমাদের বিশ্বাস, নতুন সাধারণ সম্পাদক প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী বিশাল সংগঠনের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার স্বার্থে সংকট নিরসনের যথোপযুক্ত পন্থা বের করার চেষ্টা সতীর্থদের সহযোগে অব্যাহত রাখবেন।
   আমরা জানি ওবায়দুল কাদেরের আন্তরিকতা রয়েছে সংকট সমাধানের ব্যাপারে। এ জন্য দরকার তার মনোবলে বলিয়ান সমমনা, ন্যায়পরায়ন, সৎসাহসী ও সৎসহযোগীর নিবিড় সমর্থন। দলীয় নেত্রী জাতির জনকের কন্যার নিশ্চয়ই এ ব্যাপারে আন্তরিক সমর্থন রয়েছে। দলের নির্বাহী প্রধানের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত কাদের সাহেবের বিভিন্ন সময় যে সব বক্তব্য দেশের সচেতন মানুষ আলোড়িত, অনুপ্রানিত, আশার আলো দেখতে পেয়েছে তাতে এটা পরিষ্কার---"কাদের সাহেব বেশ ভালোই বুঝতে পেরেছেন দলের সংকট কোথায়? তবে আমরা এটাও অনুমান করতে পারি, দীর্ঘ সময় ধরে দলের বিভিন্ন স্তরে জমে থাকা সমস্যা সাধারণ সম্পাদক ইচ্ছা করলেই অল্পসময়ে খুব সহজে সমাধান করতে পারবেনা।

    আমি খুববেশি উৎফুল্ল হয়েছি নোয়াখালীর এক সভায় জনাব 'ওবায়দুল কাদের সাহেব' দলের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়া 'মৌসুমিপাখি, হাইব্রিড', আত্মীয়করন দাপুটে" জাতীয় নেতাদের উদ্দেশ্যে তাঁর  আঞ্চলিক ভাষায় তাঁদেরকে 'কাউয়া' বলে সম্বোধন করেছেন। এতে তাঁর প্রচন্ড ক্ষোভ, ঘৃনাও উন্নাসিকতার চরম বহি:প্রকাশ ঘটিয়েছেন। তৃনমুলে বহুল প্রচারিত, ব্যবহৃত, কথিত শব্দ "হাইব্রিডে"র চেয়ে অনেকবেশি তাৎপয্যমন্ডিত "কাউয়া" শব্দটি। হাইব্রিড উৎপাদনযোগ্য, মোটাতাজা অর্থে অনুপ্রবেশকারীদের ক্ষেত্রে আওয়ামী নেতাকর্মীদের ক্ষোভ প্রকাশের বহুল প্রচলিত ও ব্যবহৃত একটি শব্দ। "কাউয়া" শব্দটি সর্বার্থে অনিষ্টকারি, কুৎসিৎ, অ-খাদ্য, অপোষনীয়, অ-প্রয়োজনীয় পাখী হিসেবে অনু-প্রবেশকারিদের ক্ষেত্রে "যথাপযুক্ত, মানানসই, সময় উপযোগী" শব্দবাছাই বলেই আমি মনে করি। একারনেই আগেও বলেছি--দলের ত্যাগি নেতাকর্মী, শুভাকাংক্ষী, শুভানুধ্যায়ী, সর্বোপরি ভুক্তভোগিরা অন্তরের যতটুকু গভীর থেকে অনুপ্রবেশকারিদের অনুধাবন করতে পেরেছেন--"দলের সাধারন সম্পাদক তাঁরচেয়ে ঢের বেশীগুন গভীর থেকে উপলব্দি করতে পেরেছেন কথিত "কাউয়া"র দৌরাত্ব কোনপয্যায় পৌঁছে গেছে।"
ruhulaminmujumder27@gmail.com

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা